ইবন সুফিয়ান ইবন ফারওয়৷ আসলামী ইবন আব্বাস (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, এই
প্রেক্ষিতে ই আল্লাহ তাআলা ন৷ ৷যিল করলেন :
১ :
যদিও ওে ৷মর৷ প্ৰনিশো ধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক ৩৩খানি করবে যতখানি অন্যায় তোমাদের
প্ৰতি ৩করা হয়েছে তবে তোমরা ধৈর্য ধারণ করলে ধৈর্যশীলদের জন্যে তা-ই উত্তম ( ১৬ নাহল :
১২৬) ৷
আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওদেরকে ক্ষমা করে দেন, ধৈর্য অবলম্বন করেন
এবং শত্রুপক্ষের অঙ্গক৩ ন নিষে ধ করে দেন ৷
আমি বলি এ আয়াত মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে আর উহুদ য্দ্ব সংঘটিত হয়েছে মদীনায়
হিজররু৩ র তিন বছর পর ৷৩ তাহলে উপরোক্ত মন্তব্য যুক্তিসঙ্গত হয় কীভাবে ? আল্লাহ্ইভ
জানেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, হুমায়দ আততাবীল বর্ণনা করেছেন হাসান সুত্রে সামুরা থেকে ৷ তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে স্থানেই অবস্থান করেও তা ত্যাগ করেছেন ৷ সেখানেই সাদকার
নির্দেশ দিয়েছেন এবং অঙ্গকর্তন থেকে লোকজনকে বারণ করেছেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, হামযা
(বা) এর লাশেব নিকট দা ৷ড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, আপনার মত ৩আঘাত কােনদিন কেউ
করেনি এবং এর চাইতে অধিক দুঃখজনক কোন স্থানে আমি কােনদিন দাড়াইনি ৷৩ তারপর তিনি
বললেন, জিবরাঈল (আ) এসে আমাকে বলে গেলেন, সাত আসমানে হামযা (রা)-এর পরিচয়
এভাবে লেখা হয়েছে যে, আবদুল মুত্তালিবের পুত্র হামযা, আল্লাহর সিত্হ এবং তার রাসুলের
সিংহ ৷ ইবন হিশাম বলেন, হামযা (রা ) এবং আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদ দুজন ছিলেন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুধভইি ৷ আবু লাহাবের দাসী ছুওয়াইবা র্তাদের তিনজনকে দুধ পান
করিয়েছিলেন ৷
হযরত হামযা ও উহুদ যুদ্ধের শহীদগণের জানাযার নামায
ইবন ২পহাক র লেন , আহা৩াজন জৰুনক ব্যক্তি মিকসাম সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে
বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নির্দেশে হযরত হামযা (রা)-কে একটি
চাদর দ্বারা কাফন পরানাে হল, তিনি তার জ নাযা পড়ালেন ৷ তাতে তিনি সাতবার তাকবীর
বললেন ৷ তারপর এক একজন শহীদ এনে৩ ৷তর পাশে রাখা হচ্ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই শহীদের
নামায আদায় করছিলেন সাথে হযরত হামযা (রা)-এর নামায ও হচ্ছিল ৷ শেষ পর্যন্ত হযরত হামযা
(বা)-এর জানাযার নামাঘের সংখ্যা র্দাড়িয়েছিল ৭২-এ , এটি একটি একক বর্ণনা এটির সনদ
দুর্বল ৷ সুহায়লী বলেন, দেশ বিদেশের কোন উল্লেখযোগ্য আলিম এই বক্তব্য সমর্থন করেননি ৷
ইমাম আহমদ বলেন, আফ্ফান ইবন মাসউদ (রা) থেকে বংনাি করলেন ৷ তিনি বলেছেন,
মুসলিম মহিলাপণ উহুদ দিবসে মুসলিম পুরুষদের পেছনে অবস্থা ন করছিলেন ৷৩ তারা মৃশরিকদের
আক্রমণে আহত মুজাহিদদের সেবা শুশ্রাষা করছিলেন ৷ আমি যদি তখন আল্লাহর কসম করে
বলতাম যে, আমাদের কেউই পার্থিব লাভের প্ৰত্যাশী নয় তবে আমার মনে হয় আমার শপথ
মিথ্যা হতো না ৷ য তক্ষণ না আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন
তোমাদের কেউ ইন্থ হুকাল কামনা করা ছল আর কতক >ারকাল কামনা করাছল ৷ এরপর তিনি
পরীক্ষা করার জন্যে আমাদেরকে তাদের থেকে ফিরিয়ে দিলেন (৩ আংল ইমরানং : ১৫২) ৷
যণ্নে কতিপয় সাহাবী নির্দেশ অমান্য করে স্থান গ্যাগ করেন এখন মাএ নয়জন লোক নিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ময়দানে অবস্থান করছিলেন ৷ নযজনের মাধ্য ং৷ জন আনসাবী এবং ২ জন
