Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » কা’ব ইবন আশরাফের হত্যার ঘটনা

কা’ব ইবন আশরাফের হত্যার ঘটনা

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • তারা একজন কিৎবা দৃ’জনকে বন্দী করে নিয়ে আসেন ৷ সব কিছু এসে তারা রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) এর

    নিকট জমা দেন ৷ বিধি অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ্ (না) তার তত্ত্বাবধানে ব্যয় করার জন্যে মোট সম্পদের

    ষ্ট৫ অংশ সংরক্ষিত রাখেন ৷ তার মুল্যমান ছিল ২০ হাজার দিরহাম ৷ অবশিষ্ট টু৫ অংশ তিনি
    অভিযানে অংশ গ্রহণকারী মুজাহিদদের মধ্যে বণ্টন করে দেন ৷ বন্দীদের একজন হলেন ফুরাত

    ইবন হাইয়ান ৷ তারপরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ ইবন জারীর বলেন, ওয়াকিদীর৷ ধ ৷রণা এই

    হিজরী বছরের (৩য় হিজরী) রাবীউল মওসুমে হযরত উছমান (রা) রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এর কন্যা উম্মে

    কুলছুম (বা ) কে বিয়ে করেন ৷ ওই বছর জুমাদ৷ ল আখির মাসে তাদের বাসর হয় ৷

    কা ব ইবন আশরাফের হত্যার ঘটনা

    কা ব ইবন আশরাফ বানু তায় গোত্রের লোক ৷ আর তায় গোত্র, বানু নাবহান গোত্রের শাখা
    গোত্র ৷ কিন্তু তার যা ছিল বানুনাযীর গোত্রের ৷ ইবন ইসহাক এটি উল্লেখ করেছেন রানু নাযীর
    গোত্রের দেশাম্ভরিত করার ঘটনা বর্ণনার পুর্বে ৷ তবে ইমাম বুখাৰী (র) কা ব ইবন আশরাফের
    হত্যার ঘটনা উল্লেখ করেছেন বানু নাযীর গোত্রের দেশান্তরিত করার ঘটনা বর্ণনার পরে ৷ তবে
    ইবন ইসহাকের বর্ণনাই সঠিক ৷ কারণ, বানুনাযীর গোত্রের ঘটনাটি ঘটেছিল উহুদের যুদ্ধের পর ৷
    ওদের অবরাে ধ কালেই মদ নিষিদ্ধ হওয়ার বিধান নাযিল হয় ৷ এসব বিষয় আমরা অবিলম্বে বংনাি
    করব ইনশা আ ল্লাহ্ ৷

    ইমাম বুথারী (র)৩ তার সহীহ্ গ্রন্থে বলেছেন, “কার ইবন আশরাফ হত্যাকাণ্ড বিষয়ক
    অধ্যায় আলী ইবন আবদুল্লাহ জারির ইবন আবদুল্লাহ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন,
    কা ব ইবন আশরাফকে শায়েস্তা করার জন্যে কে আছো ? সে তো মহান আল্লাহ্কে এবং তার
    রাসুলকে কষ্ট দিয়েছে ৷ তার কথা শুনে মুহাম্মাদ ইবন মাস্লামা (রা ) উঠে র্দাড়ালেন, তিনি
    বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমি তাকে হত্যা ৷করি৩ ৷কি আপনি পছন্দ করবেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    বললেন, হ৷ করব ৷ মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা (রা) বললেন, তাহলে আমাকে এ অনুমতি দিন যে,
    আমি তার সাথে কিছু কৌশলপুর্ণ কথা বলব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হা, তুমি যেমন বলতে
    চাও তা বলবে ৷ সে মতে মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা কাব ইবন আশরাফের নিকট গেলেন ৷ তিনি
    তাকে লক্ষ্য করে বললেন, ওই লোকটি (মুহাম্মাদ) আমাদের নিকট সাদকা দাবী করেছে ৷ লোকটি
    আমাদেরকে খুব কষ্ট দিচ্ছে ৷ আমি আপনার কাছে এসেছি কিছু ঋণ নেয়ার জন্যে ৷ সে বলল,
    তাহলে তৃমিও পাল্টা তাকে কষ্ট দাও ৷ তিনি বললেন, অবশ্য আমরা তার আনুগত্য অবলম্বন
    করেছি ৷ শেষ পরিণতি না দেখে তাকে ছেড়ে যাওয়া ভাল মনে করছি৷ না ৷ এখন আমি আপনার
    নিকট কিছু ঋণ চাচ্ছি ৷ সে বলল, হ৷ ঋণ দিব তবে কিছু একটা বহ্মক রাখতে ৩হবে ৷ আমি
    বাংলায়, কী বহ্মক রাখতে চান ? সে বলল, ৫৩ ৷মাদের শ্রীলোকদেরকে আমার নিকট বহ্মক
    রাখবে ৷ মাসলামা (রা) ও তার সাথীগণ বললেন, আপনি (তা আরবের অন্যতম রুপবান পুরুষ ৷
    আপনার নিকট আমাদের ঘরের ত্রীদেরকে বন্ধক রাখি কেমন করে ? সে বলল, তাহলে
    তোমাদের সন্তানদেরকে বন্ধক রাখ ৷ তারা বললেন, সন্তানই বা বহ্মক রাখি কেমন করে ?
    তাহলে লোকজন আমাদেরকে পানি দিয়ে আর বলবে দেখ দেখ, এক ওসক কিৎবা দুই ওসক
    শস্যের জন্যে ছেলেদের বন্ধক দিয়েছে ৷ এটি হবে আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় ৷ আমরা কিছু

