ওদের বাসস্থান হল ধ্বংসের আখড়া ৷ সংকটময় মুহুার্ত৩ ততাদের মনোভাব ও অভিমত হয়
জন্তু জানােয়ারের মনোভাবের ন্যায়
ইবন ইসহাক বর্ণনা করেছেন যে, রাজী“ এর ঘটনায় যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের প্রশংসা
করে এবং কবিতায় তাদের নাম উল্লেখ করে হযরত হাসসান ইবন চ্যাযিত (বা) বলেন০ ং
রাজী এর ঘটনায় যারা নবী (না)-এর নির্দেশ পালন করেছেন ম া আল্লাহ তাদের প্ৰতি ৩দয়া
করুন ৷ বস্তুতঃ তারা সম্মানিত হয়েছেন এবং পুরস্কৃত হয়েছেন ৷
ওই অভিযানের প্রধান ও আমীর ছিলেন মারছাদ (রা) ৷ তা ণের ইমাম ৷ছলেন ইবন বুকায়র
(রা) ও খুবায়ব (রা ) ৷
ইবন তারিক এবং ইবন দাছিন্না ওই দলে ছিলেন ৷ নির্ধারিত মৃত্যু সেখানে তাকে পেয়ে বসে ৷
গ্রএে
ওই রাজীর ঘটনায় নিহত হয়েছেন আসিম (রা) , তিনি বহু উচ্চ মযাদা অর্জন করেছেন ৷
নিঃসন্দেহে তিনি মর্যাদা অর্জাকা রী ৷
প্ৰতিশোধ গ্রহণকারীদেরকে তিনি তারাপিঠ স্পর্শ করা থেকে বিরত রেখেছিলেন ৷ শে যে পর্যন্ত
তিনি তরবারি পরিচালনা করেছেন ৷ নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন এক অভিজাত পুরুষ ৷
ইবন হিশাম বলেন, উপরোক্ত কবিতাযে হযরত হাসৃসান (বা ) এর অনেকেই৩ তাীকার
করেন না ৷
আমর ইবন উমাইয়া দিমারীর (বা) অভিযান
ওয়াকিদী বলেন, ইব্রাহীম ইবন জাফর আবদুল ওয়াহিদ ইবন আবু আওফ থেকে বণ্নাি
করেন ৷ তিনি বলেন , মক্কায় আবু সুফিয়ান ইবন হারব কুরায়শী কতক লোককে ডেকে বলেছিল ,
এমন কেউ কি নেই যে কুট কৌশলে মুহাম্মাদকে হত্যা করতে পারে ? মুহাম্মাদ তোা৩াবিক-
ভাবে হাটে বাজারে চলাফেরা করেন ৷ত তা হলে আমাদের প্রতিশোাধ (নয়৷ হয়ে যেতো ৷ জনৈক
বেদুইন তার এ ঘোষণা শুনে তার বাড়ীতে এলো ৷ সে তাকে বলল আপনি যদি আমার পাথেয় ও
প্রয়োজনীয় বাহনের ব্যবস্থা করেন তবে আমি ঘুহাম্মাদ্দের উদ্দেশ্যে বের হব এবং কুট কৌশলে
তাকে হত্যা করব ৷ পথঘ ট আমার নখ দর্পনে ৷ আমার সাথে আছে শকুনের চঞ্চুর মত একটি
খঞ্জর ৷ আবু সৃফিয়ান বলল, তুমি আমাদের কাৎখিত বন্ধু বটে ৷ সেত তাকে একটি উট এবং পর্যাপ্ত
পাথেয় দিয়ে বলল, (৩ আমার ব্যাপারটি খুবই গোপন বাখ(ব ৷ কারণ, আমার আশংকা আছে যে
কেউ এটা জানতে পারলে মুহাম্মাদকে জ নি(চ্ ৷(দরে ৷ (বদুইনটি বলল না কেউই তা জানতে
পারবে না সওয়ারীতে চড়ে (স রাতের (বলা যাত্রা করল ৷ পাচ দিন পথ চলার পর ষষ্ঠ দিনের
(ভার(বল৷ (স গিয়ে পৌছে য়াহ্রুল হাই” ১ গোত্রের নিকট ৷ এবার রাসুলুল্লাহ্ ( সা)-এর ঠিকানা
জিজ্ঞেস করতে করতে (স এগিয়ে যাচ্ছিল ৷ অবশেষে (স রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এব নামা(যর স্থানে
এসে পৌছে ৷ জনৈক লোক তাকে জানায় যে, তিনি (তা বনুআশহাল (পা(ক্রা নিকট গিয়েছেন ৷
