আন-নাজম

النجم

সূরা 53 মক্কী 62 আয়াত

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতিশয় মেহেরবান।

1
وَٱلنَّجْمِ إِذَا هَوَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
শপথ নক্ষত্রের, যখন ওটা হয় অস্তমিত,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১. মহান আল্লাহ তারকা যখন পতিত হয় তখনকার শপথ করেছেন।
2
مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হেদায়েতের পথ থেকে বিচ্যুত হন নি। আর না তিনি পথভ্রষ্ট হয়েছেন। বরং তিনি সুপথগামী।
3
وَمَا يَنطِقُ عَنِ ٱلْهَوَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এবং সে মনগড়া কথাও বলেনা।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩. তিনি এই কুরআন দিয়ে তাঁর মনোবৃত্তির তাড়না অনুযায়ী কথা বলেন না।
4
إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْىٌ يُوحَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এটাতো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪. এই কুরআন ওহী ব্যতীত আর কিছুই নয়। যা জিবরীল (আলাইহিস-সালাম) মারফত আল্লাহ তাঁর উপর অবতীর্ণ করেছেন।
5
عَلَّمَهُۥ شَدِيدُ ٱلْقُوَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তাকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী –
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫. তাঁকে এটি এমন এক ফিরিশতা শিক্ষা দিয়েছেন যিনি মহা শক্তিধর। তিনি হলেন জিবরীল (আলাইহস সালাম)।
6
ذُو مِرَّةٍ فَٱسْتَوَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
প্রজ্ঞা সম্পন্ন; সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়েছিল,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৬. জিবরীল (আলাইহিস সালাম) হলেন সুন্দর রূপধারী। তিনি রাসূলের সামনে আল্লাহ তাঁকে যে আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন সেই আকৃতিতে প্রকাশ পেলেন।
7
وَهُوَ بِٱلْأُفُقِ ٱلْأَعْلَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তখন সে ঊর্ধ্ব দিগন্তে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৭. তখন তিনি আকাশের দিগন্তে অবস্থানরত।
8
ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অতঃপর সে তার নিকটবর্তী হল, অতি নিকটবর্তী।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৮. অতঃপর জিবরীল (আলাইহিস-সালাম) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকটবর্তী হলেন। এরপর আরো নিকবর্তী বাড়লেন।
9
فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
ফলে তাদের মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল, অথবা তারও কম।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৯. তাঁর দূরত্ব ছিল দুই ধনুক সমপরিমাণ কিংবা আরো কম।
10
فَأَوْحَىٰٓ إِلَىٰ عَبْدِهِۦ مَآ أَوْحَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি যা অহী করার তা অহী করলেন।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১০. তখন জিবরীল (আলাইহিস-সালাম) আল্লাহর বান্দা মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি যা ওহী করার তা ওহী করলেন।
11
مَا كَذَبَ ٱلْفُؤَادُ مَا رَأَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যা সে দেখেছে তার অন্তকরণ তা অস্বীকার করেনি।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১১. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অন্তর তাঁর চক্ষু যা প্রদর্শন করেছে সেটিকে মিথ্যারোপ করে নি।
12
أَفَتُمَـٰرُونَهُۥ عَلَىٰ مَا يَرَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
সে যা দেখেছে তোমরা কি সে বিষয়ে তার সংগে বিতর্ক করবে?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১২. হে মুশরিকরা! তোমরা কি তাঁকে তাঁর প্রতিপালক ভ্রমণের রাতে যা দেখিয়েছেন সে ব্যাপারে তাঁর সাথে ঝগড়া করছো?!
