যায়দ (রা) পতাকা ধারণ করেছে এবং শাহাদত বরণ করেছে ৷ এরপর জাফর পতাকা ধারণ
করেছে ও শাহাদত বরণ করেছে ৷ তারপর আবদৃল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা পতাকা ধারণ করেছে এবং
সেও শাহাদত বরণ করেছে ৷ তারপর আল্লাহ্র তলোয়ার সমুহ হতে একটি তলোয়ার (খালিদ
ইবন ওলীদ) পতাকা ধারণ করেছে এবং আল্লাহ্ তাআলা তার হাৰ্ত বিজয় দান করেছেন ৷ রাবী
বলেন , আর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুটো চোখ হতে অশ্রু ঝরছিল ৷ তিনি বললেন, “তারা এখন আর
আমাদের নিকট থেকে সুখ ও আনন্দ পায়না ৷ অন্য এক হাদীছে ররুল্রছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভীদের
শাহাদতের বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন ৷ সুতরাং তারা ঐসর ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত যাদের জন্যে
নিঃসন্দেহে জান্নাত রয়েছে ৷ যায়দ ইবন হারিছা (রা) ও ইবন রাওয়াহা (রা)-এৱ জন্যে হাসৃসান
ইবন ছাবিত শোকগাথা রচনা করেন যা নিম্নরুপ :
হে আমার নয়ন ! সামান্য অশ্রুতে তুমি অশ্রুসিক্ত ৷ নরম ও বিস্তীর্ণ ভুমিতে সমাহিত
কবরবাসীদেরকে তুমি স্মরণ কর ৷ মুতাকে তুমি স্মরণ কর আর যা কিছু ঐ ভুমিতে ঘটে গিয়েছে
তাও তুমি স্মরণ কর সেদিন মুসলমানগণ বিরাট এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন র্তারা সকাল ও
সন্ধ্যায় অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত ছিলেন ৷ এরপর যুদ্ধের আমীর যায়দ (রা)-কে স্মরণ কর ৷ অর্থাৎ তাদের
জন্যে অশ্রুপাত কর ৷ আমীর ছিলেন অসহায় ও কয়েদীদের জন্যে উত্তম আশ্রয়স্থুল ৷ (তার মধ্যে
ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রেম-প্রীতি ও ভালবাসা ৷) উত্তম সৃষ্টি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রেম-প্রীতি
ভালবাসাই সব কিছুর উৎস ও সারবন্তু ৷ তিনি ছিলেন সকলের সর্দার ও প্রধান ৷ সুতরাং তার
প্রেম-প্রীতি ও ভালবাসা প্রত্যেকের অম্ভরে বিরাজ করুক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বা আহমদ (সা)
তোমাদের মৃত্যুর সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে পরিবেশন করেন ৷ তাই তার তুলনা হয় না ৷ এ সংবাদে
সুখ-দুঃখ মিশ্রিত ৷ (তাকে হারিয়ে ফেলা আমার জন্যে দুঃখের বিষয় আর তার জান্নাত প্রাপ্তি
নিঃসন্দেহে একটি মহাসুখের সংবাদ ৷) নিশ্চয়ই যায়দ (বা) আমাদের সমাজে একটি বিরাট সম্মান
নিয়ে বসবাস করতেন ৷ তার এ সম্মান ও ইয্যত কোন মিথ্যাবাদী কিত্বা কোন প্রতারকের
ভেল্কিবাজী নয় ৷ এরপর আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা আনসারী খাযরাজীর জন্যে অশ্রুপাত কর, হে
আমার নয়ন ৷ কেননা, তিনি ছিলেন একজন সর্দার ও সম্মানিত ৷ তার জন্যে প্রচুর অশ্রুপাত করইি
সঙ্গত ৷ তাদের শাহাদত বরণের সংবাদ আমাদের কাছে প্রচুর কল্যাণ ও বরকত নিয়ে দ্বারপ্রাম্ভে
উপস্থিত ৷তবে আমরা আপাতত আনন্দহীন দুঃখ বেদন৷ নিয়ে কালাতিপাত করছি ৷
জা ফর ইবন আবু তালিব (রা) ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ছিলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর চাচাত ভাই ৷ বয়সে৩ তিনি তার ভাই আলী (বা) হতে দশ বছরের বড় ছিলেন ৷ তার ভাই
আকীল ছিলেন জা ফর (বা ) হতেও দশ বছরের বড় ৷ আর তার ভাই তালিব ছিলেন আ ৷কীল হতেও
দশ বছরের বড় ৷ জা ফর (বা) ইসলামের প্রথম অবস্থা য় মুসলমান হন এবং মদীনায় হিজরতের
পুবে৩ তিনি হাবশার হিজরত করেন ৷ সেখানে তার ছিল খ্যাতিপুর্ণ অবস্থান প্রশংসনীয় মান মর্যাদা
প্রশ্নের সঠিক ও গ্রহণযোগ্য উত্তর প্রদানকারী এবং৩ তিনি ছিলেন সহজ সরল পথে প্রদর্শিত ৷
হাবশার হিজরতের অধ্যায়ে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ৷ খায়বন্র বিজয়ের দিন তিনি
হাবশা থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আগমন করেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, “আমি
জানিনা আমার এই দুই খুশীর মধ্যে কোনটি বড়-জাফর (রা) এর আগমন না খায়বা র বিজয় ?”
