যুদ্ধে শরীক হন এবং যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে যান ৷ মুসলিম (র) এবং নাসাঈ (র) এই
হাদীছ বর্ণনা করেছেন সুফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে ৷ বদরের যুদ্ধ বিষয়ক আলোচনায় উল্লিখিত
উমায়র ইবন হাম্মামের ঘটনার সাথে এই ঘটনার মিল রয়েছে ৷
উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আহত হওয়া প্রসঙ্গ
বুখাবী (র) “উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যখম হওয়া” প্রসঙ্গে লিখেন ইসহাক ইবন
নাসর আবুহুরায়রা (বা) এর বর৷ তে বলেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন০ :
সেই জন সমষ্টির উপর অ ল্লাহব পয় ৷ কঠিনতর হোক যায়া
আল্লাহ্ট্রুৰু নবীর সাথে এ আচরণ করেছে ৷ একথা বলার সময় তিনি৩ তার সম্মুখে শহীদ হওয়া
দাতের দিকে ইঙ্গিত করেন ৷ তিনি আরো বলেছেন, আল্লাহ্র গযব কঠিনতর হোক সেই ব্যক্তির
প্রতি আল্লাহর পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বহস্তে যাকে হত্যা করেছেন ৷ মুসলিম (র ) আব্দুর রায্যাক
সুত্রে এই মর্মে হাদীস বংনাি করেছেন ৷
তবে তার শেযাৎশে রয়েছে যারা বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে তাদের
প্রতি আল্লাহর গযব তীব্রতর হোক ৷
ইমাম আহমদ বলেন, আফ্ফান আনাস (র৷ ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা )
উহুদ ৷দরসে তার পবিত্র মুখমণ্ডল থেকে রক্ত মুছতে মুছতে বলছিলেন “সেই সম্প্রদায় কেমন
করে সফলকাম হয়ে যারা তাদের নবীর মুখ যখম করে দিয়েছে এবং তার দাত ভেঙ্গে দিয়েছে ৷
একথা বলার সময় তিনি আল্লাহর দরবারে দুঅ৷ করছিলেন ৷ ওই পরিস্থিতিতে আল্লাহ্ তাআলা
নাযিল করলেন :
(ও আলে-ইনরান হু; ১২৮) ৷ মুসলিম (র) কানবী সুত্রে হাম্মাদ ইবন সালাম৷ থেকে উক্ত
হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) হুশায়ম আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উহুদের যুদ্ধে
রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর সম্মুখেব একটি দাত শহীদ করে দেয়৷ হয় এবং তার পবিত্র মুখমওল যখম
করে দেয়৷ হয়, তার মুখণ্ডল রেয়ে রক্ত পড়ছিল ৷ এ অবস্থায় তিনি বলছিলেন, যে নবী তাদেরকে
আল্লাহর পথে ডাকছেন যারা সে নবীর প্রতি এ অমানবিক আচরণ করে তারা (কমন করে
সফলকাম হবো তফা আল্লাহ তা জানা তার প্রতি নাযিল করলেন (ৰু :,,;: ,; ১ন্ ৷ ট্রু,ন্ষ্ এ , )
ইমাম বুখারী বলেন, কুত৷ য়বা আবু হাযিম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সাহ্ল ইবন
সাদকে বলতে শুনেছেন যখন তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর আঘাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হচ্ছিল ৷
উত্তরে তিনি বলছিলেন যে, আল্লাহর কলম রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ক্ষতন্থ ন কে ধুয়ে দিচ্ছিলেন, কে
পানি ঢেলেছিলেন এবং তাকে কী চিকিৎসা দেয়৷ হয়েছিলত ৷ও আমি জানি ৷ নবী কন্যা ফাতিমা