কুরাযশী, তিনিনহ ছিলেন ১০ জন ৷ শক্রপক্ষ যখন তার খুব নিকটবর্তী হয়ে গেল তখন তিনি
বললেন, যে ব্যক্তি ওদেরকে আমাদের কাছ থেকে দুরে সবিসে দিতে পারবে আল্লাহ তাআলা তার
প্ৰতি সদর হবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এভাবে ঘোষণা দিয়ে বা চ্ছিহ্বলন ৷আর সাথিগণ একের পর এক
প্রতিরোধ করতে করতে শহীদ হচ্ছিলেন ৷ এভাবে নয়জনের মধ্যে সা ন্জনই শহীদ হয়ে গেলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার সাথীদ্বর কে বললেন, আমাদের সাথিগণের প্রতি ইনসাফ করা হয়নি ৷
অবস্থা য় আবু সুফিয়ান এসে বলল হুবল দেবতার জয় হোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ সাহ ৷বীদেবকে নির্দেশ
দািলন ডওর দিতে এবং বলতে ৩,যে আল্লাহ্ই সর্বোচ্চ-সুমহান ৷ যুসলমানপণ বললেন আল্লাহ্
সর্বোচ্চ সুমহান আবুসুফিয়ান বলন , আমাদের উঘৃযা আছে, তোমাদের উয্যা নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা ) বললেন, তোমরা উত্তর দাও যে, আল্লাহ আমাদের প্রভু, তোমাদের কোন প্রভু নেই ৷ আবু
সুফিয়ান বলল, আজকের দিন রদরের দিনের প্ৰতিশোধ ৷ একদিন তোমাদের একদিন আমাদের
একদিন আমরা দুঃখ পইি আর একদিন খুশী হই ৷ তোমাদের হানযাল৷ আমাদের হানযালার বদলা
স্বরুপ ৷ অমুক অমুকের বদলা ৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷ সা ) বললেন উভয় দল সমান নয ৷ আমাদের নিহত
লোকজন মুলতঃ জীবিত তারা জীবিকা পাচ্ছে ৷ আর তোমাদের নিহতরা জহোন্নামে শান্তি ভোগ
করছে ৷ আবু সুফিয়া ন বলল, নােকজনের মধ্যে কতক অঙ্গ কর্তিত আছে ৷ তবে সটা আমাদের
নেতৃস্থানীয় লোকদের কাজ নয় ৷ আমি অঙ্গ ক৩নের নির্দেশও দিইনি তা থেকে বারণও কারনি ৷
অ্যান তা পছ দও করিনি অপছৰু ও করিনি ৷ তাতে আমি দুঃখিত ওনই খুশীও নই ৷
বপ্টাদ্বকারী বলেন, লোকজন নিজেদের নিহতদের খোজে বের হল ৷ হযরত হামযা (রা)-কে
পাওয়া গেল যে, তীর পেট চিরে ফেলা হন্হুাছে ৷ হিন্দ তার কলিজ৷ বের করে চিৰিয়েছে ৷ কিন্তু
তা গিলভে পারেনি ৷ রা সুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, সেকি তার কলিজার কিছুটা খেতে
পােরছে ৱ লোকজন বলল, না খেতে পারেনি ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা জানা হযরত হামযা
(রা ) এর সামান্য অংশও জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন না ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) হাময৷ (রা)-কে সামনে
রেখে জানায৷ আদায় করলেন ৷ এরপর একজন আনসারী শহীদকে উপস্থিত করা হল তার রাখা
হল হামযা (রা )-এর পা;শ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার জানাযরে নামায আদায় করলেন ৷ ওই
আনসারীকে সরিয়ে নিয়ে অন্য এক আনসারী আনা হল ৷ হাময৷ (রা )এর লাশ ওখানেই থাকলে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই আনসারী এবং হামযার (রা) জানাযা আদায় করলেন ৷ ওই আনসারীকে সরিয়ে
নেয়া হল ৷ হামযৰ্ (রা)-কে ওখানে রাখা হল ৷ সেদিন এভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৭০ বার হযরত
হাময৷ (রা১এর জানাযার নামায পড়েছেন, এটি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ এই জনৈক
রর্ণনাকারী আতা ইবন সাইন সনদে থাকায় বর্ণনার সনদঢি দুর্বল সাবাস্ত হয়েছে ৷ আল্লাহ ভাল
জানেন ৷ ইমাম বুখারীর বর্ণনাটি অধিকতর প্রা ৷৷ণ্য ৷ তিনি বর্ণনা করেছে ন, কুতায়বা
জাবির ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে৩ ডি সি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদেব শহীদগণের মধ্যে দুজন
দুজন করে এক কাপড়ের মধ্যে একত্রিত করছিলেন আর বলছিলেন দুজনের মধ্যে কুরআন
চর্চার ৫ক অ্যাপামী ছিলেন ? কোন একজন স্পষ্ট ইঙ্গিত করা হলেও তিনি তাকেই কবরে সম্মুখে
