জ্ঞান-বিজ্ঞান অবতীর্ণ করেছেন এবং তাদের মধ্যেই রয়েছেন মহা পবিত্র কিতাবের ধারক ও
বাহক ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
কাব ইবন মালিক (রা) বলেন :
সকলেই ঘুমম্ভ অবস্থায় রয়েছে অন্যদিকে তোমার নয়ন অশ্রু ঝরাচ্ছে ৷ আর তা এতই বেশী
অশ্রুপাত করছে যে, কোন সফলকাম চিকিৎসকও তা বন্ধ করতে সক্ষম নয় ৷ এ অশ্রুপাত
ঘটেছে এমন একরাতে যে রাতে আমার উপর দুঃখ নেমে এসেছে ৷ কোন কোন সময় আমি
সশব্দে র্কাদি আবার কোন কোন সময় আমি তাতে বিরতি দেই ৷ আমাকে উদ্বিগ্ন এতই নাজেহাল
করেছে যে, বিনিদ্র রাত যাপন করার সময় আমি যেন সপ্তর্ষিমণ্ডল ও মীন রাশির দায়িত্বে
নিয়োজিত ৷ আর পড়াজর ও নড়াড়িভুড়ির মধ্যভাগে অবস্থান করছে একটি উল্কা (নকশা) যা আমাকে
প্রত্যাবর্তন করতে বাধ্য করেছে এবং ৫ক্রাধাম্বিত করেছে ঐ সমস্ত লোককে যারা মুতার যুদ্ধে
সেনাপতির আদেশের অনুগত ছিল, আদেশ পালনে নিষ্ঠাবান ছিল এবং বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়নি ৷ আল্লাহ্ তাআলা এরুপ তরুণদের উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং বৃষ্টিতে পরিপুর্ণ মেঘখণ্ড
তাদের নেতাদেরকে তৃপ্ত করুক ৷ তারা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্যে মুতার যুদ্ধে ধৈর্য ধারণ
করেছিলেন ৷ নিজেদের ধ্বংসকে প্রতিহত করা এবং পালিয়ে আসার ভয়ে র্তারা প্রাণপণ যুদ্ধ
করেছেন ৷ সাহসী সেনারা সাধারণ মুসলিম সেনাদের সম্মুখভাগে অগ্রসর হলেন ৷ তারা যেন
দুঃখের পর শাহাদতের সুখ ভোগ করতে লাগলেন ৷ তাদের পরনে ছিল প্রলম্বিত লৌহবর্ম ৷ যারা
জাফর (রা) ও তার হাতে ধারণকৃত পতাকার দ্বারা সঠিক পথের দিশা পেয়েছিলেন ৷ র্তারা ছিলেন
সামনের দিকে অগ্রগামী দলের সম্মুখে ৷ সেই অগ্রগামী দল কতই না উত্তম দল ৷ এরপর যুদ্ধরত
বুহ্যগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ৷ যেখানে সৈন্যের সারিগুলাে ভীষণ যুদ্ধে রত ছিল, সেখানে জাফরও
এ ভয়াবহ যুদ্ধে যোগদান করেন এবং শাহড়াদতবরণ করেন ৷ তার শাহাদতের কারণে উজ্জ্বল নক্ষত্র
যেন বিবর্ণ হয়ে পড়ল, সুর্য গ্রহণে পতিত হল ও আর যাওয়ার উপক্রম হল ৷ তিনি ছিলেন বনু
হাশিমের সম্মানিত ব্যক্তি, পর্বের বস্তু, সুদক্ষ প্রধান, যার কোন বিকল্প নেই ৷ তার সম্প্রদায়ের
লোকেরা ছিলেন আল্লাহর এমনি পিয়ারা বান্দা যাদের মাধ্যমে আল্লাহ্ তা আলা তীর বান্দাদেরকে
সুরক্ষিত করেছেন ৷ তাদের উপর কুরআনৃল করীম অবতীর্ণ হয়েছে ৷ র্তারা সমাজের মর্যাদা বৃদ্ধি
করেছিলেন ৷ যারা সমাজের অজ্ঞ তাদেরকে তারা চারিত্রিক মাধুর্যে গড়ে তুলেছিলেন এবং
তাদেরকে অজ্ঞতার অন্ধকারে থাকতে দেননি ৷ র্তারা তাদেরকে প্রেমপ্রীতি বন্ধনে আবদ্ধ
করেছিলেন ৷ তুমি তাদের বক্তাকে দেখবে যে সত্যবেইি জনগণের কাছে তুলে ধরে ৷ তারা
