ব্লগ পোস্ট

ওরশের নামে ভন্ডামী বন্ধ করুন!

ওরশের নামে ভন্ডামী বন্ধ করুন!

এদেশের মানুষ সরলপ্রাণ ও ধর্মভীরু। এদেশের মানুষের অন্তরে পীর-ওলী-আউলিয়াদের প্রতি যথেষ্ট ভক্তি ও শ্রদ্ধা রয়েছে। আর সে ভক্তি ও শ্রদ্ধাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর সুবিধাবাদী, অসাধু, ভন্ড ধর্মব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের অর্থকড়ি কেড়ে নিচ্ছে। সাথে সাথে ঈমানটাকেও। মাজারকে তারা একটা লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। ওরশে গান-বাজনা, মদ-জুয়াসহ শিরকী কাজ ছাড়া আর কিছুই নেই। তাই ওরশ সম্পূর্ণ না-জায়েয ও কবীরা গুনাহ। ওরশ যদি শরীয়তসম্মত হতো, তাহলে সর্বাগ্রে ওরশ হতো রাসূলুল্লাহ সা.-এর কবরে। ওরশ হতো হযরত আবূ বকর, উমার, উসমান ও আলী রা.-এর কবরে। এই মহান ব্যক্তিদের কবরে যখন ওরশ হয়নি তাহলে বুঝা যায় যে, বর্তমানের ওরশ এটি শরীয়ত বিরোধী কাজেরই অন্তর্ভূক্ত। আজ দেখা যায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাল সালুতে আবৃত ডেক বসানো। মাজারসমূহ রং-বেরংয়ের বাতি প্রজ্বলিত হয় ও আলোকসজ্জা করা হয়। ঢোল-তবলার আওয়াজে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে। নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা, গান-বাজনা ও কাওয়ালীর মাধ্যমে উদযাপিত হয় ওরশ। কোথাও কোথাও দুই-একজন বেদ’আতি আলিম দাওয়াত করে ওয়াজের নামে মূলত পীর-ফকীরের নামে মান্নত করা এবং মাজারে নযর-নেওয়ায করার তালকীনই করা হয়। অথচ মাজারে দান করা, মাজারে মান্নত করা, ওরশ করা, ওরশে চাঁদা দেওয়া সম্পূর্ণ না-জায়েয, এটা শিরকের অন্তুর্ভুক্ত। স্মরণ থাকে যে, মাজারে শায়িত কোন ওলী বা বুযুর্গ এসব দান খয়রাতের প্রত্যাশী বা উপকারভোগী নন। অন্যরা তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যবসা করছে। ওরশে যেসব গরু-খাসী যবেহ হয় তা পীর-ফকীরের নামেই উত্সর্গীত, সুতরাং ওরশের শিরনি খাওয়া হারাম। ওরশ না-জায়েয বিদ’আত। মাজারে কিছু উত্সর্গ করা হারাম। সেখানে গরু-ছাগল যবেহ করা, তা খাওয়া হারাম। তাদের সহযোগিতা না-জায়েয। তাদের সাথে উঠা-বসা করা, সু-সম্পর্ক রাখা, তাদের কাজে সমর্থন করা এবং প্রতিবাদ না করা আযাবে ইলাহীতে গ্রেফতার হওয়ার কারণ। সুতরাং আমরা শুধু নিজেরা এই কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকলেই হবে না; বরং যথাসম্ভব এগুলো বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। নতুবা আল্লাহর গজব আসলে কেউই বাচঁতে পারবে না। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে হিদায়াতের পথে চলার তাওফীক্ব দান করুন! আমীন।
সব ব্লগ পোস্ট আখবার ক্যাটাগরি