থেকে বর্ণিত নজদ অঞ্চলে সালাতুল খাওফ আদায় সম্পর্কিত যুহরীর হাদীছটিও উল্লেখ করেছেন ৷
এগুলো আবুলাচনার উপযুক্ত স্থান হল “কিতাবুল আহকাম” আল্লাইে ভাল জানেন ৷
এ অভিযানে এক সাহাবীর ইবাদতে একাগ্রত৷ ও একটি পাথী ডাকার ঘটনা
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ববুলন, আমার চাচা সাদাকা ইবন ইয়াসার জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ ৷’সা) এর সাথী হয়ে যাতুর
বিকা অভিযানে বের হলাম ৷ যা তুর রিকা অঞ্চলটি ছিল প্রচুর থেজুর বৃক্ষ বিশিষ্ট ৷ জনৈক সাহাবী
এক মৃশ ৷বিকের ত্রীবুক বন্দী করেন ৷ অভিযান শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মদীনার উদ্দেশ্যে ফিরতি
যাত্রা করবুলন তখন ওই মুশ ৷রিক ব্যক্তি বাড়ী আসে ৷ মহিলাটিকে বন্দী করার সময় সে বাড়ী
ছিলনা ৷ বাড়ীতে এসে সে তার ত্রী বন্দী হবা র ৷যটনা শুনতে পড়ায় ৷ সে শপথ করে বলে যে, ঘটনার
প্ৰতিবুশাধ হিসেবে সে ঘুহ ৷ষ্মাদ (সা) এর সা ৷হাবীদের মধ্যে কারো ন ৷ কারো রক্তপাত ঘটাবে ৷ সে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পদচিহ্ন অনুসরণ করে অগ্রসর হয় ৷ এদিকে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এক জায়গায়
এসে শিবির স্থাপন করেন ৷ সাহাবীগবুণর উদ্দেশে তিনি বললেন বুক আছ আজ রাতে
আমাদেরকে পাহ৷ ৷রা দিবুব ? সাথে সাথে একজন মুহাজির ও একজন আনসারী সাহাবী বললেন,
ইয়া রাসুলা ল্লাহ্ (সা) আমরা পাহার৷ দেব ৷ তিনি নির্দেশ দিয়ে বললেন, তবুব বুত তামর৷ গিরিপবুথর
প্রবেশ দ্ব৷ রে গিয়ে অবন্থ ন গ্রহণ কর ৷ সাহাবী দুজন ছিলেন আম্মা র ইবন ইয়াসির ও আব্বাদ ইবন
ৰিশৃর ৷ গিবিপবুথর প্রবেশ দ্বাবুর গিয়ে আনসারী সাহাবী তার মুহাজির ভাইটিকে বললেন, আপনি
রাতের কোন অংশে বিশ্রাবুমর সুযোগ বুনবুবন আর আমি দায়িতৃ পালনকরব ? ঘুহাজির সাহাবী
তখন বললেন, রাতের প্রথম অ শে আপনি আমাকে বিশ্রাবুমর সুযোগ দেবেন ৷ত তারপর তিনি
ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ আনসারী সাহাবী নামায়ে দাড়াবুলন ৷ উক্ত মুশবিক ব্যক্তি সেখানে এসে পৌছে ৷
নামাযরত সাহাবী দেবুখ সে বুঝে নিয়েছিল যে এ ব্যক্তি পাহারাদার ৷ সে তাকে লক্ষ্য করেত তীর
নিক্ষেপ করে ৷ তীর তার গায়ে বিদ্ধ হয় ৷ তিনি দেহ থেকে ভীরটি খুবুল ফেলে দেন এবং
নামাবুযই দ৷ ৷ড়িবুয় থাবুকন ৷ ওই ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় বার ভীর নিক্ষেপ করে ৷ ভীরটি
সাহাবীর দেবুহ বিদ্ধ হয় ৷ এবারও তিনি ভীর থুবুল পাশে বুরবুখ দিবুলন এবং যথারীতি দ ডিবুয
নামায আদায় করতে থাকলেন ৷ মুশবিক ব্যক্তিটি র্তাকে লক্ষ্য কবুরত তস্বীয় বার ভীর নিক্ষেপ
করল ৷ বুসঢি তার শরীরে বিদ্ধ হল ৷ এবারও তিনি ভীরটি খুবুল পাশে রেবুখ দেন ৷ এবং নিয়ম
মাফিক রুকু সিজদা ৷কবুর নামায শেষ করেন ৷ তারপর তার সাথী আনসারী সাহাবীকে ঘুম থেকে
তুলে বলবুলন, উঠুন , আমি আমার দায়িত্ব পালন কবুরছি ৷ তাদের দুজনবুক কথা বলতে দেবুখ
মুশরিক ব্যক্তি ধারণা করে যে, তারা তাকে ধরার জবুন্য পরামর্শ করবুছন ৷ সে দ্রুত পালিয়ে যায় ৷
যখন আনসারী সাহাবী দেখলেন যে, মুহাজির সাহাবীর দেহ থেকে রক্ত ঝরবুছ ৷ তখন তিনি
বলবুলন, সুবহানাল্লাহ! আপনি আমাকে প্রথম ভীর বিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে ঘুম থেকে জাগাননি
কেন ? মুহাজির সাহাবী বলবুলন, আমি একটি বিশেষ সুরা পাঠ করছিলাম ৷ সুরাটি শেষ না করে
তিলাওয়াত ছেড়ে দিবুত আমার মন চায়নি ৷ কিন্তু সে যখন বার বার ভীর নিক্ষেপ করছিল তখন
আমি রুকু সিজদার মাধ্যমে নামায বুশষ করি ৷ আল্লাহর কসম ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে গিবিপথ
পাহারার দায়িতৃ দিয়েছিলেন তা পালনে ত্রুটি হবার আশং ৷ না থাকবুল আমি নামায পড়েই যেতাম