৫জ্যাতির্ময় চেহড়ারার অধিকারী ৷ যখন দেশে অনাবৃষ্টি ও দৃর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন তুমি তাদেরকে
সাহায্যের হস্ত প্রসারিত করতে দেখবে ৷ প্রতিপালকের সন্তুষ্টিই তীর মাখলুকের হিদায়াতের জন্যে
তাদেরকে উৎসাহিত করে এবং প্রেরিত নবীর সাহায্যের জন্যেই র্তারা প্রচেষ্টায় রত থাকেন ৷
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শাসকদের কাছে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর পত্র ও দুত প্রেরণ
ওয়াকিদী উল্লেখ করেন যে , ব্যাপারটি হুদায়বিয়ার উমরা পালনের পর ৬ষ্ঠ হিজরীর শেষ
ষিলহজ্জ্ব মাসে সংঘটিত হয়েছিল ৷ বায়হাকী মুতার যুদ্ধের পর এ অধ্যায়টি উল্লেখ করেছেন ৷
আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ তবে এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই যে এটি মক্কা বিজয়ের পুর্বে এবং
হুদায়বিয়ার পর সংঘটিত হয়েছে ৷ তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হল যে, আবু সুফিয়ানকে রোমের সম্রাট
হিরাক্লিয়াস যখন জিজ্ঞেস করেন, “তিনি কি চুক্তি ভঙ্গ করেন ? তখন আবু সুফিয়ান বলেন, না,
তবে আমরা তীর সাথে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অৎগীকারাবদ্ধ আছি, সে ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে
কতটুকু পালন করবে তা আমি জানি না ৷ ইমাম বুখড়ারীর ভাষায় : এ ঘটনাটি ঘটেছিল ঐ সময়ে
যখন আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ ছিলেন ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, এ ঘটনাটি ঘটেছিল হুদায়বিয়া এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ওফাতের মধ্যবর্তী সময়ে ৷ আমরা এ ঘটনাটি এখানেই বর্ণনা করব ৷ ওয়াকিদীর মত সঠিক
হওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ৷ আল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷
মুসলিম আনাস ইবন মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মুতার যুদ্ধের পুর্বে পারস্যের সুমাট কিসৃরা, রোমের সম্রাট কায়সার, নাজাশী ও প্রতিটি প্ৰতাপশালী
শাসককে আল্লাহর দিকে আহ্বান করে পত্র দিয়েছেন ৷ উল্লিখিত নাজাশী ঐ নাজাশী নয় যার
জানাযা রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আদায় করেছিলেন ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আবু সুফিয়ান নিজ মুখে আমার নিকট বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “আমরা ছিলাম ব্যবসায়ী
সম্প্রদায় এবং যুদ্ধ ছিল আমাদের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত ৷ আর আমাদের সম্পদ ছিল প্রায় শেষ হওয়ার
পথে ৷ এরপর যখন রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও আমাদের মধ্যে হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদিত হল ঐ মুহুর্তে