রাখাছলেনঃ ৷ তিনি বলছিলেন যে আমি কিয়ামতে র দিনে এদের পক্ষে সাক্ষ্য দেব ৷ রক্তসহ৩ তিনি
ও৫দর৫ক দাফন করার নির্দেশ দিয়েছিলন ৷ তাদের জানাযাও পড় ৷ হয়নি ৷ তাদেরকে পােসলও
দেয়া হয়নি ৷ এটি ইমাম বৃখারীৱ একক বর্ণনা ৷ সুনান সংকলনকারিপণ লাহ্াছ ইবন সাদের বরাতে
এটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ বলেছেন , মুহাম্মাদ ইবন জাফর জাৰির ইবন ন্মাবদুল্লাহ্ সুত্রে বর্ণনা
করেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে যে, তিনি উহুদের শহীদণ’শ্৷ স্পষ্ট বলোছন কিয়াম৫ ৫তর দিন
তাদের প্রত্যেক ক্ষতস্থান থেকে অথবা তাদের রক্ত ৫থ৫ক মিশৃক এর ঘ্রাণ বের হতে থাকবে ৷
তিনি শহীদদের জানাযার নামায পড়েননি ৷ বর্ণিত ৩আছে ৫২ , পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এ র
ওফাভের কিছু দিন পুর্বে তিনি ওই শহীদদের জনােনামায আদায় ক৫রছি৫’৫বন ; এ প্রসংগে ইমাম
বুখারী (রা) বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহীম উকবা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেছেন, আট বছর পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদেব শহীদদের জন্য নামায আদায়
করেছিলেন ৷৩ তখন তিনি ছিলেন জীবিত ও মৃত লোকদের থেকে বিদায় গ্রহণকারীর ন্যায় ৷
তারপর তিনি মিম্ব৫র আরোহণ করলেন এবং বললেন, আমি তোমাদের আগে যাত্রা করব ৷ আমি
৫তমােদের পক্ষে সাক্ষ্য দেব ৷ তোমাদের সাথে সাক্ষা৫তর প্ৰতিশ্াৰুত স্থান হল হাওয ই কাওছার ৷
আমি এখান থেকে তা দেখতে পাচ্ছি ৷ তোমরা সকলে একযোগে শির৫ক লিপ্ত হবে সে সাশংকা
আমি করি না ৷ তবে আমার আশংকা এই যে, ভোমর৷ দৃনিয়দােরীতে আকৃষ্ট হয়ে যাবে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এই দেখা ছিল আমার রাসুলুরাহ্ (সা)৫ক শের দেখা ;
ইমাম বুখারী অন্য একন্থা৫ন ইমাম মুসলিম আবুদাউদ ও নসােঈ (রা এরন হাদীছ উদ্ধৃত
ক৫র৫ছন ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব থেকে ৷ উমাভী বলেন, আমার পিতা হযরত আইশা
৷ র৷ ) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুগৃল্লাহ্ (সা) উহুদেব যুার যবাের পর সংবাদ
সখ্ত্থাহর উদ্দেশ্যে আমরা সাহৰীর সময় পথে বের হয়ে পাড় ৷ ৫তাম৫ধ্য ফজরের সময় হয়ে
হে হাম্ল ইবন সাদানা ! তুমি একটু অপেক্ষা কর, তারপর প্রচণ্ড যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত হও ৷
প৫র আমরা ভালভাবে তাকিয়ে দেখলাম যে, তিনি হলেন উসায়দ ইবন হুযায়র ৷ এরপর আমরা
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম ৷ হঠাৎ দেখলাম একটি উট এল ৷ উটের পিঠে একজন মহিলা ৷ দুপা৫া
দুটো বোঝা ৷ হযরত আইশা (রা) বলেন, আমরা মহিলাটির নিকট গেলাম ৷ তখন দেখতে পাই
, :য তিনি এামৃর ইবন জামুহ এর শ্রী ৷ আমরা ওা৫ক জিজ্ঞেস করলাম, সং বাদ কী ? ৩ তনি বললেন
আল্লাহ তা আল৷ রাসৃলুল্পাহ্ (সা) ৫ক রক্ষা করেছেন ৷ কভক মু ’নিন ব্যক্তিকে শহীদরু৫প কবুল
করেছেন ৷ এবং কাফিরদেরকে মনের জ্বালাসহ ৰিফল মনােরােথে ফিরে যেতে বাধ্য করেছেন ৷
দ্বেদ্ধ মু’মিনদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ আলাহ্ সর্বশক্তিমান পরাক্রমশালী ৷ মহিলাঢি তার
উটংক বসার নির্দেশ দিয়ে নিজে উট থেকে নেমে পড়লেন ৷ আমরা ন্ার বোঝা দৃটোর দিকে
ইঙ্গিত করে বললাম, এগুলো কী ? ৷ত ৩ান বললেন, একটি আমার স্বামীর লাশ আর একটি আমার
ভাইয়ের লাশ ৷
ইবন ইসহাক বলেন, সাফিয়্যা বিনৃত আবদুল মুত্তালিব হযরত হামযার (রা ) লাশ দেখতে
আসেন ৷ হযরত হামযা (রা) ছিলেন তার সহোদর ভাই ৷ রাসুলু৭দ্বুা৷হ (স ৷ ) তীর পুত্র যুবায়র ইবন
আ ওয়ামকে বললেন, তুমি তোমার মায়ের নিকট যাও ৷ র্তাকে থামাও, যেন তীর ভাইয়ের
হৃদয়বিদারক এই সাপের দৃশ্য তাকে দেখতে না হয় ৷ যুবায়র তীর মাকে বললেন আম্মা!
