আমরা সমীচীন মনে করছি ৷ প্রথমে হাদীসটির মুলপাঠ উল্লেখ করার পরে আমরা তার সমর্থক
(শাইিদ) রিওয়ায়াতগুলাে উল্লেখ করব ৷ আল্লাহ সহায়!
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র) মুহাম্মদ সুত্রে বলেন যে, তিনি
বলেছেন জা ৷বির (রা) এর কাছে গেলাম, তিনি তখন বনু সালিমায় অবস্থান করেছিলেন ৷
আমরা জ ৷কে রা সুলুল্লাহ্ (সা) এর হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি আমাদেরকে
জানালেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নয় বছর যাবত ৩হজ্জ না করে মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর
সাধারণ্যে ঘোষণা দেয়া হল যে, র৷ সুলুল্পা হ্ (না) এ বছর হজ্জ পালন করবেন ৷ বর্ণনাক৷ রী
(জাবির) বলেন, ফলে মদীনায় অনেক লোকের সমাগম হল যাদের প্রত্যেকের বাসনা ছিল
রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা) এর সাথে হজ্জ করা এবং তিনি যা যা করবেন তা করা ৷ যিলকদ মাসের পাচ
দিন বাকী থাকতে রাসুলুল্লা হ্ (সা) বের হলেন ৷ আমরাও তার সাথে বের হলাম ৷ অবশেষে
তিনি যুলহুলায়ফ৷ য় উপনীত হলে আসমা বিনত উমায়স (রা) মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা)-
কে প্ৰসব করে নিফস্ফোস্থ৷ হলেন ৷ তাই তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে লোক পা
চাইলেন যে, তিনি কী করবেন? জবাবে নবী করীম (সা) বললেন “গোসল করে নাও তারপর ণ্;কান কাপড় দিয়ে পট্টি’ জড়িয়ে নাও, তারপর ইহরাম
ৰীধো ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন এবং যখন জ ৷র ৷উটনী তাকে নিয়ে প্রান্তরে স্থির
হয়ে দাড়ালো তখন তাওহীদ সহ তালৰিয়া পড়লেন–
লোকেরা ত ৷লবিয়া উচ্চারণ করতে লাগল ৷ তারা সুউচ্চ আসমানস্মুহেৱ অধিক্র্তা এবংএ
ধরনের অন্যান্য শব্দ বেশী বলছিন ৷ নবী করীম (না) তা শুনেও আপত্তি করেন নি ৷ আমার
দৃষ্টি সীমা পর্যন্ত নজর দৌডিংয় জ৷ ৷মি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে আরোহী ও পথচ৷ বীদের
দেখতে পেলাম, জার পিছরুনও তেমনি, তার ডান দিকেও( তমনি এবং তার বাম দািকও
তেমনি লোকে লোক ৷রণ৷ দেখতে পেলাম ৷ জা ৷বির (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) তখন
আমাদের মাঝে এমন অবস্থায় তার উপরে কুরআন অবতীর্ণ হলো ৷ তিনি তার ব্যাখ্যা জানতেন
এবং সে অনুসারে তিনি যে কোন আমল করতেন আমরাও সে আমল করতাম ৷ আমরা যখন
বের হই তখন হজ্জ ব্যতীত আমাদের অন্য কিছুর নিয়ত ছিল না ৷ অবশেষে আমরা কাবায়
উপনীত হলে নবী করীম (সা) হাজার ৰুআসওয়াদ চুম্বন করলেন; তারপর তাওয়াফের তিন