আগত্তুক তার সওয়ারী চালায় ওই গোত্রের দিকে ৷ সেখানে এসে (ল সওয়ারী বেধে (র(খ
রাসুলুল্লাহ (সা) এর খোজে (বর হয় ৷ সে তাকে দেখতে (পান ৷৷ ৷ তিনি ৩খন মসজিদে
সাহাবী(দর সমাবেশে কথা বলছি(লন, (স সেখানে প্রবেশ করলো ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা ) তাকে (দা
(ফলেন ৷ তিনি সাহাবীদেরকে বললেন এর মতলব ভাল নয় ৷ (লাকটি নিশ্বাসঘাতকতার উদ্দেশ্যে
এসেছে ৷ তার উদ্দেশ্যে পুরণে অল্লাহ তা আলা প্ৰতিবন্ধক৩ ৷ সৃষ্টি করবেন ৷ (লাকটি দা ভাল এবং
বলল, আবদুল মুত্তালিরের বংশধবটি (ক ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আ ৷মিই আবদুল মুওালি(বর
বংশধর ৷ সে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে গোপনে কথার ভ ন করে তার প্রতি ঝুকে পড়ছিলা
উসায়দ ইবন হুযায়র৩ ৩াকে টেনে ধরেন এবং বলেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে দুরে সরে দাড়ও ৷
তিনি তার পায়জামার ভেতরের অংশ টেনে ধরতেই ৩ার খঞ্জরটি বেরিয়ে পড়লাে ৷ তিনি বললেন
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্৷ এ (তা (দখছি বিশ্বাসঘাতক৷ দুবৃাতিকারী ৷ আরব (বদুইনটির মাথা লজ্জায় (ইট
হয়ে (গল ৷ (স বলল, (হ মুহাম্মাদ! আমাকে প্রা(ণ রক্ষা করুন আমাকে বাচান ৷ উসায়দ ইবন
হুযায়র তাকে জাপ(ট ধরলেন ৷ তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন সতি ৷ করে বল তুমি :ক ?
এখানে এসেছ (কান উদ্দেশ্যে ? সত্য বললে (তামার ল৷ ভ হ(ব ৷ আ ৰু ৷যদিা নথ্যা বল (বত (জনে
(রখ (তামার উদ্দেশ্য কি তা আমার অজানা নেই ৷ (বদুইনটি বলল সত্য বললে আমি কি
নিরাপত্তা পাব ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হা তুমি নিরাপত্তা পারে৷ আবুসুফিয়ান তাকে যা বলেছে,
যে জন্যে পাঠিয়েছে এবং তাকে যা যা পাথেয় ও উপহার দিয়েছে তার সবই সে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
(ক খুলে বলল ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশে তাকে উসায়দ ইবন স্তুয়ায়রের ততুাবধা (ন
বন্দী করে রাখা হয় ৷ পরের দিন (তা র (বলা রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি ( ৩ামা(ক নিরাপত্তা
দিলাম ৷ এখন (তামার যেখানে যেতে মন চায় তুমি যেতে পার ৷ তবে এর চাইতে (তামার জন্যে
অধিক কল্যাণকর একটি পথ কি তুমি গ্রহণ করবে ? (স জি(জ্ঞল করল, সেটি কী ? রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, তুমি সাক্ষ্য দিবে (য় , আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ (নই এবং এ সাক্ষ্য দিয়ে যে
আমি ন্আল্লাহ্র রাসুল ৷ (স বলল :
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি (য, আল্লাহ ব্যতীত (কান ইলাহ্ (নই এবং (হ মুহাম্মাদ (সা) আপনি
