Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » যাতুর রিকা’ অভিযান

যাতুর রিকা’ অভিযান

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • তখন সালাতুল খাওফের বিধান থাকলে তারা খন্দকের যুদ্ধের দিন নামায বিলম্বিত না করে

    সালাতুল খাওফের নিয়মে নামায আদায় করতেন ৷ এ জন্যে কতক যুদ্ধ বিষয়ক ইতিহাসবিদ
    বলেছেন যে, বনু লিহয়া ন যুদ্ধ , যে যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উছফান অঞ্চলে য়কালীনভ নামায আদায়
    করেছেন ওই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বনু কুরায়যা যুদ্ধের পর ৷

    ওয়াকিদী আপন সনদে খালিদ ইবন ওয়ালীদ থেকে বর্ণনা করাে,ছ:ন , তিনি বলেছেন যে,
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুদায়বিয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন যে যাত্রায় ওই মাত্রায় উছফান অঞ্চলে আমি
    তার মুখোমুখি হই ৷ এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিই ৷ তিনি আমদ্দর মুখোমুখি হয়ে
    সাহাবীদেরকে নিয়ে যুহরের নামায আদায় করেন ৷ পরের নামাযে আমরা র্ভপ্জাণ্র উপর হামলা করার
    সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৷ কিন্তু আমার সিদ্ধ৷ ৷ম্ভ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা তাকে অবহিত করে দেন ৷
    ফলেত তিনি তার সাহাবীদেরকে নিয়ে আসরের নামায আদায় করেন সালাতুল খাওফ এর বিধান
    অনৃয৷ ৷য়ী ৷

    আমি বলি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর৷ আদায়ের নিয়ব্রুতে হুদায়বিয়৷ পৌছেছিলেন যার সুত্রে
    হুদায়বিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা ছিল ৬ষ্ঠ হিজরীর যিলকদ মাসে খন্দকের যুদ্ধ ও বনু
    কুরায়যার যুদ্ধের পর, এর বিস্তারিত বিবরণ পরে আসবে ৷ অন্যদিকে আবুআইয়াশ যুরাকীর বর্ণনা
    থেকে বুঝা যায় যে, ভয়কালীন নামায সম্পর্কিত আয়াতগুলো নাযিল হয়েছে বনু লিহয়ান
    অভিযানে উছফান যুদ্ধের দিবসে ৷ এবং এদিনের ভয়কালীন নামায-ই ইতিহাসের প্রথম
    ভয়কালীন নামায ৷ আল্লাহ্ইভ ৩াল জানেন ৷ সালাতুল খাওফ এর নিয়ম কানুন ও এত তদসম্পর্কিত
    বিভিন্ন বর্ণনা আমরা ইন্শা আল্লাহ “কিতাবুল আহকামুল কাবীর” গ্রন্থে উল্লেখ করব ৷ সকল
    নির্ডরত৷ আল্লাহর উপর ৷

    যাতুর বিকা অভিযান

    ইবন ইসহাক বলেন, বনু নাযীর যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রবিউল আউয়াল, রবিউছ ছানী
    এবং জুমাদাল উলা মাসের কয়েক দিন মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর নজদ অঞ্চলের দিকে
    যাত্রা করেন ৷ পাতফান গোত্রের বনু মুহাবির ও বনু ছালাব৷ উপগাে ৷ত্রদ্বয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
    জন্যেই তিনি এ অভিযানে বের হয়েছিলেন ৷ এ সময়ে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান হযরত
    আবু যারর পিফ৷ রী (রা) কে ৷ ইবন হিশাম বলেন, কারো কারো মতে, তখন উছমান ইবন
    আফ্ফান (রা)-কে ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে পথ চলতে চলতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক খেজুর
    বাগানে এসে শিবির স্থাপন করেন ৷ এই যুদ্ধ যাতুর বিকা নামে পরিচিত ৷ এই নামের যৌক্তিকতা
    সম্বন্ধে ইবন হিশাম “বলেন, মুজাহিদগণ টুকরো টুকরো কা ৷পড় জোড়া দিয়ে তাদের পতাকা ৷তৈরী
    করেছিলেন বলে ওই যুদ্ধ যাতুর “বিকা জোড়াত তালি বিশিষ্ট যুদ্ধ” নামে প্রসিদ্ধ ৷ কেউ কেউ
    বলেন, ওখানে যাতুর বিকা ৷নামে একটি গাছ ছিল বলে সেটি যাতুর বিকা ৷যুদ্ধ নামে পরিচিত
    হয়েছে ৷ ওয়াকিদী বলেন, ওখানে একটি পাহাড় ছিল ৷ সেটির কিছু অংশ ছিল লাল কিছু অংশ কাল
    এবং কিছু অংশ ছিল সাদা ৷ বিভিন্ন রংয়ের সমন্বিত রুপ ছিল বলে পাহাড়টির নাম ছিল যাতুর

