Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » হাতির ইবৃন আবূ বালতাআর ঘটনা

হাতির ইবৃন আবূ বালতাআর ঘটনা

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না ৷ আপনার সাথে যেসব মুহাজির আছেন তাদের নিকট আত্মীয়
    রয়েছে যারা তাদের পবির৷ ৷ব ও মালপত্র রক্ষা করতে পারে ৷ আমার এ ধরনের রং শগত কোন
    সম্পর্ক না থাকার দরুন আমি চেয়েছিলাম তাদের আমি কিছু উপকার করব যাতে করে তারা
    আমার পরিবার-পরিজনকে হিফাযত করে ৷ আর আমি এটা ধর্মান্তরিত ৩হয়ে বা ইসলামের পর
    পুনরায় কুফুরীকে পসন্দ করেও করিনি ৷” তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এ ব্যক্তি তোমাদের
    কাছে সত্য কথাই বলেছে ৷ উমর (রা) বলেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এ মুনাফিককে হত্যা করার
    অনুমতি দিন ৷ “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এ ব্যক্তি বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে আর আল্লাহ
    তাআলা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্বন্ধে বলেছেন, “(তামরা যা ইচ্ছে কর, আমি
    তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি ৷ এরপর আল্লাহ তাআলা অত্র আয়াত ষ্ অবতীর্ণ করেন :

    অর্থাৎ হে মু’মিনগণ ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে রন্ধুরুপে গ্রহণ করবে না ৷ তোমরা
    তাদের সাথে বন্ধুত্ব করছ অথচ তারা তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে,
    রাসুলকে এবং তােমাদেরকে বহিষ্কার করেছে এ কারণে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক
    আল্লাহ্তে বিশ্বাস কর ৷ যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্যে আমার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে
    বের হয়ে থাক তবে কেন তোমরা তাদের সাথে গোপনে বন্ধুত্ব করছ ? তোমরা যা গোপন কর
    এবং তোমরা যা প্রকাশ কর তা আমি সম্যক অবগত ৷ তোমাদের যে কেউ এটা করে, সে তো
    বিচুদ্রত হয় সরল পথ হতে ৷” (৬০ মুমতাহিনা হয় ১ ৮)

    উপরোক্ত হাদীছটি ইবন মাজা ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তার অন্যান্য সংকলকগণ বর্ণনা করেছেন ৷
    তিরমিযী বলেন, “এ হাদীছটি হাসান ও সহীহ্ ৷

    ইমাম আহমদ (রা) — জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে ৩রর্ণন৷ করেন ৷ তিনি বলেন,

    হাতির ইবন আবুব ৷লতাআ (রা) মক্কারাসীদের কাছে একটি পত্র লিথে৩াদেরকে জানিয়ে দিতে
    চেয়েছিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের সাথে যুদ্ধ করার মনন্থ করেছেন ৷ এরপর র ৷সুলুল্লাহ্ (সা)
    মহিলাটির কথা বলে দিলেন যার সাথে পত্রটি ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটির কাছে লোক প্রেরণ
    করেন যে, তার মাথা থেকে পত্রটি উদ্ধার করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে প্রদান করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
    (সা) হাতির (রা) কে ডেকে আসেন ও জিজ্ঞেস করেন ৷ হে হাতির ! তুমি কিএট৷ করেছ ? তিনি
    বললেন, ইব্রা’ ৷ তিনি আরো বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে বোকা দেয়ার জন্যে কিৎরা
    প্রতারণা করার জন্যে এটা করিনি ৷ আমি জানি যে, আল্লাহ্ তা আলা রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫-ক অবশ্যই
    বিজয়৷ দা ন করবেন এবং তার মিশনকে পুর্ণ করবেন ৷ তবে আমি ঘুশরিকদের মধ্যে অবস্থানকারী
    একজন অসহায় ব্যক্তি ছিলাম ৷ আমার যা এখনো তাদের মধ্যে রয়েছেন ৷ এজন্যই আমি
    চেয়েছিলাম তাদের একটি উপকার করতে ৷ উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বললেন, আমি কি

