দশ এবং মদীনায় আট বছর অবস্থান করলেন এবং ইনতিকাল করলেন যখন তার বয়স (তষট্টি
বছর ৷ কিন্তু এরুপ বিবরগে বর্ণনাটি অতিশয় বিরল প্রকৃতির ৷ ষ্আল্লাহ্ই সমাধিক অবগত ৷
নবী করীম (সা) কে গোসল দানের বিবরণ
পুর্বেই বিবৃত হয়েছে যে, সাহারা-ই কিরাম (রা) সােমবারের অবশিষ্ট সময় এবং
মংগলবারের কতকাংশ আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে বায়আত সম্পাদনে অতিবাহিত
করেছিলেন ৷ বায়আতের বিষয়টি সুস্থির হলে এবং যথাযথরুগে সম্পাদিত হলে তারা
রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাফন-দাফনের কাজের সুচনা করলেন এবং তারা আগত যে কোন
সমস্যার আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর সিদ্ধান্ত মেনে চলছিলেন ৷ ইবন ইসহাক (র)-এর বিবরণ
আবু বকর (রা)-এর বড়ায়’আত সম্পন্ন হলে মংগলরারে লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাফন-
দাফান মনযোগী হলেন ৷ ইবন ইসহাক (র) আইশা (রা) সনদের এ হাদীস পুর্বেই উল্লিখিত
হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) সোমবারে ইনতিকাল করেছিলেন এবং বধবার (পুর্ব) রাতে তাকে
দাফন করা হয় ৷
আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র) বলেন, আবু যুআবিয়া (র) সুলায়মান (র)-এর পিতা
বুরায়দা (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, র্তারা যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে গোসল দিতে শুরু
করলেন তখন অন্দর থেকে একজন অদৃশ্য ঘোষণাকারী বলে উঠলেনশ্ “রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
জামা খুলো না যেন! ইবন সাজা (র) হাদীসটি আবু ঘুআবিয়া (র) হতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন আব্বাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (র)
আইশা (রা) থেকেতিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে গোসল দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে
উপস্থিত লোকজন বলাবলি করতে লড়াণলেন, আমরা তাে বুঝতে পারছি না যে আমাদের
অন্যান্য মৃত ব্যক্তিদের যেমন কাপড় খুলে ফেলে থাকি রাসুলুল্লাহ (না)-কে তেমন কাপড় মুক্ত
করব নাকি তার কাপড় তার গায়ে রেখেই গোসল দেবে ? তীরা এ ব্যাপারে মতানৈক্যের
শিকার হলে আল্লাহ তাদের উপরে নিদ্রা চাপিয়ে দিলেন ৷ এমন কি তাদের প্রত্যেকের চিবুক
বুকের সংগে লেগে যেতে লাগল ৷ তারপর জনৈক অদৃশ্য বক্তা ঘরের কোণ হতে তাদের সাথে
কথা বললেন ৷ তারা র্তাকে চিনতে পারছিলেন না ৷ ঘোষক বললেন, তোমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
