Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » বনু হাওয়াযিনের প্রতি প্রেরিত শুজা’ ইবন ওহাব আল-আসাদীর অভিযান

বনু হাওয়াযিনের প্রতি প্রেরিত শুজা’ ইবন ওহাব আল-আসাদীর অভিযান

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • নিযুক্ত করেন ৷ আর বলেন, “যদি যায়দ (রা) শহীদ হয় তাহলে জাফর ইবন আবু তালিব (রা)
    নেতৃত্ব দেবে ৷ আর যদি জাফর (বা) শহীদ হয়, তাহলে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) নেতৃত্ব
    দান করবে ৷ লোকজন প্রস্তুতি নিতে লাগলেন এবং বের হবার চুড়ান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করলেন ৷
    সংখ্যায় তারা ছিলেন তাি হাজার ৷

    ওয়াকিদী — হাকাম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “নু’মান ইবন ফিনৃহাস
    নামক ইয়াহ্রদী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসল এবং তার সামনে লোকজনের সাথে বসল ৷
    তিনি বললেন, “যায়দ ইবন হারিছা (রা)-কে সৈন্যদলের আমীর নিযুক্ত করা হল ৷ যদি যায়দ (বা)
    শহীদ হয়ে যায় তাহলে জাফর ইবন আবু তালিব (রা) আমীর হবে ৷ আর যদি জাফর (বা)
    শাহাদত বরণ করে তাহলে আবল্লোহ্ ইবন রাওয়াহা (বা) আমীর হবে ৷ আর যদি আবদুল্লাহ ইবন
    রাওয়াহা (রা) শাহাদত বরণ করে তাহলে মুসলমানগণ নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে একজনকে
    আমীর নির্ধারণ করবে ৷” নু’মান বলে উঠল, ণ্হ আবুল কাসিম ! তুমি যদি নবী হও, তাহলে তুমি
    যাদের নাম উল্লেখ করেছ, কম হোক আর বেশী হোক, তারা সকলেই শাহাদত বরণ করবে ৷
    ফেপ্সনা, বনু ইসরাঈলের নবীগণ যখনই জাতির কাছে কোন কোন ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করতেন
    এবং বলতেন যে, অমুক অমুক শাহাদত বরণ করবে তারা শাহাদত বরণ করতেন ৷ একশ’ জনের
    ব্যাপারে এরুপ মন্তব্য করলে তাদের সকলেই শহীদ হতেন ৷ এরপর যায়দ (রা)-কে লক্ষ্য করে
    ইয়াহুদী আেকটি বলল, “হে যায়দ ! জেনে রেখো মুহাম্মাদ যদি নবী হয়ে থাকেন তাহলে তুমি
    কােনদিনও আর ফিরে আসবে না ৷ যায়দ (রা) বলেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি অবশ্যই
    একজন সত্য নবী এবং পুণ্যবান ৷” এটি ৰায়হাকীর বর্ণনা ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, “যখন সৈন্যদলের রওয়ানা হবার সময় ঘনিয়ে আসল, লোকজন
    রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিয়োগপ্রাপ্ত আমীরদের বিদায় দিলেন ও তাদের প্ৰতি সালাম বিনিময়
    করলেন ৷ অন্যান্যদের সাথে আবল্লোহ ইবন রাওয়াহা (রা) যখন বিদায় নিলেন তখন তিনি র্কাদতে
    লাগলেন ৷ লোকজন তন্কে জিজ্ঞেস ক্যাল, আপনি কেন র্কাদছেন হে ইবন রাওয়াহা ? উত্তরে তিনি
    বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমার কাছে দুনিয়ার কোন মমতা নেই কিৎবা তোমাদের প্রতিও আমার
    কোন আকর্ষণ নেই; কিতৃ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে কিতাবুল্পাহর একটি আয়াত পড়তে শুনেছি
    যার মধ্যে জাহান্নামের উল্লেখ রয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : ৷
    অর্থাৎ “এবং তোমাদের প্রত্যেকেই এটার (আহন্ন্নৰুমেরর্চু উপর
    দিয়ে অতিক্রম করবে, এটা তোমার প্রতিপালরেদ্ম অনিবার্য সিদ্ধান্ত ৷” অথচ আমি জানি না কেমন
    করে আমি সেখান থেকে উঠে আসর ৷ তখন মুসলমানগণ বলেন, আল্লাহ তোমাদের মঙ্গল
    করপ্স, শত্রু থেকে হিফাযত ৰ্ব্রুন্ এবং আমাদের মাঝে তােমাদেরকে আল্লাহ তাআলা নিরাপদে
    ফিরিয়ে নিয়ে আসুন ! এরপর আবদুঃব্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) কবিতার হুন্দে বলেন :

