Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » উমরতুল হুদায়বিয়া : বুখারীর বর্ণনা

উমরতুল হুদায়বিয়া : বুখারীর বর্ণনা

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • উমরাভুল হুদায়ৰিয়া : বুখারীর বর্ণনা

    বুখারী (র) কিতাবুল মাগাযীতে আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ মিসৃওয়ার ইবন মাখৃরামা ও
    মাৱওয়ান ইবন হকােম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ভীরা উভয়ে বলেন যে , হুদাব্রিয়ার বছর রাসুলুক্ট্রণ্াহ্
    (সা) তের শতাধিক সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে বের হন, যুল হুলায়ফছু ’ নামক স্থানে পৌছে তিনি
    হাদী’ তথা কুরবানীর পশুকে কালাদা পরানৰু চিহ্নিত করেন এবং সেখান থেকে উমরার ইহ্রাম
    ৰ্বাধেন এবং খুযাআ গোত্র থেকে একজন গুপ্তচর প্রেরণ করেন ৷ নবী করীম (সা) চলতে থাকেন
    তিনি গাদীর আল-আশতাত’ নামক স্থানে পৌছলে গুপ্তচর তার কাছে এসে বলে :

    কুরায়শরা আপনার বিরুদ্ধে সোকবল সমবেত করেছে তারা আপনার বিরুদ্ধে আহাবীশ
    দেরকেও একত্র করেছে, তারা আপনার সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং বায়ভু-ল্লাহয় গমন করতে আপনাবেঃ

    তোমরা কি মনে কর, যারা আমাদেরকে বায়তুল্লাহ্র যিয়ারত করতে বাধা দেয় আমি তাদের
    পরিবার ও সন্তানদের দিকে এগিয়ে নিয়ে হামলা চালাবাে ? তারা আমাদের নিকট এলে আল্লাহ
    তাতা৷লা মুশরিকদের একটা দলকে ধ্বংস করে দেবেন অন্যথায় আমরা তাদেরকে যুদ্ধে বিপর্যস্ত
    অবস্থায় ছেড়ে আসব্যে, তখন আবু বকর (রা) বললেন : ইয়া রাসুল্মল্লাহ্ (সা)! আপনিতাে
    বায়তুল্লাহ্ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, আমরা কাউকে হত্যা করতে চাই না ৷ কারো সঙ্গে
    যুদ্ধ করতে চাই না ৷ আপনি যে লক্ষোই মনোনিবেশ করুন, তবে কেউ আমাদেরকে বাধা দিলে
    আমরা তার সঙ্গে লড়াই করবো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, তাহলে আল্লাহ্র নাম নিয়ে
    তোমরা সম্মুখে অগ্রসর হও ! বুখারী এখানে এ পর্যন্ত বর্ণনা করেছোদ্ভ, এরচোয় বেশী কিছু উল্লেখ
    করেননি ৷ বুখারী (র) কিতাবুশ শুরুত তথা জিহ দের শর্ত অধ্যাৰ্হৃদ্র আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ —
    মিসওয়ার ইবন মাখৃরামা ও মারওয়ান ইবনুন হাকাম সুত্রে বর্ণনা করেন :

    হুদায়ৰিয়ার দিনগুলোতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বইির্প৩ হলেন ৷ তিনি তখনো পথে ৷ এমন সময়
    রাসৃলুরাহ্ (সা) বললেন : খালিদ ইবন ওয়লীেদ কুরায়শ দলের অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে অগ্রগামী
    দলরুপে গামীম’ নামক স্থানে আছে ৷ সুতরাং তোমরা ডান দিকের পথ ধরে অগ্রসর হও ৷ রাবীদ্বয়
    বন্ল্াম আল্লাহ্র কসম, খানিদ তাদের সম্পর্কে জানতে পারেনি ৷ যতক্ষণ না তারা সৈন্যদের চলার
    ধুলা তারা দেখতে পায় ৷ তখন খালিদ কুরায়শকে সতর্ক করার জন্য ছুটে যায় ৷ নবী করীম্ (সা )
    পথ চলা অব্যাহত রাখেন ৷ তিনি যখন ’ছানিয়া’ নামক স্থানে পৌছেন, যেখান থেকে নিচে ন্া৷মতে
    হয়, সেখানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উটনী বসে পড়ে তখন লোকেরা ওঠ ওষ্ঠ বলে তাকে ড়াবার
    চেষ্টা চালান, কিন্তু উটনীঢি বসেই থাকে, লোকজন বলাবলি করতে থাকেন যে, কাসওয়া অবাধ্য
    হয়ে বসে পড়েছে ৷ তখন রাসুল (সা) বললেন কাসওয়া বসে ণড়েনি, আর এটা তার স্বভ্যবও
    নয়; বরং যিনি হাতিকে রোধ করেছিলেন তিনি কাসওয়াকেও রোধ করেছেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্
    (সা) বলেন , ক্রারশর৷ যদি আমার নিকট এমন কিছু দাবী করে, যাতে তারা আল্লাহ্র নিদর্শনরাজির
    সম্মান রক্ষা করবে তবে আমি তাদেরকে তা বোঝা ৷ এরপর তিনি উটনীকে হাকালে সে উঠলাে ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সেখান থেকে সরে গিয়ে দুরবর্তী এমন একটা হজােযর নিকট অবস্থান
    গ্রহণ করেন ৷ যেখানে সামান্য পানি আছে : সেখানে যে সামান্য ৷ লোকজন তা তুলে

