আমার সাখী হবে ৷ এরপর আমি সাফওয়ান ইবন উমাইয়ার সাথে সাক্ষাৎ করলাম ৷ আমি বললাম,
হে ওহাবের পিতা ! তৃমিত আমাদের করুণ অবস্থা দেখতেই পাচ্ছ ৷ আমরা পেষকদন্তের ন্যায় ৷
মুহাম্মাদ আরব ও অনারৰের উপর বিজয় লাভ করেছেন ৷ আমরা যদি নৃহগ্যেদের দলভৃক্ত ইে এবং
তীর আনুগত্য স্বীকার করি তাহলে মুহন্মোদের মর্ষাদাই হবে আমাদের মর্যাদা ৷ কিত্তু সে
কঠোরভাবে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল এবং বলল, “আমি ব্যতীত যদি আর কেউ মুসলমান হওয়া
ছাড়া বাকী না থাকে তবু কখনও আমি তার আনুগত্য স্বীকার করব ন একথা শোনার পর আমি
তার থেকে বিদায় নিলাম এবং নিজের মনে বললাম, এ এমন একজন লোক যায় ভাই ও পিতা
বদরের যুদ্ধে নিহত হয়েছে ৷ এরপর আমি ইকরামা ইবন আবৃ জাহ্লের সাথে সাক্ষাত করলাম
এবং সাফওয়ানকে যা বলেছিলাম তাকেও অনুরুপ বললাম ; কিন্তু সেও সাফওয়ানের ন্যায় জবাব
দিল ৷ এরপর আমি মনে মনে বললাম, এটা গোপন থকােই আমার জন্যে ভাল ৷ আমি এটা আর
কারো কাছেউল্লেখ করব না ৷ আমি আমার ঘরে গেলাম এবং বাহন প্রস্তুত করার নির্দেশ দিলাম ৷
আমি সাওয়ারী নিয়ে বের হয়ে পড়লাম এবং উছমান ইবন তালহার সাথে সাক্ষাত করলাম ৷ মনে
মনে বলতে লাগলাম, ইনিত আমার বন্ধুই, যা ইচ্ছে তার কাছে উল্লেখকরতে পারি ৷ এরপর তার
বাপ দাদাদেরও নিহত হওয়ার বিষয়টি স্মরণে আসল তখন তার কাছে সব কিছু উল্লেখ করা
সযীচীন মনে করলাম না ৷ আবার মনে মনে ভাবলাম ৷ এতে আমার কি ? এখনই আমি চলে
যাচ্ছি ৷ কাজেই আমি তার কাছে উল্লেখ করব যা হবার হবে ৷ এরপর আমি বললাম , দেখ আমরা
গর্তের শিয়ালের ন্যায়, যদি এ গর্ভে বেশী পরিমাণে পানি ঢালা হয় তাহলে আমরা বের হয়ে
আসতে বাধ্য হবো ৷ আমার পুর্বের দৃই বন্ধুর কাছে যা বলেতািন্থম তৃতীয় বন্ধুর কাছেও তাই
বললাম ৷ এবং তিনি সাথে সাথেই আমার অনুকুলে সাড়া দিলেন ৷ তাকে আমি বললাম, আজকে
আমি এখানে আছি ৷ আগামী কাল ভোরে মুহাষ্মাদের কাছে পৌছার ইচ্ছা রাখি ৷ আমার সাওয়ারী
তৈরী রয়েছে ৷ ইয়াজিজে পৌছার জন্যে আমি ও আমার বন্ধুটি তৈরী হতে লাগলাম ৷ সিদ্ধান্ত হল
যে আমার পুর্বেই পৌছলে আমার জন্যে অপেক্ষা করবে ৷ আর আমি তার আগে পৌছলে আমি
তার জান্য অপেক্ষা করব ৷ এরপর আমরা শেষরাতে সেখানে গিয়ে পৌছলাম ৷ তখনও ভোর
হয়নি ৷ ইয়াজিজে আমরা একে অন্যের সাথে মিলিত হলাম ৷ আমরা আল-হুদায় পৌছণাম এবং
সেখানে আমর ইবনুল আস (রা)-কে দেখতে পেলাম ৷ আমর বললেন তােমাদেরকে
স্বাগতম ৷ ” আমরা বললাম, ণ্তামান্বকও স্বাগতম ৷ আমর (বা) বললেন, “তোমাদের গস্তব্যস্থল
কোথায় ? আমরা বললাম, তৃমি কিসের অভিযানে বের হয়েছ ?” তিনি বললেন, “তোমরা
কিসের অভিযানে বের হয়েছ ?” আমরা বললাম, “ইসলামে প্রবেশ করার জন্যে এবং মুহস্ফোদের
আনুগত্য স্বীকার করার জন্যে আমরা এসেছি ৷” তিনি বললেন, ঐ একই উদ্দেশে আমিও
এসেছি ৷” আমরা সকলে মিলে ভোরে মদীনায় প্রবেশ করলাম ৷ হাৰ্বায় আমাদের কাফেলা
থামল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)–কে আমাদের আগমনের সংবাদ দেওয়া হল ৷ তিনি আমাদের আগমনে
খুশী হলেন ৷ আমি আমার ভাল জামা কাপড় পরিধান করলাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে
পৌছার জন্যে রওয়নাে হলাম ৷ আমার ভইি আমার সাথে সাক্ষাত করলেন এবং বললেন তাড়া
ণ্তাড়ি কর, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে তোমার আগমনের খবর দেওয়া হয়েছে ৷ তোমার আপমনে তিনি
