এরপর আল্লাহ ত ৷আলা মুনাফিকদের নিন্দা করেছেন যারা গোপনে গোপনে বনু নাযীর
গোত্রের লোকদেরকে প্ররোচণা দিয়েছিল ৷৩ তারা ওদেরকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু
কো ন সা ৷৩াহায্যই ৷র৷ করেনি ৷ বরং ইয়াহ্রদী গোত্র যখন সাহায্যের জন্যে অধিকতর মুখাপেক্ষী ছিল
তখন তারা ওদেরকে হতাশ করেছে, লাঞ্চুনার পথে ঠেলে দিয়েছে এবং সাহায্যের অঙ্গীকার দিয়ে
প্রতারণা করেছে ৷ এ প্ৰসংগে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
আপনি কি মুনাফিকদেরকে দেখেননি ?৩ তারা কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদের
সে সব সঙ্গীকে বলে ওে আমরা যদি বহিবৃচত হও আমরা অবশ্যই তোমাদের সাথে দেশত্যাগী হব
এবং আমরা তোমাদের ব্যাপারে কখনো কারো কথা মানব না ৷ যদি তোমরা আক্রান্ত হও আমরা
অবশ্যই তােমাদেরকে সাহায্য করব ৷ কিন্তু আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, ওরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী ৷
বস্তুতঃ তারা বহিষ্কৃত হলে মুনাফিকর৷ তাদের সাথে দেশ ত্যাগ করবেন৷ এবং ওরা আক্রান্ত হলে
এরা ওদের সাহায্য করবে না ৷ এরা সাহায্য করতে এলেও অবশ্যই পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে ৷ অতঃপর
তারা কো ন সাহায্যই৷ পা বে না ৷ (৫৯ হ শব ং ১১, ১২) ৷
এরপর আল্লাহ্ তা আল৷ ওই সুরাতে ৩মুনাফিকদের কা পুরুষত৷ মুর্থত৷ ও নির্বৃদ্ধিতার কথা
উল্লেখ করেছেন ৷ এরপর শয়তানের সাথে তাদের উদাহরণ দিয়েছেন ৷ যেমন, শয়তান মানুষকে
বলে কুফরী কর ৷ অতঃপর সে যখন কুফরী করে শয়তান তখন বলে, তোমার সাথে আমার কোন
সম্পর্ক নেই, আমি জপ৩ সমুহের প্রতিপালক আল্লাহ্কে ভয় কবি ৷ ফলে উভয়ের পরিণাম হবে
জাহান্নাম ৷ সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং এটিই যালিমদের কর্মফল ৷
আমর ইবন সুদ৷ আল কুরাযী-এর ঘটনা
আমর ইবন সৃদা আল কুরাযী বনুনাষীর গোত্রের মহল্লায় গিয়েছিলেন ৷ সেটি তখন ছিল জন-
মানববিহীন বিরান এলাকা ৷ সেখানে ডাকা রও কেউ ছিল যা উত্তর দেয়ারও কেউ ছিল না ৷ অথচ
বনু নাযীর গো এ ছিল বনুকুরায়যা র তুলনায় শক্তিশালী ও মর্যাদ বদান ৷ বনু নাযীর গোত্রের এ পরাজয়
ও দুঃখজনক পরিণতি আমর ইবন সু দাকে ইসলাম গ্রহণে এবং তাওরাতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ্ (সা)
-এর পরিচিতি প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করে ৷
ওয়াকিদী বলেন, ইব্রাহীম ইবন জা ফর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনুনাষীর
গো ৷এ মদীনা থেকে নির্বাসিত হবার পর আমর ইবন সু দা তাদের বাসন্থ নে আসে এবং ঘুরে ঘুরে
সেই বিধ্বস্ত বাডীঘর দেখতে থাকে ৷ এই ধ্বংসদ্ভুপ নিয়ে সে চিন্তা ভ৷ ৷বন৷ করে ৷ এরপর সে বনু
কুরায়য৷ গোত্রের এলাকায় যায় ৷ সে তাদেরকে তাদের উপাসনালয়ে সমবেত দেখতে পায় ৷ সে
তাদের উপাসনালয়ের শিঙ্গায় ফুৎকার দেয় ৷ বনু কুরায়যার সকল ইয়াহ্রদী সেখানে জমায়েত হয় ৷
তাকে উদ্দেশ্য করে যুবায়র ইবন বাতা বলল, হে আবু সাঈদ! এ৩ দিন আপনি কোথায় ছিলেন ?
