মিনার খুতবা প্রদানের দিন ও খুতবার বিষয়বস্তু ও আনুষৎগিক প্রসংপ এবং অইিয়ামে তাশরীক
এর দ্বিতীয় দিন অ্যাং মধ্যবর্তী শ্রেষ্ঠ দিনে খুগ্রা প্রদান নির্দেশক হাদীসের আলােনাে
আবুদাউদ (র)-এর অনুচ্ছেদ শিরোনাম : খুতবা প্রদানের দিন কোনটি ? মুহাম্মদ ইবনুল
আলা (র) ইবন আবু নাজী (র)-বনু বাক্র-এর দুজন লোক হতে, র্তারা বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে আমরা ভাষণ দিতে দেখেছি আইয়ামে তাশরীকের মাঝামাঝিতে, আমরা তখন তার
বাহনের কাছে ছিলাম ৷ এটিই তার যে (ঐতিহাসিক) ভাষণ যা তিনি মিনায় প্রদান
করেছিলেন ৷ এ রিওয়ায়াত একাকী আবু দাউদ (র)-এর আবু দাউদ (র)-এর ৷ পরবর্তী
মুহাম্মদ ইবন বাশৃশার (র)সারবা বিনত নাবৃহাম (রা)-যিনি জাহিলী যুগে একটি প্রতিমা
মন্দিরের অধিকারিনী ছিলেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইয়াওমুর রুউস (কুরবানীর পশুর
মাথা খাওয়ার দিন-এপার তারিখ)-এ আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, এটি
কোন দিন ? আমরা বললাম, আল্লাহ্ এবং তার রাসুল (সা) ভাল জানেন ৷ তিনি বললেন,
“এটি আইয়ামে তাশরীক (গোশৃত শুকানাের দিনসমুহ)-এর মধ্যবর্তী
শ্রেষ্ঠ দিন নয় কি ? আবু দাউদ (র)-এর একক রিওয়ায়াত ৷ তিনি আরো বলেছেন, আবু হাবৃবা
আবৃ-রুকাশী (র)এর চাচা-ও অনুরুপ বলেছেন যে, নবী করীম (সা) আইয়্যাম-ই-তাশরীকের
মধ্যবর্তী দিনে থুতবা দিয়েছিলেন ৷
ইমাম আহ্মদ (র) এ হাদীসটি সনদযুক্ত করে বিশদ আকারে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি
বলেছেন, উছমান (র)আবু হাবৃবা আবৃ-রুকাশী (র) তার চাচা থেকে, তিনি বলেন,
আইয়্যামে তাশরীকের মধ্যবর্তী দিলে আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উঃষ্টীর লাপাম ধরে রেখেছিলাম
এবং আমি তার নিকট হতে লোকদের সরিয়ে রাখছিলাম ৷ তিনি (সা) তখন বললেন—
“তোমরা জান কি, তোমরা কোন মানে, ণ্কান দিনে এবং কোন নগরীতে অবস্থান করছ ?
