আল-মুযযাম্মিল
المزمل
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতিশয় মেহেরবান।
1
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلْمُزَّمِّلُ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
হে বস্ত্রাবৃত!
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১. হে বস্ত্রাবৃত! তথা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম)।
2
قُمِ ٱلَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
রাত জাগরণ কর কিছু অংশ ব্যতীত।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২. আপনি রাতের কিছু অংশ বাদ দিয়ে বাকী সময় নামায পড়ুন।
3
نِّصْفَهُۥٓ أَوِ ٱنقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অর্ধ রাত কিংবা তদপেক্ষা কিছু কম।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩. যদি চান তাহলে এর অর্ধেক কিংবা অর্ধেকের চেয়ে একটু কম পড়–ন। যা এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পৌঁছায়।
4
أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ ٱلْقُرْءَانَ تَرْتِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অথবা তদপেক্ষা বেশী। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪. কিংবা আরো একটু বাড়িয়ে দিন। যাতে আপনি দুই তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন। আর আপনি যখন কুরআন পড়েন তখন তা সুস্পষ্টভাবে পাঠ করুন এবং তা পাঠে ধীরতা অবলম্বন করুন।
5
إِنَّا سَنُلْقِى عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫. হে রাসূল! আমি অবশ্যই আপনার উপর কুরআন তথা ভারী বাণী অবতীর্ণ করবো। যেহেতু তাতে রয়েছে ফরয, দÐবিধি, বিধি-নিষেধ ও শিষ্টাচার ইত্যাদির বর্ণনা।
6
إِنَّ نَاشِئَةَ ٱلَّيْلِ هِىَ أَشَدُّ وَطْـًٔا وَأَقْوَمُ قِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
নিশ্চয়ই রাতে জাগরণ ইবাদাতের জন্য গভীর মনোনিবেশ, হৃদয়ঙ্গম এবং স্পষ্ট উচ্চারণে অনুকূল।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৬. অবশ্যই রাতের সময়গুলো তিলাওয়াতের সাথে মনের আসক্তি এবং কথার সঠিকতার জন্য উপযুক্ত।
7
إِنَّ لَكَ فِى ٱلنَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
দিনে তোমার জন্য রয়েছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৭. দিনের বেলায় আপনার নিজ আমলে ব্রতী হওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। ফলে আপনি কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকেন। তাই আপনি রাতে নামায পড়ুন।
8
وَٱذْكُرِ ٱسْمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
সুতরাং তুমি তোমার রবের নাম স্মরণ কর এবং একনিষ্ঠভাবে তাতে মগ্ন হও।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৮. আর আপনি আল্লাহর বিভিন্ন প্রকার যিকিরে নিমগ্ন থাকুন এবং ইবাদাতকে খাঁটি করে তাঁর প্রতি মনোনিবেশ করুন।
9
رَّبُّ ٱلْمَشْرِقِ وَٱلْمَغْرِبِ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ فَٱتَّخِذْهُ وَكِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের রাব্ব, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই; অতএব তাঁকেই কর্ম-বিধায়ক রূপে গ্রহণ কর।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৯. তিনি পূর্বাচল ও পশ্চিমের রব। তিনি ব্যতীত সত্যিকার কোন মাবূদ নেই। তাই আপনি তাঁকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করুন। যাঁর উপর আপনি নিজ প্রতিটি কাজে ভরসা করবেন।
10
وَٱصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَٱهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
লোকে যা বলে, তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সৌজন্য সহকারে উহাদেরকে পরিহার করে চল।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১০. আপনাকে নিয়ে মিথ্যারোপকারীরা যত কট‚ক্তি ও গালমন্দ করুক না কেন আপনি এর উপর ধৈর্য ধারণ করুন। আর তাদেরকে এমনভাবে পরিহার করুন যাতে আর কোন কষ্ট অবশিষ্ট থাকে না।
11
وَذَرْنِى وَٱلْمُكَذِّبِينَ أُو۟لِى ٱلنَّعْمَةِ وَمَهِّلْهُمْ قَلِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
