এবং সুরাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিলাওয়াতে ক্ষাম্ভ দিতাম না ৷ তাতে আমার মৃত্যু হলেও কোন
পরােয়া ছিলনা ৷ ইবন ইসহাক তার মাগড়াযী গ্রন্থে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আবু দাউদ এই
হাদীছ আবু তাওবা ইবন ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ ওয়াকিদী আবদুল্লাহ উমারী
— খাওয়াত সুত্রে সালাতুল খাওফের দীর্ঘ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ উক্ত হাদীছে বর্ণনাকারী
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই অভিযানে শত্রুপক্ষের বহু মহিলাকে বন্দী করেন ৷ বন্দী
মহিলাদের মধ্যে জনৈকা সুন্দরী দাসী ছিল ৷ তার স্বামী তাকে খুব ভালবড়াসত ৷ ত্রীর বন্দীর সংবাদ
শুনে সে শপথ করে বলেছিল সে মুহাম্মাদ (সা)-কে খুজে বের করবে এবং ওদের কারো না
কারো রক্ত প্রবাহিত না করে অথবা নিজের ত্রীকে উদ্ধার না করে :স ঘরে ফিররে না ৷ এর পরের
বর্ণনা মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের বর্ণনার অনুরুপ ৷
ওয়াকিদী বলেন, হযরত জাবির (বা) বলতেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে ছিলাম ৷
জনৈক সাহাবী একটি পাখীর ছানা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলো শু রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেদিকে
তাকিয়েছিলেন ৷ অল্পক্ষণের মধ্যে ছানাটির বড়াবা-মা অথবা তাদের কোন একটি সেখানে উড়ে
এসে সংশ্লিষ্ট সাহাবীর হাতে এসে বসে পড়ে ৷ এ ঘটনায় উপস্থিত সাহাবীগণ বিস্মিত হয়ে পড়েন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, পাখীটিব অবস্থা দেখে তোমরা অবাক হচ্ছ ? তোমরা তার ছানাটি নিয়ে
এসেছ আর সন্তান বাৎসল্যের কারণে পাথীটি নিজের জীবন তুচ্ছ জ্ঞান করে তোমাদের সম্মুখে
লুটিয়ে পড়েছেন ৷ জেনে নাও, আল্লাহ্র কসম করে বলছি এই ছানাটির প্রতি পাখীটিব মমতা
যতটুকু তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রভু ও মালিক আল্লাহ তাআলার দয়া তার চাইতে বহুগুণ
বেশী ৷
হযরত জাবির (বা) এর উটের ঘটনা
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, ওয়াহ্ব ইবন কায়সান আমার নিকট বর্ণনা করেছেন জাবির
ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথে যাতুর রিকা অভিযানে বের
হই ৷ আমি বের হয়েছিলাম আমার একটি দুর্বল উটের পিঠে চড়ে ৷ অভিযান শেষে ফেরার পথে
আমার সাথী-সঙ্গীরা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিল ৷ আর আমি দুর্বল উটের কারণে বার বার পিছিয়ে
পড়ছিলড়াম ৷ এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) পেছনে থেকে অগ্রসর হয়ে আমার নিকট পৌছে গেলেন ৷
তিনি আমাকে বললেন, জাবির ! ব্যাপার কী ? আমি বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমার এই
উট আমাকে পেছনে ফেলে রেখেছে ৷ তিনি বললেন, উটটিকে বসাও ৷ জাবির (বা) বলেন, আমি
আমার উটটিকে বসালাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার বাহন থামালেন ৷ তিনি আমাকে বললেন,
তোমার হাতের ছড়িটি আমাকে দাও অথবা একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে এনে আমাকে দাও ৷ আমি
তাই করলাম ৷ তিনি সেটি দ্বারা উটকে কয়েকটি খোচা মারলেন ৷ তারপর আমাকে বললেন,
