ছিল তিনি বের করে নিয়েছেন এবং সমুদয় সম্পদ তার ও তার সাহাবীগণের আয়ত্তে এসে গেছে ৷
আব্বাস (র৷ ) বললেন, তুমি কি ঠিক বলছ হে হাজ্জাজ ? তিনি বললেন, আমি বললড়াম, হীা
আল্লাহর শপথ! তবে এটা গোপন রাখবেন ৷ আমি ইতোমধ্যে মুসলমান হয়ে গেছি ৷ আর এখানে
এসেছি শুধু আমার সষ্পদগুলে৷ নিয়ে যাওয়ার জন্যে ৷ এরপর তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন ৷ আবার
বলে গেলেন, আল্লাহর শপথ, যখন তিনদিন চলে যাবে, তখন আপনি যেভাবে পসন্দ ব্যক্ত করতে
পারেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, যখন তৃতীয় দিন এল, আব্বাস (বা) এক জোড়া নতুন কাপড় গায়ে
সুগন্ধি যেখে একটি লাঠি হাতে কা’বা শরীফে এসে তাওয়াফ করলেন ৷ কুরায়শগণ যখন তাকে
দেখতে পেয়ে বলে উঠল, “হে আবুল ফযল ! আল্লাহর শপথ, এমন বিপদে এত ধৈর্য ? আব্বাস
(বা) জবাব দিলেন, “কখনও না, তোমর৷ যে আল্লাহর শপথ করেছ, তার শপথ করে আমি
বলছি৪ মুহাম্মাদ (স৷ ) খায়বার জয় করেছেন এবং তাদের রাজকন্যার বর রুপে বাসর উদযাপন
করেছেন ৷ তাদের সম্পদ দখল করে নিয়েছেন ৷ আর এখন সমগ্র সম্পদ তার ও তার সাহাবীদের
আয়ত্তে এসে গেছে ৷ তারা বলল, কে তোমাকে এ খবর দিয়েছে ? তিনি বললেন, তােমাদেরকে
যে খবর দিয়েছিল সে আবার আমাকে এ খবর দিয়েছে ৷ সে তোমাদের এখানে মুসলমান হয়ে
এসেছিল তার মালপত্র উদ্ধারের জন্যে ৷ সে এখন মুহাম্মাদ ও তার সাহাবীদের সাথে মিলিত
হওয়ার জন্যে চলে গেছে ৷ সে তার সাথেই থাকবে ৷ তারা বলতে লাগল, আল্লাহর বান্দাদের
সাহায্যে এগিয়ে আসুন ৷ আল্লাহর দৃশমন পালিয়ে গেছে ৷৩ তবে আল্লাহর শপথ, যদি আমরা তার
সম্বন্ধে জানতাম তাহলে তারও আমাদের মধ্যে অনেক কিছু হয়ে যেত ৷ হাজ্জাজ বলেন, তারা
কিছুদিনের মধ্যে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত সংবাদ পেয়ে গেল ৷ এরুপে ইবন ইসহাক এ ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন
সনদে বংনি৷ করেন ৷ অবশ্য ইমাম আহমদ পুর্ণ সনদসহ ঘটনাটি বংনাি করেছেন যা নিম্নরুপ :
তাতে অতিরিক্ত আছে হাজ্জাজ বলেন, এ খবর মক্কায় প্রচারিত হলে মুসলমানগণ চুপচাপ হয়ে
গেলেন আর মুশরিকগণ আনন্দস্ফুর্তি করতে লাগল ৷ হাজ্জাজ বলেন, এ খবর আব্বাস (রা) এর
কাছে পৌছলে তিনি মর্মাহত হলেন এমনকি র্দাড়াতেও পারলেন না ৷ মা’মার (বা) বলেন,
আমাকে মিকসাম (র) স বাদ দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, আব্বাস (রা)ত তার কুছাম নামী
এক সম্ভানকে চিং হয়ে বুকের উপর রাখলেন এবং কবিতার ছন্দে বলতে লাগলেন, কুছাম আমার
আদরের সন্তান, সুঘ্রাণযুক্ত নাসিকার প্রতীক, সে আমার সন্তান, ধারণাকারীর ধারণার সে
ঐশ্বর্যশালী ৷
ছাবিত (বা) আনাস (রা) এর বরাতে বংনি৷ করেন, তিনি বলেন, এরপর আব্বাস (বা) তার
একটি গোলামকে হ জ্জাজ ইবন ইলাং তর কাছে বলে পাঠালেন, র্সবনাশ তুমি এ কী সং বাদ নিয়ে
এসেছ, আল্লাহ তাআল৷ যা ওয়াদ৷ করেছেন তা তোমার আনীত স বাদ হতে উত্তম ৷ হাজ্জাজ
ইবন ইলাত গোলামটিকে বললেন, আবুল ফযলকে আমার সালাম দেবে এবং বলবে৩ তার বাড়ির
কো ন একটি জা ৷য়গ৷ যেন খালি করে রাখেন ৷ কেননা, আমিত তার কাছে কিছু গোপন কথা বলব যা
