সূরা ফালাক এবং সূরা নাস নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট জানতে চাই। আর এর উপকারিতাও জানতে চাই। শুনেছি, এই সূরার আমল করলে যাদুটোনা বা অন্যের অনিষ্ট থেকে হেফাযতে থাকা যায়।
প্রশ্নোক্ত সূরা দুটি নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট বা শানে নুযূল হল, হুদাইবিয়ার ঘটনার পর লাবীদ ইবনে আসাম এবং তার কন্যারা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যাদু করেছিল। ফলে তিনি কিছুটা কষ্ট অনুভব করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফেরেশতাদের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাদুকরের নাম এবং কোথায়, কিভাবে যাদু করা হয়েছে এ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন। চিরুনী ও চুলের সাহায্যে যাদু করা হয়, যা যারওয়ান কূপের তলদেশে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এই অসুস্থতার সময় প্রশ্নোক্ত সূরাদ্বয় নাযিল হয়েছে। সূরা দুটি নাযিল হওয়ার পর ফেরেশতাদের বিবরণ অনুযায়ী ওই কূপ থেকে তা তুলে আনা হয়। অতপর ওই সূরা দুটি পড়ে গিরা খুললে তৎক্ষণাত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থ হয়ে উঠেন।
এই সূরা দুটি পড়লে অনিষ্ট ও যাদু থেকে হেফাযতে থাকা যায়। হাদীস শরীফৈ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর তা পড়ার গুরুত্ব এসেছে। এক বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ও এই দুই সূরা পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৯০৩; সুনানে আবু দাউদ,হাদীস : ১৫২৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৯২৬৬; সুনানে নাসাঈ ২/১৫৪; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৯১৭
সম্পর্কিত পোস্ট:
এক রাকাতে তিন সেজদা করলে করনীয়- মসজিদে ইজতেমায়ীভাবে উচ্চস্বরে যিকির করা
- আসর নামাযে উচ্চস্বরে কেরাত পড়া ও সিজদায়ে তিলাওয়াতের পর সূরা ফাতেহা পড়ে ফেলা
- আসর ও ফজরের পর তাওয়াফের দুই রাকাত ওয়াজিব নামায আদায়
- গত রমযানে একদিন আমি বিতর নামায পড়াতে গিয়ে ভুলক্রমে দুআয়ে
- যোহরের নামাযের তৃতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব ভুলবশত তিনটি সিজদা করেন
- আমি মাগরিব নামাযের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ভুলক্রমে সূরা
- কখনো এমন হয় যে আমি যোহরের নামাযের নিয়তে জায়নামাযে দাঁড়াই
- আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব জুমার নামাযে মেহরাবের কাছে দাঁড়ান আর
- ফরয নামাযের তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতেহার পর ভুলে
- আমি মসজিদে যাচ্ছিলাম। এমন সময় চড়ুই পাখির বিষ্ঠা আমার শরীরের
- গত রমযানে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব বিতর নামাযে ভুলে দুআ
- গত সপ্তাহে আমরা পাঁচজন জুমার নামাযের জন্য বের হতে বিলম্ব
- আমি কয়েকদিন আগে নামায সংক্রান্ত একটি পুস্তিকা পড়েছি। তাতে সিজদার
- আমার বাবাকে তার এক বন্ধু একটি ওয়ালম্যাট গিফট করেছে। তাতে
- নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার আগে أعوذ بالله من
- আমি একটি বইয়ে পড়েছি, বিতরের নামাযে দুআ কুনূতের পর দরূদ
- মসজিদের দেয়ালে অনেক সময় নিচের বাক্যগুলো হাদীস হিসেবে লেখা থাকে
- বগুড়া সদর উপজেলার অন্তর্গত গোকুল মধ্যপাড়া গ্রামে ১৯৮৪ সালে জনৈক
- কখনো আমি নামাযে মাসবুক হই। নামায শেষে ভুলক্রমে ইমামের সাথে
- অনেক সময় আমরা আমাদের আশেপাশের একাধিক মসজিদের আযান শুনে থাকি
- আমরা জানি নামাযের ভিতর মহিলাদের মাথা ঢেকে রাখা ফরয। কোনো
- আমাদের মসজিদের মুয়াযযিন একদিন ফজরের নামাযের সময় হয়েছে ভেবে আযান
- আমার জায়নামাযের উপরের অংশে এক কোণে বাচ্চার পেশাব লেগে প্রায়
- আমার বাড়ি মসজিদের একপাশে এবং মসজিদের আরেক পাশে বাজার। তাই
- একদিন আমার ভাতিজা ঘরের মেঝেতে পেশাব করে দেয়। ওর মা
- আমাদের এলাকার মহিলারা বলছে, নামাযের পর মোনাজাতের সময় হেজাবের ভিতর
- কখনো কখনো আমি মাসবুক হই। কিন্তু ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর
- আজকাল অনেকে এমনভাবে বাড়ি বানায় যে, বাড়ির নিচে নাপাকির ট্যাংকি
- আমার ব্যস্ততার কারণে কখনো দ্রুত নামায পড়তে গিয়ে রুকু সিজদায়