    অস্ত্রশস্ত্র বন্ধক রাখতে পারি ৷ তাতে কাব রাজী হল এবং রাতে দেখা করতে বলল ৷ মুহাম্মাদ
    ইবন মাসলামা রাতের বেলা৩ তার নিকট হা ৷যির হলেন ৷৩ তার সাথে কাব এর দুধ ভাই আবু নাইলা
    ছিল ৷ সে তাদেরকে সুরক্ষিত দুর্গে আহ্বান জানাল ৷ তার ৷যথাস্থানে উপস্থিত হলেন ৷ সেও দুর্গ
    থেকে নেমে আসলে৷ ৷ এ সময় তার ত্রী বলল, এ অসময়ে কোথায় যাচ্ছেন ? এক বর্ণনায় আছে

    তার শ্রী এও বলেছিল যে, আমি এমন শব্দ শুনছি তা থেকে যেন রক্ত ঝরছে ৷ কাব বলল,
    তা হবে কেন ? ওরা তো আমার ভইি মুহাম্মাদ ইবন মাসলাম৷ এবং আমার দুধ ভাই আবু নাইলা ৷

    সস্তুান্ত ব্যক্তিকে রাতের বেলা ছুরিকাঘাত করার জন্যে ডাকলেও ডাকে সাড়া দিতে হয় ৷ মুহাম্মাদ
    ইবন মাসলামা তার সাথে দুজন লোক নিয়ে গেলেন ৷ তিনি তাদেরকে বললেন, কার ইবন
    আশরাফ ঘরে প্রবেশ করলে আমি তার চুল ধরে তার ঘ্রাণ নেব ৷ তোমরা যখন দেখবে যে , আমি
    মযবুতভাবে তার মাথা ধরে ফেলেছি তখন তোমরা তার উপর আক্রমণ করবে তরবারির আঘাত
    করবে ৷ কা ব সৃসজ্জিত হয়ে৩ তাদের নিকট নেমে এল ৷ দেহ থেকে৩ তার সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছিল ৷
    মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা বললেন, আজকের ন্যায় সৌরভ আমি কােনদিনই পাইনি, সে বলল,
    আমার শ্রী তো আরবের সর্বাধিক সৌরভময় ও শ্রেষ্ঠ সুন্দরী মহিলা ৷ মুহাম্মাদ বললেন, আমাকে
    অনুমতি দেবেন, আমি আপনার মাথা থেকে ঘ্রাণ নেব ? সে বলল, হী , তা হবে ৷ তিনি নিজে ব্রাণ
    নিলেন এবং৩ তার সাথীদেরকে ঘ্রাণ নিতে বললেন ৷ তিনি পুনরায় বললেন, পুনরায় আমাকে ঘ্রাণ
    নেবার অনুমতি দেবেন ? সে বলন, ই৷ ৷ এবার তিনি মযবুতভাবে তার মাথা চেপে ধরলেন এবং
    তার সাথীদেরকে বললেন, কাজ সেরে নাও ৷ তারা তাকে হত্যা করে ফেললেন ৷ এরপর তারা
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে এসে তাকে তা অবহিত করলেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, কা ব ইবন আশরাফের পরিচয় এই, সে তায় গোত্রের লোক ছিল যা
    প্রকৃতপক্ষে বানুনাহবান গোত্রের শাখ ৷গোত্র ছিল ৷৩ তার মা ছিল৷ বা নুনাযীর গোত্রের ৷ যায়দ ইবন
    হারিছা ও আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ বদর ময়দান থেকে ফিরে এসে সেখানে নিহত কাফিরদের
    অবস্থা যখন জানাল তখন সে বলেছিল, আল্লাহর কসম, মুহাম্মাদ যদি সত্যিই ওদেরকে হত্যা করে
    থাকে তবে মাটির উপরের অংশের চেয়ে মাটির নীচে চলে যাওয়াই আমাদের জন্যে উত্তম ৷ শেষ
    পর্যন্ত বদরের যুদ্ধে কাফিরদের বিপর্যয় সম্পর্কে যে যখন নিশ্চিত হল তখন সে মক্কায় চলে গেল ৷
    সেখানে গিয়ে উঠল মুত্তালিব ইবন আবু ওয়াদাআর বাড়ীতে ৷ মুত্তালিরের ত্রী ছিল উসায়দ ইবন
    আবুল ঈসের কন্যা আতিক৷ ৷ সে নসম্মানে তাকে বরণ করল ৷ আদর আপ্যায়ন করল ৷ মক্কায়
    গিয়ে সে মক্কাবাসীদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে প্রচণ্ডভাবে প্ররোচন৷ দান
    করল, এ বিষয়ে সে৩ তার স্বরচিত বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তি করতে লাগল ৷ বদর যুদ্ধে নিহত