আমরা কারো থেকে নিরাপত্তা পেলেও আমরা কাউকে নিরাপত্তা দিতাম না ৷ সন্ধির পর আমি
কুরায়শদের কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীসহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়ার দিকে বওয়ানা হলাম ৷ আল্লাহর
শপথ, আমার জানামতে মক্কায় এমন কোন নারী পুরুষ বাকী ছিল না যায় ব্যবসা সামগ্রী আমার
সাথে ছিল না ৷ সিরিয়া অঞ্চলে ফিলিস্তীনের পাজা এলাকায় ছিল আমাদের বাণিজ্য কেন্দ্র ৷ আমরা
সেখানে উপস্থিত হলাম ৷ সে সময় রোম সম্রাট তীর সাম্রারুজ্য অবস্থিত বিদ্রোহী পারস্য বাসীদেব
উপর জয়লাভ করেছিলেন ৷ ও তাদেরকে দখলকৃত এলাকা থেকে বহিষ্কার করেন এবং তারা
সম্রাটকে তার প্রধান ক্রুশ ফেরত দান করে যা তারা পুর্বে তার নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে
গিয়েছিল ৷ যখন সম্রাট তা ফেরত পেলেন , তখন তিনি তার তখনকার অবস্থানন্থল সিরিয়ার হিঘৃস
থেকে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে পদব্রজে বায়তুল মুকাদ্দাসে রওয়ানা হন ৷ তাকে সেখানে
স্বাগত জানানো হয় এবং তার উপর পুষ্পবৃষ্টি করা হয় ৷ তিনি ইলিয়ায় গিয়ে পৌছলেন এবং
সেখানে তিনি সালাত আদায় ও রাতযাপন করলেন ৷ সকালে তিনি যিমর্য হয়ে ঘুম থেকে
উঠলেন ৷ নজর তার আকাশের দিকে ছিল ৷ তার চেহারা মলিন দেখে পাদ্রীরা বললেন, জাহাপনা
আপনাকে যে বিমর্য মনে হচ্ছে ! হিরাক্লিয়াস জবাব দিলেন : হী৷ ৷ তারা তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস
করলে তিনি বললেন : গত রাতে তারকারাজি পর্যবেক্ষণ কংন্র আমি দেখতে পেলাম যে,
খাতনাকারীদের বাদশাহ্ আত্মপ্রকাশ করেছেন ৷ উপস্থিত সতাসদগণ বললেন, “আপনার ভয়ের
কোন কারণ নেই ৷ কেননা, আমরা জানি যে, শুধু ইয়াহ্রদীরাই খাতনা করে ৷ তারা কোন শক্তিশালী
জাতি নয় ৷ তারা আপনার অধীনস্থ প্রজড়া মাত্র ৷ তারপরেও যদি আপনি তাদের পক্ষ থেকে কোন
প্রকার আশংকাবােধ করেন, তাহলে সারা দেশে লোক প্রেরণ কার সকল ইয়াহ্রদীকে হত্যা করে
আপনি স্বস্তি বো ধ করতে পারেন ৷ তারা যখন নিজেদের মধ্যে এরুপ সলা পরামর্শ করছিল তখনই
বুশরার শাসনকর্তার একজন দুত আরবের এক ব্যক্তিকে নিয়ে সম্রাটের নিকট আগমন করল ৷ দুত
বলল, হে সম্রাট ! এ লোকটি আরব থেকে এসেছে ৷ তারা বকরী ভেড়া উট ইত্যাদির মালিক ৷
তাদের দেশে এক নতুন ঘটনা ঘটে গেছে আপনি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে তার বর্ণনা দেবে ৷
লোকটি যখন সম্রাটের কাছে আগমন করল তখন সম্রাট দােতাষীকে বললেন, তাকে প্রশ্ন কর,
তার দেশে কী ঘটনা ঘটে গেছে ? তাকে প্রশ্ন করা হল ৷ উত্তরে সে বলল, আরব দেশের কুরায়শ