    নেন ৷ সেখানে যের্টুকু পানি ছিল তা নিঃশেষিত হল তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা )এর নিকট পিপাসার
    অভিযোগ করেন ৷ তখন তিনি তৃণীর থেকে একটা তীর বের করে তা সেখানে রাখতে বলেন ৷
    আল্লাহর কসম, সেখান থেকে পানি উথলে উঠে, যাতে তারা তা থেকে তৃপ্ত হতে পারেন ৷

    তারা সেখানে অবস্থান কালে বুদায়ল ইবন ওয়ারাকা খুযায়ী তার স্বগােত্রীয় কয়েকজন
    লোকসহ সেখান উপস্থিত হন ৷ তিহামার এ গোত্রটি ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কল্যাণকামী ৷
    বুদায়ল বলেন : আমি কাব ইবন লুয়ইি এবং আমির ইবন লুয়ইিকে হুদায়বিয়ার কুপের নিকট
    দেখে এসেছি ৷ তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারের লোকজনও রয়েছে ৷ তারা আপনার সঙ্গে যুদ্ধ
    করে বয়েতৃল্পাহ্র যিয়ারত থেকে আপনাকে বাধা দিতে উদ্যত ৷ তখন রসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন :
    আমরাভাে কারো সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আসিনি, আমরা এসেছি উমর করার উদ্দেশ্যে ৷ আর
    যুদ্ধতে৷ কুরায়শদেরাক পেয়ে বসেছে ৷ তারা চাইলে আমি তাদেরকে সময় দিতে পারি, যাতে
    তারা আমার এবং অন্যান্য লোকদের মধ্যে অন্তরায় না হয় ৷ আমি যদি বিজয়ী হই, তারা ইচ্ছা
    করলে ঐ দীনে প্রবেশ করবে, যাতে অন্যান্য লোকেরা প্রবেশ করেছে আর তা যদি না হয় তবে
    তাে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেল ৷ আর যদি তারা একান্তই অস্তরায় সৃষ্টি করে তা হলে যে
    সত্তার হাতে আমার জীবন, তার শপথ করে বলছি ৷ এ বিষয়ে আমি তাদের সঙ্গে লড়ইি চালিয়ে
    যাবো, যতক্ষণ আমার গদনি বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় এবং আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়ে যায় ৷ তখন
    বুদায়ল বলে : আপনি যা বললেন, আমি তাদের কাছে তা পৌছিয়ে দেবাে ৷ তিনি রওয়ানা হয়ে
    কুরায়শের নিকট গমন করে বলেছেন ৷ আমরা সে লোকের নিকট থেকে আসছি এবং তিনি যা
    বলেছেন আমরা তা শুনেছি ৷ তোমরা শুনতে চাইলে আমরা তােমাদেরকে শুনাতে পারি ৷ তখন
    তাদের মধ্যকার বোকা লোকেরা বললো : তুমি আমাদেরকে সে লোকের কথা শুনাবে আমাদের
    তাতে কোন কাজ সেই ৷ কিন্তু তাদের মধ্যেকার প্রাজ্ঞ লোকের বললো ;; বল সে কি বলেছে ৷
    বুদায়ল বললো : আমি তাকে এরুপ এরুপ বলতে শুনেছি ৷ একথা বলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা
    বলেছেন : তিনি তাদ্যোকে তা শুনালেন ৷ তার কথা শুনে উরওয়া ইবন মাসৃউদ সাকাফী দাড়িয়ে
    বলে : হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা ! আমি কি পিতৃস্থানীয় নই ৷ তারা বললো : হা ৷ আবার
    তিনি বললেন : তোমরা কি সন্তান তৃল্য নও ? তারা বললো : হা ৷ তিনি বললেন : তবে তোমরা
    কি আমার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ কর ? তারা বললো, না , তোমার বিরুদ্ধে আমাদের কোন
    অতািযাগ নেই ৷ তিনি বললেন : তোমরা কি জাননা যে, আমি উকাযবাসীদের সাহায্যের জন্য
    ডেকেছি তার! এগিয়ে আসতে অস্বীকার করলে আমি আমার লোকজন এবং অনুগতদেরকে
    ডাকি, তারা বললো, আপনি ঠিক বলেছেন ৷ তখন তিনি বললেন : এ ল্যেকটি তোমাদের নিকট
    হিদায়াত ও বলাশ্ণের পথ উপস্থাপন করেছে ৷ তোমরা তা মেনে নাও ৷ তোমরা বললে আমি তার
    নিকট যেতে পারি ৷ তারা সকলে বললো, হা তার কাছে যাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ নিকট গিয়ে উরওয়া তার
    সঙ্গে কথা বলেন ৷ নবী করীম (সা) বুদায়লকে যা বলেছিলেন, উরওয়াকেও অনুরুপ কথা
    বললেন ৷ এ সময় উঃৰ্ওয়া বলেন :