রত্বসুলুল্লাহ্ (সা) আপনাকে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তিনি বললেন কেন ? আমি £তা
(জনেছি যে, আমার ভাইয়ের অঙ্গপ্র৩ ত্যঙ্গ ফেটে ফেলা হয়েছে, তাৰু,ত কী ? তাভো হয়েছে
আল্লাহর পথে আমার জন্য আধক৩ র খুশীর ব্যাপার আর কী হতে পারে : আমি অবশ্যই
ধৈর্যধারণ করব এবং ছওরারের আশায় থাকর ইনৃশা আল্লাহ ৷ যুবায়র (বা ) রদুেলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট এসে এই সংবাদ জানালেন ৷ তখন তিনি তাকে রললেনপ্ল তাকে আসতে দাও সাফিয়্যা
(রা ) এলেন ৷ হ্াময৷ (রা)-(ক দেখলেন ৷ তীর জন্যে দু আ করলেন , ণ্শাক প্রকাশ করলেন এবং
ক্ষমা প্রার্থ্যা৷ করলেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত হাময৷ (রা) কে দাফানর নিন্র্দশ দিলেন ৷ তাকে
এবং তার সাথে তার ভাঘ্নে আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শ ও ওার মা উস্যয১ ৷ ৰিনৃত আবদুল ঘুত্তালিবকে
দাফন করা হল ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শের অঙ্গহানি করা হয়েছিল; র্টইহন্ষ্ন্তু বুক ঢিরে কলিজ৷ বের
করা হয়নি ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শকে বলা হত আল্লাহর পথে নাক কান কর্তিত ব্যক্তি ৷
সাদ (রা) বলেছেন, তিনি এবং আবদুল্লাহ ইবন জাহশ দুজনে দৃআ করেছিলেন, তাদের
দুজনের দুআ-ই কবুল হয়েছিল ৷ সাদ (রা) দুআ করেছিলেন যে, তিনি যেন কোন মুশরিক
অশ্বারোহী ভৈননিংকর মুখোমুখি হন এবং তাকে হত্যা করে তার অস্ত্রশস্ত্র কবৃ জা করতে পারেন ৷
বন্তুত তিনি তাই করতে পেরেছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শ (রা ৷ দৃ আ করেছিলেন যে ৰেন্ান
অশ্বারোহী মুশরিক সৈন্য যেন তার সম্মুখে এসে পড়ে এবং আল্লাহর পথে ওই সৈন্য যেন তাকে
হত্যা করে তার নাক কোট নেয় ৷ তার ক্ষেত্রে এরুপই ঘটেছিল ৷
যুবায়র ইবন বাক্কার উল্লেখ করেছেন যে, উহুদ যুদ্ধে আবদুল্লাহ ইবন জাহশের তরবারি ভেঙ্গে
যায় ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) তীকে একটি খেজ্বরের ভাল দিয়েছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ( বা) এর হাতে সেটি
তরবারিতে পরিণত হয়েছিল ৷ সেটি দ্বারা তিনি লড়াই করেছেন ৷ পরে ন্ ওার কোন এক ওয়ারািশর
ভাগে পড়া ওই তরবারি দু শ দিরহাম মুল্যে বিক্রি হয় ৷ বদর দিবসে আকাশ! (বা ) এর ক্ষেত্রেও
এমন একটি ঘটনা ঘটেজ্জি ৷
সহীহ্ বুখারীতে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু’জন দু-’জ্যা তিনজন তিনজন শহীদকে একই
কবরে দাফন করেছেন ৷ বরং একই কাফনে একত্রিত করেছেন দৃ ডি ৩নজন শহীদকে ৷ জীবিত
মুসলিম সৈনিকগণ প্রচণ্ড আহত হওয়ার কারণে প্রত্যেকের জন্যে আলাদা আলাদা কবর খনন করা
কষ্টকর ছিল বিধায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ অনুমতি ৩দিয়েছিলেন ৷ দুজনের মধ্যে যার কুরআন জানা ছিল
বেশী তাকে সম্মুখে রেখে অন্যজনকে পেছনে রেখেছেন ৷ সাধারণতঃ পরস্পর সহচর ও সাথী
ছিলেন এমন দুজন দুজন করে এক কবরে দাফন করেছিলেন ৷ যেমন হযরত জাবিরের পিতা
আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন হারাম এবং আমর ইবন জামুহ এই দৃ’জনৰ্;ক এক কবরে রাখেন ৷
কারণ, তারা দৃজনে পরস্পর বন্ধু ছিলেন ৷ শহীদদেরকে গোসল দেয়৷ ন্ য়নিঃ ৷ বরং তাদের জখমও
রক্তসহ তাদেরকে দাফন করা হয় ৷ এ প্রসং গে ইবন ইসহাক যুহরী ন্যুত্র আবদুল্লাহ ইবন ছা লাবা
ইবন শু আয়র থেকে বর্ণনা করেছেন যে উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (স ) শন্ হীদদেরকে দাফন করে
ফিরে এসে বললেন, আমি ওদের পক্ষে সাক্ষী রইলাম ৷ যারাই গ্রাংণ্প্লো র প্ণ্থে আহত হয় আল্লর্বা ধ্ছু
তা আলা কিয়ামত দিবসে৩ ড়াদেরকে উপন্থি ত করবেন এ অবস্থায় যে ত্যা দর ক্ষ স্থুানন্ত্র ৷’থকে রক্ত
ঝরতে থাকবে ৷ ওই রক্তের রং হবে রক্তের ন্যায়; কিন্তু ঘ্রাণ হা ষ্ মিশ্কের ন্যায় ৷ মুসা ইবন
ইয়াসার শুনেছেন হযরত আবু হুরায়রা (রা)-কে তিনি বলছিলেন যে , আবুল কাসিম (সা ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে আহত হয়ে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলা তাকে এমন অবস্থার
পুনরুজ্জীতি করবেন যে , তার ক্ষতন্থান থেকে রক্ত ঝরতে থাকবে ৷ রক্তের রং হবে রক্তের ন্যায়
কিন্তু তার ঘাণ হবে মিশকের ন্যায় ৷ এই হাদীছ অন্য সনদেও সহীহ্ বুখড়ারী এবং সহীহ্ মুসলিমে
উদ্ধৃত হয়েছে ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আলী ইবন আসিম শ্ণ্ ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদ দিবসে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন শহীদদের দেহ থেকে
লোহা ও চামড়া জাতীয় সব বস্তু খুলে নেয়া হয় ৷ তিনি বলেছিলেন, ওদেরকে রক্ত ও পরনের জামা
কাপড় সহ দাফন করে দাও ! আবু দাউদ ও ইবন মাজা (র) এটি আলী ইবন আসিম থেকে উদ্ধৃত
করেছেন ৷ ইমাম আবু দাউদ তার সুনান-ই-আবু দাউদ গ্রন্থে বলেছেন , কা“নবী হিশাম
ইবন আমির থেকে সুত্রে বলেন, উহুদ দিবসে আনসারগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত
হয়ে বললেন, আমরা তাে এখন আহত এবং ক্লান্ত, এখন আমাদেরকে কী নির্দেশ দেবেন?