    রিকা ৷ হযরত আবু মুসা আশআরী (রা)-এর হাদীছে আছে যে, ওই অভিযানে প্রচণ্ড তাপ ও
    গরমের কারণে মুজাহিদগণ পায়ে কাপড়ের টুকরা ও পট্টি বেধেছিলেন বলে ওই যুদ্ধকে যাতুর
    রিকা বলা হয় ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম বাহিনী ওই স্থানে গিয়ে গাতফান গোত্রীয় শত্রুদের মুখোমুখি
    হয় ৷ পরস্পর একে অন্যের উপর আক্রমণ করার উপক্রম হয় ৷ তবে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ সংঘটিত
    হয়নি ৷ উভয় পক্ষ একে অন্যকে ভয় পেয়েছিল ৷ ওখানে রাসৃভুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীগণকে নিয়ে
    সালাতুল খাওফ আদায় করেন ৷
    ইবন হিশাম (র) সালাতুল খাওফ এর হাদীছটি আবদুল ওয়ারিছ জাবির (না) থেকে
    এবং আবদুল ওয়ারিছ ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এই হাদীছে নজদের
    যুদ্ধ কিৎব৷ যাতুর রিকা যুদ্ধ কােনটাই উল্লেখ করেননি ৷ তেমনি এই ঘটনার সময়-স্থান কিছুই
    উল্লেখ করেননি ৷ অবশ্য গাতফান গোত্রের বনুমুহারিব ও ন্ধ্রনু ছালাবাকে শায়েস্তা করার জনেবু
    পরিচালিত যাতুর রিকা যুদ্ধ যদি খন্দকের যুদ্ধের পুর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলা হয় তবে তা প্ৰশ্নাতীত
    নয় ৷ বুখারী বলেছেন যে, যাতুর বিকা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে থায়বার যুদ্ধের পর ৷ তিনি এভাবে
    দলীল পেশ করেছেন যে, হযরত আবুমুসা আশআরী (বা) ওই ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন ৷ অথচ
    আবু মুসা আশআরী (বা) হযরত জাফর ও অন্যান্যদের সাথে মদীনায় এসে উপস্থিত হন খায়বার
    যুদ্ধের সময়ে ৷ অনুরুপ একটি দলীল হল হযরত আবু হুরায়র৷ (রা)-এর হাদীছ ৷ তিনি বলেছেন
    নজদ অঞ্চলে আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে সালাতুল খাওফ আদায় করেছি৷ এছাড়া যাতুর
    বিক৷ যুদ্ধ যে খন্দক যুদ্ধের পরে হয়েছে৩ তার একটি দলীল হযরত ইবন উমার ও এর হাদীছ ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে যুদ্ধ করার প্রথম অনুমতি দেন খায়বারের যুদ্ধে ৷ ইবন উমার (বা) থেকে
    বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত আছে তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথী হয়ে নজ্বদের যুদ্ধে
    ৎশ নিয়েছি ৷ এ প্রসংগে তিনি সালাতু ল খাওফের ঘটনা বর্ণনা ৷করেন ৷ ওয়াকিদী বলেছেন,
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৪০০ কিহুব৷ ৭০০ মুজাহিদ নিয়ে ৫ম হিজরীর মুহাররম মাসের ১০ তারিখ
    শনিবার রাতে যাতুর বিকা এ-র উদ্দেশ্যে৷ যা ত্রা করেছিলেন৩ ৷ত ৷র এই বক্তব্য আলোচনা সাপেক্ষ ৷
    সালাতুল খাওফ খন্দকের যুদ্ধের পর বিধিবদ্ধ হয়েছে শুধু এটুকু বলে উপরোক্ত সমস্যা থেকে
    মুক্তি পাওয়া যাবে না ৷ কারণ, খন্দকের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রসিদ্ধ ম৩ তানুসারে ৫ম হিজরীর
    শাওয়াল মাসে ৷ কেউ বলেছেন, খন্দকের যুদ্ধ হয়েছিলেন : র্থ হিজয়ী সনে ৷ এই ব্যাখ্যানুসারে
    ইবন উমার (রা)-এর হাদীছের প্রশ্নের সমাধা হয়; কিন্তু আবু মুসা (রা) ও আবু হুরায়র৷ (রা) এর
    হাদীছ থেকে উদ্ধৃত সমস্যার সমাধান হয় না ৷

    গাওরাছ ইবন হারিছের ঘটনা

    যাতুর রিকা যুদ্ধ প্রসংগে ইবন ইসহাক বলেন, আমর ইবন উবায়দ — জাবির ইবন
    আবদুল্লাহ (বা) থেকে বর্ণিত ৷ বনু ঘুহারিব গোত্রের এক লোক তার নাম ছিল পাওরাছ ৷ সে তার
    স্বীয় সম্প্রদায় পাতফান ও মুহারিব গোত্রকে বলেছিল অ মি কি তোমাদের পক্ষ থেকে মুহাম্মাদ
    (সা) কে হত্যা করব ? ওরা বলল, ই৷ তুমি তাই করবে, তবে কীভ৷ ৷বে তুমি তা করবে ? সে
    বলল, আমি কুট কৌশলের আশ্রয় নিয়ে৩ তাকে হত্যা করব ৷ বর্ণনাকারী বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ যাতুর রিকা’ অভিযান Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.