তীরা বললেন, (আমরা অবস্থান করছি) একটি পবিত্র দিনে, একটি পবিত্র মাসে এবং একটি
পবিত্র নগরীতে ৷ তিনি (সা) বললেন, সুতরাং তোমাদের জান, মাল, ইজ্জত পবিত্র, যেমন পবিত্র
তোমাদের এ দিনটি তোমাদের এ মাসে, তোমাদের এ নগরে ; তার (আল্লাহ্র) সাথে তোমাদের
সক্ষোত করা পর্যন্ত (এ বিদান প্রযোজ্য) ৷ তারপর বললেন,
আমার কথা গোন! (যতদিন বেচে থাকবে) যুলুম করবে না শ্যেন যুলুম করবে না ! গােন
যুলুম করবে না ! কোন মুসলমানের মাল তার সন্তুষ্টি ব্যতিরেকে হালড়াল হয় না ৷ শুনে (রখো
খুনেব প্রতিটি দাবী সম্পদও (আবব) জ্যহিলী যুগের রাবি পদ্ধতি কিয়ামত পর্যন্তকালের জন্য
আমার এ পদ তলে দলিত (রহিত) ৷ প্রথম যে খুনের দাবী রহিত ঘোষণা করা হচ্ছে তা
(ইবন) রাবীআ ইবনৃল হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিরের থুনের দাবী, যে বনু সা দ গোত্রে দুধ
পান করছিল ৷ তখন হুযায়লীরা তাকে খুন করেছিল ৷ শুনে রেখো; জাহিলিয়ড়াতের সব সুদ
রহিত ৷ আল্লাহ্ হুকুম দিয়েছেন যে, প্রথম সুদ রহিত করা হল আব্বাস ইবন আবদুল
যুত্তালিরের সুদ ৷ তোমাদের মুলধনে তোমাদের অধিকার অব্যাহত থাকবে ৷ তোমরা যুলুম
করবে না ৷ যুলুমের শিকারও হবে না ৷
শুনে রেখো সময় ও কাল আবর্তিত হয়ে সে দিনের অবস্থায় পৌছেছে যে দিন আল্লাহ্
আসমান সমুহ এবং যঘীন সৃষ্টি করেছিলেন ৷ তারপর তিলাওয়ায়াত করলেন অর্থাৎ)
“আকাশসমুহ এবং পৃথিবীর সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট মান গণনায়
মাস বারটি, যার মধ্যে চারটি পবিত্র (সংঘাত নিষিদ্ধ) মাস, এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং
এগুলির মধ্যে তোমরা নিজদের প্রতি যুলুম করবে না (৯ : ৩৬) ৷ (তারপর বললেন) শোনা
আমার পরে কড়াফির দলে প্রত্যাবর্তন করো না যে, তোমরা পরস্পরােক হত্যা করতে শুরু
করবে ৷ শোনা ঘুসল্লীগণ শায়তানের পুজা করবে এ ব্যাপারে সে নিরাশ হয়েছে ৷ তবে কিনা
তোমাদের পরস্পরে উস্কানী ও সংঘাত সৃষ্টিতে (সে লেগে থাকবে ) নারীদের ব্যাপারে
আল্লাহকে ভয় করে চলবে ৷
কেননা, তারা তো তোমাদের হাতে অসহায়, নীিজদের জন্য যারা কোন ৰিযেশ কিছুর
অধিকার সংরক্ষণ করে না ৷ তোমাদের কাছে তাদের অবশ্যই কিছু অধিকার রয়েছে ৷ (যেমন)
তাদের কাছে তোমাদের অধিকার রয়েছে যে, তোমাদের ব্যতীত অন্য কাউকে তোমাদের
ৰিছানড়া মাড়াতে দেবে না ৷ তোমাদের ঘরে এমন কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেবে না ৷ যাকে
তোমরা অপসন্দ কর ৷
তবে যদি তাদের অবথ্যেতার আশংকা কর, তবে তাদের উপদেশ দেবে ৷ ৰিছানড়ায় তাদের
পরিত্যাগ করবে এবং (প্রয়োজনে) তাদের প্রহার করবে, যখন সৃষ্টিকারী প্রহার নয় ৷ আর
তাদের অধিকার হল সংপত পরিমাণে তাদের থােরপােষ ৷ তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ
আল্লাহর আমানত’ সুত্রে এবং তাদের লজ্জাস্থান হালাল করেছ আল্লাহর কালিমার বদৌলতে ৷
শুনে রখো! যার কাছে কোন আমানত থাকবে যে তার আমানত দাতার কাছে প্রত্যার্পণ
করবে ৷ এরপর নবী কয়ীম (সা) তার হাত প্রসারিত করে বললেন, ওহে পৌছিয়ে দিলাম কী ?