তাকে আনন্দ দেবে ৷ গোলামটি ফিরে গিয়ে বলল, হে আবুল ফযল, সৃসংবাদ গ্রহণ করুন ৷
হাজ্জাজ বলেন, এটা শুনে আব্বাস (বা) থুশীতে লাফ দিয়ে উঠলেন এবং গোলামের কপালে চুমু
খেলেন ৷ হাজ্জাজ যা বলেছিলেন গোলামটি তা হুবহু তার পুনরাবৃত্তি করল ৷ তখন আব্বাস (রা)
গো ৷লামটিকে আযাদ করে দিলেন ৷ এরপর আব্বাস (রা) এর কাছে হাজ্জাজ আসলেন এবং সব বাদ
দিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার জয় করার পর পনীমত হিসেবে সমুদয় সম্পদ লাভ করেছেন
এবং তাদের সম্পদে আল্লাহ্ তাআলার অংশও নির্ধারিত করেছেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) সাফিয়্যা
বিনৃত হুয়৷ ৷ইকে নিজের জন্যে রেখে দিয়েছেন ৷ তিনিও ;ৰু ৷কে আযাদ করে দিয়ে ইখতিয়ার দিয়েছেন
যে, তিনি ইচ্ছে করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ত্রীরু হতে ৩পারেন কিষ্রা নিজের পরিবার পরিজনের
সাথে মিলিত হতে ৩পারেন ৷ কিন্তু তিনি আয়াদ হবার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর শ্ৰী হওয়াকেই পছন্দ
করেছেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, কিন্তু আমি এখানে আমার সম্পদ সলোঃহর জন্যে এসেছি যাতে আমি
এগুলো নিয়ে যেতে পারি ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে অনুমতি নািয়ছি যেন, প্রয়োজনে যা ইচ্ছে
তা বলতে পারি ৷ আপনি এ সংবাদটি তিনদিন গোপন রাখবেন ৷ এর পর যেভাবে ইচ্ছে তা প্রকাশ
করতে পারেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, আসবাবপত্র, সােনারুপ৷ যা তার স্তীর কাছে ছিল তা সে একত্র
করে হাজ্জাজকে অর্পণ করল ৷ এরপর তিনি এগুলো নিয়ে ঘুত প্ৰতা৷বর্তন করলেন ৷ যখন
তিনদিন শেষ হল আব্বাস (রা) হাজ্জাজের শ্ৰীর নিকট আগমন করলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন,
“তোমার স্বামী কী করেছে ? ” তখন সে সংবাদ দিল যে, তারাট্টম্ব৷ ৷অন্মুক দিন চলে গেছে ৷ আর
বলল, “হে আবুল ফযল, তোমাকে যেন আল্লাহ চিন্তিত না করেন ৷ তোমার কাছে যে সংবাদ
পৌছেছে এটা আমাদেরকে ও আহত করেছে ৷” আব্বাস (রা) বলেন, “হীা, আল্লাহ যেন আমাকে
চিন্তায়ুক্ত না করেন ৷ তবে আল্লাহর প্রশংসা এজন্যে যে আ ৷মি যা পছন্দ করেছিলামত ৷ই হয়েছে ৷
আল্লাহ্ তার রাসুলকে খায়বারে বিজয় দান করেছেন ৷ তথায় তাদের যমীনে আল্লাহর তা’ আলার
অংশ নির্ধারিত করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়ব্র৷ (রা) কে নিজের জন্যে পছন্দ করেছেন ৷
তোমার ইচ্ছে হলে তুমি তোমার স্বামীর সাথে গিয়ে মিলিত হতে পার ৷” মহিলা বলেন, “আমার
ধারণা, আল্লাহর শপথ, তুমি সতবােদী ৷ ” তিনি বললেন, ”হ্যা , আমি সত্যবাদী ৷ আমি যা সংবাদ
দিয়েছি ব্যাপারটিও সত্য ৷” এরপর তিনি কুরায়শের বৈঠকখানায় গমন করেন ৷ যখন তিনি তাদের
অতিক্রম করছিলেন তখন তারা বলে, “ হে আবুল ফযল , তুমি যেন সুখে থাক ৷ ” তিনি বলেন,
“আলহামদৃলিল্লাহ, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃখেই রেখেছেন ৷ হাজ্জাজ ইবন ইলাত (রা)
আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে, আল্লাহ তাআল৷ তার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হাতে খায়বারের বিজয়
