ইবাদতকারী, সিজদাকারী এবং আমাদের প্রতিপালকের হাম্দ আদায়কারী ৷ আল্লাহ্ তার
ওয়াদা-অংগীকার বাস্তবায়িত করেছেন ৷ তার বান্দাকে (রাসুলকে) সাহায্য করেছেন এবং
একাকী সব দলবলকে পরাস্ত করেছেন’ ৷’ এ সম্পর্কিত হাদীসের স০ খ্যা বিপুল ৷ আ ৷ল্লাহ্রই
জন্য হামদ এবং র্তারই অনুকম্পা ৷
বিদায় হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তা কালে মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী জুহ্ফার
কাছাকাছি গাদীরে থুমে নবী করীম (সা) এর
ভাষণ সম্পর্কিত হাদীসের আলোচনা-
উল্লিখিত তা ৷ষণে তিনি আলী (রা) ইবন আবু তালিরের মাহা ত্ম্য, গ্রেষ্ঠব্তুর বিবরণ দেন
এবং তার সম্পর্কে ইয়ামানে তা ৷র সহকর্মী সহযোদ্ধাদের কারো করো সমলোচনার জবাবে
আলী (রা) এর নির্দোষিতা ও সাফাই বর্ণনা করেন ৷ তাদের বিরুপ সমালোচনার কারণ ছিল
সংগীদের সাথে আলী (না)-এর কিছু সংগত আচরণ যা তাদের কারো কারো দৃষ্টিতে পীড়ন,
সংকীর্ণতা ও অহেতুক কাগর্ণা রুপে প্রতিভাত হয়েছিল ৷ অথচ সে ক্ষেত্রে তার পদক্ষেপ ছিল
যথার্থ ৷ বিষয়টির গুরুত্বের প্ৰতি লক্ষ্য রেখে নবী কবীম (সা) হজ্জ উমরার বিধি বিমানের
বিবরণ দেয়ার পরে তার মদীনায় প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে তিনি বিষয়টির নিস্পত্তি ঘটাতে
চাইলেন ৷ সে উদ্দেশ্যে তিনি ঐ বছরের যিলহজ্জ মাসের আঠার তারিখ রোববার খুম্ম
জলাধারের পাড়ে একটি বড় গাছের তলায় একটি গুরুত্পুর্ণ ভাষণ দিলেন ৷ এ ভাষণে তিনি
আনুযাৎগিক অনেক বিষয়ের সাথে আলী (র)-এর মাহাত্মব্র, তার বিশ্বস্ততা ও ন্যায়পয়াণতা
এবং নবী করীম (না)-এর সাথে তার ভৈনকট্য সান্নিধ্যের এমন হৃদয়গাহী বিবরণ দেন যা আলী
(বা) সম্পর্কে অনেক মানুষের মনের দ্বেষ, অসষ্প্রীতি ও বিরক্তি তার বিদুরীত করে দেয় ৷ এ
অনুচ্ছেদে আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিবৃত হাদীস সমষ্টি উপস্থাপন করে সেগুলির মাঝে সরল ও
দুর্বল এবং গ্রহণযোগ্য ও প্রত্যাখাত হওয়ার ব্যবধান রেখা অৎ কনের প্রয়াস পাব, আল্লাহ্র
সাহায্যে নিয়ে ৷ সংশ্লিষ্ট বিষয়টিতে রিওয়ায়াতের স০ খ্যা বিশা ৷৷ল ৷ ত ৷ই বিশ্ব-বিশ্রুত ইতিহাসবিদ
ও ঘুফাস্সির ইমাম আবু জা ফর মুহাম্মদ ইবন জারীর আত্-ত৷ ৷বারী (র) সংশ্লিষ্ট বিষয়ের
হাদীসসমুহ আহরণে সর্বাত্মক সাধনা নিয়োগ করে সে সব হাদীসের ভাষ্য ও মুল পাঠ এবং
সনদের সুত্রসমুহে দুইটি খণ্ডে সংকলিত করেছেন ৷ তার যুগের গ্রন্থকার স০ কলকদের সংকলন ,
ক্ষেত্রে অনুসৃত নীতি পন্থা ছিল স০ শ্রিষ্ট বিষয়ের ভ ৷ল মন্দ, প্রামাণ্য ও অপ্রামাণ্য সব কিছু
সংগৃহীত করা ৷ মনীষী তাবারী (র) এ পন্থার ব্যতিক্রম নন ৷ ত ৷ই তার সংগৃহীত ভাণ্ডা রেও
রয়েছে সরল দুর্বল এবং সমর্থিত অসমর্থিত তথ্যের মিশ্রণ ৷ অনুরুপ মহান হাফিজ আবুল
কাসিম ইবন আসাকির (র) ও এ ভাষণ সম্পর্কিত বহু স০ খ্যক হাদীস সং কলন করেছেন ৷
আমরা সেগুলির বৃহদাৎশও উদ্ধৃত করব এবং সেই সাথে আমরা এ কথাও প্রমাণ করব যে, ঐ
সব হাদীসে শীআ মহােদয়দের জন্য উদ্দীপ্ত হওয়ার কিংবা তাদের অনুকুলে প্রমাণ ও সমর্থন
যোপাবার কোন অবকাশ নেই ৷ এবারে আমরা আল্লাহ্র সাহায্যের ভরসায় শুরু করছি
১ তাফসীরে তাবারী ও তারীখে তাবারী প্ৰণেতা ৷ অনুবাদক
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বিদায় হভ্রুজ্জ বিবরণ প্রসংগে বলেছেন, ইয়াহ্য়া ইবন আবদুল্লাহ
ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু আমরা (রা) ইয়ড়াযীদ ইবন তাল্হড়া ইবন য়াযীদ ইবন রুকানা
(র) হতে তিনি বলেন, আলী (রা) (বিদায় হজ্জকালে) , মক্কায় রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে
মিলিত হওয়ার উদ্দেশে ইয়ামড়ান হতে রওয়ানা করলেন ৷ দ্রুত রাসুলুল্লাহ (না)-এর সান্নিধ্যে
উপনীত হওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি তার সহচরদের একজনকে তার বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত আমীর
নিয়োগ করলেন ৷ ভারপ্রাপ্ত আমীর সিদ্ধান্ত নিলেন এবং আলী (রা)-এর কাছে রক্ষিত বায্
কাপড়ের এক এক জোড়া পোষাক বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে প্রদান করলেন ৷ বাহিনী (মক্কার )
কাছে পৌছলে আলী (বা) তাদের সাথে সাক্ষাত করার জন্য এগিয়ে গেলেন ৷ তিনি লক্ষ্য
করলেন যে, তাদের গায়ে রয়েছে নতুন জোড়া পোশাক ৷ তিনি বললেন, সর্বনাশ! কী ব্যাপার ?
