তখন সে বলল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ৷ত তার পরেও আমি তাকে হত্যা করলাম ৷ যখন আমরা
মদীনায় পৌছলাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এ সম্বন্ধে অবগত করলাম,ত তিনি বললেন, হ
উসামা! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলার পরও তুমি কেন তাভ্রু হতা৷ করলে ? আমি বললাম, হে
আল্লাহর রাসুল ! সে প্রাণ র্বাচাবার জন্যে এ কালিমা পড়েছে ৷ তিনি বললেন, লা-ইলাহ৷ বলার
পরও তুমি যে তাকে হত্যা করলে তারপর তোমাকে কে রক্ষা করবে ? রাসুলুল্লাহ্ (স ) বার বার
এ কথাটি উচ্চ৷ ৷রণ করতে লাগলেন ৷ আমার মনে হচ্ছিল যে, এত তদিন মুসলমান না হয়ে আজকে
আমার মুসলমান হওয়াট৷ ভ ৷ল ছিল ৷ তাহলে আমিও তাকে হত্যা করতাম না ৷ এরপর আমি
বললাম, আমি আল্লাহর ক৷ ছে অঙ্গীকার করছি যে, যে ব্যক্তি লাইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্’ উচ্চারণ করবে
আমি কখনও এরুপ লোককে হত্যা করব না ৷ তিনি বললেন, আমার পরেও হে উসাম৷ ? আমি
বললাম, “জী হা৷, আপনার পরেও ৷”
ইমাম আহমদ (র) উসামা ইবন যাযদ (রা) এর বরাতে বণ্নি৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
জুহায়ন৷ সম্প্রদায়ের আল-হুরুকাত গোত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
আমাদেরকে প্রেরণ করলেন ৷ আমরা শত্রুর ওখানে ভোর বেলায় পৌছলাম ৷ তাদের মধ্যে এমন
এক ব্যক্তি ছিল সে যখন দলের অগ্রগামী থাকত তখন যে আমাদের দিকে সকলের চেয়ে বেশী
দ্রুত অগ্রসর হতো আর যখন তারা পশ্চাদপসণন করত তখন সে পিছনে থেকে তাদেরকে
হিফ৷ ৷জত করত ৷ তাই এক আনসারী ভাই ও আমি তার উপর হামলা চালালাম ৷ তখন সে বলল,
লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ম৷ বুদ নেই ৷ আনস৷ ৷বী তাকে হত্যা করা
থেকে বিরত রইলেন; কিন্তু আমি তাকে হত্যা করলাম ৷ আমরা মদীনায় পৌছলাম তখন এ
সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পৌছল ৷ তিনি বললেন “হে উসাম৷ ! তুমি কি তাকে লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পরও হত্যা করেছ ?” আমি বললাম, “জী হব্রা, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ সে তো
কেবল হত্যা থেকে বীচার জ্যন্যই লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্ উচ্চারণ করেছিল ৷ তারপরও রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাকে বললেন, তুমি কি তাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলার পর হত্যা করেছ ?” এরুপে তিনি
বারবার বাক্যটি বলতে খাকলেন ৷ এতে আমি মনে করতে লাপলাম যে , যদি আগে মুসলমান
না হয়ে ঐ দিনই মুসলমান হতাম তাহলে কতই না ভাল হত ৷
ইমাম বুখ৷ ৷রী এবং মুসলিমও অনুরুপ হাদীছ বংনাি করেছেন ৷
ইবন ইসহাক জুনদৃব ইবন মাকিস আল-জুহানী হতে বংনি৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) পালিব ইবন আবদুল্লাহ আল-কালবী (রা) কে কাদীদে অবস্থানরত বনুমালুহ এর
বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে প্রেরণ করেন এবং তাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ পরিচালনার জন্যে
আদেশ দেন ৷ আর আমি এ ক্ষুদ্র সৈন্যদলের একজন সদস্য ছিলাম ৷ আমরা রওয়ান৷ হলাম এবং
যখন আমরা কাদীদে পৌছলাম তখন হারিছ ইবন মালিক ইবন আল-বায়সা আল-লাইহীব সাথে
সাক্ষাত করলাম ৷ আমরা তাকে গ্রেফতার করলাম ৷ সে বলল, আমি মুসলমান হওয়ার জন্যে
এসেছি ৷ পালিব ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)ত তাকে বললেন, যদি তুমি মুসলমান হওয়ার জন্যেই এসে
থাক ত ৷হলে এটাতে ওে তামার কোন ক্ষতি নেই যে, আমরা৫ তোমাকে একদিন একরাত পর্যরেক্ষাণ
রাখব ৷ আর যদি অন্য কোন উদ্দেশ্যে এসে থাক সে ব্যাপারে আমাদেরকে তোমার সম্পর্কে