চক্করে রমল’ করলেন এবং চার চক্করে স্বাভাৰিকভাবে ছুাটলেন ৷ তাওয়াফ শেষ করে তিনি
মাকামে ইব্রাহীম-এর দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তার পুেছনে দু’রাকআত সালাত আদায়
করলেন ৷
তারপর তিলাওয়াত করলেন “ এবৎ (বলেছিলাম)
তোমরা ইবরাহীমের র্দাড়াবার স্থানকে ণ্সালাতের স্থানরুপে গ্রহণ কর” (২ : ১২৫) ৷ আহমদ
(র) বলেন, আবু আবদুল্পাহ্শুবলেছেন, সে দু’রাকআতে তিনিসুরা ইখলাস ও কাফিরুন
পড়েছিলেন ৷ তারপর হাজার আসওয়াদ চুম্বন করে সাফার উদ্দেশ্যে বের হলেন ৷ (সেখানে)
তিলাওয়াত করলেন সফো-মাব্রঘো আল্লাহ্র নিদর্শনসমুহের
অন্যতম তারপর তিনি বললেন “আল্লাহ্ যা দিয়ে শুরু
করেছেন আমরাও তা দিয়েই শুরু করব ৷” এরপর তিনি সাফায় চড়দুলন ৷ সেখানে যখন
বায়তুল্লাহ্র দিকে দৃষ্টি করলেন তখন তা ৷কবীর (আল্লা ল্লাহু আকবার) ধ্বনি দিলেন এবং বললেন-
“আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই যিনি একক, তার কোন নশরীক নেই, র্তাবই রাজ্য-
বাজহু , হামৃদ্ তা৷রই; আর তিনি সব কিছুদুত ক্ষমতড়াবান ৷ আল্লাহ ব্যতীত আর কাে ন ইলাহ্
নুেই, যিনি একক; তিনি তার ওয়াদ৷ পুর্ণ করেছেন, তিনি তার ঙ্রাদ৷ সত্য বানিদুয়ছেন; আর
তিনি একাকী সব দলবলকে পরাস্ত কিংবা (বলেন) পর৷ ভুত করেছেন ৷’ তারপর (আরো)
দু আ করলেন এবং আব৷ ৷র এই কথাগুলো বললেন ৷ তারপর (নমে এলেন ৷ যখন তার
পদযুগল উপত্যকার সমতলে স্থির হতে লাগল, তখন তিনি দ্রুত পদে চললেনৰু ৷ আবার যখন
চড়াই পথে চড়ত্তে লাপদুলন তখন স্বাভাবিক ইাটলেন ৷ তারপর মারওয়ড়ায় এসে তাদুর্তচড়লেন
এবং যখন বাযতুল্লাহ্র দিকে দৃষ্টি দিলেন তখন সেখানে তেমনই বললেন, যেমন সাফায়
আদুরাহণ করে বলেছিলেন ৷ তারপর যখন সপ্তম স৷ ঈ শেষে মারওয়ড়ায় পৌছদুলন তখন
বললেন-
“লোক সকল! আমার ব্যাপার যা আমি পরে বুঝেছি, তা যদি আগে বুঝতে পারতাম তবে
আমি হাদী নিয়ে আসতাম না এবং অবশ্যই এটিকে উমরায় পরিণত করতাম ৷ সুতরাং যার
সাথে হাদী নেই সে যেন হালাল হয়ে যায় এবং এটিকে উমরারুপে গণ্য করে ৷” তখন লোকেরা
(প্রায়) সকলেই হালাল হয়ে গেল ৷ তখন সুরাক৷ ইবন মালিক ইবন জুছুম (রা) যিনি
উপত্যকা ৷র নিম্নভুমিদুত ছিলেন ৷ বললেন, ইয়া৷ র ৷সুলাল্পাহ্! দুক রল আমাদের এ বছরের জন্যই
নাকি চিরকালের জন্য? রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন এক হাতের আঙ্গুলুত লো অন্য হাতের
আঙ্গুলতদুলার মাঝে ঢুকিয়ে বললেন এ্যা চিরদিলের জন্য এ কথা তিনি তিনবার বললেন ৷
তারপর
“কিয়ামতের দিন পর্যন্ত উমরার (সময়) হদুজ্জর (সময়ের) মাঝে প্রবিষ্ট হয়ে গেল ৷