নিশ্চয়ই আলাহ্র রাসুল ৷ ) (হ মুহাম্মাদ (সা)! আমি (৩ ৷ মানুষের পম্পো দিয়ে সম্মুখে অগ্রসর
হচ্ছিলাম ৷ কিন্তু যখনই আপনাকে দেখলাম আমার বুদ্ধিশ্ৰিরেক্ ও তানুভুতি (লাপ (পয়ে (গল ৷
আমি দুর্বল হয়ে (গলায় ৷ পরক্ষ(ংাই আমার লক্ষ্য ও উ(দ্দশ্যের কথা আমার ম্মর ণ হল ৷ তখনই
১ টীকা : বায়যাবী(ত শব্দটি হাবা বলে উল্লিখিত হয়েছে ৷
আপনি আমার মতলবের কথা বলে দিলেন ৷ অথচ অন্য কেউ আমার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত
ছিল না ৷ আমি তখনই বুঝে নিয়েছি যে, আপনি সুরক্ষিত ৷ আপনি সাও ৷র উপর আছেন ৷ আর
আবু সুফিয়ান ও তার দলবল শয়তানের দল ৷ তার কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুচকি মুচকি
হাসছিলেন ৷ কয়েকদিন সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট অবস্থান করে ৷ এরপর তিনি তাকে অন্যত্র
যাওয়ার অনুমতি দেন ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবার ছেড়ে পথে বের হয় ৷
এই প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমর ইবন উমাইয়৷ দিমারী এবং সালাম৷ ইবন আসলাম ইবন
হুরায়সকে নির্দেশ দিয়ে বললেন, তোমরা দুঅনে অভিযানে বের হও ৷ তোমরা আবু সুফিয়ান ইবন
হারবের নিকট যাবে এবং সুযোগ পেলে তাকে হত্যা করবে ৷ আমর (রা ) বলেন, আমি আর
আমার সাথী দৃজনে যাত্রা করি ৷ ইয়াজিজ নামক প্রাম্ভরে এসে আমরা যাত্রা বিরতি করি এবং
আমাদের উট বেধে রাখি ৷ আমার সাথী আমাকে বলল, হে ৰুা৷ম ৷৷র ৷ আপনি কেমন মনে করেন
যে, এই সুযোগে আমরা মক্কায় গিয়ে সাতবার তা ওয়ায১ করি এবং দু রাক আত নামায আদায়
করি ৷ আমি বললাম, মক্কায় অধিবাসীদেরকে আমি তোমার চ৷ ৷ইতে বেশী চিনি ৷ সন্ধ্য৷ হলে তারা
ঘাস পাতা বিছিয়ে৩ তার মধ্যে বসে থাকে ৷ মিশ্রবর্পের ঘোড়াকে ঢেনার চেয়েও আমি মক্কা শহর
বেশী চিনি ৷ আমার সাথী তার কথায় অটল থাকল ৷ আমার কথা শুনল না ৷ আমরা যাত্রা করে
মক্কায় পৌছি ৷ সা৩ তবার বায়তুল্লাহ্ শরীফের চাবিদিকেত ৩াওয়াফ করি ৷ দু রাকআত নামায আদায়
করি ৷ সেখান থেকে বের হবার পর আবু সুফিয়ানের পুত্র মুআবিয়ার আমাদের সাথে দেখা হয় ৷
আমাকে চিনে ফেলে ৷ সে বলল, তোমার জন্য দুঃখ হয়, হে আমর ইবন উমাইয়৷ ! মক্কাবাসীদের
কে উদ্দেশ করে আমাদের ব্যাপারে সে সর্তক করে দিল এবং বলল, আমরের মতলব ভাল নয় ৷
জারুহলী যুগে আমর রেপরোয়৷ ও লড়াকু প্রকৃতির ছিলেন ৷ মুআবিয়ার ডাক শুনে মক্কাবাসীরা
বেরিয়ে এল এবং এক জায়গায় জড়ো হল ৷ এদিকে ওদের অবস্থা দেখে আমর ও সালামা (বা)
দু জনে পালিয়ে গেলেন ৷ ওরা তাদের খোজে বের হল ৷ পাহান্ড় পাহাড়ে তন্ন তন্ন করে খুজলাে ৷
আমর বলেন, আমি দ্রুতবেগে একটি গুহায় ঢুকে পড়ে তাদের সৃষ্টির আড়ালে চলে যাই, ভোর
