হিজরী ৫ম সন
দুমাতুল জানদড়াল বুদ্ধ : রবীউল আওয়াল মাসে
ইবন ইসহাক বলেন , এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুমাতুল জল্দোল ই’ যুদ্ধ পরিচালনা করেন ইবন
হিশাম বলেন, এই যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৫ম হিজরীর রবীউল ত্মাওয়াল মাসে ৷ তখন মদীনায়
শাসনভার দিয়েছিলেন সিবা ইবন উরফুতা গিফারীর হাতে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, দুমাতুল জানদাল পর্যন্ত পৌছার পুর্বেই রাসুলুল্লাহ (সা ) মদীনায় ফিরে
আসেন ৷ পথে কোন প্রকারের সংঘর্ষ কিৎবা কোন ষড়যরুন্ত্রর সম্মুখীন হননি ৷ তারপর বছরের
অবশিষ্ট সময়টুকু তিনি মদীনাভ্রুত্ইে অতিবাহিত করেন ৷ ইবন ইসহাক এরুপই বলেছেন ৷
ওয়াকিদী আপন সনদে তার শায়খদের থেকে তারা একদল প্রাচীন ও জ্ঞানীজন থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ তারা বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সিরিয়ার উপকষ্ঠে যাবার ইচ্ছা করেছিলেন ৷ তাকে
জানানো হয়েছিল যে, এরুপ করতে পারলে রোমান সম্রাট কায়সার ভয় পেয়ে যাবে ৷ র্তাকে আরো
জানানো হয় যে, দুমাতুল জ্বানদাল এলাকায় বড় একটি দল রয়েছে যারা ওই পথে যাতায়াতকারী
পথিকদেরকে খুবই নির্যাতন করে থাকে ৷
সেখানে একটি বড় বাজারও ছিল ৷ দৃমাবাসীরা মদীনা আক্রমণের পরিকল্পনাও করেছিল ৷
ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জংন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা ) লোকজনকে আহ্বান জানালেন ৷ প্রায় ১০০০
অগ্রসর হতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে ছিল মাযকুর নামক খুবই চৌকস একজন পথ
প্রদর্শক ৷ দুমাতুল জানদালের কাছাকাছি পৌছে সে বনু তামীম গোত্রের পশু পালগুলো
মুসলমানদের দেখিয়ে দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ও তার সাথীগণ সম্মুখে অগ্রসর হয়ে ওই পশু পাল ও
রাখালদের উপর হামলা করেন ৷ কতক রাখাল পালিয়ে যায়, আর কতক মুসলমানদের হাতে বন্দী
হয় ৷ দুমাতুল জানদালের অধিবাসীদের নিকট এই সংবাদ পৌছলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই এলাকায় গিয়ে পৌছে ওদের কাউকেই ওখানে পাননি ৷ সেখানে তিনি
কয়েকদিন অবস্থান করেন ৷ সেখান থেকে কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল আশে পাশে প্রেরণ করেন ৷
তারপর তারা মদীনায় দিকে ফেরত যাত্রা করেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন মাসলাম৷ (বা ) ওদের এক
ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন ৷ তিনি তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট উপ ত করেন ; রাসুলুল্লাহ্ (সা )
১ অভিধানবিদগণ দুমা এবং হাদীছবিদগণ দাওমা বলে থাকেন ৷ দ্র আল-বিদায়া (পাদটীকা)