আমীর বললেন, সকলকে পোশাক দিয়ে দিয়েছি যাতে তারা জনসমাবেশে আমার জন্য
উপযোগী সাজগােজ করতে পারে৷ আলী (রা) বললেন, হতভাগা ! রাসুলুল্লাহ (না)-এর
দরবারে পৌছার আগে এ গুলি খুলে ফেলার ব্যবস্থা কর ৷ বর্ণনকােরী বলেন, ফলে বাহিনীর
লোকদের নিকট হতে পোশাক গুলি খুলে নিয়ে বস্ত্র ভাণ্ডারে জমা করা হল ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
বাহিনীর লোকেরা তাদের প্রতি এ আচরণে ৰিক্ষুদ্ধ হয়ে আলী (রা)-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ
করল ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, এ প্রসংগে আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান ইব ন মামার
ইবন হাযম (র)আবু সাঈদ (খুদরী) (বা) হতে আমাকে বর্ণনা দিয়েছেন যে, তিনি বলেন,
লোকেরা আলী (রা)-এর নামে অভিযোগ ভুলল ৷ তখন নবী করীম (সা) আমাদের সামনে
দাড়িয়ে ভাষণ দিলেন ৷ আমি তাকে বলতে শুনলাম-
লোক সকল ! তোমরা আলীকে অভিযুক্ত করো না ৷ কেননা, আল্লাহ্র কলম! নিশ্চয় সে
(আলী) আল্পাহ্র সত্তা (তার তুষ্টি)-এর ব্যাপারে কিংবা আল্লাহর পথে অধিক কঠাের ’ও
অনমনীয় (যা অভিযুক্ত হওয়ার উচর্ধ্ব) ৷
ইমাম আহ্মদ (র)ও এ হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) হতে
ঐ সনদে ৷ তাতে তিনি বলেছেন, নিশ্চিয় সে আল্লাহ্র সভার বিষয়ে কিংবা আল্লাহর পথে
অধিক অনমনীয় ৷” ইমাম আহ্মদ (র) আরো বলেন, ফায্ল ইবন দুকায়ন (র)ইবন
আব্বাস (বা) হতে, তিনি বুরায়দা (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি আলী (রা)-
এর সংগে ইয়ামান অভিযানে অংশ্যাহণ করেছিলাম ৷ তাতে তার কিছু কঠোরতা লক্ষ্য করি ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) সকালে ফিরে এলে আমি আলী (রা)-এর কথা আলোচনা প্রসংগে তার বিরুপ
সমালোচনা করলাম ৷ তাতে রাসুলুল্লাহ (না)-এর চেহারা ৰিবর্ণ হতে লক্ষ্য করলাম ৷ তিনি
তখন বললেন আমি ঈমানদারদের জন্য তাদের
নিজেদের চাইতে অধিক আপন ও অধিকারসম্পন্ন নই কী? “আমি বললাম, জী, হী নিশ্চয়ই
ইয়া রাসুলুল্লাহা নবী করীম (সা) বললেন,-“আমি যার
আপনজন ও অভিভাবক আলীও তার আপন জন ও অভিভাবক ৷ নাসাঈ (র)-ও এ হাদীসটি
রিওয়ায়ড়াত করেছেন আবু দাউদ আল্-জারবানী (র) হতে (আবু নুআয়ম ফড়ায্ল ইবন দুকায়ন
আল-বিদায়া ওয়ান
সুত্রে) ঐ সনদে অনুরুপ ৷ এ সনদটি উত্তম ও সরল; এর রাবীগণ সকলেই ৰিশ্বস্ত ও
নির্ভরযোগ্য ৷ নাসাঈ (র) র্তার সুনাম গ্রন্থে আরো রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবনুল
মুছান্নড়া (র) যায়দ ইবন আরকাম (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বিদায় হজ্জ
থেকে প্রত্যাবর্তন কালে খুম জলাশায়ে অবতরণ করলে সেখানকার বৃহৎ বৃক্ষরাজীর বনানীটি
পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দিলে তা পালিত হল ৷ এরপর তিনি বললেন-
“মনে হয় যেন আমি (পৃথিবী হতে বিদায় নেয়ার জন্য) আহুত হয়েছি এবং (তাতে) আমি
সাড়াও দিয়েছি ৷ আমি তােমদের মাঝে দুটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় রেখে যাচ্ছি আল্লাহর কিতাব
এবং আমার বংশধর আমার আহ্লে বায়ত ৷ তাই লক্ষ্য রাখবে যে, আমার অবর্তমানে এ দুটি
বিষয়ে তোমাদের আচরণ কেমন হয় ৷ কেননা, এ দু’টি হাওয্ (কাওছার)-এ আমার কাছে
উপনীত হওয়া পর্যন্ত এ দু’টো কিছুতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে না ৷ তারপর বললেন, প্রু৬ আল্পাহ্ আমার বন্ধু ও অভিভাবক আর আমি প্রতিটি ঈমানদারের বন্ধু ও
অভিভাবক ৷ ” তারপর তিনি আলী (রা) এর হাতে ধরে বললেন,
“আমি যার বন্ধু ও অভিভাবক এ ও তার বন্ধু ও অভিভাবক ৷ ইয়া আল্লাহ ! যে তার সাথে
বন্ধুতু রক্ষা করার আপনি তার বন্ধু হোন এবং যে তার সাথে বৈরীতা করবে আপনি তার প্রতি
বৈরী হোন !” এ বর্ণনার পরে আমি (আবৃত তুফায়ল) যায়দ (রা)-কে বললাম, আপনি নিজে
রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে এ কথা শুনেছেন ? তিনি বললেন, যারাই ঐ বৃক্ষরার্জীর তলায় ছিল
তারা সকলেই তাদের দৃ’চোখে তাকে (নবী সা) দেখেছে এবং দৃকান দিয়ে বাণী শুনেছে ৷ এ
সুত্রে নাসাঈ (র) একাকী এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমাদের সাথে আবু আবদুল্লাহ
যাহাবী (র) বলেছেন, এটি একটি সহীহ্ হাদীস ৷
ইবন মাজা (র) বলেন, আলী ইবন মুহাম্মদ (র) বারা, ইবন আযিব (বা) হতে, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যে হজ্জ পালন করেছিলেন যে বিদায় হজ্জ থেকে আমরা তার সাথে
ফিরে চললাম ৷ পথে তিনি অবতরণ করলেন এবং সালাতের জন্য জামাআত অনুষ্ঠানের নির্দেশ
দিলেন ৷ তারপর আলী (রা)-এর হাত ধরে বললেন, আমি কি ঘু’মিনদের জন্য র্তাদের
নিজেদের চাইতে অধিকতর আপনজন নই? তারা বললেন, জী হী, নিশ্চয়ই ৷ তিনি (সা)
বললেন, এত্৷ ধ্ঠো ক্রো’ আমি কি প্রত্যেক ঘুমিনের জন্য তার নিজের
চাইতে অধিকতর আপন ও অগ্রাধিকারযোগ্য নই ?” তারা বললেন, জী হী, নিশ্চয়ই ৷ তখন
তিনি বললেন, তবে আমি যাদের আপন এ (আলী) ও তাদের জন্য আপন, ইয়া আল্লাহ ! যারা
তার সাথে সম্ভব রক্ষা করার আপনি তাদের বন্ধু হোন এবং যারা তার সাথে বৈরিতা করবে
আপনি এদের প্রতি বৈরী হোন !” আবদুর রাঘৃযাক (র)-ও হড়াদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন মামার (র)(আদী সুত্রে ) বড়ারা (বা) হতে ৷ হাফিজ আবু ইয়ালা মাওয়সিলী ও
হাসান ইবন সুফিয়ান (র) বলেন, হুদরা (র) সুত্রে বারা (বা) হতে, তিনি বলেন, বিদায় হজে
আমরা র!সুলুল্লাহ (সা) এর সং গে ছিলাম ! আমরা খুম জলাশ য়ের কাছে উপনীত হলে
রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর জন্য দুটি গাছের তলা পরিষ্কার করা হল ৷ ক!ফেল!র মধ্যে ঘোষণা দেয়!