রাসৃল্লুল্লাহ্ (সা) বলরু ন্ষ্ , সবইি মিলে কবর খনন কর! কবর খনন করবে বড়বড় ও প্রশস্ত করে ৷
তারপর দৃ-তিনজন করে এক কবরে দাফন করে দাও ৷ তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! কাকে
সামনে র ৷খরৰু তিনি বললেন, যার কুরআন বেশী জানা আছে ৷ ইমাম আবু দাউদ এই হাদীছ ছাদরী
হিশাম ইবন আমির সুত্রেও উল্লেখ করেছেন ৷ সেই বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্
( সহ ) বলেছেন তোমরা কবর খনন করবে গভীর করে ৷ ইবন ইসহাক বলেন, কতক মুসলমান
তাদের আত্মীয় শহীদদের লাশ মদীনায় নিয়ে গিয়ে ওখানে দাফন করেছিলেন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্
(সা) তা থেকে বারণ করেছেন এবং বলেছেন, ওরা যেখানে শহীদ হয়েছে সেখানেই তাদেরকে
দাফন কর ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আলী ইবন ইসহাক জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)
সুত্রে বলেছেন, আমার আব্বা উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন ৷ আমার বোনেরা আমাকে পাঠিয়েছিল একটি
উট সহকারে এবং বলেছিল এই উট নিয়ে পিতার লাশের নিকট যাও এবং তাকে উঠিয়ে এনে
মদীনায় বানু সালিমা গোত্রের কবরন্থানে দাফন কর ৷ হযরত জাৰির বলেন, আমার কয়েকজন
সাখী নিয়ে আমি আমার পিতার লাশেব নিকট আসি ৷ এই সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অবগত হলেন ৷
তিনি তখন উহুদ প্রাম্ভয়ে বসা ছিলেন ৷ তিনি আমাকে ৬াকণেন এবং কম লে ন , আল্লাহর কসম !
তোমার পিতাকে তার ভাইদের সাথেই দাফন করা হবে ৷ এরপর তাকে তার শহীদ সাথীদের
সাথেই উহুদ প্রাম্ভরে দাফন করা হল ৷ ইমাম আহমদ একা এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন মুহাম্মাদ ইবন জাফর জাযির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে
বর্ণনা করেন যে, উহুদ যুদ্ধের ক৩ক শহীদ ধ্!ক্তিশো ওখান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ থেকে এক ঘোষক ঘোষণা দিল যে, শহীদদেরকে তাদের
শাহাদাত বরণের স্থানে ফিরিয়ে আন ৷ ইমাম আবু দাউদ এবং নাসাঈ (রা ) এই হাদীছ উদ্ধৃত
করেছেন ছাওরী সুত্রে ৷ ইমাম তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইব ন মাজায় জাবির ইবন আবদুল্লাহ
(রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, রড়াসৃলুল্লাহ (সা ) যুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
জন্যে মদীনা থেকে বের হলেন ৷ আমার পিতা আবদুল্লাহ আমাকে বললেন, হে জাবির! তুমি
মদীনায় অবস্থানকারীদের পর্যবেক্ষক রুপে মদীনায় থেকে পােণ্৷ তোমার অপরাধ হবেনা ৷ সেখান
থেকে তুমি জানতে পারবে আমাদের যুদ্ধের ফলাফল কী হবে ৷ আমি যদি আমার মেয়েগুলােকে
রেখে না যেতাম ৷ তাহলে আমি এটাই চাইতাম যে, তুমি যুদ্ধ করে আমার সম্মুখে শহীদ হয়ে
যাও ৷ জাবির (রা ) বলেন , আমি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ছিলাম ৷ হঠাৎ আমার ফুফু আমার বাবা ন্ ও
মামার লাশ নিয়ে উপস্থিত হলেন ৷ তাদেরকে তিনি উটের পিঠে করে মদীনায় নিয়ে এলেন
আমাদের কবরন্থানে দাফন করার উদ্দেশ্যে ৷ এমন সময় জনৈক ঘোষক আমাদের নিকট এলেন
এই ঘোষণা নিয়ে যে নবী করীম (সা ) শহীদদেরকে উহুদ প্রাম্ভরে ফিরিয়ে নিতে এবং যেখানে
তারা শহীদ হয়েছেন সেখানে দাফন করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তাই আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে
নিলাম এবং যেখানে শহীদ হয়েছেন সেখানেই তাদেরকে দাফন করলাম ৷ মুআবিয়া ইবন আবু
সুফিয়ানের শাসনামলে একজন লোক আমার নিকট এসে বলল, হে জাৰির ইবন আবদৃল্লাহ্া