বর্ণনাকাৰী (জাবির) বলেন, ধ্ৰুদিবেঃগ্রালী (বা) ইয়ামান থেকে কিছু হাদী নিয়ে এলেন এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না)-ও মদীনায় হাদী হতে কিছু হাদী নিয়ে এসেছিলেন ৷ তিনি লক্ষ্য করলেন যে,
ফাতিমা (বা) হালাল হয়ে গিয়েদুছন এবং ষ্ রঙ্গীন কাপড় পরেদুছন ও সৃরম৷ ব্যবহার করেছেন ৷
আলী (বা) তা অপসন্দ “করলে তিনি বললেন, “আমার আব্বাজান আমাকে এরুপ করতে নির্দেশ
দিয়েছেন ৷ ইয়াহ্য়৷ (র) বলেন, আলী (রা) কুফায় বলেদুছন বলেছেন এ পরবর্তী
অংশটুকু জাবির (রা) উল্লেখ করেন নি) , আমি রাগে চটে গিয়ে ফাতিমার কথিত বিষয়ে
ফাতওয়া জিজ্ঞেস করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে গিয়ে বললাম , ফাতিমা রঙ্গীন কাপড়
পরেছেন, সৃরমা লাগিয়েছেন এবং বলেছেন যে, আমার আববাজান আমাকে হুকুম করেছেনা
নবী কবীম (সা) বললেন, যে সত্য বলেছে, সে সত্য বলেছে, আমি তাকে ঐ বিষয় হুকুম
দিয়েছি ৷ আর জাবির (রা)-এর বর্ণনায় এবং নবীকবীম (সা) আলী (রা)-কে বললেন ণ্-
এ্যা “তুমি কী বলে ইহরাম বেধেছো ? তিনি বললেন, আমি বলেছি, ইয়া আল্লাহ্! আমি
ইহরাম বীধছি সেরুপ যেরুপ ইহরাম বেধেছেন আপনার রাসুল (সা) ৷ তিনি বললেন, আর
আমার সাথে হাদীও রয়েছে ৷ নবী কবীম (সা) বললেন এে ১াদ্বু “তবে তুমি হালাল হয়ো
না ৷” বর্ণনাকারী (জাৰির) বলেন, আলী (রা) ইয়ামান হতে যে হাদী নিয়ে এসেছিলেন এবং
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) যা নিয়ে এসেছিলেন তার মোট সংখ্যা ছিল একশ’ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ
হাতে তেষট্টিটি কুরবানী করলেন ৷ তারপর আলী (রা)-কে দিলে তিনি অবশিষ্টগুলো কুরবানী
করলেন ৷ নবী কবীম (সা) তার হাদীতে আলী (রা)১কে শবীক করে নিলেন ৷ তারপর প্রতিটি
কুরবানী হতে টুকরা কোট নেয়ার হুকুমদািলন, সেগুলো একটি ইড়াড়িতে রথো হল এবং
পাক্বানাে হল) ৷ পরে তারা দুজন সে গোশত খেলেন এবং ঝোল পান করলেন ৷ তারপর
রড়া সুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “এখানে আমি কুরবানী করেছি,
তবে মিনার সবটইি কুরবানী ক্ষেত্র ৷ তিনি আরাফায় অবস্থান’ করে বললেন, “আমি এখানে উকুফ (অবস্থান) করেছি, তবে আরাফার সবটইি উকুফের
স্থান ৷ আর ঘুযদালিফায় অবস্থান করে বললেন খোঙু আমি
এখানে অবস্থান করেছি, তবে গোটা মৃযদালিফইি অবস্থান ক্ষেত্র ৷ ইমাম আহমদ (র) এভাবেই
এ হাদীস উপস্থাপন করেছেন এবং এর শেষ অংশ যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত করেছেন ৷