পর্যন্ত আমি ওখানে ছিলাম ৷ তারা সারা রাত পাহাড়ে আমাদেরকে খুজে বেড়ায় আল্লাহ তাআলা
তাদের নিকট মদীনায় পথ অজ্ঞাত রেখেছিলেন ৷ পরদিন পৃবাহ্নে উছমান ইবন মালিক ইবন
উবায়দৃল্লাহ্ তামীমী সেখানে ঘোড়ার জন্যে ঘাস সং গ্রহ করতে আসে ৷ আমার সাথী সালামা ইবন
আসলামকে আমি বললাম যে, উছমান যদি আমাদেরকে দেখতে পায় তবে সে মক্কাবাসীদেরকে
আমাদের কথা জানিয়ে দিবে ৷ এথনতে৷ ওরা আমাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷ ঘাস সংগ্রহ
করতে করতে উছমান আমাদের গুহার একেবার নিকটে চলে আসে ৷ আমি গুহা থেকে বের হই
এবং তার বুকে খঞ্জব বসিয়ে দেই ৷ সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আর্তনাদ করতে থাকে ৷
মক্কাবাসিগণ চারিদিকে চলে গিয়েছিল ৷ তার চীৎকার শুনে সবাই সেখানে একত্রিত হল ৷ আমি
আমার গুহায় লুকিয়ে বইলাম ৷ আমার সাথীকে বললাম , খবরদার , একটুও নড়াচড়৷ করবে না ৷
ওরা সকলে উছমানের নিকট এল এবং তাকে আঘাত করেছে কে তা জিজ্ঞেস করল ৷ সে বলল,
আমাকে আঘাত করেছে আমর ইবন উমা ইয়া দিনমারী ৷ আবু সুফিয়ান মন্তব্য করল যে, আমি
আগেই বলেছি সে কোন ভাল ম৩ লবে মক্কায় আসেনি ৷ উছমারুনব তখন মুমুর্বু অবস্থা ৷৩ তাই সে
আমাদের অবস্থান ওদেরকে জানাতে পারেনি ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেইত তার মৃত্যু হয় ৷ ওকে নিয়ে ব্যস্ত
হয়ে পড়ায় তারা আমাদের খোজে মনোযোগ দিতে পারেনি ৷ ওরা তাকে তুলে নিয়ে পেল ৷ ওই
জায়গায় আমরা দু’রা ৷ত অবস্থান করি ৷ আমাদেরকে খোজার চাঞ্চল্য যখন স্তিমিত হয়ে পড়ল তখন
আমরা ওই গুহ৷ (ছড়েত তানঈম গিয়ে পৌছলাম ৷ আমার সাথী আমাভৈ:ক রলল আচ্ছা আমরা ৷যদি
হযরত থুবায়রের হতাকাল্ডের স্থানে য ই এবং তার তলের কাষ্ঠ (থকে তাকে নামিয়ে আনি
তাহলে কেমন হয় ? আমি বললাম, খুবায়ব (রা) এখন কোথায় ? সে বলল, তিনি তে তা শুলিবিদ্ধ
অবস্থায় রয়েছেন ৷ শত্রুপক্ষের প্রহরীগণ তার লাশ পাহার৷ দািয় যাচ্ছে ৷ আমি বললাম, তুমি
আমাকে একাকী যাওয়ার সুযোগ দাও তুমি দুরে সরে থেকে৷ ৷ শ্াত্রএপবক্ষর আশ কা সৃষ্টি হলে
তুমি তোমার উটে চড়ে সোজা মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট নিয়ে যাবে এবং আমাদের
সকল সৎব ৷দ তাকে অবহিত করবে ৷ আমার ব্যাপারে মাথা ঘামাবে না৷ < ণ আমি মদীনার পথ
ঘাট চিনি ৷ আমি খুবায়বের (রা) লাশ খুজতে তলাপলাম ৷ এক পযারুহ্৷ তা প্য়ে ও গোলাম ৷ সুযোগ
বুঝে তাকে পিঠে তুলে নিলাম ৷ ২০ হাতের মত পথ চলার পর প্ৰহবীব৷ ঘুম থেকে জেগে গেল
এবং আমার পদচিহ্ন অনুসরণ করে আমাকে ধরার জন্যে এগুতে লাগল ৷ কাঠসহ্ হযরত
থুবায়বের (বা) লাশ আমি মাটিতে রেখে পায়ে মাটি টেনে নত৷ ঢেকে দিলাম ৷ তখ্যা ওই কাঠ