ক্ষতস্থান ধুয়ে দিচ্ছিলেন ৷ ঢালে করে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন হযরত ৩আলী (বা ) ৷ হযরত ফাতিমা
যখন দেখলেন যে, পানিতে রক্ত ঝর৷ বন্ধ হচ্ছে না বরং তা রেড়েই চলেছে তখন তিনি এক
টুকরা চাটাই পুড়িয়ে ক্ষতস্থানে ছাই লাগিয়ে দেন ৷ তাতে রক্ত বন্ধ হল ৷ সেদিন তার সম্মুখের
নীচের একটি দাত শহীদ হয়ে যায় ৷ পবিত্র মুখমণ্ডল যখন হয় ৷ শিরস্ত্রম্পো ভেঙ্গে মাথায় ঢুকে যায় ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী তার মুসনাদ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ইবনুল মুবারক — — — — হযরত
আইশা (রা) থেকে বংনাি করেন যে , তিনি বলেছেন, আবু বকর (রা ) এর নিকট উহুদ দিবসের
কথা আলোচনা করা হলে তিনি বলতেন, সেদিনের যতটুকু কল্যাণ ও ইতিবাচক দিক রয়েছে তার
সবটাই তাল্হার প্রাপ্য ৷ তারপর তিনি বলতেন, বিপর্যয়ের পর দ্ নরায় আমিই সর্বপ্রথম উহুদ
ময়দানে ফিরে আসি ৷ আমি দেখলাম, তখনও জনৈক লোক রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আড়ালে রেখে
প্রচন্ড যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ৷ আমি মনে মনে বললাম, ওই লোকটি যেন তালহা-ই-হয় ৷ তাহলে
আমি যা থেকে বঞ্চিত হলাম ওই দুঃখ কিছুটা মােচন হবে ৷ আমি মনে মনে বললাম , লোকটা
যদি আমার স্বগােত্রের হয় তবে কতটা না ভাল হয় ৷ তখন আমি আমার ও মুশরিকদের ম ধ্যখানে
একজন লোককে দেখতে পেলাম যাকে আমি চিনতে পারছিলান না ৷ আমার অবস্থান তখন তার
তুলনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছাকাছি ৷ ওই লোকটি খুব দ্রুত হাটছিল যা আমি পারছিলাম না ৷
হঠাৎ দেখি, তিনি আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ ৷ আমরা দৃজনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পৌছি ৷
তখন তার সামনের দাত শহীদ হয়ে গেছে মুখমণ্ডল ক্ষত বিক্ষত ৷ শিরস্ত্রষ্ণেণর দুটো কড়া তার
কপালের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তালহা (রা)-এর দিকে ইঙ্গিত করে বললেন,
তোমরা দুজনে তোমাদের এই সাথীকে বাচাও ৷ প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে তখন তালহা (রা ) ভীষণ
দুর্বল হয়ে পড়েছেন ৷ যে দিকে ড্ড খেয়াল না করে আমি তার মুখমন্ডল থেকে শিরস্ত্রড়াণের কড়া
খুলতে গেলাম ৷
আবু উবায়দা আমাকে বললেন দােহাই আল্লাহর , আপনি আমাকে ওই কড়া দুটি খোলার
সুযোগ দিন ৷ আমি সরে গিয়ে তাকে সুযোগ দিলাম ৷ হাতে খুলতে পেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যথা
পারেন এ আশংকায় আবু উবায়দা দাত দিয়ে তা খোলার চেষ্টা করলেন ৷ দাতে কামড়ে তিনি কড়া
খুলে আনলেন ৷ সাথে সাথে তারও সম্মুখের একটি দাত ভেঙ্গে পড়ে গেল ৷ আবু বকর (রা)
বলেন, তিনি যা করেছেন আমিও তা করে অপর কড়াটি খুলতে পেলাম, তিনি আমাকে পুর্বের মত
কলম দিলেন ৷ এরপর তিনি প্রথম বারের মত দ্বিতীয় কড়াটিও খুলে আনলেন ৷ এক সাথে তার
সম্মুখের আরেকটি দাত ভেঙ্গে পড়ে গেল ৷ বন্তুত৪ ভাঙ্গা দাতের লোকদের মধ্যে আবু উবায়দা