ইমাম মুসলিম (র) তার সহীহ্-এর মানাসিক অধ্যায়ে এ হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আমরা যথাস্থানে মুসলির্মও আহমদ (র)-এর বণ্টাড়া-বার্বধানেৱ অতিরিক্ত অংশ চিহ্নিত করে
এনৈছিৰু তা ছিল আর্নী (রা)-কে বলা নবী কবীম (না)-এর বাণী, “সে সত্য বলেছে, সে সত্য
বলেছে ৷” “তুমি যখন হরুজ্জর ইহ্রাম
বেধেছ তখন কী বলেছ? আলী (বা) বললেন, আমি বলেছি, ইয়া আল্লাহ্ ! আমি সেরুপ ইহরড়াম
বেধেছি ৷ যেরুপ ইহরাম আপনার রাসুল (সা) বেধেছেন ৷ আলী (বা) বললেন, আমার সাথে
তো হাদী রয়েছে ! নবী কবীম (সা) বললেন, তবে তুমি হালাল হবে না ৷ বর্ণনাকাবী বলেন,
ইয়ামান থেকে আলী (রা)-এর নিয়ে আসা হাদী দল এবং ৱালুলুল্লাহ্ (সা) যা এসেছিলেন তা
ৎথ্যায় ছিল একশ’ ৷ বর্গনাকারী বলেন, তখন (প্রায়) সব (লকিই হালাল হল এবং তারা চুল
হেটে নিল ৷ কিন্তু নবী কবীম (সা) এবং যার যার সাথে হড়ার্দীছিল তারা হালাল হলেন না ৷ পরে
তালবিয়া (৮ই যিলহজ্জ)-এর দিন এলে তারা মিনা অভিমুখে চললেন ৷ তখন র্তারা হভ্রুজ্জর
ইহরাম বীধলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-ও বড়াহনে আরোহণ করলেন এবং সেখানে (মিনার) গিয়ে
যুহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও (পরবর্তী) ফজর সালড়াতসমুহ আদায় করলেন ৷ তারপর সুর্য
উদিত হওয়া পর্যন্ত কিছুসময় অপেক্ষা করে রইলেন ৷ তিনি তার একটি পশমী-তড়াবু লাগাবার
নির্দেশ দিলে তা নামিরায় তার জন্য লাগানো হল ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) তখন চলতে লাগলেন ৷
কুরইিশীদের এ বিষয় কোন দ্বিধা ফ্লি না যে, নবী কবীম (সা) মাশআরুল হারাম’ (যুযদালিফা)
এই অবস্থান করবেন (আরাফাতে যাবেন না) ৷ যেমন’শু জাহিলী যুগে কুরাইশীদের নিয়ম ছিল ৷
কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) অতিক্রম করে আরাফ৷ পর্যন্ত চলে পেলেন ৷ সেখানে নামিরারর্তার জন্য ণ্
র্তাবু স্থাপন করা হয়েছে, দেখতে; পেলেন ৷ তাই সেখানে অবতরণ করলেন ৷ সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে
পড়লে তিনি বাহন কা সওয়া’ (উটনীটি) নিয়ে আসতে বললেন ৷ণ্ তখন তীর জন্য উটনীর পিঠে
গদী তাট৷ হল ৷ তিনি উপত্যকা ৷র সম৩ লভুমিতে এসে লোকদের সামনে খৃতব৷ দিলেন তাতে
তিনি
র্টতোমাদের রক্ত ও ণ্তামাদের সম্পুদ ণ্তামাদের জন্য, মর্যাদা সম্পন্ন তোমাদের এ মাসে
তোমাদের এ নগরে তোমাদের এ ;দিনটির মর্ষাদ্ার,ন্যায় ৷ শুনে রেখো৷ জাহিলিয়্যাতের সবকিছু
আমার দৃ’পায়ের তলায় রহিত ৷ জাহিলী ঘুন্থগর রক্তপণ’ রহিত ৷ প্রথম রক্তপণ যা আমি রহিত