হয় সালাতের জামাআত সমাপত ! ওদিকে রাসুলুল্লাহ (সা) আলী (র!) কে ডেকে এসে তার
হাতে ধরে তাকে নিজের ডান পাশে
“আমি প্রতিটি মানুষের জন্য তার নিজের চ! !ইতে অধিকতর আপন নই কি ? তা !র! বললেন, জী
হী, নিশ্চয়ই! তিনি বললেন, তা হলে এ (আলী) হচ্ছে তার বন্ধু ও আপন, আমি যার বন্ধু ও
আপন ৷ ইয়া আল্লাহ! যারা তার বন্ধু হয়, আপনিও তাদের বন্ধু হোন, আর যারা তার সাথে
দুশমনী করে আপনি তাদের দুশমন হোন! “তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (র!) তার সাথে
সাক্ষাত করে বললেন, শুভেচ্ছা ঘুবারকবাদ ! আপনি তে! সকালসন্ধ্যড়ায় প্রতিটি ঈমানদার
পুরুষ ও ঈমানদার ন! !রীর বন্ধু ও আপনজন হলেন ! ইবন জ! !রীর (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন আবু যুরআ (ব) (আলী ইবন যায়দ ও আ বু হু!রুন আল আবদী সুত্রে, এ দু জনই
দুর্বল র!ষী ! আদী ইবন ছ!বিত সুত্রে বার! ইবন আ !যিব (র! ) হতে ! এ হাদীসে ইবন জারীর
(র) এর আর একটি রিওয়াযাত মুসা ইবন উছমান আল হায়রামী-এর বর!তে , যিনি অতিশয য়
দুর্বল র!বী, বার! ও যায়দ ইবন আরকাম (র!) হতে ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত !
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইবন নুমায়র (র) আবু আবদুর রহীম আল্ কিনদী–আবু উমর
যায!ন (র) হতে, তিনি বলেন, (কুফার) মসজিদ চতুরে আলী (না)-কে আমি বলতে শুনলাম,
তিনি লোকদের আল্লাহর কসম দিয়ে বলছিলেন যে, খুম জল!শয়ের নিকট অবস্থান কালে
রড়াসুলুল্লাহ্ (স!) এবং তিনি যা যা বলেছিলেন উপস্থিত সকলে ত! শ্যুনছেন বর্ণন!কারী বলেন,
তখন বার জন লোক র্দ!ড়!ল এবং তার! সাক্ষ্য দিল যে, তার! রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর কথা
শুনেছে, যখন তিনি বলছিলেন “আমি যার বন্ধু ও আপন জন আলীও তার বন্ধু ও আপন জন !”
আহমদ (র) একাকী এ হাদীসটি রিওয়!য়!ত করেছেন এবং এর অন্যতম রাবী আবু আবদুর
রহীম অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ৷
আবদুল্লাহ ইবন ইমাম আহমদ (র) বলেন, তার পিতার মুসনাদে আলী ইবন হ! ক্লীয়আল্
আওদী (র)-এর এ মর্মে হাদীস রবুয়ছে শারীক (র) সাঈদ ইবন ওয়!হব ও যায়দ ইবন
ইউছায়গ (র) হতে ! তিনি বলেন, আলী (র!) মসজিদ চতুরে আল্লাহর নামে দোহ!ই দিয়ে
বললেন, খুম জলাশয়ের নিকট অবস্থান কালে যার! র!সুলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুন্যেছ, তার!
যেন অবশ্যই দাড়ায় ! বর্ণনাকারী বলেন, তখন সাঈদ (র)-এর দিক হতে ছয় জন এবং যায়দ
(র)-এর দিক হতে আর ছয় জন র্দাড়াল ! তার! সাক্ষ্য দিল যে, তার! খুম জলশ্যেয় অবস্থান
দিবসে আলী (র!) সম্পর্কে রড়াসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুন্যেছ “আল্লাহ কি ঈঘানদের জন্য তাদের নিজেদের চাইতে অধিকতর আপন নন? তার!
বলল, জী হী, নিশ্চয়ই! নবী করীম (স!) বললেন, ইয়! আল্লাহ! আমি যার বন্ধু ও আপন
আলীও তার বন্ধু ও আপন ইয়! আল্লাহ্ ! যার! তার সাথে বন্ধুতু ও সদ্ভাব রাখবে আপনিন্ত্!দের
বন্ধু হোন এবং যার! তার সাথে দুশমনী করবে আপনি তাদের দুশমন হোন! আবদুল্লাহ আরে!
বলেন, আলী ইবন হার্কীম (র) (উল্লিখিত) আবু ইসহাক (র) এর হাদীসের ন্যায় অর্থাৎ সাঈদ
ও যায়দ (র) হতে হাদীস রয়েছে ! তবে এ রিওয়ায়!তে অতিরিক্ত রয়েছে !