    একে হত্যা করতে পারি ? “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তুমি কি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের
    একজনকে হত্যা করতে চাও ? তুমি কি জান, আল্লাহ্ তাআলা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের
    সম্বন্ধে কী বলেছেন ? আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “তোমরা যা ইচ্ছে কর ৷”

    উপরোক্ত সনদে ইমাম আহমদ (র) একমাত্র বর্ণনাকায়ী ৷ সনদটি ইমাম মুসলিমের
    শর্তানুযায়ী ৷ হামৃদ শুধু আল্লাহ্র জন্যে ৷

    মক্কা অভিযানের তারিখ ও সফরে
    রেড়াযা ভাঙ্গা

    ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, তারপর
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) সফরে বের হলেন এবং মদীনায় আবু রুহম কুলসুম ইবন হুসায়ন ইবন উতবা
    ইবন খালুফ আল-গিফারী (রা)-কে প্রতিনিধি রেখে গেলেন ৷ রমযান মাসের ১ : তারিখে তিনি
    রওয়ড়ানা হলেন ৷ তিনি বোযা রাখেন এবং সাহাবীগণও তার সাথে রোযা রাখন ৷ এরপর তিনি
    উছফান ও আমাজ নামক ন্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী জায়গা কাদীদে পৌছে তিনি রোযা ভঙ্গ করলেন ও
    সামনে অগ্রসর হলেন ৷ দশ হাজার সৈন্য নিয়ে তিনি মাররুয যাহরান পৌছেন ৷ উরওয়া ইবন
    যুবায়র (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বার হাজার সৈন্য ছিল ৷ ইমাম যুহরী ও মুসা
    ইবন উকবা অনুরুপ বলেছেন ৷ সুলায়ম গোত্রের সৈন্য সংখ্যা ছিল সাত শ’ ৷ মতাম্ভরে এক
    হাজার ৷ মুয়ায়না গোত্রের সৈন্য সংখ্যা ছিল এক হাজার ৷ প্রতিটি গোত্রের যারা ইসলাম গ্রহণ
    করেছিলেন র্তারা সকলেই যুদ্ধে যোগদান করেন ৷ আর মুহাজির ও আনসারদের সকলেই যুদ্ধে
    অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ র্তাদের মধ্য থেকে কেউ অনুপস্থিত ছিলেন না ৷ ইমাম বুখাবী (র) ও
    অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

    বায়হাকী (র) অড়াবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান মাসে মক্কা বিজয়ের অভিযান করেছিলেন ৷ রাবী বলেন, সাঈদ ইবনুল
    মুসাইব্যিব (র) বলেছেন, আমি জানি না, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি শাবান মাসের শেষের দিকে মদীনা
    ত্যাগ করেন ও রামাদান মাসে মক্কায় পৌছেন নাকি রমযান মাস আসার পর ঐ মাসেই মক্কায়
    পৌছেন ৷ তবে আমাকে উবায়দৃল্পাহ্ ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) সংবাদ দিয়েছেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবন
    আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রােযা রেখেছিলেন এবং কুদায়দ ও উছফানের মধ্যবর্তী
    কাদীদ জলাশয়ের নিকট পৌছার পর তিনি রােযা ভঙ্গ করেন ৷ আর মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত কোন
    রােযা রাখেননি ৷

    ইমাম বুখারী (র) ও অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে তিনি শাবান ও রমযান মাসের মধ্যে
    সন্দেহের উল্লেখ করেননি ৷

    ইমাম বুখারী (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্
    (সা) রমযান মাসে সফর করেন ৷ তিনি রােযা রাখেন ৷ উছফান নামক স্থানে পৌছে তিনি পানি
    চাইলেন এবং লোকজনকে দেখাবার উদ্দেশ্যে সকলের সামনে দিনের বেলায় পানি পান করলেন ৷
    মক্কা পৌছা পর্যন্ত তিনি আর রোযা রাখেননি ৷” রাবী বলেন, ইবন আব্বাস (বা) বলতেন,

    রাসুলুল্লাহ্ (সা) সফরে রোযা রাখতেন ৷ আবার কোন কোন সময় রোযা ভোঙ্গও ফেলতেন ৷ যার
    ইচ্ছে রোয৷ রাখবে, আর যার ইচ্ছে রোয৷ ভেঙ্গে ফেলবে ৷ ’

