করার জন্যে দাওয়াত দেন এবং বলেন, “হে আল্লাহ্ ! আপনি তার উপর সাক্ষী থাকুন ৷” তারপর
আবু আমির (রা) তাকে হত্যা করেন ৷ এরপর দ্বিতীয় আর একজন তাকে আক্রমণ করে ৷ ফলে
আবু আমির (রা) তাকে ইসলামের দিকে আহ্বান করে বলেন, “হে আল্লাহ ! আপনি সাক্ষী
থাকুন ৷“ তারপর প্রতি-আক্রমণ করে আবু আমির (রা) তাকে হত্যা করেন ৷ এরপর তারা
প্রতেব্রকেই একে একে আবু আমির (রা)-এর উপর হামলা করতে থাকে ৷ আর প্রতেকে বারেই
তিনি অনুরুপ দাওয়াত দিয়ে ও আল্পাহ্কে সাক্ষী রেখে প্ৰতি-হামলা করে হত্যা করতে থাকেন ৷
এভাবে তাদের নয়জন নিহত হয়ে যায় ৷ বাকী থাকে দশম ব্যক্তি এবার সেও আবু আমির (রা)
-এর উপর হামলা করে বসে ৷ ফলে তিনিও তার উপর হামলা করেন ৷ তিনি তাকে প্রথমে
ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দেন এবং বলেন “হে আল্লাহ ! আপনি সাক্ষী থাকুন ৷” তখন
আক্রমণকারী দশম লোকটি বললােষ্ হে আল্লাহ্ ! আপনি আমার উপরে সাক্ষী থাকবেন না ৷ এ
কথা শুনে আবু আমির (রা) তাকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকেন ৷ ফলে সে প্রাণে রক্ষা পায় ৷
পরে সে ইসলাম গ্রহণ করে এবং অতি নিষ্ঠার সাথে ইসলামের আনুগত্য করে ৷ নবী করীম (সা)
যখনই তাকে দেখতেন তখনই বলাতন, এ হচ্ছে আবু আমিরকে ফীকি দেওয়া পলাতক ব্যক্তি ৷
বর্ণনাকারী বলেন, অল্পক্ষণ পর বনু জুশাম ইবন মুআবিয়া গোত্রের হারিছের দুই পুত্র আলা ও
আওফা (দুই ভাই) একযোগে আবু আমির (রা)-এর প্রতি তীর নিক্ষেপ করে ৷ একটি তীর তার
হৃৎপিণ্ডে লাগে এবং অপরটি তার হীটুতে বিদ্ধ হয় ৷ এভাবে তারা দৃজনে মিলে তড়াকে শহীদ
করে ৷ এ সময় লোকজন আবু মুসা আশআরীকে তার স্থানে আমীররুপে গ্রহণ করে ৷ তিনি
আক্রমণকারী ভ্রাতৃদ্বয়ের উপর পালটা আক্রমণ চালিয়ে তাদের দৃজনকেই হত্যা করেন ৷ বনু
জুশাম গোত্রের এক ব্যক্তি উক্ত ভ্রাতৃদ্বয়ের মৃত্যুতে নিম্নরুপ মর্সিয়া রচনা করেন :
“আনা ও আওফার হত্যাকাণ্ড একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা ৷ তারা এক সাথেই মারা গেল,
অথচ কোন আশ্রয়ই তাদের ছিল না ৷
তারা দৃ’জনেই আবুআমিরের হভ্যাকারী ৷ আর আবু আমির ছিল এক ভয়ংকর ব্যক্তি ৷
তারা দুজনে তাকে যুদ্ধক্ষেত্রে এমন অবস্থায় পরিত্যাগ করে, যেন তার পার্শে রয়েছে
মসজিদ ৷
মানব সমাজে তাদের দু’ভাইয়ের ন্যায় লোক কোথাও দেখা যায়না ৷ প্রতিযোগিতায় তারা
কমই হেড়াচট খায় ৷ আর তীর নিক্ষেপে তারা খুবই সিদ্ধহস্ত ৷”
ইমাম বুখারী মুহাম্মাদ ইবন আলা আবু মুসা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, হুনায়ন যুদ্ধ শেষ করার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু আমির (রা)-এর নেতৃত্বে একটি সৈন্য
দল আওতাস গোত্রের দিকে পাঠান ৷ দৃরায়দ ইবন সিমমার সাথে তার মুকাবিলা হয় ৷ লড়াইয়ে
দুম্মায়দ নিহত হয় এবং তার বাহিনী আল্লাহ্ তাআলার ইচ্ছার পরাজিত হয় ৷ আবু মুসা (বা) বলেন,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) আবু আমির (ৱা)-এর সাথে আমাকেও প্রেরণ করেন ৷ এ মুকাবিলায় আবু আমির
(রা) এর হীটুতে একটি তীর বিক্ষিপ্ত হয় ৷ জুশাম গোত্রের এক লোক তীর নিক্ষেপ করে তার হীর্টু
তীরবিদ্ধ করে ৷ আমি তখন তার কাছে গিয়ে বললাম, “চাচা ! কে আপনাকে তীর যেরেছে ?”