খুশী হয়েছেন ৷ তিনি তোমাদের জন্যে অপেক্ষা করছেন ৷ তাড়াতাড়ি চল ৷ আমি রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
এর দরবারে পৌছলাম ৷ তিনি আমাকে দেখে মুচকি হাসি হাসলেন ৷ আমি তীর সামনে গিয়ে
দীড়ালাম এবং তাকে নবী বলে উল্লেখ করে সালাম কািাম ৷ প্রসন্ন বদনে তিনি আমার সালামের
উত্তর দিলেন ৷ এরপর আমি বললাম, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই
এবং আপনি আল্লাহ্ র রাসুল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এসো এসো ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, আল্লাহ্র জন্যে সমস্ত প্রশংসা যিনি তোমাকে হিদায়াত দান করেছেন ৷ তোমার
বুদ্ধিমত্তার উপর আমার আস্থা ছিল ৷ আমি আশা করতাম যে, তোমার বৃদ্ধি বিবেচনা তোমাকে
কল্যাণের দিকে পরিচালিত করবে ৷ ’ আমি বলরাম, “হে আল্পাহ্র রাসুল ৷ আপনার মাহাত্ম্য আমি
উপলব্ধি করেছিলাম ঠিকই; কিন্তু বিদ্বেষবশত সতের ব্যিরাধিতা করে আপনার বিরুদ্ধে
পরিচালিত অভিযানগুলোতে আমি অংশ নিয়েহ্নিা৷ম ৷ আপনি আল্লাহ্র কাছে দৃআ ব্বান আল্লাহ্
তাআলা যেন আমাকে মাফ করে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “পুর্বের সব গুনাহ্ ইসলাম
মিটিয়ে দেয় ৷” আমি বললাম, এরপরও আপনি একটু দুআ করুন ইয়া রা সুলাল্লাহ্ ! রাসুলুন্নাহ্
(সা) বললেন, ণ্হ আল্পাহ্ আল্লাহ্র রাস্তা থেকে বিরত কৱণজনিত খালিদের অপরাধসমুহ ক্ষমা
করুন ! ৰালিদ (বা) বলেন, তারপর উছমান ও আমর আসর হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে
বায়আত গ্রহণ করলেন ৷ তিনি আরো বলেন, আমাদ্যেৰ্ এ আগমন ছিল ৮ম হিজরীর সফর মাসে ৷
আর তার গোষ্ঠির অন্য কোন সাহাবীকেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সমতুল্য মনে করতেন না ৷
বনু হাওরাযিনের প্ৰতি প্রেরিত শুজা ইবন ওহাব আল-আসাদীর অভিযান
ওয়াকিদী উমর ইবনুল্ হাকম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
২৪ জনের একটি দলকে ক্তজা ইবন ওহাব (রা)এর নেতৃত্বে বনু হাওয়াযিনের প্ৰতি প্রেরণ করেন
এবং তাদের উপর অতর্কিভে হামলা করার নির্দেশ দেন ৷ সে মতে তিনি বের হয়ে পড়লেন )
তিনি রাতে ভ্রমণ করতেন এবং দিনে শত্রুর পতিবিধি লক্ষ্য করার জন্যে ওৎপেতে থাকতেন ৷
তিনি শত্রুর কাছে আসলেন এবং তাদের প্ৰতি আক্রমণ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
আসহাবকে নির্দেশ প্রদান করতেন যেন র্তারা শত্রুর পশ্চাদ্ধাবনে বাড়াবাড়ি না করেন তারা প্রচুর
উট ছাগল লাভ করলেন ৷ এগুলোকে তারা হীকিয়ে নিয়ে মদীনায় এসে পৌছলেন ৷ র্তাদের
প্রত্যেকের অংশে পড়েছিল ১৫টি করে উট ৷ আবার কেউ কেউ বলেহ্নো, তারা কিছু সংখ্যক র্বীদী
-দাসীও লাভ করেছিলেন ৷ দলপতি তাদের মধ্য হতে একটি সুন্দরী নারীকে তীর নিত্তেরে জন্যে
পসন্দ করেছিলেন ৷ ঐ সম্প্রদায়ের লোকজন ইসলাম গ্রহণ করে ৷ তাদেরকে ফেরত প্রদানের
ব্যাপারে দলপতি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাথে পরামর্শ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাতে সম্মতি
দিলেন ৷ তাই তাদের সকলকে যেম্মত দেওয়া হল ৷ আর দলপতির কাছে যে দাসীটি ছিল তাকে
ইখতিয়ার দেওয়া হয় ৷ সে তার কাছে থাকটাই পসন্দ করে ৷ এ অভিযান সম্পর্কে ইমাম শাফেয়ী
(র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা)
নজদের দিকে একটি ক্ষুদ্র অভিযান প্রেরণ করেন ৷ তাদের মধ্যে আবদুঃা৷হ্ ইবন উমর (ৱা)ও
ছিলেন ৷” তিনি বলেন, “এ অভিযানে আমরা অনেক উট লাভ করেছিলাম এবং আমাদের
