যে, তিনি তবে যে উমর ৷টির সাথে হজ্জ করেছিলেন সেটিকে সহ চা ৷রবার উমরা করেছেন ৷
বায়হাকী (র) বলেন, এ হাদীসটি সুরক্ষিত নয় ৷ আমার মতে (এটি সং রক্ষিত, কেননা)
আইশ ৷৷ (রা) এর সাথে সংযুক্ত বিশুদ্ধ সনদে এর অনুরুপ হাদীস একটু পরেই উল্লিখিত হবে ৷
জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)-এৱ রিওয়ায়াত : হাফিজ আবুল হাসান দার৷ কুতনী (র)
বলেন, আবু বকর ইবন আবু দাউদ ও মুহাম্মদ ইবন জাফর ইবন রামীস, আবু উবায়দ কাসিম
ইবন ইসমাঈল ও উছমান ইবন জাফর আল লাব্বান (র) প্রমুখ(সৃফয়ান ছাওরী র)
জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তিনবার হজ্জ করেছেন;
দৃবার হিজরত করার আগে আর একবার হাজ্জর সাথে উমরা সৎ যুক্ত করেছেন ৷ তিরমিষী ও
ইবন মাজা (র) ও এ হাদীস সুফিয়ান ইবন সাঈদ আছ-ছাওরী (র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে তিরমিষী (র) রিওয়ায়াত করেছেন আবদুল্লাহ ইবন আবু যিয়াদ
(র) যায়দ ইবন হবার মাধ্যমে, সুফিয়ান (র) সুত্রে ৷ তারপর তিনি বলেছেন, সুফিয়ান (র) এর
হাদীস বিরল পর্যায়ের ৷ কেননা, যায়দ ইবনুল হ্বাব (র) ব্যতীত অন্য কো ন সুত্রে আমরা
হাদীসটির পরিচিতি লাভ করি নি ৷ আর আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান, রাযী (র) কে আ ৷মি
দেখেছি যে, তার পাণ্ডুলিপিাত তিনি আবদুল্লাহ ইবন আবু যিয়াদ (র) সুত্রেই হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমি মুহাম্মদ (বুখারী)কে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এর
পরিচিতি স্বীকার করলেন না এবং র্তাকে আ ৷মি দেখেছি যে, তিনি এটিকে সৎরক্ষিত পর্যায়ের
মনে করছেন না ৷ তিনি বলেছেন যে, ছাওরী (র) মৃজা ৷হিদ (র) সনদে মুরসাল (সাহাবীর
সাথে সং যুক্ত নয়) রুপে বর্ণিত হয়েছে ৷ বায়হাকী (র) কৃত আস-সুনানুল কাৰীর এ রয়েছে ৷
আবু ঈসা তিরমিষী (র) বলেছেন, আমি মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল বুখারী (র) কে এ হ দীস
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটি একটি ত্রুটিপুর্ণ (সনদের) হাদীস; প্রকৃতপক্ষে
এটি ছাওরী (র) সুত্রে মুরসাল’রুাপ রিওয়ায়াত হয়েছে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, যায়দ
ইবনুল হুবাব (র) যখন ক্রটিপুর্ণ (সনদে) রিওয়ায়াত করতেন, তখন তার কোন কিছুাত ভ্রাস্তির
শিকার হাতন ৷ অবশ্য ইবন মাজা (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন কাসিম ইবন মুহাম্মদ
ইবন আব্বাস আল-ষুহাল্পাবী (র) সুত্রে সুফিয়ান ছাওরী (র) হতে, উল্লিখিত সনদে (অর্থাৎ এ
সনদে যায়দ ইবনুল হুবাৰ্ (র) যেই ৷ অনুবাদক) ৷ এটি এমন একটি সুত্র যার অবনতি
তিরমিষী ও বায়হাকী (র) লাভ করতে পারেন নি এবং এমনকি সম্ভবত বুখারী (র)-ও নয় ৷
যেহেতু তিনি যায়দ ইবনুল হুবাব (র) কে এ হাদীসের একক বর্ণনাক৷ রী ধারণা করে তার
ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷ অথচ বাস্তবে তিনি একক নন ৷ এ হাদীসের শ্া৷হিদ
(সমর্থক) রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগ্াত ৷
জাবির (বা) হতে অন্য একটি সুত্র ও আবু ঈসা তিরমিষী (র)ষ্বলেন, ইবন আবু উমর
(আবুয-যুবায়র) জাবির (রা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা
মিলিয়ে করলেন এবং সে দৃটির জন্য অভিন্ন তাওয়াফ করলেন ৷ তারপর তিরমিষী (র)
বলেছেন, এটি একটি উত্তম হাদীস (তিরমিষীর কোন কোন সংস্করণে হাসান (উত্তম) স্থলে
সহীহ্ (বিশুদ্ধ) শব্দ রয়েছে) ৷ ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসটি জাবিব (রা) সুত্রে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তার হজ্জ ও উমরার জন্য একটি মাত্র
আজঃকািায়াংওক্রোনিহাব্য ২৩৫
তাওয়াফ্ করেছিলেন ৷ (প্রাসংগিক মন্তব্য) তিরমিযীর সনদের হাজ্জাজ হলেন ইবন আরতাৎ-
ই ৷ ইমামদের অনেকেই র্ডার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷
তবে একটি সুত্রেও (আবুয যুবায়রএর মাধ্যমে) হযরত জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে
বর্ণিত হয়েছে ৷ যেমন ন্হাফিজ আবু বকর আর বাঘৃমার (র) তার মুসনাদে বলেছেন, মুকদ্দোম
ইবন মুহাম্মদ (র) (আবুয-যুব্যয়র) জাৰির (বা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) (মক্কার) এলেন এবং হজ্জ ও উমরা মিলিয়ে করলেন এক তিনি হাদী সাথে নিয়ে এলেন
এবং রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এে “যারা হড়াদীকে মালা পরার
নি তারা এটিকে উমরায় পরিণত করুক ৷ তারপর ৰাঘৃযার (র) বলেন, “এ সম্পর্কে জাবির
(বা) হতে এ সুত্র ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে বক্তব্য বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই ৷
বস্তুত বড়ামৃযার (র) জর মুসনাদে এ সুত্রে একাকী বর্ণনা করেছেন ৷ এ সুত্রের সনদটি অতি
বিরল ধরনের এবং এ সুত্রে হয় গ্রন্থের কোন একটিতেও হাদীসটি উদ্ধৃত হয় নি ৷ অল্লোহ ই
সমধিক অবগত ৷
অৰবুতাদহা বাবদ: ইবন সাহস অনেসরীি (না)-এর ৰিওয়ারাত
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু মুআৰিয়াইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আবু তালহ৷ (বা) আমাকে অবগত করেছেন যে, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা
একত্রে করেছেন ৷ ” ইবন মজাে (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, আলী ইবন মুহাম্মদ (র)
(আবু মুআৰিয়া) সনদে তার ভাষ্য “রাসুলুল্পাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা কিরানরুপে করেছেন ৷
(এ সনদের অন্যতম) রানী হাজ্জাজ ইবন আরতাত (র)-এর কিছু দৃর্বলতা রয়েছে ৷ অল্লোহ্
সমধিক অবগত ৷
সুরক্ষা ইবন ম্দাি ইবন ল্যাং বো)এম্ ব্লিওয়শ্নোত
ইমন্ম আহমদ (য়) ধ্ল্দোন্ মাকী ইবন্ ইব্রাহীম (র) সুরকাে (রা) সুত্রে বলেন আমি
রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি
“কিয়ামত পর্যস্তের জন্য উমর হলোঃ মাঝে প্ৰবিষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ ” তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্
(সা) বিদায় হচজ্জ কিরান করেছিলেন ৷
-স৷ দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) এর রিওয়ায়াত, এ মর্মে যে, নবী কয়ীম (সা) উমরার সাথে
হজ্জ মিলিয়ে তামাত্তু করেছিলেন, আর তাই হল কিরান ৷
ইমাম মালিক (র) বলেন, ইবন শিহাব (র) মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন নাওফন ইবনুদ
হাশ্রিহু ইবন আবদুস মুত্তালিব তাকে (ইবন শিহাবকে) এ মর্মে হাদীস শুনিয়েছেন যে, তিনি
সাদ ইবন আবু ওয়কােস ও যাহ্হড়াক ইব ন কারস (না)-কে মুআবিয়া ইবন আবু সৃফিয়ান (রা)-
এর হজ্জ করার বছর হলোঃ সাথে উমর৷ মিলিয়ে তামাত্তু করার বিষয় আলোচনা করতে
শুনেছেন ৷ যাহ্হাক (রা) বললেন, “আল্লাহর বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ ণ্লাকেরা ছাড়া কেউ তা
করতে পারে না ৷ সাদ (রা) বললেন, ভাতিজা ! খুবই মন্দ কথা তুমি বললে ! মাহ্হাক (র)
বললেন, তা হলে উমর ইবনুল পাতায় (বা) যে তা নিষেধ করতেন্যম্বী তখন মাস (বা)
বললেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না) তো তা করেছেন এবং তার সঙ্গে থেকে আমরাও তা করেছি
তিরমিষী ও নাসাঈ (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) মালিকসনদে ৷
তিরমিষী (র) মন্তব্য করেছেন এটি একটি সহীহ্ হাদীস ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেছেন,
ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র)গুনায়ম (র) বলেন, আমি ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-কে তামাত্তু
হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, “আমরা তা করেছি, যখন এ ণ্লাকটি মক্কায়
কাফির অবস্থায় ছিল” ৷ এতে তিনি মুআবিয়৷ (রা) কে বুঝিয়েছিলেন ৷ আহমদ (র) এভাবে
ৎহ্মেগে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর মুসলিম (র) এর গ্রন্থে এ রিওয়ায়তে সুফিয়ান ইবন
সাঈদ আছ ছাওরী, ও না, মারওয়ান আল ফাযারী ও ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ আল কাততান
(র) ণ্ডনায়ম ইবন কায়স (র) সুত্রে (বলেন) আমি না দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) কে তামাত্তু
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, আমর৷ তাে তা করেছিই , আর তখন এ লোকটি
মক্কায় অবস্থানকারী কাফিয় ছিল ৷ ” রাবী ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র) তার রিওয়ায়া তে ব্যলছেন-
অর্থাৎ মুআবিয়৷ (বা) ৷ আর আবদুর রায্যাক (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুতামির
ইবন সুলায়মান (র) ও আবদুল্লাহ্ ইবনৃল ঘুবারক (র) ওনায়ম ইবন কায়স (র) বলেন, আমি
স৷ দ (রা) কে হরুংজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে তামাত্তু করার বিষয় জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি
বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে তা করেছি, তখন এ সােকটি কাফির ছিল ৷ অর্থাৎ
মক্কায় এবং সােকটি দ্বার৷ উদ্দিষ্ট হলেন মুআবিয়া (রা) ৷ দ্বিতীয় হাদীসটি সনদের মানদণ্ডে
অধিকতর বিশুদ্ধ এরং আমরা তা উল্লেখ করলাম সবলকরণ উদ্দেশ্যে; এর উপর নির্ভর করে
নয় ৷ কেননা, প্রথম হাদীসটিও বিশুদ্ধ সনদযুক্ত এবং এটির তাষ্য অনাটির র্তুলনায় অধিকতর
স্পষ্ট ৷ আল্লা ইে সমধিক অবগত ৷ ন্
আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা (রা)-এৱ রিওয়ায়াত : তাবারানী (র) বলেন, সাঈদ ই-বৃন
তিনি বলেন, রাসুলুলাহ্ (না) হজ্জ ও উমর৷ একত্রে করেছিলেন ৷ এ কারণে যে, তিনি বুবাক্ত ত
পেরেছিলেন যে ঐ বছরের ?ারে হজ্জ করতে পারবেন না ৷
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর রিওয়ায়াত : ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবুন নাবৃর (র)
(দাউদ আল কাত্তান)ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বণ্নাি করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
চারটি উমরা করেছেন (এক) হুদায়ৰিয়ার উমরা (দুই) কায৷ উমরা, (তিন) জ্জিররানা হতে
এবং (চার) যেটি ছিল তার হলোঃ সাখে ৷ আবু দাউদ, তিরমিষী ও ইবন মাজা (র) এ হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেনইবন আব্বাস (রা)-এর সনদে বিভিন্ন সুত্রে তিরমিষী (র) বলেছেন,
হাসান গরীব একক সুত্রীয় উত্তম বর্ণনা ৷ অনুরুপ, তিরমিষী (র) সাঈদ ইবন আবদুর রহমান
(র)ইকরিম৷ সনদেও যুরসালরুগে এটি রিওয়ায়াত করেছেন৷ হাফিজ বায়হাকী (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আবুল হাসান আলী ইবন আবদুল আষীয আল-বাগাবী
