এরপর বায়হাকী (র) সালাত আদায়ের পুর্বে নিদ্রায় মছুা হওয়ার বিষয়ে আওফ নামী এক
রেদুঈন ও এক মহিলার ঘটনা বর্ণনা করেন এবং কেমন করে পুর্ণ সেনাদল এ দুজন থেকে পানি
সংগ্রহ করে তৃপ্তি সহকারে পানি পান করেছিল অথচ তাদের দুজনের পানি একটু ও হ্রাস পায়নি
তা ও উল্লেখ করেন ৷ পুনরায়ত তিনি মুসলিম বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ এর মধ্যে
সালাত আদায় না করে জ্বিায় মগ্ন থাকা ও উয়ুর পাত্রে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার উল্লেখ রয়েছে ৷ আবদুর
রায্যাক মামার-কাতাদা সুত্রেও এটি বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী (রা) আবুমুসা আল আশআারী (রা) এর বরাতে বলেন তিনি বলেছেন, যখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার অভিযানে বের হলেন এবং লোকজন একটি ময়দানের নিকটবর্তী হলেন
তখন তারা উচ্চারে অাল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লা ল্লাহ্ ধ্বনি দি ”ত লাগলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, “তোমরা তোমাদের নিজেদের প্ৰতি তসদয় হও, তোমরা কোান বধিরকে কিৎবা অনুপস্থিত
সত্তাকে ডাকছ না ৷ তোমরা যাকে ডাতকছ তিনি সর্বশ্রোতা এবং তিনি নিকটেই, তিনি তোমাদের
সাথেই আছেন ৷ রাবী বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) )এ-র সাওয়াণ্াশ্বর পিছনে ছিলাম ৷ তিনি আমাকে
বলতে শুনলেন আমি বলছিলাম ণ্এো ১া ৷ ওঠুদ্বু ১াএ ট্রুপ্রু ন্ ১া অথাং কারো কোন শক্তি সামর্থ
নেই আল্লাহ্ প্রদত্ত তওফীক ব্যতীত ত৷ তিনি আমাকে বললেন, হে আবদুল্লাহ ইবন কায়স ৷ আমি
বললাম, আমি উপস্থিত হে আপ্লা হুর রাসুল রা সুপুথ্রা হ (সা) রলণে ন “আমি কি তোমাকে এমন
একটি কথা বলব, যা জান্নাতের একটি গুপ্ততাণ্ডার ম্ব” আমি বললাম, “জী হ্যা, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আপনার জন্যে আমার পিতা ও মাতা কুরবান হোন তিনি বললেন, তা হচ্ছেং
অন্যান্যরাও আবু মুসা (বা) হতে এ রিওয়ায়াতটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে বিশুদ্ধ
মতে এ ঘটনাটি খায়বার থেকে প্রত্যাবর্তন করার সময় ঘটেছিল ৷ কেননা, আবু মুসা (রা)
খায়বার বিজয়ের পর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাত করেছিলেন ৷ যেমনটি পুর্বেই বলা
হয়েছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় যে, খায়বার বিজয়ের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইবন
লাকীম আল-আবসী (রা)-কে কিছু গৃহপালিত ইাস-মুরপী দান করেন ৷ সফর মাসে খায়বার বিজয়