বংশের এক ব্যক্তি নিজেকে নবী বলে দাবী করেন ৷ কিছু সংখ্যক লোক তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
করে এবং অন্যান্যরা তার বিরোধিতা করে ৷ বহু জায়গায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ সংঘটিত হয় ৷
তারা এরুপ অবস্থায় আছে ৷ আমি তাদেরকে এ অবস্থায় রেখেই আমি আপনার নিকট এসেছি ৷
এ সংবাদ দেয়ার পর সম্রাট তাকে ৰিবস্ত্র করার হুকুম দিলেন ৷ দেখা গেল তার খাতনা করা
হয়েছে ৷ সম্রাট বললেন, আল্লাহর শপথ, এটাই আমি স্বপ্নে দেখেছি ৷ তোমরা যা বলছ তা’ ঠিক
নয় ৷ তাকে তার বস্ত্র ফেরত দাও ৷ হে আগন্তুক ! তুমি তোমার কাজে চলে যাও ৷ তারপর তিনি
তার পুলিশ প্রধানকে ডাকলেন এবং সমগ্র সিরিয়ার খোজাখুজি করে তার গোত্রের এমন একজন
লোককে খুজে আনার জন্যে হুকুম দিলেন যে, ঐ কথিত নবী সম্বন্ধে সবকিছু বলতে পারবে ৷ আবু
সুফিয়ান বলেন, আমি আমার সাথীদের সহ গাজায় অবস্থান করছিলাম ৷ আমাদের কাছে একজন
এসে আমাদেরকে প্রশ্ন করলেন, তোমরা কােথাকার লোক ? ’আমরা তাকে আমাদের সম্পর্কে
বিস্তারিত জানালাম ৷ তিনি তখন আমাদের সকলকে ম্মাড়াটের কাছে নিয়ে গেলেন ৷ আমরা সকলে
সম্রাটের কাছে গেলাম ৷ আল্লাহর শপথ, আমি তাকে অত্যন্ত চিন্তিত দেখতে পেলাম ৷ আমরা
যখন তার কাছে পৌছলাম, তখন তিনি আমাদেরকে লক্ষ্য করে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের
মধ্যে আত্মীয়তার দিক দিয়ে, কে ঐ ব্যক্তির সর্বাধিক ঘনিষ্ট ?” আবু সুফিয়ড়ান (রা ) উত্তরে বললেন,
”আমি” ৷ সম্রাট বললেন, তাকে আমার নিকটে নিয়ে এসো ৷ ’ তখন তিনি আমাকে নিজের
সামনে বসালেন এবং আমার সংগীদেরকে আমার পিছনে বসাবার হুকুম দিলেন আর তাদেরকে
লক্ষ্য করে বললেন, যদি তোমাদের সংপী মিথ্যা বলে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে’ ৷
আবু সুফিয়ান বলেন, “আমি জানতাম যে, যদি আমি মিথ্যে বলি তাহলে আমার সংপীরা প্রতিবাদ
করবে না, কিন্তু আমি ছিলাম একজন সর্দার ও নেতৃস্থানীয় সম্মানিত ব্যক্তি ৷ কাজেই আমি মিথ্যা
বলাটাকে লজ্জাজনক মনে করলাম ৷ আমি আরো জানতাম যে, যিথ্যার মত সামান্য কিছু ত্রুটিও
যদি তারা আমার মধ্যে দেখতে পায়, তাহলে তারা এটা নিয়ে মক্কায় সমালোচনা করবে, এজন্যে
আ ৷মি মিথ্যা বলিনি ৷
তারপর সম্রাট জিজ্ঞেস করলেন, ৩৫ আমাদের মধ্যে যিনি নুবুওতের দা ৷বী করেছেন তার সম্বন্ধে
আমাকে বিস্তারিত সংবাদ পরিবেশন কর ৷ আবু সুফিয়ান বলেন, আমি তাকে খাটো করে
দেখাবার প্রয়াস পেলাম ৷ তা ই আমি বললাম, আপনার যা কিছু জান র দরকার মনে করেন, তা
জিজ্ঞেস করতে পারেন ৷ তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যেত তার বংশ মর্যাদা কেমন ? উত্তরে
আমি শুধুমাত্র বললাম, আমাদের মধ্যে তার বংশ মর্যাদা উত্তম ৷ তিনি ন্,ৱললেন আমাকে তুমি
সংবাদ দাও যে, তা ৷র পরিবারের মধ্যে পুর্বে কেউ এরুপ দ ৷বী করেছিল কি না ? তাহলে বুঝা যেত
