বদর যুদ্ধের দিন তারা ৰিশ্বস্ততা প্রদর্শন করেছে রাসুল (সা)এর সঙ্গে ৷ আর তাদের মাথার
উপরে ঝুলত্যি মৃত্যুর ছায়া আর উজ্জ্বব তরবারী ৷
রাসুল তাদেরকে আদেশ করেন আর তারা সাড়া দেন, সাতাৰুন্ত্র ডাকে, প্রতিটি ব্যাপারে তারা
সকলেই ছিলেন রাসুলের অনুগত এবং বাধ্য ৷
ভয়ে তারা ফিরে যায়নি, শেষ পর্যন্ত তারা নিজেদ্যে৷ দলে মিশে যায় আর নির্ধারিত আয়ুকে
কেবল মৃভ্যুই কর্তন করতে পারে ৷
কারণ তারা নবীজির শাফাআতের আশা পোষণ করে, যখন নৰীরা ছাড়া আর (কান
সু’পারিশকারী থাকবেন না ৷
তাই হে আল্লাহ্র নেক বন্দোরা ! এটইি ছিল আমাদের পরীক্ষা আর আমরা সাড়া দেই আল্লাহ্
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ৷ আমাদেরকে মেনে নিতে হবে আল্লাহ্র দ্বন্কুম, আর মৃত্যুতে! অবধারিত ৷
তোমার পাং;নই আমাদের প্রথম পদক্ষেপ , আর আমাদের পশ্চাতে রয়েছে আল্লাহ্র দীনের
তার আমাংদ্যা অ ননকারীরা ৷
আমরা জানি যে, রাজত্ব কর্তৃত্ব কেবলমাত্র আল্লাহ্র , আর আল্লাহ্র সিদ্ধম্ভে অবশ্যই কার্যকরী
হবে ৷ আবল্লোহ্ আবল্লোহ্
আবু রাফি ইয়াহ্রদীর হত্যার ঘটনা
ইবন ইসহাক (র বলেন : খন্দক যুদ্ধে এবং বনু কুরায়যার ঘটনার পর আবু রাফি“ সালাম
ইবন আবুল হুকায়ক ছিল রাসুল (না)-এর বিরুদ্ধে যারা সম্মিলিত বাহিনীকে একত্র করে তাদের
অন্যতম ৷ ণ্ডহুদ যুদ্ধের পুর্বে আওস গোত্রের ণ্লাবেল্পা কাব ইবন আশরাফকে হত্যা করে ৷ তখন
খাবৃরজে পেহ্বত্রের ণ্লাকেরন্ সালাম ইবন আবুল ছ৷ কে হত্যা
করতে পােরছি ৷ এরপর আমি এক এক করে সবগুলো দরজা খুলে কক্ষের সিড়ি পর্যন্ত পীছি, ৷
আমি সিড়িতে পা স্থাপন করি ৷ আমি ধারণা করলাম যে, আমি শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছেছি ৷ র্চাদর্নী
রাতে সিড়ি থেকে পড়ে যাই এবং এর ফলে আমার পায়ের নলা ভেঙ্গে যায় ৷ আমি পাগড়ি দিয়ে
পা বেধে নেই ৷ আমি ইাটতে ছুাটতে সিড়িাত পৌছে সেখানে বসে পান্ষ্ট্র ; আমি মনে মনে বলি,
তার হত্যা সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্বত আমি এখান থেকে আজ রা£ত বের হবােন৷ ৷ ণ্ভারে
মােরণ ডাক দিলে মৃত্যু স বাদ দানকারী দেয়ালে আরোহণ করে ঘোষণা দেয় যে, আমি
হিজাযবাসীদের সাহায্যকারী আবু রাবি চ মারা যাওয়ার কথা ঘোষণা করাছ কথা শুনে আমি