ছিলেন সর্বাধিক সুদর্শন পুরুষ ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সেবাযতু করে তাকে সুস্থ করে
তুংালাম ৷ এরপর আমরা তালহা (রা)-এর নিকট এলাম ৷ তখনও তিনি দুর্বল নিঃসঙ্গ ৷ আমরা
দেখলাম তীর, তরবারি ও বর্শার আঘাত মিলিয়ে তার দেহে ৭০-এর অধিক ক্ষতচিহ্ন ৷ তার
আঙ্গুলও কর্তিত ৷ আমরা তাকেও সেবাযতু করে সুস্থ করে তৃললাম ৷
ওয়াকিদী বলেন, ইবন আবু সাবুরা নাফি ইবন জুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, আমি জনৈক মুহাজির ব্যক্তিকে শুনেছি, তিনি বলছিলেন, “আমি উহুদ যুদ্ধে অংশ
নিয়েছিলাম ৷ সেদিন আমি দেখলাম, চারিদিক থেকে তীর ছুটে আসছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মাঝখানে দাড়িয়ে আছেন ৷ তিনিই ছিলেন ভীরগুলাের লক্ষ্যন্থল ৷ তবে ভীরগুলাে প্রতিহত করা
হচ্ছিল ৷ সেদিন আমি আব্দুল্লাহ ইবন শিহাব (যুহরীকে ) বলতে শুনেছিলাম ৷ “মুহাম্মাদ কোথায়
আমাকে দেখিয়ে দাও ! মুহাম্মাদ জীবিত থাকলে আমার স্বস্তি নেই ৷ ” রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কিন্তু তার
নিকটেই একাকী ছিলেন ৷ তার সাথে কেউ ছিল না ৷ কিন্তু সে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) কে অতিক্রম করে
যায় ৷ এ জন্যে সাফওয়ান ইবন উমাইয়া তাকে তিরস্কার করেছিল ৷ আবদুল্লাহ বলেছিল, আল্লাহর
কসম, আমি তাকে দেখিনি ৷ আল্লাহর কসম ! তিনি আমাদের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত ছিলেন ৷
আমরা চারজন তাকে হত তা৷ করবার জন্যে প্রতিজ্ঞা করে ময়দানে এসেছিলাম ৷ কিন্তু আমরা তার
নিকটে যেষতে পারেনি ৷ ওই সুযোগ পাইনি ৷
ওয়াকিদী বলেন, আমার নিকট প্রমাণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কপালে পাথর
যেরেছিল ইবন ক মিযা ৷৩ ৩ার ৫ঠাটে পাথর মেরে তার দাত শহীদ করেছিল উতব৷ ইবন আবু
ওয়াক্কাস ৷ ইতিপুর্বে ইবন ইসহাক থেকেও অনুরুপ মন্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, যে র্দাতঢি
ভেঙ্গে ছিল সেটি হল নীচের সারির মধ্যখানের ডান দিকের দাত
ইবন ইসহাক বলেন, না ৷লিহ ইবন কায়সান সা ৷দ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, (আমার৩ তাই) উতব৷ ইবন আবু ওয়াক্কাসকে হ৩ তা৷ করার জন্যে আমি যত
উৎসাহী ছিলাম অন্য কারো ব্যাপারে ততট৷ ছিলাম না ৷৩ তার দৃশ্চরিত্রের কারণে আপন সম্প্রদায়ের
মধ্যে (স ঘৃণ্য ছিল তা নয়; বরং তাকে হত্যার জন্যে আমার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট ছিল যে, তার
সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে তার
উপর আল্লাহর ক্রোধ ত্তীব্রেতর হোক ৷ ”
আব্দুর রাযযাক বলেন, মামার মিকসাম সুত্রে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উতব৷ ইবন
আবু ওয়াক্কাসের জন্যে বদ দৃঅ৷ করেছিলেন যখন সে তার র্দাত ভেঙ্গে দিয়েছিল এবং মুখমণ্ডল
রক্তাক্ত করে দিয়েছিল ৷ তিনি সে বছর পুর্ণ হওয়ার আগেই যেন কাফির হিসেবে তার মৃত্যু হয়
তা ৷কামনা করেছিলেন এবং বাস্তবেও তাই ঘটেছিল ৷ আবু সুলায়মান জুযাযানী বলেন, মুহাম্মাদ