(র)(দাউদ ইবন আবদুর রহমান আল অভােব)সনদে ৷ এতে তিনি বলেছেন, “চতুর্থ :যেটি
তিনি তার হষ্কজ্জর সাথে সং যুক্ত করেছিলেন ৷” তারপর আবুল হাসান আলী ইবন আবদুল আষীয
বলেন, দাউদ ইবন আবদুর রহমান ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসটি ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে
বর্ণনা করেন নি ৷ তারপর বায়হাকী (র) বুখাবী (র) থেকে উদ্ধৃত করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
দাউদ ইবন আবদুর রহমান সত্যবাদীরাবী, তবে মাঝে মধ্যে তিনি ৰিভ্রান্তির শিকার হন ৷ আর
উমর (বা) হতে ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বুখারী (র)-এর রিওয়ায়াত পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷
যাতে তিনি বলেছেন, ওয়াদীল আকীকে’ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে করেছি, “আমার
প্ৰতিপালকের পক্ষ হতে জনৈক আপমনকারী আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময়
উপত্যকায় সালাত আদায় করল এবং বলুন হরুজ্জর সাথে উমরা ৷ ” সম্ভবত এ হাদীসই ইবন
আব্বাস (না)-এর বর্ণনার সনদ ও উৎস ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷
আবদুল্লাহ্ন্ ইবন উমর (না)-এর রিওয়ায়াত : বুখারী ও মুসলিম (র)-এর বিওয়ায়াত পুর্বে
উল্লিখিত হয়েছে, লায়ছ (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, বিদায় হভ্রুজ্জ্ব রাসুলুল্লাহ্
(সা) তামাত্তু করেছিলেন এবং হাদী নিয়ে এসেছিলেন ৷ হাদী নিয়ে এসেছিলেন যুল-হুলড়ায়ফা
থেকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) প্রথমে উমরার ইহরাম ৰাধেন তারপর হরুজ্জর নিয়াত করেন ৷ সাঈ
ইত্যাদির পরেও হালাল না হওরাসহ পুর্ণ হাদীস ইতােপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷ বিশদ
আলোচনার পরে সে ক্ষেত্রে আমরা সাবাস্ত করে এসেছি যে, নবী করীম (সা) এর এ তামাত্তু
ৰিশেস তামাত্তু অর্থে ফি! না; বরং তিনি কিরান করেছিলেন ৷ কেননা, এ কথা উদ্ধৃত হয়েছে
যে, তিনি তামাত্তু পালনকাৰী ছিলেন না ৷ যেহেতু তিনি হজ্জ ও উমরার জন্য অভিন্ন সাঈ
করেছিলেন, যা কিরান পালনকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং এটাই জম্হুরের’ অভিমত ৷ বর্ণনা
পরে আসছে ৷
হাফিজ আবু য়ালা আল-মাওসিলী (মসুল) বলেছেন, আবু খারছামা (র) ইবন উমর (রা)
সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তার কিরানের জন্য একটি মাত্র তাওয়াফ করছিলেন এবং সে দুরের
(হজ্জ ও উমরা) মাঝে হলোল হন নি এবং পথ থেকে হাদী খব্লিদ করে নিয়ে এসেছিলেন ৷ এ
সনদটি জ্যয়িৰুদ, বেশ উওম ৷ এর রাবীগণ সকলেই নির্ত্যযােগ্য ৷ তবে (আবু খায়ছামার
ন্-শারর) ইরাহ্য়া ইবনৰুয়ামড়ান (র); মুসলিম শরীফের রাবী : তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলেও সুফিয়ান
ছাওরী (বা) হতে গৃহীত তীর হাদীসসয়ুহে অ্যাহণযোণ্যতা রয়েছে ৷ আল্লাহুই সমধিক অবগত ৷
তাছাড়া ইবন উমর (রা)-এর রিওয়ায়াতের ইফরাদ’ এর উদ্দেশ্য হ্যজ্জ র কার্যক্রমকে ইফরাদ
ও স্বতন্ত্রকরণ ৷ ইমাম শাফিঈ (র) এর অনুসারীবর্পের স্থিব্লিকুত বািশষ ইফরাদ’ তথা প্রথমে
হজ্জ করার পরে যিলহজ্জ মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোতে উমরা পালন ইবন উমর (রা) এর
উদ্দিষ্ট ছিল না ৷ আমার এ বক্তব্যের প্রাধান্য প্রমাণ করবে শাফিঈ (র) এর বক্তব্য মালিক
(র)ইবন উমর (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, হাজ্জয় আগে উমরা পালন ও হাদী নিয়ে আসা
হক্কজ্জ্বর পরে যিলহজ্যের অবশিষ্ট দিনগুলোর্তে উমরা পালনের চাইতে আমার কাছে অধিক
পসন্দনীয় ৷
আবদুল্লাহ ইবন আমর (না)-এর রিওয়ায়াত : ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন আমর
(রা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহু (সা) কিরান করেছিলেন বায়তৃল্লাহ্ হতে
বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আশং কার ৷ আর তইি তিনি বলেছিলেন হজ্জ না
করা গেলে এটা হবে উমরা ৷ সনদ ও মতন (মুল পাঠ) বিচারে এ হাদীসটি বিরল ৷ ইমাম
আহমদ (র) একাকী এ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সনদের বিরলতা থােদ ইমাম আহমদ (র) (আবু
আহমদের শায়খ) রাৰী : ইউনুস ইবনুল হায়িস আচ্ওহাকাফী (র) সম্পর্কে বলেছেন, ইনি
হাদীসে অস্থির বর্ণনাদাতা (মুখতাবিব) ৷ তিনি তাকে মাঈফ্ন্ও বলেছেন ৷ অনুরুপ ইয়াহয়া
ইবন মাঈন (র) তার এক বর্ণনার ক্ষেত্রে এবং নসােঈ (র)-ও (সার্বিকভাবে) তাকে যাঈফ
সাবস্ত করেছেন ৷ আর মতন ও মুল পাঠের বিরলতা এ কারণে যে, তিনি যে বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কিরান করেছিলন ৷ বায়তুল্পাহ্ হতে বধোপ্রাপ্ত হওয়ার আশংকায়’, এখানে প্রশ্ন
আগে যে, নবী কয়ীম (না)-কে বায়তুল্লাহ্ হতে বাধা দেওয়ার মত এমন কে ছিল তখন? তখন
তো আল্লাহ্ তার জন্য ইসলামকে সরল ও বিজয়ী করে দিয়েছেন, পবিত্র শহর (মক্কা) বিজিত
হয়ে গিয়েছে এবং বিগত বছর হজের মওসৃমে মিনার অঙ্গনে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছিল যে, এ
বছরের পরে কোন মুশরিক হজ্জ করবে না, কোন ট্যাগ বায়তুল্পাহ্ তাওরাক করবে না ৷
তাছাড়া বিদায় হাজ্জ (মদীনা হতেই) প্রায় চল্লিশ হাজার লোক নবী কৰীম (না)-এর সহযাত্রী