13
وَلَقَدْ رَءَاهُ نَزْلَةً أُخْرَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
নিশ্চয়ই সে তাকে আরেকবার দেখেছিল।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৩. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুনর্বার তাঁকে ভ্রমণের রাতে নিজ আকৃতিতে দেখেছেন।
14
عِندَ سِدْرَةِ ٱلْمُنتَهَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
সিদরাতুল মুনতাহার নিকট,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৪. সিদরাতুল মুন্তাহার নিকট। সেটি হলো সপ্তাকাশের উপর একটি মহা প্রকাÐ বৃক্ষ।
15
عِندَهَا جَنَّةُ ٱلْمَأْوَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যার নিকট অবস্থিত বাসোদ্যান।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৫. উক্ত বৃক্ষের নিকট রয়েছে জান্নাতুল মা’ওয়া।
16
إِذْ يَغْشَى ٱلسِّدْرَةَ مَا يَغْشَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যখন বৃক্ষটি, যদ্বারা আচ্ছাদিত হবার তদ্বারা ছিল আচ্ছাদিত,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৬. যখন আল্লাহর কোন মহান বিষয় সেটিকে আচ্ছাদিত করে। যার মূল রহস্য আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না।
17
مَا زَاغَ ٱلْبَصَرُ وَمَا طَغَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি, দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যূতও হয়নি।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৭. তার (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দৃষ্টি ডান-বাঁ হেলে নি। আর না তাঁর জন্য নির্ধারিত সীমা তিনি অতিক্রম করেছেন।
18
لَقَدْ رَأَىٰ مِنْ ءَايَـٰتِ رَبِّهِ ٱلْكُبْرَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
সেতো তার প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছিল।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৮. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মেরাজের রাতে স্বীয় প্রতিপালকের ক্ষমতার প্রমাণবাহী বহু মহা নিদর্শনাবলী প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি জান্নাত দেখেছেন। জাহান্নাম দেখেছেন। এতদুভয়ের বাইরে আরো অনেক কিছু দেখেছেন।
19
أَفَرَءَيْتُمُ ٱللَّـٰتَ وَٱلْعُزَّىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও উযযা সম্বন্ধে?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৯. হে মুশরিকরা! তোমরা কি দেখেছো সে সব দেবতাকে আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যেগুলোর ইবাদাত করছো। তারা হলো “লাত” ও “উযযা”।
20
وَمَنَوٰةَ ٱلثَّالِثَةَ ٱلْأُخْرَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্বন্ধে?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২০. আর তোমাদের তৃতীয় আরেকটি দেবতা “মানাত”। বলো সেকি তোমাদের কোন উপকার কিংবা অপকার করতে পারে?!
21
أَلَكُمُ ٱلذَّكَرُ وَلَهُ ٱلْأُنثَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তাহলে কি পুত্র-সন্তান তোমাদের জন্য এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২১. হে মুশরিকরা! তোমাদের জন্য কি তোমাদের পছন্দের ছেলে। আর আল্লাহর জন্য কি তোমাদের অপছন্দের মেয়ে।
22
تِلْكَ إِذًا قِسْمَةٌ ضِيزَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এ ধরণের বন্টনতো অসঙ্গত।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২২. তোমাদের প্রবৃত্তি কেন্দ্রিক এই ভাগাভাগি কিন্তু জুলুমের উপর ভিত্তিশীল।
23
إِنْ هِىَ إِلَّآ أَسْمَآءٌ سَمَّيْتُمُوهَآ أَنتُمْ وَءَابَآؤُكُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلْطَـٰنٍ ۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَمَا تَهْوَى ٱلْأَنفُسُ ۖ وَلَقَدْ جَآءَهُم مِّن رَّبِّهِمُ ٱلْهُدَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এগুলির কতক নামমাত্র যা তোমাদের পূর্ব-পুরুষরা ও তোমরা রেখেছ, যার সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল প্রেরণ করেননি। তারাতো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাদের নিকট তাদের রবের পথনির্দেশ এসেছে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৩. এ সব দেবতা তো কেবল অর্থহীন কিছু নাম মাত্র। এগুলোর মধ্যে উলূহিয়্যাতের গুনাবলীর কোন কিছুই নেই। যে সব নামকরণ তোমরা ও তোমাদের বাপ দাদারা মিলে নিজেরাই করেছো। যেগুলোর উপর আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি। বস্তুতঃ মুশরিকরা তাদের আকীদায় কেবল ধারণারই অনুসরণ করে। আর অনুসরণ করে শয়তান কর্তৃক তাদের মনে আকর্ষণ সৃষ্টিকারী কুপ্রবৃত্তির। অথচ তাদের নিকট তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর যবান মারফত হেদায়েত আগমন করেছে। কিন্তু তারা তদ্বারা হেদায়েত গ্রহণ করে নি।
24
أَمْ لِلْإِنسَـٰنِ مَا تَمَنَّىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
মানুষ যা চায় তাই কি সে পায়?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৪. না কি মানুষ আল্লাহর নিকট দেবতাদের যে সুপারিশ চায় তা পায়?!