থেকে একটি শব্দ বের হয়েছিল ৷ ওই শব্দ আমি এখনও তুলতে পারি না ৷ তাকে মাটি চাপা দিয়ে
আমি সাফরার পথে অগ্রসর হলাম ৷ ওরা আমার নাগাল পেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেল ৷ আমি
জীবিত ছিলাম বটে; কিন্তু তখন আমার দেহে কো ন অনুভুতি ৩ছিল ন৷ ৷ আমার সাথী সালামা ইবন
আসলাম তার উটে চড়ে বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ফিরে যায় এবং সকল সং বাদ তাকে অবহিত
করে ৷ আমি মদীন ৷র পথে অগ্রসর হলাম, চলতে চলতে আমি এসে পৌছল৷ ম য়াজনান গোত্রের
মরুদ্যানের নিকট ৷ সেখানে আমি একটি গুহায় আশ্রয় (নই ৷ আমার সাথে ছিল আমার ধণুক ,
তীর এবং খঞ্জর ৷ আমি গুহায় ছিলাম ৷ এমতাবস্থায় বানু দায়ল ইবন বকর গোত্রের একজন
দীর্ঘদেহী র্টের৷ চােখ৷ লোকত তার ছাগপাল নিয়ে এগিয়ে এল ৷ সে গুহায় মধ্যে ঢুকে জিজ্ঞেস
করল, তুমি কে হে ? আমি বললাম, আমি বানু বকর গোত্রের লোক ৷ সে রলল , আমিও বকর
গোত্রের লোক ৷ এরপর সে হেলান দিয়ে মনের সুখে নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতে লাগল :
আমি মুসলমান নই ৷ যতদিন বেচে থাকি মুসলমান হবে৷ ন৷ ৷ আমি মুসলমানদের ধর্ম মানি
না ৷
আমি মনে মনে বললাম, আমি তো তোমাকে খুন করব ৷ সে ঘুমিয়ে পড়ল ৷ আমি তাকে
অত্যন্ত নির্মমতাবে হত্যা করলাম ৷ আমি গুহ৷ থেকে বেরিয়ে পথে নেমে এলাম ও আমার সাথে
কুরায়শদের প্রেরিত দু’জন গুপ্তচরের দেখা হয় ৷ ওদের উদ্দেশ্যে আমি বললাম, তোমরা দুজনে
আত্মসমর্পণ কর ৷ ওদের একজনত তা মেনে নিতে অস্বীকার করল ৷ আমি তৎক্ষণাৎ ভীর নিক্ষেপে
তাকে হত্যা করলাম ৷ এটি দেখে অনজেন আত্মসমর্পণ করলো ৷ আমি ভালভাবে তাকে বেধে
নিলাম ৷ তারপর তাকে নিয়ে রওয়ান৷ করলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উদ্দেশ্যে ৷ আমি যখন মদীনায়
এসে পৌছি তখন খেলা ধুলায় মগ্ন আ ৷নসারী শিশুরা আমার নিকট উপস্থিত হয় ৷ বয়স্ক লোকদেরকে
যখন তারা বলতে শুনল যে, “এই আমর” “এই আমর তখন শিশুরা দৌড়ে পি(য় রাসুলুল্লাহ
(সা) (ক সংবাদ জানানো ৷ আমি সাথে করে নিয়ে এসেছি ওই (লা ব টিকে ৷ আমার বনুকের ছিলা
দ্বারা মযবুত করে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি বেধে (রখেছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) )-এর প্রতি তাকিয়ে দেখি যে
তিনি হাসছেন ৷৩ তারপর তিনি আমার জন্যে দু আ করলেন৷ আমর( র(া) এর মদীনায় পৌছার
তিনদিন পুর্বে সালামা ইবন আসলাম মদীনায় পৌছে গিয়েছিলেন ৷ বায়হাকী (র) এটি বর্ণনা
করেছেন ৷
ইতিপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, আমর (রা) হযরত থুবায়ব (রা)–(ক গুলি কাষ্ঠ থেকে নামা(নার
সাথে সাথে তার শরীর কিৎবা শরীরের (কান অংশ দেখতে পাননি ৷ সম্ভবতঃ যে স্থানেই তার