যে, তিনি৩ তার অনুকরণ করছেন ৷’ আমি বললাম, না’ ৷ তিনি বললেন আমাকে সংবাদ দাও যে
তার কোন রাজত্ব ছিল কি না-য৷ তোমরা তার থেকে জােরপুর্বক ছিনিয়ে নয়েছ ? সুতরাং এটাকে
তোমাদের থেকে ফেরত নেবার জন্যে৩ তিনি নুবুওভ্রুত র দাবী করছেন ৷ আমি বললাম, না ৷ তিনি
বললেন, তাহলে তার অনুসারীদের ব্যাপারে আমাকে সংবাদ দাও যে তারা কারা ? অ৷ ৷মি বললাম ,
কিশোর , দুর্বল এবং নিঃস্ব গোত্রের লোকেরা ৷ তবে তাদের মধ্যে যারা ভদ্র ও উচ্চ বংশের তারা
তাকে বিশ্বাস করছেন৷ ৷ ’ তিনি বললেন, অড়ামাকে সংবাদ দাও যে, তার অনুসারীরা তাকে
ভালবাসে এব× সম্মান করে কি না ? নাকি তাকে ঘৃংা৷ করে কিৎবা তার থেকে পৃথক হয়ে যায় ?
আমি বললাম, এমন কোন অনুস৷ ৷রী তার নেই যেত তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ তিনি বললেন
এখন আমাকে তুমি তোমাদের ও তার মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের খবর দাও খতন আমি তাকে
বললাম, যুদ্ধ হচ্ছে একটি পানির বালতির ন্যায় কখনও আমাদের দখলে থাকে আবার কখনও
তার দখলে থাকে ৷ অর্থাৎ পালাক্রমে জয় পরাজয় চলছে ৷ ’ তিনি বললেন, আমাকে সংবাদ দাও
তিনি ওয়াদ৷ ভঙ্গ করেন কি ?’ আবু সুফিয়ান (রা) বললেন “তাকে ওয়াদ৷ ভৎগকারী হিসেবে
চিহ্নিত করার কোন সুযোগ না পেয়ে শুধুমাত্র বললাম, না৩ তবে আমরা তার সাথে একটি চুক্তির
মধ্যে আছি, এ ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা নেই যে, তিনি কোন প্রকার ওয়াদ৷ ভৎগ করবেন না ৷
আল্লাহর শপথ, রোম সম্রাট আমার এ কথার প্রতি কোন কর্ণপাতই করলেন না ৷ ’ আবুসুফিয়ান
র(া) বলেন, তারপর আব৷ র৩ তিনি কথা শুরু করলেন এব× বললেন তুমি বলেছ তিনি তোমাদের
মধ্যে উত্তম ব×শের সন্তান ৷ এরুপে আল্লাহ্ তা আলা নবীপণকে উত্তম ব ×শ হতে মনোনীত
করেন ৷ আমি ওে তামাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে তার পরিবার পবিজনের মধ্যে কেউ কি তার মত
এরুপ দাবী করেছে ? তাহলে বুঝতাম যে, তিনিও অনুরুপ বলছেন ৷ তুমি বলেছ, না’ আবার
তোমাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম৩ তার ৷কি কো ন রাজত্ব আছে যা তোমরা তার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছ
? সুতরা× তিনি তার রাজত্ব ফিরে পাবার জন্যে নুবুওয়াতের দাবী করছেন ৷ তুমি উত্তরে বলেছ
না ৷ তোমাকে আমি তার অনুসারীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছি ৷ উত্তরে তুমি বলেছ, তারা
কিশোর, দুর্বল ও নিঃস্ব গোছের লোকজন ৷ আর সকল যুগের নবীদের অনুসারীর৷ এরুপই
ছিলেন ৷ আবার আমি৫ তামাকে প্রশ্ন করেছি যে, যারা তার অনুসারী তারা কি ভাবে ভালবাসে
এবং সম্মান করে ? না তাকে ঘৃণা করে ও তার থেকে পৃথক হয়ে যায় ? তুমি বলেছ, যারা তার