বললেন) যারা তার সাহায্য করবে
তাদের আপনি সাহায্য করুন এবং যারা তার সাহায্য বর্জন করবে আপনি তাদের সাহায্য বর্জন
করুন !” আবদুল্লাহ (র) আরো বলেন, আলী ইবন হাকীম (র)-ও শারীক (র) (আবৃৎ তুফায়ল
সুত্রে) যায়দ ইবন আরকাম (বা) সনদে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
কিতড়াবু খাসাইস-ই আলী (আলী (র)-এর বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী) শিরোনামে ইমাম নড়াসাঈ
(র) বলেন, হুসায়ন ইবন হারব (র) সাঈদ ইবন ওয়াহ্ব (র) হতে, তিনি বলেন, (মসজিদ)
চত্বরে আলী (বা) বললেন, “এমন প্রতিটি লোককে আল্পাহ্র কসম দিয়ে বলছি যারা খুম
জলাশয়ে (অবস্থান) দিবসে রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছে যে,
শুবা (র) (র) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং এটি একটি বেশ
উত্তম সনদ ৷ নড়াসাঈ (র) ইসরাঈল সুত্রে ও হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ইসরাঈল (আবু
ইসহাক) ষু-আমর (কযাধ্যক্ষ) আম্র (র) হতে, তিনি বলেন, আলী (বা) (কুফার মসজিদ)
চতৃরে লোকদের শপথ দিলেন ৷ তখন একদল লোক দাড়িয়ে সাক্ষ্য দিল যে, তারা খৃম
জলাশয় দিবসে রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছে “আমি যার বন্ধু ও অভিভাবক, আলীও তার
বন্ধু ও অভিভড়াবৰু ৷ ইয়া আল্লাহ যে তাকে বন্ধু বানায় আপনি তার বন্ধু হোন এবং যে তাকে
শত্রু বানায় আপনি তীর
এবং যে তাকে তালবাসে আপনি তাকে ভাল বাসুন, যে তার প্রতি বিদ্বেষ রাখে তাকে আপনি
অপছন্দ করুন এবং যে তাকে সাহায্য করে আপনি তাকে সাহায্য করুন ! ইবন জারীর (র)
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আহমদ ইবন মনসুর (র) (আবু ইসহাক) আলী (বা) হতে ৷
ইবন আবীর (র) অন্য একটি সনদেও রিওয়ায়াত করেছেন, আহমদ ইবন মনসুর (র)
(উৰায়দুল্লাহ্ ইবন মুসা যিনি একজন শীআ এবং বিশ্বস্ত) যায়দ ইবন ওয়ড়াহ্ব যায়দ ইবন
ইউছায়গ এবং ঘু-আমৃর আম্র (র) হতে এ মর্মে যে, আলী (বা) কুফায় লোকদের আল্লাহ্র
নামে দােহাই দিলেন (পুর্ণ হাদীস উল্লেখ করেছেন) ন্ধ্র
আবদুল্লাহ ইবন (ইমাম) আহমদ (র) বলেন, উবায়দুল্লাহ ইবন উমর আল কাওয়ারীরী
(র), আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (র) হতে, তিনি বলেন, আমি আলী (রা)-কে
দেখলাম, মসজিদ চতৃরে লোকদের আল্লাহ্র নামে দােহাই দিতে তিনি বললেন, আমি
আল্লাহকে সাক্ষী বানাচ্ছি (তার নামে দোহাই পাড়ছি) যে, যারা খুম জলাধার দিবসে রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে এ কথা বলতে শুনেছে যে, “আমি যার বন্ধু ও আপন, আলীও তার বন্ধু ও আপন ৷
সে অবশ্যই দাড়িয়ে সাক্ষ্য দািব ৷
আবদুর রহমান (র) বলেন, তখন বড়ারজন বদরী (বদর যুদ্ধে অংশ্যাহণকারী) সাহাবী
দীড়ালেন, আমি যেন তাদের প্রত্যেককে দেখতে পাচ্ছি ৷ তারা বললেন, গাদীর-
ই খৃম দিবসে আমরা রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি
আমার শ্ৰীগণ কি তাদের যা নয় ?১ আমরা ৰললাম, জী হী নিশ্চয়ই, ইয়া রাসুলুল্লাহ্ ৷ তিনি
বললেন,আমি যার বন্ধু ও আপন, আলীও তার বন্ধু ও আপন ৷ ইয়া আল্লাহ যে তাকে বন্ধু
বানায় আপনি তার বন্ধু হোন, আর যে তাকে শত্রু বানায় আপনি তার শত্রু হোন ! এ টি বিরল
ও অসমর্থিত দুর্বল সনদ ৷
আবদুল্লাহ ইবন আহমদ (র) আরো বলেন, আহমদ ইবন উমড়ায়র আলু ওয়াকীঈ (র)
(উবায়দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ আল্ কড়ায়সী বলেন, আমি) আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা
(র) (এর কাছে গেলে তিনি) হাদীস শোনালেন যে, তিনি আলী (রা)-কে চতুরে’ এ কথা
বলাতে প্রত্যক্ষ করেছেন যে, “আমি এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে আল্লাহ্র কসম দিচ্ছি, যে থুম্
জলাশয় দিবসে রাসুলুল্লাহ (না)-কে দেখেছে এবং তাকে বলতে শুনেছেশ্ সে অবশ্যই র্দাড়াবে;
বাবা তাকে দেখে নি এমন কেউ কিন্তু দীড়াবে না ! “তখন বারজন লোক দাড়িয়ে বলল,
আমরা অবশ্যই জকে দেখছি এবং তার কথা শুনেছি যখন তিনি তার (আলীর) হাত ধরে
বলেছিলেন, ইয়া আল্লাহ ৷ যারা তার সাথে বন্ধুৎ রাখবে আপনি তাদের বন্ধু হোন এবং যারা
তার সাথে দুশমনী করবে আপনি তাদের দুশমন হোন! বাবা তাকে সাহায্য করবে আপনি
তাদের সাহায্য করুন এবং যারা তার সাহায্য বর্জন করবে আপনি তাদের সাহায্য বর্জন
করুন ৷ তখন সকলেই র্দাড়িয়েছিল, তবে তিনজন এমন ছিল যারা দীড়াল না ৷
ফলে আলী (বা) তাদের জন্য বদ-দৃআ করলে তার বদ-দুআ তাদের পেয়ে বসল ৷”
আৰদুল আলা ইবন আমির তাগৃলিবী প্রমুখ, আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা সুত্রেও (ঐ
সনদে) এটি বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন জারীর (র) বলেছেন, আহমদ ইবন মনসুর (র) এবং
ইবন আবু আসিম (র)-এর রিওয়ড়ায়াত সুলায়মান আল ওলাবী হতে (উভয়), আলী (বা) হতে
এ মর্মে যে, রাসুলুল্পাহ (সা) থুম এর গাছটির কাছে উপনীত হলেন (পুর্ণ হাদীস) তাতে