তিনি আবুমুসাকে ইংগিতে জানালেন, ঐ যে লোকটি সে আমার হত্যাকারী এবং সেই আমাকে
তীর মেরেছে ৷ আমি তার উদ্দেশ্যে এগিয়ে গেলাম এবং তার কাছে গিয়ে পৌছলাম ৷ সে
আমাকে দেখা মাত্রই পালাতে শুরু বরোলা ৷ আমিও তার পশ্চড়াদ্ধাবন করলাম এবং বললাম, “কি
হে, লজ্জা করে না ? র্দাড়াও না কেন ? এ কথা শুনে সে থেমে গেল ৷ তখন আমরা দৃজনে
পরম্পরকে তলোয়ার দ্বারা আঘাত করি ৷ অবশেষে আমি তাকে হত্যা করে ফেলি ৷ এরপর আমি
এগিয়ে নিয়ে আবু আমির (রা)-কে বললাম, “আল্লাহ আপনার ঘাতককে হত্যা করেছেন ৷ আবু
আমির (বা) বললেন, “এখন তুমি আমার হীটু থেকে এ তীর বের করে দাও ৷” আমি তীরটি
টেনে বের করে দিলাম ৷ তখন ক্ষত স্থান থেকে কিছু পানি বেরিয়ে আসলো ৷ আবু আমির (বা)
তখন বললেন, ভাতিজা ! তুমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমার সালাম পৌছিয়ে দিও এবং আমার
মাগফিরাতের জন্যে দুআ করতে বলবে ৷ এ কথা বলে আবু আমির (রা) আমাকে দলের নেতা
নিযুক্ত করেন ৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ইনতিকাল করেন ৷ আমি অভিযান থেকে ফিরে এসে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর বাড়িতে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করি ৷ দেখতে পাই, তিনি পাকান রশি দিয়ে
তৈরি একটি খাটিয়ার উপর বিছানায় শুয়ে আছেন ৷ খাটিয়ার রশি তীর পিঠে ও পার্শ্বদেশে স্পষ্ট
দেখা যাচ্ছে ৷ আমি তীকে আমাদের অবস্থা ও আবু আমির (রা)-এর ঘটনা জানালাম এবং তার
জন্যে মাগফিরাতের দৃআর আবেদন করার কথাও জানালাম ৷ তখন তিনি একটু পানি আনতে
বললেন ৷ এরপর উয়ু করে দৃহাত তুলে বললেনঃ “হে আল্লাহ্! তোমার প্রিয় বান্দা আবুআমিরকে
ক্ষমা করে দাও ৷ দুআ করার সময় তিনি হাত এতদুর উপরে উঠান যে, আমি তার বগলদ্বয়ের
সাদা অংশ দেখতে পাই ৷ তিনি আরও বললেন, “হে আল্লাহ্ ! কিয়ামতের দিন তোমার অনেক
বন্দোর উপর তাকে মর্যাদা দিও ৷ অথবা বলেছেন, “তোমার অনেক সৃষ্টির উপর তাকে সম্মান
দিও ৷” তখন আমি বললাম, “আমার জন্যেও একটু মাগফিরাতের দৃআ করুন ৷ ” তিনি বললেন,
হে আল্লাহ্ ! আবদুল্লাহ ইবন কায়সের গুনাহ্গুলোও মাফ করে দিও এবং কিয়ামতের দিন তাকে
সম্মানজনক স্থানে প্রবেশের সুযোগ দিও ৷ আবু বুরদা (রা) বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর একটি
দৃআ ছিল আবু আমির (রা)-এর জন্যে ৷ আর একটি ছিল আবু মুসা (রা)-এর জন্যে ৷
ইমাম মুসলিম এ ঘটনা আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবন আলা ও আবদুল্লাহ্ ইবন অড়াবী বারাদের
সুত্রে আবুউসামা থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আবদুর রাঘৃযাকের সুত্রে
আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : আওতাস যুদ্ধে অনেক নারী বন্দী
হিসেবে আমাদের হস্তগত হয় ৷ এ সব নারীর স্বামীরা জীবিত ছিল ৷ তাই স্বামী থাকার কারণে
তাদের সাথে মিলিত হতে আমাদের মনে খটকা লাগে ৷ তখন এ বিষয়ে পরিষ্কার জানার জন্যে
আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞেস করি ৷ এ পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় :