    ইউনুস (ব) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    বিজয়ের সফরে বের হলেন এবং আবু রুহম কুলসুম ইবন আল হুসায়ন আল গিফারী (রা) কে
    মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ রমযানের ১০ তারিখে তিনি রওয়ানা হন ৷ তিনি রোযা
    রাখেন ৷ আর তার সাথে লোকজনও রোয৷ রাখেন ৷ উছফান ও আমাজ নামক স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী
    জায়গা আল-কাদীদে পৌছার পর তিনি রোযা ভঙ্গ করলেন এবং তার সাথে বাবা ছিলেন র্তারাও
    রোযা ভঙ্গ করলেন ৷ সফরে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এব রোযা ভঙ্গ করাটাই ছিল শেষ আমল ৷ পুর্বের
    প্রচলিত রোযা রাখার বিধানটি রহিত হয়ে যায় ৷ বায়হাকী (র) বলেন “রমযানের দশ তারিখ কথাটা
    হাদীছের মধ্যে ঘুদরাজ হিসেবে গণ্য, অর্থাৎ পরবর্তীতে কোন রাবী নিজের তরফ থেকে তা

    ৎযোজন করেছেন ৷ ইবন ইসহাক (ব) হতে আবদুল্লাহ্ৎ ইবর্চু ইদরীস ও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
    বাযহ কী অন্য এক সনদে ইবন ইসহাক হতে বর্ণনা করেন ৷ ৷৩ ন বা;লন, ৮ম হিজরীর ১০ রমযান
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা অভিযানে বের হয়েছিলেন ৷ অন্য এক সনদে বায়হাকী আবদৃল্লাহ্ ইবন
    আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রমযান মাসের তের তারিখ মক্কা বিাজয় স ংঘটিত
    হয়েছিল ৷ বা য়হ৷ ৷কী বলেন, আসলে এটা ইমাম যুহরীর কথা ৷

    বায়হাকী যুহরী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা বিজয়ের
    উদ্দেশ্যে রমযান মাসে অভিযানে বের হয়েছিলেনত ৷৩ র সাথে ছিলেন দশ হাজার মুসলমান ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মদীনা আগমনের সাড়ে আট বছরের মাথায় এ ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ আর
    রমযান মাস শেষ হওয়ার তেরদিন বাকী থাকতেই বিজয় অর্জিত হয়েছিল ৷ বায়হাকী অন্য এক
    সনদে আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান
    মাসে মক্কা অভিযানে বের হন ৷ তার সাথে ছিল দশ হাজার মুসলিম সৈন্য ৷ তিনি রােয৷ রাখেন ৷
    কাদীদ নামক স্থানে পৌছে তিনি রোয৷ ভঙ্গ করেন ৷ যুহরী (র) বলেন, “এটাই ছিল সর্বশেষ আমল
    এবৎ এটাকেই গ্রহণ করতে হবে ৷ যুহরী (র) আরো বলেন “রমযানের তেরত তারিখ রাসুলুল্লাহ্
    (সা) মক্কায় পৌছেন ৷

    বায়হাকী আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    রমযানের দৃই তারিখে আমাদেরকে বিজয়ের বছর অভিযানে বের হওয়ার ঘোষণা দিলেন ৷ আমরা
    বোমার অবস্থায় অভিযানে বের হলাম ৷ কা ৷দীদ পৌছ৷ ৷র পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে বোয৷ ভঙ্গ
    করার নির্দো৷ দেন ৷ কিছু সংখ্যক লোক বোযাদার ছিলেন ৷ আর কিছু সংখ্যক রোযাবিহীন ছিলেন ৷
    তবে যখন আমরা শত্রুর সাথে মুকাবিলার মনযিলে পৌছলাম, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের
    আবারো রোযা ভঙ্গের হুকুম দেন ৷ তখন আমরা সকলে রোযা ভঙ্গ করলাম ৷