    হে মুহাম্মাদ ! তোমার কি মনে হয় ? তুমি কি তোমার নিজের সম্প্রদায়ের সর্বনাশ সাধন
    করতে চাও ? তুমি কি ইতিপুর্বে (কান আরব সম্পর্কে শুনেছ, যে নিজের (ল্যকজনের বিনাশ
    সাধনের জন্য উদাত হয়েছে? অন্যথায় আমি এমন মুখ দেখতে পাচ্ছি, তোমার পেছনে আমি

    এমনসব লোক জড়ো হতে দেখছি ৷ যারা তোমাকে ত্যাগ করে চলে যাবে ৷ তখন হযরত আবু
    বকর (রা) তাকে বললেন : তুমি লাত দেবীর অঙ্গ বিশেষ চুষগে (তুমি কি মনে কর) তাকে ত্যাগ
    করে আমরা পলায়ন করবো ? তার কথা শ্রবণ করে উরওয়৷ জানতে চায় লোকটি কে ? লোকেরা
    জানায়, ইনি আবু বকর ৷ উরওয়৷ বলেন, আমার প্রতি যদি ণ্তামার অনুগ্রহ না থাকতো, যার
    প্রতিদান এখ্যনা আমি দিতে পারিনি৩ ৷ তাহলে আমি তে তামার কথার জবাব দিতাম ৷ রাবী বলেন,

    উরওয়া নবী করীম (না)-এর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন ৷ এ সময়ও তিনি রাসুল (না)-এর দাড়ি
    মুবারকে হাত রাখেন তখর মুগীরা ইবন শুব৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷সা)-এর থিংনে দন্ডায়মান ৷ তার হাতে
    ছিল তলোয়ার, মাথায় শিরস্ত্রাণ ৷ উরওয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দা রুঢ়র দিকে হাত বাড়ালে মুগীরা
    তার বাট দ্বারা আঘাত করে বললেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দা৷ড় মুবারক থেকে হাত সরাও ৷
    তখন উরওয়া মাথা তুলে বলেন, এ লোকটি কে : লোকেরা বলে ’ মুগীর৷ ইবন শুবা ৷ উরওয়া
    বলেনষ্ ং হে বিশ্বাসঘাত ক তোর বিশ্বাসঘাতকতার মাশুল বি আমি ৷দয়ে যাচ্ছি না ? জাহিলী যুগে
    একদা মুগীরা ইবন শু বা কিছু লোকের সঙ্গে চলছিল ৷ তিনি রুশ্ ৷দ্:দংাকে হত্যা করে তাদের সম্পদ
    নিয়ে পালিয়ে আসেন ৷ পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললে৷ : আমি তোমার
    ইসলাম গ্রহণ মেনে নিচ্ছি, বিতু৷ তোমার সম্পদের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷

    এরপর উরওয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাহাবীদেরকে গভীর দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করেন ৷ তিনি
    দেখতে পান যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর থুথু কোন সাহাবীর হাতে পড়লে তিনি তা মুখে আর গায়ে
    মেখে নেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে কোন নির্দেশ দান করলে তারা তা পালন করার জন্য ছুটে
    যান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উয়ুকরলে তার উযুর পানি নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগে যান এবং
    তিনি কথা বললেত তারা নিজেদের আওয়ায নিচু করে তা শুনেন এবং তার সম্মানার্থে তারা তার
    দিকে সরাসরি তাকান না ৷ উরওয়া তার সম্মানার্থে তারা তার দিকে সরাসরি তাকাল না ৷ উরওয়া
    তার কুরায়শদের নিকট ফিরে গিয়ে বললেন : আল্লাহর কসম, আমি রাজা রাদা৷হদের দরবারে
    প্রতিনিধি হিসাবে গিয়েছি ৷ কায়সার কিসরা এবং নজােশীর দরবারেও আমি উপস্থিত হয়েছি ৷ আমি
    কোন রজ্যে-বাদশাহ্যক তার সঙ্গী-সাখীদের এত তাযীম বম্মাত দেখিনি যত সম্মান করতে দেখেছি
    মুহাম্মাদকে তার সাথীদের ৷ এরপর তিনি পুর্বোক্ত কথাগুলো উল্লেখ করেন ৷ অবশেষে তিনি বলেন
    যে, তিনি তোমাদের সম্মুখে আলোকমালা উপস্থাপন করেছেন, তোমরা তা মেনে নাও ৷

    তারপর বনু কিনানার জনৈক ব্যক্তি বলে ৷ তোমরা আমাকে যেতে দাও, আমি তার কাছে
    যইি ৷ সকলে বলে : যাও! লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এবং তার সাহাৰীদ্দের নিকট উপস্থিত হলে
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখে বললেন : এতো অমুক ব্যক্তি, এমন এক সম্প্রদায়ের সাথে তার
    সম্পর্ক, যারা কুরবানীর পশ্যুক সম্মান করে ৷ তার সম্মুখে কুরবার্নীর পশু হাযির কর ৷ কুরবানীর পশু
    হাযির করা হলে লোবেল্পা লাব্বায়িক লাব্বায়িক উচ্চারণ করে তাকে অভর্বৃথন৷ জানায় ৷ এ অবস্থা
    দেখে লোকটি বলে উঠে, সুবহানাল্লাহ্৷ এমন লোকদেবকে বায়ত ল্লাহ্ থেকে বাধা দেওয়া সমীচীন
    নয় ৷ সঙ্গীদের নিকট প্রত্যাবর্তন করে লোকটি বলে, আমি কুরবানীর পশু দেখেছি সেগুলোকে
    মালা পৱানো হয়েছে এবং চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ আমার মনে হয়, বায় তুল্লাহ্ যিয়ারভে তাদেরকে
    বাধা দেয়া উচিত হবে না ৷

    এরপর তাদের এক ব্যক্তি যাকে বলা হয় মুকরিয ইবন হাফ্স দাড়িয়ে বলে, আমাকে তার
    নিকট যেতে দাও ৷ সকলেই বললো, ঠিক আছে, যাও ৷ সে উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    বললেন, এতো মুকরিয্ ৷ একজন পাপাচারী লোক! লোকটি রাসুলুল্লাক্ট্র (সা)-এর সঙ্গে কথা
    বলছিল, এমন সময় সুহায়ল ইবন আমর উপস্থিত হন ৷ মামার ইকরামা সুত্রে বলেন যে,
    সুহায়ল ইবন আম্র উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : তোমাদের জন্য ব্যাপারটা সহজ করা
    হয়েছে ৷ মামার বলেন, ঘৃহরী বলেন, সুহায়ল এসে বলেন, চলুন আমরা আমাদের এবং
    আপনাদের মধ্যে চুক্তি লিপিবদ্ধ করি ৷ তখন নবী (সা) লেখক ডাকালেন এবং তাকে বললেন :
    লেখ বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ৷ সুহায়ল বলে উঠলেন : আল্লাহ্র কনম , রহমান কি আমরা
    তো আমি না ৷ বরং তুমি লেখ বিসৃমিকা আল্লাহুমা ৷ তখন মুসলমানরা বললেন, আল্লাহর কসম ,
    আমরা বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ছাড়া অন্য কিছু লিখবাে না ৷ তখন নবী করীম (সা)
    বললেন : বিসমিকা আল্লাহুষ্মইি লিখ ৷ এরপর বললেন : এ হল যে চুক্তি যাতে মুহঙ্গোদুর
    রাসুলুল্লাহ্ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৷ এতে সুহায়ল আপত্তি জানিয়ে বলেন ং আল্লাহ্র কসম, আমরা
    আপনাকে যদি রাসুল বলে স্বীকার কঃতোম তাহলে তো আপনাকে বায়তৃল্লাহ্ যিয়ারত করতে বাধা
    দিতামনা, আপনার সঙ্গে আমরা যুদ্ধও করতাম না, বরং আপনি মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ লিখুন ৷
    তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :

    আল্পাহ্র কলম ! তোমরা আমাকে অস্বীকার করলেও আমি অবশ্যই আল্লাহ্র রাসুল, (হে
    আলী !) তুমি লেখ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ৷

    এরপর যুহরী আবু জন্দলের পায়ে শিকলসহ আগমন, তাকে ফেরত দান এবং রাসৃলুল্লাহ্
    (না)-এর সাথে উত্তপ্ত বাক্য ৰিনিময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার বর্ণনা ইতিপুর্বেও দেয়া
    হয়েছে ৷

    তারপর যুহ্রী (র) বলেন, হযরত উমর (রা) বলেন, এ ( সব কড়াকড়া ) কথার জন্য
    পরবর্তীকালে আমি অনেক আমল করেছি (যাতে আল্লাহ তাআলা আমার সেসব গুনাহ মাফ
    করেন) ৷ যুহ্রী (র) আরো বর্ণনা করেন যে, চুক্তিপত্র লিপিবদ্ধ করার কাজ সম্পন্ন হলে রাসুলুল্লাহ্
    (না) তার সাহাবীগণকে বললেন : তোমরা ওঠ৷ কুরবানী কর, তারপর মাথা মুণ্ডন কর, তিনি
    বলেন, আল্লাহর শপথ, রাসুল (সা) একথা তিনবার না বলা পর্যন্ত সাহাবীদের কেউই উঠে
    র্দাড়াননি ৷ এরপর রাসুল (সা) হযরত উষ্মে সালামা (রা)-এর নিকট গিয়ে তার কাছে ণ্লকােদঃ এ
    আচরণের কথা উল্লেখ করেন ৷ তখন উষ্মে সালাম! বলেন : হে আল্লাহর নবী ! আপনি কি এটা
    পসন্দ করেন ৷ আপনি নিজে বের হোন, কাংরা সঙ্গে কোন কথা না বলে নিঃজঃ পশু যবাই করুন
    এবং ক্ষীরকারকে ডেকে নিজের মাথা ঘুশুন করুন ৷ তিনি বের হলে কারো সঙ্গে কথা না বলেই
    এটা করলেন ৷ নিজের পশু যবাহ করলেন এবং গৌরকারকে ভো:ক মাথা মুপ্তন করান, সাহাবীগণ
    এটা দেখে উঠে র্দাড়ালেন এবং সকলে কুরবানী করলেন ৷ সাহার্নীশণ একজন অন্যজংনর মাথা
    মুপ্ত-ন করেন ৷ এ সময় ক্ষেতে-দৃত্নখে সাহাৰীগণের এমন অবস্থা হয়েছিল, যেন একজন

    অপরজনকে হত্যা করবেন, এরপর মুমিন নারীগণ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করলে
    আল্লাহ্ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন :

    হে মুমিনগণ ! তোমাদের নিকট মুমিন নারীরা হিজরত করে আগমন করলে তোমরা
    তাদেরকে পরীক্ষা করবে, আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন ৷ যদি তোমরা
    জানতে পার যে, তারা মু’মিন৩ তবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না ৷ মু’মিন
    নারীগণ কাফিরদের জন্যে বৈধ নয় এবং কাফির পুরুষগণ মুমিন নারীদের জন্য বৈধ নয় ৷ কাফির
    পুরুষরা যা ব্যয় করেছে তাদেরকে তা ফেরত দেবে ৷ এরপর তোমরা তাদেরকে বিবাহ করলে
    তোমাদের কোন অপরাধ হবেনা ৷ যদি তোমরা তাদেরকে মহ্র দাও ৷ তোমরা কাফির নারীদের
    সঙ্গে দাম্পতা সম্পর্ক বজায় রাখবে না ৷ (৬০ মুমতাহানা : ১০)