শ্যেন! পৌছিয়ে দিলাম কী ? তারপর বললেন, উপন্থিতরা অনুপস্থিতদের পৌছিয়ে দিবে ৷
কেননা, এমনও হয় যে, অনেক অনুপস্থিত (পরোক্ষ) শ্রোতা অনেক প্রত্যক্ষ শ্রোতড়ার চাইতে
(শ্রুত বিষয়ের মমার্থ অনুধাবনে অধিকরতর) ভাগ্যবান হয় ৷ রাবী হুমায়দ (র) বলেন, বর্ণনায়
এ অংশ পৌছলে (শায়খ) হাসান (র) বললেন, নিশ্চয়, আল্লাহর কলম! র্তারা এমন অনেক
লোকের কাছে পৌছিয়ে দিয়েছেন যীরা ঐ বিষয়ে অধিক তাগ্যবান প্ৰতিপন্ন হয়েছেন ৷ আবু
দাউদ (র) তার সুনড়ান গ্রন্থের নিকাহ’ অধ্যায়ে মুসা ইবন ইসমাঈল (র) আবু হাররা অর
রুকাশী (হানীফা)এর চাচা হতে শ্রী অবাধ্যতড়া বিষয়ক অংশ বিশেষ রিওয়ড়ায়ড়াত করেছেন ৷
ইবন হাযম (র) বলেছেন, হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী করীম (সা) মাথা খাওয়া দিবসে
(ইয়াওমুর রুউস) ভাষণ দিয়েছেন ৷ মক্কাবাসীদের ঐকমত্যে দিনটি হল মাহর (কুরবানী)দিবস
হতে দ্বিতীয় দিন (অর্থাৎ এপার তারিখ) ৷ তবে কোন কোন বর্ণনায় দিনটিকে আইয়ামে
তাশৰীকের মধ্যবর্তী (ঐ ণ্গু) দিবস বলা হয়েছে ৷ সে ক্ষেত্রে ১ ,৷ (মধ্যম) শব্দটিকে (জন
ভাষায় ব্যবহৃত) শ্রেষ্ঠ অর্থে প্রয়োগ করা যেতে পারে ৷ যেমন আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেছেন
এভাবে অৰুমি তােমাদেরকে এক মধ্যপন্থী (উত্তম) জাতিরুপে
প্রতিষ্ঠিত করেছি (১) (২ : ১৪৩)
মন্তব্য : আল্লামা ইবন হাযম (র)-এর গৃহীত এ অভিমত বাস্তবতা বর্জিত ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত ৷
হাফিজ আবু বকর আল বাঘৃযার (র) বলেন, ওলাদ ইবন আমর ইবন মিসর্কীন (র)
আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে তিনি বলেন, এ সুরাটি মিনড়ায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উপরে
অবতীর্ণ দিনে হয়েছিল ৷ তখন তিনি বিদায় হভৈজ্জ্বর আইয়ামে তাশরীকের মধ্যবর্তী দিনে
অবস্থান করছিলেন ৷যেমন এসে গেল আল্লাহর সাহায্যে ও
বিজয় (১১০ : ১) ৷
তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে, এ হচ্ছে বিদায়ের পুর্বাভাষ ৷ তিনি তখন তীর বাহন
কাসওয়ড়া প্রস্তুত করার নির্দেশ দিলে তাতে গদী লাগাংনা হলে ৷ তারপর তিনি আরোহণ করে
লোকদের উদ্দেশ্যে আকাবায় অবস্থান নিলেন ৷ তখন দলে দলে মুসলমানদের তার কাছে
সমবেত হলে আল্লাহর হামদ-ছানা পাঠের পরে তিনি বলেন, তারপর লোক সকল ৷ জাহিলী
যুগের সব থুনের দাবী বাতিল ৷
আর তোমাদের প্রথম যে খুনেব দাবী বাতিল করছি তা (ইবন) রাবীআ ইবনুল হারিছের
থুনের দাবী বনু লায়ছ গেড়াত্রে দুধ পান করতে থাকা কালে হুয়ড়ায়লীরা তাকে খুন করেছিল ৷
জাহিলী যুগের যে সব সুদ তা রহিত আর তোমাদের প্রথম যে সুদ রহিত করছি তা আব্বাস ইবন
