ইবন ইসহাক বলেন, তাদের আক্রান্ত হবার কারণ ছিল এই যে, আসওয়াদ ইবন বিমানের
মিত্র মালিক ইবন আব্বাদ নামক বনু হাদরামীর এক ব্যক্তি ব্যবসার জন্যে ঘর থেকে বের হয়ে
যখন খুযাআ গোত্রের এলাকায় পৌছে তখন তারা তার উপর হামলা করে তাকে হত্যা করে ও
তার মালপত্র হস্তপত করে নেয় ৷ তাই বনু বকর ও বনু খুযাআর এক ব্যক্তির উপর হামলা করে
তাকে হত্যা করে ৷ এরপর ইসলামের পুর্বে বনু খুযাআও আসওয়াদ ইবন রিযান আদ-দায়লীর
পুত্রদের উপর হামলা করে ৷ তারা ছিলেন সালামা, কুলসুম ও যুওয়ইিব ৷ আর তারা ছিলেন বনু
কিনানার খুবই গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ৷ তাদেরকে আরাফাতের হারমের সীমানা স্তম্ভগুলোর সামনেই
হত্যা করা হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, দায়লি গোত্রের এক ব্যক্তি বর্ণনা করে যে, জাহেলিয়াতের
যুগে আমাদের একটি রক্তপণের পরিবর্তে রনুআসওয়াদ ইবন রিযান দুইটি রক্তপণ আদায় করত ৷
বনু বকর ও বনু খুযাআর বিরোধপুর্ণ এরুপ অবস্থায় ইসলামের আবির্ভাব হয় ৷ যখন হদায়বিয়ার
সন্ধি সংঘটিত হয় তখন বনু বকর কুরায়শদের পক্ষে যোগ <:দয় এবং বনু খুযাআ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর পক্ষে যোগ দেয় ৷
বনু বকরের একটি অংশ বনু দায়ল হদায়বিয়ার সন্ধিরকড়ালে বনু খুযাআর লোকদের থেকে
প্রতিশোধ নিতে মনস্থ করে ৷ বনুদায়লের সর্দার নওফল ইবন মুআবিয়া আদ-দায়লী আল-ওয়াতীর
জলাশয়ের নিকট বনু খুযাআর উপর রাতের বেলা হামলা করে তাদের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে
ও অন্যদের লুটপাট করে ৷ বনু বকরের লোকেরা তাদের সাহায্য করে এমনকি কুরায়শরাও অস্ত্র
দিয়ে তাদের সাহায্য করে ৷ কুরায়শরা রাতের বেলায় গোপনে তাদের সাথে এ আক্রমণে
অংশ্যাহণ করে , এমনকি বনু খুযাআকে হারাম শরীফে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে ৷ বনু বকরের
সর্দারকে অন্যান্য সদস্যরা বলতে লাগল আমরা হেরেমে এসে গেছি, তোমাদের সামনে
তোমাদের উপাস্য, থেমে যাও ৷ তখন তাদের সর্দার বিজয়ের জোশে একটি জঘন্য কথা বলে
ফেলে, সে বলল, হে বনু বকর, আজকের দিয়ে কোন উপাস্য নেই ৷ আজ প্রতিশো ধ নেবার দিন ৷
তোমরা হারমে চুরি করতে পার আর প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারবে না ? শেষ পর্যন্ত বনু খুযাআ
মক্কায় অবস্থিত বুদায়ল ইবন ওরাকার ঘরে ও তাদের অড়াযাদকৃত গোলাম রাফি“র ঘরে আশ্রয় গ্রহণ
করে ৷ এই অবস্থার বর্ণনা দিয়ে অড়াখযার ইবন লাত আদ-দায়লী কবিতার ছন্দে বলেন :
“কুরায়শের দুরবর্তী লোকেরা কি সংবাদ পায়নি যে, আমরা বনুকাবকে বর্শাফলকের উপরিভাগের
আঘাতে আঘাতে কুয়ার স্থান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি এবং গোলাম রাফি এর ঘরে তাদেরকে
অবরুদ্ধ করেছি ? আর কিছুক্ষণের জন্যে নেতা বুদায়লের ঘরেও তাদেরকে অবরোধ করা
হয়েছে ৷ তাদের কিছু সংখ্যক লোককে বর্শা পতিত হওয়ার স্থানে হত্যা করে আমাদের মনের
ঝাল মিঢিয়েছি ৷ তাদের অবশিষ্টদেরকে অত্যাচারী ও নিতান্তহীন ব্যক্তির ঘরে আমরা অবরোধ
করে রেখেছি ৷ তাদের অবরোধ দীর্যায়িত হল তখন আমরা ধ্বনি দিতে লাপলাম যাতে প্রতিটি
গোত্র থেকে বহু সংখ্যক লোক তাদের গোচনীয় অবস্থা দেখার জন্যে জমায়েত হতে পারে ৷
আমরা তাদেরকে তলােয়ার দিয়ে যবাই করেছিলাম যেমন সিংহকুল বকরীগুলেড়াকে তাদের নখর
দিয়ে খন্ডবিখন্ড করে ফেলে ৷ তারা আমাদের প্রতি যুলুম করেছে, তাদের কর্মকান্ডে তারা
সীমালংঘন করেছে ৷ আর হারমের পাথর ফলকগুলোর সম্মুখে ছিল তাদের প্রথম ঘাতক ব্যক্তিটি ৷