দৃরুদ পাঠালে তা তার দরুদ আমার কাছে উপস্থাপন করা হতে থাকে, যতক্ষণ না যে তা
থেকে বিরত হয় ৷ আৰুদ-দারদা (রা) বলেন, আমি বললাম (আপনার) ওফাতের পরেও ?
তিনি বললেন-
“আল্লাহ নৰীগণের (আ) দেহ যেয়ে ফেলা মাটির জন্য হারাম করে দিয়েছেন ৷ আল্লাহ্র নবী
জীবন্ত থাকেন ৷ তাকে রিষিক দেয়া হতে থাকে ৷ এ হাদীস ইবন মাজা (র)-এর একক’
বর্গনাসমুহের একটি ৷ হাফিয ইবন আসাবিম্ম (র) এ ক্ষেত্রে কিয়ামত পর্যন্ত অনাগত দিনে নবী
আলইিহিস সলােতৃ ওয়াসৃ সালামের রওমাশয়ীফ যিয়ারত প্ৰসৎগে বর্ণিত হাদীসসমুহ আলোচনার
জন্য একটি অধ্যায় সন্নিবেশিত করেছেন ৷ আমাদের কিতাবুল আহকাম’ আলু কাবীর১এ
বিষয়টির বিশদ আলোচনা সযীচীন মনে করছি ৷ ইনশা আল্লাহ তাআলা ৷
রাসুলুল্লাহ (না)-এর ইনতিকাপে শোক বাণী ও সান্তনা গ্রহণ প্রসংগে
ইবন মাজা (র) বলেন, ওলীদ ইবন আমুর ইবনুস্ সিককীন (র) অইিশা (বা) সুত্রে বণ্নাি
করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (না) (তীর ওফাত দিবসের সকাল বেলা) তার ও
জনতার মধ্যবর্তী দরজাটি খুললেন, কিংবা একটি পর্দা উন্মোচিত করলেন, দেখলেন লোকেরা
আবু বকর (রা)-এর পিছনে সালাত আদায় করছে ৷ তিনি তখন তাদের এ সুন্দর অবস্থা দর্শনে
তার অবর্তমানে তার দেখা এ অবৃস্থা বিদ্যমান থাকার আশায় আল্লাহ্র হামুদ আদায় করলেন
এবং বললেন-
লোক সকল ! মানব সমাজের যে কেউ কিংবা (তিনি বললেন) মুমিনদের যে কেউ কোন
বিপদে আক্রান্ত হলে সে যেন আমি ব্যতীত অন্যের ব্যাপারে যে বিপদ তাকে আক্রান্ত করে
তার তুলনায় আমার ব্যাপারের বিপদের মাধ্যমে সাত্না গ্রহণ করে ৷ কেননা, আমার ব্যাপারে
বিপদের পরে আমার উম্মতের কোনও ব্যক্তি আমার (মৃত্যুজনিত) বিপদের চাইতে কঠিনতর
কোন বিপদের সম্মুখীন অবশ্যই হবে না ৷ এ রিওয়ায়াত একাকী ইবন মাজার ৷ হাফিয
বন্য়হাকী (র) বজাে, ফকীহ আবু ইসহাক ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদ (র) জাফর ইবন
মুহাম্মদ (র) তার পিতা (মুহাম্মদ) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, কুরায়শী একদল লোক তার পিতা
আলী ইবনুল হুসারন (না)-এর নিকটে আগমন কালে তিনি ,তাদের বললেন, রাসুলুল্লাহ (না)
হতে প্রাপ্ত হাদীস আমি তোমদ্যে শোনার কি? তারা বলল, ভী ছু৷ নিশ্চয়ই ! আপনি আবুল
কাসিম (না) হতে প্রাপ্ত হাদীস আমাদের পােনান ৷ তিনি বললেন, ৱাসুলুল্লাহ (সা) অসুস্থ হয়ে
পড়লে জিবরীল (আ) তার নিকটে এসে বললেন, ইয়া মুহাম্মদ ! আল্লাহ আমাকে আপনার
নিকটে পাঠিয়েছেন আপনার মর্যদা ও সম্মানার্থে ৷ একান্তডাবে আপনারই উদ্দেশ্যে (যেন) আমি
১ আল্পামা ইবন কাহীরের অন্যতম অনবদ্য ও প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ৷
আপনাকে এমন বিষয় জিজ্ঞাসা করি যে সম্পর্কে তিনি আপনার চাইতে অধিকতর অবগত ৷