    এ আয়াত নাযিল হলে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) জাহিলী যুগের তার দুজন শ্ৰীকে

    তালাক দেন ৷ তার তালাক দেয়া দুজন ন্তীর একজনকে বিবাহ করেন মুআৰিয়া ইবন আবু সুফিয়ান
    আর অপরজনকে বিবাহ করেন সাফওয়ান ইবন উমাইয়্যা ৷ এরপর নবী করীম (সা) মদীনায়
    প্রত্যাবর্তন করলে কুরায়শের একজন পুরুষ আবু বসীর যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তিনি
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করলে কুরায়শরা তাকে ফেরত নেয়ার জন্য দুজন লোক
    প্রেরণ করে ৷ তারা সম্পাদিত চুক্তির কথা স্মরণ করালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরায়শী মুসলিম ব্যক্তি
    তথা আবুবাসীরকে তাদের হাতে তুলে দেন ৷ তাকে নিয়ে তারা মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ৷
    যুল হুলায়ফা নামক স্থানে পৌছে তারা খেজুর খেতে বসে ৷ তাদের একজনকে আবু বাসীর
    বললেন আল্লাহর কলম আমি দেখছি, তোমার তলোয়ার খানা খুব চমৎকার, তার কথা শুনে
    লোকটি খাপ থেকে তরবারি বের করে বলেং হা আল্লাহর কলম, আসলেই তরবারিটা চমৎকার ৷
    আমি বারবার তা পরীক্ষা করে দেখেছি ৷ তখন আবুবাসীর বলেনং দেখি, তলোয়ারটা আমাকে
    দেখাও তো! যে তা দেখতে দিলে তিনি তরবারির আঘাতে তাকে হত্যা করেন ৷ অপরজন
    পলায়ন করে দৌড়ে মসজিদে নববীতে উপস্থিত হয় ৷ তাকে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
    নিশ্চয়ই সে ভীতিপ্রদ কিছু দেখতে ৩পােয়ছে ৷ সে নবী করীম (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলে ং
    আমার সঙ্গী নিহত হয়েছে, আল্লাহর কলম, আমিও হত্যার শিক৷ ৷র হবো, ইতে ৷মধ্যে আবুবাসীরও
    রাসুল (না)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করে :

    হে আল্লাহর নবী ! আল্লাহ্র কলম, আপনি আপনার চুক্তির শর্ত পালনের দায়িত্ব পুর্ণ
    করেছেন ৷ আপনি আমাকে কুরায়শ মুশরিকদের নিকট ফেরত দিয়েছিলেন আল্লাহ্ তাআলা
    তাদের কবল থেকে আমাকে নাজাত দিয়েছেন ৷ তখন নবী করীম (সা) বলেন : সর্বনাশ , সেতো
    যুদ্ধের আগুন উস্কে দিচ্ছে, যদি তার সঙ্গে অন্য কেউ থাকতো ৷ এ কথা শ্রবণ করে আবু বাসীর
    বুঝতে পারেন যে, রাসুল (না) তাকে আবারও কুরায়শদের নিকট ফেরত পাঠাবেন ৷ তিনি সেখান

    থেকে বের হয়ে সীফুল বাহ্র তথা সমুদ্র উপকুলীয় অঞ্চলে গমন করেন ৷ যুহ্রী (র) বলেন :
    এরপর আবু জুন্দল ইবন সুহায়ল ইবন আমৃরও সেখান থেকে ছুটে এসে আবু বাসীর এর সঙ্গে
    যোগ দিয়ে দেন ৷ কুরায়শদের নিকট থেকে কোন মুসলমান পালিয়ে আসলে তিনিও আবুবাসীর
    এর জোটে যোগ দিতেন ৷ এভাবে তাদের একটা দল গড়ে উঠে ৷

    কুরায়শের কোন বাণিজ্য কাফেল৷ শাম দেশের উদ্দেশ্যে গমন করছে, শুনতে পেলে তারা
    পথরোধ করে তাদেরকে হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ হস্তগত করতেন ৷ এ অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে
    কুরায়শরা নবী করীম (সা)এর প্রতি আল্লাহ এবং আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে আবেদন জানায়-
    কুরায়শদের মধ্য থেকে যে আপনার কাছে আগমন করে সে নিরাপদ ৷ সে মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    তাদের নিকট পয়গাম পাঠালে আল্লাহ তাআল৷ আ য়াত নাযিল করেন :