ঘোষণা করছি ৷ আমাদের নিজ গোষ্ঠীর রক্তপণ, ইবন রাবীআ ইবনুল হারিছ-এর রক্তপণ, বনু
সাদ গোত্রে সে (ধাত্রীমাতার) দুধপান রত ছিল, হুযায়লীরা তাকে হত্যা করে ৷ জাহিলী যুগের
সুদ রহিত; প্রথম সুদ যা আমি রহিত ঘোষণা করছি ৷ আমাদের প্রাপ্য আব্বাস ইবন আবদুল
যুত্তা ৷লিবের সুদ তা সম্পুংইি রহিত ৷ না ৷রীদের ব্যাপারে অ ৷ল্লাহ্কে ভয় করে চলবে; ৫কননা,
তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ, আ ল্লাহ্ৱ আমানত’-এর মাধ্যমে এবং তাদের লজ্জাস্থ ন তোমরা
হালাল করেছ আল্লাহ-র কালিমা ৷র সাহায্যে৷ তাদের উপর ভে,ামাদের ,হক এই যে, তা ৷রা
তোমাদের বিছানাগুলে৷ এমন কাউকে মাড়াতে দেবে না, যাদের তোমরা অপসন্দ কর ৷ যদি
তারা তা করে বসে, তবে তাদের প্রহার করতে পারবে আঘাত সৃষ্টিকারী নয় এমন প্রহারে ৷ আর
তোমাদের উপর তাদের হক, সঙ্গত পরিমাভৈণ তাদের থােরপোষ ৷
আর তোমাদের কাছে এমন একটি বিষয় রেখে যাচ্ছি, যার পরে তোমরা পথহার৷ হবে না
যদি তোমরা তা মযবুত জাকড়ে থাক ৷ তা হল আল্লাহর কিতাব ! তোমরা আমার বিষয়
জিজ্ঞাসিত হবে, (বল তো) তোমরা তখন কী বলবে? উপস্থিত লোকজন বললেন, আমরা সাক্ষ্য
দেব যে, আপনি অবশ্যই পৌছে দিয়েছেন, আপনি কল্যাণ কামন৷ করেছেন এবং আপনি
(যথাযথ) দায়িতৃ পালন করেছেন ৷ তখন নবী করীম (না) তার শাহাদাত’ আব্দুল আকাশের
দিকে তুলে এবং সমবেত জনতার দিকে নামিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন
“ইয়া আল্পাহ্ সাক্ষী থাক! ইয়৷ আল্লাহ্ সাক্ষী থাক ! কথাটি তিনি তিনবার বললেন ৷
তারপর আযান ইকামত হলো এবং যুহর সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর (শুধু) ইকামত
হলো এবং আসর সালাত আদায় করলেন এবং এ দুই সালাতের মাঝে কোন সালাত আদায়
করলেন না ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না) বাহনে চড়ে ওকুফ স্থলে চলে এলেন ৷ তখন তিনি তার
উটনী কাসওয়ার পেটের অংশ পাথর খণ্ডগুলেড়ার দিকে রাখলেন এবং পদাতিকদের টিলাকে
রাখলেন তার সামনের দিকে এবং তিনি কিবলামুখী হয়ে থাকলেন ৷ এভাবে অবস্থান করতে
থাকলেন ৷ যতক্ষণ না সুর্য অস্ত গেল ৷ অর্থাৎ হলদে বর্ণ কমে আসতে লাগল, এমনকি
সুর্যগােলকটি ডুবে গেল ৷ তখন উসামা ইবন যায়দ (রা)-কে নিজের পিছুনৈ সহ-আরােহী করে
রাসুলুল্লাহ্ (না) চলতে লাগলেন ৷ তিনি তখন কাসওয়ার লাগান টেনে ধরলেন এমনভাবে যে,
তার মাথা তার পায়ের গদীর পেছনের সাথে লেগে যাচ্ছিল ৷ তিনি তখর্নর্তার ডান হাত দিয়ে
ইশারা করেছিলেন ব্লুওপ্লু&৷ হ্ট্রুৰু ;হ্রপ্রু৷ গ্রাগ্রা ৷গ্লুপ্রু ৷ “লোক সকল ! শান্ত থাকে৷ ! স্থির থাকে৷ !