    কফিারদের স্মরণে সে শো কগাথা রচনা ও প্রচার করতে লাগল ৷ ইবন ইসহ৷ ৷তক তার একটি কাসীদা
    উল্লেখ করেছেন ৷ সেটির প্রথম পংক্তিটি ছিল এরুপ :

    বদর যুদ্ধের ইা৷তা বদরবাসীদের পিষে ফেলেছে ৷ বদরের মত একটি দুঃখজনক ঘটনার জন্যে
    ক্রন্দন করা ও মাথা পিটানাে উচিত

    হাসৃসান ইবন ছা ত (রা) প্রমুখ তার কবিতার প্রত্যুত্তর দিয়েছেন ৷ ইবন ইসহাক সেওলোও
    উল্লেখ করেছেন ৷ এরপর কাব ইবন আশরাফ মদীনায় ফিরে আসে ৷ মুসলিম মহিলাদের সম্মুখে
    প্রেম নিবেদনমুলক কবিতা আবৃত্তি করতে থাকে ৷ সাথে সাথে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) ও সাহাবীগণ
    সম্পর্কে নিন্দামুলক কবিতা রচনা করতে থাকে ৷

    মুসা ইবন উক্বা বলেন, কাব ইবন আশরাফ বানুনাযীর গোত্রভুক্ত ছিল ৷ অথবা বানুনাযীব
    ৫গাংত্র অবস্থানকারী ছিল ৷ নিন্দাগীত রচনা ও আবৃত্তির মাধ্যমে সে নবী করীম (সা)কে খুব কষ্ট
    দিত ৷ সে কুরায়শদের নিকট গিয়ে তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছিল ৷ মক্কায় অবস্থানকালে আবু
    সুফিয়ান তাকে বলেছিল , আমাদের ধর্ম অল্লোহ্র নিকট অধিক প্রিয় না মুহাম্মাদ (সা) ও তার
    সাহাবীদের ধর্ম ? তোমার ধারণার আমাদের মধ্যে কে অধিক হিদায়াতপ্রাপ্ত ও সত্যের নিকটবর্তী ?
    আমরাতে৷ বড়বড় উচু উচু উট যবাই করি ৷ তীর্থযাত্রীদেরকে পানি এবং দুধ পান করাই ৷ উত্তর
    বায়ু যা উড়িয়ে নিয়ে আসে আমরা তা খাদ্যরুপে দান করি ৷ উত্তরে কবে বলেছিল মুহাম্মাদ (সা) ও
    তীর সাহাবীদের চেয়ে আপনারইি বরং অধিক হিদায়াত প্রাপ্ত ৷ এই প্রোক্ষতে আল্লাহ্ তাআল৷ তার
    রাসুলের (সা) প্রতি নাযিল করলেন :

    তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল তারা জিবত ও
    তাপুতে বিশ্বাস করে ? তারা কাফিরদের সম্বন্ধে বলেশ্ এদেরই পথ মু’মিনদের অপেক্ষা

    উৎকৃষ্টতর ৷ এরাই তারা যাদেরকে আল্লাহ্ লানত করেছেন ৷ অল্লোহ্ যাকে লানত করেন তুমি
    কখনো তার কোন সাহায্যকারী পাবে না ৷ (৪ নিসা : ৫ ১ ৫২) ৷