প্রত্যেকের অংশে উট পড়েছিল ১২টি করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের প্রতোককে একটি করে
অতিরিক্ত উটও প্রদান করেছিলেন ৷” ইমাম মালিক (র)-এর বরাভে সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্
মুসলিমেও এ বর্ণনাটি পাওয়া যায় ৷ আবার মুসলিম ও এককভাবে আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (বা)
হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ আবুদাউদ (র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) নজদ্যে৷ দিকে একটি ক্ষুদ্র সৈন্যলে প্রেরণ করেন ৷ আমিও
এ অভিযানে অংশ নিয়েছিলাম ৷ আমরা বহু সম্পদ লাভ করেছিলাম ৷ আমাদের নেতা আমাদের
প্রত্যেককে একটি একটি করে উট বেশি প্রদান করলেন ৷ এরপর আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
কাছে আগমন করলাম ৷ তিনি আমাদের মাঝে গণীমতের মাল বন্টন করেন ৷ খুমুস পৃথক করার
পর আমাদের প্রাত্যকের অংশে ১২টি করে উট পড়েছিল ৷ আর আমাদের নেতা আমাদেরকে যা
দিয়েছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কোন হিসাব নিলেন না এবং নেতা যা করেছেন তারও কোন
দোষ ত্রুটি ধরলেন না ৷ অতিরিক্ত একটিসহ আমাদের প্রতেকেব অংশে ১৩টি করে উট
পড়েহ্নিণ্ ৷
বনু কুযাআর বিরুদ্ধে প্রেরিত কাব ইবন উমায়র (না)-এর অভিযান
ওয়াকিদী, মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ যুহরী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “ ১৫ জনের
একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলের নেতৃত্ব দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাব ইবন উমায়র আল-গিফারী (রা)-কে
প্রেরণ করেন ৷ তারা যখন সিরিয়ার “যাতে ইত্তালা নামক জায়গায় পৌছলেন তারা সেখানে
একটি বিরাট সৈন্য দলের মুখোমুখি হলেন ৷ তখন তারা তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহ্বান
করলেন ৷ কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে তাদ্যে৷ প্রতি তীর নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা)ষ্এর সংগীগণ যখন এরুপ অবস্থা দেখলেন তাদের সাথে ভীষণ যুদ্ধে লিপ্ত হলেন এবং
শাহাদত বরণ করলেন ৷ নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মারাত্মক আহত ব্যক্তিকে পাওয়া গেল
এবং তাকে উঠিয়ে তাবুতে আনা হল ৷ যখন রাত গভীর হল, তখন তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
কাছে আনা হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) শত্রুদের বিরুদ্ধে অন্য একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদল পাঠাবার মনস্থ
করলেন; জ্যি খবর আসল যে, তারা অন্যত্র চলে গেছে ৷ তইি আর সৈন্যদল পাঠানো হল না ৷
মুতার যুদ্ধ
যায়দ ইবন হারিছা (না)-এর অভিযান
সিরিয়ার বালুকা এলাকায় প্রেরিত এ বাহিনীতে ছিলেন তিন হাজারের মত সৈন্য
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, কযাের উমরা পালনের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ষিলহাজ্জ মাসের
বাকী কয়েকদিন মদীনায় অবস্থান করেন ৷ আর মুশরিকরা এ হশুজ্জর তত্ত্বাবধান করে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) ৮ম হিজ্জীর যুহাররম, সধ্ব, রবিউঃ৷ আউয়াল ও রবিউস ছানী মদীনায় অবস্থান করেন ৷ আর
জুমাদাল উল৷ মাসে সিরিয়ার সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ তারা মুতা নামক স্থানে শত্রু সৈন্যের
মুকাবিলা করেন ৷