ইবন হাসান আবু উমাম৷ ইবন সাহ্ল ইবন হুনায়ফ থেকে বর্ণনা করেন যে উহুদ দিবসে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) পুরনো হাড় দিয়ে তার মুখমণ্ডলের চিকিৎসা করেছিলেন ৷ এটি একটি একক
বর্ণনা৷ উমামী রচিত আল মাগাযী গ্রন্থের “উহুদ যুদ্ধ” শিরোনামের মধ্যে আমি তা পেয়েছি ৷
আবদুল্লাহ ইবন কামিয়৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে আহত করে ফিরে যায় এবং চীৎকার করে বলে, আমি
মুহাম্মাদকে হত্যা করেছি ৷ সেদিন আকাবার আযুব নামক শয়তান চীৎকার করে বলে উঠে, শুনে
রেখো, মুহাম্মাদ নিহত ৷ এতে মুসলমানগণ হত বিহ্বল হয়ে পড়েন ৷৩ তাদের অনেকেই একথা
সত্য বলে বিশ্বাস করে ফেলেন এবং ইসলাম রক্ষায় শেষ পর্যন্ত লড়৷ ৷ই চালিয়ে যাওয়ার জন্যে
প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করেন যে, রাসুলুল্লা ৷হ্ (সা) যেপথে জীবন দিয়েছেন তারাও
সে পথে জীবন উৎসর্গ করবেন ৷ এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আনাস ইবন নাযর (রা) প্রমুখ ৷
তাদের আলোচনা অবিলম্বে আসবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যদি নিহতও হতেন তবু তা মুসলমানদের
জন্যে সাহস হারাবার কারণ হতে পারে না বলে আশ্বস্ত করে আল্লাহ্ তাআল৷ নাযিল করলেন :
১ ঐ চার হতভাগা ছিল (১ ) আব্দুল্লাহ ইবন শিহাব (২) উতব৷ ইবন আৰু ওয়াক্কাস , (৩) ইবন কামিয়৷ ও
(৪ ) উবাই ইবন খালাফ ৷ সম্পাদক
(মুহাম্মাদ একজন রাসুল বৈ নন ৷ তার পৃর্বেও বহু রাসুল গত
হয়েছেন ৷ সুতরাং যদি তিনি মারা যান অথবা নিহত হন তবে (তা মর৷ কি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে ?
কেউ যদি পৃষ্ঠ প্রদশ্নি করেও তবে সে আল্লাহর কোন ক্ষতি ৩কররে না ৷ বরং আল্লাহ শীঘ্রই
কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত ধ্ম্মশ্নেং৷ ৷ হতে পারে না তার
মেয়াদ সুনিধারিত ৷ কেউ পার্থিব পুরস্কার চাইলে আমি তাকে তার কিছু দিই এবং যে পরকালের
পুরস্কার চাইরে তাকে তা থেকে দান করি এবং শীঘ্রই আমি কৃতজ্ঞা;দরকে পুরস্কৃত করব ৷ এবং
কত নবী যুদ্ধ করেছেন তাদের সাথে বহু আল্লাহ্ওয়ালা ছিল ৷ আল্লাহর পথে তাদের যে বির্পযয়
ঘটেছিল তাতে তারা হীনবল হয়নি দুর্বল হয়নি এবং নত হয়নি ৷ আল্লাহ ধৈর্যশীলদেরকে
ভালবাসেন ৷ এ কথা ব্যতীত তাদের আর কোন কথা ছিল না “হে আমাদের প্ৰতিপালক ৷
আমাদের পাপ এবং আমাদের কা যে সীমা ৎঘন আপনি ক্ষমা করুন এবং আমাদের পা সুদৃঢ় বাফুৰ
এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন ৷ ” এরপর আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব
পুরস্কার এবং উত্তম পারলৌকিক পুরস্কার দান করেন ৷ আল্লাহ সৎকর্ম পরায়ণদেরকে ভালবাসেন ৷
হে মুমিনপণ! যদি তোমরা ক ফিবদেব আনুগত্য কর তবে তার ৷ আমাদেরকে বিপরীত দিকে
ফিরিয়ে দেবে এবং( তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে ৷ আল্লাহ্ই তো তোমাদের অভিভাবক এবং
তিনি শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী ৷ আমি অবিলম্বে কাফিরদের হৃদয়ে ডীতি সঞ্চার করব, যেহেতু তারা