“এবং নারীর মধ্যে ণ্তামাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্যে
নিষিদ্ধ (৪ নিসা : ২৪) ৷
আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন, এ আয়াতের কারণে আমরা তাদের সাথে মিলিত হওয়া বৈধ
মনে করি ৷ তিরমিযী এবং নাসাঈও এ হাদীছ উছমান বাত্তী থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ মুসলিম তার
সহীহ গ্রন্থে শুব৷ আবু সাঈদ খুদরী (রা) সুত্রে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ,
মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ এ হাদীছ সাঈদ ইবন আবুআরুবা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়া
মুসলিম, শু’বা ও তিরমিযী হুমাম আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন :
আওতাস যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণ অনেক বন্দী দাসী প্রা হন ৷ এসব দাসীর মুশরিক
স্বামী বর্তমান ছিল ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর কিছু সংখ্যক সাহাবী এ সব দাসীদের ভোগৃ সস্তোগ
থেকে বিরত থাকেন এবং এ কাজকে তারা পাপ মনে করেন ৷ তখন এ প্রসংগে নিম্নোক্ত আয়াত
নাযিল হয় :
“এবং নারীর মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দামী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্যে
নিষিদ্ধ (৪ নিসা : ২৪) ৷
হাদীছের উপরোক্ত বর্ণনাটি আহমদ ইবন হাম্বলের পাঠ থেকে গৃহীত ৷ বর্ণিত হাদীছের এ
সুত্রে আলকামা হাশিমীর নামটি তিনি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি একজন নির্ভরযোগ্য (ছিকা)
রাবী এবং হাদীছটি মাহফুয শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ৷
উপরোক্ত আয়াত থেকে দলীল গ্রহণ করে প্রাথমিক যুগের একদল আলিম বলেন যে, দাসী
বিক্রী করলে তালাক হয়ে যায় ৷ ইবন মাসউদ, উবাই ইবন কা’ব, জাবির ইবন আবদুল্লাহ্, ইবন
আব্বাস (বা) , সাঈদ ইবন মুসায়িাব ও হাসান বসরী (র) থেকে এরুপ মত বর্ণিত হয়েছে ৷ কিন্তু
অধিকাৎশ আলিম এ মতের বিরোধী ৷ তারা বারীরার ঘটনাকে দলীল হিসেবে পেশ করেন ৷
কেননা, বারীরাকে বিক্রী করে দেওয়ার পর তার বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে তাকে
ইখতিয়ার দেওয়া হয় ইচ্ছে করলে সে তার বিবাহ রেখে দিতে পারে অথবা ইচ্ছে করলে
ভেৎগে দিতে পারে ৷ যদি কেবল বিক্রী করার দ্বারইি তালাক হয়ে যেত , তা হলে তাকে এখতিয়ার
দেওয়া হতো না ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমি তাফসীর গ্রন্থে করেছি ৷ অবশ্য আহকামুল
কাবীর” অধ্যায়ে আমি এ সম্পর্কে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্ ৷ এ ছাড়া আওতাস যুদ্ধের
বন্দী দাসীদের ঘটনা থেকে দলীল গ্রহণ পুর্বক প্রাথমিক যুগের আলিমদের একটি দল এ মত
পোষণ করেন যে, ঘুশরিক বীদীর সাথে মিলন-ক্রিয়া বৈধ ৷ কিন্তু জমহুর উলামা এ মতের
বিরোধী ৷ তারা বলেন, এ ঘটনা একটি ব্যতিক্রমী বিষয় ৷ হতে পারে তারা হয়তো বা ইসলাম