কে কাপড় পরিহিত অবস্থায় গোসল দাও ! তখন র্তারা রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকটে গেলেন
এবং তার কাযীস র্তার গায়ে রেখেই তাকে গোসল দিলেন ৷ কামীসের উপর হতেই পানি ঢেলে
হাত না লাগিয়ে তারা জামাসহ বদন সৃরারক রপড়ে দিচ্ছিলেন ৷ এ প্রসংগে অইিশা (বা)
বলতেন, পরে যা আমি দেখতে পেলাম আগেই তার উপলব্ধি হলে রাসুলুল্লাহ (না)-এর ঘরের
নারীকুলই র্তাকে গোসল দেয়ার দায়িতু আঞ্জাম দিত ৷ আবু দাউদ (র) ইবন ইসহাক (র) হতে
হাদীসটি বিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, ইয়াকুব (র)ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে গোসল দেয়ার জন্য সমবেত হল ৷ ঘরে তখন ছিলো শুধু
তার পরিবারের লোকেরাই, তার চাচা আব্বাস ইবন আবদুল ঘুত্তালিব, আলী ইবন আবু
তালিব, ফঢুযল ইবন আব্বাস, কুছাম ইবনুল আব্বাস, উসাম৷ ইবন যায়দ ইবন হারিছা এবং
তীর আযাদকৃত গোলাম সালিহ (রা) ৷ এরা সকলে নবী করীম (সা) কে গোসল দেয়ার জন্য
সমবেত হলে বনু আওফ্ ইবনুল খাবৃরাজের অন্যতম সদস্য, অন্যতম বদরী সড়াহাবী আওস
ইবন খাওলী (বা) সমবেত লোকদের পিছন হতে আলী ইবন আবু তালিব (রা) কে ডাক দিয়ে
বললেন, হে আলী ৷ আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ব্যাপারে
আমাদেরও তো দাবী ওয়েছে ৷ তখন আলী (রা) র্তাকে বললেন, ভিতরে আসুন! তিনি তখন
ভিতরে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে গোসল দান প্রত্যক্ষ করলেন; তবে গোসল দানের কোন
কাজে প্রত্যক্ষ অংশ নিলেন না ৷ গোসল দেয়ার জন্য নবী করীম (সা) এর মুবারক দেহকে
আলী (বা) নিজের বুকের সাথে হেলান দিয়ে রাখলেন, তখনও তীর কামীস তার বদন মুব্যবকে
ছিল ৷ আব্বাস, ফায্ল ও কুছাম আলী (রা) কে দেহের পার্শে পরিবর্তান সহায়তা করছিলেন ৷
উসামা ইবন মায়দ এবং তার গোলাম সালিহ, এ দু’জন পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন এবং আলী (রা)
তাকে গোসল দিচ্ছিলেন ৷ তবে সাধারণ মৃতদের যা দেখা যায় তেমন কিছু (অপবিত্রতা)
আলী (বা) নবী করীম (না) হতে দেখতে পেলেন না ৷ তাই তিনি বলে যাচ্ছিলেন “আমার
মড়াবড়াপ আপনার জন্য কুরবান ! জীবনে ও মরণে আপনি কতই না পুত পবিত্র ! এভাবে র্তারা
রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে গোসল দানের কাজ বরইপাতা ও পানি দিয়ে সমাধা করলে র্তার পানি
শুকাবার ব্যবস্থা করলেন ৷ তারপর তেমনই করলেন যেমন সাধারণ মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে করা
হয়ে থাকে ৷ তড়ারপরে তিনখানি কাপড় দিয়ে র্তাকে কড়াফন দেয়া হল ৷ দুই থানা সাদা কাপড়