    মুসা ও মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, কাব ইবন আশরাফ মদীনায় ফিরে এসে প্রকাশ্যে
    শত্রুতা করতে এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার জন্যে লোকজনকে প্ৰরোচিত
    করতে লাগল ৷ বন্তুতঃ সবাই মিলে যুদ্ধ শুরুর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই সে মক্কা থেকে বেরিয়ে
    এসেছিল ৷ উম্মুল ফযল প্রমুখ মহিলাকে উপলক্ষ করে সে প্রেম নিবেদনমুলক গীত রচনা ও
    আবৃত্তি করতে লাগল ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, আবদৃল্লড়াহ্ ইবন মুগীছ ইবন আবু বুরদা আমাকে জানিয়েছেন যে,
    এমতাবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, কাব ইবন আশরাফকে শায়েস্তা করার জন্যে কে আছো
    ? বানু আবদুল আশহাল গোত্রের মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা উঠে বললেন, ইয়া রড়াসুলাল্লাহ্ (সা) ৷
    তাকে শায়েস্তা করার জ্যন্য আমি আপনার জ্যন্য রয়েছি ৷ আমি তাকে হত্যা করব ৷ তিনি
    বললেন, তবে পারলে তাই কর ৷ মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা (রা) বাড়ী ফিরে গেলেন ৷ তিন দিন
    তিন রাত প্রাগে বীচার মত পরিমাণ ছাড়া কিছুই খেলেন না ৷ এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
    পৌছে গেল ৷ তিনি তাকে ডেকে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলেন ৷ তিনি

    বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি তো আপনাকে একটি কথা দিয়েছিলাম ৷ সেটি পুর্ণ করতে
    পারব কি পারব ন সে চিন্তায় আমার দিন কাটছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন তোমার কাজ হল
    চেষ্টা চ৷ ৷লিয়ে যাওয়া ৷ ইবন মাসলামা বললেন, ইয়া৷ র ৷সুলাল্লাহ্! আম৷ র৫ তা কিছু কথা বলতে হতে
    পারে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স ) বললেন, তোমরা যেমন চাও তেমন কথা বলতে পার ৷ ওই অনুমতি
    তোমাদেরকে দেয়া হল, বন্তুতঃ কাব ইবন আশরাফকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মুহাম্মাদ ইবন
    মাসলামা, সালকান ইবন সালামা ইবন ওয়াক্স (আবুনায়েলা) আব্বাদ ইবন বিশর ও হড়ারিছ ইবন
    আওস ইবন মুআয একত্রিত হলেন ৷ আবু নাইলা ছিলেন আবৃদ আশহাল ণ্গাত্রের লোক এবং
    কাব ইবন আশরাফের দুধ ভাই ৷ আব্বাদ ইবন বিশর এবং হড়ারিছ ইবন আ ওস ছিলেন আবৃদ
    আশহাল গোত্রের লোক ৷ আল্লাহর দৃশমন কাব এর নিকট তারা তার দুধ ভাই আবু নাইলা
    সালকান ইবন স ৷লামাকে প্রেরণ করলেন ৷ তিনি তার নিকট কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললেন এবং
    কবিতা আবৃত্তি করলেন ৷ এক একটি কবিতা আবৃত্তিব পর আবু নাইলা বলতে লাগলো, হে
    আশরাফ পুত্র আমি একটি বিশেষ কাজে তোমার নিকট এসেছি ৷ আমি তা তোমাকে বলব কিন্তু
    তুমি তা অবশ্যই গোপন রাখবে ৷ সে বলল, ত ৷ই হবে ৷ আবু ন ৷ইল৷ বললেন, আমাদের সমাজে
    ওই (রাসুল দা ৷৷বীক রী) লোকটির আগমন এক ভীষণ বিপদ বটে ৷৩ তার কারণেই আরবের লোকেরা
    আজ আমাদের শত্রু ৷ ওরা একযোগে আমাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে৷ তারা আমাদের ব্যবসায়ী
    কাফেলার যাত্রাপথ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ ফলে অভাব-অনটনে আমাদের পরিবার-পব্রিজন মরতে
    বলেছে ৷ আমরা এবং আমাদের পােষ্যপণ ভীষণ কষ্টে আছি ৷ কাব বলল, আমি আশ রাফের পুত্র ৷
    হে সালামার পুত্র! আমি তোমাদেরকে আগেই তা বলেছিলাম ৷ আমি যা বলেছি শেষ পর্যন্ত হুবহু
    তা হয়েই ৷ স৷ লক৷ ন বললেন, এখন আমি চাই ণ্য, তুমি বাকীতে আমাদের নিকট কিছু যা ৷দ্য বিক্রি
    কর আমরা কিছু বস্তু বন্ধক রাখব ৷ আশা করি এ বিষয়ে তুমি মহানুতবত৷ দেখাবে ৷ সে বলল,
    তবে তোমরা তোমাদের পুত্র সন্তানগুলোকে আমার নিকট বন্ধক রাখবে, আবু না ৷ইলা বললেন,
    হার , তুমি কি আমাদেরকে বেইজ্জত করতে চাও ? আমার সাথে আমার কতক সাথী আছেন,
    তারাও আমার মত অভিমত পোষণ করেন ৷ আমি চাই তাদেরকে তোমার নিকট নিয়ে আমি ৷
    তুমি উদারভাবে তাদের নিকট বাকীতে কিছু খাদ্য বিক্রয় করবে ৷ আমরা কিছু অস্ত্রশস্ত্র বন্ধক রাখব
    এবং তোমাকে অঙ্গীকার রক্ষা করতে হবে ৷ সালকান বুঝে নিয়েছিলেন বন্ধক রাখার জন্যে অস্ত্র
    নিয়ে আসা হলে সে ফিরিয়ে দেবে না ৷ সে বলেছিল অস্ত্র শত্রের ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই
    পুরণ করা হবে ৷ বন্তুত সা ৷লকান (রা)৩ ত৷ ৷র স৷ ৷থীদের নিকট ফিরে এসে পুরো ঘটনা তাদেরকে
    জানালেন ৷ এবং অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তার নিকট উপস্থিত হওয়ার কথা বললেন ৷ তারপর তারা
    রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিকট সমবেত হলেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, ছাওর ইবন যায়দ বর্ণনা ৷করেছেন, ইকরামা সুত্রে ইবন আব্বাস (রা)
    থেকে ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদেরকে বিদায় দিতে বাকী আল পারকাদ নামক স্থান
    পর্যন্ত এসেছিলেন ৷ তারপর তাদেরকে লক্ষ্য করে তিনি বলেছিলেন, “আল্লা হ্র নাম নিয়ে এগিয়ে
    যাও ৷ হে আল্লাহ আপনি এদেরকে সাহায্য করুন ৷

    রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায় গৃহে ফিরে এলেন ৷ রা৩ টি ছিল জোাৎস্নাময় ৷ মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা ও

    তার সাথিপণ কা ব এর দুর্গ পর্যম্ভষ্ গিয়ে পৌছলেন ৷ আবু ন ইলা তার নাম ধরে ডাক দিলেন ৷
    কা ব তখন নব বিবাহিত ৷ ডাক শুনে রাত্রিকালীন পোশাকে সে বেরিয়ে আসে ৷ত তার শ্রী জামা
    টেনে ধরে এবং বলে, আপনি একজন যোদ্ধা ব্যক্তি ৷ যােদ্ধাগণ তো এ সময়ে ঘর থেকে বের
    হয়না সে বলল, এ তো আবু নাইলা, আমি ঘুমিয়ে থাকলে সে আমাকে জাপাত না ৷ তার শ্রী
    বলল, আল্লাহ্র কসম, ওই লোকটির কষ্ঠস্বরে আমি অকল্যাণের আভাস পাচ্ছি ৷ কা ব বলল, বীর
    ও সাহসী ব্যক্তিদেরকে যদি খুন করার জন্যেও ডাকা হয় তবুত তার৷ ওই ডাকে সাড়া দেয় ৷ সে নী চে
    নেমে এল ৷ কিছুক্ষণ সে এক আগন্তুকদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলল ৷ এরপর র্তারা
    বললেন, হে আশরাফ পুত্র চলুন না ছুাটতে ছুাটতে আমরা আল আজুয গিবি সঙ্কট পর্যন্ত যাই
    এবষ্ বাকী রাত গল্প করে ক টিয়ে দেই ৷ সে বলল, তে তামর৷ চাইলে তা হবে ৷ সকলে বেরিয়ে
    পড়লেন ৷ তারা কিছুদুর হেটে গেলেন ৷ তারপর আবু না ৷ইলা তার হাত ঢুকিয়ে দিলেন কা বের
    মাথার চুলের মধ্যে ৷ হাত টেনে এনে ঘ্রাণ নিয়ে তিনি বললেন, এ রাতে র ন্যায় অধিক সুঘ্রাণ
    আমি কখনো প ৷ইনি ৷ আরো কিছু পথ এগিয়ে আবু নাইল৷ পুর্নব৷ ৷র ঘ্রাণ নিলেন ৷ আবার কিছুটা
    এগিয়ে গেলেন, এবার তিনি কা বের চুলের বেণী দুটো মযবুতভাবে ধরে নিলেন এবং তার
    সাথীদেরকে বললেন, এবার আল্লাহ্র শত্রুকে দফা-রফ৷ করে দাও ৷ তারা একযোগে একের পর
    এক তরবারির আঘাত হানলেন ৷ কিন্তু তাতে ফল হলো না ৷

    মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা (রা) বলেন, আমার তরবারিতে থাকা একটি বল্লমের কথা আমার
    স্মরণ হল ৷ আমি সেটি খুলে নিলাম ৷ তখন আল্লাহ্র দৃশমন কাব সজোরে চীৎকার দিয়ে উঠে ৷
    তাতে আশপাশের সকল দুর্গের লোকেরা সতর্কতা স্বরুপ আগুন জ্বালিয়ে দেয় ৷ মুহাম্মাদ ইবন
    মাসলামা তার বল্লম তলপেটে চেপে ধরেন ৷ প্রচণ্ড চাপ দেয়ায় সেটি তার ঘুত্র দ্বার দিয়ে বেরিয়ে
    আসে ৷ তাতে তার মৃত্যু হয়, আমাদেরই কারো ছুরিকাঘাতে আমাদের সঙ্গী হারিছ ইবন আসে
    তার পায়ে কিৎব৷ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন ৷