দান করেছেন এবং তিনি খায়বারে আল্লাহ্ তাআলার অংশ নির্ধারণ করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাফিয়্যা (রা) কে নিজের জন্যে নির্বাচন করেছেন ৷ সে আমাকে অনুরোধ করেছিল এ সংবাদটি
যেন আমি তিনদিন পর্যন্ত গোপন রাখি ৷ আর সে এসেছিল তার সম্পদ এবং এখানে যা ৷কিছু আছে
তা নিয়ে যাওয়ার জন্যে ৷ত তারপর যে চলে গেছে ৷ রাবী বলেন, যে দুঃখক্লেশ মুসলমানদের
ব্যথিত করছিল তা এবার মুশরিকদের অম্ভরে বির্ধতে লাগল ৷ মুসলমানদের যারা ঘরে লুকিয়ে
ছিল , আব্বাস (রা) শুভ স ×বাদ নিয়ে আসায় তারা ঘর থেকে বের হয়ে পড়লেন ৷ মোট কথা,
আব্বাস (রা) মুসলমানদের যে শুভ স×বাদ দিলেন তাতে মুসলমানগণ অত্যন্ত খুশী হলেন,
মুসলমানদের যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট রেদন৷ মুশরিকদের অম্ভরে গিয়ে বিদ্ধ হয় ৷ উক্ত হাদীছটি নাসাঈ
ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তার অন্য কোন সংকলক রিওয়ায়াত করেননি ৷ বায়হাকী (র ) বিভিন্ন সনদে
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷
অনুরুপ মুসা ইবন উক্বা তার মাগাযী গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, কৃরায়শদের মধ্যে ছিল রেচা
-কেন৷ ও জমি বন্ধক দেয়ার ও নেয়ার বড় প্রতিযোগিতা ৷ তাদের মধ্যে কেউ কেউ রাজি ধরেছিল
যে, মুহাম্মাদ ও তার সাহাবীগণ জয় লাভ করবে, আবার কেউ কেউ বলতেছিল যে, দুই মিত্রদল ও
খায়বারের ইয়াহ্রদীরা জয় লাভ করবে ৷ হাজ্জাজ ইবন ইলাত আস-সালামী ও আল-বাহ্যী মুসলমান
হয়ে গিয়েছিলেন এবং খায়বার বিজয়ের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন ৷
আবদুদৃ দার ইবন কুসাইর বংশের উম্মে শায়বা ছিল তার ত্রী ৷ হাজ্জাজ (রা) ছিলেন বিশাল সম্পদের
মালিক, বনু সুলায়মের যমীনের খনি তার মালিকানাধীন ছিল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যখন থায়বার
বিজয় করলেন মক্কায় অবস্থিত তার সমুদয় সম্পদ সংগ্রহের ল্যক্ষা মক্কা যাওয়ার জন্যে হাজ্জাজ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে অনুমতি চান, রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে অনুমতি দেন যেমন পুর্বে বর্ণিত
হয়েছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, খায়বারের যুদ্ধে করি হাস্সান যে কথিত পাঠ করেছিলেন তার মধ্যে
কয়েকটি নিম্নে প্রদত্ত হল ৷
“খায়বারবাসীরা তাদের অর্জিত থেত খামার ও খেজুর বাগান রক্ষার জন্যে যে যুদ্ধ করেছিল
তা ছিল অত্যন্ত খারাপ ৷ কেননা, এটা ছিল ইসলামী সেনাদন্বলর বিরুদ্ধে লড়াই ৷ তারা ইসলামী
রুসনাদলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করাকে অপসন্দ করেছিল ৷ তাই তাদের প্রতিরাে ধ ব্যবস্থা
একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল ৷ আর তারা অপমানজনক মন্দ কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল ৷
তারা কি মৃত্যু থেকে পলায়ন করতে চায় প্ মৃত্যু অনিবার্য ৷ তবে তাদের জানা উচিত যে,
অপমানের মৃত্যু প্রশংসার যোগ্য নয় ৷
ইবন হিশাম , আবুযায়দ আল-আনসারী (বা) হতে কাব ইবন মালিক রচিত নিম্নবর্ণিত যে,