একখড়ানি ইয়ামানী ভোরাদার চাদর ৷ রর্ণনাকড়ারী (ইবন আব্বাস) বলেন, পরে আব্বাস (বা)
দুজন লোক ডেকে তড়াদের বললেন, তোমাদের একজন যাবে আবু উব্যয়দা ইবনুল জাররাহ
(রা) এর কাছে ৷ আবু উবায়দা (বা) মক্কাবাসীদের জন্য সিন্দুক’ কবর তৈরী করতেন ৷
অন্যজন যাবে আবু তড়ালুহা ইবন সাহল আনসারী (রা)-এব কাছে ৷ আবু তালুহা মদীনাবাসীদের
জন্য বগলী’ কবর খনন করতেন ৷ বণ্নািকারী বলেন, এ দুজনকে দুদিকে চলে যেতে বলার
পরে আব্বাস (বা) বললেন, ইয়ড়া আল্লাহ! আপনার রড়াসুলের জন্য ( পসন্দনীয় করব) আপনি
নির্ধারিত করুন ! বর্ণনাকারী বলেন, লোক দু’জন গতব্য পথে চলে গেল ৷ কিন্তু আবু উবায়দা
(রা)-ব উদ্দেশ্যে পমনকারী ব্যক্তি আবু উবারদা-র সাক্ষাত (পল না এবং আবু তালুহা (না)-র
উদ্দেশ্যে প্রেরিত ব্যক্তি আবু তড়ালচুহাকে পেয়ে গেল ৷ তিনি এসে অড়াল্লাহ্র রাসুল (সা) এর জন্য
বগলী কবর খনন করে দিলেন ৷ এটি হল আহমদ(র)ন্ এর একক বর্ণনা ৷ য়ুসৃস ইবন বুঝায়র
(র) আলু আলবড়া’ ইবন আহ্মর (র) সুত্রে বলেছেন,আলী ও ফাঘৃল (বা) রাসুলুল্লাহ (সা)কে
গোসল দিচ্ছিলেন ৷ তখন আলী (রা)-কে ডাক দেয়া হল তােমার দৃষ্টি আকাশের দিকে ভোল
৷ এ সনদটি ঘৃনকাতি (মধ্যবর্তী সনদ বিচ্ছিন্ন) ধরনের ৷
গ্রন্থকার: কোন কোন স্নান গ্রন্থ সংকলক আলী ইবন আবু তালিব (বা) হতে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ নবী কয়ীম (সা) আমাকে ওসিয়ত করেছিলেন যে, আমি ব্যতীত অন্য কেউ তাকে
গোসল দিয়ে না ৷ কেননা, (তিনি বলেছিলেন যে) যে কেউ আমার গুপ্তস্থানে দেখলে তার দুই
চোখ বিকৃত করে দেয়া হবে ৷ আলী (বা) বলেন, তাই আব্বাস ও উসড়ামা পর্দার পিছন হতে
আমাকে পানি এগিয়ে দিচ্ছিলেন ৷ (গ্রন্থকারের মন্তব্য : ) এ বিবরন অভিনয় বিরল পর্যায়ের ৷
বায়হাকী (র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন সুসা ইবনৃল ফাঘৃল আরদুল মালিক ইবন জুরায়জ (র)
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবু জাফর মুহাম্মদ ইবন আলী (র)-কে আমি বলতে শুনেছি, “নবী
কয়ীম (সা) কে গোসল দেয়া হয়েছিল বরই পাতা (সিদ্ধ পানি ) দিয়ে তিন বার ৷ এবং তাকে
গোসল দেয়ার সময় তার জামা তার পড়ায়-ই ছিল ৷ তাকে গোসল দেয়া হয়েছিল কুবা এলাকায়
বিদ্যমান গারস নামের একটি কুয়াের পানি দিয়ে ৷ কুয়োটি ছিল সাদ ইবন খড়ায়ছামা (রা)-
এর এবং রাসুলুল্পাহ (সা) সে কুয়াের পানি পান করতেন ৷ আলী (রা) তার গোসল সম্পাদন
করলেন, ফাবৃল (না) তাকে কােলে’ হেলান দিয়ে রেখেছিলেন এবং আব্বাস (রা) পানি ঢেলে