    বর্ণনাকারী বলেন, আমরা পথে বেরিয়ে পড়ি ৷ দ্রুতবেগে পথ অতিক্রম করতে থাকি ৷ বানু
    উমাইয়৷ ইবন যায়দ গোত্রের এলাকা, বানু কুরায়য৷ গোত্রের এলাকা এবং বুআছ অঞ্চল ছেড়ে
    আমরা বিন্তুত পাথুরে ভুমিতে এসে পড়ি ৷ হারিছ ইবন আওসের ক্ষত তন্থান থেকে রক্ত ঝরছিল ৷
    তিনি পেছনে পড়ে গেলেন ৷ আমরা তার জন্যে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম ৷ আমাদের পদচিহ্ন
    দেখে দেখে তিনি আমাদের সাথে মিলিত হলেন ৷ আমরা তাকে কাধে ত্যুঃশ্৷ নিলাম ৷ রাতের শেষ
    ভাগে আমরা রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট এসে উপস্থিত হলাম ৷ তিনি তখন নামায আদায়
    করছিলেন ৷ আমরা তাকে সালাম দিলাম ৷ তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন ৷ আমরা তাকে
    আল্লাহ্র দৃশমন কাবের খুন হওয়ার সংবাদ জানালাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের সাথী হারিছ এর
    ক্ষতন্থানে লালা লাগিয়ে দিলেন ৷ আমরা নিজ নিজ পরিবারে ফিরে গেলাম ৷ যথা নিয়মে ভোর
    হল ৷ আল্লাহর দৃশমন কাবের হত্যাকাণ্ডের সংবাদে ইয়াহুদিগণ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল ৷ প্রত্যেক
    ইয়াহুদী তার নিজের জীবন বিপন্ন মনে করল ৷ ইবন জারীর বলেন, ওয়াকিদীর ধারণা মাসলামা ও
    তার সাথীগণ কাব ইবন আশরাফের কর্তিত মাথা রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিকট এনে হাযির
    করেছিলেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, এ প্রসংগে করি কাব ইবন মালিক কবিতায় বলেন :

    এরপর তাদের মধ্য থেকে কাব নিহত হল ৷ তার নিহত হওয়ার পর বানু নাযীর গোত্র লাঞ্ছিত
    ও অপমানিত হল ৷

    দৃ’হাতের আঘাতে সে নিহত হয়েছে ৷ আমাদের সাহসী ও প্রসিদ্ধ হাতগুলো তাকে ধ্বংস
    করে দিয়েছে ৷

    তাকে হত্যা করা হয়েছে মুহাম্মাদ (সা) এর নির্দেশে ৷ তিনি রাতের বেলা কাবের প্রতি
    প্রেরণ করেছিলেন তার ভাইকে ৷ তিনি (আবুনাইলা) রাতেই রওয়ানা করেছিলেন ৷

    নিজের ভাই হওয়াতে কা ব তাকে বিরুপ ভাবেনি ৷ কৌশলে তিনি তাকে নীচে নামিয়ে
    আনেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা ছিলেন প্রশং স ৷,যােগ্য আস্থাভাজন ও সাহসী ব্যক্তিত্ব ৷

    ইবন হিশাম বলেন, কা ব ইবন মালিকের এই পৎক্তিগুলো ৷ বাণী নাযীর এর যুদ্ধকালে
    আবৃত্তিকৃত কাসীদার অন্তর্ভুক্ত যা পরে উল্লেখ করা হবে ৷

    আমি বলি, কাব ইবন আশরাফের হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল আওস গোত্রীয় লোকদের হাতে ৷
    এবং তা হয়েছিল বদরের যুদ্ধের পর ৷ এরপর উহুদ যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে খায়রাজ গোত্রের
    লোকেরা আবু রাফি ইবন আবুল হুকায়ককে হত্যা করেছিলেন ৷ ইনশা আল্লাহ্ অচিরেই তার

    বর্ণন৷ আসবে ৷ এ প্রসৎগে ইবন ইসহাক হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা)-এর নিম্নোক্ত কবিতা উল্লেখ
    করেছেন :

    সকল প্রশং সা আল্লাহ্র ৷ হে ইবন হুকায়ক এবং হে ইবন আশরাফ, তোমরা তো মুখোমুখি
    হয়েছ একদল সাহসী মানুষের ৷