সুনিশ্চিত হতে হবে ৷ রাবী বলেন, পালিব (রা) তাকে বেধে ওখানে রেখে দিলেন এবং কয়েকজন
হাবশী লোককে তার সাথে রেখে গেলেন ও তাকে পাহার৷ (করার জন্যে বললেন আর যদি কোন
প্রকার খিয়ানত করে তাহলে তার গর্দান উড়িয়ে দেরারও অনুমতি দিলেন ৷ রাবী বলেন “আমরা
বাতনে কাদীদ’ নামক স্থানে আসরের পর পৌছলাম ৷ সেখানে অভিযান চালাবার জন্যে আমার
সাথীর৷ আমাকে একটি টিলায় পৌছ৷ ৷র লক্ষে৷ প্রেরণ করেন ৷ আমিও টিলায় উঠা ৷র ইচ্ছা পোষণ
করি যাতে করে আমি কারা পানি নিয়ে আসে তা প্রত্যক্ষ করতে পারি ৷ টিলায় উঠে মুখ নিচের
দিকে দিয়ে তথায় আমি শুয়ে পড়লাম ৷ তখন ছিল সুর্যাস্তলগ্ন ৷ শত্রুপক্ষের একজন লোক ঘর
থেকে বের হয়ে আসল এবং আমাকে টিলায় উপর নিচের দিকে মুখ করে ণ্ডইয়ে থ ৷কতে দেখল;
কিন্তু মানুষ বলে সে নিশ্চিত হতে পারলােনা ৷ তাই সেত ৷৩র শ্রীকে বলল, “আমি ঐ টিলায় উপর
যেন একটি মানুষের ছায়া দেখতে পাচ্ছি যা দিনের প্রথম ভাগে দেখি নাই ন্ লক্ষ্য কর কোন
কুকুরত নয় যা তোমার হাড়ি পাত্র থেকে কিছু থেয়ে নিয়েছে” মহিলাটি খোজ নিল এবং বলল,
“না আমার কোন জিনিস হারানো যায়নি বা কোন কিছু কোন প্রাণী থেয়ে নিয়েছে বলেও মনে হচ্ছে
না ৷ লোকটি তার স্তীকে একটি ধনুক ও কোষ হতে ৩দৃইটি তীর প্রদান করার জন্যে নির্দেশ দিল ৷
মহিলা তার হাতে দুইটি তীর তুলে দিল ৷ সে আমার পাজর লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ
করল, কিৎব৷ রাবী বলেন সে আমার কপাল লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ করল ৷ আমি তীরটি
আমার শরীর থেকে বের করে নিলাম এবং পাশে রেখে দিলাম ৷ আর কোন প্রকার নড়াচড়া
করলাম না ৷ এরপর সে আমার দিকে দ্বিতীয় তীরটি নিক্ষেপ করল এবং তা আমার বাহুতে বিদ্ধ
হল ৷ আমি এটাও খুলে নিলাম এবং পাশে রেখে দিলাম: কিন্তু কোন নড়াচড়া করলাম না ৷ সে
তার ত্রীকে বলল, আমার দুই দুইটি তীরই তাকে আঘাত করেছে ৷ যদি কোন সন্দেহের বস্তু হত
তাহলে অবশ্যই যে নড়াচড়া করত ৷ যখন ভোর হবে তখন তুমি আমার তীরগুলাে খোজ করে
আনবে ৷ কুকুরের জন্যে আমরা এগুলো অযথ৷ ফেলে রাখব না ৷ গালিব (বা) বলেন, “(
আমাকে প্রচুর সময় দিল ৷ এমনকি যখন তাদের হৈচৈ থেমে গেল তারা দৃধপান করল, মদ পান
করল, নীরব হয়ে পড়ল এবং রাতের একাং ×শ কেটে (পল ৷ তখন আমরা তাদের উপর আক্রমণ
চালালাম ৷ তাদেরকে হত্যা করলাম, তাদের পশুপালকে হাকিয়ে নিয়ে আসতে লাগলাম এবং
আমরা এগুলো নিয়ে ফেরত আমার জন্যে রওয়ান৷ হলাম ৷ এমন সময় বিষয়টি জানাজানি হয়ে
গেলে তাদের সম্প্রদায়ের বাকী লোকজন আমাদের দিকে ছুটে আসল ৷ রাবী বলেন আমরা অতি
দ্রুত দৌড়াতে লাগলাম ৷ হারিছ ইবন মালিক ইবন আল-বারসা ও তার সাথীর স ৷ক্ষাত পেলাম ৷
তাকে আমাদের সাথে নিয়ে নিলাম ৷ লোকজনের হৈচৈ আমাদের কা নে পৌছতে লাগল ৷ তারা
এত অধিক সংখ্যায় আসছিল যে, তাদের মুকাবিল৷ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না ৷ যখন
তাদের মধ্যেও আমাদের মধ্যে শুধুমাত্র কাদীদের উপত্যকা ৷র দুরৎ বিরাজমান ছিল ৷ তখন আল্লাহ
তাআল৷ পানির ঢল প্রেরণ করলেন ৷ বর্তমানে কি×বা অতীতে তও কোন প্রকার বৃষ্টির অস্তিত্ব দেখা
যায়নি ৷ পানির এ ঢলের জন্যে কেউ আর সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারল না ৷ আমরা
তাদেরকে থ’ হয়ে র্দ৷ ড়িয়ে থাকতে দেখতে পেলাম ৷ আর তারাও আমাদেরকে দণ্ডায়মান অবস্থায়
দেখতে পেল ৷ তারা ৷শুধু আমাদের দিকে৩ ৷কিয়ে ছিল ৷ সামনে তাঃাসর হওয়া কারো পক্ষে সম্ভব
ছিল না ৷ শত্রু পক্ষের জন্তু আনোয়ার ও অন্যান্য সম্পদসহ অনাপথে দ্রুত রাস্তার দিকে আমরা
অগ্রসর হলাম ৷ শত্রুকে পিছনে ফেলে আমরা দ্রুত গতিতে মদীনায় চলে আসলাম ৷