উরওয়া ইবন যুবায়র (বা) বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ৷ন্ম হিজরীর জুমাদাল উল৷ মাসে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুতায় একদল সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন এবং যায়দ ইবন হারিছা (রা)-কে আমীর
নিযুক্ত করেন ৷ আর বলেন, “যদি যায়দ (রা) শহীদ হয় তাহলে জাফর ইবন আবু তালিব (রা)
নেতৃত্ব দেবে ৷ আর যদি জাফর (বা) শহীদ হয়, তাহলে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) নেতৃত্ব
দান করবে ৷ লোকজন প্রস্তুতি নিতে লাগলেন এবং বের হবার চুড়ান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করলেন ৷
সংখ্যায় তারা ছিলেন তাি হাজার ৷
ওয়াকিদী — হাকাম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “নু’মান ইবন ফিনৃহাস
নামক ইয়াহ্রদী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসল এবং তার সামনে লোকজনের সাথে বসল ৷
তিনি বললেন, “যায়দ ইবন হারিছা (রা)-কে সৈন্যদলের আমীর নিযুক্ত করা হল ৷ যদি যায়দ (বা)
শহীদ হয়ে যায় তাহলে জাফর ইবন আবু তালিব (রা) আমীর হবে ৷ আর যদি জাফর (বা)
শাহাদত বরণ করে তাহলে আবল্লোহ্ ইবন রাওয়াহা (বা) আমীর হবে ৷ আর যদি আবদুল্লাহ ইবন
রাওয়াহা (রা) শাহাদত বরণ করে তাহলে মুসলমানগণ নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে একজনকে
আমীর নির্ধারণ করবে ৷” নু’মান বলে উঠল, ণ্হ আবুল কাসিম ! তুমি যদি নবী হও, তাহলে তুমি
যাদের নাম উল্লেখ করেছ, কম হোক আর বেশী হোক, তারা সকলেই শাহাদত বরণ করবে ৷
ফেপ্সনা, বনু ইসরাঈলের নবীগণ যখনই জাতির কাছে কোন কোন ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করতেন
এবং বলতেন যে, অমুক অমুক শাহাদত বরণ করবে তারা শাহাদত বরণ করতেন ৷ একশ’ জনের
ব্যাপারে এরুপ মন্তব্য করলে তাদের সকলেই শহীদ হতেন ৷ এরপর যায়দ (রা)-কে লক্ষ্য করে
ইয়াহুদী আেকটি বলল, “হে যায়দ ! জেনে রেখো মুহাম্মাদ যদি নবী হয়ে থাকেন তাহলে তুমি
কােনদিনও আর ফিরে আসবে না ৷ যায়দ (রা) বলেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি অবশ্যই
একজন সত্য নবী এবং পুণ্যবান ৷” এটি ৰায়হাকীর বর্ণনা ৷
ইবন ইসহাক বলেন, “যখন সৈন্যদলের রওয়ানা হবার সময় ঘনিয়ে আসল, লোকজন
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিয়োগপ্রাপ্ত আমীরদের বিদায় দিলেন ও তাদের প্ৰতি সালাম বিনিময়
করলেন ৷ অন্যান্যদের সাথে আবল্লোহ ইবন রাওয়াহা (রা) যখন বিদায় নিলেন তখন তিনি র্কাদতে
লাগলেন ৷ লোকজন তন্কে জিজ্ঞেস ক্যাল, আপনি কেন র্কাদছেন হে ইবন রাওয়াহা ? উত্তরে তিনি
বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমার কাছে দুনিয়ার কোন মমতা নেই কিৎবা তোমাদের প্রতিও আমার
কোন আকর্ষণ নেই; কিতৃ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে কিতাবুল্পাহর একটি আয়াত পড়তে শুনেছি
যার মধ্যে জাহান্নামের উল্লেখ রয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :
অর্থাৎ “এবং তোমাদের প্রত্যেকেই এটার (আহন্ন্নৰুমেরর্চু উপর
দিয়ে অতিক্রম করবে, এটা তোমার প্রতিপালরেদ্ম অনিবার্য সিদ্ধান্ত ৷” অথচ আমি জানি না কেমন
করে আমি সেখান থেকে উঠে আসর ৷ তখন মুসলমানগণ বলেন, আল্লাহ তোমাদের মঙ্গল
করপ্স, শত্রু থেকে হিফাযত ৰ্ব্রুন্ এবং আমাদের মাঝে তােমাদেরকে আল্লাহ তাআলা নিরাপদে
ফিরিয়ে নিয়ে আসুন ! এরপর আবদুঃব্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) কবিতার হুন্দে বলেন :