ইসলামী ফতোয়া

বদলী হজ্বকারীর জন্য কি ইফরাদ হজ্ব করা জরুরি? অনেকে বলেন,...

উত্তর

প্রশ্ন বদলী হজ্বকারীর জন্য কি ইফরাদ হজ্ব করা জরুরি? অনেকে বলেন, ইফরাদ করা জরুরি। প্রেরক তামাত্তু বা কিরান হজ্বের অনুমতি দিলেও আদায় হবে না। ইফরাদ হজ্বই করতে হবে। মুআল্লিমুল হুজ্জাজ কিতাবেও এমনই বলা হয়েছে। আবার কোনো কোনো আলেমকে জায়েয বলতে শোনা যায়। এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান বরাতসহ জানতে চাই। উত্তর প্রেরক অনুমতি দিলে বদলীকারী তামাত্তু ও কিরান হজ্বও করতে পারবেন। অনুমতি থাকলেও ইফরাদ করা জরুরি, তামাত্তু বা কিরান জায়েয নয়-এই কথা ঠিক নয়। মুআল্লিমুল হুজ্জাজ, ফাতাওয়া খলীলিয়্যাহসহ কিছু কিতাবে সর্বাবস্থায় ইফরাদ জরুরি বলা হলেও উপমহাদেশের অনেক মুফতী প্রেরকের অনুমতিসাপেক্ষে তামাত্তু ও কিরান করাকে জায়েয বলে ফাতওয়া দিয়েছেন। যেমন, মুফতী কেফায়াতুল্লাহ দেহলভী রাহ., মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ. এবং মুফতী যফর আহমদ উছমানী রাহ., মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানভী রাহ. প্রমুখ। আর জায়েয হওয়ার পক্ষে হানাফী ফকীহদের থেকেও সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত রয়েছে। যেমন,ফাতাওয়া খানিয়া, আল্লামা সিন্ধির লুবাব, আল্লামা সাঈদ আবদুল গণী রাহ.-এর ইরশাদুস সারী এবং আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী ফাতাওয়া শামীতে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, অনুমতি থাকলে বদলীকারী কিরান, তামাত্তু যেকোনোটি করতে পারেন। ইফরাদ হজ্ব করা জরুরি নয়। এছাড়া কিরান জায়েয হওয়ার কথা মাবসূতে সারাখসী ও হেদায়াতেও আছে। লুবাবুল মানাসিক ৪৫৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩০৭; মাবসূত সারাখসী ৪/১৫৫-১৫৬; হেদায়া ১/২৯৮; রদ্দুল মুহতার ২/৬১১; ইমদাদুল আহকাম ২/১৮৩; আহসানুল ফাতাওয়া ৪/৫২৩; কেফায়াতুল মুফতী ৪/৪৫; জাওয়াহিরুল ফিকহ ১/৫০৮-৫১৬; ফাতাওয়া উছমানী ২/২২২ উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার এক নজরে হজের কার্যক্রম জীবিত ব্যক্তির নামে কি ওমরা করা যায় ইহরামের কাপড় কয়টি হজ্জের নিয়মাবলী হজের দোয়া সমুহ ওমরা হজ করতে কত দিন লাগে হজ্জের ইতিহাস আল কাউসার বদলী হজ্বের মাসায়েল মৃত ব্যক্তির হজ্জ ওমরা করলে কি হজ্জ ফরজ হয় হজের আধুনিক মাসায়েল হজ কার উপর ফরজ আল কাউসার হজ্জ না করার শাস্তি উমরাহ করার নিয়ম ও দোয়া নফল হজ্জ কি
সব ফতোয়া দেখুন হজ্ব ক্যাটাগরি