ইসলামী ফতোয়া

মুসাফাহা করে হাত বুকে লাগানো৷

উত্তর

প্রশ্ন মুসাফা করে হাত বুকে লাগানোর হুকুম কি? এভাবে বোকে লাগানো জায়েজ নাকি নাজায়েজ? উত্তর হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন,আমাদের দ্বীনের মাঝে যে ব্যক্তি নতুন বিষয় আবিস্কার করে যা তাতে নেই তাহলে তা পরিত্যাজ্য। সহীহ বুখারী, হাদিস নং-২৫৫০, সহীহ মুসলিম-৪৫৮৯৷ এই হাদিসে কয়েকটি শর্তে বিদআত ও নব আবিস্কৃত বস্তুকে নবীজি সাঃ পরিত্যাজ্য বলেছেন। যেমন, ১৷ সম্পূর্ণ নতুন বিষয়। যার কোন প্রমাণ নবীযুগে বা সাহাবা যুগে নেই, এমন বিষয় হওয়া। ২৷ দ্বীনী বিষয় হওয়া। সুতরাং দ্বীনী বিষয় ছাড়া যত নতুন বিষয়ই আবিস্কারই হোকনা কেন তা বিদআত নয়৷ যেমন মোবাইল, প্লেইন, নতুন নতুন আসবাব ইত্যাদি। এসব বিদআত নয়। কারণ এসব দ্বীনী বিষয় নয়। ৩৷ দ্বীনের 'মাঝে' নতুন আবিস্কার হওয়া । দ্বীনের 'জন্য' হলে সমস্যা নেই। কারণ দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার মানে হল ইহা সওয়াবের কাজ, যেমন সুন্নাত, ওয়াজিব ইত্যাদী। আর দ্বীনের জন্য হলে সেটা মূলত সওয়াবের কাজ নয়, বরং সওয়াবের কাজের সহায়ক। যেমন মাদরাসা শিক্ষার একাডেমিক পদ্ধতি নববী যুগে ছিলনা। পরবর্তীতে আবিস্কার করা হয়েছে। এই একাডেমিক পদ্ধতিটি দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার নয়, বরং দ্বীনী কাজের জন্য সহায়ক হিসেবে আবিস্কার করা হয়েছে। অর্থাৎ দ্বীন শিখার সহায়ক। আর দ্বীন শিখাটা সওয়াবের কাজ। কিন্তু সিষ্টেমটা মূলত সওয়াবের কাজ নয় বরং সহায়ক। মিলাদ কিয়াম বিদআত। কারণ এটি নতুন আবিস্কৃত। নববী যুগ বা সাহাবা যুগে ছিল না। সেই সাথে এটিকে দ্বীন মনে করা হয়, সওয়াবের কাজ মনে করা হয় তাই এটি বিদআত। তেমনি মুসাফাহা করার পর এমনিতেই অভ্যাসগত ভাবে যদি হাতকে বুকের সাথে লাগায়, সওয়াবের কাজ বা সুন্নত মনে না করে, তাহলে ইহা বিদআত, হারাম বা নাজায়েজ হবে না। কিন্তু যদি সওয়াবের কাজ, বা সুন্নত মনে করে করা হয়, বা মুসাফাহা সংশ্লিষ্ট সুন্নত মনে করে করা হয়, তাহলে তা বিদআত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এবং প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী। আল্লাহ আমাদেরকে বিদআত মুক্ত থাকার তৌফীক দান করুন৷ আমীন৷ মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া 01756473393 উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন মুসাফাহার আদব
সব ফতোয়া দেখুন ফেইসবুক-মোবাইল ক্যাটাগরি