হয়েছিল ৷ ইবন লাকীম খায়বার বিজয় সম্বন্ধে নিম্নোক্ত কবিতাণ্ডলো রচনা করেন এবং বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তরফ থেকে অস্ত্রশংস্ত্র সজ্জিত বহু সংখ্যক সাহসী ও দক্ষ সৈন্য কর্তৃক
নাতাত দুর্গআক্রমণ করা হল ৷ যখন আমি মুসলিম সৈন্যদের আগমনের কথা শুনলাম তখন
খায়বার পতনের ব্যাপারে সুনিশ্চিত হলাম ৷ সৈনাদলের মাঝখানে ছিল আসলাম ও গিফার গোত্রের
লোকজন ৷ আমর ইবন যুরআ গোত্রের লোকজনের সন্নিকটে মুসলিম সেনাদলের রাত পােহাল ৷
আশ-শাক দৃর্গটির বাসিন্দারা ভীত-সন্ত্রস্থ হয়ে দিনের আলো সরুত্ত্বও অন্ধকার দেখতে লাগল ৷
খায়রারের বিস্তীর্ণ এলাকা র পতন ঘটাল মুসলিম সেনা দল এবং তা তারা দখল করে নিলেন ৷ আর
গৃহপালিত মুরগী ছাড়া ভোর বেলায় আর কোন শব্দই পাওয়াযাচ্ছিল না ৷ আবদুল আশহাল কিৎবা
বনু নাজ্জার এবং মুহাজির সেনাদল প্রতিটি দুর্গ অবরোধ করে নিল ৷৩ তারা লোহার বর্ম পরিহিত
থাকায় নিজেদেরকে সুরক্ষিত ভেবে পলায়নের কোন কল্পনাই করেননি ৷ খায়বারবাসীরা বুঝতে
ইয়াহ্রদীর৷ এরুপ অবস্থা দেখে ভিড়ের মধ্যে সংগােপনে ও অনেকের অলক্ষেব্র পলায়ন করল ৷
খায়বারের শহীদগণ
যেসব সাহাবী থায়বারে শাহাদতবরণ করেন , ইবন ইসহাক প্রমুখের বর্ণনা অনুযায়ী নিম্নে
র্তাদের নামের তালিকা প্রদত্ত হলো ৷
মুহাজিরের মধ্যে : বনু উমাইয়ার আযাদকৃত দাস রাবী“অ৷ ইবন আকছাম ইবন সাখবারা
আল-আসাদী (রা ) , বনু উমাইয়ার মিত্র সাকীফ ইবন আমর (বা ) এবং রিফাআ ইবন মাসরুহ্
(রা) , বনু আমাদের মিত্র ও তাদের বোনের ছেলে, সাদ ইবন লায়ছ ণ্পাত্রের আবদুল্লাহ্ ইবন
হুবায়ব ইিবন উহাইব ইবন সুহাইম ইবন গাবার৷ (বা) ৷
আনসারদের মধ্যে : বিশৃর ইবন আল-বারা ইবন মারুর (বা ) ৷ যিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাথে বিষ মিশ্রিত বকরীর গোশত খাওয়ার পর শাহাদত বরণ করেন ৷ ফুযায়ল ইবন নুমান ভীরা
উভয়েই সুলায়ম গোত্রের লোক ছিল ৷ মাসউদ ইবন সাদ (ইবন কায়স ইবন খালিদ ইবন আমির
ইবন যুরায়ক আয় যুরাকী (রা ) , মাহমুদ ইবন মাসলাম৷ আল-আশহালী (রা ) , আবু যীয়াহ্ হারিছা
ইবন ছাবিত ইবন নৃমান আল-আমর ৷ (বা ) , হ্ারিহ ইবন হয় :ি র (রা), উরওয়৷ ইবন মৃবৃর৷ ইবন
সুরাকা (বা ) , আউস আল-ফারিদ (বা) , আনীফ ইবন হাবীব (রা) , ছা ত ইবন আসল৷ (বা) ,
তাল্হা (বা ) আমার৷ ইবন উকবা (বা) তীর নিক্ষিপ্ত হওয়ায় শহীদ) আমির ইবন আকওয়৷ (রা)
সালাম৷ ইবন আমর ইবন আক্ওয়৷ (বা) (ইাটুতে নিজ ৩রবারীর আঘা৩ লাপায় নিহত) রাথাল
সাহাবী আসওদ (বা) যা র বিবরণ শুধু ইবন ইসহা ৷ক পেশ করেছেন ৷