সে মুলত সব সময় উপাসনালয়ে থ কতা ইয়াহুদী ধর্মে সে একজন নামযাদাউপাসক ছিলা সে
বলল, আমি আজ একটি বিরাট শিক্ষণীয় বিষয় দেখেছি এবং সেখান থেকে আমি শিক্ষা গ্রহণ
করেছি ৷ আমি আজ আমাদের ধর্মীয় তাই বনু নাযীর গোত্রের বাসন্থানগুলো দেখে আসলামা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী, শৌর্য বীর্যের অধিকারী ওই ইয়াহদী ভাইদের ঘরবাড়ীগুলো আমি দেখলাম
একেবারে বিধ্বস্ত ধ্বংসপ্রাপ্তা তারা তাদের ধন-সম্পদ রেখে চলে গিয়েছো অন্যেরা৩ তার মালিক
হয়েছে ৷ ওরা বেরিয়ে গিয়েছে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ো আসমানীাবভ্রুতাব তাওরাতের কনমা
যে জাতির উপর এমন করুণ পরিণতি চাপিয়ে দেওয়া হয় তেমন জাতির আল্লাহর কোন প্রয়োজন
নেই ৷ ইতোপুর্বে স্ন্তুাম্ভ ইয়াহ্রদী ব্যক্তিত্ব কাব ইবন আশরনাযীর উপর লাঞ্চুনাকর পরিণতি
এসেছো ইয়াহুদীদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ইবন সুনায়না-এর উপপ্হ্র;ও দুঃখজনক পরিণতি নেমে
এসেছো বনুকায়নুকা গোত্রও লাঞ্চুনাকর পরিণামের মুখোমুখি হয়েছো ওরা অত্যন্ত শক্তিমান ও
সণ্ড্রাভ ইয়াহ্রদী গোত্র ছিল ৷ কিন্তু মুহাম্মাদ (সা) ওদেরকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন ৷ ওদের তো
অস্ত্রশব্স্ত্রর কো ন কমতি ছিল না ৷ তা সত্বেও মুহাম্মাদ (সা) তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন ৷
যে ই মাথা বের করেছে৩ তাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ শেষ পর্যন্ত আপােসে এসেছে
উভয়পক্ষ ৷ ইয়াছবিব থেকে তাদের বহিষ্কারের শর্ত মেনে নিয়ে তারা প্রাণে বেচে গেছো
হে ইয়াহদী গোত্র কুরায়যা সম্প্রদায় যা দেখার ভোমরাতাে দেখেছ ৷ এবার তোমরা আমার
কথা মেনে নাওা চল সবাই গিয়ে মুহাম্মাদ (সা) এর আনুগ৩ অবলম্বন করি ৷ আল্লাহর কসম
তোমরা (তা অবশ্যই জ্ঞা৩া ৩আছ যে, তিনি স৩া নবীা ইয়াহদী পণ্ডিত ইবন হায়বানু আবুউমায়র
এবং ইবন হিরাশ আমাদেরকে তার আগমন সম্বন্ধে ইতিপুর্বেই সুসৎবাদ দিয়েছেন ৷৩ তার পরিচয়
জানিয়েছেনা ওরা দু’ জন ইয়াহ্রদী সম্প্রদায়ের অন্য৩ ম প্রধান জ্ঞানী ব্যক্তি ৷ তারা দু’ জন তো
আমাদেরকে মুহাম্মাদ (সা) এর আগমনের প্ৰতীক্ষায় থাকতে বলেছিলেন ৷ এবং৩ তার আবির্ভাব
হলে তার অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছিলেনা৩ তারা দু’ জন আমাদের নিকট এসেছিলেন বায়তুল
মুকাদ্দাস থেকো তারা আমাদেরকে বলেছিলেন, মুহাম্মাদ (না)-কে তাদের পক্ষ থেকে সালাম
জানানোর জন্যে ৷ এরপর তারা দুজন ওই ধর্মমত নিয়ে মারা গেছেনা আমাদের পণ্ডিতগণ
তাদেরকে দাফন করেছেন ৷ আমর ইবন সুদার বক্তব্য শুনে সবাই চুপ মেরে গেল ৷ কেউই কোন
কথা বলল না, এরপর সে তার বক্তাব্যর পুনরাবৃত্তি করলো এবং তাদেরকে যুদ্ধ গ্রেপ্তারী এবং
দেশত্যাগের ভয় ভীতি দেখানা এবার যুবায়র ইবন বাতা মুখ থুলল, সে বলল, আসমানী কিতাব
তাওরাতের কসম বাতার নিকট রক্ষিত মুসা এর উপর নাযিল কৃত তাওরাতে ৩আমি মুহাম্মাদ
(সা) এর পরিচিতি ও গুণাবলী পাঠ করেছি ৷ তবে আমরা মাছানী নামের যে তাওরাত তৈরী
করেছি৩ তাতে ওই সব বর্ণনা নেই ৷ এবার কা ব ইবন আসাদ তাকে বলল, তাহলে আাপনি হে আবু
অ আবদুর রহমান ! ওই নবীর অনুসরণ করছেন না কেন ? সে বলল, নবীর অনুসরণে আমার বাধা
তা হে কাব, আপনি নিজো কাব বলল, তা কেমন করে ? তাওরাতের কলম আমিওো
কখনো আপনার এবং ওই নবীর মাঝখানে অম্ভরায় হইনিা এবার যুবায়র বলল, হা, ঠিক৩াইা