দিচ্ছিলেন ৷ ফায্ল (রা) বলতে লাপলেন, আমাকে একটু নিশ্রাম দেয়ার ব্যবস্থা কর, আমার
তো য়েরুদন্ডের রপ ছিড়ে যাচ্ছে ! মনে হচ্ছে যেন (অদৃশ্য) কোন কিছুর ওযন আমাকে চেপে
রয়েছে! ওয়াকিদী (র) বলেছেন, আদিম ইবন আবদুল্লাহ আল হাকামী (র) উমর ইবন আবদুল
হক্যেম সুত্রে বনর্না করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, পড়ারাস’ কুপ কতই উত্তম
কুপ ; সেটি জান্নড়াতের কুপসমুহের একটি এবং তার পানি সবেত্তিম পানি ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর
জন্য ঐ কুপ হতে পান করার পানি সংগ্রহ করা হত এবং পড়ারাস কুপের পানি দিয়ে তাকে
গোসল দেয়া হয়েছিল ৷
সায়ফ ইবন উমর (ব) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আওন ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে, তিনি
বলেন, কবরের কাজ সম্পন্ন হলে এবং লোকেরা যুহ্ৱ সালাত আদায় করে নিলে আব্বাস (রা)
রাসুলুল্লাহ (না)-কে গোসল দানের কাজ আরাম্ভ করলেন ৷ সে উদ্দেশ্যে প্রথমে তিনি ঘরের
মাঝে য়ামানী মেটি৷ বুনুনীর কাপড় দিয়ে পর্দায় ব্যবৃস্থা করলেন ৷ পরে তিনি নিজে তার ভিতরে
ঢুকলেন এবং আলী ও ফায্লকেও ডেকে নিলেন ৷ পরে যখন তাদের দুজনের হাতে এগিয়ে
দেয়ার জন্য তিনি পানি নিয়ে আসতে ৷;পলেন তখন আবু সুফিয়ান (রা)-কে ডেকে মশারীব
ভিতরে নিয়ে নিলেন ৷ বনু হাশিমের এক দল পুরুষ ছিলেন মশারীব বইিরে ৷ আর আনসারীরা
যখন আমার পিতা (আব্বাস) দোহাই দিলেন এবং তাদের এতে অংশ্যাহলের দাবী জানালেন
তখন তিনি (আব্বাস ) তাদের যাকে প্রবেশানুমতি দিয়েছিলেন তিনি হলেন আওস ইবন
খাওলী (রা) ৷ সায়ফ (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা, যাহ্হাক্ ইবন য়াবৃবু আলু হানাফী (র)ইবন
আব্বাস (রা) সুত্রে, এতে তিনি মশারী খাটাৰার কথা এবং আব্বাস (রা) কর্তৃক আলী, ফায্ল,
আবু সুফিয়ান ও উসামা (রা)-কে মশারীব ভিতরে ঢুকতে দেয়ার কথা এবং বনু হাশিমের
কত-ক পুরুষ মশারীব বইিরে থাকার বিষয় উল্লেখ করেছেন ৷ এতে তিনি আরও উল্লেখ
করেছেন যে, তারা সকলেই তম্রাভি ঙুত হয়ে পড়েছিল ৷ তখন জনৈক অদৃশ্য বক্তাকে বলতে
শোনা গেল যে, রাসুলুল্পাহ (না)-কে গোসল দিও না ৷ কেননা, তিনি তাে পাক-পবিত্র ছিলেন ৷
তখন আব্বাস (রা) বললেন, তা কেন নয়? আর ঘরের অন্যরা বললেন, যে ঠিকই বলেছে,
তাই তাকে গোসল দিও না ! আব্বাস (রা) বললেন, অজ্ঞাত পরিচয় একটি আওয়ড়ায়ের কারনে
আমরা একটি সৃন্নত ত্যাগ করতে পারিনা ৷ তখন তন্দ্র৷ দ্বিতীয় বার তাদের আচ্ছন্ন করে ফেলল
এবং সে অদৃশ্য বক্তা তাদের ঘোষনা দিল, তার কাপড় তার গায়ে রেখে র্তাকে গোসল দাও!
