বিনতে হুয়াইকে গ্রহণ করলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে এসে আরয
করলেন ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি বনুনাযীর ও বনুকুরায়যার সর্দার হুয়াই এর কন্যা সাফিয়্যাকে
দিহ্ইয়া কালবীর হাতে তুলে দিয়েছেন ৷ তিনি শুধু আপনারই যোগ্য ৷ হুয়ুর (সা) বলেন, দিহ্ইয়া
কালবীকে সাফিয়্যাসহ ডেকে নিয়ে এসো ৷ নবী করীম (সা) যখন তার দিকে নযর করলেন তখন
দিহ্ইয়া কালবী (রা)-কে বললেন, তুমি অন্য একটি বন্দিনীকে নিয়ে নাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাফিয়্যা (রা)-কে আযাদ করে দিলেন ও তাকে বিবাহ করলেন ৷ ইবন উলাইয়া (বা) হতেও
অনুরুপ বর্ণিত রয়েছে ৷
আবু দাউদ (র) মুহাম্মাদ ইবন খাল্লাদ বাহিলী আনড়াস (রা) সুত্রে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেন, দিহ্ইয়া কালবী (রা) এর অং শ একটি সুশ্ৰী দাসী পড়েছিল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
সাতটি বন্দীর বিনিময়ে খরিদ করে নেন ৷ এরপর তাকে তিনি সত্ত্বজগােজের জন্য উম্মু সালামা
(রা)-এর কাছে সমর্পণ করেন ৷ রাবী হস্ফোদ (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা সাফিয়্যাকে উম্মু সালামা
(রা)-এর কাছে সমর্পণ করে দিলেন যাতে সেখানে তার ইদ্দতকাল অতিবাহিত হয় ৷ এটি আবু
দাউদের একক বর্ণনা ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বনু আবুল হুকাইকের নিকট থেকে কামুস
নামক দৃর্গটি জয় করলেন তখন সাফিয়্যা (রা) বিনত হুয়াই ও তার সাথে অন্য একজন বন্দিনীকেও
রাসুল (না)-এর সামনে আনয়ন করা হল ৷ বিলাল (রা) উক্ত ইে জন মহিলাকে নিয়ে তাদের
নিহত আত্মীয়-াজনদের পাশ দিয়ে যড়াচ্ছিলেন ৷ সাফিয়্যা (বা) এর সাথী মহিলাঢি নিহত
ব্যক্তিদেরকে দেখে উচ্চারে র্কাদতে লাগল, মহিলাটি নিজেদের মুখে আঘাত করতে লাগল এবং
মাথায় ধুলি নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন, এই উচ্ছুৎখল নারীটিকে
এখান থেকে নিয়ে যাও ৷ কিন্তু সাফিয়্যা (রা)-কে দেখে হুয়ুর (সা) তার জন্যে হুয়ুরের পিছনে
বসার জায়গা করে দেন এবং তার জন্যে পর্দড়ার ব্যবস্থা করে দেন ৷ মুসলমড়ানপণ বুঝতে পারলেন
যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে নিজের জন্যে পসন্দ করেছেন ৷ সাফিয়্যার সঙ্গী ইয়াহুদী মহিলাটির কাণ্ড
দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলাল (রা)-কে লক্ষ্য করে বললেন, হে বিলাল তোমার নিকট হতে কি
রহমত ও মমতড়াবােধ লোপ পেয়ে গেছে যে, তুমি এ দুটি মহিলাকে তাদের সঙ্গীদের শবদেহ
দেখিয়ে রেড়াচ্ছ ? আর হযরত সাফিয়্যা (রা) যখন কিনানা ইবন রাবী ইবন আবুল হুকাইক এর
নব পরিণীতা ছিলেন তখন তিনিাপ্ন দেখেন যে, আকাশের চীদ যেন তার কোলে পতিত হচ্ছে ৷
তিনি তখন তারামীর কাছে এাপ্নটি ব্যক্ত করেন ৷ামী বলল, এটি তো, তোমার হিজড়ায়ের
শাসক মুহাম্মাদকে পাওয়ার আকাক্ষে৷ বৈ কিছু না ? এরপর সে তার চেহারায় আঘাত করে ফলে
তার চোখ নীলবর্ণ হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে যখন তাকে পেশ করা হল তখন তার
চেহারায় আঘাতের চিহ্ন ছিল ৷ তিনি এ সম্বন্ধে তাকে জিজ্ঞেস করেন ৷ হযরত সাফিয়্যা (রা)