আল্লাহর শরীক করেছে যার সপক্ষে আল্লাহ কোন সনদ পাঠাননি ৷ জাহান্নাম তাদের আবাস ৷ কত
নিকৃষ্ট আবাসস্থল যালিমদের ৷ (৩ আলে-ইমরান : ১ : ৪ ১৫ ১ ) ৷ আমাদের তাফসীর গ্রন্থে
আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ইনতিকালের পর হযরত ছিদ্দিক-ই-আকবর (বা ) প্রথম যে ভাষণ দেন
তাতে তিনি বলেছিলেন৪ হে লোক সকল ! যারা মৃহাম্মাদের (সা) ইবাদত করতে মুহাম্মাদ (সা)
তা ইনতিক৷ ৷ল করেছেনই, আর যারা আল্লাহর ইবাদত করতে তবে আল্লাহ চিরঞ্জীব তার মৃত্যু
চুনই, এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন ং
বর্ণনাকারী বলেন, এতে লোকজন সন্বিৎ ফিরে পেল ৷ তারা যেন এ আয়াত ইতিপুর্বে কোন
দিন শুনেনি ৷ এবার সব৷ ৷ই আয়াত ন্টি তিলাওয়াত করতে লাগলেন ৷
বায়হাকী (র) তার “দালাইল আন নৃবুওয়াহ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ইবন আবু নাজীহ্
তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উহুদ দিবসে জনৈক ঘুহাজির ব্যক্তি একজন আনসারী ব্যক্তির
পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ আনসারী ল্যেকটি ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায় ৷ ঘুহাজির সহসা বললেন, তুমি
কি জান যে, মুহাম্মাদ (সা) নিহত হয়েছেন ? আনসারী বললেনং মুহাম্মাদ (সা) যদি নিহত হন ই
তরে৩ তিনি বিনা ৷লাতের বাণী পৌছে দিয়েছেন এখন ভোমরা তার দীন রক্ষায় লড়৷ ৷ই চ৷ ৷লিয়ে যাও ৷
এ প্রসংগে নাযিল হল আনসারী
লোকটি সম্ভবত ছিলেন আনা স ইবন৷ না যর (রা) ৷ তিনি আনাস ইবন মালিকের চাচা ৷
ইমাম আহমদ বলেন, ইয়াযীদ আনাস (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, চাচা বদরের
যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ তাই বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুশরিকদের বিরুদ্ধে প্রথম যে যুদ্ধ
করলেন আমি তাতে অনুপস্থিত ছিলাম ৷ আল্লাহ তাআল৷ যদি আমাকে অন্য কোন যুদ্ধে অংশ
গ্রহণের সুযোগ করে দেন তবে আমি দেখিয়ে দেব যে আমি কী করতে পারি ৷ এরপর উহুদ
দিবসে এক সময় ঘুসলমানপণ ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেন ৷ তিনি বললেন, <হআল্লাহ্! এরা যা করেছে
অর্থাৎ সাথীর৷ যা করেছে তার ব্যাপারে আমি আপনার দরবারে ওয়র খাহী করছি ৷ আর মুশরিক যা
করেছে তার সাথে আমি আমার সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করছি ৷ তারপর তিনি এগিয়ে গেলেন ৷
উহুদেব পাদদেশে (তার) সাদ (রা)-এর ইবন মুআয-এর সাথে দেখা হল সাদ (বা ) বললেন,
আমি তোমার সাথে আছি ৷ সাদ (বা) আরো বলেছেন, যে আনাস ইবন নাযর যা করেছেন আমি
তা করতে পারিনি ৷ তার শরীরে ৮০ এর উপর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া ৷৷ন্র্টায়েছিল ৷ সেগুলো ৷ছিল
তরবারি, বশা ও ভীরের আঘাত ৷ তার সম্পর্কে এবং তার সাথীদের সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল
হয়েছে বলে আমরা বলাবলি কবতামং
তাদের কেউ কেউ শাহাদাতব বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্ৰতীক্ষা ৷য় রয়েছে ৷ (৩৩, আহযাবং :