রাসুলুল্লাহ্ (সা) দাড়িয়ে তার সাথে কােলাকুলি করেন এবং তার কপালে চুম্বন করেন ৷ কাযার
উমর৷ পালনের দিন রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বলেন, “অবয়বে ও চরিত্রে তুমি আমার ন্যায় ৷ কথিত
আছে যে, তখন তিনি অত্যন্ত খুশী হয়েছিলেন এবং খুশীর নিদর্শন হিসেবে৷ হ ৷বশায় নাজ্জাশীর ন্যায়
এক পায়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন ৷ আর তাকে যখন মুতার যুদ্ধে
প্রেরণ করা হয়, তখন নেতৃত্বে যায়দ ইবন হারিছার পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তাকে মনোনীত
করা হয় ৷ যখন তিনি শহীদ হন তখন তার শরীরে ৯৩টির আধক তলােয়ার বর্শা ও তীরের আঘাত
দেখতে পাওয়া যায় ৷ আর এগুলো সবই ছিল সামনের দিকে ৷ এগুলোর একটাও পিছনে ছিল না ৷
প্রথমত তার ডান হাত কেটে যায় ৷ তারপর বাম হাত ৷ তবু তিনি উভয় বাহুর দ্বারা কোন রকমে
পতা ৷ক৷ উচিয়ে রাখেন ৷ আর এ অবন্থায়ই তিনি শাহাদত বরণ করেন ৷ কথিত আছে যে, একজ্যা
রোমান সৈন্য তাকে তলােয়ার দিয়ে আঘাত করে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সংবাদ
পরিবেশন করেন যে, তিনি শাহাদত বরণ করেছেন ৷ আর তিনি ঐ সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত পদের
জন্যে নিঃসন্দেহে জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে ৷ হাদীসসমুহের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তার নাম
দেয়া হয়েছিল গ্রা ৷ ৷ এ;; অর্থাৎ দুই ডানাওয়ালা ৷
ইমাম বুখারী (র) ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি যখন জাফর (রা)-এর পুত্র
হে দু পাখাওয়ালার পুত্র ! তোমার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক ! কেউ কেউ এটা স্বয়ং
উমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তবে বিশুদ্ধ বর্ণনাটি হচ্ছে হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে
বর্ণনা করা হয়েছে ৷ ওলামায়ে কিরাম বলেন, আল্পাহ্ তাআলা হযরত জাফর (রা)-কে তার দুটি
াতের পরিবর্তে জান্নাতে দুটি পাখ৷ দান করেছেন ৷
হাফিয আবুঈশা তিরমিষী (র) আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আমি জা ফর (রা) কে জ ৷ন্নাতে দেখেছি সে ফেরেশ৩ ৷দের সাথে উড়ে
বেড়াচ্ছে ৷ ’ শাহাদতের সময় তার বয়স ছিল ৩৩ বছর ৷ কিতাবে ইবনুল আহীর (র )
বলেন, তার বয়স জ্জি : ১ বছর ৷ কেউ কেউ আবার অন্যরুপ বলেছেন ৷
আমি বলি, জাফর (রা)-এর বয়স আলী (রা) থেকে ১০ বছর বেশী হওয়ায় বুঝা যায় যে ,
জাফর (রা) যেদিন নিহত হন তার বয়স ছিল ৩৯ বছর ৷ কেননা, আলী (রা) যখন মুসলমান হন
তখন তার বয়স ছিল প্রসিদ্ধ মতে আট বছর ৷ এরপর তিনি মক্কায় অবস্থান করেন ১৩ বছর ৷
তারপর যখন হিজঃাত করেন তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর ৷ ৮ম হিত্তারীতে ছিল মুতার যুদ্ধ ৷