হয়েছিলেন ৷
সুতরাং বায়তুল্পাহ্ হতে বাধা গ্ৰাপ্ত হওয়ার অশেঙ্কায় তার এ উক্তিটি তেমনি বিস্ময়কর
যেমন বিস্ময়কর আলী (রা)-কে বলা আষীরুল মুমিনীন উছমান (রা)-এর উক্তি ৷ যখন আলী
(রা) তাকে বলেছিলেন, “আপনি তো জানেনই যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে এসে
তামাত্তু (কিরান) করেছিলাম ৷ জবাবে উছমান (রা) বলেছিলেন, হী, তবে আমরা তখন শঙ্কিত
ছিলাম ৷ জ্যি আমি বুঝতে পারি না এ ভয় ও শষ্কাকে কোন অর্থেপ্ৰয়োগ করা হবেঃ তা যে
কোন দৃষ্টিকোণ থেকেই হোক না কেন, তবে ইা, যেহেতু এটি একড্ডা মহান সাহাৰীর
বিওয়ায়াত যা তিনি তার ধারণাকৃত কোন অর্থে প্রয়োগ করে বিবৃত করেছেন ৷ অতএব তার
বর্ণনা তো বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য; তবে তার ধারণাটি ত্রুটি মুক্ত নয় ৷ সুতরাং তা বষ্নািকারীর
ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং অন্যদের মুকাবিলায় তা প্ৰমাণরাপে গণ্য হবে না ৷ তবে, এতে
তার রিওয়ড়ায়াতটি প্রত্যাখ্যান হওয়া অনিবার্য হবে না ৷ আবদুল্লাহ ইবন আমৃর (রা)-এর
বিওয়ড়ায়াতটিও যদি তার পর্যন্ত সনদ সুত্র সাব্যস্ত হয়ে যায়, অনুরুপ (বিশুদ্ধ ও ব্যক্তিগত ধারণা
প্ৰসুত) সাব্যস্ত হবে ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷
ইমরান ইবন হুসায়ন (না)-এর বিওয়ায়াত : ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন
জাফর ও হাজ্জাজ (র)মুতাররিফ (র) সুত্রে বলেন, ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) আমাকে
বললেন, আমি তোমার কাছে একখানি হাদীস বর্ণনা করছি, আশা করি আল্পাহ্ তা দিয়ে
তোমাকে উপকৃত করবেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (না) তার হজ্জ ও উমরা একত্রিত করেছিলেন এবং
তার ওকাত পর্যন্ত তা আর নিষেধ করে মান নি এবং এ বিষয়টি হারাম ঘোষণা করে কুরআনও
অবতীর্ণ হয় নি ৷ আর (একটি বিষয়) এই যে, তিনি আমাকে সালাম করতেন, পরে আমি
কায়’১ লাপালে তিনি (সালাম চ্দয়া হতে) বিরত রইলেন ৷ অবাের আমি তা বর্জন করলে তিনি
পুনরায় আমাকে সালাম দিতে শুরু করলেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) মুহাম্মদ ইরনুল মুছান্না ও
মুহাম্মদ ইবন ইয়সাের (র) সুত্রে এবং ইমাম নাসাঈ (র) মুহাম্মদ ইবন আবদুল অলো (র)
১ করে রাত আষ্ঠীয় রোপের প্রবল প্ৰকোণে দোহ৷ গরম করে তবে দাগ দেয়ার কক্টদায়ক চিকিত্সা
ব্যবস্থা ৷ অনুবাদক
মুতাররিক (র) সুত্রে ইমরান (বা) হতে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অনুরুপ, মুসলিম
(র)-এর অন্য একটি রিওয়ায়াত শুব৷ (র)- সাঈদ ইবন আবু আরুবা (ব)ইমরান ইবনুল
হুসারন (বা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা একত্রে করেছেন
(পুর্ণ হাদীস) ৷ হাফিজ আবুল হাসান দার৷ কুতনী (র) বলেছেন, হুমায়দ ইবন হিলাল (র) শুবা
(র)-এর হাদীসটি (অনুচ্ছেদের প্রথম বিওরায়াত) বিশুদ্ধ ৷ আর মুতাররিফ (র) হতে কাতাদা
(র) সুত্রে গৃহীত শুব৷ (র)-এর হাদীস, তা বাকিয়্যা ইবনুল ওলীদ (ব)-ও শুব৷ (র) হতে
অনুরুপ ৰিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর গুনদার (র) প্রমুখ রিওয়ারাত করেছেন (সাঈদ ইবন আবু
আরত্রা সুত্রে) কাতাদা (র) থেকে ৷
গ্রস্থুকারের মন্তব্য : নাসাঈ (র)-ও তার সুনানে আমুর ইবন আলী আল ফাললাস (র) সুত্রে,
ইমরান ইবনুল হুসড়ায়ন (বা) হতে এ হাদীসটি রিওয়ারাত করেছেন ৷ আল্লাহ যথার্থ অবগত ৷
তবে সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে হাম্মাম (র) (কতোদা মুতাররিক) ইমরান ইবনুল হুসায়ন (বা)
হতে প্রামাণ্য রিওয়ান্নাত রয়েছে যে, তিনি (ইমরান) বলেন, “আমরা ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মুাগ
তামাত্তু (কিরান) করেছি ৷ তারপর তা হারাম সাবাস্ত করে কুরআন নাযিল হয় নি এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার ওফাত পর্যন্ত তা নিষিদ্ধ করে যান নি ৷”
আল হিরমাস ইবন যিয়াদ আল বাইিলী (রা)-এর বিওয়ারাত : ইমাম আহমদ (র)-এব পুত্র
আবদুল্লাহ (র) বলেন, রারুৰ্ শহরের বাসিন্দা আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ্ ইবন ইমরান ইবন আলী
(র) (মুলত যিনি ইসপাহানী ছিভ্রুল্যা)আল হিরমাস (বা) হতে, তিনি বলেন, আমি আমার
পিতার সহআরােহী ছিলাম ৷ তখন নবী কবীম (না)-কে দেখলাম তিনি একটি উটের পিঠে
ছিলেন আর তিনি বলছিলেন “আপনার সকাশে হাযির এক সাথে
হজ্জ ও উমরা নিয়ে ৷ এ হাদীস সুনান গ্রহসমুহের শর্তানুরুপ, তবে তার! এটি উদ্ধৃত করেন নি ৷
উম্মুল মুসির্নীন হাফ্স৷ ৰিনৃত উমর (রা)-এর ব্লিওয়ারাত : ইমাম আহমদ (র) বলেন,
আবদুর রহমান (র)হাফ্সা (বা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী কবীম (না)-কে
বললেন, আপনি আপনার উমরা হতে হালাল হলেন না কেন? জবাবে তিনি বললেন-
“আমি মাথা (আঠাল দ্রব্য দিয়ে) জড়িয়েছি এবং আমার হাদীকে ’মাল৷ পব্লিয়েছি, তইি
কুরবানী না করা পর্যন্ত আমি হলোল হন না ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়েও এ হাদীসটি উদ্ধৃত হয়েছে ৷
র্তাদের ভায্যে রয়েছে যে, হাফ্সা (বা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! লোকদের অবস্থা কী ? তারা
তো উমরা থেকে হালাল হয়ে গেল ৷ অথচ আপনি আপনার উমরা হতে হালাল হলেন না কেন?
