আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না ৷ আপনার সাথে যেসব মুহাজির আছেন তাদের নিকট আত্মীয়
রয়েছে যারা তাদের পবির৷ ৷ব ও মালপত্র রক্ষা করতে পারে ৷ আমার এ ধরনের রং শগত কোন
সম্পর্ক না থাকার দরুন আমি চেয়েছিলাম তাদের আমি কিছু উপকার করব যাতে করে তারা
আমার পরিবার-পরিজনকে হিফাযত করে ৷ আর আমি এটা ধর্মান্তরিত ৩হয়ে বা ইসলামের পর
পুনরায় কুফুরীকে পসন্দ করেও করিনি ৷” তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এ ব্যক্তি তোমাদের
কাছে সত্য কথাই বলেছে ৷ উমর (রা) বলেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এ মুনাফিককে হত্যা করার
অনুমতি দিন ৷ “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এ ব্যক্তি বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে আর আল্লাহ
তাআলা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্বন্ধে বলেছেন, “(তামরা যা ইচ্ছে কর, আমি
তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি ৷ এরপর আল্লাহ তাআলা অত্র আয়াত ষ্ অবতীর্ণ করেন :
অর্থাৎ হে মু’মিনগণ ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে রন্ধুরুপে গ্রহণ করবে না ৷ তোমরা
তাদের সাথে বন্ধুত্ব করছ অথচ তারা তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে,
রাসুলকে এবং তােমাদেরকে বহিষ্কার করেছে এ কারণে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক
আল্লাহ্তে বিশ্বাস কর ৷ যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্যে আমার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে
বের হয়ে থাক তবে কেন তোমরা তাদের সাথে গোপনে বন্ধুত্ব করছ ? তোমরা যা গোপন কর
এবং তোমরা যা প্রকাশ কর তা আমি সম্যক অবগত ৷ তোমাদের যে কেউ এটা করে, সে তো
বিচুদ্রত হয় সরল পথ হতে ৷” (৬০ মুমতাহিনা হয় ১ ৮)
উপরোক্ত হাদীছটি ইবন মাজা ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তার অন্যান্য সংকলকগণ বর্ণনা করেছেন ৷
তিরমিযী বলেন, “এ হাদীছটি হাসান ও সহীহ্ ৷
ইমাম আহমদ (রা) — জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে ৩রর্ণন৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
হাতির ইবন আবুব ৷লতাআ (রা) মক্কারাসীদের কাছে একটি পত্র লিথে৩াদেরকে জানিয়ে দিতে
চেয়েছিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের সাথে যুদ্ধ করার মনন্থ করেছেন ৷ এরপর র ৷সুলুল্লাহ্ (সা)
মহিলাটির কথা বলে দিলেন যার সাথে পত্রটি ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটির কাছে লোক প্রেরণ
করেন যে, তার মাথা থেকে পত্রটি উদ্ধার করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে প্রদান করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) হাতির (রা) কে ডেকে আসেন ও জিজ্ঞেস করেন ৷ হে হাতির ! তুমি কিএট৷ করেছ ? তিনি
বললেন, ইব্রা’ ৷ তিনি আরো বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে বোকা দেয়ার জন্যে কিৎরা
প্রতারণা করার জন্যে এটা করিনি ৷ আমি জানি যে, আল্লাহ্ তা আলা রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫-ক অবশ্যই
বিজয়৷ দা ন করবেন এবং তার মিশনকে পুর্ণ করবেন ৷ তবে আমি ঘুশরিকদের মধ্যে অবস্থানকারী
একজন অসহায় ব্যক্তি ছিলাম ৷ আমার যা এখনো তাদের মধ্যে রয়েছেন ৷ এজন্যই আমি
চেয়েছিলাম তাদের একটি উপকার করতে ৷ উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বললেন, আমি কি