এবং সুরাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিলাওয়াতে ক্ষাম্ভ দিতাম না ৷ তাতে আমার মৃত্যু হলেও কোন
পরােয়া ছিলনা ৷ ইবন ইসহাক তার মাগড়াযী গ্রন্থে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আবু দাউদ এই
হাদীছ আবু তাওবা ইবন ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ ওয়াকিদী আবদুল্লাহ উমারী
— খাওয়াত সুত্রে সালাতুল খাওফের দীর্ঘ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ উক্ত হাদীছে বর্ণনাকারী
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই অভিযানে শত্রুপক্ষের বহু মহিলাকে বন্দী করেন ৷ বন্দী
মহিলাদের মধ্যে জনৈকা সুন্দরী দাসী ছিল ৷ তার স্বামী তাকে খুব ভালবড়াসত ৷ ত্রীর বন্দীর সংবাদ
শুনে সে শপথ করে বলেছিল সে মুহাম্মাদ (সা)-কে খুজে বের করবে এবং ওদের কারো না
কারো রক্ত প্রবাহিত না করে অথবা নিজের ত্রীকে উদ্ধার না করে :স ঘরে ফিররে না ৷ এর পরের
বর্ণনা মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের বর্ণনার অনুরুপ ৷
ওয়াকিদী বলেন, হযরত জাবির (বা) বলতেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে ছিলাম ৷
জনৈক সাহাবী একটি পাখীর ছানা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলো শু রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেদিকে
তাকিয়েছিলেন ৷ অল্পক্ষণের মধ্যে ছানাটির বড়াবা-মা অথবা তাদের কোন একটি সেখানে উড়ে
এসে সংশ্লিষ্ট সাহাবীর হাতে এসে বসে পড়ে ৷ এ ঘটনায় উপস্থিত সাহাবীগণ বিস্মিত হয়ে পড়েন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, পাখীটিব অবস্থা দেখে তোমরা অবাক হচ্ছ ? তোমরা তার ছানাটি নিয়ে
এসেছ আর সন্তান বাৎসল্যের কারণে পাথীটি নিজের জীবন তুচ্ছ জ্ঞান করে তোমাদের সম্মুখে
লুটিয়ে পড়েছেন ৷ জেনে নাও, আল্লাহ্র কসম করে বলছি এই ছানাটির প্রতি পাখীটিব মমতা
যতটুকু তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রভু ও মালিক আল্লাহ তাআলার দয়া তার চাইতে বহুগুণ
বেশী ৷
হযরত জাবির (বা) এর উটের ঘটনা
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, ওয়াহ্ব ইবন কায়সান আমার নিকট বর্ণনা করেছেন জাবির
ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথে যাতুর রিকা অভিযানে বের
হই ৷ আমি বের হয়েছিলাম আমার একটি দুর্বল উটের পিঠে চড়ে ৷ অভিযান শেষে ফেরার পথে
আমার সাথী-সঙ্গীরা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিল ৷ আর আমি দুর্বল উটের কারণে বার বার পিছিয়ে
পড়ছিলড়াম ৷ এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) পেছনে থেকে অগ্রসর হয়ে আমার নিকট পৌছে গেলেন ৷
তিনি আমাকে বললেন, জাবির ! ব্যাপার কী ? আমি বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমার এই
উট আমাকে পেছনে ফেলে রেখেছে ৷ তিনি বললেন, উটটিকে বসাও ৷ জাবির (বা) বলেন, আমি
আমার উটটিকে বসালাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার বাহন থামালেন ৷ তিনি আমাকে বললেন,
তোমার হাতের ছড়িটি আমাকে দাও অথবা একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে এনে আমাকে দাও ৷ আমি
তাই করলাম ৷ তিনি সেটি দ্বারা উটকে কয়েকটি খোচা মারলেন ৷ তারপর আমাকে বললেন,
এবার তুমি উটের পিঠে উঠে বস ৷ আমি উটের পিঠে উঠলাম ৷ উটটি চলতে শুরু করল ৷ যে
মহান সত্তা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন তার কসম করে বলছি, রাসুলুল্পাহ্
(সা) এর উটের সাথে সাথে তখনই আমার উটটিও চলতে থাকে ৷ আমি চলতে চলতে
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে আলাপ করছিলাম ৷ তিনি বললেন, হে জাবির ! তুমি কি এই উট আমার
কাছে বিক্রি করবে ? আমি বললাম , ত্মী না বিক্রি করব না; বরং সেটি আপনাকে উপচৌকন স্বরুপ
২২ —