আল্লাহ্ তাআলা অধিক জ্ঞাত ৷ জায়ব্ (বা) শাহাদত বরণ করার পর তাকে তাইয়ার বলা হয় ৷
কেননা, তিনি তার স্বপয়ি পাখা দ্বারা ফেরেশতাদের সাথে ঘুরে ৷;বড়ান বলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
হাদীছে প্রকাশ ৷ তিনি ছিলেন উদারচেতা, দাতা, দয়ালু ও প্রশংসিত ৷ ফর্কীর মিসকীনদের প্রতি
তার বদান্যতার দরুন তাকে আবুল মাসাকীন বলা হত ৷
ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এরপর জাযল্ম ইবন আবু তালিব (বা) হতে উত্তম কোন পুরুষ জুতা পরিধান করেনি,
সাওয়ারীতে চড়েনি এবং কাপড় চোপড় ও পরিধান করেনি ৷ আবু হ্বায়রা (রা) সম্ভবতঃ তহ্বকে
বদানাভার কারণেই তীর এরুপ প্রশংসা করেছেন ৷ কেননা, ধর্মীয় অগাধিকারের ক্ষেত্রে এটা
সার্বজনীন স্বীবৃন্ত যে, সর্বপ্রথম ব্যক্তিত্বের অধিকারী হলেন আবু বকর সিদ্দীক (রা), তারপর উমর
(রা), তারপর উছমান (বা) এবং তারপর আলী (বা) কিত্বা হযরত আলী (রা) ও হযরত জাফব
(বা) সমপর্যায়ের ৷ অথবা আলী (রা)-ই শ্রেষ্ঠ ৷ উপরোক্ত বর্ণনার পক্ষে ইমাম বুখারী (র)এর
একটি বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ তিনি আবুহুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
লোকজন বলাবলি করতে যে, আবুহুরায়রা (বা) অনেক বেশী হাদীছ বর্ণনা করে থাকেন ৷ আমি
সর্বদা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে থাকতাম ৷ ক্ষুধায় কষ্ট পেতাম, রুটি ব্লোযপাংরর জন্যে
কোথায়ও বের হতাম না, মুল্যবান কাপড় চােপড়ও পরিধান করতাম না ৷ কোন পুরুষ কিৎবা
মহিলাও আমার খিদমত করত না ৷ ক্ষুধার কষ্ট বাধ্য করার জন্যে আমি পােট পাথর বেধে
রাখতাম ৷ উপস্থিত লােকজানর কাছে কুরআনের আয়াত পড়তাম যাতে আমার দিকে ফিরে
তাকায় ও আমাকে অন্ন দান করে ৷ মিসর্কীনদের জন্যে সব সর্বোত্তম ছিলেন জাফর ইবন আবু
তালিব (রা) ৷ তিনি আমার দিকে ফিরে তাকাতেন ও তার ঘরে যা কিছু থাকত তার থেকে
আমাকে অন্নদান করতেন, এমনকি কিছু না থাকলে ছোট খাদ্য পাত্র আমার কাছে পাঠাতেন এবং
আমি তা চোট চেটে খেতাম ৷ এটি ইমাম বুখারীর একক বর্ণনা ৷
জাফর (রা)-এর শ্যেকপাখায় হাসৃসান ইবন ছাবিত বলেন : জাফর (রা)এর আত্মাহুতির
স্থানের সম্মানের শপথ, আমি তার জন্যে ক্রন্দন করেছি ৷ তিনি সারা বিশ্বে রাসুলুস্লাহ্ ( সা)-এর
অতিপ্রিয় ৷ আমি উদ্বিগ্নভা প্রকাশ কংরছি ৷ হে জাফর ! আমার কাছে যখন তোমার মৃত্যু সংবাদ
পৌছে, তখন আমি বলেছিলাম, “যখন আঘাত বল্পার জন্যে তালায়ারকে ণ্কাষযুক্ত করা হয়েছে ও
ডীরের অনোগােনা অব্যাহত রয়েছে তখন লৌহ শিরত্রাণ পরে ও ঢাল নিয়ে ঈগল ও তার ছারার
কাছে জৱাদ্দের ভুমিকা আঞ্জাম দিতে পারবে লেকােদর মধ্যে এমন যে আছে ? ষ্কাতিমা (রা)-এর
সুযোপ্য পুত্রের পর জাফর (রা) হচ্ছেন সরল সৃষ্টির সেরা, সকল সৃষ্টির সবচেয়ে বেশী বিপদগ্রস্ত,