কবিতাগুলো উদ্ধৃত করেছেন তার মর্মার্থ নিম্নরুপ :
আমরা খায়বার ও তার আশে পাশের এলাকায় অবতরণ করলাম ৷ আমাদের সাথে ছিলেন
পাথেয় বিহীন সাহসী যুবাদল , যারা প্রয়োজনে হন দানশীল ও শক্তিশালী এবং প্রতিটি যুদ্ধ ক্ষেত্রে
শত্রুর উপর তড়িত গতিতে ঝাপিয়ে পড়েন, প্রতিটি শীত মৌসুমে বিরাট খাদ্য ভাণ্ডারের
আয়োজক হন, তারা উচ্চমান সম্পন্ন তরবারি পরিচালনায় বিশেষ পারদর্শী , তারা যে যুদ্ধে শাহাদত
বরণের সুযোগ খুজে পান যে যুদ্ধকে সাফল্যরুপে অত্যন্ত প্রশংসার চোখে দেখেন ৷ আল্লাহর
কাছে র্তারা শাহাদতের আশা করেন এবং শাহাদতকে প্রশংসার যোগ্য ও সাফল্য মনে করেন,
বিশ্বনবী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মর্যাদা অক্ষুগ্ন রাখার জন্যে তারা জীবনবাজি রাখেন এবং মুখে ও
হাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ হতে শত্রুকে প্ৰতিরো ধ করেন , প্রতিটি কাজের অনিষ্ট থেকে
হিফাযত করার লক্ষেব্র রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে তারা সাহায্য সহায়তা করার জন্যে সর্বদা প্রস্তুত
থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবন রক্ষা করার জন্যে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর আনীত অদৃশ্য খবরাখবরকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে বিশ্বাস করেন এই উদ্দেশ্যে যাতে
ভবিষ্যতের মান মর্যাদা , সফলতা রক্ষা পায় ৷
ওয়াদিল কুরায় গমন, ইয়াহ্রদীদেরকে অবরোধ ও তাদের সাথে সন্ধি স্থাপন
ওয়াকিদী বলেন, আবদুর রহমান ইবন আবদুল আযীয আবু হুরায়রা (রা) হতে বনাি
করেন ৷ তিনি বলেন আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে খায়বার হতে ওয়াদিল কুরার দিকে বের
হলাম ৷ ইতোমধ্যে রিফ৷ ৷আ ইবন যায়দ ইবন ওহাব আল-যুযামী রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে একটি
কৃষ্ণকায় গোলাম হাদিয়৷ স্বরুপ দিয়েছিলেন যার নাম ছিল মিদৃয়া’ম ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
উটের গদী সাজা ত ৷ আমরা যখন ওয়াদিল কুরায় অবতরণ করলাম তখন আমরা ইয়াহুদী বসতিয়
শেষ প্রান্তে গিয়ে পৌছলাম ৷ আরবের কিছু সং খ্যক লোকও এখানে এসেছিল ৷ ফলে মিদ আম
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর গদি নামাচ্ছিল তখন আমরা সেখানে অবা<৷হিত করে ইয়াহ্রদীর৷ আমাদেরকে
তীর ছুড়ে অভ্যর্থনা জানাল ৷ কিন্তু তাতে আমাদের কারো কোন ক্ষতি হয়নি ৷ তারা তাদের দৃর্গে
উদ্ভট আওয়ায করছিল ৷ হঠাৎ একটি বিক্ষিপ্ত তীর এসে মিদআরুময় পায়ে লাগল এবং সে নিহত
হল ৷ লোকজন বলতে লাগল, তার জন্যে জান্নাত শুভ হোক ৷ ” রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বললেন কখনও
ন৷ , যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ ! সে খায়বারের দিন শ্চষ্নীমতের সাল হতে সংগােপনে যে
চাদরটি গনীমত বিতরণের পুবেই আত্মসাৎ করেছিল ৷ এ চন্দের ব্টি তার জন্যে জাহান্নামের আগুন
প্ৰজ্বলিত করবে ৷ ’রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর বাণী শুনামাত্রই তার কাছে কিছু সংখ্যক সাহাবী জুতার