রয়েছে, “আমি যার মাওলা ও অভিভাবক, আলীও তার অভিভাবক ৷” কেউ কেউ এ হাদীসটি
আবু আমির (র) আলী (বা) হতে মুনকাতি (সনদের প্ৰথমাংশ বিচ্ছিন্ন) রুপে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷
ইসমাঈল ইবন আম্র আল বাজালী (অন্যতম দুর্বল রাবী) মিসআর (র) উমায়রা ইবন
সাদ (র) হতে এ মর্মে বণ্নাি করেন যে, তিনি (কুফার মসজিদের) মিম্বারে আলী (রা)-কে
রাসুলুল্পড়াহ (সা)-এর সাহাবীদের লক্ষ্য করে আল্পাহ্র নামে কসম দিতে শ্যুনছেন যে, “থুম
জলাশয় দিবসে কে কে রাসুলুল্পাহ (না)-কে বলতে শুনাে:ছ ? ” তখন বার জন লোক র্দাড়ালেন
যাদের মাঝে আবু হুরায়রা, আবু সাঈদ ও আনাস ইবন মালিক (রা)-এর ন্যায় ৰিগ্রিষ্টি
সাহাবীগণও ছিলেন ৷ র্তীরা এ মর্মে সাক্ষ্য দিলেন যে, তারা রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে
শুনেছেন, আমি যার মাওলা ও অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক; ইয়া আল্লাহ যে তার সাথে
বন্ধুতু করবে আপনি তার বন্ধু হোন, যে তার সাথে দৃশমনী করবে আপনি তার দুশমন হোন ৷”
উবায়দুল্লাহ ইবন মুসা (র)-ও এ হাদীস হানি ইবন আয়ুৰে (র) হতে, যিনি ৰিশ্বস্ত ও
নিভরিযােগ্য ঐ সনদে ৷
১ সুরা আহ্যাব : ৬ আয়াতের বিষয়বস্তুর প্রতি ইংগিত ৷ অনুবাদক
আবদুল্লাহ ইবন আহমদ (র) বলেন, হাজ্জাজ ইবনুশৃ শাইর (র) , আবু মারয়াম ও আলী
(র্) এর জনৈক সতাসদ সুত্রে আলী (বা) হতে এ মর্মে যে, থুম জলাশয় দিবসে রাসুলুল্লাহ(সা)
বলেছেন, আমি যার আপন ও অভিভাবক আলীও তার আপন ও অভিভাবক ৷ বর্ণনড়াকারী
(আবু মারয়াম (আবদুল্লাহ) বলেন, পরে লোকেরা এর সাথে যে তার বন্ধু হয় আপনি তার বন্ধু
হোন এবং যে তার দুশমন হয় আপনি তার দুশমন হোন! “এ অৎশটুক বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ আবু
দাউদ (র) উল্লিখিত সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুসায়ন ইবন মুহাম্মাদ (শব্দ ভাষ্য) এবং আবু নুআয়ম (অর্থ
ভাষ্য) , আবৃত তৃফায়ল (র) হতে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন, আলী (রা) লোকদের চতুরে
সমবেত করলেন, অর্থাৎ কুফার মসজিদের চত্বরে ৷ তিনি বললেন, আমি এমন প্রতিটি লোককে
আল্লাহর নামে কসম দিচ্ছি, যারা থুম জলাশয় দিবসে রাসুলুল্পাহ (সা)-কে বলতে শুনেছেন-
যাই শুনেছেন তারা অবশ্যই র্দাড়াবেন ৷ তখন অনেক লোক দাড়িয়ে সাক্ষ্য দিল যখন নবী
কৰীম (সা) তার (আলী) হাতে ধরে লোকদের বলেছিলেন, “তোমরা জান কি যে, আমি
ঈমানদারদের জন্য তাদের নিজেদের চাইতে অধিকতর আপন ও অগ্ৰাধিকার সম্পন্ন? তারা
বলল, জ্বি হী, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! তিনি বললেন, আমি যার আপনি ও অভিভাবক আলীও তার
আপন ও অভিভাবক ৷ ইয়া আল্লাহ ! যে তাকে বন্ধুরুগে গ্রহণ করে আপনি তার বন্ধু হোন এবং
যে র্তার সাথে দৃশমনী করে আপনি তার দুশমন হোন !” আবৃত তুফায়ল (র) বলেন, আমি
(চত্র থেকে) বেরিয়ে এলাম এ অবস্থায় যেন, আমার মনে ঐ বিষয়টা কিছু খুত খুত
করছিল ৷ তাই আমি (সাহাবী) যায়দ ইবন আরকাম (রা)-এর সংগে সাক্ষাত করে তাকে
বললাম, আমি আলী (রা)-কে এই এই কথা বলতে শুনেছি৷ তিনি বললেন, তাতে ৷তামার
কাছে এর কোনটি অপছন্দনীয় হল? আমিও তো তাকে উদ্দেশ্য করে রাসুলুল্লাহ (না)-কে ঐ
কথা বলতে শুনেছি ৷ ইমাম আহমদ (র) যায়দ ইবন আরকাম (রা)-এর ঘুসনড়াদে’ (তার
সনদে প্রাপ্ত হাদীসে) এ ভাবেই উল্লেখ করেছেন ৷
নড়াসাঈ (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আমাশ (র) (আবুৎ তৃফায়ল), যায়দ ইবন
আরকাম (বা) হতে (পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে) ৷ তিরমিযী (র) হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ বুনৃদার
(রা) আবুৎ তৃফায়ল (র) সুত্রে, তিনি হাদীস বর্ণনা করেন আবু সুরায়হা কিংবা যায়দ ইবন
আরকাম (বা) হতে (সন্দেহটি মধ্যবর্তী রাবী শুবার) ৷ এ মর্মে যে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
আমি যার আপন ও অভিভাবক আলী ও তার আপন ও অভিভাবক ৷ ইবন জারীর (র)
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, আহমদ ইবন হাযিম (র)(ইয়াহ্য়া ইবন জাদা) , যায়দ ইবন
আরকাম (বা) হতে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) আবু আবদুল্লাহ মায়মুন (র)
হতে, তিনি বলেন, যায়দ ইবন আরকাম (র) বলছিলেন, আমি ওনছিলাম, আমরা রাসুলুল্লাহ
(সা) এর সাথে ওয়াদী থুম’ নামে অভিহিত একটি মনযিলে অবস্থান নিলাম ৷ তখন নবী করীম
(সা) সালাতের নির্দেশ দিলেন এবং আউয়াল ওয়াক্তে সে সালাত আদায় করলেন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন এবং গাছের সাথে একটি কাপড়
লট্কিয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-কে ছায়া দেয়া হল, যা তাকে সুর্যের তাপ হতে ছায়া দিয়ে রাখল ৷
তিনি বললেন,-“তোমরা অবগত নও কি ? ৎবা (তিনি
বলেছিলেন) তোমরা সাক্ষ্য দিচ্ছ না কি যে, আ ড়ামি প্রতিটি ঈমানদারের জন্য তার নিজের