যখনই তিনি কোন পাহাড়ের কাছে পৌছতেন তখন উটনীকে (লাপাম) ঢিল দিতেন যাতে সে
উপরে উঠতে পারে ৷ এভাবে তিনি যুযদালিফায় পৌছলেন ৷ সেখানে মাগরিব ও ইশার সালাত
আদায় করলেন, এক আযান ও দুই ইকামাত দিয়ে ৷ এ দুইয়ের মাঝে তাসবীহ’ (নকল
সালাত) আদায় করলেন না ৷
তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না) সৃবহে সাদিক হওয়া পর্যন্ত শুয়ে থাকলেন ৷ তারপর ভোরের আলো
পুর্ণ স্পষ্ট হলে এক আযান ও দুই ইকামাত দিয়ে ফজর সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর
কাসওয়ায় আরোহণ করে আল মাশআরুল হারাম’-এ গিয়ে কিবলাযুখী হয়ে দুআ করলেন ৷
তখন তিনি আল্লাহর হামদ (আলহামদুলিল্লাহ্), তাকবীর (আল্লাহ ক্রুঙুহ্া৷কবার) , তাহলীল-তাওহীদ
(কালিমইি শাহাদাত) পড়লেন ৷ ৰুআকাশ খুব ফর্স৷ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান
করলেন ৷ তারপর সুর্যোদয়ের প্রাক্কালে সেখান থেকে চলতে শুরু করলেন এবং ফাঘৃল ইবন
আব্বাস (রা)-কে সহ-আরােহী বানালেন ৷ ফায্ল (বা) ছিলেন সৃকেশী ও উজ্জ্বল সুন্দর
চেহারার অধিকারী ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) চলতে শুরু করলে কতক হড়াওদানাশীনা’ মহিলা যেতে
লাপলেন ৷ ফাঘৃল (বা) তাদের দিকে তাকাতে লাগলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) ফাযলের
ঢেহারার উপরে তার হাত রেখে দিলেন ৷ ফাঘৃল (বা) তার হাত অন্য দিকে সরিয়ে দিতে
উদ্যত হলে রাসুলুল্লাহ্ (না) ও অন্য দিক হতে ফাযলের চেহারায় হাত ফিরিয়ে দিলেন ৷ তখন
ফাঘৃল (বা) অন্য দিক থেকে চেহারা ফিরিয়ে দেখতে লাগলেন ৷ ১ তারপর নবী করীম (সা)
ঘুহাসৃসার নিম্রতুমিতে পৌছলে একটু দ্রুত চললেন ৷ তারপর মাঝের পথ ধরে চললেন যেটি
জামরাতুল কুবরা’ (বড় শয়তান) পর্যন্ত পৌছে ৷ অবশেষে গাছের নিকটবর্তী জামরাটির কাছে
পৌছলেন ৷ সেটিকে সাতটি কঙ্কর মারলেন, প্রতিটি কঙ্কর যাবার সময় তিনি তাকবীর ধ্বনি ন্
দিচ্ছিলেন ৷ উপত্যকার নিম্নভুমি হতে কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন ৷ তারপর কুরবানী ক্ষেত্রের দিকে
অগ্রসর হলেন এবং নিজ হাতে তেষট্টিটি কুরবানী করার পরে আলী (রা)-কে দিলে তিনি
অবশিষ্টগুলো কুরবানী করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) আলী (রা)-াক তার হাদীতে শয়ীক; করে
নিলেন ৷ তারপর প্রতিটি উট হতে এক টুকরো করে কেটে নেয়ার হুকুম দিলেন ৷ টুকরাগুলো
একটি ভুাড়িতে রেখে পাকানাে হল ৷ তখন তারা দু’জন সে গোশত খেলেন; এবং তার বোন
১ এখানে উল্লেখ যে, ঐ সময় ফাষ্ল (রা) ছিলেন ১২১৩ বছরের কিশোর ৷ ষ্অনুবাদক
পান করলেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাহনে আরোহণ করে বায়তুল্লাহ্য় উদ্দেশ্যে চললেন
এবং মক্কায় যুহর সালাত আদায় করলেন ৷ পরে বনু আবদুল ঘুত্তালিবেরৎকাছে পেলেন, তারা
তখন যমযম-এয় কাছে ণ্লাকদের পানি তুলে দিচ্ছিল ৷ তখন তিনি বললেন-
“ঘুত্তা ৷লিবীরা! (পানি) তুলতে থাক; যদি না তোমাদের পানি সরবরা হেব কাজে তোমাদের