সামষ্টিক ও দ্বন্দু যুদ্ধে অত্যন্ত পারদর্শী, অত্যাচার উৎপীড়নের কালে অত্যন্ত ধৈর্যশীল ৷ যখন
সতোর উপর বিপর্যয় নেমে আসে তখন সত্যের প্রতি অত্যন্ত অনুগত ও অবিচল ৷ মিথ্যার কাছে
আপােষহীন, অত্যন্ত শক্তিশালী, কটুবাক্য প্রায়াগে অত্যন্ত বিরল, বদান্যতাব ক্ষেত্রে সকলের চেয়ে
অগ্রগামী, দানের দিক্ দিয়ে অধিক সিক্ত, মুহস্ফোদুর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যতীত বিশ্বের জীবিতদের
মধ্য হতে কেউ তার সমতুল্য নেই ৷
আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) ইবন সালাবাহ ইবন ইমরুল কারন ইবন আমর ইবন ইমরুল
কায়স ইবন মালিক ইবন আল-আপার, ইবন সালাবা ইবন কাব ইবন খাঘৃরাজ ইবন হারিছ ইবন
খায্রাজ আবুযুহাম্মাদ ৷ কেউ কেউ বলেন, আবু রাওয়াহা ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আবুআমর
আল-আনৃসারী আন-খায্রাব্জী ৷ তিনি নুমান ইবন বাশীরের মামা ৷ তার বোন আমরা বিনত
রাওয়াহা (রা) ৷ তিনি ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমান হন এবং আকবোর শপথে উপস্থিত ছিলেন ৷
ঐ রাতে তিনি হারিছ ইবন খাবৃরাজ গোত্রের একজন নকীব নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ বদর, উহুদ,
খন্দক হুদায়বিয়া ও খায়বারের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ রান্যুপুল্লাহ্সো) র্তাকে খায়বাবের
ফসলাদিব পাওনা নির্ধারণের গুরুত্বপুর্ণ কাজে প্রেরণ করতেন তিনি কাযার উমরা পালনে অংশ
গ্রহণ করেছিলেন এবং ঐ দিন রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর উন্তীর লাপাম ধরে মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন ৷
ণ্ষ্ওন্ অর্থাৎ হে কাফিরের ণ্গাষ্ঠী ! রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর রাস্তা থেকে সরে পড় মুতার
যুদ্ধে যেসব আমীর শাহাদত বরণ করেছিলেন তিনি তাদের মধ্যে একজন ৷ যঞ্চা মুসলমানগণ
হামলা করার ব্যাপারে সলা-পরামর্শ করছিলেন তখন রোমানদের মুকম্রবিলার জন্য তিনি
মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করেছিলেন এবং নিজকেও উদ্দীপ্ত করেছিলেন ৷ তাই তার পুর্ববর্তী
দুইজন সেনাপতি নিহত হওয়ার পরও তিনি সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধে অবতরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(যা) তার শাহাদতের সাক্ষ্য দিয়েছেন কাজেই যারা জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা পেয়েছেন তিনি
র্তাদের মধ্যে অন্যতম ৷
বর্ণিত রয়েছে যে, মুতার যুদ্ধের প্রাক্কালে বিদায়কালে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন : “আল্লাহ তাআলা আপনাকে যে উত্তম জিনিস দান করেছেন তার
মধ্যে যেন আপনাকে দৃঢ়তা দান করেন ৷ যেমন মুসা ( আ)-কে দৃঢ়তা দান করা হয়েছিল ৷ আর