চাইতে আপন? “তারা বলল, ত্মী হড়া, ফিরে! তিনি বললেন, ৩বে, আমি যার আপন ও
অতিভাবক নিশ্চয়ইআ ৷লীও তার আপন ও অতিভ৷ ৷রক ৷
ইয়া আল্লাহ যে তার সংগে বন্ধুতা করে আপন তার সংগে বন্ধুতা করুন এবং যে তার
ৎগে বৈরী৩ ড়া করে আপনি তার সৎ গে বৈরিতা রাখুন ৷ “তারপর ইমাম আহমাদ হাদীসটি
রিওয়ড়ায়াত করেছেন গুনদার (র) , (ও বা)যায়দ ইবন আরকাম (বা) হতে, “আমি যার
অতিভাবক” পর্যন্ত (অর্থাৎ এ রিওয়ড়ায়াতে পরবর্তী অংশ যেই) ৷ মায়মুন (র) বলেন, যায়দ (বা)
হতে জনৈক ব্যক্তি আমাকে হাদীস ওনিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন, “ইয়া আল্লাহ যে
তার সং গে বন্ধুতা করে আপনি তার সংগে বন্ধুৎ করুন, যে তার সাথে বৈবি৩ ৷ করে আপনি
তার সাথে বৈরীতা রাখুন এ সনদটি বেশ উত্তম (জা ব্যিদ) , এর রাবী তালিকার সকলেই
নির্ভরযেগ্যে ও সুনান গ্রন্থ সমুহের শর্তানুরুপ ৷ তিরমিযী (র) এ সনদে রায়ছ (&া,৩ ) (ধীর
গাষীতাবিলম্বক্ষণ ?) সম্পর্কিত একটি হাদীস সহীহ্ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন আদম (র) রাবাহ্ ইবনুল হারিছ (র) হুৰুহতে, তিনি
বলেন, চতুরে’ একদল লোক আলী (রা) সকাশে আগমন করলেন; তারা আস্-
সালামু আলাইকা ইয়া মাওলানা! (হে আমাদের মওলা) তিনি (আলী) বললেন, আপনারাও
হলেন তো আরবী তো আমি কী করে আপনাদের মাওলা হতে পারি ?১ তারা বললেন, খুম
জলাশয় দিবসে আমরা রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি ৷“ আমি যার মাওলা’ এ (আলী)-ও
তার মাওলা’ ৷ রাবাহ্ (র) বলেন, আগন্তুকরা চলে যেতে লাগলে আমি তাদের অনুসরণ করলাম
এবং তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, “এ লোকদের পরিচয় কি?” তারা বললেন, “আনসারীদের
একটি দল” আবু আয়ুবে আনসারী (বা) তাদের অন্যতম ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন,
হানৃশ (র) রাবাহ্ ইবনুল হারিছ (র) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আনসাবী একদল
লোককে দেখলাম ৷ আলী (রা)-এর কাছে চত্রে আগমন করল, আলী (রা) তাদের বললেন,
“এরা কারা ? তারা বলল, আমীরুল মুমিনীন ! এরা আপনার মাওলা, পুর্বোক্ত হাদীসের মর্ম
উল্লেখ করলেন, এ হল আহমদ (র)-এর ভাষ্য এবং এটি তার একক বর্ণনা ৷
ইবন জারীর (র) বলেন, আবুল জাওয়া আহমদ ইবন উছমান (র), আইশা বিনত সাদ
(র) হতে, তিনি তার পিতাকে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্পাহ (না)-কে আমি বলতে শুনেছি,-
জ্বহ্ফায় অবস্থানের দিন, তিনি আলী (রা)-এর হাতে ধরনের এবং ভাষণ দিলেন ৷ তাতে তিনি
বললেন, লোক সকল আমি তোমাদের অতিভাবক? তারা বললেন যথার্থ
বলেছেন” ৷ তখন তিনি আলী (না)-এর হাত উচু করে ধরে বললেন,
“এ হচ্ছে আমার আপন জন এবং (প্রয়োজনে) আমার পক্ষ থেকে কর্তব্য পালনকারী; আর যে
তীর সাথে ঘনিষ্ঠতা রাখবে আল্লাহ তার আপন হবেন এবং যে তার সাথে শত্রুতার সম্পর্ক রাখবে
১ যুদ্ধে অনারব পরাজিতরা গোলাম হত, আরবদের গোলাম বানাবড়ার বিধান ছিল না ৷ অনুবাদক
আল্লাহ তার প্ৰতি বৈরী হবেন ৷ শায়খ যাহাবী (র) বলেছেন, এ হাদীসটি হাসানগরীব ৷ ইবন
জারীর (র) এ হাদীসের পরবর্তী রিওয়ায়াত নিয়েছেন ইয়াকুব ইবন জাফর সুত্রে, হাদীসটি
আন্ব্লুপুর্বিক বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তাতে আরও রয়েছে যে, নবী করীম (সা) র্তার পিছনের
লোকদের র্তার কাছে পৌছা পর্যন্ত প্রতীক্ষা করলেন এবং সামনে চলে যাওয়া লোকদের ফিরিয়ে
আনার নির্দেশ দিলেন ৷ র্তারপর ভাষণ দিলেন ৷ কিতাবু পড়াদীর-ই খুম-এর প্রথম খণ্ডে সংকলক
আবু জাফর ইবন জারীর আত্-তাবারী (র) বলেছেন, শায়খ আবু আবদুল্লাহ আবৃ যাহাবী (র)-এর
বর্ণনা মতে এ বিবরণ ইবন জারীর হতে গৃহীত একটি পাণ্ডুলিপিতে রয়েছে ৷ মাহ্মুদ ইবন আওফ
আত্-তাঈ (র) সালিম ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে, ইবন জারীর (র) বলেন, আমার
কিভাবে যদিও কথাটি নেই, তবুও আমার ধারণায় এ সনদ উমর (রা) হতে, (তিনি বলেন)
রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি (বলতে) শুনেছি, এখন তিনি আলী (রা)-এর হাত ধরে রেখেছিলেন ৷
“আমি যার আপন ও অভিভাবক হব এও তার আপন হবে ৷ ইয়া আল্লাহ! যে তাকে বন্ধুরুপে
গ্রহণ করে আপনি তাকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করুন এবং যে তার সাথে দুশমনী করে আপনি তার সাথে
দুশমনী রাখুন! এ হাদীসটি বিরল, বরং মুনকার, অ্যাহণত্তযাগ্য এবং এর সনদ দুর্বল ৷ বুখারী (র)
বলেছেন, এ (হাদীসের অন্যতম) রাবী জাঘীল ইবন উমারা বিতর্কিত ব্যক্তি ৷
আলু যুত্তালিব ইবন যিয়াদ (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন মুহাম্মদ ইবন
আকীল (র) হতে, তিনি জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-কে বলতে শুনেছেন, আমরা জুহ্ফার
ঘুম জলাশয়ের পাড়ে ছিলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) একটি র্তীবু হতে বেরিয়ে এসে আলীর
