ইসলামী ফতোয়া
                    
                                        
                                    আমি এ বছর হজ্বে মুযদালিফায় যাওয়ার সময় মুযদালিফায় পৌঁছার আগেই...
উত্তর
                        প্রশ্ন    আমি এ বছর হজ্বে মুযদালিফায় যাওয়ার সময় মুযদালিফায় পৌঁছার আগেই মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেছে দেখে পথেই মাগরিবের নামায আদায় করে নিই। দুই দিন পর সাথীদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারি যে, আমার জন্য ইশার ওয়াক্তে মুযদালিফায় এসে মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করা ওয়াজিব ছিল। আমি জানতে চাই, এখন আমার জন্য ওই নামায কাযা করা অথবা কোনো দম দেওয়া ওয়াজিব হবে কি না? জানালে কৃতজ্ঞ হব।    উত্তর    প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ঐ দিনের মাগরিবের নামায আদায় হয়ে গেছে। তা কাযা করা লাগবে নাএবং এজন্য কোনো দমও ওয়াজিব হবে না। তবে যথা সময়ে আদায় না করার কারণে ওয়াজিবছেড়ে দেওয়ার গুনাহ হয়েছে। এজন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ইস্তেগফার করতে হবে।  উল্লেখ্য যে, হাজ্বীদের জন্য ৯ যিলহজ্ব দিবাগত রাতে মাগরিব ও ইশার নামায মুযদালিফায় এসেইশার ওয়াক্তে আদায় করা ওয়াজিব। ইশার ওয়াক্তের মধ্যে মুযদালিফায় পৌঁছা সম্ভব হলেআরাফায় অথবা পথে কোথাও পড়া নাজায়েয। এরপরও কেউ মুযদালিফার আগে মাগরিব পড়েনিলে মুযদালিফায় এসে ইশার ওয়াক্তের মধ্যে পুনরায় মাগরিব পড়ে নেওয়া ওয়াজিব। অবশ্য যদিমুযদালিফায় পৌঁছার আগেই ইশার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তবে সে ক্ষেত্রে যেখানেআছে সেখানেই মাগরিব-ইশা পড়ে নিবে।  -ফাতহুল কাদীর ৩/৩৭৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৫১৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫০৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৩০; আলবাহরুল আমীক ৩/১৬১২; আলমাসালিক ফিলমানাসিক ১/৫৩৩    উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার        হজ্বের কোথায় কোন দোয়া পড়তে হয় আলকাউসার    হজের সময় দম দিতে হয় কেন    হজ্ব প্রসঙ্গে মাসিক আল কাউসার সকল    ওমরা করার নিয়ম আল কাউসার      হজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য    হজ্ব ও কুরবানী আলকাউসার    হজ্জের বিধি বিধান    হজ্বের নিয়ম