একে হত্যা করতে পারি ? “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তুমি কি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের
একজনকে হত্যা করতে চাও ? তুমি কি জান, আল্লাহ্ তাআলা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের
সম্বন্ধে কী বলেছেন ? আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “তোমরা যা ইচ্ছে কর ৷”
উপরোক্ত সনদে ইমাম আহমদ (র) একমাত্র বর্ণনাকায়ী ৷ সনদটি ইমাম মুসলিমের
শর্তানুযায়ী ৷ হামৃদ শুধু আল্লাহ্র জন্যে ৷
মক্কা অভিযানের তারিখ ও সফরে
রেড়াযা ভাঙ্গা
ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, তারপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সফরে বের হলেন এবং মদীনায় আবু রুহম কুলসুম ইবন হুসায়ন ইবন উতবা
ইবন খালুফ আল-গিফারী (রা)-কে প্রতিনিধি রেখে গেলেন ৷ রমযান মাসের ১ : তারিখে তিনি
রওয়ড়ানা হলেন ৷ তিনি বোযা রাখেন এবং সাহাবীগণও তার সাথে রোযা রাখন ৷ এরপর তিনি
উছফান ও আমাজ নামক ন্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী জায়গা কাদীদে পৌছে তিনি রোযা ভঙ্গ করলেন ও
সামনে অগ্রসর হলেন ৷ দশ হাজার সৈন্য নিয়ে তিনি মাররুয যাহরান পৌছেন ৷ উরওয়া ইবন
যুবায়র (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বার হাজার সৈন্য ছিল ৷ ইমাম যুহরী ও মুসা
ইবন উকবা অনুরুপ বলেছেন ৷ সুলায়ম গোত্রের সৈন্য সংখ্যা ছিল সাত শ’ ৷ মতাম্ভরে এক
হাজার ৷ মুয়ায়না গোত্রের সৈন্য সংখ্যা ছিল এক হাজার ৷ প্রতিটি গোত্রের যারা ইসলাম গ্রহণ
করেছিলেন র্তারা সকলেই যুদ্ধে যোগদান করেন ৷ আর মুহাজির ও আনসারদের সকলেই যুদ্ধে
অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ র্তাদের মধ্য থেকে কেউ অনুপস্থিত ছিলেন না ৷ ইমাম বুখাবী (র) ও
অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷
বায়হাকী (র) অড়াবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান মাসে মক্কা বিজয়ের অভিযান করেছিলেন ৷ রাবী বলেন, সাঈদ ইবনুল
মুসাইব্যিব (র) বলেছেন, আমি জানি না, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি শাবান মাসের শেষের দিকে মদীনা
ত্যাগ করেন ও রামাদান মাসে মক্কায় পৌছেন নাকি রমযান মাস আসার পর ঐ মাসেই মক্কায়
পৌছেন ৷ তবে আমাকে উবায়দৃল্পাহ্ ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) সংবাদ দিয়েছেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রােযা রেখেছিলেন এবং কুদায়দ ও উছফানের মধ্যবর্তী
কাদীদ জলাশয়ের নিকট পৌছার পর তিনি রােযা ভঙ্গ করেন ৷ আর মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত কোন
রােযা রাখেননি ৷
ইমাম বুখারী (র) ও অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে তিনি শাবান ও রমযান মাসের মধ্যে
সন্দেহের উল্লেখ করেননি ৷
ইমাম বুখারী (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্
(সা) রমযান মাসে সফর করেন ৷ তিনি রােযা রাখেন ৷ উছফান নামক স্থানে পৌছে তিনি পানি
চাইলেন এবং লোকজনকে দেখাবার উদ্দেশ্যে সকলের সামনে দিনের বেলায় পানি পান করলেন ৷
মক্কা পৌছা পর্যন্ত তিনি আর রোযা রাখেননি ৷” রাবী বলেন, ইবন আব্বাস (বা) বলতেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সফরে রোযা রাখতেন ৷ আবার কোন কোন সময় রোযা ভোঙ্গও ফেলতেন ৷ যার
ইচ্ছে রোয৷ রাখবে, আর যার ইচ্ছে রোয৷ ভেঙ্গে ফেলবে ৷ ’