তিনি বললেন, “আমি আমার হাদীকে মালা’ পরিচয়ছি এবং মাথা জড়িয়েছি, তইি (হাদী)
যবইি না করা পর্যন্ত আমি হালাল হন না ৷ ” ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, শুআয়ব ইবন
আবু হামমা (র)নাফি (র) সুত্রে বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলতেন, নবী কয়ীম
(না)-এর সহধর্মিণী হাফসা (রা) আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হরুজ্জা
সময় তার সহধর্মিণীগণকে হালাল হয়ে যাওয়ার হুকুম দিলেন ৷ তখন তাদের একজন র্তাকে
বললেন, “আপনাকে হালাল হওয়াতে বিরত রাখছে কোন বিষয়?” তিনি বললেন-
“আমি আমার মাথা (আঠাল দ্রবাে) জড়িয়েছি এবং আমার হাদীকে মালা পরিয়েছি, তইি
আমার হড়াদী যবাই না করা পর্যন্ত হালাল হচ্ছি না ৷ আহমদ (র) আরো বললেন, ইয়াকুব ইবন
ইবরাহীম (র)আেবদৃল্লাহ্ ইবন উমর) হাফসা বিনৃত উমর (বা) হতে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ র্তার (পরিবারের) নারীদের উমরা করে হালাল হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আমরা
বললাম, “আমাদের সাথে আপনার হালাল হয়ে যাওয়াতে কোন বিষয় বাধা সৃষ্টি করছে ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! তিনি বললেন, “আমি হড়াদী নিয়ে এসেছি এবং মাথায় আঠাল্যে বস্তু লাগিয়েছি,
তইি আমার হাদী যৰাই না করা পর্যন্ত হালাল হব না ৷ তারপর আহমদ (র) রিওয়ারাত
করেছেন, কাহীর ইবন হিশাম (র)হাফসা (রা) সুত্রে ৷ এ হাদীসে তো এ কথাই রয়েছে যে,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) উমরা পালনকারী ছিলেন এবং তা থেকে হালাল হন নি৷ আর ইভােপুর্বে
উল্লিখিত ইফরাদঔ সম্পর্কিত হাদীসসমুহে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি হজ্যেরও ইহরাম
করেছিলেন ৷ সুতরাং এ দৃই হড়াদীসের সমন্বিত অর্থ দাড়ায় এই যে তিনি কিরান করেছিলেন ৷
সেই সাথে এ বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনা সম্বলিত রিওয়ারাতসমুহ তাে পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷
আল্লাহ সমধিক অবগত ৷
উম্মুল ঘু মিনীন হযরত আইশা (রা)-এর রিওয়ারাত : বুখারী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন
মাসলামা নবী সহধর্মিণী অইিশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বিদায় হচ্ছে আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমরা উমরার জন্য ইহরাম করলাম ৷ তারপর নবী
কবীম (সা) ইরশাদকরলেন
“যার যা ড়াথে হাদী রয়েছে যে উমরার সাথে হজ্যে ইহরাম বেধে সেরে, তারপর সে হালাল
হয়ে না, অবশেষে একত্রে দু’টি থেকে হালাল হবে ৷” (অইিশা রা বলেন) আমি মক্কায়
পৌছলাম ঋতুবভী অবস্থায় ৷ তইি আমি বায়তৃল্লাহ্ তাওয়াফ করলাম না, সফোমারওয়ায়ও
না ৷ আমি এ বিষয় রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর কাছে করিয়াদ জানালাম ৷ তিনি বললেন-
“তোমার বেনী (ণ্খড়াপা) খুলে ফেল, চিরুনী ব্যবহার কর এবং হরুজ্জর ইহরাম বীধো ও
উমরা ছেড়ে দাও ৷” (আইশা রা বলেন) আমি তাই করলাম ৷ আমি হজ্জ সমাধা করলে
রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাকে (আমার ভাই) আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রা)এর সাথে
তানঈমে’ পাঠিয়ে দিলেন ৷ তখন আমি উমরা করলাম ৷ নবী কৰীম (সা) বললেন “এটি তোমার উমরার (ইহৱামের) স্থান ৷” অইিশা (রা) বললেন, মারা উমরার ইহরাম
করেছিলেন তারা ৰায়তুল্পাহ্র তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার পর হালাল হয়ে
গেলেন ৷ তারপর মিনা হতে ফেরার পরে তারা আর একবার তাওয়াফ সাঈ করলেন ৷ আর
যারা হজ্জ্ব-উমরা একত্রিত করেছিলেন তারা একরাবই মাত্র (সাফা-মারওয়ার) সাঈ করলেন ৷
মুসলিম (র) ও মালিক (র) সুত্রে এরুপ রিওয়ারাত করেছেন ৷ তারপর তিনি (মুসলিম) আবদৃ
ইবন হুমায়দ (র)অইিশা (বা) সুত্রেও রিওয়ারাত করেছেন ৷ অইিশা (রা) বলেন, বিদায়
হজের বছর আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সাথে বের হলড়াম ৷ আমি উমরার ইহরড়াম রাধলাম ৷
আমি হাদী সাথে নেই নি ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “যার সাথে হাদী রয়েছে সে যেন তার
উমরার সাথে হভ্রুজ্জর ইহরড়াম বেধে নেয়, যে বানান হবে না ৷ অবাশষে দু টি হতে একত্রে
হাসাল হবে
এখানে হাদীসটি উল্লেখে আমার উদ্দেশ্য, নবী করীম (সা)-এর বাণী “যার সাথে হাদী
রয়েছে যে উমরার সাথে হাজ্জ্বর ইহরাম বীধবে ৷ এখন নবী কবীম (সা)-এর সাথে যে হড়াদী
ছিল তা তো সকলেরই জানাকথা ৷ তা হলে, এ বিধান বাস্তবায়নে তিনিই সর্বপ্রথম ও সবার
