রিকা ৷ হযরত আবু মুসা আশআরী (রা)-এর হাদীছে আছে যে, ওই অভিযানে প্রচণ্ড তাপ ও
গরমের কারণে মুজাহিদগণ পায়ে কাপড়ের টুকরা ও পট্টি বেধেছিলেন বলে ওই যুদ্ধকে যাতুর
রিকা বলা হয় ৷
ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম বাহিনী ওই স্থানে গিয়ে গাতফান গোত্রীয় শত্রুদের মুখোমুখি
হয় ৷ পরস্পর একে অন্যের উপর আক্রমণ করার উপক্রম হয় ৷ তবে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ সংঘটিত
হয়নি ৷ উভয় পক্ষ একে অন্যকে ভয় পেয়েছিল ৷ ওখানে রাসৃভুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীগণকে নিয়ে
সালাতুল খাওফ আদায় করেন ৷
ইবন হিশাম (র) সালাতুল খাওফ এর হাদীছটি আবদুল ওয়ারিছ জাবির (না) থেকে
এবং আবদুল ওয়ারিছ ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এই হাদীছে নজদের
যুদ্ধ কিৎব৷ যাতুর রিকা যুদ্ধ কােনটাই উল্লেখ করেননি ৷ তেমনি এই ঘটনার সময়-স্থান কিছুই
উল্লেখ করেননি ৷ অবশ্য গাতফান গোত্রের বনুমুহারিব ও ন্ধ্রনু ছালাবাকে শায়েস্তা করার জনেবু
পরিচালিত যাতুর রিকা যুদ্ধ যদি খন্দকের যুদ্ধের পুর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলা হয় তবে তা প্ৰশ্নাতীত
নয় ৷ বুখারী বলেছেন যে, যাতুর বিকা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে থায়বার যুদ্ধের পর ৷ তিনি এভাবে
দলীল পেশ করেছেন যে, হযরত আবুমুসা আশআরী (বা) ওই ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন ৷ অথচ
আবু মুসা আশআরী (বা) হযরত জাফর ও অন্যান্যদের সাথে মদীনায় এসে উপস্থিত হন খায়বার
যুদ্ধের সময়ে ৷ অনুরুপ একটি দলীল হল হযরত আবু হুরায়র৷ (রা)-এর হাদীছ ৷ তিনি বলেছেন
নজদ অঞ্চলে আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে সালাতুল খাওফ আদায় করেছি৷ এছাড়া যাতুর
বিক৷ যুদ্ধ যে খন্দক যুদ্ধের পরে হয়েছে৩ তার একটি দলীল হযরত ইবন উমার ও এর হাদীছ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে যুদ্ধ করার প্রথম অনুমতি দেন খায়বারের যুদ্ধে ৷ ইবন উমার (বা) থেকে
বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত আছে তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথী হয়ে নজ্বদের যুদ্ধে
ৎশ নিয়েছি ৷ এ প্রসংগে তিনি সালাতু ল খাওফের ঘটনা বর্ণনা ৷করেন ৷ ওয়াকিদী বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৪০০ কিহুব৷ ৭০০ মুজাহিদ নিয়ে ৫ম হিজরীর মুহাররম মাসের ১০ তারিখ
শনিবার রাতে যাতুর বিকা এ-র উদ্দেশ্যে৷ যা ত্রা করেছিলেন৩ ৷ত ৷র এই বক্তব্য আলোচনা সাপেক্ষ ৷
সালাতুল খাওফ খন্দকের যুদ্ধের পর বিধিবদ্ধ হয়েছে শুধু এটুকু বলে উপরোক্ত সমস্যা থেকে
মুক্তি পাওয়া যাবে না ৷ কারণ, খন্দকের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রসিদ্ধ ম৩ তানুসারে ৫ম হিজরীর
শাওয়াল মাসে ৷ কেউ বলেছেন, খন্দকের যুদ্ধ হয়েছিলেন : র্থ হিজয়ী সনে ৷ এই ব্যাখ্যানুসারে
ইবন উমার (রা)-এর হাদীছের প্রশ্নের সমাধা হয়; কিন্তু আবু মুসা (রা) ও আবু হুরায়র৷ (রা) এর
হাদীছ থেকে উদ্ধৃত সমস্যার সমাধান হয় না ৷
গাওরাছ ইবন হারিছের ঘটনা
যাতুর রিকা যুদ্ধ প্রসংগে ইবন ইসহাক বলেন, আমর ইবন উবায়দ — জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (বা) থেকে বর্ণিত ৷ বনু ঘুহারিব গোত্রের এক লোক তার নাম ছিল পাওরাছ ৷ সে তার
স্বীয় সম্প্রদায় পাতফান ও মুহারিব গোত্রকে বলেছিল অ মি কি তোমাদের পক্ষ থেকে মুহাম্মাদ
(সা) কে হত্যা করব ? ওরা বলল, ই৷ তুমি তাই করবে, তবে কীভ৷ ৷বে তুমি তা করবে ? সে
বলল, আমি কুট কৌশলের আশ্রয় নিয়ে৩ তাকে হত্যা করব ৷ বর্ণনাকারী বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একটি গাছের ছায়ায় বসা ছিলেন ৷৩ তার তরবারিটি ছিল তার কোলে ৷ সে বলল, হে মুহাম্মাদ !