আমার বন্ধুদের নিকট গিয়ে তাদেরকে বলি, রক্ষা পেয়েছি ৷ আল্লাহ্৩ ত৷ আলা আবু রাফি কে ধ্বংস
করেছেন ৷ আমি নবী (সা) এর নিকটগ্ গিয়ে তাকে গোটা ইতিবৃত্ত অবহিত করলে তিনি বা নন
তোমার পা বাড়াও ৷ আমি প৷ বড়ো লে৩ তিনি তাতে হাত বুলান ৷ এতে আমার মনে হলো যেন পারে
কোন কষ্টই ছিল না ৷
ইমাম বুখারী ৷ র) আহমদ ইবন উসমান ৷ আবু ইসহাক সুত্রে অনুরুপ হাদীহু বর্ণনা করেন ৷
এতে বলা হয়েছে :
ইমাম বুখারী (য়) বার৷ সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসারাম একদল
লোকসহ আবদুল্লাহ ইবন উতবা এবং আবদুল্লাহ ইবন আভীককে আবু রাফি এর প্রতি প্রেরণ
করেন ৷ তীরা অগ্রসর হয়ে দুর্গ পর্যন্ত পৌছেন ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন আভীক তাদেরকে
বললেনঃ তোমরা এখানে অবস্থান কর , আমি গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো ৷ তদনুষায়ী আমি
ভেতরে প্রবেশ করার ফন্দি আটি ৷ এ সময় তাদের একটা গাধ্৷ থাে য়া যায় ৷ তার৷ ম৷ লো নিয়ে
গাধার খোজে বের হয় ৷ আমার আশংকা হলো, তারা আমাকে চিনে ফেলতে পারে ৷ তাই আমি
মস্তক আবৃত করে বসে পড়ি, যেন আমি প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরণ করার জন্য বসেছি আর কি
তখন দারোয়ান বললোং যে ভেতরে প্রবেশ করতে চায়, প্রবেশ করুক ৷ দরজা বন্ধ করার
আগেই তাকে প্রবেশ করতে হবে ৷ তাই আমি ভেতরে প্রবেশ করে দুর্গের দরজার নিকটে গাধার
আস্তাবলে লুকিয়ে থাকি ৷ দুর্গের লোকেরা আবুরাফি’,এর নিকটে আহার করে এবং রাতের কিছু
সময় অবধি গল্পগুজর করে ৷ তারপর তারা নিজ নিজ গৃহে ফিরে যায় ৷ যখন কোলাহল থেমে
গেল এবং আমি কোন সাড়াপব্দ শুনতে পেলাম না তখন আমি বের হলাম ৷ তিনি বলেন, আমি
দারোয়ানকে কোথায় সে দুর্গের চাবি ব্লেখেছে তা লক্ষ্য করি ৷ আমি সেখান থেকে চাবি নিয়ে
দুর্গের দরজা খুনি ৷ আমি মনে মনে বলি ৷ কেউ আমাকে দেখে ফেললে আমি তৎক্ষণাৎ রেরিয়ে
পড়বাে ৷ এরপর গৃহের দরজার দিকে এগিয়ে বাইরে থেকে তা বন্ধ করে দেবো ৷ এরপর সিড়ি
যেয়ে উপরে উঠে আমি আবুরাফি এর কাছে পৌছি ৷ অন্ধকার গৃহ, বাতি নিবে গেছে ৷ লোকটি
কোথায়, তা আমি ঠাহর করতে পারছিলাম না ৷ আমি তার নাম ধরে ডাক দিলাম, হে আবুরাফি!
