হিজরী ৬ষ্ঠ সনের ঘটনাবলী
বায়হার্কী (র) বলেন : বলা হয়ে থাকে যে, এ বছর মুহাররম মাসে মুহাম্মাদ ইবন মাসলামার
নেতৃত্বে নাজ্বদ অভিমুখে একটা বাহিনী প্রেরণ করা হয় ৷ এ অভিযানে তরা ছুমামা ইবন উছাল
ইয়ামানীকে বন্দী করে আনেন ৷ আমি বলি, কিন্তু ইবন ইসহাক (র) সাঈদ মাকব্ররী সুত্রে আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও এ বাহিনীতে শরীক ছিলেন ৷ অথচ তিনি হিজরত
করেন খায়বর বিজয়ের পর (হিজরী ৭ মাসে) সুতরাং এটা পরের ঘাষ্টুনা হতে পারে ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷ এটা এমন এক বছর যে বছরের প্রথম দিকে বনু লিহইয়ান যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
এটাই বিশুদ্ধ মত ৷ আর বনু কুরায়য়াকে পরাজিত করার ঘটনা ঘটে যিলকাদের শেষ এবং
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দিকে ৷ আর এ হজ্জ মুশরিকদের ততুাবধানে অনুষ্ঠিত হয় অর্থাৎ হিজরী
পঞ্চম সালে, ইতিপুর্বেও এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যিলহ্জ্জ মুহাররম, সফর এবং রবিউল আউয়াল এবং রবিউছ ছানী মাস মদীনায়
অবস্থান করেন এবং বনু কুরায়যার অভিযানের ৬ মাসের মাথায় বনু লিহ্য়ান অভিমুখে অভিযানে
বের হন ৷ তিনি রাজী এর শহীদ থুবায়র এবং তার সঙ্গীদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য
বের হন ৷ বাহ্যিকভাবে তিনি প্রকাশ করেন যে, তিনি শাম দেশের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছেন,
যাতে অকন্মাৎ তাদের উপর হামলা চালাতে পারেন, ইবন হিশাম বলেন, তিনি ইবন উম্মে
মাকতৃমকে মদীনায় প্রশাসকের দায়িত্বে নিযুক্ত করে যান ৷ মোট কথা, নবী করীম (সা) তাদের
আবাসন্থলের দিকে অগ্রসর হলে তারা পালিয়ে পাহাড়ের শীর্ষে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষা করে ৷
এরপর রাসুল করীম (সা) উছফানের দিকে গমন করেন ৷ সেখানে একদল মুশরিকের সঙ্গে
সংঘাতে লিপ্ত হন এবং সেখানে সালাতৃল খাওফ আদায় করেন ৷ চতুর্থ হিজরী সনের ঘটনাবলীতে
যুদ্ধ বিষয়ে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আর বায়হার্কী (র) ও এ ঘটনা সেখানেই আলোচনা
করেছেন ৷ তবে ইবন ইসহাক (র) যা উল্লেখ করেছেন, তা-ই বেশী যুক্তিযুক্ত ৷ আর তা হলো
এই যে, এ ঘটনাটি খন্দক যুদ্ধের পরের আর এটা প্রমাণিত যে, নবী করীম (সা) বনুলিহ্ইয়ানের ,
দিনে সেখানে সালাতুন খাওফ আদায় করেন ৷ তাই সে আলোচনা সেখানে হওয়াই যিধেয় ৷
মাপাযীর ইমাম (মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক)-এর অনুসরণ অনুসরণেই এটা হওয়া উচিৎ ৷ ইমাম
শাফিঈ (র) বলেন :
যে ব্যক্তি মাগাযী তথা যুদ্ধ বিগ্রহ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চায়, তাকে মুহাম্মাদ ইবন
ইসহাকের উপর নির্জাশীল হতে হবে ৷ বনুলিহ্ইয়ান যুদ্ধ সম্পর্কে কাব ইবন মালিক (বা) বলেনঃ
বনু লিহইয়ান যদি অপেক্ষা করতো
তাহলে তারা নিজেদের অঞ্চলে সত্যপন্থী
দলের সঙ্গে না যাতে প্রুবৃল্ডে হতো ৷
অনতিবিলন্বে তারা এমন দলের সঙ্গে
ৎঘাতে প্রবৃত্ত হতো, যাতে অন্তর হতো ভীত ৷
ৎস কর দলের সম্মুখে, যাদের তরবারি
চাকচিক্য নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল ৷
কিন্তু তাৱাতো ছিল যেন জঙ্গলের বিড়াল,
মানুষ দেখে যারা গর্ভে আশ্রয় নেয় ৷
ঘুকারাদের যুদ্ধ
ইবন ইসহাক (র) বলেন : এরপর রাসুল কৰীম (সা) মদীনায় পদার্পণ করেন এবং মাত্র
কয়েক দিন সেখানে অবস্থান করেন ৷ শেষ পর্যন্ত উয়াইনা ইবন হিসন ফাযারীর নেতৃত্বে একটা
বাহিনী ’গাবা নামক স্থানে নবী করীম (না)-এর দুধেল ইষ্টীর উপর হামলা চালায় ৷ তথায়
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ থেকে রাখাল রুপে বনু গিফারের জনৈক ব্যক্তি সশ্রীক বসবাস করতো ৷
হামলাকারীরা পুরুষটিকে হত্যা করে এবং উষ্টীগুলোর সঙ্গে তার শ্ৰীকে নিয়ে যায় ৷ ইবন ইসহাক
(র) আসিম ইবন উমর আব্দুল্লাহ্ ইবন কাব ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, সালমা
ইবন আমৃর ইবনুল আক্ওয়া আসলামী এ হামলা সম্পর্কে সর্ব প্রথম জানতে পান ৷ ভীর-ধনুক
নিয়ে তিনি পাবার দিকে বেরিয়ে পড়েন ৷ তার সঙ্গে ছিল তলেহা ইবন উবায়দুল্পাহর ভৃত্যও একটি
ঘোড়া ৷ ঘোড়া তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছিল ৷ তিনি ছানিয়াতুল ওদা’ পৌছলে কাফিরদের কিছু অশ্বের
প্রতি তার দৃষ্টি পড়ে ৷ সানা পর্বতের এক কিনারায় পৌছে তিনি চিৎকার করে বলেন, ছুা; ০ ৷ ’,
হে সাবধান ! তারপর তিনি হামলাকারীদের পেছনে ছুটে যান, তিনি ছিলেন নেকড়ের ন্যায়
দ্রুতগামী ৷ তিনি তাদেরকে নাগালে পেয়ে যান ! আর তীর দ্বারা তাদেরকে আঘাত করতে করতে
আবৃত্তি করেনং :