আমি কি আপনার তরবারিটি দেখতে পারি ? রালুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হা, দেখতে পার ৷ সে
তরবারিটি হাতে নিল এবং সেটি নাড়৷ চাড়া করতে লাগল ৷ আল্লাহ তাকে অপদস্ত করলেন ৷ সে
বলল, হে মুহাম্মাদ ! আ ৷পনি কি এখন আমাকে ভয় পান না ? তিনি বলরুদ্ব ৷ন, না ৷ আমি তোমাকে
ভয় পাচ্ছি না ৷ সে বলল, আশ্চর্য, আমার হাতে তরবারি রয়েছে তবু আপনি আমাকে ভয় করছেন
না ৷ তিনি বললেন, না, মোটেই ভয় পাচ্ছি না ৷ মহান আল্লাহ তোমার হাত থেকে আমাকে রক্ষা
করবেন ৷ এরপর সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তরবারি তাকে ফেরত দেয় , এ প্ৰসংপে আল্লাহ
তাআলা নাযিল করলেন ৰু’
“হে মু মিনগণ তোমাদের প্রতি ৩আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন এক সম্প্রদায় তোমাদের
বিরুদ্ধে হস্ত উত্তোলন করতে ৩চেয়েছিল ৷ তখন আল্লাহ্ তাদের হাত সষ্ যত করেছিলেন এবং
আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ আর মু মিনদের অ ৷ল্লাহ্র উপরই নির্জা করা ব ৷ঞ্চুনীয় (৫ মায়িদ৷ : ১১) ৷
ইবন ইসহাক বলেন ইয়াযীদ ইবন রুমান আমাকে জানিয়েছেন যে, উক্ত আয়াত নাযিল
হয়েছিল বনু নাযীর গোত্রের আমর ইবন জাহ্হাশ ও তার যড়যন্ত্রমুলক পরিকল্পনা উপলক্ষে ৷
এভাবে ইবন ইসহ ক গাওর৷ ৷ছের ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন ণ্গামরাহ ফিরকাহ্ কাদরিয়্যা ৷হ্ সম্প্রদায়ের
নেতা আমর ইবন উবায়দ কাদারী থেকে ৷ হাদীছে মিথ্যাচারের অভিযোগে সে অভিযুক্ত না হলেও
যেহেতু সে একটি বিদআতের অনুসরণক৷ ৷রী এবং মানুষকে সেদিকে আহ্বানকারী সেহেতু তার
থেকে হাদীছ বর্ণনা করা ৷উচিত নয় ৷ অবশ্য তা ৷লোচ্য হাদীছ৩৷ার নিকট থেকে বংনাি হওয়া ছাড়াও
অন্যান্য সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মৃসলিমে এই হাদীছ রয়েছে ৷ সকল প্রশংসা
আল্লাহর, হাফিয় বায়হাকী (র) বিভিন্ন স্থান থেকে এই হাদীছের একাধিক সনদ উল্লেখ করেছেন ৷
সহীহ্বুখারী ও সহীহ্ মুসলিংম এটি বর্ণিত হয়েছে যুহরী জাবির (রা) সুত্রে ৷ হযরত জাবির
(রা) বলেছেন, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এব সাথে নজদ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ যুদ্ধ শেষে
মদীনায় ফেরার পথে তার খুবই তন্দ্র৷ পায় ৷ ন্থানটি ছিল বড় বড় কাটা বিশিষ্ট বৃক্ষরাজিতে পরিপুর্ণ ৷
সাহারা-ই-কিরাম বিভিন্ন বৃক্ষের ছায়ায় গিয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে
একটি গাছের ছায়ায় বিশ্রামরত ছিলেন ৷ তার তরবারি ঝুলানাে ছিল ওই গাছের সাথে ৷ হযরত
জাবির (বা) বলেন, আমরা সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম ৷ হঠাৎ শুনতে পাই যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাদেরকে ডাকছেন ৷ আমরা ত ৷র ৷নিকট এলাম ৷ সেখানে দেখতে পেলাম একজন আরব