25
فَلِلَّهِ ٱلْـَٔاخِرَةُ وَٱلْأُولَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
বস্তুতঃ ইহকাল ও পরকাল আল্লাহরই।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৫. না, বস্তুতঃ মানুষ যা কামনা করে তা পায় না। আল্লাহর জন্য এককভাবে প্রথম এবং শেষ তথা দুনিয়া ও আখিরাত। তিনি তা থেকে যা ইচ্ছা দান করেন। আর যা ইচ্ছা বারণ করেন।
26
۞ وَكَم مِّن مَّلَكٍ فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ لَا تُغْنِى شَفَـٰعَتُهُمْ شَيْـًٔا إِلَّا مِنۢ بَعْدِ أَن يَأْذَنَ ٱللَّهُ لِمَن يَشَآءُ وَيَرْضَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আকাশে কত মালাইকা/ফেরেশতা রয়েছে, তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসু হবেনা যতক্ষণ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এবং যার প্রতি সন্তষ্ট তাকে অনুমতি না দেন।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৬. আসমানে কতেক ফিরিশতা রয়েছেন যাঁরা সুপারিশ করতে চাইলে আল্লাহ কর্তৃক সে জন্য অনুমতি ও সুপারিশকৃতের ব্যাপারে সন্তুষ্টি ব্যতীত তাঁদের সুপারিশ কোন কাজে আসবে না। বস্তুতঃ আল্লাহ কস্মিনকালেও সুপারিশের উদ্দেশ্যে তাঁর সাথে যে ব্যক্তি কাউকে শরীক করেছে তার উপর সন্তুষ্ট হবেন না। আর না তিনি তার সুপারিশের পাত্র যে তাকে আল্লাহর পরিবর্তে মাবূদ বানিয়েছে তার উপর সন্তুষ্ট হবেন।
27
إِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْـَٔاخِرَةِ لَيُسَمُّونَ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةَ تَسْمِيَةَ ٱلْأُنثَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করেনা তারাই নারীবাচক নাম দিয়ে থাকে মালাইকাদেরকে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৭. অবশ্যই যারা পরকালের পুনরুত্থানে বিশ্বাসী না তারা ফিরিশতাদেরকে মহিলাদের নামে নামকরণ করে এই বিশ্বাসে যে, তারা মূলতঃ মহিলা। আল্লাহ তাদের এই কট‚ক্তি থেকে বহু উর্দ্ধে।
28
وَمَا لَهُم بِهِۦ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ ۖ وَإِنَّ ٱلظَّنَّ لَا يُغْنِى مِنَ ٱلْحَقِّ شَيْـًٔا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই, তারা শুধু অনুমানের অনুসরণ করে; সত্যের মুকাবিলায় অনুমানের কোন মূল্য নেই।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৮. বস্তুতঃ তাদের এই মহিলা প্রকৃতির নামকরণে এমন কোন জ্ঞান নেই যার উপর তারা ভিত্তি করে। তারা এতে কেবল ধারণারই অনুসরণ করে। যা হক হওয়া তো দূরের কথা। বরং তা হকের ব্যাপারে কোন কাজেই আসবে না।
29
فَأَعْرِضْ عَن مَّن تَوَلَّىٰ عَن ذِكْرِنَا وَلَمْ يُرِدْ إِلَّا ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ তাকে উপেক্ষা করে চল; সেতো শুধু পার্থিব জীবন কামনা করে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৯. হে রাসূল! আপনি ওর প্রতি বিমুখ থাকুন যে আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে থাকে এবং এর কোন কদর করে না। সে কেবল ইহকালই কামনা করে থাকে। ফলে সে পরকালের জন্য কোন কাজই করে না। কেননা, সে পরকালকে বিশ্বাস করে না।
30
ذَٰلِكَ مَبْلَغُهُم مِّنَ ٱلْعِلْمِ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ ٱهْتَدَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তাদের জ্ঞানের দৌড় এই পর্যন্ত। তোমার রাব্বই ভাল জানেন কে তাঁর পথ হতে বিচ্যুত; তিনিই ভাল জানেন কে সৎপথ প্রাপ্ত।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩০. মুশরিকরা যে আল্লাহর ফিরিশতাদের ব্যাপারে এ সব নেতিবাচক কথা বলে তা কিন্তু তাদের বিদ্যার শেষ সীমা বৈ আর কিছুই নয়। কেননা, তারা মূর্খ। ফলে তারা চ‚ড়ান্ত জ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছুতে অক্ষম। হে রাসূল! যে ব্যক্তি আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত তার ব্যাপারে আপনার প্রতিপালক সম্যক অবগত। তিনি ওর ব্যাপারেও অধিক অবগত যে তাঁর পথ অবলম্বন করেছে। তাঁর নিকট এর কোন কিছুই গোপন নয়।
