তৃতীয় ইিজরী
এই হিজরীর শুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল “নাজদ” -এর যুদ্ধ ৷ এটিকে
“বু-আমর”-এর যুদ্ধও বলা হয়
ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছাতৃর যুদ্ধ (সাবীক) শেষে মদীনায় ফিরে এলেন ৷
যুলহাজ্জ মাসের বাকী সময়টুকু তিনি মদীনাভে কিত্বা মদীনার নিকটবর্তী কোন স্থানে কঢািন ৷ তার
পর নাজদের” যুদ্ধের জন্যে বের হলেন ৷ এই যুদ্ধ ছিল পাতফান গোত্রের বিরুদ্ধে ৷ এটি
“য়ু-আমরএর যুদ্ধ নামেও প্রসিদ্ধ ৷
ইবন হিশাম বলেন, এ অভিযানের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত উছমান ইবন আফ্ফান
(রা)-কে মদীনায় তীর স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, এ অভিযানে রাসুলুল্লাহ্
(সা) প্রায় পুরো সফর মাস নাজদ অঞ্চলে অবস্থান করেন ৷ এরপর তিনি ফিরে আসেন ৷ সেখানে
কোন শত্রুর সাথে মুকাবিলা হয়নি ৷ ওয়াকিদী বলেন, বানুছালাবা ইবন মৃহারিব ণ্গাংত্রর কতক
গাতফানী লোক মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে সমবেত হয়েছে বলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ত্বাদ পান ৷ তাদেরকে দমন করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা থেকে যাত্রা করেন ৷ তৃতীয়
হিজরীর ১২ই রৰিউল আউয়াল বৃহস্পতিবার তিনি মদীনা থেকে বের হন ৷ মদীনায় শাসনকর্তা
নিযুক্ত করেন হযরত উছমান ইবন আফ্ফান (রা)-কে ৷ এ অভিযানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১১ দিন
মদীনার বইিরে ছিলেন ৷ ৪৫০ জন মুজাহিদ তীর সঙ্গে ছিলেন ৷ র্তাদের ভয়ে শত্রুপক্ষের বেদৃঈনরা
পাহাড়ে পালিয়ে যায় ৷ মৃসলমানগণ এগিয়ে গিয়ে “য়ু-আমর” নামক জলাশয়ের নিকট পৌছেন ৷
র্তার৷ ওখানে র্তাবু ফেললেন ৷ ওইদিন প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল ৷ তাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জামা
কাপড় তিজে গিয়েছিল ৷ একটি গাছের নীচে অবস্থান করে তিনি জমা-কাপড় শুকাতে
দিয়েছিলেন ৷ মুশরিকগণ দুর থেকে তা প্রত্যক্ষ করছিল ৷ ওরা নিজ নিজ কাজে মশগুল ছিল ৷
ওদের জনৈক সাহসী লোককে তারা গোপনে মুসলিম তাবুতে পাঠিয়ে দেয় ৷ লোকটির নাম
গাওরাছ ইবন হারিছ, মতাত্তরে দাছুর ইবন হারিছ ৷ ওরা বলেহ্নিা, মুহঙ্গোদকে হত্যা বন্যার
মহা-সুযােগ আল্লাহ্ তোমাকে দিয়েছেন ৷ সে সুতীক্ষ্ণ তরবারি হাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট
পৌছে ৷ সে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমার হাত থেকে তোমাকে আজ কে রক্ষা করবে ? তিনি
বললেন, রক্ষা করবেন আল্লাহ্ তাআলা ৷ এমন সময় হযরত জিবরাঈল (আ) এসে ওর বুকে
সজ্যেরে আঘাত করেন ৷ তার হাত থেকে তরবারি মনে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা হাতে তুলে
নিলেন এবং বললেন, এখন আমার হাত থেকে তোমাকে কে রক্ষা করবে ? সে বলল, “কেউই
তাে এখন আমাকে রক্ষা করতে পারবে না ৷ এখন আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন
মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্র রাসুল ৷ সে আরো বলল, জীবনে আর আমি আপনার
বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করব না ৷” তিনি তার তরবারি ফেরত দিলেন ৷ যে নিজের সঙ্গী-সাথীদের
নিকট ফিরে পেল ৷ তারা বলল, ব্যাপার কী ? তোমার কী হয়েছিল ? সে বলল, আমি দেখতে
পেলাম এক দীর্ঘকায় মানুষ ৷ সে আমার বুকে ঘুষি মারে ৷ তাতে আমি বে–সামাল হয়ে চিৎ হয়ে
পড়ে যাই ৷ আমি বুঝতে পেয়েছি যে, তিনি ছিলেন ফেরেশতা ৷ তাই আমি সাক্ষ্য দিয়েছি যে,
মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্র রাসুল, আল্লাহর কলম, আমি কোন দিন তীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করব না
সে তার সম্প্রদায়ের লোকদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করে ৷ এ ঘটনার প্রেক্ষিতে
নাযিল হয় আল্লাহ তাআলার বাণী :
হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্নহের কথা স্মরণ কর যখন এক সম্প্রদায়
তোমাদের বিরুদ্ধে হাত উঠাতে চেয়েছিল, তখন আল্পাহ্ তাদের হাত সংযত করেছিলেন এবং
আল্লাহ্কে ভয় কর, আর আল্লাহুরই প্রতি মু’মিনগণ নির্ভর করুক ৷ ( ৫ মায়িদা : ১১) ৷
বায়হাকী (র) বলেন, এ ঘটনার মত একটি ঘটনা যাতুর রিকা যুদ্ধের আলোচনায় উল্লেখ
করা হবে ৷ এগুলো সম্ভবত দুটো পৃথক পৃথক ঘটনা ৷ আমি বলি, বর্ণনা যদি সত্য হয়, তবে
এগুলো যে দুটো পৃথক পৃথক ঘটনা তা সুনিশ্চিত ৷ কারণ, ওই ব্যক্তির নাম পাওরাছ ইবন হারিছ ৷
সে ঈমান আনয়ন করেনি, বরং তার পুর্ব ধর্মে অবিলে ছিল ৷ সে রাসুলুল্লাহ (না)-কে হত্যা করবে
না তেমন কোন প্রতিশ্রুতি যে তাকে দেয়নি ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞাত ৷
বৃহ্রান অঞ্চলে ফুরা এর যুদ্ধ
ইবন ইসহাক বলেন, যে সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) পুরা রবিউল আউয়াল মাস কিৎবা তার কিছু
কম সময় মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর কুরায়শদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে
বেরিয়ে পড়েন ৷ ইবন হিশাম বলেন, তখনকার জন্যে মদীনায় শাসনভার ন্যস্ত করেছিলেন ইবন
উষ্মে মাকভুমের উপর ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ওই অভিযানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বৃহরানে এসে
পৌহ্নে৷ ৷ বৃহরান হল আরবে তুংা৷ অঞ্চালর নিকটবর্তী একটি খনি ৷ ওয়াকিদী বলেন, এই যাত্রায়
১০ কিং রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় অনুপস্থিত ছিলেন ৷
মদীনায় ইরাহ্রদী গোত্র ৰানু কায়নুকা প্রসংগ
ওয়াকিদীর ধারণা বানুকায়নুকা অভিযান সংঘটিত হয়েহিং হিজরী ২য় সনের ১৫ই শাওয়াল
শনিবারে ৷ নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা ওদের কথইি উল্লেখ করেছেন :