    তিনি মক্কা উপত্যকায় ওদের হস্ত তোমাদের থেকে এবং ৫তামাদের হস্ত ওদের থেকে
    নিবারণ করেছেন ওদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর ৷ তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা
    দেখেন ৷ ওরাইতে৷ কুফরী করেছিল এবং তােমাদেরকে মাসজিদুল হারাম থেকে নিবৃত্ত করেছিল
    এবং বাধা দিয়েছিল কুরবানীর জন্য আবদ্ধ পশুগুলোকে যথাস্থানে পৌছতে ৷ যদি এমন কতক
    মু’মিন নারী পুরুষ না থাকতো যাদেরকে তোমরা জাননা (তবে তোমাদেরকে যুদ্ধের আদেশ
    দেওয়া হতো) তোমরা তাদেরকে পদদলিত করতে অজ্ঞাতসারে ৷ ফলে তাদের কারণে তোমরা
    ক্ষতিগ্রস্ত হতে ৷ (যুদ্ধের নির্দেশ হয় নাই এজন্য যে,) তিনি যাকে ইচ্ছা নিজ অনুগ্রহ দান করবেন ৷
    যদি তারা পৃথক হতো আমি তাদের মধ্যে কাফিরদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিতাম ৷ যখন কাফিররা
    তাদের অন্তরে পোষণ করতে৷ গোত্রীয় অহমিকা অজ্ঞত৷ যুগের অহমিকা (৪৮ ফাত্হ :
    ২৪ ২৬) আর তাদের গোত্রীয় অহমিকা ছিল এই যে, তারা রাসুল করীম (সা) কে আল্লাহর নবী
    বলে স্বীকার করেনি ৷ বিসৃমিল্লাহ্ শিখাও মেনে নিতে পারেনি এবং বায় তুল্লাহ্ যিয়ারতের পথে
    অম্ভরায় হয়ে দাড়িয়েছিল ৷ এ বর্ণনায় এমনসব অতিরিক্ত বিষয় এবং চমৎকার শিক্ষণীয় জিনিষ
    আছে যা ইবন ইসহাকের বর্ণনায় নেই ৷

    বুখারী (র) কিও তাবুল শুরুত এর শুরুতে ইয়ইিয়া ইবন বুকায়র মিসওয়ার ইবন
    মাখৃরামা সুত্রে রাসুল (না)-এর কতিপয় সাহা ৷বী থেকে গোটা কাহিনী বর্ণনা করেছেন ৷ আর এটাই
    অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ ক ৷রণ হুদায়বিয়ার দিন মারওয়ান ও মিসওয়ার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন ৷ আর
    এটা স্পষ্ট যে তারা হাদীছটি সাহাবীদের নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন ৷

    বুখারী (র) হাসান ইবন ইসহাক আবু ওয়াইল সুত্রে বর্ণনা করেন যে , সুহায়ল ইবন
    হুনায়ফ সিফ্ফীন যুদ্ধ থেকে ফিরে এলে (যুদ্ধের) খবরাখবর নেয়ার জন্য আমরা তার কাছে গেলে
    তিনি বলেনং : তে তামরা নিজের মতামতের যথার্থ জ্ঞা ৷ন করবে না ৷ হুদায়বিয়ার সন্ধির দিনে আবু
    জুন্দলের ঘটনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করার সাধ্য থাকলে আমি অবশ্যই তা
    করতাম ৷ কিন্তু আল্লাহ্ এবং তার রাসুলুল্লাহ্ (সা) ই তো সবচেয়ে ভাল জানেন ৷ ইতিপুর্বে কোন
    ভয়ংকর ইস্যুতে যখনই আমরা কাধে তরবারি তুলে নিয়েছি এবং জিহাদে প্রবৃত্ত হয়েছি ৷ তখনই

    আমরা সুফল লাভ করেছি ৷ কিন্তু এ ঘটনায় অবস্থা অন্য রকম ৷ বিপর্যয়ের এক দিক বন্ধ করলে
    অন্য দিক উন্মুক্ত হয় ৷ কিভাবে উদ্ধার পেতে হবে কিছুই আমাদের বুঝে আসছিল না ৷ ১