আবদুল মুত্তালিবের সুদ ৷ লোক সকল ৷ সময় ঘুরে ফিরে এসেছে যে অবস্থায়, যেদিন আল্লাহ্
সৃষ্টি করেছিলেন আসমানসমুহ এবং যমীন ৷ আর মাসের গণনা ৷ আল্লাহর নিকট বার মাস; যার
মধ্যে চারটি মাস নিষিদ্ধ ও পবিত্র-
মৃযার গোত্রীয় রজব জুমাদাল মা ৷খির ও শাবানের মাঝে, যিলকাদ, যিলহজ্জ্ব ও মুহাররম ৷
এই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান সুতরাং এগুলির মধ্যে তোমরা নিজেদের প্ৰতি জুলুম করো না (৯০
৩৬) ৷ এই যে কোন মাসকে পিছিয়ে দেয়া তা তো কেবল কুফরী বাড়িয়ে দেয়া, যা দিয়ে
কাফিরদের বিভ্রান্ত করা হয় ৷ তারা তাকে কোন বছর বৈধ করে এবং কোন বছর অবৈধ করে,
যাতে তারা আল্পাহ্ যে গুলিকে নিষিদ্ধ করেছেন সেগুলির গণনা পুর্ণ করতে পারে (৯ : ৩৭) ৷
তারা এক বছর সফর মাসকে (যুদ্ধ কািহের জন্য) বৈধ ঘোষণা করত এবং মুহাররমকে অবৈধ
তালিকাভুক্ত রাখত ৷
আবার এক বছর ষুহাররম মাসকে বৈধ ঘোষণা করে সফর মাসকে অবৈধ ঘোষণা করত ৷
এটইি নাসী ৰিলম্বিত ও আগ পাছ করা নবী করীম (না) আরো বললেন-
লোক সকল; যার কাছে কোন গচ্ছিত বিষয় থাকবে ৷ সে যেন তা যে তার কাছে আমানত
ব্লেথ্যেছ তাকে প্রত্যার্পণ করে ৷ লোক সকল; আখেরী যামানা পর্যন্ত তোমাদের দেশে পুজা
পাওয়ার ব্যাপারে শায়তান নিরাশ হয়েছে ৷ তবে অনেক তুচ্ছ ও ক্ষুদ্র আমলে সে তুষ্টি লাভ
করবে ৷ তাই ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ বিষয়গুলিতে তোমাদের দীনের ব্যাপারে তার সম্পর্কে সতর্ক
থাকবে ৷ লোক সকল ! নারীর৷ তোমাদের করতলগত; আল্লাহর আমানত সুত্রে তোমরা তাদের
গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালিমার বদৌলতে তোমরা তাদের লজ্জাস্থান হালাল করেছ ৷
তাদের উপরে তোমাদের অধিকার রয়েছে ৷ তাদেরও তোমাদের উপরে অধিকার রয়েছে ৷
তাদের উপরে তোমাদের অধিকারের অন্যতম হচ্ছে তোমাদের ব্যতীত কাউকে তোমাদের
বিছানা ম ৷ড়াতে না দেয়৷ এবং তোমাদের কোন সংগত আদেশে অবাধ্যতা না করা ৷ তারা
যদি এতটুকু পালন করে চলে তবে তাদের বিরুদ্ধে ণ্তামাদের আর কো ন ৷অতিযাে গের অবকাশ
নেই ৷ আর তাদের অধিকার হল সংগত পরিমাণ তাদের খােরস্বপাষ যদি তাদের প্রহার কর ৷
তবে যখন সৃষ্টি না করে তা করবে ৷ কোনও মানুষের জন্য তার অন্য ভাইরুয়র সম্পদ অতটুকুই
বৈধ্ গ্তটুকুত্বে তার মনের তুষ্টি থাকে ৷ লোক সকল ! আমি তোমাদের নিকট এমন বিষয় রেখে
যাচ্ছি যে, ণ্তামরা তা ধরে থাকলে পথ হারা হবে না (তা হল) আল্লাহর কিতাব, সুতরাং
তোমরা সে অনুযায়ী আমল করতে থাকবে ৷ (তিনি আরো বলেছেন) লোক সকল এটি কোন
দিন? লোকেরা বলল, পবিত্র দিন ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, তবে এটি কোন নগর? তারা