বেদুঈন বসে রয়েছে ৷ র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এই বেদুঈন লোক আমার র৩বাবিটি কো ষমুক্ত
করেছিল ৷ আমি ছিলাম ঘুমম্ভ ৷ ঘুম থেকে জেগে দেখি তার হাতে আমার মা পমুক্ত তরবারি, :স
আমাকে লক্ষ্য করে বললাে , আমার হাত থেকে এখন আপনাকে কে রক্ষ৷ করবে ? আমি বললাম,
“রক্ষা করবেন আল্লাহ ৷ ” সে আবার বলল, আপনাকে রক্ষ৷ করবে কে ? আমি বললাম, রক্ষা
করবেন আল্লাহ ৷ এবার সে তরবারিটি খাপবদ্ধ করে বসে পড়ে ৷ সে এত গুরুতর অপরাধ করা
সত্বেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে কোন শাস্তি দেননি ৷
মুসলিম (র) বর্ণনা করেছেন, আবু বকর ইবন আবুশায়বা জাবির (বা) থেকে ৷ তিনি
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সফরে বের হলাম, যাতুর রিকা নামক স্থানে এসে
পৌছলাম আমরা ৷ আমাদের নিয়ম ছিল যে, কোন ছায়াময় বৃক্ষ পেলে সেটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
জন্যে ছেড়ে দিতাম ৷ তিনি ওই ছায়ায় বিশ্রাম নিতেন ৷ এই যাত্রায় তিনি ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ৷
সেখানে উপস্থিত হয় জনৈক মুশরিক ব্যক্তি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তরবারিটি গাছের সাথে ঝুলানো
ছিল ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তরবারিটি হাতে তুলে নিয়ে <ব্রুকাষমুক্ত করে এবং ওই খোলা
তরবারি উচিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলে, আপনি কি আমাকে ভয় পাচ্ছেন ? তিনি উত্তর দিলেন,
না ৷ ভয় পাচ্ছি না ৷ সে বলল, আমার হাত থেকে এখন আপনাকে কে রক্ষা করবে ? তিনি
বললেন, আমাকে রক্ষা করবেন, আল্লাহ ৷ এমতাবস্থায় সাহাবীগংং এসে তাকে ধমক দেন এবং
সে কােষবদ্ধ করে তরবারিটি ঝুলিয়ে রাখে ৷ বংনািকাবী বলেন , তখন নামাষের আমান দেওয়া
হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদল সাহাবীকে সাথে নিয়ে দু’রাকঅক্তে নামায আদায় করলেন ৷ এরপর
তিনি এ দলকে সাথে নিয়ে দু রাকাআত আদায় করলেন ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর : রাকআত
পুর্ণ হল আর প্ৰতেব্রক দলের হল ২ রাকআত ২ রাকআত করে ৷ ইমাম বুখারী (র) জোরালো শব্দ
ব্যবহার করে এই হাদীছ সনদ বিহীনভাবে আবান সুত্রে বপ্টা৷ করেছেন ৷
বুথারী বলেন, মুসাদ্দাদ আবু আওয়ানা থেকে বর্ণিত যে ওই মুশরিক ব্যক্তির নাম
ছিল গাওরাছ ইবন হারিছ ৷ বায়হাকী (র) আবু আওয়ানড়াহ্ জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, এক খেজুর বাগান অঞ্চলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুহারিব ও গাতফান
গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করেন ৷ শত্রুপক্ষ কৌশলে ও প্রতারণা করে
মুসলমানদেরকে পরাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, পাওরাছ ইবন হারিছ নামে তাদের জনৈক ব্যক্তি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসে হাতে তরবারি নিয়ে ৷ সে বলল, আমার হাত থেকে এখন
আপনাকে রক্ষা করবেন কে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমাকে রক্ষা করবেন আল্লাহ ৷ একথা
শুনে তার হাত থেকে তরবারি খসে পড়ল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই তরবারি হাতে নিয়ে বললেন,
এবার আমার হাত থেকে তোমাকে রক্ষা করবে কে ? সে বলল, “আপনি সর্বোত্তম তরবারি
ধারণকারী হোন ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কি এ সাক্ষ্য দিয়ে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন
ইলাহ্ নেই ? সে বলল, না ৷ তবে আমি অঙ্গীকার করছি যে, আমি কখনও আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করব না এবং যারা আপনার বিরংদ্ধে যুদ্ধ করবে আমি ৩াপের দলে থাকর না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে ছেড়ে দিলেন ৷ সে ফিরে গেল তার সাথীদের নিবল্ট ৷ সে বলল, আমি এখন সর্বশ্রেষ্ঠ
মানুষটির নিকট থেকে এসেছি ৷ এরপর বর্ণনকোরী যাতুর রিকা অঞ্চলে সালাতুল খাওফ আদায়ের
ঘটনা বপ্টা৷ করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) উভয় দলকে সাথে নিয়ে দু রাকআত করে নামায আদায়
করেছেন ৷ ফলে ওদের হল দু’রাকআত করে আর তার হল চার রাকআত ৷
বড়ায়হাকী (র) যাতুর রিকা অঞ্চলে সালাতুল খাওফ আদায়ের ঘটনা বর্ণনা করেছেন সালিহ্
ইবন খাওয়াত ইবন জুবায়র সুত্রে সাহ্ল ইবন আবু হাছামাহ থেকে ৷ তিনি সালিম সুত্রে তার পিতা
থেকে বর্ণিত নজদ অঞ্চলে সালাতুল খাওফ আদায় সম্পর্কিত যুহরীর হাদীছটিও উল্লেখ করেছেন ৷
এগুলো আবুলাচনার উপযুক্ত স্থান হল “কিতাবুল আহকাম” আল্লাইে ভাল জানেন ৷
এ অভিযানে এক সাহাবীর ইবাদতে একাগ্রত৷ ও একটি পাথী ডাকার ঘটনা
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ববুলন, আমার চাচা সাদাকা ইবন ইয়াসার জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ ৷’সা) এর সাথী হয়ে যাতুর
বিকা অভিযানে বের হলাম ৷ যা তুর রিকা অঞ্চলটি ছিল প্রচুর থেজুর বৃক্ষ বিশিষ্ট ৷ জনৈক সাহাবী
এক মৃশ ৷বিকের ত্রীবুক বন্দী করেন ৷ অভিযান শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মদীনার উদ্দেশ্যে ফিরতি
যাত্রা করবুলন তখন ওই মুশ ৷রিক ব্যক্তি বাড়ী আসে ৷ মহিলাটিকে বন্দী করার সময় সে বাড়ী
ছিলনা ৷ বাড়ীতে এসে সে তার ত্রী বন্দী হবা র ৷যটনা শুনতে পড়ায় ৷ সে শপথ করে বলে যে, ঘটনার