হাত ধরলেন এবং বললেন, আমি যার মাওলা আলীও জর মাওলা ও অভিভাবক ৷ শায়খ
যাহাবী বলেন, এটি হাসান (উত্তম) সনদের হাদীস ৷ ইবন লাহীআ (র)-ও হাদীসটি বাক্র
ইবন সাওয়াদা (বা) প্রমুখ হতে আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান সুত্রে জাবির (বা) হতে
অনুরুপ রিওয়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, হাবয়ী ইবন জুনড়ায়দ (রা) বিদায় , হরুজ্জ
উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “আলী আমার (হতে) এবং আমি আলী (হতে) এবং আমার পক্ষে একমাত্র আমি
কিংবা আলী ব্যতীত অন্য কেউ দায়িত্ব পালন করবে না ৷ ইবন আবু বুকায়র (র)-এর বর্ণনায়
“আমি কিংবা আলী ব্যতীত অন্য কেউ আমার পক্ষে আমার ঋণ
পরিশোধ করবে না ৷ আহমদ (র) আবু আহমদ আঘৃ যুবায়রী (র) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, যুবায়ৰী (র) হাবশী ইবন জুনাদা (রা) সনদেও
অনুরুপ রর্বৃকুা৷ করেছেন ৷ রাবী শারীক (র) বলেন, আমি আবু ইসহাক (র)-কে বললাম, আপনি
র্তাব (হাইর্গী কাছে এ কথা কোথায় শুনলেন? তিনি বললেন; “জাব্বানা আর সুবায়
এ আমাদের একটি মজলিসের সামনে একটি ঘোড়ার পিঠে বসা অবস্থায় তিনি আমাদের জন্য
থেমে ছিলেন ৷
আহমদ (র) জ্যি সনদেও অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী (র) ও নাসাঈ (র) বিভিন্ন
সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী (র) এটাকে হাসান সাহীহ পরীব বলে মন্তব্য করেছেন ৷
সুলায়মান ইবন কাবৃম যিনি একজন পরিত্যাজ্য রাবী হাবৃশী ইবন জুনাদা (বা) হতে হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন যে, হাবশ (রা) খুম জলাশয় দিবসে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি,
আমি যার মাওলা হব আলীও তার মাওলা ৷ ইয়া আল্লাহ৷ যে তার সাথে বন্ধুত্ব করে আপনি তার
বন্ধু হোন এবং যে তার সাথে শক্রত৷ করে আপনি তার শত্রু হোন” (পুর্ণ হাদীস) ৷
হাফিজ আবু ইয়ালা আল মড়াওসিলী (র) বলেন, আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র), আবু
ইয়াযীদ আল-সাওদী (র) তার পিতা হতে ৷ তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (বা) মসজিদে প্রবেশ
করলে অনেক লোক তার কাছে সমবেত হল ৷ এক যুবক তার সামনে দাড়িয়ে বলল, আপনাকে
আল্লাহর নামে কসম দিচ্ছি আপনি কি রাসুলুল্লাহ (সা)কে এ কথা বলতে শুনেছেন
যে,“আমি যার মওলা আলীও তার মওলা, ইয়া আল্লাহ যে তার সাথে বন্ধুতু রাখে আপনি তার
বন্ধু হোন এবং যে তার সাথে দৃশমনী করে আপনি তার দুশমন হোন ! আবু হুরায়রা (রা)
বললেন, হী ৷ ইবন জারীর (র) এটি রিওয়ায়াত করেছেন আবু কুরায়ব (র) শারীক, ঐ সনদে
এবং ইদরীস আলু আওদী (র) তার, ভাই আবু ইয়াযীদ (দাউদ ইবন ইয়াযীদ) হতে ঐ সনদে
এর সমর্থনে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন জারীর (র) উক্ত ইদরীস ও দাউদ (র) (তাদের
পিতা সুত্রে) আবু হুরায়রা (বা) হতেও হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ কিন্তু, যামৃরা (র)
শাওয়াবআবু হুরায়রা (বা) হতে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্পাহ (সা) যখন আলী (রা)-এর হাতে ধরলেন তখন বললেন, “আমি যার মওলা আলীও
তার মওলা এবং তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করলেন আবু হুরায়রা (রা) বলেন, যে দিনটি ছিল খুম জলাশয়ের নিকটে
অবস্থানের দিন, যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের (ঐ দিনটিতে) আঠার তারিখে সিয়াম পালন
করবে তার জন্য ষাট মাস সিয়াম পালনের (হওয়ার) লেখা হবে ৷ এটি একটি অত্যন্ত
মুনকার ও প্রত্যথ্যেড়াত হাদীস বরং এটি মিথ্যা ও জাল ৷ কেননা, এ বর্ণনাটি সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে
উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) হতে প্রাপ্ত হাদীসের বিপরীত ৷ কারণ তাতে বলা হয়েছে যে,
শুক্রবার আরফাত দিবসে এ আয়াত নাযিল হয়েছিল যখন রাসুলুল্লাহ (সা) সেখানে অবস্থান
করছিলেন (সংত্তিষ্টি অনুচ্ছেদ দ্ৰষ্টব্য) ৷
অনুরুপ তার উক্তি যিলহজের আঠার তারিখ ঘুম জলাশয় দিবসের (স্মরণে) সিয়াম
পালন সটি মাস সিয়ামের সমতুল্য এ বক্তব্য যথার্থ নয় ৷ কেননা, সহীহ্ হাদীসে প্রমাণিত
হয়েছে (যার অর্ধ ভাষ্য) যে, গোষ্ঠী রমযান মাসের সিয়ড়াম দশ মাসের সমতুল্য ৷ সুতরাং মাত্র
একদিনের সিয়াম ষাট মাসের সমতুল্য হওয়ার কাল্পনিক ব্যাপার নয় কি ? কাজেই ভাষাটি
বাতিল ও অবাস্তব ৷ শায়খ আলু হাফিজ আবু আবদুল্লাহ আয্ যাহাৰী (র) এ কারণেই এ
হাদীস উদ্ধৃত করে মন্তব্য করেছেন যে, এটি চরম মুনকার ও প্রত্যাখ্যাত ৷ হাবৃশুন আলু
খাল্পাল ও আহমদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আহমদ আন নায়িরীি (র) দুজন সতবােদী ও বিশ্বস্ত
রাবী যাম্রা (র) হতে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি (যাহাৰী) বলেছেন, উমর ইবনুল খাত্তাব, মালিক
ইবনুল হুওয়ায়পুরিছ, আনাস ইবন মালিক ও আবু সাঈদ (রা) প্রমুখের নামেও বিভিন্ন দুর্বল ও