পবিত্র (দহ পড়েছিল সেখানেই তার দাফন হয়ে গিয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন ইসহ ক এই অভিযানের কথা উল্লেখ না করলেও ইবন হিশাম এই অভিযানের কথা
উল্লেখ করেছেন ৷ ওয়াকিদী যেমনটি বর্ণনা করেছেন, ইবন হিশ্াম ও (৩ তমনটি করেছেন ৷ তবে
তার বর্ণনায় আছে (য়, এই অভিযানে আমর ইবন উমাইয়ার (রা) সাথী ছিলেন জাব্বার ইবন
সাখর ৷ আাল্লাহ্ইভা ৩াল জানেন ৷ সকল প্রশংসা তারই জন্যে ৷
বি র-ই-মাউনার অভিযান
এ ঘটনাটি ঘটেছিল : র্থ হিজরীর সফর মাসে ৷ মাকহুল (র ) এ বিষয়ে একটি একক মন্তব্য
করেছেন (য়, এ ঘটনাটি ঘটেছিল খন্দক যুদ্ধের পর ৷ বুখারী (র) বলেন, আবু মা’মার
আনাস ইবন মানিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্
(সা) ৭০ জন সাহাবী সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছিলেন ৷ তারা কুর্বা বা কুরআন
বিশেষজ্ঞ রুপে পরিচিত ছিলেন ৷ মাউনা কু(য়া নামে একটি কু(য়ার নিকট বনু সুলায়ম (পাত্রের
বিল ও যাকওয়ান নামে দুই উপগােত্র তাদের উপর আক্রমণ করে ৷ সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহর
কসম আমরা (তা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি ৷ আমরা (বর হয়েছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
একটি বিশেষ কাজে ৷ কাফিরেরা ৩াদের কথায় কর্ণপাত করলো না ৷ তারা তাদেরকে হত্যা
করলো ৷ এ প্রেক্ষিতে একমাস যাবত রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফজরের নামায়ে কুনুত ৩-ই-নাযিলা পাঠ করে
তাদের জন্যে বদ দু’আ করেন ৷ তখন (থকেই কুনুত পাঠের সুচনা হয় ৷ ইতিপুর্বে আমরা কুনুত
পাঠ করতাম না ৷
মুসলিম (র ) হাম্মাদ ইবন সালামা আনাস (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণাা করেছেন ৷ এরপর বুখারী
(বা) বলেছেন, আব্দুল আলা ইবন হাম্মাদ আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন
(য়, রিল, যাকওয়ান উসা ইয়া এবং বনু লিহ্য়ান (গাত্রের (লা(করা তাদের শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে
রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাহায্য প্রার্থনা করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদের সাহায্যার্থে ৭০ জন সাহাবী
প্রেরণ করেন ৷ আমরা তাদেরকে কিরআত বিশেষজ্ঞ বলে অভিহিত কর৩াণ্ম ৷ সহজ সরল এই
সাহাবীগণ দিনভর কাঠ সংগ্রহ করতে ন জীবিকা অর্জনের জন্যে ৷ আর সারারাত নামায আদায়
করতেন ৷ তারা বি র-ই-মাউনা নামক কু(য়ার নিকট পৌছার পর উল্লিখিত গোত্রের লোকেরা
বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং এই সাহাবীদল(ক হত্যা করে ৷ এই দুঃসৎবাদ পৌছে রড়াসুলুল্লাহ্