ইবন ইসহাক আরো বলেন, খায়বারে শাহাদত বরণকারী র্ষাদের কথা ইবন শিহাব যুহবী
উল্লেখ করেছেন৩ তারা হচ্ছেন€ বনু যুহ্রার মাসউদ ইবন রাবী আ (বা ) আনসারদের মধ্যেশু
আমর ইবন আউফ গোত্রের আওস ইবন কাতাদ৷ (রা) ৷
হাজ্জাজ ইবন ইলাত আল-বাহযী (রা)-এর ঘটনা
ইবন ইসহাক বলেন, খায়বার বিজয়ের পর হাজ্জ জ ইবন ইলাত আস-সালামী আল-বাহষী
বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্শু আবুতা ৷ল্হার কন্যা আমার শ্রী উ ঘু শায়বার কাছে মক্কায় আমার প্রচুর
সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে ৷ আবার দ্রীর কাছে রয়েছে স্বীয় সন্তান মুওয়াওয়ায ইবন হাজ্জাজ ৷ আর
মক্কার ব্যবসায়ীদের কাছে রয়েছে আমার পাওনা বিভিন্ন ধরনের মালপত্র ৷ সুতবাংঅ আমাকে
অনুমতি দেন অ মি যেন আমার সম্পদ তাদের থেকে উদ্ধার করতে পারি ৷ এ ব্যাপারে হয়ত
আমার কিছু ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়ার দরকার হতে পারে ৷ এরুপ করার অনুমতি আমাকে দিন !
রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে সে অনুমতি দিলেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, এরপর আমি বেরিয়ে পড়লাম এবং
মক্কার আল-বাইদা পাহাড়ের র্ঘাটিতে পৌছে দেখি কুরায়শের কিছু সংখ্যক লোক খবর সংগ্রহের
জন্যে জড় হয়ে রয়েছে ৷ তা ৷র৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্বন্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন করছে ৷ তবে তারা জানতাে যে,
তিনি খায়বার অভিযানে বের হয়েছেন৷ আর তারা এটাও জান তা যে, খায়বার হিজাযের একটি
ছিল তিনি বের করে নিয়েছেন এবং সমুদয় সম্পদ তার ও তার সাহাবীগণের আয়ত্তে এসে গেছে ৷
আব্বাস (র৷ ) বললেন, তুমি কি ঠিক বলছ হে হাজ্জাজ ? তিনি বললেন, আমি বললড়াম, হীা
আল্লাহর শপথ! তবে এটা গোপন রাখবেন ৷ আমি ইতোমধ্যে মুসলমান হয়ে গেছি ৷ আর এখানে
এসেছি শুধু আমার সষ্পদগুলে৷ নিয়ে যাওয়ার জন্যে ৷ এরপর তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন ৷ আবার
বলে গেলেন, আল্লাহর শপথ, যখন তিনদিন চলে যাবে, তখন আপনি যেভাবে পসন্দ ব্যক্ত করতে
পারেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, যখন তৃতীয় দিন এল, আব্বাস (বা) এক জোড়া নতুন কাপড় গায়ে
সুগন্ধি যেখে একটি লাঠি হাতে কা’বা শরীফে এসে তাওয়াফ করলেন ৷ কুরায়শগণ যখন তাকে
দেখতে পেয়ে বলে উঠল, “হে আবুল ফযল ! আল্লাহর শপথ, এমন বিপদে এত ধৈর্য ? আব্বাস
(বা) জবাব দিলেন, “কখনও না, তোমর৷ যে আল্লাহর শপথ করেছ, তার শপথ করে আমি