তখন তাকে বিস্তারিত জানালেন ৷
ইবন ইসহাক আরো বলেন, “কিনানা ইবন রাবীর নিকট বনুনযীরের বিপুল পরিমাণ সম্পদ
গচ্ছিত ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে তাকে পেশ করা হলে, সেই সম্পদ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্
(না) তাকে জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু সে সম্পদের কথা আীকার করল এবং এ সম্বন্ধে কোন কিছু
জানে না বলে ব্যক্ত করল ৷ এমন সময় এক ইয়াহুদী রাসুলের কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, যে
কিনানাকে প্রতিদিন সকালে একটি ধ্বংসাবশেষের আশে পাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) কিনানাকে বলেন, দেখ, তুমি বার বার অস্বীকার করছ, যদি প্রমাণিত হয় এবং তোমার কাছে
সম্পদ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তোমাকে এ অপরাধের জন্যে মৃত্যুদণ্ড দেব ৷ সে বলল, ঠিক
আছে ৷ “রাসুলুল্লাহ্ (সা) ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানটি খননের নির্দেশ দিলেন ৷ কিছু সম্পদ তাতে বের হয়ে
আসল ৷ এরপরও রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে অবশিষ্ট সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু সে
সম্পদ সমর্পণ করতে ৩অস্বীকৃতি জা ৷ল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুবায়র ইবনৃল আওয়াম (রা) কে তাকে
শাস্তি দেবার নির্দেশ দিলেন ৷ যুবায়র (রা) চকমকি দিয়ে তার বুকে ঘষতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) মুহাম্মাদ ইবন মাসলাম৷ (রা) এর কাছে তাকে সমর্পণ কারন ৷ যাতে তিনি তার ভাই মাহমুদ
ইবন মাসলামার হত্যার বদলে তাকে হত্যা করেন ৷
অধ্যায় : ইবন ইসহাক বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারবাসীদেবকে তাদের আল-ওয়াভীহ
এবং আস সুলালিম দুর্গদ্বয়ে অবরোধ করে রাখেন ৷ যখন তারা পরাজয় সম্পর্কে সুনিশ্চিত হল
তখন তারা আত্মসমর্পণ করল ও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইল ৷ রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা)৩ তা
মঞ্জুর করেন ৷ উপরোক্ত দুইটি দুর্গ ব্যতীত রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আশফাক্ক, আন-নাতাত ও
আল-কাভীরাসহ৩ তাদের সকল দুর্গের যাবতীয় সম্পদ অধিকার করে নেন ৷ যখন ফাদাকের
বাসিন্দা ৷র৷ খায়রারবাসীদের কৃতকর্ম ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গৃহীত সুব্যবস্থ র কথা শুনতে পেল,
তখন তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট দুত প্রেরণ করে নিজেরা আত্মসমর্পণ করল, প্রাণ ভিক্ষা
চাইল ও তাদের যাবতীয় সম্পদ তার হাতে অর্পণ করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তা ৷মঞ্জুর করলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) ও খায়ব৷ রবাসীদের মধ্যে সন্ধি স্থাপনকাবী ছিলেন বনু হারিছ৷ ৷র মিত্র মাহীস৷ ইবন
মাসউদ ৷ খায়বারের বাসিন্দার৷ যখন উপরোক্ত সুযোগ পেল তখন তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাথে অর্ধেক শস্য ফসলের বিনিময়ে চাষাবাদের অনুমতি চাইল এবং বলল,আমরা আপনাদের