উপরে দো কদের ঝামেলা ও চাপ সৃষ্টির অ ৷শৎকা থাকত, তবে আ ৷যিও অবশ্যই তোমাদের সাথে
(পা নি) তুলতাম ’ জরা ত কে একটি বড়ালভী এগিয়ে দিলে তিনি তা থেকে গান করলেন (এ
পর্যন্ত মুসলিম র এর রিওয়ায়া ৷ত) ৷ তারপর মুসলিম (র) এ হ দীসখানা অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন জাবির (বা) সুত্রে ৷ আবুসিনান-এর কাহিনী সে যে জাহিলী যুগের লোকদের সাথে
খালি পিঠে পাধায় আরোহী হয়ে (হরুজ্জ্বর সময়) চলাচল করত তা উল্লেখ করেছেন এবং (এ
কথাও) যে, র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন “আমি এখানে কুরবানী করলাম, তবে মিন৷ পুরোটইি
কুরবানী ক্ষেত্র;ত তাই তোমরা তোমাদের আস্তা নাম (৩ নবুত্তে) কুরবাবী করতে পার;অ আমি এখানে
ওকুফ (অবস্থান) করেছি তবে যে টা অ রোফা ইি ওকুফ স্থল এবংঅ মি(মুযদা ৷লিফায়) এখানে
অবস্থান করেছি তবে গোটা ঘুযদালিফাই অবস্থান ক্ষেত্র ৷
আবু দাউদ ও নাসাঈ (র) এ হাদীস তার দীর্ঘ পরিসরসহ বিভিন্ন রাবী হতে রিওয়ায়ড়াত
করেছেন (যাদের রিওয়ারা ৷তে ৰিষয়গত ও শব্দগত:কিছুটা প্ক্ষারতম্য রয়েছে)া
হজ্জ ও উমরা পলােম মদীনা থেকে মক্কা স্বামনকালে নবী কবীম (সা) এর
সালাত আদায়ের স্থ ত্বনসমুহেৱ আলোচনা
বুখারী (র) বলেছেন, মদীনা ভিমুখী পথের মসজিদসমুহ এবং নবী করীম (সা) এর স ৷লাত
আদায়ের স্থানসমুহ ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু বকর আ ল যুকা ড়াদ্দাযী (র)মুসা ইবন উকবা (র)
সুত্রে বলেন, আমি সালিম ইবন আবদুল্লাহ্কে পথে কিছু কিছু স্থান খুজে বের করতে দেখেছি;
যে সব স্থানে তিনিসালাত আদায় করতেন এবং হাদীস বর্ণনা করতেন যে, তার পিতা ঐ সব
স্থানে সালাত আদায় করতেন এবং এই (কথাও বলঃক্তা) যে, তিনি (সালিংমর€পিতা) নবী
করীম (না)-কে ঐ সব স্থানে সালাত আদায় করতে দেখেছেন ৷ আর (মুসা বলেন) নড়াফি (র)
ইবন উমর (বা) হতে আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (ইবন উমর) ঐ সকল স্থানে সালাত
আদায় করেছেন ৷ আমি (মুসা) সালিম (র) কে জিজ্ঞেস করেছি, আমার জানা মতে তিনি নাফি
(র)-এর সাথে সব কটি স্থানের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন ৷ তবে তারা দু’জন
রাওহার উচুভুমিতে অবস্থিত মসজিদের ক্ষেত্রে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন ৷১ বুখারী (র) বলেন,
ইব্রাহীম ইবনুল মুনযির (র) নাফি (র) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন উমর
(রা) র্তাকে খবর’ দিয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার উমরা করার সময় এবং তীর হরুজ্জর
সফরে, যখন তিনি (বিদায়) হজ্জ করলেন, যুল-হুলায়কার বাবলা’ গাছের তলায় যুল
হুলায়ফাতে যে মসজিদ রয়েছে তার (কাছাকাছি) স্থানে অবতরণ করতেন ৷ ঐ পথ রেখার
১ রাওহা মদীনা হতে প্রায় ৩৬ মাইল রে একটি মনযিল ৷ অনুবাদক
কোন গাযওয়৷ থেকে কিৎব৷ উমর৷ বা হজ্জ হতে যখন ফিরে আসতেন তখনও উপত্যকার
নিম্নভুমিতে অবতরণের পর যখন উপত্যকার নিম্নভুমি হতে (চড় ই পথে) উঠতে শুরু করতেন,