ছেড়ে দাও আমাকে এবং বিলাস সামগ্রীর অধিকারী সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে; আর কিছু কালের জন্য তাদেরকে অবকাশ দাও।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১১. দুনিয়ার স্বাদ উপভোগে মত্ত মিথ্যারোপকারীদেরকে নিয়ে আপনি চিন্তা করবেন না। তাদের দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দিন। তাদের মৃত্যু আসা পর্যন্ত আপনি একটু অপেক্ষা করুন।
12
إِنَّ لَدَيْنَآ أَنكَالًا وَجَحِيمًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমার নিকট আছে শৃংখল প্রজ্জ্বলিত আগুন।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১২. অবশ্যই আমার নিকট পরকালে রয়েছে ভারি শৃঙ্খল ও প্রজ্বলিত আগুন।
13
وَطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَعَذَابًا أَلِيمًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর আছে এমন খাদ্য যা গলায় আটকে যায় এবং মর্মন্তদ শাস্তি।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৩. উপরন্তু এমন খাদ্য রয়েছে যার প্রচÐ তিক্ততার দরুন ঢোক গিলা যায় না। তদুপরি রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি।
14
يَوْمَ تَرْجُفُ ٱلْأَرْضُ وَٱلْجِبَالُ وَكَانَتِ ٱلْجِبَالُ كَثِيبًا مَّهِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
সেই দিনে পৃথিবী ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পর্বতসমূহ বহমান বালুকারাশিতে পরিণত হবে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৪. এ শাস্তি মিথ্যারাপকারীদের উপর সে দিন সংঘটিত হবে যেদিন যমীন ও পাহাড়সমূহ আন্দোলিত হবে এবং প্রচÐ বিভীষিকাময় অবস্থার দরুন পাহাড়সমূহ চলমান উড়ন্ত বালিকণায় পরিণত হবে।
15
إِنَّآ أَرْسَلْنَآ إِلَيْكُمْ رَسُولًا شَـٰهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَآ أَرْسَلْنَآ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ رَسُولًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমি তোমাদের নিকট পাঠিয়েছি রাসূল তোমাদের জন্য স্বাক্ষী স্বরূপ, যেমন রাসূল পাঠিয়েছিলাম ফিরআউনের নিকট।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৫. আমি তোমাদের নিকট এমন এক রাসূল প্রেরণ করেছি যিনি কিয়ামত দিবসে তোমাদের আমলের উপর সাক্ষী হবেন। যেমনটি আমি ফিরআউনের নিকট মূসা (আলাইহিস-সালাম)কে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেছি।
16
فَعَصَىٰ فِرْعَوْنُ ٱلرَّسُولَ فَأَخَذْنَـٰهُ أَخْذًا وَبِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
কিন্তু ফির‘আউন সেই রাসূলকে অমান্য করেছিল, ফলে আমি তাকে কঠিন শাস্তি দিয়েছিলাম।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৬. ফিরআউন তখন তার প্রতি তার রবের পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসূলের অবাধ্য হলো। ফলে আমি তাকে দুনিয়াতে ডুবিয়ে শাস্তি দেই। আর পরকালে তাকে কঠিন শাস্তি দেবো আগুন দিয়ে। তাই তোমরা নিজেদের রাসূলের অবাধ্য হয়ো না। ফলে তোমাদেরকেও তা পাবে যা তাকে পেয়েছে।
17
فَكَيْفَ تَتَّقُونَ إِن كَفَرْتُمْ يَوْمًا يَجْعَلُ ٱلْوِلْدَٰنَ شِيبًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অতএব যদি তোমরা কুফরী কর, কি করে আত্মরক্ষা করবে সেদিন যেদিন শিশুদেরকে পরিণত করবে বৃদ্ধে?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৭. তাই তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরী ও তাঁর রাসূলের প্রতি মিথ্যারোপ করে থাকলে এক দীর্ঘ ও কঠিন দিবসে কীভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করবে। যে দিনের ভয়াবহতা ও দীর্ঘতার দরুন শিশুদের চুল সাদা হয়ে যাবে।
18
ٱلسَّمَآءُ مُنفَطِرٌۢ بِهِۦ ۚ كَانَ وَعْدُهُۥ مَفْعُولًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যেদিন আকাশ হবে বিদীর্ণ; তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৮. আসমান এর ভয়াবহতার দরুন ফেটে পড়বে। বস্তুতঃ আল্লাহর অঙ্গীকার অবশ্যম্ভাবীরূপে সংঘটিত হবে।
19
إِنَّ هَـٰذِهِۦ تَذْكِرَةٌ ۖ فَمَن شَآءَ ٱتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ سَبِيلًا
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
ইহা এক উপদেশ, অতএব যার অভিরুচি সে তার রবের পথ অবলম্বন করুক!