চাইতে টাষাবাদ সম্বন্ধে অধিক অভিজ্ঞ ও অধিক পরিশ্রমী ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের অর্ধেক
ফসলের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হলেন তার আরো শর্ত রইল যে, যখনি ইচ্ছা হুয়ুর (সা) তাদেরকে
উচ্ছেদ করতে পারবেন ৷ আর ফাদাকের বাসিন্দারাও অনুরুপ চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হল ৷
অধ্যায় : দুর্গগুলোর পতন ও তথাকার জমিজম৷ বণ্টন
ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন, ইয়াহুদীর৷ যখন নায়িম দুর্গ ও আস সাব ইবন মুআয দুর্গ
ছেড়ে দিয়ে আয-যুবড়ায়র দুর্পে আশ্রয় নেয় তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদেরকে তিন দিন অবরোধ করে
রাখেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) এর কাছে আয৷ ল নামী একজন ইয়াহুদী উপস্থিত হয়ে বলল , হে
আবুল কাসিম ! আমাকে প্রাণের নিরাপত্তা দেওয়া হলে আমি এমন একটি বিষয় সম্বন্ধে আপনাকে
অবগত করার যাহ৷ আন-নাতাত ও আশ শাক দুর্গদ্বয়ের বাসিন্দা ৷দের অনিষ্ট থেকে আপনাকে রক্ষা
করবে এবং আপনি তাদের সম্পর্কে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন ৷ আশ শাক দুর্গের রাসিন্দারা
আপনার ভয়ে অস্থির ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার এবং তার পরিবারবর্গের জান ৷নমালের
নিরাপত্তা দিলেন ৷ তখন ইয়াহ্রদী দো ৷কটি ত ৷কে বলল, “আপনি যদি তা ৷দেরকে এক মাসও এরুপে
অবরোধ করে রাখেন এতে তাদের কিইে অসুবিধা হবে না ৷ত তাদের রয়েছে যমীনের নিচে একটি
পানির না না ৷ রাতের বেলায় ত ৷র৷ দুর্গ থেকে বের হয় এবং ঐ৷ ন ৷লা থেকে পানি পান করে তারা
পুনরায় তাদের দুবুর্গ ফিরে আসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদের এই নল ৷টি বন্ধ করে দেয়৷ র নির্দেশ
দিলেন ৷ তখন তারা দুর্গ থেকে বের হয়ে তুমুল যুদ্ধ করে ৷ ঐদিন কিছু সষ্ খ্যক মুসলমান৷ ৷হীদ
হন এবং ইয়াহদীদের দশ জন নিহত ৩হয় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) এ দুর্গটি জয় করেন ৷ আর এটা ই ছিল
আন নাতাতে অবস্থিত দুর্গসমুবুহর সর্বশেষ দুর্গ ৷ ইয়াহদীর৷ তখন আশ শাক দুবুর্গ আশ্রয় নেয় ৷
আর আশ শাক এর কাছে ছিল অনেকগুলো দুর্গ ৷ এ দুর্গসমুহবু হত সব পথম যে দুর্গঢি আক্রমণ
করা হয় তার নাম ছিল উবাই দুর্গ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) একটি দুবুর্গর৷ কাছে অবস্থান যেন তার নাম
ছিল সামওযান ৷ এখানেও তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ ইয়াহদীদের মধ্য থেকে আযল নামক একজন যোদ্ধা
দুর্গ থেকে বের হয়ে আসে এবং দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহ্বান জানায় ৷ তখন হুরাব ইবন মুনযির (রা)৩ ত৷ র
দিকে এগিয়ে যান এবং তলওয়াবুরর আঘাতে ইয়াহ্রদীর ডান হাতটির অর্ধেক পর্যন্ত কেটে
ফেলেন ৷ তখন ইয়াহ্রদীর তলওয়৷ ৷রটি পড়ে যায় ও সে পালিয়ে যায় হুবাব (রা)৩ ৷ তার পিছু ধাওয়া
করেন এবং তার গ্রীবা ধমনী কেটে দেন ৷ তখন অন্য একজন ইয়াহ্যা শু৷ দ্বদৃ যুদ্ধের জন্যে এগিয়ে
আসে ৷ একজন মুসলমান তার ঘুকাবিলায় এগিয়ে আসেন; কিন্তু ইয়াহুদী তাকে শহীদ করে