31
وَلِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ لِيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ أَسَـٰٓـُٔوا۟ بِمَا عَمِلُوا۟ وَيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ أَحْسَنُوا۟ بِٱلْحُسْنَى
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই। যারা মন্দ কাজ করে তাদেরকে তিনি দেন মন্দ ফল এবং যারা সৎ কাজ করে তাদেরকে দেন উত্তম পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩১. আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সব কিছুর মালিকানা, সৃষ্টি ও পরিচালনা এককভাবে আল্লাহরই নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনিই তাদের মধ্যকার যারা মন্দ আমল করেছে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি এবং যারা নেক আমল করেছে তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে জান্নাত দিবেন।
32
ٱلَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَـٰٓئِرَ ٱلْإِثْمِ وَٱلْفَوَٰحِشَ إِلَّا ٱللَّمَمَ ۚ إِنَّ رَبَّكَ وَٰسِعُ ٱلْمَغْفِرَةِ ۚ هُوَ أَعْلَمُ بِكُمْ إِذْ أَنشَأَكُم مِّنَ ٱلْأَرْضِ وَإِذْ أَنتُمْ أَجِنَّةٌ فِى بُطُونِ أُمَّهَـٰتِكُمْ ۖ فَلَا تُزَكُّوٓا۟ أَنفُسَكُمْ ۖ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ ٱتَّقَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যারা বিরত থাকে গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্য হতে, ছোট- খাট অপরাধ করলেও তোমার রবের ক্ষমা অপরিসীম; তিনি (আল্লাহ) তোমাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলেন মাটি হতে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে ভ্রুণরূপে অবস্থান কর। অতএব তোমরা আত্মপ্রশংসা করনা, তিনিই সম্যক জানেন মুত্তাকী কে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩২. যারা ছোট-খাটো অপরাধ ছাড়া গুরুতর ও অশ্লীল পাপগুলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকবে এবং বেশী বেশী নফল আমল করবে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে। হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক অপরিসীম ক্ষমার অধিকারী। বান্দারা তাওবা করলেই তিনি তাদেরকে ক্ষমা করেন। তিনি তাদের অবস্থা ও বিষয়াদি সম্পর্কে তখন থেকেই জানেন যখন তাদের পিতা আদমকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেন। আর তখন থেকে যখন তোমরা নিজেদের মাতাদের পেটে বোঝা হিসাবে দফায় দফায় রূপান্তরিত হচ্ছিলে। তাঁর নিকট এ সবের কোন কিছুই গোপন নয়। তাই তোমরা নিজেরা নিজেদের সাফাই গেয়ে মুত্তাকী হওয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ো না। কেননা, তিনিই ভালো জানেন, কে তাঁর আদেশ-নিষেধ মান্য করার মাধ্যমে তাঁকে ভয় করে থাকে।
33
أَفَرَءَيْتَ ٱلَّذِى تَوَلَّىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তুমি কি দেখেছ সেই ব্যক্তিকে যে মুখ ফিরিয়ে নেয়;
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৩. আপনি কি ওই ব্যক্তির নোংরামির অবস্থা দেখেছেন যে ইসলামের নিকটবর্তী হয়েও তা থেকে বিমুখ হয়েছে।
34
وَأَعْطَىٰ قَلِيلًا وَأَكْدَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এবং দান করে সামান্যই, পরে বন্ধ করে দেয়?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৪. আর যৎসামান্য অর্থ দান করে আবার ক্ষান্ত হয়ে গেছে। কেননা, কার্পণ্যই হলো তার মজ্জাগত অভ্যাস। এতদসত্তে¡ও সে তার নিজের সাফাই গেয়ে বেড়ায়।