তখন ঘরের লোকেরা বললেন না তা হবেনা ৷ আর আব্বাস (রা) বললেন, নিশ্চয়ই তা হবে ৷
তখন র্তারা তাকে গোসল দিতে শুরু করলেন এবং তখন তার গায়ে ছিল কামীস ও
সেলইিবিহীন লুৎগী ৷ র্তারা স্বচ্ছ পানি দিয়ে তাকে গোসল দিলেন এবং তার সিজদার
অংপসমুহে ও দেহের জােড়াসমুহে কপুরের শুগন্ধি মাখিয়ে দিলেন ৷ আর তার জানা ও লুৎগী
নিংড়িয়ে দিয়ে পরে তাকে কাফন পারিয়ে দেয়া হল এবং আগের বাতি ও ( ১১) সুগন্ধি ঘীসের
ধুয়া দিয়ে তারা তাকে তুলে নিয়ে তার ঘাটের উপরে রেখে দিলেন এবং তার পবিত্র দেহ
আবৃত করে রাখলেন ৷ এটি একটি বিরল বর্ণনা ৷
নবী করীম (না) এর কড়াফনের বিবরণ
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওলীদ ইবন মুসলিম (র), আইশা (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে একটি য়ামানী ভোরাদার কাপড়ে কাফন দেয়া হয়েছিল, পরে তা
তুলে রাখা হয় ৷ আইশা (রা)-এর অধস্তন রাবী ও ভ্রড়াতুম্পুত্র কাসিম (র) বলেন, যে কাপড়ের
অবিশিষ্ঠাংশ অজও আমাদের কাছে রক্ষিত আছে ৷ এ সনদটি বুখারী মুসলিমের (র)
শতানুরুপ ৷ আবু দাউদ (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আহমদ ইবন হাম্বাল সুত্রে এবং
নাসাঈ (র) মুহাম্মাদ ইবন মুছান্না ও মুজাহিদ ইবন মুসা (র) সনদে ৷
আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন ইদরীস শাফিঈ (র) বলেন, মালিক (র) আইশা (যা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে কাফন পারড়ানো হয়েছিল তিনখান সাদা সাহুলী
(য়ামানী) কাপড়ে, তাতে কোন কামীস বা পাগড়ী ছিল না ৷ বুখারী (র)-ও অনুরুপ ইসমাঈল
ইবন ইদরীস (র) সুত্রে (মালিক হতে) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র)
বলেছেন, সুফিয়ড়ান (র) আইশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) কে তিনখানা সাহুলী সাদা
কাপড় দিয়ে কাফন দেয়া হয়েছিল ৷ মুসলিম (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন সুফিয়ার ইবন
উয়ায়না (র) সুত্রে এবং বুখারী (র) আবু নুআয়ম (র) সুত্রে ৷ আবু দাউদ (র) বলেছেন,
কুতড়ায়বা (র)আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-কে তিনখানা সাদা
য়ামড়ানী নুতী কাপড় দিয়ে কাফন দেয়া হয়েছিল, যাতে কোন কামীস বা পাগড়ী ছিল না ৷
বর্ণনাকারী (উরওয়া) বলেন, তখন দৃখানি কাপড় ও একখানি ভোরাকায় চাদর সম্পর্নিত
অন্যদের উক্তি আইশা (রা) এর কাছে উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, চাদর আনা হয়েছিল
বটে, তবে তা ফিরিয়ে দিয়ে হয়েছিল এবং তা দিয়ে তাকে কাফন দেয়া হয়নি ৷ মুসলিম (র)
আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র) সুত্রে হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী (র)
বলেছেন, হাফিয আবু আবদুল্লাহ (র) আইশড়া (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা)-কে কাফন পরানাে হয়েছিল তিনখানি সাদা সাহুলী সুভী কাপড়ে, যাতে কোন কামীসও
ছিল না কোন পাগড়ীও না ৷ তবে নতুন চাদরের বিষয়টিতে মুলত লোকেরা বিভ্রান্তির শিকার
হয়েছে ৷ বস্তুত৪ এক প্রস্থ নতুন কাপড় তাকে কাফন পরাবার উদ্দেশ্যে খরিদ করা হয়েছিল ৷
পরে তা আর ব্যবহার করা হয়নি ৷ আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর (বা) তা নিয়ে নেন এবং বলেন
এটি আমি রেখেই দিব যাতে আমাকে এটি দিয়ে কাফন দেয়া যায় ৷ পরে তিনি বললেন,
আল্লাহ যদি তার নবী করীম (সা) এর জন্য এটি পসন্দকরতেন তবে অবশ্যই এটিকে তার
কাফন বানাতেন ৷ পরে তিনি সেটি বিক্রি করে তার মুল্য দান করে দেন ৷
মুসলিম (র) তার সহীহ্-তে এ হাদীসটি য়াহ্য়া ইবন য়াহ্য়া (র) প্রমুখ সুত্রে আবু মুআৰিয়া
(র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী (র)-এর পরবর্তী রিওয়ায়াত হচ্ছে, হাকিম (র)
আইশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কে একটি ইয়ামাৰী ভোরাকাটা চাদর