আগে থাকবেন ৷ কেননা, স্বীকৃত নীতি অনুসারে যিনি যা বলেন, তা তার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম
প্রযোজ্য ৷ দ্বিতীয়ত আইশা (বা) বলেছেন, র্যার৷ হজ্জ ও উমর৷ একত্রে করার নিয়ত করেছিলেন
র্তারা একবার সাঈ করেছিলেন ৷ অন্য দিকে ঘুসলিম (র) আইশা (বা) হতে রিওয়ায়ড়াত
করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফা-মারওয়ার মাঝে একবারমাত্র সাঈ করেছিলেন ৷ এতে বুঝা
যায় যে, তিনিও হজ্জ-উ মর৷ এ কত্রে করেছিলেন ৷ এছাড়া মুসলিম (র) এর আর একটি
রিওয়ায়াত রয়েছে হাম্মাদ ইবন যায়দ (র) আইশা (বা) সুত্রে, তিনি বলেন, হাদী তো ছিল
নবী কবীম (সা) এর সাথে এবং আবু বকর, উমর ও অন্যান্য সঙ্গতিসম্পন্নদের সাথে ৷
তৃতীয়ত আইশা (বা) উত্তহুপে করেছেন যে, নবী করীম (সা) হজ্জ ও উমর৷ দুটির মধ্যখানে
হালাল হন নি; সুতরাং তিনি তামাত্তু পালনকারী ছিলেন না ৷
হযরত আইশা (রা) আরো উল্লেখ করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে র্তাকে
তানঈম হতে উমর৷ করাবার আবদার জানিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্া
লোকেরা হজ্জ ও উমর৷ নিয়ে যাচ্ছে আর আমি শুধু হজ্জ নিয়ে বারো ? তখন নবী করীম (সা)
তাকে তার ভাই আবদুর রহম্ান ইবন আবু বকর (বা) এর সাথে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তিনি তাকে
তানঈম হতে উমরার ইহরাম বাধিয়ে আনলেন ৷ কিং নবী করীম (সা) নিভ্রুজও হহ্মের পরে
উমর৷ করেছেন এমন উল্লেখ পাওয়া যায় না ৷ সুতরাং ড়াতিনি ইকরাদ পালনকারী ছিলেন না ৷
অথচ বিদায় হজ্যে তিনি যে উমরাও আদায় করেছিলেন, তাতে রয়েছে বর্ণনাকাবীদের
ঐকমত্য ৷ কাজেই বুঝা গেল যে, তিনি কিরান পালন করেছিলেন ৷ অল্লোহ্ই সমধিক
অবগত ৷
তাছাড়া হাফিজ বায়হাকী (র)-এর পুর্বোল্লিখিত্ত রিওয়ায়াত : ইয়াষীদ ইবন হারুন (র)
বাবা ইবন আযিব (বা) সুত্রে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তিনবার
উমর৷ করেছেন, যার সবগুলো ছিল যিলকদ মাসে ৷ তখন আইশা (বা) বললেন, তিনি (বাবা)
তো জানেন যে, রাসুলুল্লাই (সা) তার হভ্রুজ্জর সাথের উমরাটি নিয়ে (মোট) চারটি উমরা
করেছিলেন ৷ বায়হড়াকী (র) ৰিরােধপুর্ণ’ ( ধ্ষ্এেএ১া৷ ) অনুচ্ছেদে বলেছেন ৷ ককীহ্ আবু বকর
ইবনুল হারিছ (র) যুজাহিদু (র) সুত্রে তিনি বলেন, ইবন উমর (রা) কে জিজ্ঞেস করা হল
“রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়টি উমর৷ করেছিলেন? তিনি বললেন, দু বার ৷ তখন আইশা (রা)
বললেন, ইবন উমর (রা) অবশ্যই জানেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) তিনবার উমর৷ করেছিলেন যে
উমরাটি ছাড়া যা তিনি বিদায় হ্যজ্জর সাথে একত্রে করেছিলেন ৷ তারপর বায়হাকী (র)
বলেছেন, এটি একটি নিদেষি’ সনদ ৷ তবে এটি ঘুরসাল’ কেননা, অনেক যুহাদ্দিছের উক্তি
মতে মুজাহিদ (র) আইশা (বা) থেকে (সরাসরি) হাদীস শুনেন নি ৷ আমার মতে, শুবা (র)
তা (আইশা (বা) হতে মুজা হিদের সরাসরি শ্রবণ) অস্বীকার করেছেন, কিন্তু বুখারী-মুসলিম
(ব) তো তার যথার্থতা গ্নমাণিত করেছেন৷ আল্লাহ্ই সমধিব ন্ অবগত ণ্
অন্য দিকে, কাসিম ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু বকর ও উরওয়া ইবনুয যুবায়র (ব)
প্রমুখ সুত্রে আ ৷ইশা (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, বিদায় হরুজ্জর সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাথে হাদী ছিল ৷ সেই সাথে তানঈম হতে হযরত আ ৷ইশার কার্যক্রম এবং পরে মুহাসসাবে
মক্কাব৷ ৷সীদের কাছে নবী করীম (সা) এর অবতরণকালে (আ ইশা-এব) তার সাথে একত্রিত
হওয়া এবং সেখানে অবস্থান করে মক্কায় ফজর সালাত আদায় করে মদীনায় প্রত্যাবর্তন এ সব
প্রতীয়মান করে যে, নবী করীম (সা) র্তার ঐ হদুজ্জর পরে উমর৷ করেন নি এবং কোনও
সাহাৰী ত৷ উদ্ধৃত করেছেন বলে আমার জ ৷ন৷ নেই ৷ আর এ কথাও জানা রয়েছে যে, তিনি দুটি
পর্বের (হজ্জ ও উমরার) মাঝে হল ৷ল হন নি এবং কেউ এমন বিওয়ায়াও ও করেন নি যে,
বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ায় সা ৷ঈর পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাথা ঘুণ্ডন কবিয়েছেন,
কিৎবা চুল ছেটেছেন বা (অন্য কােনভ৷ বে) হালাল হয়েছেন ৷ বরং সর্বসম্মতভা বে তিনি
ইহরামের অবস্থায় রয়েছেন এবং এমন উদ্ধৃতিও পাওয়া যায় নি যে, তিনি মিনায় যাওয়ার
প্রকারুল (সাতআট তারিখে) হরুজ্জর জন্য নতুন ইহরাম বেধেছেন ৷ অতএব, প্রমাণিত হল যে, ন্
তিনি তামাত্তু পালনঃকারী ছিলেন না ৷
মােটকথা, এ কথা সর্বসম্মত যে, নবী করীম (সা) ৰিদৃায় হবুজ্জর বছর উমরা করেছিলেন,
