যয়নবের ওলীমা উপলক্ষে পদবি বিধান নাযিল হয়
উম্মাহাতু ল মু মিনীনদের ইয্যত আবরু রক্ষার উদ্দোশ্য যয়নব ৰিনৃভ জাহাশের বিবাহের
ভোজ উপলক্ষে পদৰি বিধান নাযিল হয় উমর ইবনুল খাত্তাবের অভিপ্রায় অনুযায়ী ৷ ইমাম বুখারী
(র) মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ রাকক্লাশী আনাস (রা) ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন :
যয়নব বিন্ত জাহাশের বিবাহ উপলক্ষে রাসুল করীম (সা) লোকজনকে নিমস্ত্রণ করেন ৷
দোবেরাে খাওয়া দাওয়া শেষে বসে গল্প জুড়ে দেয় ৷ রাসুল লীেম (সা) দাড়াৰার জন্য প্রস্তুত হলেও
ণ্লাকেরা উঠে দাড়ালেন না ৷ এ অবস্থা দেখে তিনি দাড়ালেন, তাকে দাড়াতে দেখে যে কেউ কেউ
দাড়ালেন; জ্যি তিনজানর এটা ক্ষুঘ্র দল বসেই থাকল ৷ রাসুল করীম (সা) ভেতরে প্রবেশ করার
জন্য আগমন করেন, তখনো তারা বসে আছেন ৷ এরপর তারা উঠে প্রন্থান করেন ৷ আমি এসে
তাদের চলে যাওয়ার কথা নবী করীম (সা)-কে জানইি ৷ তখন তিনি এসে গৃহে প্রবেশ কালে
আমিও প্রবেশ করার জন্য উদ্যত হই ৷ তখন তিনি তার এবং আমার মধ্যখানে পদা ঝুলিয়ে দেন ৷
এ সময় আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেন :
ইমাম বুখারী (র) অন্যত্র এবং ইমাম মুসলিম ও নাসাঈ (র) বিজ্যি সুত্রে মু তামির থেকেও
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুণডাবে ইমাম বুখারী (র) আইউব আনাস (রা) থেকেও
এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছে৷ ৷
ইমাম বৃখারী (র) আবু মামার আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করে বলেন ৭
যয়নব বিনত আহাশ্যে৷ সঙ্গে নবী করীম (না)-এর বিবাহ উপলক্ষে মোঃট্রুতরুটি দ্বারা ভোজের
আয়েজেন করা হয় ৷ দোকজনকে ডেকে আনার জন্য আমাকে প্রেরণ করা হয় ৷ একদল আসেন
এবং আহার করে চশে যান, আবার অন্য দল আসেন আর আহার করে চলে যান ৷ আমি পােক
জনকে ডাকতে থাকি ৷ শেষ পর্যন্ত ডাকার জন্য কাউকে না পেয়ে আমি বললাম, হে আল্লাহ্র নবী !
ডাকার জন্য আমি আর কাউকে পাজ্জি৷ ৷ তিনি বলবেন : ধ্াদ্য তুলে নাও ৷ তখনো তিনজনের
একটা দল গৃহে বসে কখাৰাতা বলমিঃন ৷ নবী করীম (যা) বের হয়ে অইিশা (রা)-এর হুজ্জার
উপস্থিত হয়ে বললেন : আসৃসালমুে আলইিকুম ওয়া রাহমাভুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷ হে আহণি
যাতে! তিনি ত্তবােবে বললেন : ওয়া আলইিকুমুস সালামু ওয়া রাহমাতুল্পাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷
আল্লাহ্ তাআল৷ আপনাকে ৰরকত মণ্ডিত করুন ৷ আপনার নববধুকে কেমন পেলেন ব্রু আল্লাহ্
আপনাকে বৱকত দান করুন ৷এভাবে প্রত্যেক ব্রীর হজ্বরায় গমন করে তাদের প্রতি সাশাম
দিলেন এবং আইশা (রা)-এর হুজরায় গিয়ে যেমন বলেন অন্যদের হুজরায় গিয়েও তেমনি
বললেন এবং তারাও আইশা (রা)-এর মতোই জবাব দিলেন ৷ এরপর নবী করীম (সা) ফিরে
