ব্লগ পোস্ট

একটি ছবি!! কিছু সমালোচনা!! জামিয়া ওবাইদিয়ার বক্তব্য!

একটি ছবি!! কিছু সমালোচনা!! জামিয়া ওবাইদিয়ার বক্তব্য!

গণফুর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এম.পি গতকাল ফটিকছড়িতে নির্বাচনী শোডাউনের এক পর্যায়ে নানুপুর জামিয়া ইসলামিয়া ওবায়দিয়ায় পরিদর্শনে গেলেন। জামিয়ায় তার একটি ছবি নিয়ে একটি মাদরাসা বিদ্বেষী কুচক্রিমহল অপপ্রচার করছে। এ ব্যাপারে কথা বললাম জামিয়ার সহকারী শিক্ষা সচিব মুফতি মুহাম্মদ লোকমান সাহেব এর সাথে। তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করলেন। মন্ত্রী জামিয়ায় গেলে তাকে পুরো জামিয়া পরিদর্শন করানো হলো। একটি কথা বলে রাখার মতো বাংলাদেশে মাদরাসাগুলোর মধ্যে নানুপুর ওবায়দিয়া ভবন, শিক্ষার আধুনিকায়ন ও ক্লাশরুমের দিক দিয়ে নান্দনিক। বিশেষত দাওরায়ে হাদিসের নান্দনিক শ্রেণীকক্ষ, লেপটপ ও সুবিশাল লাইব্রেরী সমৃদ্ধ উলুমুল হাদিসের শ্রেণীকক্ষ, এসি-নন এসি বেইজড আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক হিফজ বিভাগ যেকোন অতিথি ও পরিদর্শকের চিত্তে আকর্ষণ করবে। মন্ত্রী সেসব ঘুরে দেখলেন। এক পর্যায়ে দাওরায়ে হাদিসের শ্রেণীকক্ষ দিয়ে যাবার সময় তাকে দেখানো হলো "এই সেই দাওরায়ে হাদিসের দরস রুম যার শিক্ষার মান সরকার মাস্টার্স সমমান দিয়েছেন"। এ কথা বলার পর মন্ত্রী উতসাহ প্রকাশ করলেন দাওরায়ে হাদিসে কি পাঠদান করা হয় তা দেখবার। তাই তাকে একটি হাদিসের কিতাব খুলে দেখানো হলো। তিনি কিতাব দেখে ভক্তি ও শ্রদ্ধাবোধে আশ্চর্য হয়ে বললেন, আমি আগে জানতামনা এত বড় বড় কিতাব ও ইলমের সাগর নিয়ে পড়াশোনা করে দাওরায়ে হাদিসের ছাত্ররা! ইলমের তুলনায় এ স্কীকৃতি কিছুইনা। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ আমাকে তাওফিক দেননি কিতাবগুলো পড়ার, আপনারা ওলামায়ে কেরাম অনেক সৌভাগ্যবান ও সম্মানিত এই ইলমের কারনে। জামিয়া ঘুরে তিনি অত্যান্ত পুলকিত হলেন ও সবকিছু ভিডিও করলেন। বললেন এতো সমৃদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্টান তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দেখাবেন। আরো বললেন, আমরা মনে করতাম কওমি মাদরাসায় শুধু গরিব-মিসকিনরা পড়ে। কিন্তু সেই ধারনা ভুল। পুনশ্চঃ এই যে মন্ত্রী এসে পরিদর্শন করে গেলেন তাতে তার মনে যে দুটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে ১. দূর থেকে যারা মাদরাসা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা রাখে তারা মনে করে কওমি মাদরাসায় শুধুমাত্র গরিব- মিসকিনরা পড়ে। গতকাল মন্ত্রীর এই ধারণা ভঙ্গ হলো। ২. সাধারণ মানুষ ও আলেম-মাদরাসা থেকে দুরের মানুষরা মনে করেন হুজুর বা মোল্লা মানে যারা শুধুমাত্র মিলাদ- কিয়াম, খতম-দাওয়াত ও মোনাজাতি অনুষ্টান পরিচালনা করে। তাদের আর কয় পাতার জ্ঞাণ আছে! দুয়েকটা দোয়া-কালাম ও সুরা-কিরাত এইতো! গতকাল মন্ত্রীর এই ধারণাও ভাঙলো। তিনি বুঝতে পারলেন আলেম মানে গভীর জ্ঞাণের অধিকারী সম্প্রদায়। যারা সিহাহ সিত্তার বড় বড় কিতাবগুলো পড়েন। পড়েন যুক্তিবিদ্যা,দর্শন, ফলসফা, ফিকহ, কালাম, নাহু,সরফ, হাদিস, বালাগাত ইত্যাদি একত্রে বুকে ধারণ করেন। আসলে রাষ্ট্রের আমলা-মন্ত্রী-জন প্রতিনিধিদের থেকে দীর্ঘকাল ধরে দূরত্ব বজায় রাখাতে সচ্চ কোন ধারণা আমরা তাদের দিতে পারিনি। যার সুযোগে বিভিন্ন সময় কওমি মাদরাসার বিরোদ্ধে নানা অপপ্রচার ও তকমা লাগানো হয়েছে। আর তাতেও অনেক সময় তাল মিলিয়েছেন সরকারের কর্তাব্যক্তিরাও। কিন্তু বছর কয়েক ধরে সরকারের মন্ত্রী-এম.পি ও জনপ্রতিনিরা কওমি মাদরাসাসমূহে সফর করার কারণে এই ধারণাগুলো স্পষ্ট হচ্ছে। কিছু বাঁশ মুজাহিদ ও কিছু মাথা মোটা সেকুলার কওমীর চুলকানির মলম হিসাবে এই পোষ্ট সংগ্রহ করলাম।
সব ব্লগ পোস্ট আখবার ক্যাটাগরি