মুআবিয়া (রা)-এর কর্মচারীরা আপনার পিতার কবরের কাছে মাটি খননের ফলে তার দেহের
কিছু অংশ বেরিয়ে পড়েছে ৷ সংবাদ পেয়ে আমি সেখানে গেলাম ৷ আমি আমার পিতাকে অবিকল
শুধুমাত্র আঘাতজনিত চিহ্ন ছাড়া ৷ এরপর জাবির (রা) তার পিতার ঋণ পরিশোধের ঘটনা বর্ণনা
করেছেন ৷ ওই ঘটনা সহীহ বুখারী ও ঘুসলিমে বর্ণিত আছে ৷
রায়হাকী জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উহুদের
শহীদদের দাফন করার দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর ওই কবরন্থানের পাশ দিয়ে খাল খনন শুরু করা হয় ৷
তখন আমাদেরকে ওখানে ডাকা হয় ৷ আমরা সেখানে আমি ৷ আমরা লাশগুলাে বের করে আমি ৷
ঘটনাক্রমে হযরত হামযা (রা)-এর পায়ে কােদালের আঘাত লাগে তাতে তার পা থেকে রক্ত বের
হতে থাকে ৷ ইবন ইসহাক হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন যে, আমরা
তাদেরকে কবর থেকে বের করে আমি এ অবস্থায় যে, যেন মাত্র গতকালই তাদেরকে দাফন করা
হয়েছিল ৷ ওয়াকিদী বলেন, হযরত যুআবিয়া (রা ) যখন খাল খননের সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ তখন তিনি
একজন ঘোষক পাঠিয়ে ঘোষণা প্রচার করলেন যে, উহুদ প্রাম্ভরে যাদের শহীদ আত্মীয়-স্বজন
রয়েছে ৷ তারা যেন সেখানে হাষির থাকেন ৷ জাবির (রা) বরুলাং, আমরা ভীদের কবর খুলে
ফোণী ৷ আমি আমার পিতাকে পেলাম যেন তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ঘুমি(র আছেন ৷ তারই কব( র
পেলাম তা ৷র সাথী আমর ইবন জামুহ(ক ৷ তীর হাত ছিল৩ তার ক্ষতন্থানের উপর ৷ ক্ষতস্থুান থেকে
তার হাত সরি(র (দয়া হলে সেখান থেকে রক্ত (বর হতে শুরু করে ৷ কথিত আছে যে, তাদের
কবর থেকে মি শ্াকের ঘ্র৷ ণ (বর হচ্ছিল ৷ (আল্লাহ তাদের প্রতি সদ্ভুষ্ট (হন ) ৷ এ ঘটনা ঘটেছিল
তাদেরকে দাফন করার (ছচল্পিশ বছর পার ৷
ইমাম বুখাবী ( র ) বলেন মুসাদ্দাদ জাবির (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বালাছন,
উহুদের যুদ্ধ যখন অত্যাসন্ন তখন রাতের বেলা আমার পিতা ৩া৷মা(ক ডেকেছিলেন ৷ তিনি
আমাকে বলেছিলেন যে আমার মনে হচ্ছে যে সকল সাহাবী প্রথম ধা(প শহীদ হবেন আমি
তাদের অম্ভভুক্ত থাকর আমি রাসৃলুহুা৷হ্ (সা) ব্যতীত (ত ৷মার চাইতে আৰুাক ওরুতুপুর্ণ কাউ(ক
রেখে যাচ্ছি না, আমার কিছু ঋণ আছে, তুমি সেগুলো পাের করে দিও এবং তোমার রুবানদুদর
সাথে তাল ব্যবহার করবে ৷ পরদিন ভোরে তিনিই হলেন প্রথম শহীদ ৷ তার করবে তার সাথে
অন্য একজনকে দাফন করি ৷ তিনি অন্যের সাথে একই কব(র থাকবেন দু:নভে আমি স্বন্থি বোধ
করছিলাম না ৷ তা ৷ই ছয় মাস পর আমি তাকে ওই কবর থেকে (বর করে ফেলি ৷ তখনও আমি
তাকে দেখতে পাই যে, আজই যেন তাকে দাফন করেছি ৷ অবশ্য শ্গুার কানে কিছুটা ব্যতিক্রম
ছিল ৷
সহীহ্ বুথারীও সহীহ ঘুসলিমে শু বা জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে যখন তার
াপত৷ শহীদ হন তখন৷ তিনি বার বার পিতার মুখের কাপড় সার(য় কাদর্দছলেন ৷ অন্যেরা তাকে
বারণ করছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,ত , তার জন্যে কাদ আর নাইবা কাদ ফেরেশতাগণ
কিভৃ তাকে৷ ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন ৷ তাকে তোমরা ওখান থেকে না উঠানো পর্যন্ত (ফরেশতড়াগণ ছায়া
দিয়ে যাবে ৷ অন্য বর্ণনায় আছে যে হযরতজ জাবির (বা ) এর ফুফু কান্নাকাটি করছিলেন ৷
যায় (কী (র) বলেন, আবুআবদুল্লাহ্ আল হাফিযও আবুবকর আহমদ মাইশা (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত জা ৷বির (বা ) (ক বলেছিলেন, (হ
জাবির ! আমি কি তোমাকে একটি সৃসংবাদ (দবাে না? জাবির (বা) বললেন, জী ই৷ দিন আল্লাহ্
ও আপনার সুসংবাদ প্রদান করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কি জান, আল্লাহ্ তাআলা