আসেন, তখনো তিনজনের দলটি গৃহে কথাবাতায় রত ছিল ৷ আর নবী করীম (সা) ছিলেন ভীষণ
লাজুক প্রকৃতির ৷ তিনি আইশা (রা)-এর হুওরোর উদ্দেশ্যে গমন করেন ৷ এরপর আমি অথবা
অন্য কেউ তাকে বললো যে, লোকজন চলে গেছে ৷ তখন তিনিও বের হলেন ৷ তিনি এক পা
গৃহের দরজার চৌকাঠের ভেতরে দিয়েছেন অপর পা তখনো বাইরে ৷ এ সময় তিনি আমার এবং
তার মধ্যস্থুলে পদাঝুলিয়ে দিলেন এবং পদার আয়াতও নাযিল হয় ৷ ইমাম বুখারী (র) এককভাবে
এ সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভাবে তিনি আবদৃল্লাহ্ ইবন বুকাইর ইবন
আনাস সুত্রেও হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ এতে ৩ ব্যক্তির স্থলে ২ ব্যক্তির উল্লেখ
আছে ৷ মহান আল্লাহ্ই সবচেয়ে ভাল জানেন ৷
ইমাম বুখরীি (র) বলেন ; ইব্রাহীম ইবন তুহমান -আনাস (রা) সুত্রেও অনুরুপ হাদীছ
বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আবু হাতিম আনাস ইবন মালিক সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
এভাবে রাসুল করীম (সা) তার কোন এক ন্তীর জন্য ভোজের আয়োজন করেন ৷ এ উপলক্ষে
উম্মে সুলায়ম (ঘি এবং খেজুর সংযোগে প্রস্তুতকৃত এক প্রকার সুস্বাদৃ আহার্য (হায়স) প্রস্তুত
করেন ৷ তা একটা পাত্রে ঢেলে আমাকে দিয়ে বলেন, রাসুল করীম (সা)-এর নিকট নিয়ে গিয়ে
বলবে যে, আমাদের পক্ষ থেকে তার জন্য এটা মামুলী হাদিয়া মাত্র ৷আমি তা নিয়ে এসে বললাম ,
ইয়া রাসৃলাল্লাহ্! এটি উম্মে সুলায়ম আপনার কাছে পাঠিয়েছেন ৷ সালাম দিয়ে বলেছেন, এটি
আপনার জন্য সামান্য হাদীয়া ৷ আনাস বলেন, তখন লোকজন খুব অনটনে ছিল ৷ তিনি সেটির
দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন, ঘরের এক কোণে রেখে দাও ৷ এরপর আমাকে ডেকে বললেন : অমুক
অমুক ব্যক্তিকে ডেকে আন ৷ এসময় তিনি অনেক ব্যক্তির নাম ধরে বললেন ও মুসলমানদের
মধ্যে যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাকেই দাওয়াত দেবে ৷ আমি ফিরে এসে দেখি যয়নবের ঘর, সুফ্ফা
এবং হুজরাসমুহ সবই লোকে লোকারণ্য ৷ রাবী বলেন, আমি রললাম , হে আবু উসমান ৷ তাদের
ত্থ্যা কত ছিল ? তিনি বললেন : তিনশর কিছু বেশী হয়ে ৷ আনাস (রা) বলেন : রাসুল করীম
(সা) আমাকে বললেন, খাবার নিয়ে এসো ৷ আমি নিয়ে এলে তিনি তাতে হাত রাখেন দৃআ করেন
এবং বলেন, মাশআল্পাহ্৷ তিনি বললেন, দশজন দশজন কারে বৃত্তাকারে বলবে, বিসমিল্লাহ্ বলে
প্রতেব্রকে নিজের পাশ থেকে আহার করবে ৷ তারা বিসমিল্লাহ্ বলে আহার করা শুরু করেন এবং
সকলেই আহার করলে তিনি আমাকে বললেন, খাদ্য তুলে রাখ ৷ তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি
এসে পাত্রটি উঠিয়ে নিলাম, তখন আমি পাত্রের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম না যে, যখন আমি
স্থাপন করি তখন খাদ্য বেশী ছিল, না যখন তুলে রাখি তখন ?