সে বলে, কে ৷ আমি আওয়াযের দিকে এগিয়ে যাই এবং তাকে আঘাত করি ৷ কিন্তু আঘাতে
কোন কাজ হলো না ৷ সে চিৎকার করে ৷ ব্যর্থ চিৎকার ৷ তারপর আমি তার শুভার্থী সেজে তার
কাছে যইি ৷ আমি বলি, আবুরাফি ৷ তোমার কী হয়েছে৷ আমি তখন আ ওযায় বদলে ফেলি ৷ সে
বলে, না, তোমার জন্য আমাকে অবাক হতে হয় ৷ তোমার নামের জন্য ধ্বং স ৷ এক ব্যক্তি আমার
গৃহে প্রবেশ করে তরৰারি দ্বারা আঘাত করেছে ৷ তিনি বলেন, পুনরায় আমি তার দিকে এগিয়ে
যাই ৷ পুনরায়৩ তার উপর আঘাত হানি ৷ কিংফু এবারও আঘাতে কোন কাজ হলো না সে চিৎকার
জুড়ে দেয় এবং তার পরিবারের লোকজন জেগে উঠে ৷ তারপর আমি কণ্ঠস্বর পরিরজ্ঞা করে
শুভাথীর মতো এগিয়ে যইি ৷ দােখ, সে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে ৷ আমি তার পেটের উপর অস্ত্র স্থাপন
করি এবং তার উপর প্রচন্ড চাপ দেই ৷ যাতে তার পৃষ্ঠদেশের হাড়ের আওয়ায শুনতে পাই ৷
এরপর আমি ব্যতিব্যস্ত হয়ে বেরিয়ে পড়ি এবং নিচে নড়ামার উদ্দেশ্যে সিড়ির কাছে গমন করি ৷
সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আমার পা ভেঙ্গে যায় ৷ আমি পা বেধে খােড়াতে খােড়াতে আমার বন্ধুদের
কাছে আমি এবং তাদেরকে বলি : তোমরা যাও এবং নবী করীম (সা) কে সুসং বাদ দাও
আমিতো মৃত্যুর সংবাদ না শোনা পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করবো ৷ প্রভ্যুষে মৃত্যু সংবাদ
ঘোষণাকারী প্ৰাচীরে আরোহণ করে বলেং; আমি আবু রাফি এর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছি ৷
তিনি বলেন, সাথে সাথে আমি উঠে দাড়াই এবং রওয়ানা হয়ে পড়ি ৷ এ সময় আমার পারে কোন
ব্যথা ছিলন৷ ৷ আমার বন্ধুরা রাসুল করীম (না)-এর নিকট পৌছার পুর্বেই আমি পথিমধ্যেই
তাদেরকে গিয়ে ধরতে সমর্থ হই আর আমি রাসুল করীম (সা) কে এ সুসংবাদ দান করি ৷
এসব বিস্তারিত বিবরণ দানের ক্ষেত্রে সিহাহ্ সিত্তাহ্ তথা ৬টি বিশুদ্ধ হাদীছ গ্রন্থের মধ্যে
ইমাম ৰুখারী (র) একক বৈশিাষ্ট্যর অধিকারী ৷
ইমাম যুহরী (র) উবাই ইবন কাব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুল কবীম (না) যখন মিম্বরে
উপবিষ্ট ছিলেন তখন তারা আগমন করেন ৷ রাসুল করীম (না) বলে উঠলেন
চেহারাগুলো সফল হয়েছে ৷ অথর্ধৎ তারা সফলকাম হয়ে ফিরে এসেছে ৷ তিনি বললেন ং পেং
হে অ ল্লাহ্র নবী (সা ) আপনার চেহারা সফল
হোক ৷ তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি তাকে হত্যা করেছ ৷৩ তারা বললেন, জী হা ৷ তিনি
বললেন, আমার কাছে তরবারি নিয়ে এসো ৷ তিনি কোষ থেকে তরবারি বের করে সেখানে
রাসৃলুল্লাহ (সা) বললেন, হ৷ ৷ এ হলো তরবা ৷বি ধারে তার আহার্যের চিহ্ন রয়েছে ৷
আমি বলি, হতে পারে আবন্মোহ্ ইবন আতীক যখন সিড়ি থেকে পড়ে যান তখন তার পায়ের
জোড়া স্থানচ্যুত হয় , গোড়ালি ভেঙ্গে যায় এবং পায়েও মােচড় লাগে; কিন্তু যখন তা বেধে দেয়া
হয় তখন ব্যথা দুর হয়ে যায় এবং চলাচলে আর কোন কষ্ট অবশিষ্ট থাকেনি ৷ কারণ , ব্যাপারটি
খুবই স্বাভাবিক এবং অতি স্পষ্ট ৷ তিনি যখন হীটা-চলার অভিপ্রায় করেন তখন এজন্য তাকে