    ইমাম আহমদ (র) আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

    ইমাম যুহরী (র) উল্লেখ করেছেন যে, রমযানের তের৩ তারিখ বিজয় সুচিত হয়েছিল ৷ আর
    আবু সাঈদ খুদরী (রা) উল্লেখ করেছেন যে, তারা রমযানের দৃই তারিখে মদীনা থেকে অভিযানে
    রওয়ানা করেন ৷ তাতে দেখা যায় যে, মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী জায়গায় তারা এগার দিন ভ্রমণে

    ছিলেন ৷ তবে বায়হাকী — যুহরী প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তারা বলেন, ৮ম হিজরীর
    রমযান মাসের দশদিন বাকী থাকতে মক্কা বিজয় সম্পন্ন হয় ৷

    আবু দাউদ আত-তায়ালিসী (ব) আবদুল্লাহ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
    বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রোযার অবস্থায় অভিযানে বের হন যখন তিনি কুরাউল গামীম নামক
    জায়গায় পৌছলেন, তখন লোকজন পদব্রজে ও সাওয়ারীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে ছিলেন ৷
    এটা ছিল রমযান মাস ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আরয করা হল, “ইয়৷ রাসুলাল্লাহ ! রােযায়
    লোকজনের খুবই কষ্ট হচ্ছে ৷ আর তারা দেখার জন্যে অপেক্ষায় আছেন যে, আপনি কি করছেন ?
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন এক গ্লাস পানি চাইলেন ও তা পান করলেন ৷ আর লোকজন তার দিকে
    তাকিয়ে ছিলেন ৷ এরপরও কিছু সংখ্যক লোক রোযা রাখলেন এবং কিছু সৎখ্যক লোক রোযা ভঙ্গ
    করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে সংবাদ পৌছল যে, কিছু সংখ্যক লোক রোযাদার রয়েছেন,
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তারা হুকুম অমান্য করেছে ৷”

    ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
    বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান মাসে অভিযানে বের হন ৷ তিনি রােযা রাখেন এবং তার
    সাথে সাহাবীগণও রােযা রাখেন ৷ কাদীদে পৌছার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক পিয়ালা পানি
    চাইলেন ৷ তিনি ছিলেন সাওয়ারীর উপর আরোহী ৷ তিনি যে রােযা ভাঙ্গলেন তা সকলকে দেখিয়ে
    দেয়ার জন্যে পানি পান করলেন ৷ আর লোকজন তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন ৷ এরপর
    মুসলমড়ানগণ রােযা ভাঙ্গলেন ৷ এটা ইমাম আহমদ (ব)-এব একক বর্ণনা

    আব্বাস ও আবু সুফিয়ান ইবন হড়ারিচ্ প্রমুখের ইসসামগ্রহণ

    রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চাচা আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা) ও তার চাচাভাে ভাই আবু
    সুফিয়ড়ান ইবন আল-হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) , উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা
    (না)-এর ভাই আবদুল্পাহ্ ইবন আবুউমাইয়া ইবন আল-মুগীরাহ আল মাখবুমী (বা) ইসলাম গ্রহণ
    করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দিকে রওয়ানা হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কার পথে তখন তার সাথে
    তাদের সাক্ষাত হয় ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, “আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) রাস্তায় রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে
    সাক্ষাত করেন ৷ ”

    ইবন হিশাম বলেন, “আব্বাস (বা) তার পরিবার-পরিজনসহ হিজরত করার পথে জুহ্ফা
    নামক স্থানে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে মিলিত হন ৷ এবপুর্বে তিনি মক্কায় অবস্থান করছিলেন ৷
    ইবন শিহাব যুহরী বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন ৷ কেননা, তিনি মক্কায় অবস্থান
    করে হাজীদের পানির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, আবু সুফিয়ান ইবন আল-হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা) ও
    আবদৃল্পাহ্ ইবন আবুউমাইয়া মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী নাইকুল উকাব’ নামক জায়গায় রাসুলুল্লাহ্
    (না)-এর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর তড়াবুতে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা
    করেন ৷ তাদের এ দৃইজনের ব্যাপারে উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ হাতির ইবৃন আবূ বালতাআর ঘটনা Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.