রাবী বলেন, কিছু লোক সকলে চলে যাওয়ার পরও রাসুল (না)-এর গৃহে বসে বসে গল্প
করেছিলেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নববধু দেয়ালের দিকে মুখ করে বসে রয়েছিলেন ৷ তাদের
দীর্ঘ আলাপ চারিতায় রাসুল (সা) বিব্রত বোধ করেন ৷ আর তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশী
লজ্জাশীল ৷ রাসুলের কষ্ট হচ্ছে এটা লোকেরা বুঝতে পারলে তারাও কষ্ট পেতেন ৷ অবশেষে
রাসুলুল্পাহ্ (সা) উঠে দাড়ান, হুজরাবাসী ত্রীদেরকে সালাম জানান ৷ রাসুলুল্লাহ্ এসে গেছেন এটা
দেখতে পেয়ে তারা বুঝতে পারেন যে, ব্যাপারটা রাসুলের নিকট কষ্টকর ঠেকেছে ৷ তারা
তাড়াতাড়ি বের হয়ে পড়েন ৷ তখন রাসুল করীম (সা) উপস্থিত হয়ে পদাটানিয়ে দেন এবং গৃহে
প্রবেশ করেন ৷ আমি তখন হুজরায় ৷ রাসুল (সা) স্বল্প সময় হুজরায় অবস্থান করেন ৷ এ সময়
আল্লাহ্ তাআলা কুরআন নাযিল করেন এবং নিম্নোক্ত আয়াত তলাওয়াত করতে করতে রাসুল
করীম (সা) ণ্ররিয়ে আসেন :
আনাস (রা) বলেন৪ রাসুল করীম (সা) সকলের আগে এ আয়াতগুলো আমাকে পাঠ করে
শুনান এবং কালের বিবেচনায় আমিই এ আয়া তগুলোর সর্বপ্রথম শ্রোতা ৷ মুসলিম (র), তিবমিযী
(র) এবং নাসাঈ (র) এরা সকলেই সুলায়মান সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা কারছেন এবং র্তিরমিযী (র)
হাদীছটিকে হাসান-সহীহ্ বলে অভিহিত করেছেন ৷ অনুরুপভারে মুসলিম ও ভিন্ন সুত্রে হাদীছটি
বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী (র ) , তিরমিযী (র) এবং নাসাঈ (র) ও বিভিন্ন সুত্রে আবুল বাশার
আহমাসী কুফীর বরাতে আনাস (রা) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং ইবন আবু হড়াতিম আবু
নাঘৃরা আল আবদীর বরাতে আনাস (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম ইবন জারীর (র)
আম্র ইবন সাঈদ সুত্রে এবং ইমাম যুহরী (র) আনাস (রা) সুত্রেও অনুরুপভারে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷
আমি বলি, যয়নব বিনত জাহাশ (রা) ছিলেন সর্বপ্রথম হিজরতকা রিণী ন ৷রীগণের অন্যতম
এবং তিনি প্রচুর দান খয়রাত করতেন ৷ তার পুর্ব নাম ছিল বাররা, নবী করীম (সা) তার নামকরণ
করেন যয়নব ৷ তার কুনিয়াত বা উপনাম ছিল উম্মুল হিকাম অর্থাৎ জ্ঞা নবুদ্ধির জননী ৷৩ তার
সম্পর্কে উম্মুল মু’মিনীন আইশা সিদ্দীকা (বা) মন্তব্য করেন :
দীনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষে, তাকওয়ড়ায়, সত্য ভাষণে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং
আমানতদারী ও দান থয়রাতের ক্ষেত্রে যয়নব বিনত জাহাশের চেয়ে উত্তম কোন রমণী আমি
কখনো দেখিনি ৷ বিশুদ্ধ প্রন্থদ্বয় অর্থাৎ বুখারী ও মুসলিমে প্রমাণিত হয়েছে এবং ইফ্ক তথা
অপবাদ আরোপের ঘটনা সম্পর্ক হাদীছে আসছে যে, আইশা (রা) বলেন ও
রাসুল করীম (সা) আমার সম্পর্কে যয়নবকে জিজ্ঞাসা করেন ৷ অথচ নবী করীম (না)-এর
ত্রীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই আমার সাথে প্রতিদ্বজ্বিতা করতেন ৷ আল্পাহ্ ভীতির কারণে আল্লাহ্
তাকে রক্ষা করেছেন ৷ তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমিতো আমার চক্ষু কর্ণ হিফাযত
করছি ৷ তার সম্পর্কে ভাল ছাড়া কিছুইভাে আমার জানা নেই ৷
আর মুসলিম (ইবন হাজ্জাজ) তার সহীহ্ গ্রন্থে মাহমুদ ইবন পায়লান আইশা সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন : রাসুল করীম (সা) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যার হস্ত সবচেয়ে দরাজ সে
সকলের আগে আমার সঙ্গে মিলিত হয়ে ৷ তিনি বলেন, আমরা মেপে দেখতাম, আমাদের মধ্যে