ইউনুস (ব) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বিজয়ের সফরে বের হলেন এবং আবু রুহম কুলসুম ইবন আল হুসায়ন আল গিফারী (রা) কে
মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ রমযানের ১০ তারিখে তিনি রওয়ানা হন ৷ তিনি রোযা
রাখেন ৷ আর তার সাথে লোকজনও রোয৷ রাখেন ৷ উছফান ও আমাজ নামক স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী
জায়গা আল-কাদীদে পৌছার পর তিনি রোযা ভঙ্গ করলেন এবং তার সাথে বাবা ছিলেন র্তারাও
রোযা ভঙ্গ করলেন ৷ সফরে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এব রোযা ভঙ্গ করাটাই ছিল শেষ আমল ৷ পুর্বের
প্রচলিত রোযা রাখার বিধানটি রহিত হয়ে যায় ৷ বায়হাকী (র) বলেন “রমযানের দশ তারিখ কথাটা
হাদীছের মধ্যে ঘুদরাজ হিসেবে গণ্য, অর্থাৎ পরবর্তীতে কোন রাবী নিজের তরফ থেকে তা
ৎযোজন করেছেন ৷ ইবন ইসহাক (ব) হতে আবদুল্লাহ্ৎ ইবর্চু ইদরীস ও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
বাযহ কী অন্য এক সনদে ইবন ইসহাক হতে বর্ণনা করেন ৷ ৷৩ ন বা;লন, ৮ম হিজরীর ১০ রমযান
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা অভিযানে বের হয়েছিলেন ৷ অন্য এক সনদে বায়হাকী আবদৃল্লাহ্ ইবন
আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রমযান মাসের তের তারিখ মক্কা বিাজয় স ংঘটিত
হয়েছিল ৷ বা য়হ৷ ৷কী বলেন, আসলে এটা ইমাম যুহরীর কথা ৷
বায়হাকী যুহরী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা বিজয়ের
উদ্দেশ্যে রমযান মাসে অভিযানে বের হয়েছিলেনত ৷৩ র সাথে ছিলেন দশ হাজার মুসলমান ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মদীনা আগমনের সাড়ে আট বছরের মাথায় এ ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ আর
রমযান মাস শেষ হওয়ার তেরদিন বাকী থাকতেই বিজয় অর্জিত হয়েছিল ৷ বায়হাকী অন্য এক
সনদে আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান
মাসে মক্কা অভিযানে বের হন ৷ তার সাথে ছিল দশ হাজার মুসলিম সৈন্য ৷ তিনি রােয৷ রাখেন ৷
কাদীদ নামক স্থানে পৌছে তিনি রোয৷ ভঙ্গ করেন ৷ যুহরী (র) বলেন, “এটাই ছিল সর্বশেষ আমল
এবৎ এটাকেই গ্রহণ করতে হবে ৷ যুহরী (র) আরো বলেন “রমযানের তেরত তারিখ রাসুলুল্লাহ্
(সা) মক্কায় পৌছেন ৷
বায়হাকী আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
রমযানের দৃই তারিখে আমাদেরকে বিজয়ের বছর অভিযানে বের হওয়ার ঘোষণা দিলেন ৷ আমরা
বোমার অবস্থায় অভিযানে বের হলাম ৷ কা ৷দীদ পৌছ৷ ৷র পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে বোয৷ ভঙ্গ
করার নির্দো৷ দেন ৷ কিছু সংখ্যক লোক বোযাদার ছিলেন ৷ আর কিছু সংখ্যক রোযাবিহীন ছিলেন ৷
তবে যখন আমরা শত্রুর সাথে মুকাবিলার মনযিলে পৌছলাম, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের
আবারো রোযা ভঙ্গের হুকুম দেন ৷ তখন আমরা সকলে রোযা ভঙ্গ করলাম ৷
ইমাম আহমদ (র) আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম যুহরী (র) উল্লেখ করেছেন যে, রমযানের তের৩ তারিখ বিজয় সুচিত হয়েছিল ৷ আর
আবু সাঈদ খুদরী (রা) উল্লেখ করেছেন যে, তারা রমযানের দৃই তারিখে মদীনা থেকে অভিযানে
রওয়ানা করেন ৷ তাতে দেখা যায় যে, মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী জায়গায় তারা এগার দিন ভ্রমণে
ছিলেন ৷ তবে বায়হাকী — যুহরী প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তারা বলেন, ৮ম হিজরীর