এবার তুমি উটের পিঠে উঠে বস ৷ আমি উটের পিঠে উঠলাম ৷ উটটি চলতে শুরু করল ৷ যে
মহান সত্তা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন তার কসম করে বলছি, রাসুলুল্পাহ্
(সা) এর উটের সাথে সাথে তখনই আমার উটটিও চলতে থাকে ৷ আমি চলতে চলতে
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে আলাপ করছিলাম ৷ তিনি বললেন, হে জাবির ! তুমি কি এই উট আমার
কাছে বিক্রি করবে ? আমি বললাম , ত্মী না বিক্রি করব না; বরং সেটি আপনাকে উপচৌকন স্বরুপ
দিয়ে দেব ৷ তিনি বললেন, না দান নয়; বরং সেটি আমার নিকট বেচে দাও ন্ন্ এবার আমি বললাম ,
তবে মুল্য নির্ধারণ করুন ৷ তিনি বললেন, ঠিক আছে এক দিরহামের বিনিময়ে আমি উটটি গ্রহণ
করলাম ৷ আমি বললাম, না ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! তাহলে আমি ঠকে যাব ৷ তিনি বললেন, তবে
দু দিরহামে ? আমি বললাম , না তাও নয় ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) অ্যাবরত দাম বৃদ্ধি করতে
লাগলেন ৷ শেষ পর্যন্ত বললেন, এক উকিয়ার তথা (চল্লিশ দিরহামের) বিনিময়ে ৷ আমি বললাম,
তাতে কি আপনি খুশী ? তিনি বললেন, হী আমি খুশী ৷ আমি বললাম, তবে এই উটের মালিক
হলেন আপনি ৷ তিনি বললেন, হী আমি তা গ্রহণ করলাম ৷ এরপর তিনি বললেন হে, জাবির ! তুমি
কি ব্যিয় করেছ স্ আমি বললাম, জী হী ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷ তিনি ৷ৰুৰুট্রুজ্জ্বজ্ঞেস করলেন কুমারী
নিয়ে না কি বিবাহিতা ? আমি বললড়াম , বিবাহিতা ৷ তিনি বললেন কুমারী বিয়ে করলে না কেন ?
তাহলে তুমি ওর সাথে আনন্দ করতে সে তোমাকে নিয়ে আনন্দ করত ৷ আমি বললাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) আমার আব্বজােন উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷ তিনি ৭টি কন্যা সন্তান রেখে
গিয়েছেন ৷ তাই আমি একজন বয়স্কা মহিলা বিয়ে করেছি যাতে যে ওদেরকে দেখা শোনা ও
তত্ত্বাব ধান করতে পারে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এটি তুমি ইনশাআল্লাহ্ ঠিক কাজটি করেছ ৷
আমরা যখন সিরার নামক স্থানে পৌছব তখন আমি উট যবাই করার নির্দেশ দেব ৷ সেখানে উট
যবাই হবে এবং একদিন সেখানে আমরা থাকবাে ৷ ওই দিন আমরা ওখানে থাকর ৷ তোমার শ্রী
আমাদের আগমন সংবাদ শুনলে তার গদিগুলো ঝেড়ে নেবে, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ
(সা) ! আমাদের তো কোন গদি নেই ৷ তিনি বলেন, এখন না থাকলেও তখন থাকবে ৷ আর তুমি
যখন শ্ৰীর নিকট যাবে তখন বুদ্ধিমত্তার সাথে বিবেচনা সম্মত কাজ করবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সহ
আমরা “সিরার” নামক স্থানে এলাম , তিনি উট যবাই করার নির্দেশ দিলেন ৷ উট যবাহ করা হল ৷
আমরা সেদিন ওখানে থাকলাম ৷ সন্ধাবেল৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও আমরা সকলে মদীনায় প্রবেশ
করলাম ৷ বাড়ী গিয়ে আমার ত্রীকে আমি সব খুলে বলি, যে বলল, ঠিক আছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নির্দেশ শিরাে ধার্য ৷ সকাল বেলা আমি উটটি নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করি ৷ তীর
দরজায় গিয়ে আমি উটটিকে বসিয়ে দিই ৷ তারপর নিজে মসজিদে গিয়ে র্তার কাছেই বসি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুজরা থেকে বের হয়ে উটটি দেখতে পান ৷ তিনি বললেন, এটি কার উট ?