একটি ফিতা বা দুটি ফিতা নিয়ে হাযির হতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন জাহান্নামের
একটি ফি৩ ৷ কিৎব৷ দুটি ফি৩ ৷ হচ্ছে এগুলো ৷ এ হাদীছটি অন্যসনদে অনুরুপ বুখারী ও মুসলিম
শরীফে বর্ণিত রয়েছে ৷
ওয়াকিদী বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবায়ে কিরামকে যুদ্ধের জন্যে আহ্বান করলেনও
তাদেরকে সারিবদ্ধভাবে দীড় করালেন ৷ সাদ ইবন উবাদা (রা) , হুবাব ইবন ঘুনযির (রা) , তিনি
আব্বাদ ইবন বিশর (বা) এবং সাহল ইবন হনায়ফ (রা)-কে একটি করে পতাকা দিলেন ৷ এরপর
ওয়াদিল কুরাবাসীকে ইসলামের দিকে আনেন ৷ শাসকদল এবং তাদের কাছে সংবাদ পৌছ৷ ৷লেন
যে, যদিও ৷র৷ ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে তাদের জানমাল রক্ষা পাবে ৷ আর তাদের পরকালের
হিসাব রইবে আল্লাহর যিম্মায় ৷
রাবী বলেন, তারপর তাদের মধ্য থেকে একব্যক্তি দ্বন্দু যুদ্ধের জন্যে এগিয়ে আসল ৷ তার
মুকাবিলার জন্যে যুবায়র ইবনুল আওয়াম (রা ) এগিয়ে আসেন ও তাকে হত্যা করেন ৷ এরপর
অন্য একজন দ্বন্দু যুদ্ধের জন্যে এগিয়ে আসল ৷ তার ঘুকাবিলায় আলী (বা) এগিয়ে গেলেন এবং
তাকে হত্যা করলেন ৷ এভাবে তাদের এগার জন নিহত হয় ৷ তাদের মধ্য হতে একেক জন
নিহত হওয়ার পর বাকীদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়৷ হয়েছিল ৷ ঐদিন সালাতেব ওযাক্ত
সন্নিকট হওয়ায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবাগণকে নিয়ে সালাতেব ওয়াক্তে সালাত আদায় করেন ৷
পুনরায় তাদেরকে ইসলামের এবং আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি দাওয়াত প্রদান করা হয় ৷ তারপর
সন্ধ্য৷ পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ চলে ৷ এর পরদিন এক বর্শা পরিমাণ সুর্য উপরে না উঠতে ৷ ৩ারা
আত্মসমর্পণ করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধের মাধ্যমে ওয়াদিল কুর৷ জয় করেন এবং আল্লাহ
তাআলা শত্রুদের সম্পদ, আসবাবপত্র ও প্রচুর ঐশ্বর্য গনীমত হিসাবে মুসলমানদেরকে দান
করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওয়াদিল কুরায় চারদিন অবস্থান করেন আর গনীমতের মালামাল
সাহাবাগণের মধ্যে রণ্টন করেন ৷ সেখানকার জমি জম৷ ও খেজুর বাগান ইয়াহুদীদের হাতে
থাকতে দেন এবং তাদের সাথে বর্গা ৷চাষের অনুমতি দেন ৷৩ তায়ম৷ নামক স্থানের ইয় ৷হুদীরাও
যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সহিত৷ থ৷ য়বার ফাদ ৷ক ও ওয়াদিল কুরার অধিবাসীদের সন্ধির কথা ওনল
৩৮৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
জিযিয়া অাদায়ের চুক্তিতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে তারাও সন্ধি স্থাপন করল ৷ তাদের সম্পদ
তাদের হ দুইে রয়ে গেল ৷ হযরত উমর (রা) এর যুগে৩ তিনি খায়বার ও ফাদা কের ইয়াহ্রদীদেরকে
ৰিতাড়িত করলেন ৷ কিন্তু ওয়াদিল করা ও তায়মার ইয়াহ্রদীদেরকে তিনি তাদের নিজ এলাকায়
থাকতে দিলেন ৷ কেননা, তাদের এলাকা পড়েছে সিরিয়ার ৷ আর ওয়াদিল কুরা ব্যতীত মদীনাব র
অন্যান্য এলাকা পড়েছে হিজায়ে ৷ হিজায ব্যতীত অন্যান্য এলাকা হচ্ছো সিরিয়ার অন্তর্গত ৷ রাবী