তারপর দুই আমলের মাঝে হালাল হন নি; হৰ্জ্জ্বর জন্য নতুন ইহরাম বাত্তবন নি এবং হরুজ্জর
পরে উমরাও করেন নি ৷ সুতরাং কিরান হওয়া অবধাবিত ৷ এ যুজিং জবাব সত্যই কঠিন ৷
আল্লা ৷হ্ই সমধিক অবগত
ভিন্ন দৃষ্টিকোণে ইফরাদ ও ভাষা ৷ভু সম্পর্কিত বিওয়ায়াতকাবিগণ যে ৰিষয়টিতে অস্বীকৃতি
কিংবা নিরবতা অবলম্বন করেছেন ৷ কিরানের বিওয়ায়াত ৩াই সাব্যস্ত করেছেন ৷ অতএব,
উসুলে হাদীসের’ বিধান (নির্ভরযোগ্য রাবীর অতিরিক্ত বর্ণন৷ গ্রহণযোগ্য) মতে কিরান বিষয়ক
বিওয়ায়াত অহ্া৷ ৷ধিকা ৷রযোগ্য ৷
আবু ইমরান (ব) হতে বর্ণিত, তিনি তার মাওলা১দের সাথে হজ্জ করতে গেলেন ৷ তিনি
বলেন, আ ৷মি উম্মু স৷ ৷লামা (রা) এর ক৷ ছে গিয়ে বললাম, হে উম্মুল মু মিনীন! আ ৷মি আগে কখনো
হজ্জ করি নি; এখন কো ৷নটি দিয়ে শুরু করব উমরা দিয়ে না কি হজ্জ দিয়ে? তিনি বললেন,
“তোম৷ ৷ব যা ৷ইচ্ছা সেটি দিয়ে শুরু করতে পড়ার ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, তারপর আ মি উম্মুল মু মিনীন
সাফিয়্যা (রা) এর কাছে গিয়োতাকেও জিজ্ঞা ৷সা করলাম, তিনিও আম৷ বুক অনুরুপ বললেন ৷
তখন আমি আবার উম্মু সালাম৷ (রা) এর কাছে এসে তার্কে সাফিয়্যা (বা) এর উক্তি
সম্পর্কে অবহিত করলাম ৷ এবার উম্মু সালাম৷ (রা) আম৷ ৷কে বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
আমি বলতে ১-ওনেছি
১ আযাদকারী মনিব ও আষাদকৃত গোলাম উভয়কে মাওলা বলা হয় ৷ অনৃবাদক
হে মুহাম্মদ পরিবার! তোমাদের মাঝে যারা হজ্জ করবে তারা যেন হস্কজ্জর সাথে উমরার
ইহরাম বীধে ৷” ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসটি রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ আর
ইবন হামম (র) হাজ্জাতুল ৰিদা’-এ এ হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন লায়ছ ইবন সাদ (ব)
উম্মু সালামা (রা) সুত্রে ৷
অনুচ্ছেদ : বিওরায়াতসমুহের সমন্বয় সাধন
কেউ যদি প্রশ্ন করেন আপনারা সাহাৰীদের অনেকের বরাতে এ মর্মে রিওয়ায়াত করেছেন
যে, নবী করীম (সা) ইফরাদ হজ্জ করেছিলেন ৷ তারপর সে অভিন্ন মনীষীবর্গ ও অন্যদের বরাতে
এ রিওয়ায়াতও করেছেন যে, তিনি হজ্জ ও উমরা একত্রে করেছিলেন ৷ এখন এতে সমন্বয় হবে
কী রুপে ? এর জবাব এই যে, যারা তার ইফরাদ হজ্জ করার রিওয়ায়ড়াত বর্ণনা করছেন তা এ
অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে যে, তিনি হাজ্জব আ ৷নুষ্ঠানিকতা ৷গুলোকে এককতাবে আদায় করেছেন
এবং উমরা (এর ক্রিয়াওলো) নিয়ত ,কর্য ও সময়ের দিক থেকে হভ্রুজ্জ্বর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিল ৷
আর এতেই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি হজ্জ-এর জন্যে কৃত তাওয়াফ্ ও সাঈকে হজ্জ ও উমরা
উতয়টির জন্যে যথেষ্ট মনে করেছেন যা কিরান ক্ষেত্রে জমহুর ও গরিষ্ঠ সংখ্যক ইমামের
মাযহাব ৷ তবে এ ক্ষাত্র ইমাম আবু হানীফা (র)-এর দ্বিমত রয়েছে ৷ যেহেতু তিনি কিরান
পালনকারীর জন্য দু টি ৩াওয়া শ্ এবং দু টি সা ঈ পালনের অভিমত পোষণ করেছেন এবং এ
বিষয় হযরত আলী (রা) হতে বণিত হাদীসের উপরে নির্ভর করেছেন ৷ অবশ্য তার সাথে ঐ
হাদীসের সনদের সম্পৃক্তি প্ৰশ্নাতীত নয় ৷ আর যে বর্গনাকারিগণ তামাত্তু সম্পর্কিত রিওয়ায়াতের
পরে কিরান সম্পর্কিত রিওয়ায়াতও করেছেন, তার জবাব তো আমরা আগেই উল্লেখ করে
এসেছি যে, পুর্ববর্তী যুগের আলিমগণের বক্তব্যে তামাত্তু শব্দ ব্যাপক অর্থে ৰিশেব তামাত্তু ও
রুিরান’ এ উতয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ৷ ববং হরুজ্জর মাসওলোতে’ শুধু উমরা করা তার সাথে
হজ্জ একেবারেই না থাকলেও, একেও তারা ঐ নামে অভিহিত করতেন ৷ যেমন সাদ ইবন আবু
ওরকোস (রা) বলেছেন, ”আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে থেকে তামাত্তু’ করেছি, যখন এ
সোকটি, অর্থাৎ ঘুআবিয়৷ (রা) মক্কায় কাফিররুগে জীবন-যাপন করছিল ৷ এ ক্ষেত্রে অবশ্যই
হুদায়বিয়া অথবা উমরাতৃল কায৷ এ দুঢির কোন একটি বুঝিয়েছেন ৷ কেননা, জিইররানার
উমরার সময় তো মুআৰিয়৷ (রা) মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন ৷ কারণ, তা ছিল মক্কা বিজয়ের
পরে ৷ আর বিদায় হজ্জ তাে ছিল তারও পরে দশম হিজরীতে ৷ সুতরাং বিষয়টি সুস্পষ্ট ৷ আল্লাহ্ই
সমধিক অবগত ৷
যদি এমন প্রশ্ন উত্থাপন করা হয় যে, আবু দাউদ তায়ালিসী (র)-এর ঘুসনাদে বর্ণিত
রিওয়ায়াতটির জবাব কী? হিশীম (ব)মুআৰিরা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এব একদল সাহাবীকে বললেন, “আপনারা কি জানেন যে, ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) চিতা বাঘের