ব্যাপার কী ? লোকজন বলল, এটি জাবিরের উট ৷ তিনি নিয়ে এসেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
জাবির কোথায় ? আমাকে ডাকা হল ৷ তারপর তিনি আমাকে বললেন, ভাতিজা ! তু তোমার
উটটি ধর এবং নিয়ে যাও ৷ এটি ভোমারই থাকবে ৷ এরপর তিনি হযরত বিলাল (রা)শ্কে ডেকে
বললেন , যাও , জাবিরকে এক উকিয়া (৪ : দিরহাম) দিয়ে দাও ৷ হযরত জাবির (রা) বলেন, আমি
বিলালের সাথে গেলাম ৷ তিনি আমাকে এক উকিয়া দিলেন বরং ধি১দ্বু৮৷ বেশী দিলেন ৷ আল্লাহর
কসম ! সেটি আমার নিকট ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছিল ৷ আমার পরিবারের মধ্যে মুদ্রাটির একটি
আলাদা মর্যাদা ছিল ৷ অবশেষে হাররা দিবসের বিশৃৎখলায় সেটি হারিয়ে যায় ৷ ইমাম বুখারী (র)
এই হড়াদীছ উবায়দুল্লাহ ইবন উমার আমবী জাবির (রা ) সুত্রে অনুরুপ উদ্ধৃত করেছেন ৷
সুহায়লী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত জাবির (রা)-কে তার পিতা সম্পর্কে যে সুসংবাদ
দিয়েছিলেন এই হাদীছে সেদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন যে , আল্লাহ
তা আল৷ জ বির (রা) এর পিতা আবদুল্লাহ্কে শহীদ হওয়ার পর জীবিত করেছিলেন এবং
বলেছিলেন, তুমি তোমার আকাৎখ৷ ব্যক্ত কর ৷ এ জন্যে যে,৩ তিনি ছিলেন শহীদ ৷ শহীদদের
সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআল৷ বলেছেন :
আল্লাহ তা অ লা মু মিনদের নিকট হতে৩ তা দের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন তাদের
জন্যে এর বিনিময়ে রয়েছে জান্নড়াত ৷ তারা আল্লাহ্র পথে সংগ্রাম করে , নিধন করে এবং নিহত
হয় ৷ তাওরাত ইনজীল ও কুরআনে এ সম্পর্কে তাদের দৃঢ় প্ৰ শ্©শ্রুর্ভি রয়েছে ৷ নিজ প্রতিজ্ঞা
পালনে আল্লাহ্ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কে রয়েছে ? তোমরা যে সওদা করেছ সেই সওদার জন্যে
আনন্দ কর এবং সেঢিই মহা সাফল্য ৷ (৯-সুরা তাওবা : ১ ১ ১ ) অন্য এক বাণীতে আল্লাহ
তাআল৷ তাদের জন্যে আরো অধিক পুরস্কারের কথা বলেছেন ৷ তার বলেছেন ং
যারা ভাল কাজ করে তাদের জন্যে আছে কল্যাণ এবং আরো অধিক ৷ ( ১ : ইউনুসং : ২৬) ৷
এরপর তিনি তাদেরকে মাল ও মুল্য অর্থাৎ উভয় বিনিময় প্রদান করেছেন ৷ তিনি তাদের থেকে
ক্রয় করা রুহগুলো তা ৷দের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন ৷ আল্লাহ তা আলা বলেনং :
যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত মনে করে৷ না ৷ তা ৷র৷ বরং জীবিত ৷ তাদের
প্ৰতিপ৷ ৷লকের নিকট জীবিকাপ্রাপ্ত ৷ (৩ আলে ইমরান৪ ১৬৯) ৷
মানুষের জন্যে রুহ হল বাহনের ন্যায় ৷ উমর ইবন আবদুল আষীয তাই বলেছেন ৷ সুহায়লী
বলেন , এ জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাবির (রা) থেকে উটটি ক্রয় করেছিলেন সেটি ছিল তার বাহন ৷
এরপর উট ও দিলেন, মুল্যও দিলেন এবং কিছুটা অতিরিক্তও দিলেন, এ ঘটনার মধ্যে তার পিতা
সম্পর্কে দেয়৷ সুসৎবাদের বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেল ৷ সুহায়লী এখানে যে মন্তব্য করেছেন তা
অবশ্য খুবই সুক্ষ্ম ইঙ্গিত এবং অভুতপুর্ব চিন্তাধারা ৷ আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন ৷
বায়হাকী (র) তার দালাইল গ্রন্থে এই যুদ্ধের অধ্যায়ে উপরোক্ত হাদীছ দ্বারা শিরোনাম তৈরী
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধে জাবির (রা)-এর উটকে কেন্দ্র করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
প্রকাশিত বরকত ও নিদর্শনসমুহ বিষয়ক পরিচ্ছেদ ৷ হযরত জা ৷বির (রা ) থেকে এই হাদীছ বিভিন্ন
সনদে এবং বিভিন্ন পাঠে বর্ণিত হয়েছে ৷ উটের মুল্য এবং নির্ধারিত শর্ত বিষয়ে হাদীছটিতে বিভিন্ন
প্রকারের মতভেদ রয়েছে ৷ অবশ্য এগুলো নিয়ে বিস্তারিত ও পরিপুর্ণ লেখার স্থান হল বিধি-বিধান