আপনাকেও অনুরুপ সাহায্য প্রদান করা হয় যেমন সাহায্য প্রদান করা হয়েছিল হযরত মুসা
(আ)-কে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) ও র্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তােযাকেও যেন আল্লাহ তাআলা
দৃঢ়তা প্রদান করেন ৷ হিশাম ইবন ওরওছুা৷ (রা) বলেন, সত্যি সত্যি আল্পাহ্ তাআলা তাকে দৃঢ়তা
দান করেন ও তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন ৷
হপোদ ইবন যায়িদ আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা দিচ্ছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) মসজিদে
উপস্থিত হলেন এবং শুনতে পেলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছেন, ভোমরা বসে পড় ৷’ তিনি
মসজিদের বাইরে তীর নিজ জায়গায় বসে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা শেষ করলেন এবং
আবল্লোহ্ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর ঘটনা জানতে পারলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আল্লাহ্ ও
আল্লাহর রাসুল (সা)এর আদেশ মানার জন্যে তোমার আগ্রহ আল্লাহ যেন আরো বৃদ্ধি করে দেন ৷
বুখারী তার সহীহ্গ্রন্থেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আনাস ইবন মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা (রা) যখন কোন সাহাবীর সাথে সাক্ষাত করতেন তখন বলতেন,
এসো, আমরা এক ঘণ্টার জন্যে আমাদের প্ৰতিপালকের প্রতি ঈমান আলি ৷ একদিন এক
ব্যক্তিকে তিনি এরুপ বলার লােকটি রেগে গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে নালিশ
করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কি জানেন, আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)
নােকজনকে আপনার প্ৰতি ঈমানের স্থলে এক ঘণ্টার ঈগাংনর দিকে উৎসাহিত করছেন ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ইবন রাওয়াহা (রা)-এর প্রতি আল্লাহ রহ্ম করুন, যে ঐসব মজলিস-
বেই পসন্দ করে যেটা নিয়ে ফৌরশতাপণ গর্ব করে থাকেন ৷ এটা একটা অত্যন্ত বিরল বর্ণনা ৷
বায়হাকী (র) — আতা ইবন য়াসার (র) থেকে ব-নাি করেন ৷ তিনি বলেন, আবম্নোহ্
আমি ৷ সাথীটি বলল, আমরা মু’মিন নই ? তিনি বললেন, হীা, তবে আমরা একটু আল্লাহ্ব
করব ও ঈমানকে বৃদ্ধি করব ৷
হাফিয আবুল কাসিম আল-লাকারী — — শুরায়হ্ ইবন উবায়দ (না) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) সাহাবীদের মধ্য হতে কারো হাতে ধরতেন এবং
বলতেন চল, আমরা এক ঘন্টার জন্য ঈমান আমি এবং যিক্রের মজলিসে বলি ৷ এটা একটি
মুরসাল বর্ণনা ৷
বুখারী (ব) আবু দারদা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে প্রচন্ড গরমের মধ্যে সফরে ফ্লিাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা
(রা) ব্যতীত আমাদের মধ্যে আর কেউ ব্লোযাদার ছিলেন না ৷ আর আবদুল্পাহ্ ইবন রাওয়াহা (রা)