35
أَعِندَهُۥ عِلْمُ ٱلْغَيْبِ فَهُوَ يَرَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তার কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে সে জানবে?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৫. না কি তার নিকট গাইবের জ্ঞান রয়েছে। ফলে সে দেখে এবং গাইবের সংবাদ দেয়?!
36
أَمْ لَمْ يُنَبَّأْ بِمَا فِى صُحُفِ مُوسَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তাকে কি অবগত করা হয়নি যা আছে মূসার কিতাবে,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৬. না কি সে আল্লাহর উপর মিথ্যারোপকারী?! না কি আল্লাহর উপর এই মিথ্যারোপকারী ব্যক্তিকে মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর উপর অবতীর্ণ পূর্বের কিতাবে বিদ্যমান বিষয় সম্পর্কে সংবাদ দেয়া হয়নি।
37
وَإِبْرَٰهِيمَ ٱلَّذِى وَفَّىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এবং ইবরাহীমের কিতাবে যে পালন করেছিল তার দায়িত্ব?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৭. আর ইবরাহীম (আলাইহিস-সালাম) এর পুস্তিকাদিতে যা রয়েছে তা সম্পর্কেও। যিনি তাঁর উপর স্বীয় রবের পক্ষ থেকে আপতিত সকল দায়-দায়িত্ব পূর্ণমাত্রায় সম্পন্ন করেছেন।
38
أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
ওটা এই যে, কোন বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবেনা।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৮. আর তা হলো, কোন মানুষ অন্যের পাপ বহন করবে না।
39
وَأَن لَّيْسَ لِلْإِنسَـٰنِ إِلَّا مَا سَعَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর এই যে, মানুষ তা’ই পায় যা সে করে,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৯. আর মানুষের জন্যে তার নিজ আমলের প্রতিদান ছাড়া অন্য কিছু নেই।
40
وَأَنَّ سَعْيَهُۥ سَوْفَ يُرَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর এই যে, তার কাজ অচিরেই দেখানো হবে,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪০. আর সে অচিরেই কিয়ামত দিবসে তার আমল প্রত্যক্ষ করবে।
41
ثُمَّ يُجْزَىٰهُ ٱلْجَزَآءَ ٱلْأَوْفَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অতঃপর তাকে দেয়া হবে পূর্ণ প্রতিদান।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪১. অতঃপর তার আমলের প্রতিদান পূর্ণমাত্রায় প্রদান করা হবে।
42
وَأَنَّ إِلَىٰ رَبِّكَ ٱلْمُنتَهَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর এই যে, সব কিছুর সমাপ্তিতো তোমার রবের নিকট।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪২. হে রাসূল! আপনার রবের নিকটই বান্দাদের প্রত্যাবর্তন এবং তাদের মৃত্যুর পর তাদের ঠিকানা।
43
وَأَنَّهُۥ هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর এই যে, তিনিই হাসান, তিনিই কাঁদান।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৩. আর তিনি যাকে ইচ্ছা আনন্দ দেন ফলে তাকে হাসান এবং যাকে ইচ্ছা চিন্তাগ্রস্ত করেন ফলে তাকে কাঁদান।
44
وَأَنَّهُۥ هُوَ أَمَاتَ وَأَحْيَا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এবং এই যে, তিনিই মারেন, তিনিই বাঁচান,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৪. আর তিনি দুনিয়াতে জীবিতদেরকে মৃত্যু দেন এবং মৃতদেরকে পুনরুত্থানের মাধ্যমে জীবিত করেন।
45
وَأَنَّهُۥ خَلَقَ ٱلزَّوْجَيْنِ ٱلذَّكَرَ وَٱلْأُنثَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর এই যে, তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল পুরুষ ও নারী –