তিনি (আল্লাহ) বলেছেন, “ (এখন) আপনার কেমন লাগছে? নবী করীম (সা) বললেন-
“হে জিবরীল ! আমি নিজেকে দৃশ্চিম্ভাগ্রস্ত পাচ্ছি; হে জিবরীল আমি নিজেকে বিষগ্ন
অবস্থায় পাচ্ছি ৷ পরে দ্বিতীয় দিন জিবরীল (আ) নবী করীম (না)-এর নিকটে এসে পুবানুরুপ
কথা বললে নবী কয়ীম (না)-ও প্রথম দিনের জবাবের পুনরাবৃত্তি করলেন ৷ তৃতীয় দিলেও
জিবরীল (আ) আগমন করে নবী করীম (সা)এর কাছে প্রথম দিনের কথার পুনরাবৃত্তি করলে
তিনিও তার জরাবের পুনরাবৃত্তি করলেন ৷ তার সংগে ইসমাঈল নড়ামধারী অন্য একজন
ফিরিশতাও আগমন করলেন, যিনি এমন এক লাখ ফিরিশতার উপরে কর্তৃতৃ করেন, যাদের
প্রত্যেকে এক এক লাখ ফিরিশতড়ার কর্তৃত্বের দায়িত্বে রয়েছেন ৷ এ ফিরিশতা নবী করীম (সা)-
এর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন ৷ তিনি তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন ৷ তারপর জিবরীল
(আ) বললেন, ইনি মালাকুল মাওত, আপনার কাছে অনুমতি প্রার্থী; আপনার আগে আর কোন
মানুষের কাছে তিনি অনুমতি চান নি এবং আপনার পরেও কোন মানুষের কাছে অনুমতি
চাইবেন না ৷ তখন নবী করীম (না) র্তাকে অনুমতি দিতে বললে তাকে অনুমতি দেয়া হল ৷
তিনি প্রবেশ করে নবী করীম (সা) কে সালাম করার পরে বললেন, হে মুহাম্মদ ! আল্লাহ
আমাকে আপনার সকাশে পাঠিয়েছেন, এখন আপনি আমাকে আপনার রুহ্ কবৃয করার
আদেশ করলে আমি তা কবৃয করব ৷ আর আপনি আমাকে তা রেখে যাওয়ার হুকুম করলে
রেখে যাব ৷ তখন রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, “আপনি কি তাই করবেন
হে মালাকুল মড়াওত ৷ তিনি বললেন, হী এবং আমি যে রুপেই আদিষ্ট হয়েছি; আপনার
আনুগত্য করতে আমি আদেশ প্রাপ্ত হয়েছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন নবী করীম (না) জিবরীল
(আ)-এর দিকে দৃষ্টি দিলে জিবরীল (আ) তাকে বললেন, ইয়া মুহাম্মদ! আল্লাহ আপনার
সাক্ষাত লাভের সাপ্রহ প্রভীক্ষায় রয়েছেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) মালাকুল মাওতকে বললেন,
আদিষ্ট বিষয় বাস্তবায়িত করুন ! তখন তিনি তার রুহ কবৃয করলেন ;
এভাবে নবী করীম (না)-এর ওফাত হয়ে গেলে এবং শোক সন্তপ্ততা দেখা দিলে তারা ঘরের
কোণ হতে একটি আওয়ায শুনতে পেলেন-“ঘরের বাসিন্দারা ৷ আসৃসালামু আলায়কুম ওয়া
রাহ্মাতুল্লাহি ও বারাকাতৃহু ৷ আল্লাহ্তে অবশ্যই রয়েছে, প্রতিটি ঘুসীবত সান্তুনা, প্রত্যেক
মৃত্যুবরণকারীর স্থলাভিষিক্ত এবং প্রতিটি হারানো বিষয়ের ক্ষতিপুরণ ৷ সুতরাং আল্পাহ্তে
নির্ভরতা স্থাপন কর এবং তার কাছেই আশা পোষণ কর ৷
কেননা, হওয়ার বঞ্চিত ব্যক্তিই প্রকৃত বিপদগ্রন্ত ৷ ” তখন আলী (বা) বললেন, তোমরা জান
কী ইনি কে? ইনি খিযির (আ) ৷ এ হাদীস যুরসালরুগে বর্ণিত হয়েছে এবং এর অন্যতম রাবী
