সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নর্দমাকে পরিষ্কার করে কোটি কোটি টাকা খরচের বিনিময়ে পঁচা লেক থেকে তৈরি হয়েছে আজকের দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল। ছোট বড় সবার কাছে খুব পছন্দনীয় এবং বিশেষ করে ঢাকার অসুন্দর রস্তাঘাটের আড়ালে একটি প্রাণের জায়গা হয়ে উঠেছে এটি।  মনোমুগ্ধকর ভাবে তৈরি করতে এর পিছনে যেমন অসংখ্য মানুষের শ্রমের প্রয়োজন হয়েছে। তেমনি প্রয়োজন হয়েছে অনেক পুর্ব স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার। যার মধ্যে বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি মসজিদ এবং একটি মাদ্রাসাও ছিলো।  ভেঙ্গে ফেলা মসজিদ গুলোর মধ্যে একটি মসজিদ এখনো দেখা যায় হাতিরঝিলের পানিতে টিন এবং বাঁশের দ্বারা দাঁড়িয়ে থাকতে। সম্প্রীতি শোনা যাচ্ছে হাতিরঝিলের কৃতিম সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এই জীর্ণ শীর্ণ মসজিদ টি। অথচ পাশে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন কন্সার্ট এ নাচানাচি করার জন্য প্লাটফরম। অথচ ভেঙ্গে ফেলা মসজিদ গুলো তৈরি করার প্রস্তাব বা আগ্রহ কতৃপক্ষ দেখায়নি। না কাউকে আশানুরূপ বক্তব্য দিতে শোনা গেছে।  যেহেতু কোটি টাকা খরচ করে ফালতু কন্সার্টের জন্য প্লাটফরম করা যায় সেহেতু কেনো হাতিরঝিলের পানিতে ভাসমান মসজিদ তৈরি করা যাবে না? হাতিরঝিলের প্রত্যেকটা ইটের মধ্যে কি এই দেশের ৯৮% মুসলমানের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকা নেই?  যদি সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বাঁশ টিন দিয়ে তৈরি অসুন্দর মসজিদ না রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে প্রশাসন তাহলে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কেনো আধুনিক ডিজাইনের মসজিদ তৈরি করছে না। এতে হাতিরঝিলের সৌন্দর্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে দ্বিগুণ।  মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, দুবাই, সৌদি আরব, তুরস্ক, তাজাকিস্থান সহ বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোতে এই রকম অনেক নজরকারা মসজিদ আছে।  এতে হাতিরঝিল কে যেমন আরো সুন্দর মনে হবে ঠিক তেমনি বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট গণ পাবে নিজেদের কে আরো মেলে ধরার সুযোগ। কারণ একটি কারুকার্য ময় মসজিদ তৈরিতে অনেক নিখুঁত ডিজাইন করার প্রয়োজন পরে। এতে আর্কিটেক্ট গণ সুযোগ পাবে সরকারি ভাবে অন্যান্য দেশের ডিজানের সাথে প্রতিযোগিতা করার।  প্রসাসনের কাছে আবেদন হবে লেকের মধ্যে একটি কারুকার্য করা মসজিদ তৈরি করা। আর আমাদের জণগণের কাজ হবে সর্বত্র স্থরে প্রচার করা যেনো সঠিক কতৃপক্ষের কানে পৌছায় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।  অনেকে বলতে পারে প্রচুর বাজেট প্রয়োজন। এটা একদম খোরা যুক্তি বয় কিছু নয়।  কারণ, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেস ওয়ে, কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে টানেল, যমুনা নদীর নীচ দিয়ে রেলওয়ে টানেল করে উত্তর বঙ্গ এবং দক্ষিণ বঙ্গকে আরো যোগাযোগ সুলভ করার, বিভিন্ন চার লেন ভিত্তিক রোডস এন্ড হাইওয়ে, বিভিন্ন ব্রিজ, ডাবল রেল লাইন তৈরি, ডাবল রেইল লাইন তৈরি করতে বিভিন্ন রেল ব্রিজ, ফ্লাইওভার প্রজেক্ট, এয়ারপোর্ট সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বড় বড় নানা প্রজেক্ট এর তুলনাই এই একটি বা দুইটি মসজিদ তৈরিতে খরচ অতি নগণ্য।  সরকার সড়ক তৈরি করতে যে অনেক মসজিদ ভেঙ্গেছে সেটার কলঙ্কও এর দ্বারা মিটতে পারে আশা রাখি।  তাই সবার দাবি হবে চারিদিকে পানিতে ঘেরা মসজিদ তৈরি করা হাতিরঝিলের মত জায়গাতে, ফলে তার সৌন্দর্য বেড়ে যাবে দ্বিগুণ।  বিনিতঃ মাওলানা মুহাঃএমদাদুল্লাহ্ ফরিদী                    
                
                সম্পর্কিত পোস্ট
                            প্রশাসন ক্ষমতালোভীদের আনুগত্য করলে হানাহানি বন্ধ হবে কীভাবে?
                                    
                                    08 Sep, 2025                                
                            
                            বিএনপি ইসলামি আইন ও মৌলবাদে বিশ্বাস করে না
                                    
                                    08 Sep, 2025                                
                            
                            নারীদের শিক্ষার বিরুদ্ধে আল্লামা আহমদ শফী বক্তব্য নয়
                                    
                                    08 Sep, 2025                                
                            
                            হাসপাতালে গিয়ে আল্লামা বাবুনগরীর পাসপোর্ট পৌঁছে দিলেন সামরিক সচিব
                                    
                                    08 Sep, 2025                                
                            
                            বিশ্বদরবারে দেশের মান উঁচু করলো যে ৮ হাফেজ
                                    
                                    08 Sep, 2025                                
                            
                            আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলন ৭, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
                                    
                                    08 Sep, 2025                                
                            
                            আগামী ২৫ মার্চ ২০১৯ পটিয়া মাদ্রাসার খতমে বুখারী ও দোয়া মাহাফিল
                                    
                                    08 Sep, 2025                                
                            
                            দাওয়ারে হাদীস ইমতিহানের রুটিন - ৮ এপ্রিল থেকে ইমতিহান শুরু
                                    
                                    08 Sep, 2025