    কিন্তু আমি পরম দাতা আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে শত্রু পক্ষ
    থেকে এমন একটি প্রচণ্ড বহুমুখী আঘাত প্রার্থনা করছি যা রক্তের মারাত্মক বুদবুদ সৃষ্টি করবে
    অথবা যুদ্ধাগ্রে সুসজ্জিত দক্ষ হাতের বর্শা কিৎবা ভীরের আঘাত প্রার্থনা করছি যা আমার নাড়িভুড়ি
    কলিজা ভেদ করে যাবে ৷ আর আমার কবরের পাশ দিয়ে কেউ অতিক্রম করার সময় যেন বলেন,
    এ ছিল একজন খাটি মুজাহিদ ৷ আল্পাহ্ তাআলা তাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন এবং তিনিও
    সঠিক পথে চলেছেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, “এরপর বের হবার জন্যে সকল সৈন্য তৈরী হল ৷ আবদুল্লাহ ইবন
    রাওয়াহা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে বিদায় দেন ৷ তারপর
    আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) বলেন :

    “হে রাসুলাল্লাহ্ ! যে সৌন্দর্য আল্লাহ্ আপনাকে দান করেছেন মুসা (আ)-এর ন্যায় তার
    স্থায়িত্ও যেন তিনি আপনাকে দান করেন ৷ আপনাকে আল্লাহ সাহায্য করুন যেমন সাহায্য
    সাহাবীরা আপনাকে করেছেন ৷ আমি আপনাকে কল্যাণের আধাররুপে প্রত্যক্ষ করেছি ৷ আর
    আল্পাহ্ জানেন যে, আমি প্রখর দৃষ্টির অধিকারী ৷ আপনি খাটি ও যথার্থ রাসুল ৷ যে ব্যক্তি এ
    রাসুলের গুণাবলী থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখল এবং তীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল তার তাকদীর
    যেন তাকে কলুষিত করল ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, সৈন্যদল বের হলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের বিদায় সন্তাষণ জানাতে
    এগিয়ে গেলেন ৷ এরপর তাদেরকে বিদায় দিয়ে ঘরের দিকে মুখ করলেন তখন আবদুল্লাহ ইবন
    রাওয়াহা (রা) বলেন, “হে আল্লাহ্ ! এমন ব্যক্তির উপর তুমি তোমার রহ্মত বর্ষণ চিরস্থায়ী কর
    যীকে আমি বিদায় জানিয়েছি ৷ খেজুর বাগানে আর তিনিই হলেন সর্বোত্তম বিদায় সম্ভাষণকারী ও
    র্খাটি বন্ধু ৷

    ইমাম আহমদ (র) ইবন আব্বাস (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নিশ্চয়ই
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুতায় একটি সৈন্যদল প্রেরণ করেন এবং হযরত যায়দ (রা)-কে আমীর নিযুক্ত
    করেন ৷ আর তিনি বলেন, যদি যায়দ (রা) নিহত হয় তাহলে আমীর হবে জাফর (রা) ৷ আর যদি
    জাফর (রা) নিহত হয় তাহলে আমীর হবে ইবন রাওয়াহা (রা) ৷ সৈন্যদলের সকলে রওয়ানা হয়ে
    গেলেন; বিক্ষ্ম আবদুল্লোহ ইবন রাওয়াহা (রা) পিছে রয়ে গেলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
    জুর্মুআর সালাত আদায় করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাকে দেখলেন এবং বললেন, তুমি কেন
    পিছনে রয়ে গেলে ?” তিনি বললেন, “আমি আপনার সাথে জুমুআর সালাত আদায় করার

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ বনু হাওয়াযিনের প্রতি প্রেরিত শুজা’ ইবন ওহাব আল-আসাদীর অভিযান Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.