কাসিম আল্-আমৃরী, এর কারণে এ সনদে দুর্বলত৷ রয়েছে ৷ কেননা, একাধিক ইমাম ও হাদীস
বিশারদ র্তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন, অন্যে তো ভীকে সম্পুর্ণ বর্জনই করেছেন ৷ তবে রাবী
(র) হাদীসটি শাফিঈ (র) (কাসিম) জাফর, তার পিতা, তার দাদা সুত্রে বর্ণনা করেছেন এবং
এতে শুধু সান্তুনা বাণী’ র অংশটুকু মাওসুল’ বা অবিচ্ছিন্নরুপে বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু এ
সনদের পুর্জ্যলাচিত আল-আম্বী রয়েছেন ৷ তার পরিচয় আমি র্ফাস করে দিয়েছি, যাতে কেউ
প্রতারণার শিকার না হন ৷ তদুপরি, হাফিয বায়হাকী (র)-ও হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন,
হাকিম (র) আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ কিংবা আবদুর রহমান (জাফর ইবন মুহাম্মদ) জাবির
ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ (না)-এর ওফাত হয়ে
গেলে (একটি অদৃশ্য আওয়ায শোনা গেল) তারা শুধু আওয়ায ওনলেন তবে কোন ব্যক্তিকে
দেখতে পেলেন না ৷ অদৃশ্য আওয়ায বলল, আসৃসালাযু আলায়কুম আহ্লাল বায়ত ওয়া
রাহমাতুল্পাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷ আল্লাহ্তেই রয়েছে যে কোন বিপদের সাভ্না; প্রতিটি হারানো
বিষয়ের স্থলাভিষিক্ত এবং প্রতিটি মৃতের ক্ষতিপুরণ প্রাপ্তি ৷ সুতরাং আল্লাহ্তেই ভরসা রাখ ৷
তার কাছেই আশা স্থাপন করা কেননা, ছাওয়াব হতে বঞ্চিত ব্যচ্ছি প্রকৃত বঞ্চিত ৷ ওয়াসৃ-
সালামু আলায়কুম ওয়া রাহ-মাতুল্লাইি ওয়া বারাকাতুহু ৷ রিওয়ায়াত শেষে বায়হাকী (র)
বলেছেন, এ সনদদ্বয় দুর্বল হলেও এরা পরস্পরের সম্পুরক এবং তা এতটুকু প্রতীয়মান করে
যে, জাফর (র)-এর হাদীস সংগ্রহ সুত্রে এর কিছুটা ভিত্তি রয়েছে ৷ আল্পাহ্ই সমাধিক অবগত ৷
আবু আবদুল্লাহ আল্শ্হাফিয (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আবু বকর ন্আহমদ ইবন বালুরা
(র) , আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে ৷ তিনি বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ (সা)-কে উঠিয়ে নেয়া
হল তখন তীর সাহাবীগণ তার চার পাশে সমবেত হয়ে র্কাদতে লাগলেন ৷ তখন উজ্জ্বল
অবয়ব, সুঠামদেহী সড়াদা-কাল দাড়ি বিশিষ্ট এক ব্যক্তি প্রবেশ করলেন এবং তাদের ডিংগিয়ে
সামনে গিয়ে র্কাদতে লাগলেন ৷ তারপর রাসুলুল্পাহ (না)-এর সাহাবীগণের দিকে তাকিয়ে তিনি
বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ্তে রয়েছে প্রতিটি বিপদে সান্তুনা, প্রতিটি নিরুদ্দেশের বিনিময় এবং
প্রতিটি মৃত্যুবরণকারীর স্থলাভিষিক্ত ৷
সুতরাং অড়াল্লাহ্র পানেই তোমরা ধাবিত হও ! তার প্রতি আকৃষ্ট আপ্রহান্বিত হও ! বিপদে
আপদে তার (রহমতের) দৃষ্টি তোমাদের দিকে, সুতরাং তোমরা তার দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখ !
কেননা, প্রকৃত বিপদপ্রস্ত হল যে ব্যক্তি যাকে ক্ষতিপুরণ দেয়া হয় না ৷” এ পর্যন্ত বলে তিনি
চলে গেলে ৷ র্তারা তখন একে অন্যকে বলতে লাগলেন, ল্যেকটাকে কি আপনারা চিনেন? তখন
আবু বকর ও আলী (রা) বললেন, হী ! ইনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর ভাই খিযির (আ)” রিওয়ায়াত
শেষে বায়হাকী (র) বলেছেন, (মধ্যবর্তী রাবী) আব্বাস ইবন আবদুস সামাদ দুর্বল এবং এ
বর্ণনাঢি এক যাকে যুনৃকার ও অসমর্থিত ৷ হারিছ ইবন আবু উসাম৷ (র) রিওয়ায়াত করেছেন,
আবু হাযিম আলু মাদানী (র) সুত্রে ৷ তিনি বলেন যে, মহান মহীয়ান আল্লাহ রাসুলুল্পাহ (না)
কে তুলে দেয়ার সময় মুহাজিরগণ তার জন্য সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে দলে দলে প্রবেশ
করতে লাগলেন এবং বের হয়ে যেতে লাগলেন ৷ পরে আনসারীগণও অনুরুপ করলেন ৷ পরে
মদীনায় অন্যান্য লোকেরা ৷ এ ভাবে পুরুষদের পালা শেষ হলে নারীগণ প্রবেশ করলেন ৷
স্বভাবত এমন পরিস্থিতিতে তারা যেমন করে থাকেন তেমন কিছু অস্থিরতা ও কান্নক্যেটি
র্তাদের থেকে প্রকাশ পেল ৷ তখন র্তারা ঘরের মধ্যে একটি কম্পন ও দোলার আওয়ড়ায শুনতে
পেলেন, তারা নিরব হলে শুনলেন, জনৈক (অদৃশ্য) বক্তা বলছেন, আল্লাহ্তেই রয়েছে
মৃত্যুবরণকারীর ব্যাপারে সান্তুনা ও প্রতিটি বিপদের বিনিময় এবং প্রতিটি মৃতের উত্তরসুরী ৷
ছাওয়াব যার ক্ষতিপুরণ করে সে-ই প্রকৃত ক্ষতিপুরণ প্রাপ্ত ৷ আর ছাওয়াব যার ক্ষতিপুরণ করে
না সেই প্রকৃত বিপদগ্নস্ত ৷
অনুচ্ছেদ : নবী করীম (সা) এর ওফাত দিবস সম্পর্কে আহলে কিতাব লোকদের পুর্ব
অবগতি প্রসংগে
আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন ইদবীস (র) জাৰীর ইবন
আবদুল্লাহ আল্-বজােলী (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইয়ামানে ছিলাম,
সেখানে আমি ইয়ামানবাসী দুই ব্যক্তি বুকেলা ও বু-আমর এর সাথে সাক্ষাত করলাম এবং
তাদের সংগে রাসুলুল্লাহ (সা) সম্বন্ধে আলোচনা করলাম ৷
আবীর (রা) বলেন, তারা আমাকে বলল, আপনি যা বলছেন তা যদি সত্য হয় তবে
(আমরা বলব যে) আপনার এই লোক তার সময় শেষ করে বিদায় নিয়েছেন এবং তা তিন
দিন আগেই ৷ জাবীর (বা) বলেন, তখন আমি তাদের দৃজনকে নিয়ে সফরে রওয়ানা করলাম ৷
পথিমধ্যে এক স্থানে আমাদের সামনে মদীনা হতে আগত একটি কাফেলা দেখা দিল ৷ আমরা
তাদেরকে খবর জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, রাসুলুল্পাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গিয়েছে এবং