গ্রহণ করেছিল ; কিৎবা তারা ছিল আহলে কিতাব ৷ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার স্থান
“আহকামুল কাবীর অধ্যায় ৷
হুনায়ন ও আওতাস যুদ্ধে যারা শহীদ হন
১ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুক্তদাস আয়মান ইবন উবায়দ ৷ যিনি আয়মান ইবন উষ্মে আয়মান
নামে খ্যাত ৷
২ যায়দ ইবন যামআ ইবন আসওয়াদ ইবন মুত্তালিব ইবন আসাদ ৷ তার জানাহ্ নামক ঘোড়া
তাকে পিঠ থেকে ফেলে দিলে তিনি ইনতিকাল করেন ৷
৩ বনুআজ্যান গোত্রের সুরাকা ইবন মালিক ইবন হারিছ ইবন আদী আনসারী ৷
৪ আবু আমির আশআরী ৷ ইনি ছিলেন আওতাস যুদ্ধের সেনাপতি ৷
এ চারত্তনেই উক্ত যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন ৷
হুনায়ন যুদ্ধ সম্পর্কে রচিত কবিতা
এ প্রসংগে বুজায়র ইবন যুহায়র ইবন আবু সুলামী বলেন :
মর্মার্থ : “যদি আল্লাহ্ ও তার বন্দোহ না থাকতো তা হলে তোমরা অবশ্যই পালিয়ে যেতে,
যখন ভীতি সকল কাপুরুষকে দুর্বল করে দিয়েজ্জি ৷
উপত্যকার মােড়ে আমাদ্যে৷ সমকক্ষ দল যখন আমাদের মুকাৰিলা করে ৷ তখন ক্ষীপ্রপতি
সম্পন্ন ণ্ঘাড়াগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছিল ৷
তখন কেউ কেউ দৌড়ে যাচ্ছিল কাপড় হাতে নিয়ে ৷ আর ঘোড়াগুলো খুর ও বুক উল্টিয়ে
পড়ে গড়াগড়ি খাফ্লি ৷
আল্লাহ্ আমাদেরকে মর্যাদার ভুষিত করলেন, আমাদের দীনাক বিজয়ী করলেন এবং
রাহমানের আনুগত্য করার তিনি আমাদেরকে সম্মান দান করলেন ৷
আর আল্লাহ্ ওদেরকে ধ্বংস করে দিলেন, তাদের দলকে ছিন্নভিন্ন করে দিলেন এবং
শয়তানের গোলামী করার কারণে তাদেরকে লাঞ্ছিত করলেন ৷
ইবন হিশাম বলেন : কোন কোন বর্ণনাকারী এ কবিতার সাথে আরও কিছু উল্লেখ করেন
যথা :
“যখন ণ্তামাদের নবীর চাচা ও তার অভিভাবক দাড়িয়ে আহ্বান করে বললেন, হে ঈমানের
সৈন্যদল ৷ কোথায় সে সব লোক ! যারা তাদের প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দিয়েছিল করে প্রাভার
ও বয়েআতুর রিযওয়ানে”?
হুনায়নের যুদ্ধ প্রসংপে আব্বাস ইবন মিরদাস সুলামীর কবিতা :
“যুদ্ধের দিনের তেজি ঘোড়ার কসম এবং রাসুল (সা) কিতাব থেকে যা পাঠ করেন তার
কসম ! নিশ্চয়ই আমি
আনন্দ পেয়েছি ৷ গতকাল গিরিপথ প্রান্তে ছাকীফ গোত্র যে শাস্তি ভোগ করেছে তা দেখে ৷
নজদবাসীদের মধ্যে তারাই মুল শত্রু ৷ তাই তাদের নিধন হওয়া মদ পান করার চইিতেও
অধিক সুস্বাদু ৷
আমরা বনু কড়াসিয়োর সৈন্য দলকে পরাজিত করেছি এবং বনু রিয়াবের উপরেও তার চাপ
পড়েছে ৷
আওতাস যুদ্ধ থেকে পরিত্যক্ত হিলাল গোত্রের একটি মহল্লা মাটির ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় ৷
তাদের নারী সমাজ যদি বনু কিলাবের সৈন্যদের দেখতো এবং উড়ন্ত ধুলােবালি লক্ষ্য
করতো, তবে তারা অবশ্যই উঠে যেতো ৷
বাস হতে আওরাল পর্যন্ত সমগ্র এলাকায় তাদের মাঝে আমরা অশ্ব হীকিয়েছি এবং
গনীমতের মাল কুড়িয়েছি ৷
সর্বদা গােরগােলে মুখরিত এ এলাকায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার বাহিনী নিয়ে তাদেরকে আঘাত
হানাত এগিয়ে যান ৷
আব্বাস ইবন মিরদাস কবিতায় আরও বলেন :