প্ৰতিবুশাধ হিসেবে সে ঘুহ ৷ষ্মাদ (সা) এর সা ৷হাবীদের মধ্যে কারো ন ৷ কারো রক্তপাত ঘটাবে ৷ সে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পদচিহ্ন অনুসরণ করে অগ্রসর হয় ৷ এদিকে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এক জায়গায়
এসে শিবির স্থাপন করেন ৷ সাহাবীগবুণর উদ্দেশে তিনি বললেন বুক আছ আজ রাতে
আমাদেরকে পাহ৷ ৷রা দিবুব ? সাথে সাথে একজন মুহাজির ও একজন আনসারী সাহাবী বললেন,
ইয়া রাসুলা ল্লাহ্ (সা) আমরা পাহার৷ দেব ৷ তিনি নির্দেশ দিয়ে বললেন, তবুব বুত তামর৷ গিরিপবুথর
প্রবেশ দ্ব৷ রে গিয়ে অবন্থ ন গ্রহণ কর ৷ সাহাবী দুজন ছিলেন আম্মা র ইবন ইয়াসির ও আব্বাদ ইবন
ৰিশৃর ৷ গিবিপবুথর প্রবেশ দ্বাবুর গিয়ে আনসারী সাহাবী তার মুহাজির ভাইটিকে বললেন, আপনি
রাতের কোন অংশে বিশ্রাবুমর সুযোগ বুনবুবন আর আমি দায়িতৃ পালনকরব ? ঘুহাজির সাহাবী
তখন বললেন, রাতের প্রথম অ শে আপনি আমাকে বিশ্রাবুমর সুযোগ দেবেন ৷ত তারপর তিনি
ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ আনসারী সাহাবী নামায়ে দাড়াবুলন ৷ উক্ত মুশবিক ব্যক্তি সেখানে এসে পৌছে ৷
নামাযরত সাহাবী দেবুখ সে বুঝে নিয়েছিল যে এ ব্যক্তি পাহারাদার ৷ সে তাকে লক্ষ্য করেত তীর
নিক্ষেপ করে ৷ তীর তার গায়ে বিদ্ধ হয় ৷ তিনি দেহ থেকে ভীরটি খুবুল ফেলে দেন এবং
নামাবুযই দ৷ ৷ড়িবুয় থাবুকন ৷ ওই ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় বার ভীর নিক্ষেপ করে ৷ ভীরটি
সাহাবীর দেবুহ বিদ্ধ হয় ৷ এবারও তিনি ভীর থুবুল পাশে বুরবুখ দিবুলন এবং যথারীতি দ ডিবুয
নামায আদায় করতে থাকলেন ৷ মুশবিক ব্যক্তিটি র্তাকে লক্ষ্য কবুরত তস্বীয় বার ভীর নিক্ষেপ
করল ৷ বুসঢি তার শরীরে বিদ্ধ হল ৷ এবারও তিনি ভীরটি খুবুল পাশে রেবুখ দেন ৷ এবং নিয়ম
মাফিক রুকু সিজদা ৷কবুর নামায শেষ করেন ৷ তারপর তার সাথী আনসারী সাহাবীকে ঘুম থেকে
তুলে বলবুলন, উঠুন , আমি আমার দায়িত্ব পালন কবুরছি ৷ তাদের দুজনবুক কথা বলতে দেবুখ
মুশরিক ব্যক্তি ধারণা করে যে, তারা তাকে ধরার জবুন্য পরামর্শ করবুছন ৷ সে দ্রুত পালিয়ে যায় ৷
যখন আনসারী সাহাবী দেখলেন যে, মুহাজির সাহাবীর দেহ থেকে রক্ত ঝরবুছ ৷ তখন তিনি
বলবুলন, সুবহানাল্লাহ! আপনি আমাকে প্রথম ভীর বিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে ঘুম থেকে জাগাননি
কেন ? মুহাজির সাহাবী বলবুলন, আমি একটি বিশেষ সুরা পাঠ করছিলাম ৷ সুরাটি শেষ না করে
তিলাওয়াত ছেড়ে দিবুত আমার মন চায়নি ৷ কিন্তু সে যখন বার বার ভীর নিক্ষেপ করছিল তখন
আমি রুকু সিজদার মাধ্যমে নামায বুশষ করি ৷ আল্লাহর কসম ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে গিবিপথ
পাহারার দায়িতৃ দিয়েছিলেন তা পালনে ত্রুটি হবার আশং ৷ না থাকবুল আমি নামায পড়েই যেতাম