আবু বকর (রা) খলীফা নিযুক্ত হয়েছেন ৷ আর লোকেরা শাম্ভ-সুশৃৎখল রয়েছে ৷ জাবীর (বা)
বলেনঃ, তখন সংপীদ্বয় আমাকে বললেন, আপনার এ কর্মৰুর্তাকে অবহিত করবেন যে, আমরা
এসেছিলাম এবং ইনশাআল্পাহ তাআলা আমরা অচিরেই ফিরে আসর ৷ জারীর (রা) বলেন, এ
কথা বলে তারা ইয়ামানে প্রতব্রুড়াবর্তন করল ৷ আমি (মদীনায়) উপনীত হয়ে আবু বকর (রা)-কে
তাদের কথা অবগত করলে তিনি বললেন, তুমি তাদের সাথে করে নিয়ে এলে না কেন?
পরবর্তী সময় যু-আমর আমাকে বললেন, আবীর ! আপনার প্ৰতি আমার শ্রদ্ধাবােধ রয়েছে এবং
আমি আপনাকে একটি ব্রিষয় অবহিত করছি ৷ আপনারা আরব বাসীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে
কল্যাণের মাঝে থাকবেন যতদিন আপনাদের একজন আমীর ও শাসক গত হলে পরামর্শের
ভিত্তিতে আর একজন আমীর মনোনীত করবেন ৷ আর যখন তা তরবারির ভিত্তিতে হবে তখন
আপনারা হয়ে যাবেন রাজস্ব-বাদশা ৷ রড়াজড়া-বড়াদশার মতই আপনাদের ক্রোধ ও তুষ্টি ওঠা-নামা
করবে ৷ ইমাম আহমদ ও বুখারী (র) অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন আবু বকর ইবন আবু
শায়বা (র) সুত্রে এবং বায়হাকী (র) অনুরুপ রিওয়য়োত করেছেন হাকিম (র) সুফিয়ান (র)
সুত্রে ৷ বায়হাকী (র) আরো বলেছেন, হাকিম (র) জারীর (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেছেন, ইয়ামানে জনৈক ইয়াহুদী পণ্ডিতের সংগে আমার সাক্ষাত হল ৷ তিনি আমাকে
বললেন, আপনাদের ঐ ব্যক্তি যদি নবী হয়ে থাকেন তবে সোমবার তার ওফাত হয়ে গিয়েছে ৷
বায়হাকী (র) এ ভাবেই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু সাঈদ
(র) জ্যরীর (যা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহুদী পণ্ডিত ইয়ড়ামানে আমাকে
বললেন, আপনাদের ঐ ব্যক্তি নবী হয়ে থাকলে তিনি আজ ইনতিকাল করেছেন ৷ জারীর (রা)
বলেন, দেখা গেল সত্যিই তিনি ৫সড়ামবারে ইনতিকাল করেছেন ৷
বায়হড়াকী (র) আরো বলেন, আবুল হুসায়ন ইবন বুশৃরান (র) কাব ইবন আদী (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, হীরাতে একটি প্রতিনিধি দলের সংগে আমি নবী করীম (সা) সমীগে
উপস্থিত হলে আমাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত (প্ম্পো করলেন ৷ আমরা ইসলাম গ্রহণের পরে
হীরাতে প্রত্যাবর্তন করলাম ৷ এর পরে কিছু দিন যেতে না যেতেই আমাদের কাছে নবী করীম
(না)-এর ওফাতের সংবাদ এসে পৌছল ৷ ফলে আমার সংগীরা দ্বিধাম্বিত হয়ে পড়ল এবং