    বুখারী (র) আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ যায়দ ইবন আসলড়াম ৷ তার পিতা সুত্রে বর্ণনা
    করেন যে, নবী করীম (সা) কোন এক সফরে গমন করেন ৷ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাবও তার
    সঙ্গে ছিলেন ৷ তখন ছিল রাত্রি বেলা ৷ উমর ইবনুল খাত্তাব রাসুল করীম (সা)-কে কোন একটা
    বিষয়ে জিজ্ঞসাে করেছিলেন; কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন জবাব দেননি ৷ এভাবে তিনবার তিনি
    জিজ্ঞাসা করেন, কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন জবাব দিলেন না ৷ তখন উমর (রা) নিজেকে
    বললেন, উমর ! ণ্তামার মা তোমাকে হারাক ৷ তুমি তিন দফা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শরণাপন্ন হলে
    কিন্তু তিনি একবারও তোমাকে জবাব দিলেন না ৷ উমর (রা) বলেন হ: এরপর আমি বাহন ছুটালাম
    এবং বাহিনীর আগে চলে গেলাম ৷ এসময় আমার আশংকা হলো, যেন আমার ব্যাপারে কুরআন
    মজীদের আয়াত নাযিল হবে ৷ একটু পরই কেউ চিৎকার দিয়ে আমাকে বলছিল উমর (রা)
    বলেন, আমার আশংকা হলো, হয়তো আমার ব্যাপারেই কুরআন নাযিল হয়েছে ৷ সুতরাং আমি
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট গমন করে তাকে সালাম দিলাম ৷ তিনি (সা) বললেন :

    আজ রাত্রে আমার উপর একটা সুরা নাযিল হয়েছে যা আমার নিকট সে সকল বস্তু থেকে
    প্রিয়, যার উপর সুর্য উদিত হয় অর্থাৎ যে সুরাটি আমার নিকট পৃথিবীর যাবতীয় বস্তু থেকে
    গ্রিয়তর ৷ এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন ও

    নিশ্চয় আমি তোমাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি ৷ আমার রচিত তাফ্সীর গ্রন্থের সুরা ফাত্হে

    এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আর ন্তুতি-স্তব আল্লাহর জন্য ৷ কেউ বিশদ
    জানতে চাইলে সেখানে দেখে নিতে পারেন ৷ আবদুল্লাহ আবদৃল্লাহ্

    ষষ্ঠ হিজরীতে পরিচালিত যুদ্ধাভিযানসমুহ

    হাফিয বায়হাকী (র) ওয়াকিদী (র) সুত্রে এ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন তার সার সংক্ষেপ

    এ বছরের রবিউল আউয়াল বা রবিউল আখির মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উক্কাশা ইবন মিহসান
    (রা)-এর নেতৃত্বে ৪০ জনের একটা বাহিনী ণামর অভিমুখে প্রেরণ করেন ৷ তাতে ছাৰিত ইবন
    আকর ও সিবা ইবন ওহবও ছিলেন ৷ এলাকার লোকজন পলায়ন করলে ঐ বাহিনীটি তাদের
    পানির কুপের নিকট শিবির স্থাপন করে তাদেরকে খুজে বের করার জন্য চতৃর্কিংক লোক প্রেরণ
    করে ৷ তারা দশ উট নিয়ে মদীনায় ফিরে আসেন ৷ ঐ বছরই আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ্-এর
    ১ ১ একদল লোক সুহায়ল ইবন হুনায়ফকে এ মর্মে অভিযুক্ত করে যে, সিফ্ফীন এর দিন তিনি

    লড়াই করতে ত্রুটি করেছেন ৷ এ অভিভৈযাগের জবাবে তিনি সে দিন বলেছিলেন তোমরা আমাকে

    নয়, বরং তোমাদের নিজেদের মতামতকে অভিযুক্ত কর ৷ কারণ প্রয়োজনের সময় আমি কোন ত্রুটি
    করিন৷ ৷ নবী করীম (না)-এর যামানায় কোন কঠিন ব্যাপারে অস্ত্র পরিধান করলে আমাদের অস্ত্র
    সহজে জায়গা মতো আমাদেরকে পৌছাতো ৷ অবশ্য সিফ্ফীনের ব্যাপারটা ছিল ভিন্ন ৷ আমরা এর

    কোন একটা দিক বন্ধ করলে অন্য একটা দিক বেরিয়ে আসভাে ৷ ফলে তা সংশোধন করা আমাদের
    পক্ষে সম্ভব হতো না ৷

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ উমরতুল হুদায়বিয়া : বুখারীর বর্ণনা Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.