তখন উপত্যকা প্রান্তের পুর্ব দিকের প্রশস্ত বাতহ৷ (কঙ্করভুমি) তে উট বসাতেন ৷ সেখানে
সকাল পর্যন্ত শেষ রাতের’ বিশ্রাম নিতেন ৷ এটি (বড়) পাথরের পাশের মসজিদের কাছে
কিৎবা যে ঢিবির উপরে মসজিদ রয়েছে সেখানেও নয় (সেখানে এক সময় নালার মত গর্ত
ছিল) ৷ আবদুল্লাহ (রা) সেখানে সালাত আদায় করতেন যার মধ্যে কতক বালুর ঢিবি ছিল;
(১) রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও সেখানে সালাত আদায় করতেন ৷ পরে ঢল সে কঙ্করময় ভুমিকে
প্রসারিত করে দিয়েছে যার ফলে ঐ স্থান যেখানে আবদুল্লাহ (রা) সালাত আদায় করতেন তা
নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে ৷
ইবন উমর (রা) বলেন যে, (২) ছোট মসজিদ যেখানে, যেখানে ছোট মসজিদ, এটি
রাওহার উচু স্থানে, যে মসজিদ রয়েছে তার কা ৷ছেই ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) রাসুলুল্লাহ
(সা) এর সালাত আদায় করার স্থানটি চিনতে তন ৷ তিনি বলতেন, এখানে ভোমার ভানে, যখন
তুমি (বর্তমানে বড়) মসজিদে সালাতে দাড়াও ৷ ঐ মসজিদটি তোমার মক্কা পমনকালে
সড়কের ডান পাড়ে, বড় মসজিদ ও তার মাঝে (দুরতৃ) একটি পাথর নিক্ষেপের কিৎব৷ এর
কাছাকাছি; (৩) ইব ন ৬ মর (রা) ইরক (ক্ষুদে পাহাড় বা উপতব্রকাটি) সামনে রেখে সালাত
আদায় করতেন যেটি রয়েছে রাওহার শেষ প্রান্তে ৷ আর ঐ ইরকের শেষ মাথা রয়েছে রাস্তার
, পাড়ে ৷ অর্থাৎ (রাওহার) শেষ প্রান্ত ও ইরকের মাঝে যে মসজিদ তার কাছে ৷ যখন নাকি তু
মক্কাগামী হও ৷ ওখানে মসজিদ তো নির্মাণ করা হয়েছিল ৷ কিন্তু আবদুল্লাহ (বা) যে মসজিদে
সালাত আদায় করতেন না ৷ বরং সেটিকে বামে ও পেছনে রেখে তার সামনে এগিয়ে সোজা
ইরক-এর দিকে মুখ করে সালাত আদায় করতেন ৷ আবদুল্লাহ (রা) রাওহা হতে এগিয়ে
যেতেন এবং ঐ স্থানে না পৌছা পর্যন্ত যুহর সালাত আদায় করতেন না ৷ সেখানে পৌছে যুহর
সালাত আদায় করতেন ৷ আর যখন মক্কা হতে ফিরে আসতেন তখন সুবহে সাদিকের’ এবস্টু
আগে কিৎব৷ শেষ রাতে এখান থেকে অতিক্রম করতে হলে ফজরের সালাত আদায় করা পর্যন্ত
এখানে শেষ রাতের বিশ্রাম নিতেন ৷
আবদুল্লাহ (বা) আরো বলেছেন যে, (৪) নবী করীম (না) বা ৷স্তা বরাবর সড়কের ডানে
রুওয়ায়ছার’ কাছের বিশাল গাছের নীচে অবতরণ করতেন ৷ সম৩ ল বিস্তীর্ণ কঙ্করময় ক্ষেত্রে ৷
তারপর সেই ঢিল৷ ধরে এগিয়ে যেতেন, যেটি রয়েছে রুওয়ায়ছার ভাকঘরের একেবারে কাছে
দুমাইলের মধ্যে ৷ সে গাছের উপরের অংশ ভেন্সে গিয়ে মাঝ বরাবর ভীজ হয়ে পড়েছিল, তবে
গাছটি তার কাণ্ডের উপরে র্দাড়ানে৷ ছিল এবং তার গোড়ার অনেকগুলো বালির ঢিবি ছিল ৷
(৫) আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) আরো বলেন যে, নবী কৰীম (না) পাহাড়ী বাধ’এর
প্রান্তে সালাত আদায় করেছেন, যা হাযব৷ পমনকালে আরজ-এর পেছনের দিকে পড়ে ৷ ২ সে
১ রুওয়ায়াছ৷ রাওহা ও মদীনায় মধ্যবর্তী রাওহা হতে তেব মাইল দুরে মদীনা হতে প্রায় চব্বিশ
মাইল ৷ অনুবাদক
২ আরজ মদীনা হতে হাযব৷ অতিমুথী পথের পাচ মাইল দুরত্বে ৷