অ ধ্যাযেব ক্রয়-বিক্রয় পর্ব ৷ আ ৷ল্লাহ্ইত৷ ৷ল জানেন ৷ কোন বর্ণনায় আছে যে এ ঘটনা এই যুদ্ধে
ঘটেছে আবার কো ন বর্ণনায় আছে যে, অন্য যুদ্ধে ঘটেছে ৷ একই ঘটনা বার বার ঘটেছে তার
সম্ভাবনা একা ৷ম্ভই ক্ষীণ ৷ আল্লাহ্ইত৷ ৷ল জা নেন ৷
দ্বিতীয় বদর যুদ্ধ
এটি ছিল সেই প্রতিশ্রুতি যুদ্ধ উহুদ থেকে ফেরার পথে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাতুর রিকা অভিযান শেষে মদীনায় ফিরে এলেন ৷ জুমাদাল উলা
মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো, জুমাদাল উখরা মাস এবং রজব মাস তিনি মদীনায় অবস্থান করেন ৷
আবু সুফিয়ানের ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধ মুকাবিলার জন্যে তিনি বদরের উদ্দেশ্যে যাত্রা
করেন শাবান মাসে ৷
ইবন হিশাম বলেন, এ অভিযানকালে মদীনায় দায়িত্বভার দেয়৷ হ্ন্থয়ছিল আবদুল্লাহ্ (রা) ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুলকে ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ৷ সা) বদর প্রান্তরে এসে
শিবির স্থাপন করেন এবং আবু সুফিয়ানের আগমন অপেক্ষায় ৮ দিন ৷ন্ন্খানে অবস্থান করেন ৷
মক্কাবাসীদেরকে নিয়ে আবু সুফিয়ান যুদ্ধের জন্যে বের হয় ৷ যাহরানের এক পাশে মাজিন্ন৷ নামক
স্থানে এসে তারা শিবির স্থাপন করে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তারা উছফান পর্যন্ত এসেছিল ৷
তারপর সে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে সে বলল, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ৷
স্বচ্ছলতার বছর ছাড়া যুদ্ধ করা সমীচীন হবে না ৷ বরং যে বছর তৃপ্তি সহকারে পশুপালকে
ঘাসপাত৷ খাওয়াতে পারবে এবং তোমরা ইচ্ছামত দুধ পান করতে পারবে সে বছরই যুদ্ধ করা
ভাল হবে ৷ এই বছরটি বড় দৃর্ভিক্ষের ৷ আমি এখন ফিরে যাচ্ছি তোমরাও ফিরে যাও ৷ ফলে
কুরায়শরা ফিরে গেল ৷ ফিরে যাওয়া সেনাদলকে মক্কাবাসিগণউপহাস করে “ছাতৃবাহিনী” নামে
ডাকত ৷ আর বলত যে, তোমরা তো ছাতৃ খেয়ে খেয়ে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলে ৷
এক পর্যায়ে মাখশা ইবন আমর দিমারী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হয় ৷ ওয়াদ্দান
যুদ্ধের সময় সে বানু দিমারা গোত্রের পক্ষে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন
করেছিল ৷ সে বলল, হে মুহাম্মাদ! কুরায়শদের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে কি আপনি এখানে
এসেছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ওহে বাবু দিম৷ ৷রা গোত্রের লোক আমরা যুদ্ধ করতে এসেছি ৷
তোমাকে এও জা ৷নিয়ে দিচ্ছি যে, তোমাদের সাথে আমাদের যে চুক্তি ছিল ইচ্ছা ৷করলে তোমরা
তা প্রত্যাহার করে নিতে পার ৷ আর তখন আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব যতক্ষণ না
আল্লাহ্ আমাদের ও তোমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেন ৷ সে বলল, না হে মুহাম্মাদ আল্লাহ্র
কসম! ওই চুক্তি প্রত্যাহারের আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায়
ফিরে আসেন ৷ ফিরতি পথে কোন ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার সম্মুখীন হননি ৷
ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমানগণ আবু সুফিয়ানের অপেক্ষায় থাকা ৷এবং সৈন্যবাহিনী সহ
আবু সুফিয়ানের ফিরে যাওয়া র ঘটনা সম্পর্কে আবদৃল্লা হ্ ইবন রাওয়াহা (রা) নিম্নের কবিতা আবৃত্তি
করেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, আবু যা য়দ আমাকে জানিয়েছেন যে , নিম্নের কবিতাটি আসলে কা ব
ইবন মালিকের ৷ করি বলেন :
আমরা আবু সুফিয়ানকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম বদর প্রান্তরে উপস্থিত হবার ৷ কিন্তু আমরা
তার প্রতিশ্রুতির সত্যতা পাইনি ৷ সে প্রতিশ্রুতি পালনকারী ছিল না ৷