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৫. আর তিনি পুরুষ ও নারী উভয় প্রকার সৃষ্টি করেছেন।
46
مِن نُّطْفَةٍ إِذَا تُمْنَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
শুক্র বিন্দু হতে যখন তা স্খলিত হয়;
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৬. যা গর্ভাশয়ে শুক্রাণু স্থাপন করার মাধ্যমে হয়ে থাকে।
47
وَأَنَّ عَلَيْهِ ٱلنَّشْأَةَ ٱلْأُخْرَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর এই যে, পুনরুত্থান ঘটানোর দায়িত্ব তাঁরই।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৭. আর তাঁর উপরই এতদুভয়ের মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের উদ্দেশ্যে পুনর্বার সৃষ্টির দায়িত্ব।
48
وَأَنَّهُۥ هُوَ أَغْنَىٰ وَأَقْنَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর এই যে, তিনিই অভাবমুক্ত করেন ও সম্পদ দান করেন।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৮. আর তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা সম্পদ প্রদানের মাধ্যমে ধনী বানিয়েছেন এবং মানুষের খাদ্য নির্বাহের জন্য তিনি তাদেরকে সম্পদ প্রদান করেছেন।
49
وَأَنَّهُۥ هُوَ رَبُّ ٱلشِّعْرَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর এই যে, তিনি ‘শি’রা’ নক্ষত্রের মালিক।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৯. আর তিনি কোন কোন মুশরিক কর্তৃক আল্লাহর সাথে পূজিত “শিরা” নামক তারকার প্রতিপালক।
50
وَأَنَّهُۥٓ أَهْلَكَ عَادًا ٱلْأُولَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এবং এই যে, তিনিই প্রথম ‘আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিলেন।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫০. আর তিনি পূর্ব যুগের হূদ (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায় আদকে ধ্বংস করেছেন। যখন তারা নিজেদের কুফরীর উপর গোঁড়ামি প্রদর্শন করেছে।
51
وَثَمُودَا۟ فَمَآ أَبْقَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এবং সামূদ সম্প্রদায়কেও, কেহকেও তিনি বাকী রাখেননি।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫১. আর তিনি সালেহ (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায় সামূদকে ধ্বংস করেছেন। তিনি তাদের কাউকে অবশিষ্ট রাখেন নি।
52
وَقَوْمَ نُوحٍ مِّن قَبْلُ ۖ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ هُمْ أَظْلَمَ وَأَطْغَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর এদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়কেও; তারা ছিল অতিশয় যালিম ও অবাধ্য।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫২. তিনি আদ এবং সামূদ (আলাইহিমাস-সালাম) এর পূর্বে নূহ (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছেন। বস্তুতঃ নূহ (আলাইহিস-সালাম) এর জাতি ছিলো আদ ও সামূদ অপেক্ষা অধিক জালিম ও অবাধ্য। কেননা, নূহ (আলাইহিস-সালাম) তাদের মাঝে সাড়ে নয়শত বৎসর আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত নিয়ে অবস্থান করেছেন। অথচ তারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয় নি।
53
وَٱلْمُؤْتَفِكَةَ أَهْوَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
উৎপাটিত আবাস ভূমিকে উল্টিয়ে নিক্ষেপ করেছিলেন।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫৩. আর লুত সম্প্রদায়ের গ্রামকে আসমানে তুলে এরপর সেটিকে উল্টিয়ে যমীনে ফেলে দেন।
54
فَغَشَّىٰهَا مَا غَشَّىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
ওকে আচ্ছন্ন করল কি সর্বগ্রাসী শাস্তি!