সাহায্য করা হয় ৷ কারণ, এর মধ্যে নিহিত রয়েছে কল্যাণকর জিহাদ ৷ তারপর তিনি যখন রাসুল
করীম (না)-এর নিকট পৌছেন এবং তিনি স্বস্থি ফিরে পান তখন পুনরায় ব্যথা ফিরে আসে এবং
তিনি পা ছড়িয়ে দিলে রাসুল করীম (না) তাতে হাত বুলিয়ে দেন ৷ ফলে অসুবিধা দুর হয়ে যায়
এবং ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে এমন বথােও আর অবশিষ্ট জ্জি না ৷ এভা৷:ব উভয় বর্ণনার মধ্যে
সামঞ্জস্য সাধিত হয় ৷ আল্লাহ-ই ভাল জানেন ৷ মুসা ইবন উক্বা তদীয় মগাষী’ গ্রান্থ ইবন
ইসহাক অনুরুপ বর্ণনা করেছেন এবং ইব্রাহীম ও আবু উবায়দের মড়াতা তিনিও তাদের এ
অভিযানে অংশ গ্রহণকারী সাহাবীগা;ণর নাম উল্লেখ করেছেন ৷
খালিদ ইবন সুফিরান হুযালনী হত্যার ঘটনা
হাফিয বায়হাকী (র) দালাইল গ্রন্থে আবু রাফি এর হত্যার ঘটনা উল্লেখ করার পর ইমাম
আহমদ (র)-এর বরাতে ইয়াকুব আবদুল্লাহ ইবন উনাইস তদীয় পিতা সুত্রে বর্ণনা করে
বলেন
রাসুল করীম (সা) আমাকে ডেকে বললেন : আমি জানতে পেয়েছি যে, খালিদ ইবন
সুফিয়ান ইবন নাবীহ্ হুযালী আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হওয়ার জন্য লোকজনকে সমবেত
করেছে ৷ এখন সে উরানা’ নামক স্থানে অবস্থান করছে ৷ তুমি সেখানে গিয়ে তাকে হত্যা কর ৷
তিনি নিবেদন করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার জন্য তার কিছু বৈৰিষ্ট্য উল্লেখ করুন যাতে আমি
তাকে চিনতে পারি ৷ তিনি বললেন, তুমি যখন তাকে দেখবে, তখন লক্ষ্য করবে যে, সে কম্পন
ব্যাধিতে আক্রান্ত আছে ৷ তিনি বলেন, আমি তলওয়ার কােষবদ্ধ করে উরানায় তার কাছে গিয়ে
পৌছি ৷ তখন ছিল আসরের নামায়ের সময় ৷ রাসুল (না) তার কম্পনের যে বর্ণনা দেন, আমি
তাকে তেমনটিই পেলাম ৷ তখন যে স্তীদেরকে নিয়ে বাসন্থানের সন্ধানে ছুটাছুটি করছিল ৷ আমি
তার দিকে এগিয়ে যাই ৷ আমার আশংকা হয় যে, আমার এবং তার মধ্যে ধস্তাধ্স্তি হতে পারে ৷
যা আমাকে যথাসময়ে সালাত আদায় থেকে বিরত রাখতে পারে ৷ তাই আমি তার দিকে হাটতে
হাটতে ইশাৱায় সালাত আদায় করলাম ৷ মাথার ইশাৱায় আমি রুকু সিজদা আদায় করছিলাম ৷
আমি তার কাছে পৌছলে সে জিজ্ঞেস করলো কে ৷ আমি বললাম, আমি একজন আরব ৷ এ
ব্যক্তির উপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে আপনার লোকজন সমবেত করার কথা শুনতে পেয়ে এ
উদ্দেশ্যে আপনার কাছে এসেছি ৷ সে বললো, হ্যা, আমিতো সে চেষ্টায় প্রবৃত্ত আছি ৷ আমি কিছু
দুর তার সঙ্গে অগ্রসর হই ৷ সুযোগ বুঝে আমি তরবারি চালিয়ে তাকে হত্যা করি এবং তার
ত্রীদেরকে সেখানে ফেলে রেখে বেরিয়ে আসি ৷ তার ত্রীরা তার জন্য বিলাপ করছিল ৷ আমি রাসুল
করীম (সা)এর নিকট এগিয়ে গেলে আমাকে দেখে তিনি বলেন : চেহারা এতো
দেখছি সফল হোক ৷ কর্ম সিদ্ধ হয়েছেত ? তিনি বলেন, আমি বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমি
তাকে হত্যা করেছি ৷ তিনি বললেন, সত্য বলছ ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ আমার পাশে দাড়ালেন এবং