    ভীক্ষ্ণধার হাল্কা৩ তরবারি নিয়ে রাত্রিরেল৷ তারা তোমাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন ৷ তারা
    ছুটেছিলেন বীর দর্পে যেন বিন্তুত বনভুমিতে পশুরাজ সিংহা
    তারা এসেছিলেন৫ তামাদের মহল্লায় ৷ তারপর র্তীক্ষ্ণধার হালকা তরবারিরন্নে সাহায্যে
    তােমাদেরকে মৃত্যুর মদিরা পান করিয়েছেন ৷

    তারা তা করেছেন জেনে শুনে ৷ তাদের নবীর দীনকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে ৷ আর সকল
    অন্যায় কর্মকে লাঞ্ছিত ৩ও অপমানিত করা র উদ্দেশ্যে ৷

    মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, যে কো ন ইয়াহুদীকে তোমরা বাগে পেলে তাকে হত্যা করবে ৷ এ ঘোষণা শুনে মাহীসা
    ইবন মাসউদ ইবন সানীনা এর উপর আক্রমণ করলেন ৷ সে ছিল অন্যত ম ইয়াহদী ব্যবসায়ী ৷ সে
    মুসলমানদের মধ্যে আসা যাওয়া করত এবং তাদের সাথে বেচড়াকেনা করত ৷ মাহীসা তাকে হত্যা
    করলেন ৷ মাহীসার বড় ভাই হুয়াইসা তখনো অমুসলিম ৷ ইবন সানীনাকে খুন করার অপরাধে সে
    মাহীসাকে খুব প্ৰহার করল ৷ সে বলছিল, হে আল্লাহ্র দৃশমন, তুই ওকে খুন করলি, অথচ তোর
    পেটের অধিকা ৷ৎশ চর্বি জমেছে৩ তার ধন সম্পদ খেয়ে ৷ মাহীসা বলেন তখন আমি বললাম, ওকে
    হত্যা করার জন্যে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন এমন এক মহান সত্তা যিনি তোমাকে খুন করার
    নির্দেশ দিলে আমি নির্দিধায় ণ্তামাকেও খুন করতাম ৷ এই ছিল হুয়াইসার ইসলাম গ্রহণের
    প্রাথমিক অবস্থা ৷ তিনি বলেছিলেন, হায়, মুহাম্মাদ (না) যদি তোমাকে নির্দেশ দেন আমাকে হত্যা
    করার জন্যে তবে তুমি আমাকে হত্যা করবে ? মাহীসা বললেন, হী , তা বটে ; তিনি আমাকে যদি
    নির্দেশ দেন তোমাকে খুন করতে তবে আমি তােমাকেও খুন করব ৷ এবার হুয়াইসা বলল,
    তোমার নিকট যে দীন এসেছে তা তো অত্যন্ত আশ্চর্যজনক দেখছি ৷ এরপর হুয়াইসা ইসলাম
    গ্রহণ করেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, বানুহারিছা গোত্রের আযাদকৃত এক ক্রী৩ দাস মাহীসা ৷র কন্যার বরাছুত
    আমার নিকট এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছে ৷ এ প্রসং ×গে মাহীসা নিম্নের কবিতা ৷আবৃত্তি করেন :

    আমার সহােদর ভাই আমাকে পাল-মন্দ করে ৷ অথচ আমি যদি তাকে হত্যা করার জন্যে
    আদিষ্ট হত তাম তবে৩ তীক্ষ্ণধার তরবারির আঘাতে তার ঘাড়ের রগ দুটো তার কানের পেছনের
    হাড়ের সাথে একাকার করে দিতাম ৷

    সেটি প্রচণ্ড কর্তন শক্তিসষ্পন্ন এবং৩ তা ×লবণের মত ৷ আমি তাকে শানিত করে রাখি ৷
    যখন আমি তা দ্বারা লক্ষ্য বন্তুতে ৩আঘাত করির তখন তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না ৷

    আপোসে ও স্বা ৷ভাবিক অবস্থায় ৫ত তামাকে আমি খুন করব তা আমার পসন্দ নয় ৷ বন্তুতঃ
    আমার ও তোমার মাঝে রয়েছে বুসরা ও মাআরিবের মধ্যকার ব্যবধান ৷

    আবু উবায়দা সুত্রে আবু আমর মাদানী থেকে ইবন হিশাম বর্ণনা করেছেন যে, এই ঘটনা

    ৎঘটিত হয়েছিল বানুকুরায়যা যুদ্ধের পর, এ সময়ে নিহত ব্যক্তির নাম ছিল কাব ইবন ইয়াহ্য়৷ ৷