২৩) ৷ এই হাদীস তিরমিযী (ব ) থেকে এবং ইমাম ন সাঈ বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী মন্তব্য
করেছেন যে, এটি হ সান ৷ আমি বলি, যে এর সনদ ও মুসলিম (র) এর শতে উত্তীর্ণ ৷
ইমাম আহমদ বলেন, বাহস ও হ শিম আনাস (না)-এর বরাতে অন্ব্লুরুপ হাদীছ বংনাি
করেছেন যে, তিনি বলেন, তাতে অতিরিক্ত আছে : এক পর্যায়ে তিনি সাদ ইবন মুআয (না)-এর
মুখোমুখি হলেন ৷ আনাস (রা ) তাকে বললেন, হে আবু আমর ! কোথায় যাচ্ছেন ? বাহ্ চমৎকার
আমি উহুদ পাহাভৈড়র দিক থেকে জান্নাতের সুবাস পাচ্ছি ৷ এরপর তিনি লড়াই শুরু করলেন ৷
অবশেষে শহীদ হলেন ৷ তার দেহে তরবারি, বশা ও ভীরের আঘাত মিলিয়ে ৮০-এর উপরে
আঘাতের চিহ্ন পাওয়া ৷পিয়েছিল ৷ বর্ণনাক৷ রী আনাস ইবন মালিক বলেন, তার বোন আমার
রাবী বিনত নাযর বলেছেন “একমাত্র আঙ্গুলের অগ্রভাগ দেখেই আমি আমার৩ ৷ইয়ের লাশ
সনাক্ত করেছি ৷ আল্লাহ্ত )
মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে তাদের কৃত অঙ্গীকার পুর্ণ করেছে, ওদের কেউ কেউ
শাহাদাত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ অপেক্ষায় রয়েছে ৷ তারা তাদের অৎগীকারে কোন
পরিবতন করেনি ৷ (৩৩, আহযাবষ্ক ২৩) ৷ সাহারা-ই কিরাম মনে করতে তন যে, এই আয়াত
আনাস ইবন নাযর ও তার সাথীদের সম্পর্কে না ৷ষিল হয়েছে ৷
মুসলিম (র) তিরমিযী ও নাসাঈ ও আবু দাউদ ভিন্ন ভিন্ন সনদে এটি বর্ণনা করেছেন ৷
তিরমিযী এটি হাসান ও সহীহ্ হাদীছ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
আবুল আসওয়াদ বংনাি করেছেন, উরওয়৷ ইবন যুবায়র থেকে ৷ তিনি বলেছেন, উবায় ইবন
খালুফ জুমাহী মক্কায় অবস্থানকালে শপথ করে রলেছিল যে, সে অবশ্যই রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
হত্যা করবে ৷ তার শপথের সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অবহিত হয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন যে,
বরং আমিই তাকে হত্যা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷ উহুদ দিবসে উবাই লৌহ বর্মে আবৃত হয়ে যুদ্ধের
ময়দানে উপস্থিত হয় ৷ সে বলছিল যে, “মুহাম্মাদ বেচে থাকলে আমার রক্ষা (নই ৷ ” রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে হত্যার উদ্দেশ্যে সে তার উপর আক্রমণ চালায় ৷ সামনে এগিয়ে আসেন হযরত মুসআব
ইবন উমায়র (রা) ৷ তিনি ছিলেন আবদুদদার গোত্রের লোক ৷ তিনি অগ্রসর হয়েছিলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে আক্রমণ থেকে বাচড়ানাের জন্যে ৷ কিন্তু শত্রুর আঘারুত তিনি শাহাদাত বরণ করেন ৷
উবাইর বর্মের ফীক দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার বক্ষদেশ দেখতে পেলেন ৷ ধর্ম ও শিরস্ত্রন্তেণর ফীক
লক্ষ্য করে তিনি বশা নিক্ষেপ করলেন ৷ সে ঘোড়া থেকে মাটিতে পড়ে যায় ৷ ওই আঘাতে তার
রক্ত ক্ষরণ হয়নি ৷ তার সঙ্গীরা এসে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় ৷ তখন সে যাড়ের মত চীৎকার
