ব্লগ পোস্ট

ভালবাসা দিবস বনাম ধর্ষণ ও ব্যাভিচার দিবস

ভালবাসা দিবস বনাম ধর্ষণ ও ব্যাভিচার দিবস

ভালোবাসা দিবস, এটাকি কোন মুসলিমজাতির জন্য? না কি খ্রীস্টানদের ধর্ম?? এই বিষয়ে কিছু কথা লিখবো, আশাকরি সকলেই মনোযোগ সহকারে পড়বেন। ★ হে মুসলমান যুবক যুবতী ছেলে মেয়েরা! ভালোভাবে মনে রাখবে, খ্রিস্টানদের এক লম্পট বদমাস, যুবক ছেলেকে যখন যে কোন একটা অপরাধের কারনে জেলখানায় নিয়ে গেলো। ঐ লম্পটটা ঐ কারাগারে থেকেও ঐ খানকার, একটা মেয়ের প্রেমে পরেছিলো, দীর্ঘ সময় প্রেম করার পর, তার মনের চাহিদা মিঠানোর আগেই ঐ খ্রিস্টান ছেলের মরন হয়ে গেলো, কিন্ত সে মরনের আগে খ্রিস্টানদের কাছে একটা চিটি লিখে গিয়েছিলো যে, সে কি রকম প্রেমিক, আর মজার কথা হলো সে দিনটাই ছিলো ১৪ এ ফ্রেব্রুয়ারী, সে কারনে খ্রীস্টানেরা এই দিনটাকে অনেক সুন্দর ভাবে পালন করে। ইতিহাস পড়ো সব বুঝতে পারবে, ইনশাআল্লাহ। ★★ আমি বলতে চাই ইহুদী খ্রীস্টানদের ধর্মের চেয়ে' বেশি ভালোবাসার কাহিনী বা ইতিহাস. আমাদের মুসলিম ধর্মে কি নাই???? অব্যশই আছে অনেক বেশি অনেক অনেক যা সকল ধর্মের ভালোবাসা এক করলেও মুসলিম ধর্মের ভালোবাসার সমান কখনো হবেনা হবেনা হবেনা। আরে এইটাকি কোন ভালোবাসা হলো?? বরং তা নষ্টামি বদমাশি লম্পট গিরি বৈ কিছু নয়। এটাকে ভালোবাসা বলেনা, হে যুবক ছেলে মেয়ে! যাকে ভালোবাসার দরকার ছিলো' তাকে ভালো না বেসে, তুমি একজন পরপুরুষ! পরমহিলার! সাথে যিনা ব্যাবিচারে ভালোবাসার নাম দিয়ে লিপ্ত হচ্ছো। যা করা মুসলিম ধর্মে সম্পুর্ন রুপে হারাম হারাম হারাম, না জায়েয কাজকর্ম। ★ এবার দেখো ইসলামের ইতিহাস মুসলিম ধর্মে কি ভালোবাসা নাই?? হ্যাঁ অব্যশই আছে সে ভালোবাসা হলো, আল্লাহ এবং তাঁর রসূল কে ভালোবাসা। সে ভালোবাসা হলো, নিজের মা বাবা কে ভালোবাসা, সে ভালোবাসা হলো, ভাই বোন আত্বিয়স্বজন দের ভালোবাসা।। এটাই আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, জনাবে মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ ( সাঃ)। আর এটাই উত্তম শিক্ষা, ★ সাহাবায়ে কেরামগন এর ইতিহাস পড়ো, দেখো সে ইতিহাস বদর যুদ্ধের ইতিহাস, দেখো সে ইতিহাস ওহুদ যুদ্ধের ইতিহাস, নবীজীর প্রেমে ভালোবাসায় নিজের জিবনকে বিলীন করে দিয়েছে। ★ একটা শিক্ষনীয় ইতিহাস, আব্দুল্লাহ ইবনে হুজাইফা ( রাঃ) কে যখন রুমসম্রাটের বাদশা বন্দি করলো। তখন সম্রাট তাকে বললো, হে হুজাইফা তুমি কি চাও? প্রয়োজনে তোমাকে আমার রুম রাজ্যের অর্ধেক সম্পত্তি লিখে দিব।আমার সু্ন্দর মেয়ের সাথে তোমার বিবাহ দিবো। যত টাকা চাও সব দিবো, তার পরেও তুমি, মোহাম্মদ (সাঃ) এর ধর্ম ছেড়ে দাও, এই কথা শুনে হুজাইফা (রাঃ) এতো বেশি অগ্নিশর্মা হলেন যে, তার ঘাড়ের রগগুলা ফুলে গেলো, আর চিৎকার দিয়ে বল্লো হে রুমসম্রাট কান দিয়ে শুনে রাখ, তোদের কাছে টাকাপয়সা ধনসম্পদ আর সুন্দরি নারী পছন্দ হতে পারে কিন্ত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মতের কাছে আল্লাহ ও তার রসূলের জন্য শহীদ হওয়া এর চেয়েও বেশি পছন্দ।। আল্লাহু আকবার ★★ তাই বলছি সকল ভাই-বোনদের ১৪ এ ফ্রেব্রুয়ারীর নষ্টামি থেকে বিরত থাকুন।এবং সকলে মিলে ভালবাসা দিবসকে ধর্ষণ দিবস ও নোংরামী দিবস জেনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্জন করি।এবং ব্যাপকভাবে দাওয়াতের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে আল্লাহর বান্দাদেরকে আল্লাহর গজব থেকে বাচায়।আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন।আমীন। ফয়েজ আল হুসাইনী
সব ব্লগ পোস্ট নছীহত ক্যাটাগরি