বলল, পবিত্র নগর ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, তবে এটি কোন মাস? তারা বলল, পবিত্র মাস ৷
নবী কবীম (সা) বললেন, সুতরাং আল্লাহ্ তোমাদের জীবন, সম্পদ ও ইজ্জতকে পবিত্র ও
নিষিদ্ধ করেছেন ৷ এ মাসে এ নগরে এ দিনটির পবিত্রতা ও নিষিদ্ধতার ন্যায় ৷ গােন তোমাদের
উপস্থিতরা তোমাদের অনুপস্থিতদের পৌছিয়ে দেবে ৷ ণ্র্ন্ত১ম্ষ্ হ্শ্ণ্ষ্ শ্ব,ষ্ ;দ্র১ম্-ষ্ ,-ও শ্ব আমার
পরে কোন নবী নেই এবং তোমাদের পরে আর কোন (নতুন) উম্মতও নেই ৷ তারপর নবী
কবীম (সা) তার দুহতে তুলে বললেন, ইয়া আল্পাহ্ সাক্ষী থাকুন ৷
মিনার অবস্থানের প্রতি রাতে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর রায়তুল্লাহ
যিয়ারত সম্পর্কিত হাদীসের আলোচনা
বুথারী (র) বলেন, আবু হাসৃসান (র) ইবন আব্বাস হতে উল্লিখিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ
(সা) মিনার দিন গুলিতে বায়তুল্লাহ্ যিয়ারত করতেন ৷ বুথাবী (র) বিষয়টিকে এভাবেই উল্লেখ
করেছেন ৷ দৃর্বলতা সুচক ভাবে সনদভাবে ৷ এ প্রসত্গে হাফিজ বায়হাকী (র) বলেছেন ৷
আবুল হাসান ইবন আবাদান (র)ইবন আর আরা (র) সুত্রে বলেন, যুআয ইবন হিশাম (র)
আমাদের কাছে একটি লিপি অর্পণ করলেন ৷ তিনি বললেন, আমি আমার পিতার কাছে
বিষয়টি শুনেছি ৷ তিনি তা পাঠ করেন নি ৷ তিনি বলেন, তাতে বলা হয়েছিল কতোদা (র)
আবু হাসৃসান ইবন আব্বাস (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) যতদিন
মিনার অবস্থান করেছিলেন তার প্ৰতি রাতে তিনি বড়ায়ভুল্লাহ্ যিয়ারাত করতেন ৷ বায়হাকী (র)
বলেন, এ হড়াদীসের ব্যাপারে কাউকে আমি আবু হাসৃসানের সমর্থন পাই নি ৷ বায়হাকী আরো
বলেন, আমি এ ছাওবী (র) তাউস ইবন আব্বাস (রা) সনদে রিওয়ড়ায়াত করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতি রাতে ইফামা (বায়তৃল্লাহ্ গমন) করতেন অর্থাৎ মিনার অবস্থানের
রাতগুলিতে ৷ এ সনদটি অবশ্য মুরসাল ৷
মুহাসৃসার-এ অবতরণ-অবস্থান ও বিদায়ী তাওমাফ প্রসৎগ
যিলহজ্জ মাসের ষষ্ঠ দিনের নাম কারো কারো মতে ইয়াওযুয ষীনা সাজ-সজ্জা দিবস ৷
কেননা, এ দিন উটওলিকে জিন-গদী ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয় ৷ সপ্তম দিনকে বলা হয়
ইয়াওমুৎ তার বিয়া পানি আহরণ ও সঞ্চয় দিবস ৷ কেননা, এদিন হাজীগণ পর্যাপ্ত পানি সংগ্রহ
করে আরাফায় অবস্থান ও পরবর্তী দিনওলির প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি বহন করার ব্যবস্থা
করে থাকেন ৷ অষ্টম দিনকে বলা হয় মিনা দিবস ৷ কেননা, ঐ দিন তারা আবতাহ হতে মিনা
অভিমুখে প্রস্থান করে থাকেন ৷ নবম দিন হল আরাফা দিবস ৷ যেহেতু ঐ দিন তারা আরাফাতে