বলছি৪ মুহাম্মাদ (স৷ ) খায়বার জয় করেছেন এবং তাদের রাজকন্যার বর রুপে বাসর উদযাপন
করেছেন ৷ তাদের সম্পদ দখল করে নিয়েছেন ৷ আর এখন সমগ্র সম্পদ তার ও তার সাহাবীদের
আয়ত্তে এসে গেছে ৷ তারা বলল, কে তোমাকে এ খবর দিয়েছে ? তিনি বললেন, তােমাদেরকে
যে খবর দিয়েছিল সে আবার আমাকে এ খবর দিয়েছে ৷ সে তোমাদের এখানে মুসলমান হয়ে
এসেছিল তার মালপত্র উদ্ধারের জন্যে ৷ সে এখন মুহাম্মাদ ও তার সাহাবীদের সাথে মিলিত
হওয়ার জন্যে চলে গেছে ৷ সে তার সাথেই থাকবে ৷ তারা বলতে লাগল, আল্লাহর বান্দাদের
সাহায্যে এগিয়ে আসুন ৷ আল্লাহর দৃশমন পালিয়ে গেছে ৷৩ তবে আল্লাহর শপথ, যদি আমরা তার
সম্বন্ধে জানতাম তাহলে তারও আমাদের মধ্যে অনেক কিছু হয়ে যেত ৷ হাজ্জাজ বলেন, তারা
কিছুদিনের মধ্যে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত সংবাদ পেয়ে গেল ৷ এরুপে ইবন ইসহাক এ ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন
সনদে বংনি৷ করেন ৷ অবশ্য ইমাম আহমদ পুর্ণ সনদসহ ঘটনাটি বংনাি করেছেন যা নিম্নরুপ :
তাতে অতিরিক্ত আছে হাজ্জাজ বলেন, এ খবর মক্কায় প্রচারিত হলে মুসলমানগণ চুপচাপ হয়ে
গেলেন আর মুশরিকগণ আনন্দস্ফুর্তি করতে লাগল ৷ হাজ্জাজ বলেন, এ খবর আব্বাস (রা) এর
কাছে পৌছলে তিনি মর্মাহত হলেন এমনকি র্দাড়াতেও পারলেন না ৷ মা’মার (বা) বলেন,
আমাকে মিকসাম (র) স বাদ দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, আব্বাস (রা)ত তার কুছাম নামী
এক সম্ভানকে চিং হয়ে বুকের উপর রাখলেন এবং কবিতার ছন্দে বলতে লাগলেন, কুছাম আমার
আদরের সন্তান, সুঘ্রাণযুক্ত নাসিকার প্রতীক, সে আমার সন্তান, ধারণাকারীর ধারণার সে
ঐশ্বর্যশালী ৷
ছাবিত (বা) আনাস (রা) এর বরাতে বংনি৷ করেন, তিনি বলেন, এরপর আব্বাস (বা) তার
একটি গোলামকে হ জ্জাজ ইবন ইলাং তর কাছে বলে পাঠালেন, র্সবনাশ তুমি এ কী সং বাদ নিয়ে
এসেছ, আল্লাহ তাআল৷ যা ওয়াদ৷ করেছেন তা তোমার আনীত স বাদ হতে উত্তম ৷ হাজ্জাজ
ইবন ইলাত গোলামটিকে বললেন, আবুল ফযলকে আমার সালাম দেবে এবং বলবে৩ তার বাড়ির
কো ন একটি জা ৷য়গ৷ যেন খালি করে রাখেন ৷ কেননা, আমিত তার কাছে কিছু গোপন কথা বলব যা
তাকে আনন্দ দেবে ৷ গোলামটি ফিরে গিয়ে বলল, হে আবুল ফযল, সৃসংবাদ গ্রহণ করুন ৷
হাজ্জাজ বলেন, এটা শুনে আব্বাস (বা) থুশীতে লাফ দিয়ে উঠলেন এবং গোলামের কপালে চুমু
খেলেন ৷ হাজ্জাজ যা বলেছিলেন গোলামটি তা হুবহু তার পুনরাবৃত্তি করল ৷ তখন আব্বাস (রা)
গো ৷লামটিকে আযাদ করে দিলেন ৷ এরপর আব্বাস (রা) এর কাছে হাজ্জাজ আসলেন এবং সব বাদ