প্রসিদ্ধ করি সাহাবীদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে তার রচিত নিম্নবর্ণিত
কৰিভাসমুহ ইমাম বৃখারী (র) উদ্ধৃত করেছেন :
আমাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লাহর রাসুল (সা) ৷ যখন ফজরের কল্যাণময় আলো ৰাতকে
ভেদ করে উদ্ভাসিত হয়, তখন আমরা তার আনীত কিতাব তিলাওয়াত করি ৷ তিনি রাত যাপন
করেন তবে বিছানা হতে নিজকে পৃথক করে রাখেন ৷ অথচ তখন মুশরিকদের জন্যে শয্যা
ত্যাগটা দুরুহ হয়ে পড়ে ৷ ব্যপোর বটে ! গোটা পৃথিবী মুর্ষতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার পর
তিনি হিদায়াষ্কতর জ্যোতি নিয়ে এসেছেন ৷ অতএব, আমাদের অস্তরসমুহ তার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস
স্থাপন কারছে এ জন্যে যে, তিনি যা কিছু বলেন তা বাস্তবেও প্রতিফলিত হয়ে থাকে ৷
ইমাম বুখারী (র) নু’মান ইবন বশীর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“একদিন আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা (রা) বেইশ হয়ে যান ৷ তখন তীর বোন আমরা (বা)
কান্নাকাটি করছিলেন ৷^ আর বলছিলেন, হে আমার পাহাড় ! হে আমার অমুক ! ইত্যাদি বিজ্যি
গুণের কথা স্মরণ করছিলেন ৷ যখন ছুশ ফিরে আসলো তখন তিনি বোনকে বললেন, তৃমি
আমার যতগুলে৷ গুণের কথা উল্লেখ করেছ সবগুলোর ক্ষেত্রে আমাকে বলা হয়েছে যে, তুমি কি
বাস্তবেও এরুপইা”
ইমাম বুখারী (র) অন্য এক সনদে নু’মান ইবন বশীর হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
“আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা একদিন বেছুশ হয়ে পড়েন —- এরপর যখন তিনি শহীদ
হলেন, তখন তার বোন আর তার জন্যে কান্নাকাটি করেননি ৷ হাসৃসান ইবন্ ছাবিত (বা) তার
মৃত্যুতে শোকগাথা রচনা করেন যা’ পুষ্কভু উল্লিখিত হয়েছে ৷ মুতার যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে
প্রত্যাবর্তনকারীদের অন্যতম একজন মুসলিম কৰিও তার সম্পর্কে বলেন, “আমি মুতার যুদ্ধ
ক্ষেত্র থেকে প্রত্যাবতনি করেছি এটাই আমার জন্যে মর্মপীড়ার জন্যে যর্থেষ্ট্র ৷ জাষর ( রা ), যায়দ
(রা) ও আবক্লোহ্ইবন রাওয়াহা (বা) রয়ে পেলেন মুতার কবরস্থানে ৷ তারা ভীদ্যে৷ জীবনকাল পুর্ণ
করেছেন যখন তারা তাদের পথে চলে গেছেন ৷ পক্ষাস্তার পরিবর্ভাশীল পরিস্থিতিতে যুসীবত
ভোগ করার জন্যে আমি পেছনে রয়ে পেলাম ৷
উক্ত তিনজন আমীর সম্পর্কে হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) ও আর ইবন মালিক (রা)-এর
রচিত শোকর্গাথা পরবর্তীতে উল্লেখ করা হবে ৷
মুতার যুদ্ধে যারা শাহাদত বরণ করেন
মুহাল্পিরখণের মধ্যে
১ জ়াফা৷ ইবন আবু তালিব (রা), তীদের আযাদকুত গোলাম ৷
২ যায়দ ইবন হারিছা আল-কালুবী (রা) ৷
৩ মাসৃউদ ইবন আসওদ ইবন হারিছ৷ ইবন নাযলা আল-আদভী (রা) ৷ হোব ইবন সা’দ