আপনি হলেন আমাদের চুক্তি ও অঙ্গীক৷ ৷রে নেতৃন্থানীয় ব্যক্তি ৷ আপনি ওই নবীর অনুসরণ করলে
আমরাও র্তা র অনুসরণ করব ৷ আপনি ত কে প্রত্যাখ্যান করলে আমরাও প্রত্যাখ্যান করব ৷ আমর
ইবন সৃদ৷ কা র এর মুখোমুখি হল এবং ওদের উভয়ের আলোচনার জের ধরে বলল, হে কা র
ওই নবীর অনুসরণের ব্যাপারে আমার বক্তব্য৩ তাই না আপনি বলেছেন যে, “কারো অনুসরণকা
ও অনুষঙ্গী হতে আমার মন চায় না ৷” বায়হ৷ কী (র) এটি বর্ণনা করেছেন ৷
বনু লিহয়ান অভিমুখে অভিযান
বায়হাকী দালাইল গ্রন্থে এ ঘটনাটির উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক (রা) হিশাম সুত্রে যিয়াদ
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, খন্দকের যুদ্ধ এবং বনু কুরায়যার যুদ্ধের পরবর্তী দ্বিতীয় বছরের
জুমাদ৷ ল উলা মাসে এই অভিযান সং ঘটিত ৩হয় ৷ এ বংনািটি বায়হাকীর বংনাি ৷র চা ৷ইতে অধিকতর
গ্রহণযোগ্য ৷ আল্লাহ্ই৩াল জানেন ৷ বায়হাকী বলেন, আবু আবদুর হ — — — আহমদ ইবন
আবদুল জাব্বার প্রমুখ বলেছেন, খুবায়ব (রা )ও তা ৷র সা ৷থিপণের শা হাদতের পর বনুলিহ্য়ান গোত্র
থেকে রক্তপণ উসুল করার দাবী নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা থেকে বের হলেন ৷ বাহ্যত তিনি
সিরিয়ার দিকে যাত্রা করলেন ৷ যাতে কেউ বুঝতে না পারে যে, তিনি মুলত: বনু লিহয়ানের
গোত্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন ৷ বনু লিহয়ানের হুযায়লের এলাকায় গিয়ে দেখতে পেলেন যে, ওরা
আক্রমণের আশংকায় সতর্কতাস্বরুপ পাহাড়ের চুড়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৷ এ অবস্থায় রাসুলুরাহ্
(সা) বললেন, এখন আমরা যদি উছফা ৷ন অঞ্চলে অবত তরণ করি তাহলে কুরায়শরা মনে করবে যে,
আমরা মক্কা আক্রমণের উদ্দেশ্যে এসেছি, তিনি ২০০ অশ্বারোহী নিয়ে যা ত্রা করলেন ৷ উছফান
অঞ্চলে এসে তিনি র্তাবু খাটালেন ৷ দু’জন অশ্বারোহীকে তিনি প্রেরণ করলেন ৷ তারা কুরা
আল গামীম অঞ্চলে আসে ৷ত তারপর ফিরে যায় ৷
আবুআইয়াশ যুরাকী বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উছফান নামক স্থানে সালাতুল খাওফ বা
ভয় কালীন নামায আদায় করেছিলেন ৷ ইমাম আহমদ (রা) বলেন, আবদুর রাঘৃযাক — ইবন
আইয়াশ বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে উছফান নামক স্থানে ছিলাম ৷ মুশরিকরা
সেখানে আমাদের মুখোমুখি হয় ৷ ওদের নেতৃত্বে ছিল খালিদ ইবন ওয়ালীদ ৷ আমাদের আর
কিবলা ৷র মধ্যস্থানেত তার৷ অবস্থান করছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আমাদেরকে নিয়ে যুহরের নামায
আদায় করলেন ৷ একই সাথে নামাযরত দেখে মুশরিকগণ বলাবলি করতে লাগলো খনত এমন
একটা সময় ছিল যে, আমরা ওদের উপর অত র্কিতে আক্রমণ করলে ওদেরকে পরাজিত করে
মালপত্র দখল করে নিতে পারতাম,তারা আরো বলল যে, একটু পরে ওদের অপর একটি
নামায়ের সময় আসবে যে নামায ওদের নিকট আ ৷পন প্রাণ এবংঅ আপন পুত্রকন্যার চেয়েও প্রিয় ৷
ওই নামাযে দাড়ালে আমরা ওদের উপর আক্রমণ করব ৷ এই প্রেক্ষাপটে তয়কালীন নামায
সম্পর্কিত কয়েকটি আয়াত নিয়ে যোহর আর আছরের মাঝামাঝি সময়ে হযরত ৩জিবরাঈল (আ )
অবশীর্ণ হলেন ৷ সে আয়াত টি হল, এবং আপনি
যখন ওদের মাঝে অবস্থান করবেন ও তাদের সাথে সালাত কায়েম করবেন তখন তাদের একদল
আপনার সাথে যেন দাড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে ৷ তাদের সিজদা শেষ হলে তারা যেন
আপনাদের পেছনে অবস্থান করে , আর অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয়নি তার৷ আপনার