চামড়া ব্যবহার নিষেধ করেছেন? তারা বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী, ছু৷ (তাই) ৷ মৃআবিয়৷ (রা)
বললেন, আমিও সে সাক্ষী দিচ্ছি ৷ মুআৰিয়া বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) (পুরুষের জন্য) খণ্ডিত
আকারে ছাড়া স্বর্ণালং কার পরিধান নিষেধ করেছেন ৷ তারা বললেন, আল্লাহর কলম! হা
(তাই) ৷ তিনি বললেন, আপনারা কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা একত্রে করতে
নিষেধ করেছেন? তীরা বললেন, আল্পাহ্ সাক্ষী না (তেমন নয়) ৷ তখন মুআবিয়৷ (রা) বললেন,
আল্লাহর কসম ! এটিও অবশ্য ঐওলোর সাথে রয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান
(র) আবু সারহ অল-হনাঈ (র) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সড়াহ!বীগণের একটি
জামাআতের সাথে আমিও মুআবিয়া (রা)-এর কাছে ছিলাম ৷ ঘুআবিয়া (বা) বললেন, আল্লাহর
নামে কলম দিয়ে আমি আপনাদের বলছি, আপনারা তো জানেনই যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) চিতা
বাঘের চামড়ার চড়ে বসা নিষেধ করেছেন? তারা বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী, তাই ! তিনি বললেন,
আপনারা তাে জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (স!) খণ্ডিত আকার ব্যতীত সোনা ব্যবহার নিষেধ
করেছেন ৷ র্তারা বললেন, আল্লাহ সাক্ষী, তাই ! তিনি বললেন, আপনারা আরে! জানেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সােনা-রুপার পড়াত্রে পান করা নিষেধ করেছেন! তার! বললেন, আল্লাহ সাক্ষী !
তাই! তিনি বললেন, আর এ ও জানেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (স!) তড়ামাত্তু (কিরান) হজ্জ নিষেধ
করেছেন ৷ তার! বললেন, আল্লাহ সাক্ষী ! তা নয়! আহমদ (র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন
জাফর (র)আবু সারহ আল-হুনাঈ (র) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি মুআবিয়া
(রা)-এর কাছে উপস্থিত ছিলেন, তখন তার কাছে নবী করীম (সা)এর সাহ!বীগণের একটি
জামআেত ছিল ৷ যুআৰিয়া (বা) তড়াদের বললেন, আপনারা কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ঢিতা বাঘের চামড়ার বসতে নিষেধ করেছেন? তার! বললেন, হী ! তিনি বললেন, আপনারা
জানেন যে, আল্লাহর রাসুল (স!) রেশম পরিধান করা নিষেধ করেছেন! তীর! বললেন, আল্লাহ্
সাক্ষী, ভু৷ (তইি)! তিনি বললেন, আপনার! কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (স!) সােনা-রুপার পাত্রে
পান করা নিষেধ করেছেন? তার! পেলেন, আদ্মাহ্ সাক্ষী, হ!! তিনি বললেন, আপনারা জানেন
কি যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমর! একত্রে নিষেধ কারছেঃ? তার! বললেন, আল্লাহ সাক্ষী !
না! ঘুআবিয়া (রা) বললেন, তবে আল্লাহর কলম! অবশ্যই এটিও সেগুলোর সাথে রয়েছে ৷
হদ্যোদ (র)-ও (কাতাদা হতে) অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি অতিরিক্ত
বলেছেনতাব আপনারা তা তুলে গিয়েছেন ৷ অনুরুপ (এ অতিরিক্ত অংশ) মুল পাঠসহ
রিওয়ায়াত করেছেন আশআছ ইবন সেবার প্রমুখ (কাতাদা থেকে) ৷ আর মাতার আল
ওয়াররাক ও বুহড়ায়স ইবন কাহ্দান (র) ও আবু সারহ (র) সুত্রে তমােত্ত্ব হজ্জ সম্পর্কে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অন্য দিকে আবু দাউদ (র) ও নাসাঈ (র) এ হাদীস আবু সারহ আল
হুনাঈ হতে উল্লিখিত সনদের একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
এ হাদীসটির সনদ বেশ উত্তম ৷ তবে এ হাদীসে হজ্জ ও উমর! একত্রিত করা নিষিদ্ধ
হওয়ার অংশটুকু হযরত ঘুআবিয়া (রা) বরাতে রিওয়ায়াত হওয়া অতি বিরল ৷ তবে এমন হতে
পারে যে, মুল হাদীসটি শুধু মুতা বিবাহ সম্পর্কিত রাবী সেটিতে তমােত্তু হজ্জ স ক্রান্ত বলে
ধারণা করেছেন ৷ অথচ তা ছিল মুতআ বিবাহ সষ্ ক্রান্ত ৷ তবে উপস্থিত সাহাবীগণের কাছে
যুতআ বিবাহ নিষিদ্ধ হওয়া বিষয়ক কোন রিওয়ায়াত ছিল না (বিধায় তারা না সুচক জবাব
দিয়েছেন) কিৎবা এমনও হতে পারে যে, মুল রিওয়ায়াতে কিরান’ সং যুক্তিকরণ নিষিদ্ধ হওয়ার
কথা ছিল বটে ! তবে তা (হকৃজ্জর কিরান নয় বরং সমপরিমাণে প্রদত্ত চাদার পয়সায় কেনা বা
দলবদ্ধভারে সংগৃহীত খেজুর (ইত্যাদি খাওয়ার সময়) সং যুক্ত করা অর্থাৎ এক সঙ্গে দৃ দৃ টি
মুখে তুলে দেয়া নিষেধ হওয়া সম্পর্কিত ৷ যেমন ইবন উমর (বা) হতে বর্ণিত হাদীসে
রয়েছে ৷ কিন্তু রাবী (কিরান শব্দ থাকার কারণে) হকৃজ্জর কিরান বলে ধারণা করেছেন ৷ অথচ
বাস্তব ব্যাপার তা নয় ৷ কিৎবা এমনও হতে পারে যে, ঘুআৰিয়া (বা) যখন বলেছিলেন, তখন