ইবন আবু সাবৃহ্ (রা) ৷
আনসারগণের মধ্যে
(১) আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা আল-খাযরাঞ্জী ৷ (২) আব্বাদ ইবন কায়স আল-খাষ্ৱাব্জী ৷
(৩) হারিছ ইবন নু’মান ইবন আস্যফ ইবন নাফলা নাজ্জারী ৷ (৪) সুরাকা ইবন আমর ইবন
আভীয়্যা ইবন খানৃসা মাযিনী ৷
মুহাজিং ও আনসারগণের মধ্যে সর্বমোট উক্ত আটজন শহীদ হন ৷ এ সংখ্যাটি ইবন ইসহাক
উল্লেখ করেছেন ৷ তবে ইবন হিশাম মুতার যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারীদের নাম বৃদ্ধি করে বলেন :
(৯) আবু কুলায়ব (১০) জৰির উক্ত দুইজন আমর ইবন যায়দ ইবন আউফ ইবন মাববুল
আল-মাযুনী এর পুত্র ছিলেন ৷ তার! দুইজন সহােদর ছিলেন ৷ ( ১ ১ ) আমর (১২) আমির উক্ত
দৃ’জনই সাদ ইবন হারিছ ইবন আব্বাদ ইবন সাদ ইবন আমির ইবন সালাবা ইবন মালিক ইবন
আফসা এর পুত্র ছিলেন ৷ অ ৷ল্লাহ্ত তাদের সকরলে প্ৰতি সত্তুাষ্ট হন ৷ এ চারজনও আনসাবগণের
মধ্যে ৷ কাজেই দুটো অভিমত অনুযায়ী যে ট সংখ্যা দাড়ায় ১২ ৷ এটা একটি বড় সফলতা ৷
কেননা, দুটি সেনাদল তুমুল যুদ্ধ করেছেন ৷ একদল আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেন তাদের সংখ্যা
মাত্র তিন হাজার ৷ আর অন্য দলটি কা ৷ফির তাদের সংখ্যা দুই লাখ এক লাখ রোমান এবং এক
লাখ আরব খৃষ্টান ৷ত তাদের মধ্যে৩ ভীষণ যুদ্ধ হয় ৷ মুসলমান পক্ষে ১২ জন ছাড়া আর কেউ নিহত
হননি ৷ পক্ষা স্তরে মুশরিক পক্ষে নিহতে তর সংখ্যা ছিল প্রচুর ৷ একা ৷খালিদ (রা) এর হাতেই নয়টি
চুতলায়ার ভেঙ্গে ছিল ৷ আর তার হাতে মাত্র একটি ইয়ামানী তলােযার বাকী ছিল ৷ এ থেকেই
অনুমান করা যায়, এ নয়টি তলোয়ার কত শত্রু সৈন্যকে ঘায়েল করেছে ৷ অন্যান্য মুজাহিদদের
কথা আর এখানে উল্লেখ করার দরকার পড়েন৷ ৷ কা ৷ফিরদের উপর সব সময়ই অ ৷ল্লাহ্ তা আলার
অব্দিম্প ত ৷ আল্লাহ ত লার বাণী৪
অর্থ ৎ দুটি দলের পরস্পর সম্মুখীন হওয়ার
মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে ৷ একদল আল্লাহর পথে সংগ্রাম করছিল, আর অন্য দল
কাফির ছিল ৷ কা ৷ফিররা ঘুসলমানদেরকে চোখের দেখায় দ্বিগুণ দেখছিল ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছে নিজ
সাহায্য দ্বারা শক্তিশালী করেন ৷ নিশ্চয় এটাতে অম্ভর্বৃষ্টি সম্পন্ন লোকের জন্য শিক্ষা রয়েছে ৷ (৩-
আলে-ইমরান : ১৩) ৷ এ যুদ্ধের ব্যাপারেও প্রযোজ্য ৷
এ সৈন্যদলের আমীরদের মাহাত্ম্য সম্পর্কে একটি হাদীছ
আমীরগণ হলেনং যায়দ ইবন হারিছ, জা ফর ইবন আবৃত তালিব এবং আবদুল্লাহ ইবন
রাওয়৷ ৷হ৷ (রা) ৷
ইমাম আবুযুরআ — আবুউমামা বাহিলী (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে বলতে শুনেছি ৷ তিনি বভ্রু ন ,“একদিন আমি নিদ্রিত ছিলাম ৷ স্বপ্নে দেখি,
দুইজন লোক আমার কাছে আসলেন এবং আমার দুই বাহু শক্ত করে ধরলেন ৷ আর আমাকে
একটি অসমত ল পাহাড়ে নিয়ে গেলেন এবং দুজনে আমাকে বললেন, এটাতে আপনি আরোহণ
করুন ! আমি বললাম, আমি আরোহণ করতে পারবো না ৷ত তারা বললেন, আমরা এ ব্যাপারটি
আপনার জন্যে সহজ করে দেবে৷ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) বললেন, আমি পাহাড়ে চড়লাম ৷ যখন
পাহাড়ের মাঝামাঝি পৌছলাম তখন বিকট চীৎকার শুনতে পেলাম, আমি বললাম, এগুলো
কিসের চীৎক৷ ৷র ? দুই ফেরেশত৷ বললেন, এগুলে৷ হচ্ছে জাহান্নামীদের আ র্তানাদ’ ৷ এরপর তারা
আমাকে নিয়ে অগ্রসর হলেন ৷ দেখলাম, একটি দলকে তাদের গ্রীবা ধমনী দ্বারা ঝুলিয়ে রাখা
হয়েছে ৷ তাদের ক্ষতবিক্ষত চোয়৷ লদ্বয় দিয়ে রক্ত ঝরছে ৷ আমি বললাম, এরা কারা ? উত্তরে
তারা বললেন, ’এর৷ হ
চ্ছে ঐ সমস্ত লোক মারা রােয৷ ভঙ্গ করত ৷ তারপর তারা আমাকে আরো
সামনে নিয়ে পেলেন ৷ দেখলাম, একদল লোকের মৃত দেহ ফুলে গিয়ে ভীষণ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ৷
তাদের সে দুর্গন্ধ বিষ্ঠার দুর্গন্ধের ন্যায় অস্বস্তিকর ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা ?’
ফেরেশতাগণ বললেন, এরা কাফিরদের মধ্যকার নিহত ব্যক্তিবর্গ ৷ তারপর আমাকে নিয়ে তারা
আরো অগ্রসর হলেন ৷ এখানেও কতিপয় লোকের দেহ দেখতে পেলাম যেগুলো ফুলে গিয়ে
বিষ্টার মত দৃর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল ৷ আমি বললাম, এরা কারা ? ফেরেশতাগণ উত্তরে বললেন এরা
ব্যভিচারী পুরুষ ও ন ৷রী ৷৩ তারপর আমাকে আরো সামনে নিয়ে গেলেন র্তারা ৷ দেখলাম, এমন
কতিপয় ন ৷রী যাদের স্তনে সর্প দংশ ন করছে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম এরা কারা ? এদের অবস্থা
এরুপ কেন ?’ ৫ফরেশতাগণ উত্তরে বললেন, এরা তাদের ছেলেয়েয়েদেরকে তাদের দুধ পান
করতে দেয়নি ৷ এরপর তারা দুইজন আমাকে সম্মুখে নিয়ে চললেন ৷ দে ত্৫াম কতগুলো বালক
যারা দুটি সাগরের মধ্যে খেলাধুলা করছে ৷ আমি বললাম, এরা কার৷ ৷ ফরেশতাগণ বললেন,
এরা মু’মিনদের নাবালক অবস্থায় মৃতু ভ্যুবরণকারী সন্তান ৷’ এরপর তারা আমাকে একটি উচু
জায়গায় নিয়ে গেলেন ৷ তিনজনের একটি দলকে দেখলাম যারা হুা৷ন্নাতা সুরা পানরত ৷ আমি
জিজ্ঞেস করলাম ’এরা কারা ?’ ফেয়েশ৩ ৷গণ জবাব দিলেন, এরা হচ্ছেন, জাফর ইবন আবু
ত ৷লিব যায়দ ইবন হ৷ ৷রিছ এবং আবদৃল্লা হ্ ইবন রা ওয়াহ৷ (রা ) ৷ তারপর তারা আমাকে অন্য একটি
উচু জায়গায় নিয়ে গেলেন ৷ সেখানেও দেখলাম তিনজনের একটি দল ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম,
এরা কারা ?’ তারা বলেন, এরা হচ্ছেন, ইব্রাহীম, মুসা এবং হযরত ঈসা ৷(আ) ৷ আর তারা
আপনার জন্যে প্ৰর্তীক্ষায় রয়েছেন ৷
মুতার যুদ্ধ সম্পর্কে কথিত কবিতামালা
ইবন ইসহাক বলেন, মুতার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের শোকগাথা রনো করেছেন কবি
হাসৃসান ইবন ছাবিত ৷ করি বলেন :