৪ র্থ হিজরীর অন্যান্য ঘটনা
ইবন জাবীর বলেন, এ বছরের জুমাদাল উলা মাসে হযরত উছমান ইবন আফফান-এর পুত্র
আবদুল্লাহ মারা যান ৷ আবদুল্লাহ ছিলেন রাসুল তনয়৷ ককাইয়ার সত্ন্ত্রান ৷ মৃত্যুর সময় তার বয়স
ছিল ছয় বছর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার জানাযায় ইমামত করেন ৷ পিত হযরত উছমান তার কবরে
নেমেছিলেন, ওই বছরেই জুমাদ৷ ল উলা মাসে ইনতিকাল কক্রুরন আবু সালাম৷ আবদুল্লাহ ইবন
আবদুল আসাদ ইবন হিলাল ইবন আবদুল্লাহ ইবন উনার ইংহু ন নন্৷ ৷ঘুম বুরান্ মাহ ঘুম : আবু
সালামার মায়ের নাম ছিল৷ ব ৷ররা, ইনি ছিলেন আবদুল মুত্তালিরে র না৷ এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা ৷এর
ফুফু ৷ অন্যদিকে আবু সালাম৷ ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) — এর দুধ ভাই ৷ আবু লাহারের দাসী ছুওয়াইবা
র্তাদের দুজনকে দুধ পান কবিয়েছিলেন, আবু সালামা আবু উবায়দা , উসমান ইবন আফফান ও
আরকাম ইবন আবু আরকাম (না) তারা সকলে প্রথম যুগে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তারা
সকলে একই দিনে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আবু সালাম৷ এবং তার শ্রী উম্মু সালাম৷ দৃ’জনেই
আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷ এরপর মক্কায় ফিরে এসেছিলেন ৷ আবিসিনিয়ায় অবস্থান কালে
তাদের একাধিক সত্তান-সম্ভতির জন হয় ৷ তারপর আবু সালাম৷ (রা ) মক্কা থেকে মদীনায়
হিজরত করেন ৷ শ্ৰী উম্মু সালাম৷ (না) ও পরবর্তীকালে হিজরত করেন ৷ উম্মু সালামা যা ইতিপুর্বে
বর্ণিত হয়েছে বদর এবং উহুদ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ উহুদ যুদ্ধে তিনি আহত হয়েছিলেন ৷ এই
আঘাতে তার মৃত্যু হয় ৷ মুসীবত ও বিপদাপদের সময়” ইন্নালিল্লাহ্ পাঠ করা সম্পর্কে তীর
একটি হাদীছ রয়েছে ৷ “রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে উম্মু সালামার বিবাহ” সংক্রান্ত আলোচনায়
হাদীছটি আলোচিত হবে ইনশাআল্লাহ ৷
রাতে হযরত ফা৩ ৷তিম৷ (বা) এর গর্ভে হযরত আলীর ৷ রা) পুত্র ইমাম হুসায়ন ( র৷ ) এর জন্ম হয় ৷
এ বছর বমযান মাসে রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) যায়নাব বিনত খুযায়মাকে বিবাহ করেন ৷ যায়নাবের বংশ
লতিকা এরুপ ৷ যায়নাব বিনত থুযায়ম৷ ইবন হাবিছ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আবদুদ
মানাফ ইবন হিল৷ ৷ল ইবন আমির ইবন৷ সাস সাঅ৷ আল হিলালিয়্যা ৷ আবুউমার ইবন আবদুল বার
আলী ইবন আবদুল আযীয সুত্রে বলেন যে, যায়নাব ছিলেন হযরত মায়মুনা ৷বনত হাবিছ এর
বোন ৷ পরে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, এ বর্ণনা একান্তই বিরল , অন্য কেউই এ রকম
বর্ণনা করেছেন বলে আমি দেখিনি ৷ ইনি গরীব-দুঃখীদের প্রচুর দান করা এবং তাদের প্ৰতি
সীমাহীন মমতৃরোধ ও কল্যাণ সাধনের প্রেক্ষিতে উম্মুল মাসাকীন ব৷ মিসফীনদের যা নামে খ্যাত !
রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) এর সাথে হযরত যায়নারের (বা ) বিয়ের মাহর ধার্য হয়েছিল সাড়ে বার উকিয়া
৫০০ শ’ দিরহাম ৷৩ তাদের বাসর হয় বমযান মাসেই ৷ এর পুর্বে যায়নাব (রা) )তুফায়ল ইবন
হাবিছের ত্রী ছিলেন ৷ তুফায়েল তাকে তালাক দেন ৷
আবু উনার ইবন আবদুল বার আলী ইবন আবদুল আযীয় জুরজানী সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে ,
তিনি বলেছেন, তুফায়লের পর তার ভাই উবায়দা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন আবদ
মনোফ যায়নাবকে বিয়ে করেন ৷ উসদুল গাবাহ” গ্রন্থে ইবনুল আহীর-এর বর্ণনা মতে যায়নাব
(রা)-এর পুর্ব স্বামীর নাম ছিল আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ তিনি উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন ৷ আবু উমর
বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর জীবদ্দশাতেই যে যায়নাব (বা) ইনতিকাল করেছিলেন তাতে কোন
দ্বিমত নেই ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে ২ কিংবা ৩ মাসের দম্পেত্য
জীবন শেষে তার ইনতিকাল হয় ৷
ওয়াকিদী বলেন, এ বছরের শাওয়াল মাসে বাসুলুল্লাহ (সা) উম্মু ৰুন্ন্ালামা (বা)-রুক বিবাহ
করেন ৷ উম্মু সালামা (বা) এর পিতার নাম ছিল আবু উমাইয়া ৷ আমি বলি , রাসুলুল্লাহ ( সা) এর
সাথে বিয়ে হওয়ার পুর্বে উম্মু সালমা (বা) ছিলেন আবু সালামা ইবন আবদুল আমাদের শ্রী ৷ উম্মু
সালামা (বা) এর ঘরে জন্ম নেয়া সকল সন্তানের পিতা হলেন আবু নল্দোম ৷ ৷ আবু সালামা উহুদ
যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ওই যুদ্ধে তিনি আহত হন ৷ দীর্ঘ এক মাসের চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ
হয়ে উঠেন ৷ এরপর অন্য একটি অভিযানে তিনি অংশ নেন ৷ ওই অভিযানে প্রচুর ধনসস্পদ ও
উৎকৃষ্ট দ্রবাদি পনীমতের মালরুপে পান ৷ এরপর তিনি ১ ৭ দিন জীবিত ছিলেন ৷ তারপর ক্ষতস্থান
থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং তাতে তিনি মারা যান ৷ : র্থ হিজরীর জ্বমাদাল উলা মাসের তিনদিন
বাকী থাকতে তার ইনতিকাল হয় ৷ শাওয়াল মাসে উম্মু সালামা (রা)-এর ইদ্দত শেষ হয় ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে হযরত উমার (রা)-কে উম্মু সালামা (রা)-এর নিকট
পাঠান ৷ হযরত উমর (রা) একাধিকবার তার নিকট গমন করেন ৷ উম্মু সালামা তার নিজের
অবস্থান ব্যাখ্যা করে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি একজন আত্ম অভিমড়ানী মহিলা , তদুপরি তিনি
বিপদগ্রস্ত ৷ অর্থাৎ তিনি একাধিক সম্ভান-সম্ভতির মা ৷ ওদের দেথাশুনা করতে গিয়ে বাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সেবা শুশ্রাষার ত্রুটি হতে পারে ৷ এ ছাড়াও বাচ্চাদের খাবার সংগ্রহের জন্যে তাকে
কাজকর্ম করতে হবে ৷ তখন হযরত উমর (রা) বললেন, বাচ্চাদের ব্যাপারটা আল্লাহ ও তার
রাসুলের প্রতি ন্যস্ত ৷ অর্থাৎ ওদের তরণ পোষণের দায়িতৃ আপনার উপর থাকবে না ৷ আর আত্ম
অভিযানের কথা বলছেন ? সেজন্যে আল্লাহর নিকট দুআ করুন আল্লাহ তা দুর করে দিবেন ৷
এরপর তিনি বিয়েতে সম্মতি দিলেন ৷ হযরত উমর (রা) কে তিনি সর্বশেষ যে কথাটি বলেছেন
তা হল “উঠুন প্রিয়নবীর সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করে দিন ৷ অর্থাৎ আমি বিয়েতে বাযী ৷ আমি এর
অনুমতি দিলাম ৷ এ বক্তব্যের সুত্র ধরে কোন কোন আলিম বলেছেন যে, উম্মু সালামা তার পুত্র
উমর ইবন আবু সালামাকে একথাটি বলেছিলেন অথচ উমর ইবন আবু সালামা তখন ছিলেন
বালক মাত্র ৷ এমন বয়সের যে, বিবাহের অভিতাবক হওয়ার উপযুক্ত ছিলেন না ৷ এ বিষয়ে আমি
একটি পৃথক পুস্তিকা রচনা করেছি ৷ সেখানে সঠিক ও সত্য অভিমত আমি প্রতিষ্ঠা করেছি ৷
সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷ তবে এই বিয়েতে উম্মু সালামা (রা)-এর অভিতাবক হয়েছিল তার বড়
ছেলে সালামা ইবন আবু সালামা ৷ এটি শুদ্ধ হল এজন্যে যে, সালামার পিতা আবু সালামা ছিলেন
তার সময়ের সালামার চাচাত ভাই ৷ সুতরাং এরুপ পুত্র তার মাতার অভিতাবকতৃ লাভ করবে যদি
সেই পুত্র পুত্রতু ব্যতীত অন্য কোন কারণে ওই অধিকার লাভ থাকার এই বিষয়ে সকল ইমাম
একমত ৷ তদ্রাপ পুত্র যদি মুক্তি দানকারী কিৎবা বিচারক হয় ৷ পক্ষাম্ভরে পুত্র যদি পুত্রতৃ ব্যতীত
অন্য কোন দিক হতে এই অধিকার লাভ না করে তাহলে ইমাম শাফিঈ এর মতে সে অভিভাবক
হতে পারবে না ৷ কিন্তু ইমাম আবু হানীফা , মালিক ও আহমদ (র) বলেন, শুধু পুত্রত্বের কারণেও
পুত্র মায়ের বিয়েতে অভিভাবক হতে পারবে ৷ এ বিষয়ে আলোচনার স্থান এটা নয় ৷ আহকাম আল
কাবীর গ্রন্থের বিবাহ অধ্যায়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইইর্দুনশাআল্লাহ ৷
ইমাম আহমদ (র ) বলেছেন, ইউনুস উম্মু সালামা (বা) থেকে বর্ণনা কৰেনে , তিনি বলেছেন,
একদিন আবু সালামা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবার থেকে আমার র্দুইব্কট এসেছিলেন ৷ তিনি বলেন
আমি বাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখে একটি কথা শুনেছি ৷ তাতে আমি খুবই খুশী হয়েছি ৷ তিনি
বলেছেন, “কোন মুসলমানের উপর বিপদ এলে ওই বিপদের সময় সে যদি পা ঠ করে :
আল্লাহ আমার এই বিপদ থেকে আমাকে মুক্তি দিন এবং এর পারবর্তে আমাকে ততোধিক
কল্যাণ দান করুন ৷ ” তাহলে আল্লাহ তা আলা তার জন্যে তাই তাকে করবেন ৷
উম্মু সালামা (বা) বলেন, আমি ও দু আটি মুখস্থু করে রেখেছিলাম ৷ যখন আমার স্বামী আবু
সালামার (র৷ ) মৃত্যু হয় তখন আমি ইন্ন৷ ৷লিল্লাহ পাঠ করি এবং এই দৃআ করিং ;হৃ ; ৷ গোা; পরে আমি নািজই নিজের মনে বলেছি” আবু
সালামা অপেক্ষা ভ ৷ল মানুষ আমি আর কোথায় পাব ? আমার ইদ্দত যখন শেষ হল তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার গৃহে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন ৷ আমি তখন একটি চামড়া গােধন
করছিলাম ৷ হাত ধোয়ার পাতা দিয়ে আমি হাত ধুয়ে নিলাম ৷ আমি তাকে ভি ৩তরে আসতে
বললাম ৷ ভেতরে গাছের ছ ল এবং উপরে চামড়া দিয়ে তৈরী একটি পদী চার জন্যে বিছিয়ে
দিলাম ৷ তিনি সেটির উপর বললেন এবং আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলেন ৷ তার বক্তব্য শেষ হবার
পর আমি আরয করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আপনার প্রতি আমার আগ্রহের কমতি নেই, কিন্তু কথা
হল, আমি একজন ভীষণ আত্ম অভিমানী মহিলা ৷ আমার ভয় হচ্ছে এজন্যে যে, নাজানি আমার
পক্ষ থেকে আপনি এমন কোন আচরণের সম্মুখীন হন যার কারণে মহান আল্লাহ আমাকে শাস্তি
দিবেন ৷ আর আমি তো ইতোমধ্যে বা র্ধকেব্রর কোঠায় পৌছে গিয়েছি ৷ তদুপরি আমার রয়েছে
অনেক ছেলে মেয়ে (যাদের ভরণ পােষণের ব্যবস্থা আমাকেই করতে হয় ৷) রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি আত্ম অভিযানের যে কথা বলেছ, আল্লাহ তাআলা তা দুর করে দিবেন ৷ তুমি
বার্ধক্যের কথা বলেছ, আমিও তো সে পর্বাংয় পৌছে গিয়েছি ৷ আর পােষ্য (হলে-মেয়ের কথা যা
বলেছ সে ক্ষেত্রে তোমার পােষ্য যে সে তো আমারই পােষ্য ৷ এবার উম্মু সালামা (বা ) বললেন,
তবে আমি নিজেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্যে সাের্পদ করলাম ৷ এরপর উন্মু সালামা আপন মনে
বলেন, আল্লাহ তাআলা আমাকে আবু সালামার উত্তম বিকল্পরুপে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে মঞ্জুর
করেছেন ৷
ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈ (র) উক্ত হাদীছ হাম্মাদ ইবন সালামা আবু সালামা থেকে
উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) বলেছেন, এটি একক বংনািকারীর বর্ণিত হাদীছ ৷ ইমাম
নাসাঈ (র) ছাৰিত আবু সাল্মমা সুত্রেও এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইবন মাজা এই হাদীছটি উদ্ধৃত
করেছেন আবু বকর ইবন আবু শায়বাহ্ — — — উমার ইবন আবী সালাজ্জা থেকে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতিশ্রুত বদর প্রাম্ভার উপস্থিত হবার পর যথাসময়ে
মদীনায় ফিরে গেলেন ৷ এরপর তিনি ষিলহজ্জ মাসের শেষ পর্যন্ত মদীনৰুতেই অবস্থান করেন ৷ এ
বছরও মুশরিকগণ হকৃজ্জর তত্ত্বাবধানে ছিল ৷ ওয়াকিদী বলেন, : র্থ হিজবী সনে রাসৃলুল্পাহ্ (সা)
যায়দ ইবন ছাৰিত (রা)-রুক ইয়াহ্রদীদের কিতাব পাঠ শিখে নেবার নির্দেশ টয়েছিলেন ৷ আমি বলি,
বিংহৃদ্ধ সনদে যায়দ ইবন ছা ত (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলােছন , মাত্র পনের দিলে
আমি তা শিখে নিই ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
হিজরী ৫ম সন
দুমাতুল জানদড়াল বুদ্ধ : রবীউল আওয়াল মাসে
ইবন ইসহাক বলেন , এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুমাতুল জল্দোল ই’ যুদ্ধ পরিচালনা করেন ইবন
হিশাম বলেন, এই যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৫ম হিজরীর রবীউল ত্মাওয়াল মাসে ৷ তখন মদীনায়
শাসনভার দিয়েছিলেন সিবা ইবন উরফুতা গিফারীর হাতে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, দুমাতুল জানদাল পর্যন্ত পৌছার পুর্বেই রাসুলুল্লাহ (সা ) মদীনায় ফিরে
আসেন ৷ পথে কোন প্রকারের সংঘর্ষ কিৎবা কোন ষড়যরুন্ত্রর সম্মুখীন হননি ৷ তারপর বছরের
অবশিষ্ট সময়টুকু তিনি মদীনাভ্রুত্ইে অতিবাহিত করেন ৷ ইবন ইসহাক এরুপই বলেছেন ৷
ওয়াকিদী আপন সনদে তার শায়খদের থেকে তারা একদল প্রাচীন ও জ্ঞানীজন থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ তারা বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সিরিয়ার উপকষ্ঠে যাবার ইচ্ছা করেছিলেন ৷ তাকে
জানানো হয়েছিল যে, এরুপ করতে পারলে রোমান সম্রাট কায়সার ভয় পেয়ে যাবে ৷ র্তাকে আরো
জানানো হয় যে, দুমাতুল জ্বানদাল এলাকায় বড় একটি দল রয়েছে যারা ওই পথে যাতায়াতকারী
পথিকদেরকে খুবই নির্যাতন করে থাকে ৷
সেখানে একটি বড় বাজারও ছিল ৷ দৃমাবাসীরা মদীনা আক্রমণের পরিকল্পনাও করেছিল ৷
ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জংন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা ) লোকজনকে আহ্বান জানালেন ৷ প্রায় ১০০০
অগ্রসর হতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে ছিল মাযকুর নামক খুবই চৌকস একজন পথ
প্রদর্শক ৷ দুমাতুল জানদালের কাছাকাছি পৌছে সে বনু তামীম গোত্রের পশু পালগুলো
মুসলমানদের দেখিয়ে দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ও তার সাথীগণ সম্মুখে অগ্রসর হয়ে ওই পশু পাল ও
রাখালদের উপর হামলা করেন ৷ কতক রাখাল পালিয়ে যায়, আর কতক মুসলমানদের হাতে বন্দী
হয় ৷ দুমাতুল জানদালের অধিবাসীদের নিকট এই সংবাদ পৌছলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই এলাকায় গিয়ে পৌছে ওদের কাউকেই ওখানে পাননি ৷ সেখানে তিনি
কয়েকদিন অবস্থান করেন ৷ সেখান থেকে কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল আশে পাশে প্রেরণ করেন ৷
তারপর তারা মদীনায় দিকে ফেরত যাত্রা করেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন মাসলাম৷ (বা ) ওদের এক
ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন ৷ তিনি তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট উপ ত করেন ; রাসুলুল্লাহ্ (সা )
১ অভিধানবিদগণ দুমা এবং হাদীছবিদগণ দাওমা বলে থাকেন ৷ দ্র আল-বিদায়া (পাদটীকা)