    রাসুলুল্লাহ (সা) এর নির্দেশে ৷বানু কুরায়যা যুদ্ধের দিনে মাহীসা (রা) তাকে হত্যা করেছিলেন ৷
    তখন তার ভাই হুয়াইসা তাকে গালমন্দ করেছিল এবং মাহীসা (বা) প্রভু ৷ত্তরে উপরোক্ত কথা
    বলেছিলেন ৷ ওই দিনই হুয়ইিসা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই৷ ভ ল জ নেন ৷

    জ্ঞাতব্যং বায়হাকী ও ইমাম বুখারী (র) কা ব ইবন আশরাফ হত্যা র ঘটনার পুর্বে বানুনাযীর
    গোত্রের যুদ্ধের বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷ এরৎত তা তারা বর্ণনা করোছন উহুদ যুদ্ধের বিবরণের
    পুর্বে ৷ তবে বানুনাযীর যুদ্ধের বিবরণ উহুদ যুদ্ধের বিবরণের পর উল্লেখ করাই সঠিক ও সমীচীন ৷
    ইবন ইসহাক প্রমুখ ইতিহাসবিদগণ তাই করেছেন ৷ এর প্রমাণ এই যে বড়ানু নাযীর গোত্রকে
    অবরোধ করে রাখার সময়ে মদ হারাম হওয়ার বিধান নাযিল হয় ৷ অন্যদিকে সহীহ্ হাদীস দ্বারা

    সাব্যস্ত যে, কতক মুজাহিদ মদ পান করা অবস্থায় উহুদের যুদ্ধে শহীদ হভৈয়ছেন ৷ তাতে বুঝা যায়

    উহুদ যুদ্ধের সময় মদ পান হালাল ছিল ৷ সেটি হারাম হয়েছে পরে ৷ অতএব, সাব্যস্ত হল যে, বড়ানু
    নাযীর গোত্রের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে উহুদ যুদ্ধের পর ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
    আরেকটি জ্ঞাতব্যং

    বড়ানু কড়ায়নুকা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বদর যুদ্ধের পর ৷ উপরে তা আলোচিত হয়েছে ৷ কাব
    ইবন আশরাফ ইয়াহ্রদী আওস গোত্রের হাতে হত হয়েছিল বদর যুদ্ধের পর ৷ বড়ানু নাযীর গোত্রের
    যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল উহুদ যুদ্ধের পর ৷ এই বিবরণ অচিরেই আসছে ৷ ইয়াহুদী ব্যবসায়ী আবু
    রাফি এর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল খাযরাজ গোত্রের হাতে উহুদ যুদ্ধের পর ৷ ইয়াহ্রদী গোত্র

    বড়ানু কুরায়যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল আহযাব তথা খন্দকের যুদ্ধের পর ৷ পরে সেই
    বিবরণ আসবে ৷

    তৃতীয় হিজরীর শাওয়াল সালে সংঘটিত উহুদ যুদ্ধ

    উহুদ নামকরণ প্রসৎগে প্রন্থকার বলেছেন যে, অন্যান্য পাহাড় থেকে এটি পৃথক ও একাকী
    অবস্থিত বলে এটি উহুদ নামে পরিচিত ৷ সহীহ হাদীস গ্রন্থে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন,
    উহুদ এমন এক পাহাড় যেটি আমাদেরকে ভালবাসে এবং আমরাও
    সেটিকে ভালবাসি ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, এর অর্থ হল আমরা উহুদ পাহাড়ের আশ-পাশের
    অধিবাসীদেরকে ভালবাসি আর তারা আমাদেরকে ভালবাসে ৷ আবার কেউ বলেছেন, এর ব্যাখ্যা
    হল, সফর থেকে ফেরার পথে উহুদ পাহাড় দৃষ্টিগােচর হলে বুঝা যায় যে, বাড়ীর কাছে এসে

    পৌছেছে ৷ উহুদ পাহাড় যেন মুসলিম মুসাফিরদেরকে তাদের বাড়ী-ঘরের নিকটবর্তী পৌছার
    সুসং বাদ দেয় যেমন প্রিয়জন তার প্রিয়জনকে সুসৎবাদ প্রদান করে ৷ কেউ কেউ বলেন যে, হাদীস
    তার প্রকৃত ও প্রকাশ্য মর্মই প্রকাশ করছে ৷ (অর্থাৎ প্রকৃতই উহুদ পর্বত মু ’মিনদেরকে ভালবাসে
    তার নিজস্ব চেতনা ও অনুভুতি দিয়ে ৷) যেমন আল্লাহ্ তা আলার বা ৷ণী,
    ৷ মোঃ এরৎ কতক পাথর এমন যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে পড়ে ৷ (২-বাক বা ং ৭৪) ৷ হাদীছে
    আছে, আবু

    উহুদ পাহাড় আমাদেরকে ভালরাসে ৷ আমরাও

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ কা’ব ইবন আশরাফের হত্যার ঘটনা Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.