ফেলে ৷ এরপর ইয়াহুদীটির দিকে এগিয়ে গেলেন আবুদুজানা (রা) ৷ তিনি তাকে হত্যা করেন
খ্তার অস্ত্রশস্ত্র লাভ করেন ৷ এরপর ইয়াহদীর৷ দ্বন্দুযুদ্ধ পরিহার করে ৷ মুসলমানগণত তাকবীর
ধ্বনি দিলেন ৷ এরপর তা ৷ সামনের দুর্গটির প্রতি এগিয়ে যান ও দৃবুর্গ প্রবেশ করেন ৷ আবুদৃজা ৷না
(বা) ছিলেন সকলের অবুগ্র ৷৩ তারা দুবুর্গ নানারুপ আসবাবপত্র বকরী, খাবার সামগ্রী ইত্যাদি
পেলেন ৷ ইয়াহদীদের মধ্যে য ৷রা যুদ্ধ কবুরছিল৩ ৷র৷ সাধ্যমত আসববপত্র নিয়ে ভালুকের ন্যায় দুর্গ
হতে পলায়ন করল এবং আল শাক দুর্গের অধীনে আল-বাযাত দুবুর্গ আশ্রয় নিল ও অত্যন্ত দুর্ভেদ্য
প্রতিরোধ গড়ে তুলল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও সাহাবায়ে কিরামত তাদেরকে প্রতিহত করতে লাগলেন ৷
পরস্পর ভীর নিক্ষেপ শুরু হল এমনকি রাসুলুল্লাহ্ (না) ও সাহাবাগবুণর সাথে নিজ হাতে ভীর
নিক্ষেপ করবুত লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আঙ্গুবুলত তাদের তীরের আঘাত লাগে তখন তিনি
এক মুষ্টি পাথর হাতে নিয়ে তাদের দুর্গের দিকে নিক্ষেপ করলেন ৷ তা ৷বুত দুর্গঢি তাদেরকে নিয়ে
বুকবুপ উঠলও মাটির সাথে মিশে গেল ৷ মুসলমানগণ তাদেরকে পাকড়াও করলেন ৷ ওয়াকিদী
বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুবাসীবুদর দিকে এবং আবুল হুকাইকের দুইটি দুর্ভেদ্য দুর্গ
আল-ওয়াভী ও আসসুলালিম এর দিকে অগ্রসর হলেন ৷ ইয়াহদীর৷ এ দুর্গগুবুলাবুত অত্যন্ত মযবুত
প্রতিরোধ গড়ে তোলে ৷ আশ শ্-া৷ক দুবুষ্বি নিয়ন্ত্রণে অবস্থিত আন নাতাত দুবুর্গ এসে পরাজিত
ইয়াহদীর৷ একত্রিত হল ৷ আবারা তারাও অন্য ইয়াহদীদের সাথে মিলিত হয়ে আল কামুস ও আল
কাভীক দুবুর্গ আশ্রয় নিল ৷৩ তারা দুর্ভেদ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং তা ৷রা দুর্গ থেকে কােনক্রবুম
বের হচ্ছিল না বা এমন কি বাইরের দিকে উকিও মা ৷রছিল না ৷ অবশেষে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) ক্ষেপনাস্ত্র
স্থাপনের দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করলে ইয়াহদীর৷ যখন তাদের ধ্ব×স সম্বন্ধে নিশ্চিত হল এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক তাদের অবরােবুধর ১ ৪দিন পুর্ণ হল, তখন ইবন আবুল হুকাইক বের হয়ে
আসল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে জীবন রক্ষা ও বন্দী হবার শর্তে সন্ধি স্থাপন করল ৷ আর
এটাও শর্ত হল যে, তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিজেদের জমিজমা, সম্পদ ও সোনা রুপা,
জভু-জাবুনায়ার সব কিছু হস্তান্তর করবে, তার যতদুর সম্ভব পোশাক পরিচ্ছদ ও খাবার দাবার
নিজেরা বহন করে নিতে পারবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরো বললেন, যদি তোমরা কোন কিছু
গোপন কর তাহলে তোমাদের সন্ধি তৎগ হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহ্
ও তার রাসুলের কোন জিয়া থাকবে না ৷ উপরোক্ত শর্তগুলাের উপরই তাদের সাথে সন্ধি
স্থাপিত হল ৷
ইবন কাহীর (র) বলেন, এ জন্যেই যখন তারা সম্পদ গোপন করল, মিথ্যা বলল এবং
বিশেষ করে বহু সম্পদে পরিপুর্ণ চামড়ার বড় থলেটি লুকিয়ে ফে লল তখন সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে,