তোমার পিতাকে জীবিত করে বলেছিলেন, হে আমার বান্দা, তুমি আমার নিকট যা ইচ্ছা চাও
আমি তোমাকে তা দেব ৷ তখন তোমার পিতা বলেছিলেন, হে মালিক ! আমি আপনার পুর্ণ বন্দেগী
করেছি, এখন আমার কামনা হল আপনি আমাকে দৃনিয়াতে ফেরত পাঠিয়ে দিন যাতে করে আমি
আপনার নবীর সাথী হয়ে জিহাদ করতে পারি এবং পুনরায় আপনার পথে শহীদ হতে পারি ৷
আল্লাহ্ তাআল৷ বললেন, আগে থেকেই আমার সিদ্ধান্ত রয়েছে যে, এ অবস্থা থেকে কেউই
পুনরায় দৃনিয়াতে ফিরে যেতে পারবে না ৷
বায়হাকী বলেন, আবুল হাসান মুহাম্মাদ ইবন আবুল মারুফ জাবির (বা ) সুত্রে
বলেছেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন আমার দিকে তাকালেন এবং বললেন, ব্যাপার
কি তোমাকে যে এত (পরেশান দেখা যাচ্ছে ? আমি আরব করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা ) আমার
আব্ব৷ শহীদ হলেন আর রেখে গেলেন অনেক ঋণ ও বহু সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবার ৷
তিনি বলতেন, ) ৷ ৷(তামাদের উপর শান্তি
বর্ধিত হোক, কারণ তোমর৷ ধৈর্য ধারণ করেছ, পরকালীন বাসস্থান ক তইনাট ৩ত্তম!) রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর পরে আবু বকর (রা)৩ তাই করতেন ৷ তার শাসনামলেব পর হযরত উমর (রা)-এর
শাসনামলে তিনিও তাই করতে ন ৷ হযরত উছমান (বা) তার শাসনামলে ছ ৷ই করতেন ৷
ওয়াকিদী বলেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতি বছরই শহীদদের কবর যিয়ারত করতে (াতেন ৷
গিরিপন্থথর মুখে এসে তিনি রলতেন, , ৷ পরে
আবু বকর (বা) প্রতি বছর৩ তাই করতেন ৷ পরে হযরত উমর এবং উছমান (রা) ও প্রতি বছর
এরুপ করতেন ৷ হযরত ফাতিম৷ যাহ্রা (র৷ ) উহুদের শহীদদের নিকট অ ৷ স ( :ন ৷ ৷৩লি ণ্সখান
কান্নাকাঢি করতেন এবং তাদের জান্য দুআ করতেন ৷ হযরত চা৷দ ( রা) র্তার বন্ধুদের নিকট
আসতেন এবৎ৩ তাদেরকে রলতেন, তোমরা ওই লোকদেবকে সালাম দা৪ন৷ ৷ফেন যার৷ তোমাদের
সালামের উত্তর দেয় ? বর্ণিত আছে যে, আবু সাঈদ (রা), আবু হুরায়র৷ ( ন্৷ )৩ আ বদুল্লাহ্ ইবন উমর
(বা) এবং উম্মু সালামা (রা ) ৷শহীদদের কবর যিয়ারত করতেন ৷
ইবন আবুদু দুনিয়া বলেছেন, ইবরাহীম আত্তাফ ইবন খালিদ বলেছেন যে, আমার
খালা আমাকে বলেছেন যে একদিন আমি সওয়ারীতে ৩চড়ে শহীদদের কবরের নিকট উপস্থিত
হই ৷ অবশ্য তিনি নিয়মিত যিয়ারতে যেতেন বন্তুত: ওই যাত্রার তিনি হযরত হামযা( ব বা) এর
কবরের নিকট গেলেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহ যা চাইলেন আমি সেই পরিমাণ দু আ দরুদ পাঠ
করলাম ৷ ওই ময়দানে আমার ঘোড়ার লাপাম ধারণকারী বালকটি ছাড়া কোন লোক ছিলন৷ ৷ দুআ
শেষে আমি হাত তুলে বললাম ণ্ব্লুণ্ ১া৷ ৷ বর্ণনাকাবী বললেন, আমি সালামের উত্তর
শুনলাম ৷ মাটির নীচ থেকে ওই উত্তর আসছে ৷ আল্লাহ তা আলা আমাকে সৃষ্টি করেছেন তা যেমন
আমার নিকট সুস্পষ্ট, ওই সালামটিও আমার নিকট তেমনি সুপরিচিত ৷ ওই সালাম আমার নিকট
রাত-দিনের ন্যায় সুস্পষ্ট ৷ ওই সালাম শুনে আমার শরীরের লোমগুলো শিহরিত হয়ে উঠে ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ইবন আব্বাস (রা) ন্থকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন উহুদ দিবসে তে ৷তমাদের ভাইপণ যখন শহীদ হয় তখন আল্লাহ তা জানা
তাদের রুহওলোকে সবুজ পাখীর পেটে স্থান করে দেন ৷ ওই রাহগুলাে ইচ্ছামত রেহেশতের
ঝর্ণাগুলোতে অবতরণ করে, রেহেশতের ফল আহার করে এবং আরশের ছায়ায় স্থাপিত স্বর্ণের
ঝুলম্ভ ফানুসে ফিরে আসে ৷ পবিত্র ও উন্নত খাদ্য পানীয় ও বিশ্রামস্থুল দেখে তারা বলেছিল
আমাদের এই গান শওকত ও নি আমত প্রাপ্তির কথা আমাদের তাই হদেরকে জানিয়ে দিবে কে ?