কার হাত সবচেয়ে বেশী লম্বা ৷ তিনি আগে বলেন : যয়নবের হাত ছিল সবচেয়ে লম্বা ৷ কারণ,
তিনি নিজ হাতে কাজ করতেন এবং দান-খয়রাত করতেন ! ইমাম মুসলিম (র) এককভাবে
হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
ওয়াকিদী প্রমুখ সীরাত , মাপাযী ও ইতিহাস গ্রন্থ কার বলেন রু; যয়নব বিনৃত জাহাশ হিজধী ২০
সালে ইনতিকাল করেন ৷ আমীরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খত্তোব (বা) তার জানাযার নামাযে
ইমামতি করেন এবং জান্নাতুল বাকীতে তাকে দাফন করা হয় ৷ আর তিনি হলেন সর্বপ্রথম মহিলা
যার জন্য প্রথম জানাযায় খাটিয়ার ব্যবস্থা করা হয় ৷
হিজরী ৬ষ্ঠ সনের ঘটনাবলী
বায়হার্কী (র) বলেন : বলা হয়ে থাকে যে, এ বছর মুহাররম মাসে মুহাম্মাদ ইবন মাসলামার
নেতৃত্বে নাজ্বদ অভিমুখে একটা বাহিনী প্রেরণ করা হয় ৷ এ অভিযানে তরা ছুমামা ইবন উছাল
ইয়ামানীকে বন্দী করে আনেন ৷ আমি বলি, কিন্তু ইবন ইসহাক (র) সাঈদ মাকব্ররী সুত্রে আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও এ বাহিনীতে শরীক ছিলেন ৷ অথচ তিনি হিজরত
করেন খায়বর বিজয়ের পর (হিজরী ৭ মাসে) সুতরাং এটা পরের ঘাষ্টুনা হতে পারে ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷ এটা এমন এক বছর যে বছরের প্রথম দিকে বনু লিহইয়ান যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
এটাই বিশুদ্ধ মত ৷ আর বনু কুরায়য়াকে পরাজিত করার ঘটনা ঘটে যিলকাদের শেষ এবং
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দিকে ৷ আর এ হজ্জ মুশরিকদের ততুাবধানে অনুষ্ঠিত হয় অর্থাৎ হিজরী
পঞ্চম সালে, ইতিপুর্বেও এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যিলহ্জ্জ মুহাররম, সফর এবং রবিউল আউয়াল এবং রবিউছ ছানী মাস মদীনায়
অবস্থান করেন এবং বনু কুরায়যার অভিযানের ৬ মাসের মাথায় বনু লিহ্য়ান অভিমুখে অভিযানে
বের হন ৷ তিনি রাজী এর শহীদ থুবায়র এবং তার সঙ্গীদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য
বের হন ৷ বাহ্যিকভাবে তিনি প্রকাশ করেন যে, তিনি শাম দেশের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছেন,
যাতে অকন্মাৎ তাদের উপর হামলা চালাতে পারেন, ইবন হিশাম বলেন, তিনি ইবন উম্মে
মাকতৃমকে মদীনায় প্রশাসকের দায়িত্বে নিযুক্ত করে যান ৷ মোট কথা, নবী করীম (সা) তাদের
আবাসন্থলের দিকে অগ্রসর হলে তারা পালিয়ে পাহাড়ের শীর্ষে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষা করে ৷
এরপর রাসুল করীম (সা) উছফানের দিকে গমন করেন ৷ সেখানে একদল মুশরিকের সঙ্গে
সংঘাতে লিপ্ত হন এবং সেখানে সালাতৃল খাওফ আদায় করেন ৷ চতুর্থ হিজরী সনের ঘটনাবলীতে
যুদ্ধ বিষয়ে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আর বায়হার্কী (র) ও এ ঘটনা সেখানেই আলোচনা
করেছেন ৷ তবে ইবন ইসহাক (র) যা উল্লেখ করেছেন, তা-ই বেশী যুক্তিযুক্ত ৷ আর তা হলো
এই যে, এ ঘটনাটি খন্দক যুদ্ধের পরের আর এটা প্রমাণিত যে, নবী করীম (সা) বনুলিহ্ইয়ানের ,
দিনে সেখানে সালাতুন খাওফ আদায় করেন ৷ তাই সে আলোচনা সেখানে হওয়াই যিধেয় ৷
মাপাযীর ইমাম (মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক)-এর অনুসরণ অনুসরণেই এটা হওয়া উচিৎ ৷ ইমাম
শাফিঈ (র) বলেন :
যে ব্যক্তি মাগাযী তথা যুদ্ধ বিগ্রহ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চায়, তাকে মুহাম্মাদ ইবন
ইসহাকের উপর নির্জাশীল হতে হবে ৷ বনুলিহ্ইয়ান যুদ্ধ সম্পর্কে কাব ইবন মালিক (বা) বলেনঃ