করছে ৷ মুসলমড়ানগণ ইয়াসীর ইবন রিযাম ইয়াহুদীর নিকট হাবিব হয়ে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে
বললেন, আপনাকে খায়বারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে
আপনার নিকট প্রেরণ করেছেন, মুসলিম সেনাদল তার সাথে অবস্থান করেন ৷ শেষ পর্যন্ত যে তার
ত্রিশজন লোকসহ তাদের সংগী হল ৷ প্রত্যেক মুসলমানের সংগে ছিল একজন কাফির সহযাত্রী ৷
যখন তারা খায়বারের ১০ কিলোমিটার দুরে কারকারাহনিয়ার ’নামক স্থানে পৌছলেন তখন
ইয়াসীর ইবন রিযাম সংকেড়াচবােধ করতে লাগল ৷ সে তার হাত দ্বারা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়ড়াহা
(রা) এর তলােওয়ারের দিকে ইংগিত করল ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) তার কৃমতলব আচ
করতে পেরে তার উটকে দ্রুত চালাতে লাগলেন ৷ এরপর তিনি উপস্থিত সকলকে সামনের দিকে
পরিচালিত করতে লাগলেন ৷ তিনি ইয়ড়াসীর এর পায়ে আঘাত করে তা কেটে ফেলেন ৷ ইয়াসীরও
পাল্টা আঘাত করল ৷ তার হাতে ছিল শাওহাত নামী শক্ত কাঠের রেলচা ৷ এটা দিয়ে সে আবদুল্লাহ
ইবন রাওয়াহা (রা)-এর চোখে মুখে আঘাত করল এবং তাকে সারাত্মকভাবে আহত করল ৷
প্রত্যেক মুসলমান তার সহযাত্রীর উপর আক্রমণ চালাল এবং তাদের একজন ব্যতীত প্রত্যেককে
হত্যা করা হল ৷ সে প্রাণ বীচিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ৷ মুসলমানদের কেউই নিহত হননি ৷
মদীনায় ফেরত আসার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) এর আহত স্থানে মুখের
লালা লাগিয়ে দিলেন, ফলে তাতে পুজ সৃষ্টি হয়নি বা তার মৃত্যু পর্যন্ত এজন্য তার কোন প্রকার
কষ্টও অনুভুত হয়নি ৷
বাশীর ইবন সা ’দ (রা)-এর অভিযান
ওয়াকিদী হতে সনদ সহকারে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ত্রিশজন আরোহীসহ বাশীর ইবন সা’দ
(বা) কে ফাদাক ভুখণ্ডের মুররা গোত্রের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাদের পওপালকে হীকিয়ে
নিয়ে আসার চেষ্টা করেন ৷ তারা তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং তার সাথে যারা ছিলেন তাদের
সকলকে হত্যা করল ৷ তিনি ঐ দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন ৷ এরপর
তিনি ফাদাকে আশ্রয় নিলেন এবং এক ইয়াহ্রদীর কাছে রাত্রিযাপন করেন ৷ পরে তিনি মদীনায়
প্রত্যাবর্তন করেন ৷ ’
গালিব ইবন আবদুল্লাহ (রা)-এর অভিযান
ওয়াকিদী বলেন , “রাসুলুল্লাহ্ (সা ) গালিব ইবন আবদুল্লাহ (রা ) কে কতিপয় প্রবীণ সাহাবী
সহকারে বনু যুররাহ জনপদে প্রেরণ করেন ৷ ঐ সাহাবীগণের মধ্যে ছিলেন উসামা ইবন যায়দ
(রা) , আবুমাসউদ আল-বাদুরী (রা) , কা’ব ইবন উজরা (রা) প্রমুখ ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র বনু সালামার কিছু সংখ্যক বর্ণনাকারী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পালিব ইবন আবদুল্লাহ আল-কালবী (রা) কে বনুযুররার বসত্যিত প্রেরণ
করেন ৷ এ যুদ্ধে বনু মুররার মিত্র মিরদাস ইবন নুহায়ক নিহত হয় ৷ তাকে উসামা (রা) হত্যা
করেন ৷ ইবন ইসহাক উসামা ইবন যায়দ (রা)-এর বরাওে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বণেন ,
“আমার একজন আনসারী ভাইও আমি হুরুক্যতের এক, ব্যক্তি মিরদাস ইবন নুহায়কের উপর
হামলা করলাম ৷ যখন তার উপর তলোয়ার চালনা করলাম ও তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলাম
তখন সে বলল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ৷ত তার পরেও আমি তাকে হত্যা করলাম ৷ যখন আমরা
মদীনায় পৌছলাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এ সম্বন্ধে অবগত করলাম,ত তিনি বললেন, হ