তারা সন্ধি তৎগ করেছে ৷৩ তাই আবুল হুকাইকের পুত্রদ্বয়ও তার বংশের কতিপয় লোককে চুক্তি
ভৎগের কারণে হত্যা করা হল ৷
বায়হাকী (র) আবুল হাসান ইবন উমর (রা ) হত বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এমনড়াক তিনি তাদেরকে তাদের দৃর্গে
অবরোধ করে রাখেন ৷ তিনি তাদের জমিজমা, (ক্ষত খামার ও ণ্খজুর বাগান দখল করে নেন ৷
তারা তখন দেশাম্ভরিত হওয়ার শর্তে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সন্ধি করে ৷ তবে তারা
পোশাক পরিচ্ছদ ও খাবার দাবার যা তাদের বহনযোগে নিতে পারে তার অনুমতি দেওয়া
হয়েছিল ৷ আর সােনা রুপা ও হাতিয়ার সব কিছু রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে তারা সমর্পণ
করেছিল৩ ৷৩াদের প্রতি শর্ত অারােপ করা হয়েছিল যেন তারা কো ন কিছু গোপন না করে বা কোন
দ্রব্য না লুকায় ৷ যদি৩ারা কোন কিছু লুকায় বা গোপন করে তাহলে তাদের সাথে আর কোন
প্রকারের সন্ধি থাকবে না এবং৩ তাদেরকে আশ্রয় দেয়ার দায়িতৃও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর থাকবে না ৷
তা সত্বেও তারা একটি বড় চামড়ার থলে গোপন করল যার মধ্যে প্রচুর সম্পদ ও গহনাদি রাখা
হয়েছিল এবং তা বনুনাযীরকে বিতাড়িত করার সময় হুয়াই ইবন আখতা বের তত্ত্বাবধানে ছিল যা
সে তা খায়বারে নিয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুয়াইর নিয়ে যাওয়া খলে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল
যে, বনুনাযীর হতে প্রাপ্ত সম্পদ ভরা চামড়ার থলেটি সে কি করেছিল ? সে বলেছিল যে, দৈনন্দিন
খরচ ও যুদ্ধের ব্যয়ে তা নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, এত অল্প সময়ে
এত অধিক সম্পদ নিংশেষ হতে পারে না ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে যুবাযর (রা ) এর হাওলা
করলেন তিনি তাকে শাস্তি দিলেন ৷ এর পুর্বে হুয়াইকে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানে আনাগোনা করতে
দেখা গেল এবং একজন লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে হাযির হয়ে বলল, আমি হুয়াইকে
এখানে আনাগােনা করতে দেখেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আদেশক্রমে সাহাবায়ে কিরাম তথায়
গেলেন এবং ঘোজ করা র পর সেখা নে অর্থ সম্পদ ভরা চামড়ার থলেটি পেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এ বিশ্বাসঘা৩ কতার জন্যে আবুল হুকাইকের দুই পুত্রকে হত্যা করার হুকুম দিলেন ৷ তাদের মধ্যে
একজন ছিলেন সাফিয়্যা বিনৃত হুয়াই ইবন আখ৩াবের পুর্বামী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের
পরিবার পরিজনকে বন্দী করে ফেলেন এবং ওয়াদা তংগের জন্যে তাদের সম্পদ সাহাবায়ে
কিরামের মধ্যে বণ্টন করার আদেশ দিলেন ৷ ফলে তিনি খায়রার হতে৩াদেরকে বিতাড়িত
করতে মনস্থ করলেন তখন তারা বলল, হে মুহাম্মাদ ! আমাদেরকে এ যমীনে থাকতে দিন ৷
আমরা এ যমীনের উন্নতি সাধন করব এবং৩ তা উত্তমরুপে আবাদ করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও
সাহাবায়ে কিরামের কাছে কোন খাদ্যশস্য ছিলা না যার মাধ্যমে৩ তারা নিজেদের ভরংা পোষণ নির্বাহ