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৯. এ উপদেশ যা কিয়ামত দিবসের বিভীষিকাময় ও কঠিন অবস্থার বর্ণনা সম্বলিত তা এমন এক উপদেশ যা থেকে মুমিনরা উপকৃত হয়। সুতরাং যে স্বীয় রবের সান্নিধ্যে পৌঁছার পথ ধরতে চায় সে যেন তা অবলম্বন করে।
20
۞ إِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُومُ أَدْنَىٰ مِن ثُلُثَىِ ٱلَّيْلِ وَنِصْفَهُۥ وَثُلُثَهُۥ وَطَآئِفَةٌ مِّنَ ٱلَّذِينَ مَعَكَ ۚ وَٱللَّهُ يُقَدِّرُ ٱلَّيْلَ وَٱلنَّهَارَ ۚ عَلِمَ أَن لَّن تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ ۖ فَٱقْرَءُوا۟ مَا تَيَسَّرَ مِنَ ٱلْقُرْءَانِ ۚ عَلِمَ أَن سَيَكُونُ مِنكُم مَّرْضَىٰ ۙ وَءَاخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِى ٱلْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِن فَضْلِ ٱللَّهِ ۙ وَءَاخَرُونَ يُقَـٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ۖ فَٱقْرَءُوا۟ مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ ۚ وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَقْرِضُوا۟ ٱللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا ۚ وَمَا تُقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ ٱللَّهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا ۚ وَٱسْتَغْفِرُوا۟ ٱللَّهَ ۖ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌۢ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তোমার রাব্বতো জানেন যে, তুমি জাগরণ কর কখনও রাতের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও এক-তৃতীয়াংশ এবং জাগে তোমার সংগে যারা আছে তাদের একটি দলও এবং আল্লাহই নির্ধারণ করেন দিন ও রাতের পরিমাণ। তিনি জানেন যে, তোমরা এর সঠিক হিসাব রাখতে পারনা, অতএব আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরবশ হয়েছেন। অতএব কুরআনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্য সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর; আল্লাহ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেহ কেহ অসুস্থ হয়ে পড়বে, কেহ কেহ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশ ভ্রমণ করবে এবং কেহ কেহ আল্লাহর পথে সংগ্রামে লিপ্ত হবে। অতএব কুরআন হতে যতটুকু সহজসাধ্য আবৃত্তি কর। সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহকে দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমাদের আত্মার মঙ্গলের জন্য ভাল যা কিছু অগ্রিম প্রেরণ করবে তোমরা তা পাবে আল্লাহর নিকট। উহা উৎকৃষ্টতর এবং পুরস্কার হিসাবে মহত্তর। আর তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর আল্লাহর নিকট। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২০. হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক জানেন যে, আপনি কখনো রাতের দু’ তৃতীয়াংশ অপেক্ষা কিছু কম সময় নামায পড়েন। আর কখনো অর্ধেক সময় নামায পড়েন। আবার কখনো এক তৃতীয়াংশ। আর আপনার সাথে মুমিনদের এক দল থাকে। বস্তুতঃ আল্লাহ রাত-দিন নির্ধারণ করেন এবং তিনি উভয়ের সময় নিরূপণ করেন। তিনি জানেন যে, তোমরা এর সময় নিরূপণ ও আয়ত্ত করতে অপারগ। ফলে উদ্দেশ্য সফল করতে এর অধিক পরিমাণ জেগে ইবাদাত করা তোমাদের পক্ষে কঠিন। তাই তিনি তোমাদের তাওবা কবুল করেছেন। অতএব, তোমরা রাতে যে পরিমাণ সম্ভব নামায পড়ো। হে মুমিনগণ! আল্লাহ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ; যাকে অসুখ অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আবার অপর দল মুসাফির যারা আল্লাহ প্রদত্ত জীবিকা অন্বেষণ করে। আর অপর দল কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষায় এবং তাঁর কালিমাকে সমুন্নত করার আশায়। এদের জন্য রাতের ইবাদাত কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই তোমরা সাধ্যমতো রাতের নামায পড়ো এবং পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ফরয নামায আদায় করো। আর তোমাদের সম্পদের যাকাত দাও এবং নিজেদের সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করো। বস্তুতঃ তোমরা কল্যাণমূলক যা কিছু আল্লাহর পথে ব্যয় করো তা তাঁর নিকট অপেক্ষাকৃত উত্তম ও বড় প্রতিদান হিসাবে পাবে। আর তোমরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যারা তাঁর নিকট তাওবা করে তাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও তাদের সাথে দয়াপরবশ।