উসামা! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলার পরও তুমি কেন তাভ্রু হতা৷ করলে ? আমি বললাম, হে
আল্লাহর রাসুল ! সে প্রাণ র্বাচাবার জন্যে এ কালিমা পড়েছে ৷ তিনি বললেন, লা-ইলাহ৷ বলার
পরও তুমি যে তাকে হত্যা করলে তারপর তোমাকে কে রক্ষা করবে ? রাসুলুল্লাহ্ (স ) বার বার
এ কথাটি উচ্চ৷ ৷রণ করতে লাগলেন ৷ আমার মনে হচ্ছিল যে, এত তদিন মুসলমান না হয়ে আজকে
আমার মুসলমান হওয়াট৷ ভ ৷ল ছিল ৷ তাহলে আমিও তাকে হত্যা করতাম না ৷ এরপর আমি
বললাম, আমি আল্লাহর ক৷ ছে অঙ্গীকার করছি যে, যে ব্যক্তি লাইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্’ উচ্চারণ করবে
আমি কখনও এরুপ লোককে হত্যা করব না ৷ তিনি বললেন, আমার পরেও হে উসাম৷ ? আমি
বললাম, “জী হা৷, আপনার পরেও ৷”
ইমাম আহমদ (র) উসামা ইবন যাযদ (রা) এর বরাতে বণ্নি৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
জুহায়ন৷ সম্প্রদায়ের আল-হুরুকাত গোত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
আমাদেরকে প্রেরণ করলেন ৷ আমরা শত্রুর ওখানে ভোর বেলায় পৌছলাম ৷ তাদের মধ্যে এমন
এক ব্যক্তি ছিল সে যখন দলের অগ্রগামী থাকত তখন যে আমাদের দিকে সকলের চেয়ে বেশী
দ্রুত অগ্রসর হতো আর যখন তারা পশ্চাদপসণন করত তখন সে পিছনে থেকে তাদেরকে
হিফ৷ ৷জত করত ৷ তাই এক আনসারী ভাই ও আমি তার উপর হামলা চালালাম ৷ তখন সে বলল,
লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ম৷ বুদ নেই ৷ আনস৷ ৷বী তাকে হত্যা করা
থেকে বিরত রইলেন; কিন্তু আমি তাকে হত্যা করলাম ৷ আমরা মদীনায় পৌছলাম তখন এ
সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পৌছল ৷ তিনি বললেন “হে উসাম৷ ! তুমি কি তাকে লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পরও হত্যা করেছ ?” আমি বললাম, “জী হব্রা, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ সে তো
কেবল হত্যা থেকে বীচার জ্যন্যই লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্ উচ্চারণ করেছিল ৷ তারপরও রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাকে বললেন, তুমি কি তাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলার পর হত্যা করেছ ?” এরুপে তিনি
বারবার বাক্যটি বলতে খাকলেন ৷ এতে আমি মনে করতে লাপলাম যে , যদি আগে মুসলমান
না হয়ে ঐ দিনই মুসলমান হতাম তাহলে কতই না ভাল হত ৷
ইমাম বুখ৷ ৷রী এবং মুসলিমও অনুরুপ হাদীছ বংনাি করেছেন ৷
ইবন ইসহাক জুনদৃব ইবন মাকিস আল-জুহানী হতে বংনি৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) পালিব ইবন আবদুল্লাহ আল-কালবী (রা) কে কাদীদে অবস্থানরত বনুমালুহ এর
বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে প্রেরণ করেন এবং তাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ পরিচালনার জন্যে
আদেশ দেন ৷ আর আমি এ ক্ষুদ্র সৈন্যদলের একজন সদস্য ছিলাম ৷ আমরা রওয়ান৷ হলাম এবং
যখন আমরা কাদীদে পৌছলাম তখন হারিছ ইবন মালিক ইবন আল-বায়সা আল-লাইহীব সাথে
সাক্ষাত করলাম ৷ আমরা তাকে গ্রেফতার করলাম ৷ সে বলল, আমি মুসলমান হওয়ার জন্যে
এসেছি ৷ পালিব ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)ত তাকে বললেন, যদি তুমি মুসলমান হওয়ার জন্যেই এসে
থাক ত ৷হলে এটাতে ওে তামার কোন ক্ষতি নেই যে, আমরা৫ তোমাকে একদিন একরাত পর্যরেক্ষাণ
রাখব ৷ আর যদি অন্য কোন উদ্দেশ্যে এসে থাক সে ব্যাপারে আমাদেরকে তোমার সম্পর্কে
সুনিশ্চিত হতে হবে ৷ রাবী বলেন, পালিব (রা) তাকে বেধে ওখানে রেখে দিলেন এবং কয়েকজন