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫৪. অতঃপর সেটিকে ঢেকে দেয় তথা সেটিকে উপরে তুলে মাটিতে নিক্ষেপের পর পাথর এসে সেটিকে ঢেকে দেয়।
55
فَبِأَىِّ ءَالَآءِ رَبِّكَ تَتَمَارَىٰ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তুমি তোমার রবের কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫৫. অতএব, হে মানুষ! তোমার রবের ক্ষমতার উপর প্রমাণবাহী কোন কোন নিআমতের ব্যাপারে তুমি ঝগড়া করছো। আর তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করছো না?!
56
هَـٰذَا نَذِيرٌ مِّنَ ٱلنُّذُرِ ٱلْأُولَىٰٓ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অতীতের সতর্ককারীদের ন্যায় এই নাবীও এক সতর্ককারী;
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫৬. তোমাদের নিকট প্রেরিত এই রাসূল প্রথম যুগে প্রেরিত রাসূলদেরই প্রকৃতির।
57
أَزِفَتِ ٱلْـَٔازِفَةُ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
কিয়ামাত আসন্ন,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫৭. নিকটতম কিয়ামত নিকটবর্তী হয়ে এসেছে।
58
لَيْسَ لَهَا مِن دُونِ ٱللَّهِ كَاشِفَةٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আল্লাহ ছাড়া কেহই এটা ব্যক্ত করতে সক্ষম নয়।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫৮. সেটিকে প্রতিহতকারী কেউ নেই। আর না আল্লাহ ব্যতীত এ ব্যাপারে কেউ অবগত আছে।
59
أَفَمِنْ هَـٰذَا ٱلْحَدِيثِ تَعْجَبُونَ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তোমরা কি এই কথায় বিস্ময় বোধ করছ!
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫৯. তোমরা কি তোমাদের সামনে পঠিত কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হওয়ার ব্যাপারে আশ্চর্য বোধ করছো?!
60
وَتَضْحَكُونَ وَلَا تَبْكُونَ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এবং হাসি- ঠাট্টা করছ! ক্রন্দন করছনা?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৬০. আর সেটিকে নিয়ে ঠাট্টার ছলে হাসাহাসি করছো এবং সেটির উপদেশসমূহ শ্রবণের সময় কাঁদছো না?!
61
وَأَنتُمْ سَـٰمِدُونَ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তোমরাতো উদাসীন,
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৬১. আর তোমরা এর ব্যাপারে উদাসীন। এর কোন কদর করছো না?!
62
فَٱسْجُدُوا۟ لِلَّهِ وَٱعْبُدُوا۟ ۩
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অতএব আল্লাহকে সাজদাহ কর এবং তাঁর ইবাদাত কর। [সাজদাহ]
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৬২. তাই এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাজদা করো এবং তাঁর উদ্দেশ্যে একনিষ্ঠভাবে ইবাদাত করো।