কে ওদেরকে বলে দেবে যে আমরা জীবিত আছি এবং জান্নাতে রিবৃক প্রাপ্ত হচ্ছি ? যাতে তারা
যুদ্ধ থেকে না পালায় এবং জিহাদে অলসত৷ না করে ৷ তখন আল্লাহ তাআল৷ বললেন আমিই
তামাদের পক্ষ থেকে এই বা৩ ৷ ওদের নিকট পৌছিয়ে দেব ৷ এরপর আল্লাহ তা আলা নাযিল
করলেনং : ১৷ , যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে৩ তাদেরকে কখনই মৃত মনে করোন৷ ৷ বরং তারা
জীবিত এবৎ৩ তাদের প্রতিপ৷ ৷লকেব নিকট থেকে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত ৷ (৩ আলে ইমরান ঘ্র ১৬৯) ৷
ইমাম মুসলিম ও বায়হাকী (র) উভয়ে আর মুআবিয়া মাসৃরুক সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে ১৷ আয়াত সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) কে জিজ্ঞেস
করেছিলাম; তিনি বললেন, আমি এই বিষয়ে নিজে রাসুলুল্লাহ্ (স ) — কে জিজ্ঞেস করােছলাম,
তখন তিনি বলেছেন, ওদের রুহ থাকবে সবুজ পাখীর পেটে, জ্যন্নাতের যেখানে ইচ্ছা তারা
সেখানে ভ্রমণ করতে পারবে তারপর আরশের সাথে ঝুলানাে ফাণ্নুসে এসে আশ্রয় নেবে ৷ এমনি
এক অবস্থায় স্বয়ং আল্লাহ্ তাআল৷ ওদের দিকে মনোনিবেশ করবেন ৷ তিনি বলবেন, তোমাদের
যা কামনা বাসনা তা আমার নিকট চাও ৷ ওরা বলবেন, হে প্রভু! আমাদের চাওয়ার তাে কিছু নেই ৷
আপনার দয়ায় আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা যেতে পারছি ৷ আল্লাহ্ তাআলা তিনবার তাদেরকে
এরুপ বলবেন ৷ তারা যখন দেখান যে, আল্লাহ্ তাআলা বার ন্থাধ্হ-৷ বলছেন, তখন তারা বলবে, হে
প্রভু ! আমরা চাই যে, আপনি আমাদের দেহে রুহ পুনস্থাপন করে আমাদেরকে দৃনিয়াতে পাঠিয়ে
দিন, যাতে করে আমরা পুনরায় আপনার পথে শহীদ হতে পারি, আল্লাহ তাআলা যখন দেখবেন
তারা শুধু এটাই চাচ্ছে তখন তিনি তাদেরকে তাদের অবস্থায় রেখে দেবেন ৷
উহুদ যুদ্ধে শহীদগণের সংখ্যা
মুসা ইবন উকব৷ বলেন, উহুদ যুদ্ধে ঘুহাজির ও আনসার মিলিয়ে মোট ৪৯ জন শহীদ হন ৷
সহীহ্ বুখাবীতে হযরত বর (বা ) থেকে বর্ণিত হাদীছে আছে যে সেদিন ৭০ জন সাহাবী শহীদ
হয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জা নেন ৷
হযরত আনাস (রা)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে কাতাদা (র ) বলেন যে উহুদ যুদ্ধে আনসারগণের সত্তর
জন, বির-ইমাউনার ঘটনায় আনসারগণের সত্তর জন এবং ইয়ামামার যুদ্ধে আনসারগণের সত্তর
জন শহীদ হয়েছিলেন ৷ হাম্মাদ ইবন সালাম৷ আনাস (রা ) সুত্রে বনাি করেছেন যে, তিনি বলতেন
উহুদ যুদ্ধে, বির-ই-মাউনার ঘটনায়, মাওতার যুদ্ধে এবং ইয়ামামার যুদ্ধে প্রতিবেশী প্রায়
সত্তরজন করে আনসার সাহাবী শহীদ হয়েছিলেন ৷
মালিক সাঈদ ইবন মুসায়িাব থেকে বর্ণনা করেন যে, উহুদ যুদ্ধে এবং ইয়ামামার
যুদ্ধে সত্তর জন করে আনসারী শহীদ হয়েছেন ৷ আবু উবায়দ এর নেতৃত্বে পরিচালিত সেতুর
যুদ্ধের দিনেও সত্তর জন আনসাবী শহীদ হয়েছিলেন ৷ ইকরিমা, উরওয়া, যুহরী এবং মুহাম্মাদ ইবন
ইসহাক উহুদের শহীদগণের সংখ্যা সম্পর্কে এরুপই বলেছেন ৷ আল্লাহ্৩ তা জানার নিম্নোক্ত বা ৷গী
তাদের বক্তব্য সমর্থন এ ৷
৷ ১১১ কী ব্যাপার ! যখন৫ আমাদের উপর মৃসিবত এল তখন ণ্ডে তামর৷ বললে এটি কোথেকে
এল ? অথচ তোমরা তো ওদের উপর দ্বিগুণ বিপদ ঘটিয়েছিলে ৷ (৩ আলে-ইমরানং : ১৬৫) ৷
এখানে বদরের যুদ্ধে কাফিরদের ৭০ জন নিহত এবং ৭০ জন বন্দী হওয়ার দািকা ইঙ্গিত
করা হয়েছে ৷
ইবন ইসহাক থেকে বর্ণিত যে, উহুদ দিবসে আনসারগণের মধ্য থেকে ৬৫ জন শহীদ
হয়েছিলেন ৷ সম্ভবতঃ এখানে আনসারগণের মধ্য থেকে “শব্দ না হয়ে” মুসলমানদের মধ্য থেকে