রমযান মাসের দশদিন বাকী থাকতে মক্কা বিজয় সম্পন্ন হয় ৷
আবু দাউদ আত-তায়ালিসী (ব) আবদুল্লাহ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রোযার অবস্থায় অভিযানে বের হন যখন তিনি কুরাউল গামীম নামক
জায়গায় পৌছলেন, তখন লোকজন পদব্রজে ও সাওয়ারীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে ছিলেন ৷
এটা ছিল রমযান মাস ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আরয করা হল, “ইয়৷ রাসুলাল্লাহ ! রােযায়
লোকজনের খুবই কষ্ট হচ্ছে ৷ আর তারা দেখার জন্যে অপেক্ষায় আছেন যে, আপনি কি করছেন ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন এক গ্লাস পানি চাইলেন ও তা পান করলেন ৷ আর লোকজন তার দিকে
তাকিয়ে ছিলেন ৷ এরপরও কিছু সংখ্যক লোক রোযা রাখলেন এবং কিছু সৎখ্যক লোক রোযা ভঙ্গ
করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে সংবাদ পৌছল যে, কিছু সংখ্যক লোক রোযাদার রয়েছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তারা হুকুম অমান্য করেছে ৷”
ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান মাসে অভিযানে বের হন ৷ তিনি রােযা রাখেন এবং তার
সাথে সাহাবীগণও রােযা রাখেন ৷ কাদীদে পৌছার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক পিয়ালা পানি
চাইলেন ৷ তিনি ছিলেন সাওয়ারীর উপর আরোহী ৷ তিনি যে রােযা ভাঙ্গলেন তা সকলকে দেখিয়ে
দেয়ার জন্যে পানি পান করলেন ৷ আর লোকজন তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন ৷ এরপর
মুসলমড়ানগণ রােযা ভাঙ্গলেন ৷ এটা ইমাম আহমদ (ব)-এব একক বর্ণনা
আব্বাস ও আবু সুফিয়ান ইবন হড়ারিচ্ প্রমুখের ইসসামগ্রহণ
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চাচা আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা) ও তার চাচাভাে ভাই আবু
সুফিয়ড়ান ইবন আল-হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) , উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা
(না)-এর ভাই আবদুল্পাহ্ ইবন আবুউমাইয়া ইবন আল-মুগীরাহ আল মাখবুমী (বা) ইসলাম গ্রহণ
করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দিকে রওয়ানা হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কার পথে তখন তার সাথে
তাদের সাক্ষাত হয় ৷
ইবন ইসহাক বলেন, “আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) রাস্তায় রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে
সাক্ষাত করেন ৷ ”
ইবন হিশাম বলেন, “আব্বাস (বা) তার পরিবার-পরিজনসহ হিজরত করার পথে জুহ্ফা
নামক স্থানে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে মিলিত হন ৷ এবপুর্বে তিনি মক্কায় অবস্থান করছিলেন ৷
ইবন শিহাব যুহরী বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন ৷ কেননা, তিনি মক্কায় অবস্থান
করে হাজীদের পানির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আবু সুফিয়ান ইবন আল-হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা) ও
আবদৃল্পাহ্ ইবন আবুউমাইয়া মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী নাইকুল উকাব’ নামক জায়গায় রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর তড়াবুতে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা
করেন ৷ তাদের এ দৃইজনের ব্যাপারে উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর