তারা ক্রয় করে নিয়েছে চিরন্তন জড়া ন্নড়াণ্ডে র পরিবর্তে এই দুনিয় জীবনকে ৷ কতই না চমৎকার
নেক্কারদের প্রত্যাবর্তন স্থল, যখন একদিন তাদেরকে ডাকা হবে আল্লাহ্র দিকে মর্যাদার সাথে ৷
খন্দক ও বনু কুরায়যার যুদ্ধ সংক্রান্ত কবিতাগুচ্ছ
ইমাম বুথারী (র) হাজ্জা জ ইবন মিনহাল বারা ই বন আঙিব সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি রাসুলে করীমকে হযরত হাসৃসানকে লক্ষ্য করে একথা বলতে শুনেছেন :
তুমি তাদের নিন্দা কর, জিব্রাঈলও এ ব্যাপারে ভোধার সঙ্গে আছেন ৷ বুখারী বলেন,
ইব্রাহীম ইবন৩ নতাহমান বারা ইবন আযিব সুত্রে বর্ণন করেন, বনুকুরায়যার যুদ্ধের দিন
নবী করীম (স ) হাসৃসান ইবন ছাবিতকে বলেন : তুমি মুশরিক :দর নিন্দা কর ৷ কারণ , জিবৃর ঈল
(আ) এ ব্যাপারে তোমার সঙ্গে আছেন ৷ বুখারী, মুসলিম এবহ নাসাঈ বিভিন্ন সুত্রে কোন রকম
বৃদ্ধি করা ছাড়া হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, ইবন ইসহাক (র) বলেন, বনু মুহারিব ইবন ফিহ্র
গোত্রীয় যিরার ইবনুল খাত্তাব ইবন মিরদাস খন্দক যুদ্ধ প্ৰ:ন্ন্সে বলেন, আমার মতে তখনো তিনি
ইসলাম গ্রহণ করেননি ৷ তিনি কবিতার ছন্দে বলেন :
২৪৮ আল-যিদায়া ওয়ান নিহায়া
মর্মার্থ : অনেক দয়ালু আছেন, যারা আমাদের ব্যাপারে নানা ধারণা পোষণ করেন, আমরা
নেতৃত্ব দিয়েছি দর্প চুর্ণকাবী বাহিনীকে ৷
দর্শকদের সম্মুখে তার সদস্যরা উপ ত হলে তাদেরকে উহুদ পাহাড়সম মনে হতো ৷
তুমি৩া ৩াদের দেহগুলোকে বর্ম আচ্ছাদিত দেখতে পাবে, মযবুত বর্মা আ র উত্তম অশ্ব ও তীর-
ধনুকে সজ্জিত ৷ আমরা তাদের সঙ্গে এরুপ আচরণ করি যেন৩ারা বিভ্রাম্ভ অপরাধী ৷
যখন তারা হামলা চালায় আর আমরাও হামলা চাল ই, তখন তারাযেন পরিখার স্থানে
আমাদের সঙ্গে মুকাবিলা করছিল ৷ তারা এমন মানুষ যাদের মধ্যে আমরা একজন ও সদ্বুদ্ধি
পরিচালিত ব্যক্তি দেখতে পাইা না ৷ অথচ তারা বলে থাকে, আমরাক (নক্কার নই ? আমরা
এক মাস তাদেরকে অবরোধ করে রাখি, আ র আমরা ছিলাম তাদের উপর পাতাপশালী ৷
প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আমরা তাদের উপর হামলা চালাতাম তা স্ত্র সজ্জিত হয়ে অবিরাম
ধারায় ৷ আমাদের হাতে থাকতো ভীক্ষ্ণা ধারালো ৩রবারি ৷ এ গুলো ৰ্ দ্বারা আমরা কর্ভন করতাম
তাদের সিথিস্থল আর মাথার খুলিসমুহ ৷ নাঙ্গা ৩রবারি যখন রাত্রিকালে ণ্ালসে উঠে৩া ছিল যেন
৫কাষমুক্ত তলােওয়ারের চাকচিক্যসম ৷ তাতে তুমি আাকীক পাথরের উজ্জ্বলতা দেখতে পাবে ৷
পরিখা যদি না থাকতো এবং তারা সেখানে না থাকতো তবে আমরা তাদেরকে সম্পুর্ণ বিধ্বস্ত
করে দিতাম ৷
কিন্তু৩ তাদের মধ্যন্থলে অন্তরায় হয় পরিখা এবং তারা আমাদের ভয়ে তার আশ্রয় নিত
আমরা বিদায় নিলে তাতে কি ? আমরা তোমাদের গৃহের নিকট সা দকে রেখে এসেছি
রন্ধক’ হিসাবে ৷
আধার ঘনীভুত হলে তুমি বিলাালপকারিণীদেরকে সাদের জন্য বিলাপ করছে, শুনতে পাবে ৷
অচিরেই আমরা আবা র ফিরে আসবো যেমন আমরা আমাদের কাছে এসেছিলাম পরস্পরের
সহযোা৩গিা নিয়ে, আমরা আসবাে বনুকিনানার একদল সশস্ত্র সৈন্য নিয়ে বনের সিংহের মতো যে
নিজের বিচরণস্থুল সংরক্ষণ করে থাকে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, বনুসালিমা গোত্রীয় কাব ইবন মালিক (বা) তার জবাবে বলেন :
অনেক নারী জানতে চায়, কী বিপদ পতিত হয়েছে তামাদের উপর ৷ তুমি উপস্থিত হলে
সেসব বিপদে আমাদেরকে ধৈর্যশীল দেখতে পেতে ৷ আল্লাহর উপর নির্ভর করে আমরা সবর
করেছি আমাদের উপর আপতিত বিপদে ৷ কারণ, আমরা তো দেখি না আল্লাহর কোন বিকল্প ৷
নবী ছিলেন আমাদের জন্য সত্যিকার সহায়ক ৷ ভীকে কেন্দ্র করেই তো আমরা হয়েছি সকল
সৃষ্টির সেরা ৷
আমরা লড়াই করি এমন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যারা যুলুম আর নাফরমানী করে ৷ শত্রুতায়
তারা আমাদেরকে লক্ষ্য বন্তু মনে করে ৷ তারা আমাদের দিকে ছুটে এলে আমরা তাদের সমুচিত
শিক্ষা ৫ইি ৷ আমরা এমন আঘাত হানি, যা তুরাকারী হানাদারদেরকে দ্রুত ঠেলে দেয় মৃত্যুর মুখে ৷
তুমি আমাদেরকে দেখতে পাবে পরিপুর্ণ বর্মসমুহের অভ্যন্তরে যা বিস্তীর্ণ পুকুরের ন্যায় প্রশস্ত ৷
আমাদের দক্ষিণ হস্তে রয়েছে হালকা শুভ্র তলােয়ার, যা দ্বারা আমরা প্রতিবিধান করি
অনিষ্টকারীদের তৎপবতড়ায়, পরিখার মুখে যেন সিংহ দাড়িয়ে আছে ৷
তাদের পানজা সিংহের ৰাসস্থুল সংরক্ষণ করে ৷
আমাদের অশ্বারােহীদল সকাল-সল্যা অত্রে সজ্জিত হয়ে শত্রুদলের উপর হামলা চালায়,
যেন আমরা সাহায্য করি আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ (সা) এর যাতে আমরা পরিণত হই আল্লাহর
নিষ্ঠাবান বন্দোয় ৷ মক্কাবাসী এবং শত্রুদল , যারা ঐক্যবদ্ধ দল রুপে বেরিয়ে এসেছে, তারা যাতে
জানতে পারে যে, আল্লাহর কোন শরীক নেই, এবং তিনিই মু’মিনদের অভিভাবক ৷
তোমরা যদি মুর্থতাবশতঃ সাদকে হত্যা করে থাকে৷ ৷ তবে মনে রাখবে যে, আল্লাহ্
সবচেয়ে বেশী শক্তিশালী ৷ (তিনি এর বদলা নেবেন) ৷
অবিলম্বে আল্লাহ তাকে প্রবেশ করাবেন উত্তম উদ্যানে যা হবে পুণ্যবানদের আবাসস্থল ৷
যেমন তিনি তোমাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছেন তোমাদের ক্রোধ ব্যর্থতড়াসহ অপদস্থু করে ৷
এমনই অপদস্থ যে, সেখানে কল্যাণ থেকে তোমরা হবে বঞ্চিত ৷ তখন তোমরা ধ্বংসের
নিকটবর্তী হয়ে পড়েছিলে ৷ ঝঞাবাযু দ্বারা যা আপতিত হয় তোমাদের উপর ৷ তোমরা তার নিচে
হয়ে পড়েছিলে দৃষ্টিহীন ৷
ইবন ইসহাক বলেন যে, খন্দকের দিন সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনুয্ যাবরী আসৃ সাহ্মী বলেন,
(অবশ্য আমি বলি যে, এটা তার ইসলামগ্নহণের পুর্বের রচনা) ৷
মর্মার্থ৪ অভিবাদন জ্ঞাপন কর তুমি সেসব নিবাসকে, কায়ু লের প্রবাহ আর ঘোর আপদ যাব
চিহ্ন মুছে ফেলেছে ৷
যেন ইয়াহুদীরা একেছে৩ তার চিহ্ন আর নকলামালা উবষ্ট্ৰর আবাসস্থল আরও তাবুর খুটি বাদ
দিয়ে ৷
পরিণত করেছে বিরান ময়দানে যেন কখনো তুমি , তাতে আনন্দ বিহার করনি সমবয়সী
বন্ধুদেরকে নিয়ে ৷
বাদ দাও অতীত দিনের স্মৃতির কথা, তাতাে করেছে সে স্থানকে একেবারেই জনমানবশুন্য
বিরান ৷
স্মরণ কর, তুমি সমকালীনদের নিবাসের কথা আর জ্ঞাপন কর৩ তাদের প্ৰতি কৃতজ্ঞতা গ্
কারণ, তারা সকলেই এসেছে তীর্থস্থান থেকে ৷
মক্কাভুমি থেকে তারা ছুটে এসেছে ইয়াছরিব অভিমুখে, গভীর অন্ধকার রজনীতে বিপুল
ৎখ্যক সৈন্য সামন্ত নিয়ে ৷
পরিচিত পথ বাদ দিয়ে তারা এসেছে চড়াই-উৎবাই অতিক্রম করে ও গিরিপথ ধরে ৷
তাতে রয়েছে উত্তম উৎকৃষ্ট অশ্ব যেগুলােকে চালিত করা হচ্ছিল একই সঙ্গে ৷
এমন সব অশ্ব ক্ষীণ যেগুলোর উদর আর গতি যেগুলোর দ্রুত ৷
এক বাহিনীতে ছুটে চলে উয়ায়না তার পতাকা নিয়ে, আর আবু সুফিয়ান ছিলেন বাহিনী নেতা
রুপে ৷
এরা দুজন যেন দুই পুর্ণ চন্দ্র ৷ এরা দৃজনে পরিণত হয়েছে অভাবী আর পলড়াতকদের আশ্রয়
স্থলে ৷
তারা উপস্থিত হন মদীনায় এবং ব্যবহার করেন পরীক্ষিত ভীক্ষ্ণধার তরবারি ৷
এক মাস দশ দিন পর্যন্ত ওরা দাপট বিস্তার করে (রখেছিলেন মুহস্ফোদের উপরে, আর তার
সাহাবীরা ছিলেন লড়াইয়ের উত্তম সাথী ৷
তড়ারা ঘোষণা দেয় প্ৰস্থানের ঐ ভোরে যখন তোমরা বলেছিলে, আমরা ব্যর্থ লোকদের
কাছাকাছি পাঠিয়ে পৌছে গেছি ৷
পারিখা না হলে তারা সবাই নিহত হতেত্ত্ব, আর ক্ষুধার্ত পাখি নেকড়ের থােরাকে পরিণত
হতো ৷
ইবন ইসহাক বলেন যে, এর জবাবে হড়াসৃসান ইবন ছাবিত বলেন :
এটা কি বিরান প্রান্তারর বিলীয়মান চিহ্ন ? যা দিয়ে যাচ্ছে প্ৰশ্নকারীর জবাব ৷
এমনই বিরান সে প্রাম্ভর যে, মুষলধারার ক্রমাগত বৃষ্টি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে তার সকল
চিহ্ন ৷
আমি সেখানে দেখতে পেয়েছি উজ্জ্বল চেহারার রমণীদেরকে যাব্র্ধ্বদর বংশ উন্নত, যারা ছিল
আসরের শোভা ৷
ছেড়ে দাও তুমি সেসব ললনাদের আলোচনা, যাদের চেহারা সঘুজ্জ্বন আর যাদের বচন মধুর ৷
দুঃখ-কষ্টের অভিযোগ কর তুমি আল্লাহর নিকট, সেসব ক্রুদ্ধ ব্যক্তির, যারা যুলুম করেছে
রাসুলের উপর ৷
তারা ছুটে যায় তার দিকে সম্মিলিতভাবে এবং জড়ো করে শহরবাসী আর মরুচারী
বেদুঈনদের ৷
তাদের মধ্যে রয়েছে উয়ায়না আর আবু সুফিয়ান ইবন হারবের বাহিনী ৷ ভীষণ ক্রুদ্ধ তারা
সদল বলে ৷
শেষ পর্যন্ত তারা উপস্থিত হয় মদীনায় এবং তারা প্রয়াস পায় রাসুলকে হত্যার এবং গনীমত
লাভের ৷
তারা প্রত্যুষে চড়াও হয় আমাদের উপর; কিভু তাদেরকে পেছন বাম হটিয়ে দেয়া হয় তাদের
ক্ষোভসহ ৷ বিতাড়িত করা হয় তাদেরকে ঝৰুপ্রুহ্ব৷ বায়ু দ্বারা এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাহিনী দ্বারা ৷
এবং ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় তাদের দলকে ৷
মু’মিনদের যুদ্ধের জন্য আল্লাহ্ইতো যথেষ্ট, আর তিনি তাদেরকে দান করেন উত্তম প্রতিদান ৷
তাদের নিরড়াশ হওয়ার পর, তিনি ছিন্ন করে দেন তাদের দলকে ৷
এটা ছিল আমাদের মহান দাতা আল্লাহর সাহায় ৷ আর শীতল করেন তিনি মুহাম্মাদ ও তার
সাহাবীদের চোখ ৷
আর লাঞ্ছিত করেন সকল সত্য প্রত্যাখ্যানকারী সংশয়বাদীকে ৷
যাদের হৃদয়সমুহ চরম বিদ্বেষী ও কৃফরীর সংশয়ে ডুবে রয়েছে ৷
যাদের পরিধেয় নয় পরিচ্ছন্ন ৷ দৃভাগ্য তাদের অম্ভরে আসন গেড়ে বসেছে ৷
কুফরী কালের শেষ প্রবাহ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, তার ইবন মালিকও তার জবাবে বলেন :
উক্ত কবিতায় তিনি যুদ্ধের বিশদ বর্ণনা দেওয়ার পর বলেন :
যুদ্ধের ঘটনা আমাদের জন্য অবশিষ্ট ব্লেখেছে আমাদের পালনকর্তা মহান দাতার উত্তম দান ৷
সুউচ্চ প্রাসাদ আর ফলদায়ক ফলের বাগানসমুহ ৷
, আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ আর হিদায়াত পুত-পবিত্র
যবান পবিত্র বংশের ব্যক্তির মাধ্যমে ৷
তা আমাদের সম্মুখে উপস্থাপন করা হয় ৷ আর আমরা পসন্দ করি তার চর্চা-আংলাচনা
আহযাবের ঘটনার পর, যা ঘটেছিল ৷
ক্যুঢয়শ আর সম্মিলিত বহিনীর কাফিরদের প্রতি ৷
এমন সব জ্ঞানের কথা, অপরাধীরা যাকে নিজেদের ধারণা মতে অকল্যম্পোকর মনে করে ৷
কিন্তু বুদ্ধিমানরা অনুধাবন করেন তার সঠিক মর্ম ৷ কুরায়শরা এসেছে,
আপন প্রতুং৷ উপর বিজয়ী হওয়ার বাসনা নিয়ে; কিভু যে ব্যক্তি বিজয়ীর উপর জয়ী হতে চায় ,
তাকে তো বরণ করতে হয় চরম পরাজয় ৷
ইবন হিশাম বলেন, আস্থাতাজন এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র সুত্রে বলেন যে,
এ কবিতাটি শ্রবণ করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
হে কাব ! তোমার এ কবিতার জন্য আল্লাহ্ (তামার প্রশংসা করেছেন ৷ আমি বলি, এ
কবিতায় যে কুরায়শদেরকে সাহীনা’ বলে অতি ত করা হয়েছে তার কারণ হচ্ছে আরবরা
তাদেরকে এ নামেই অতি ত করতো ৷ তাদের গরম খাবারের জন্য , ফ সাধারণতঃ অন্যান্য
মরুচারীরা আহার করতে পােতানা ৷ আল্লাহ্ই ভাল জনেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, কাব ইবন মালিক আরো আবৃত্তি করেন :
আনন্দ দান করে যে ব্যক্তিকে প্রচণ্ড যুদ্ধের নিনড়াদ, যেন তা পাংত্র আগুন লাগার শব্দ আরকি
তারা যেন হাযির হয় আমাদের কর্মক্ষেত্রে, যে তার তলেড়ায়ারে শান দেয় মামাম আর
খন্দকের মধ্যবর্তী স্থানে ৷
যারা অভ্যস্ত নামকরা বীর হত্যার, যারা নিজেদের জীবন সমর্পণ করেছে দিগস্তের প্রভুর
উদ্দেশ্যে ৷
আল্লাহ্ সাহায্য করেছেন তার নবীকে এ দল দ্বারা, আর তিনিতাে তীর বন্দোর প্রতি অত্যন্ত
সদয় ৷
আমরা শত্রুর মুখোমুখি হই বিশাল বাহিনী নিয়ে , যা তাড়িয়ে দেয় বিশাল বাহিনীকে প্রাচ্যের
প ত চুড়া জয় করার মতো !
দৃশমনের তবে আমরা প্রস্তুত রাখি দীর্ঘ দেহী অশ্ব, যা গোলাবের মতো লাল; আর সাদা কাল
মিশ্রিত বর্ণের ৷
তা ছুটে নিয়ে যায় অশ্বারােহীকে , উরৈ গতিতে,
কারণ, বীর-বাহাদুর যুদ্ধের দিন ভোর বেলা কুয়াশা জনিত কাদামাটিতে যেন সিংহ আর কি ৷
তারা সত্যিকার বিশ্বস্ত, ধুলোর তলে, বর্শা নিয়ে বীর-বাহাদুর ব্যক্তিদেরকে মৃত্যুর স্বাদ
আস্বাদন করার ৷
যুদ্ধের জন্যে সে সব অশ্বকে আল্লাহ্ ভৈতয়ার রাখার হুকুম করেছেন, আর আল্লাহভাে হলেন
সর্বোত্তম তাওফীক দাতা ৷
যাতে তারা উত্তেজিত করে তোলে দৃশমনকে ,
আর সুরক্ষিত করে নেয় নিজেদের আবাসস্থলাক , ফলে ভেড়ে আসে শক্ত সমর্থ অশ্বরাজি ৷
আর দৃশমনের মুকাবিলা কালে আল্লাহ আমাদের
সাহায্য করেন তীর পক্ষ থেকে প্রদত্ত শক্তি আর ধৈর্য দ্বারা ৷ কারণ, তিনিতাে মহা শক্তিধর ৷
আমরা মান্য করি আমাদের নবীর নির্দেশ আর
সাড়া দেই তীর আহ্বানে, কষ্ট সাধ্য কাজের ভরে ৷ তিনি আহ্বান জানালে আমরা পশ্চাৎপদ
হৃইনা ৷
যুদ্ধকালে তিনি যখন ডাক দেন আমরা তাতে সাড়া দেই, আমরা তুমুল যুদ্ধের সময় ছুটে যাই
সেখানে ৷
নবীর বাণী মেনে চলে যেজন ( সেতো পরম পুণ্যবান) ৷
কারণ, তিনিতাে আমাদের মধ্যে মান্যবর , তিনিই তো নেতা , আর তিনিই তো সত্য !
এভাবে তিনি আমাদের সাহায্য করেন, প্রকাশ করেন আমাদের মান-মর্যাদা,
আর তা অর্জন করায় তিনি দয়া করে আমাদেরকে সাহায্য করেন ৷
মারা অস্বীকার করে (নবী) মুহাম্মাদ (না)-কে ;
তারাতাে কুফরী করেছে আর দুরে সরে গেছে মৃত্তাকীদের পথ থেকে ৷
ইবন ইস্হাক কাব ইবন মালিকের আরো কবিতা উল্লেখ করেন :
মর্মার্থ : শত্রুদলের লোকেরা জানতে পেরেছে যখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে একত্র হয়েছে
এবং আমাদের দীনকে লক্ষ্য স্থলে পরিণত করেছে ৷
যা আমরা বিসর্জন দেবাে না ৷ কায়েস ইবন পায়লান এর দল আমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ
হয়েছে তালি বাজিয়েছে; কিন্তু খন্দক দেখতে পেয়ে কি ঘটতে যাচ্ছে তা তারা ঠাহর করে উঠতে
পারেনি ৷
তারা আমাদেরকে ৰ্বাধা দেয় আমাদের দীন থেকে, আর আমরা তাদেরকে বীধা দেই কৃফ্রী
থেকে; আর দয়াময় আল্লাহভাে দ্ৰষ্টা এবং শ্রোতা ৷
তারা যখন কোন স্থানে আমাদের বিরুদ্ধে উষ্মড়া প্রকাশ করে তখন আল্লাহ্ তার পক্ষ থেকে
আমাদেরকে সাহায্য করেন ৷
আমাদের জন্য এটা আল্লাহ্র হিফাযত ও দয়া আর আল্লাহ্ যাকে হিফাযত করেন না, তার
ৎসভাে অনিবার্য ৷
আল্লাহ্ আমাদেরকে সত্য দীনের প্রতি হিদায়াত করেছেন, এবং তা আমাদের জন্যে মনোনীত
করেছেন ৷
আর আল্লাহতাে হলেন সকল কতার শ্রেষ্ঠ কতা ৷
ইবন হিশাম বলেন, এ পংক্তিগুলো তার একটি দীর্ঘ কাসীদার অন্তর্ভুক্ত ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, বনুকুরায়যার যুদ্ধ প্রসঙ্গে হাসৃসান ইবন ছাবিত এ কবিতাগুলো আবৃত্তি করেন :
স্পো৷ ৷ গোব্লে
বনুকুরায়যা তার শব্দ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে লাস্থনাকালে তারা পায়নি কোন সাহায্যকারী ৷
বনু নযীরের আপদ ছাড়া আরো আপদ তাঃদঃ উপর আপতিত হয়েছে ৷
প্রতৃষে রাসুল (সা) তাদের নিকট আগমন করেন ৷ তিনি ছিলেন উজ্জা চাদের মত ষ্
তার সাথে অশ্বরাজি যারা অত্থারোহীকে নিয়ে ছুটে যায় ঈগল পাখির মতো ৷
আমরা তাদেরকে ছেড়ে এসেছি এমন অবস্থায় যে, তারা ণ্কান ব্যাপারেই সফল হয়নি ৷
সেখানে তাদের প্রচুর রক্ত ঝরে যায় : তারা ছিল ন্হৃরশ্যেয়ী পাখি উড়ছিল তাদের উপর,
হঠকাবী পাপিষ্ঠ ব্যক্তি এভাবেই পাপের শাস্তি পায় ৷
এমন উপদেশ দ্বারা কুরায়শকে তুমি সতর্ক কর, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে, যদি সে গ্রহণ করে
আমার উপদেশ ৷
বনু কুরায়ষা প্রসঙ্গে ইবন ইসহাক হাসৃসান ইবন ছাবিত আরো একটি কবিতা উল্লেখ করেন :
স্পো
কুরায়শের সাহায্যার্থে তারা চুক্তিবদ্ধ হয় তাদের শহরে তাদের জন্য সেই কোন
সাহায্যকরীি ৷
তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল ; কিন্তু তারা তা ৰিনাশ করেছে তাওরাতের ব্যাপারে
তারাতেন্ চরম অন্ধ ৷
তোমরা কুরআন অস্বীকার করছ, অথচ তােমরাভাে স্বীকার করেস্লি সতর্ককারী রাসুলের
বাণী মেনে নেয়ার কথা ৷
তাইত্যে লাঞ্ছিত হয়েছে বনু লুয়ইির নেতাদের বৃয়ইিরার খেজুর বাগানে অগ্নিশাস্তির
মাধ্যমে
আবু সুফিয়ান ইবনুল হারিস ইবন আবদ্বা মুত্তালিব এর জং!বে বলেন :
এহেন কর্মকাণ্ড আল্লাহ্ স্থায়ী করুন এবং তাদের দলের মধ্যে অগ্নি প্রজ্বলিত করুন ৷
অদুর ভবিষ্যতে জানতে পারবে আমাদের মধ্যে কে তা থেকে দুরে ; আরো জানতে পারবে
আমাদের মধ্যে কোন পথের ভুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷
খেজ্জা বাগানে যদি থাকতো অশ্বারােহী তবে তারা বলভাে ণ্তামশ্রদের জন্যে কোন স্থান নেই,
সুতরাং ণ্তামরা চলে যাও ৷
আমি বলি , আবু সুফিয়ান ইবনুল হারিছ ইসলাম গ্রহণ করার পুর্বে এ কবিতা রচনা করেন ৷ এ
কবিতার কিছু অংশ সহীহ্ বুশারীতে উল্লিখিত হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে ইবন ইসহৰুক জাবাল ইবন
জাওয়াল সালাবীর কবিতার সে জবাব হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত দিয়েছিলেন তাও উল্লেখ
করেছেন ৷ আমরা এখানে ইচ্ছাকৃত ভাবেই তা বাদ দিয়েছি ৷ হযরত সাদ ইবন মুআযু এবং বনু
বুন্মায়যার যুদ্ধের অন্য যারা শাহাদত বরণ করেছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে হ্লাগান ইবন ছাবিত রচিত
নিম্নের কবিতাগুলো ইবন ইসহাক উল্লেখ করোছা :
হে মোর জাতির ণ্ল্যাকঃদ্র, শোন, কপান্সের লিখন কি ফ্লেউ খণ্ডন করতে পারে ৷ পারে কি
কেউ সুখের দিনংহ্রলো ফিরিয়ে আনতে ?
অতীত দিনের কথা আমি স্মরণ করেছি ফলে ডুবে যায় মন আর চক্ষু থেকে গড়িয়ে পড়ে
অশ্রুমলো ৷ ’
দুঃখের ঘনঘটা আমাকে স্মরণ করার বন্ধু আর শহীদদের স্মৃতি , যারা গত হয়েছে ৰু
তাগ্লুদঃ মধ্যে ভুফায়েল আর রাফেও ছিল ৷ ছিল সাদও, তারাতো জান্নহ্বত লাভ করেছে আর
তাদের ভুমিতে! বিরান পড়ে আছে ;;
বদর যুদ্ধের দিন তারা ৰিশ্বস্ততা প্রদর্শন করেছে রাসুল (সা)এর সঙ্গে ৷ আর তাদের মাথার
উপরে ঝুলত্যি মৃত্যুর ছায়া আর উজ্জ্বব তরবারী ৷
রাসুল তাদেরকে আদেশ করেন আর তারা সাড়া দেন, সাতাৰুন্ত্র ডাকে, প্রতিটি ব্যাপারে তারা
সকলেই ছিলেন রাসুলের অনুগত এবং বাধ্য ৷
ভয়ে তারা ফিরে যায়নি, শেষ পর্যন্ত তারা নিজেদ্যে৷ দলে মিশে যায় আর নির্ধারিত আয়ুকে
কেবল মৃভ্যুই কর্তন করতে পারে ৷
কারণ তারা নবীজির শাফাআতের আশা পোষণ করে, যখন নৰীরা ছাড়া আর (কান
সু’পারিশকারী থাকবেন না ৷
তাই হে আল্লাহ্র নেক বন্দোরা ! এটইি ছিল আমাদের পরীক্ষা আর আমরা সাড়া দেই আল্লাহ্
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ৷ আমাদেরকে মেনে নিতে হবে আল্লাহ্র দ্বন্কুম, আর মৃত্যুতে! অবধারিত ৷
তোমার পাং;নই আমাদের প্রথম পদক্ষেপ , আর আমাদের পশ্চাতে রয়েছে আল্লাহ্র দীনের
তার আমাংদ্যা অ ননকারীরা ৷
আমরা জানি যে, রাজত্ব কর্তৃত্ব কেবলমাত্র আল্লাহ্র , আর আল্লাহ্র সিদ্ধম্ভে অবশ্যই কার্যকরী
হবে ৷ আবল্লোহ্ আবল্লোহ্
আবু রাফি ইয়াহ্রদীর হত্যার ঘটনা
ইবন ইসহাক (র বলেন : খন্দক যুদ্ধে এবং বনু কুরায়যার ঘটনার পর আবু রাফি“ সালাম
ইবন আবুল হুকায়ক ছিল রাসুল (না)-এর বিরুদ্ধে যারা সম্মিলিত বাহিনীকে একত্র করে তাদের
অন্যতম ৷ ণ্ডহুদ যুদ্ধের পুর্বে আওস গোত্রের ণ্লাবেল্পা কাব ইবন আশরাফকে হত্যা করে ৷ তখন
খাবৃরজে পেহ্বত্রের ণ্লাকেরন্ সালাম ইবন আবুল ছ<ন্নায়ককে হত্যা করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
অনুমতি প্রার্থনা করে ৷ সে অবস্থান করছিল থায়বরে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে অনুমতি দান
করেন ৷ ইবন ইসহাক (র) মুহাম্মাদ ইবন যুহরীর সুত্রে আবদৃল্লাহ্ ইবন কাব ইবন মালিক-এর
উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আল্লাহ্ তাআলা রাসুল (না)-এর নিমিত্ত এমন ব্যবস্থা করে দেন যে,
আনস!রদের দুটি গােত্রই আওস এবং খাবৃরাজ রাসুল (সা)এর সাহায্য সহযোগিতার ব্যাপারে
প্রতািযাগিতা করতো, আণ্ডস গোত্র কোন কার্য সাধন করলে খাঘৃরাজ গোত্রের লোকেরা বলতে! :
আল্পাহ্র কসম! এরা যেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আমাদের চেয়ে অগ্রগামী না হয়ে যায় ৷
ওদের মত কিছু একটা না করা পর্যন্ত তারা থামতো না ৷ আর বনু খাঘৃরাজের কোন ব্যক্তি ভাল
কিছু করলে আওস গোত্রের লোকেরা অনুরুপ করার সুস্থযাগের অপেক্ষায় থাকতো ৷
ইবন ইসহাক (র) আরো বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে রিদ্বেষ ও শত্রুত৷ পাষণেৱ
অপরাধে আওস ণ্গাত্রের লোকেরা কাব ইবন আশরফোক হত্যা করলে খাষ্রাজ গোত্রের
লোকেরা বলে আল্লাহ্র শপথ, তারা কখনো আমাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না ৷ কোন লোক
কাব ইবন আশরাফের মতো রাসুল (না)-এর প্ৰতি শক্রচা ও বিদ্বেষ পোষণ করে , সে বিষয়ে
তারা ভাবতে থাকে ৷ এ প্রসঙ্গে তারা খ্যাঃবরে অবস্থানরত ইব ন আবুল হুকায়ক সম্পর্কে আলোচনা
করে ৷ ন্৮ব্লকে হত্যা করার জন্য তারা রাসুল (সা)এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন ৷ তিনি