বলেন, খায়বারও ওয়াদিল কুরা জয় করার ও গনীমত লাভের পর রাসুলুল্লাহ্( ()সা মদীনায় ফেরত
আসেন ৷
ওয়াকিদী বলেন ইয়া কুব ইবন যুহাম্মাদ (র) উম্মু আম্মারা ( ধ্া তে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, জুরফ নামক জায়গা য় আমি রাসুলুহুাহ্ (সা) কে বলতে শুনোছ ৷ তািান বলেন, সফর
থেকে ফেরত আসা র কা লে ইশার সালাতের পর সৎ বাদ না দিয়ে তে তামরা তোমাদের শ্রীদের কাছে
যেয়ো না ৷ ’রাবী বলেন, গোত্রের একজন লোক রাত্রি রেলায়৩ারাত্রীর কাছে প্রবেশ করল এবং
তার অপসন্দনীয় জিনিস দেখতে পেল ৷ এরপর সে তার থেকে পৃথক রইল; কিন্তু তাকে ছেড়ে
গেল না ৷ ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংক কা দেখা দিল অথচ৩ তার এ ত্রীর গর্ভে তার সম্ভানাদি
ছিল আর সে ল্লীকে ভালবাসত ৷ বস্তুত সে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আদেশ অমান্য করায় অপ্রীতিকর
ঘটনার সম্মুখীন হল ৷
অধ্যায় : সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন খায়বার
জয় করেন তখন ইয়াহুদীদের সাথে এ শর্ভে চুক্তি করেন যে, উৎপাদিত শস্য ও খেজুর বাগান
থেকে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অর্ধেক প্রদান করবে ৷ এ হাদীছে আরো উল্লেখ রয়েছে যে, তারা
যাবতীয় সম্পদেও এরুপ চুক্তি করেছিল ৷ আবার এটাও উল্লেখ রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাদেরকে বলেছিলেন, যত তদিন ইচ্ছে আমরা তে তামাদেরকে থাকার অনুমতি দেব ৷ স্নান
গ্রন্থেসমুহে উল্লেখ রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফসল মুল্যায়নের সময় আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা
(রা) কে প্রেরণ করতেন এবং তিনি তাদের অৎশ নির্ধারণ করতেন ৷ মু৩ার যুদ্ধে আ ব দুপ্ল ৷ হ্ ইবন
রাওয়াহা শাহাদত বরণ করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাব্বার ইবন সখরকে এ কাজের জন্য প্রেরণ
করতেন ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, আমি ইবন শিহাব যুহরী (রা) কে জিজ্ঞেস করলাম যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বা রের ইয়াহ্রদীদেরকে কিভারে তাদের থেজুর বাপানগুলো অর্পণ করেছিলেন ৷
তখন তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধের মাধ্যমে খায়বার জয় করেন ৷ খায়বার এমন
সম্পদের অন্তর্ভুক্ত ছিল যার মধ্য হতে আল্লাহ তাআালা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এক পঞ্চমাৎশ দান
করেছেন এবং বাকী অংশ মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করার তাওফীক দিয়েছেন ৷ যুদ্ধের পর
যাদেরকে বিতাড়িত করার প্রয়োজন ছিল তাদেরকে বিতাড়িত করা হয় ৷ তাদেরকে ডেকে এনে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, “যদি তোমরা চাও তাহলে এ শতে আমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে
পার যে, উৎপাদিত ফল ফসলাদি৫ তামাদের ও আমাদের মধ্যে সমান সমান দুইভা গে বন্টন করা
হবে ৷ আর আমাদের যতদিন ইচ্ছে তোমাদেরকে আমরা এখানে থাকতে অনুমতি দেব ৷ তারা এ
প্রস্তাব মেনে নেয় এবং বর্গা চাষী হিসাবে এখানে অব হু৷ ন করে ৷ রাসুণুস্নাহু (সা) অ ৷ র দুপ্ল ৷ ২ ইবন