বলছি, হে উমর ! আমরা কি মুহাম্মাদ (না)-(ক মেরে ফেলেছি ? উমর (রা) বললেন, তা তো
নয়ই তিনি বরং এখন তোমার বক্তব্য শুনছেন ৷ সে বলল, আপনি আমার নিকট ইবন কড়ামিয়া
অপেক্ষা অধিক সতবােদী ও পুণ্যবান ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এরপর আবু সুফিয়ান ডেকে ডেকে বলল, তোমাদের নিহতদের
অঙ্গহানি করা হয়েছে ৷ আল্লাহর কসম , তাতে আমি খুশীও নই, দুঃখিতও নই ৷ আমরা অঙ্গ
কর্তনের নির্দেশও দেইনি, তা নিয়েধ্ও করিনি ৷ যাওয়ার প্রাক্কালে আবু সুফিয়ান বলল, আগামী বছর
আবার বদর প্রান্তরে শক্তি পরীক্ষার প্রতিশ্রুতি রইল ৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷দুসশু ) জনৈক সাহাবীকে বললেন,
তুমি বলে দাও, হী আমাদের আর তোমাদের মাঝে ওই প্রতিশ্রুতি রইল ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এ পর্যায়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত আলী ( রা)-কে পাঠালেন এবং
বললেন, তুমি গিয়ে দেখ, কাফিরগণ কী করে এবং কী চায় ৰু তারা যদি ঘোড়া বাদ দিয়ে উটে
আরোহণ করে তাহলে বুঝবে যে, তারা মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করোছ ৷ আর যদি দেখ যে, তারা
উট বাদ দিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়েছে আর উটকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে তবে তারা বুঝবে যে,
তারা মদীনা অভিমুখে যাত্রা করেছে ৷ যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তার কসম , তারা যদি
মদীনায় উদ্দেশ্যে যাত্রা করে তবে আমরা তাদেরকে ধাওয়া করব এবং তাদেরকে অতিক্রম করে
এগিয়ে যাব ৷
হযরত আলী (বা) বললেন, আমি ওদের পেছন পেছন গেলাম ৷ আমি দেখছিলাম ওরা কী
করছে ৷ আমি দেখতে পেলাম যে, তারা ঘোড়া ছেড়ে উটের পিঠে আরোহণ করেছে এবং মক্কার
উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে ৷
উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দৃআ
ইমাম আহমদ (ব) বলেন, মারওয়ান ইবন মুআবিয়াহ ফাযারী — — ইবন রিফাআ তার
পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, উহুদ দিবসে মুসলমানদের আক্রমণের মুখে
মুশরিকরা যখন ছত্রভঙ্গ হয়ে ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসলমানদের
উদ্দেশে বললেন, সকলে প্রস্তুত হও! আমি আমার প্রতিপালকের গুণ পান করব ৷ সকলে তার
পেছনে সারিবদ্ধ হলেন, তিনি বলতে লাগলেন :
“হে আল্লাহ্ ! সকল প্রশংসা আপনার ৷ হে আল্লাহ্ ৷ আপনি যা প্রসারিত করেন তা কেউ
সংকুচিত করতে পাংর না ৷ আপনি যা সংকুচিত করেন, কেউ তা প্রসারিত করতে পারে না ৷
আপনি যাকে গুমরাহ করেন, কেউ তাকে সৎপথ দেখাতে পারে না ৰু আপনি যাকে সৎপথ দেখান,
কেউ তাকে গুমরাহ করতে পারে না ৷ আপনি যা দান করেন, কেউ তা রুখতে পারে না ৷ আপনি
যা আটক করে রাখেন কেউ তা দান করতে পাবেনা ৷ আপনি যা নিকটবর্তী করে দেন কেউ তা
দুরে সরাতে পারে না ৷ আপনি যা দুরে সরিয়ে দেন, কেউ তা কাছে আনতে পাবেনা ৷ হে আল্লাহ্া
আপনার বরকত, রহমত, অনুগ্রহ ও রিয্ক আমাদের জন্যে সম্প্রসারিত করে দিন! হে আল্লাহ্
আমি আপনার নিকট চিরস্থায়ী নে’মত কামনা করছি যা পরিবর্তন ও বিনড়াশ হয়না ৷ হে আল্লাহ্ ৷
আমি ওই অভাবের দিবসের জন্যে আপনার নিআমত কামনা করছি ৷ ভয়ের দিবসের জন্যে
কামনা করছি নিরাপত্তা ৷ হে আল্লাহ্ ! আপনি আমাদেরকে যা দান করেছেন তার অকল্যাণ থেকে
এবং যা দান করে নি তার অকল্যাণ থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷ হে আল্লাহ্
ঈমানকে আমাদের নিকট প্রিয় করে দিন এবং আমাদের অম্ভরে সেটিকে আকর্ষণীয় করে দিন;
কুফরী পাপাচার ও অবাধ্যতড়াকে আমাদের নিকট ঘৃণা করে দিন ; আমাদেরকে হিদায়াতপ্রাপ্তদের
অন্তর্ভুক্ত করে দিন ৷
হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে মৃ৩দ্দু দিবেন মুসলমান অবস্থায়, জীবিত রাখবেন মুসলমান অবস্থায়
এবং আমাদেরকে সৎ কর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন ৷ আমাদের লাঞ্ছিত ও বিপদগ্রস্ত করবেন
না ৷ হে আল্লাহ্ ! কাফিরদেরকে ধ্বংস করুন যারা আপনার রাসুলদেরকে অস্বীকার করে এবং
৷পনার পথ থেকে লোকদেরকে বাধা দেয় ৷ আপনার আযাব ও শান্তি তাদের জন্যে অবধারিত
করে দিন ৷ হে আল্লাহ্! সত্য মা’বুদ! কিতাব প্রাপ্ত লোকদের মধ্যে যারা কুফরী করে আপনি
তাদেরকে ধ্বংস করে দিন ৷ ইমাম নাসাঈ (র) এই হাদী যিয়াদ ইবন আইয়ুব — — — — রিফাআ
সুত্রে আল ইয়াওম ওয়াল লায়লাহ’ অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন ৷
সা’দ ইবন রবী’র শাহাদত ও হযরত হামযার অঙ্গচ্ছেদ
ইবন ইসহাক বলেন,এক পর্যায়ে লোকজন নিজেদের নিহত ব্যক্তিদেরকে খুজতে শুরু করে ৷
বানুনাজ্জার গোত্রের মুহাম্মাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান মাযিনী আমাকে জানিয়েছেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমার পক্ষে কে গিয়ে সা’দ ইবন রাবী এর খোজ নেবে সে কি
জীবিত আছে নাকি মারা গেছে ? জনৈক আনসারী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি যাব তার খোজ