মনগড়া সনদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেছেন, হাদীসের প্রথম অংশ বহুল সুত্রে
ঘুতাওয়াতির বর্ণনা দ্বারা সমর্থিত, যাতে এ নিশ্চয়তায় পৌছতে পারি যে, রাসুলুল্পাহ (না) তা
বলেছেন ৷
আর (মধ্যবর্তী অংশ) ইয়া আল্লাহ যে তাকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করে অংশর্টুকু সরল সনদে
সমর্থিত বর্ধিত অংশ, আর (শেষ অংশটুকু) এ সিয়ামের বিষয়টি যথার্থ ও বিশুদ্ধ নয় ৷ আল্লাহ্র
কসম ঐ সময় আয়াত নাযিল হওয়ার বিষয়টিও স্বীকৃতিমােগ্য নয় ৷ কেননা, তা অবশ্যই ঘুম
জলশায় দিবসের বেশ কতক দিন আগে (নয় দিন) আরাফা দিবসেই নাযিল হয়েছিল ৷ আল্লাহ
তাআলাই সম্যক ও সমধিক অবগত ৷
তাৰারানী (র) বলেছেন, আলী ইবন ইসহাক আলু ওয়ড়াযীর আলু ইসৃপাহড়ানী (র) সাহ্ল
ইবন হুনায়ফ ইবন সাহ্ল ইবন মালিক (কাব ইবন মালিক-এর তাই) তার পিতা তীর দাদা
থেকে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন বিদায় হজ্জ সম্পাদন করে মদীনায় ফিরে এলেন
তখন মিমারে উঠে আল্লাহর হামদ ও ছানা উচ্চারণ করলেন ৷ এরপর বললেন-ন্-
াৰুৰুা
ধ্৮ন্!শু ন্ডিং
লোক সকল! আবু বকর কোন দিন আমাকে কষ্ট দেয়নি ৷ তাই, তোমরা তার এ বিষয়টির
স্বীকৃতি দিবে ও কদর করবে ৷ লোক সকল ! আবু বকর, উমর, উছমান, আলী, তালুহা,
যুবায়র ও আবদুর রহমান ইবন আওফ এবং প্রথম যুগের যুহাজিরদের প্ৰতি রয়েছে আমার
সন্তুষ্টি, তাদের ব্যাপারে এ বিষয়টির কদর করে চলবে ৷ লোক সকল ! আমার সাহাবীগণ,
বৈবাহিক সম্পর্কের আত্মীয়কুল এবং আমার প্রিয়জনের ব্যাপারে আমার সাথে তাদের সম্পর্কের
দাবী রক্ষা করে চলবে; আল্লাহ যেন তাদের কারো সাথে দৃর্ব্যবহারের দায়ে তোমাদের দায়ী না
করেন ৷ লোক সকল! মুসলমানদের (বিরুপ সমালোচনার) ব্যাপারে তোমরা তোমাদের জিহ্বা
ত্যত রাখবে এবং তাদের কেউ মারা গেলে তার সর্ম্পকে ভাল কথা বলবে (ও সৃমন্তব্য
করবে) ৷ বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ৷ ং
১ সম্ভবত মুল পাণ্ডুলিপিতে বিসমিল্পাহ পরবর্তী অনুচ্ছেদের প্রারম্ভে ছিল ৷ কোন অনুলিপিকারের
অসতর্কতায় এখানে যুক্ত হয়েছে ৷ অনুবাদক
একাদশ হিজরী সাল
এ বছরের নতুন চাদ উকি দিল যখন বিদায় হজ্জ শেষে নবী করীম (না)-এর মুবারক বাহন
মদীনা ঘুনাওয়ারায় ফিরে এসে থামলো এ বছরের ঘটনাবলীর তালিকায় রয়েছে অনেক
গুরুত্বপুর্ণ ও উল্লেখ্যযাগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা ৷ সেগুলির মাঝে সর্বাধিক মর্যান্তিক হচ্ছে রাসুলুল্লাহ
(সা) এর ওফাত ৷ তবে কিনা তা র ওফাংতর মর্মার্থ হল আল্লাহ পাক তাকে অস্থায়ী জগত হতে
জান্নাতের সুউচচ মর্যাদা ও উন্নত অবস্থানে স্থানান্তরিত করে দেন, যার চাইতে উন্নত ও সঘুজ্জ্বল
কোন মর্যাদা নেই যেমন, মহান আল্লাহ তা জানা ইরশ দ করেন-
“ণ্তমার জন্য পরবর্তী সময় (আ খিরাত) পুর্ববর্তী সময় (দুনিয়া) অপেক্ষা ণ্শ্রয় অচিরেই
তোমার প্ৰতিপালক তোমাকে (অক্বাহ) দান করবেন, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হয়ে” (৯৩ : : ৫ )
আল্লাহ তা আলা তার প্রিয় নবীকে যে ৰিসালাতের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন তা পৌছিয়ে
দেয়ার কর্তব্য প্রতিপালনের পরে এবং উম্মতের কল্যাণ কামনা, দুনিয়া আখিরাতে তাদের জন্য
কল্যাণকর রুপে অবগত বিযয়া দিতে তাদের পথ নির্দো দান এবং তাদের জন্য অনিষ্ট ও
ক্ষতিকর বিষয়াদির নিযেধা জ্ঞা ও স৩ তর্কীকিরণ এ সব গুরু দায়িত্ব সুচড়া রুভ বে প্ৰতিপালনের পর
আল্লাহ পাক তাকে নিজ সান্নিধ্যে তুলে নিলেন সহীহ্ গ্রন্থকা রদ্বয় উমর ইবনুল খাত্তা ন (বা)
হতে সংশ্রিষ্ঠ বিষয়ে যে রিওয়ায়াত উপস্থাপন করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে,
আয়তটি আরফা ত দিবস শুক্রবারে রাসুলুল্লাহ (না)-এর আরাফাত অবস্থান কালে নাযিল
হয়েছিল যা পুর্বেই আলোচিত হয়েছে ৷ এ ছাড়া, বেশ উত্তম সুত্রে আমরা রিওয়ায়াত করেছি
যে, এ আয়াত নাযিল হওয়ার সময় উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) কেদে দিয়েছিলেন তখন তাকে
তার এ কন্নর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন “পুর্ণতার পরে তো
অপুর্ণতা ব্যতীত কিছুই থাকে না (জােয়রের শে ষেই তো ভাটির টান শুরু হয়) অর্থাৎ তিনি
যেন এ আয়াতে নবী করীম (সা) এর ওফাং তর পুর্বাভায পেয়েছিলেন ইবন জুরয়জ (র)
সুত্রে জ বির (রা) এর সনদে বর্ণিত মুসলিম শরীফের হদীসে নবী করীম (সা) এ দিকে
ইৎগিত দিয়েছিলেন এভাবে যে, রসুলুল্লাহ (সা) জামরাতুল আকবর কাছে থেমে র্দড়লেন
এবং আমাদের (সাহাবীদের) বললেন ১১
“তোমাদের হজ্জ্ব-উমরার রীতিনীতি আমার কাছে শিখে নাও, এমন হতে পারে যে, আমার এ
বছরের পরে আমি আর হজ্জ পালনে অসব না ”
এ ছাড়া মুসা ইবন উবায়দা আর-রবােযী (র)ইবনৃ উমর (রা) সনদে উদ্ধৃত হাদীস
শাস্তের দুই হাফিজ মনীষী আবু বকর অল-বয্যর ও বয়হকী (র) এর রিওয়ায়াতও আমরা