করছিল ৷ তারা বলল, তোমার হল কী ? এতো সামান্য ক্ষ্ম;রুধ্ন্ত্র :তাত্র ৷ সে তখন তার সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উক্তি “আমি উবাইকে হত্যা করব” ওদেরকে স্মরণ করিয়ে দিল ৷ তারপর সে
বলল, যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ, আমি যতটুকু আঘাত পেয়েছি যুল মাজায অঞ্চলের
সকলে মিলে যদি ততটুকু আঘাত (পত তবে তাদের সকলেরই মৃত্যু হত ৷ তারপর উবাই মারা
যায় ৷ “ধ্বংস জাহান্নামীদের জন্যে ৷ ” মুসা ইবন উক্বা তার মাপাযী গ্রন্থে যুহরীর বরাতে সাঈদ
ইবন ঘুসাব্যিব থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন পাহাড়ী পথে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তখন উবাই ইবন
খড়ালাফ তাকে দেখতে পায় ৷ সে তখন বলছিল, মুহাম্মাদ বেচে থাকলে আমার রক্ষা (নই ৷
সাহাবিগণ আরয় করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) আমাদের কেউ কি তাকে প্রতিহত করবে ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না তাকে বরং আসতে দাও ৷ সে কাছাকাছি আসার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হারিছ ইবন সাম্মাহ্ থেকে বশা চেয়ে নেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তখন আমরা উট পা ঝড়ো
দিলে যেমন লোম উড়তে থাকে আমরা তেমনি তা থেকে দুরে সরে পড়লাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার সম্মুখে গেলেন এবং বর্শা দ্বারা তার ঘাড়ে আঘাত করলেন ৷ এক আঘাতে সে ঘোড়া থেকে
পড়ে পড়াগড়ি যেতে থাকে ৷ ওয়াকিদী অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, যে ইবন উমার
(রা) বলতেন , উবাই ইবন খালাফ-এর মৃত্যু হয় বাতন-ই-রাবিগ অঞ্চলে ৷ তিনি আরো বলেছেন্
যে, রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন আমি বাতন-ই-রাবিগ এলাকাহু
হীটছিলাম ৷ হঠাৎ আমি দেখতে পাই যে, এক জায়গায় ভীবণভারে আগুন জ্বলছে ৷ তখন আমি তা
পেয়ে যাই ৷ তখন দেখি, ওই আগুন থেকে একটি লোক বের হচ্ছে ৷ সে শিকলে বাধা ৷ পিপাসায়
সে হাপাচ্ছে ৷ তখন একজন লোক বলছিল যে, একে পানি দেবেন না কারণ, সে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর হাতে নিহত হয়েছে ৷ সে উবাই ইবন খালাফ ৷
সহীহ বুখারী ও সহীহ ঘুসলিমে আবদুর রাযযাক আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণিত আছে যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, যে পােককে আল্লাহর পথে রাসুপুপ্লাহু (সা) স্বহস্তে হত্য৷ করেছেন তার
প্রতি আল্লাহর ক্রোধ ভীব্রেতর হোক ! বুখারী ভিন্ন সনদেও এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী বলেন, আবুল ওয়ালীদ জাবির (রা) থেকে রংনাি করেন, তিনি বলেছেন,
আমার পিতা যখন শহীদ হন তখন আমি কাদতে থাকি ৷ তার চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে তার
মুখ দেখতে থাকি ৷ সাহাবীগণ (বা) আমাকে তা থেকে রাবণ করতে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বার ণ করেননি ৷ তিনি বললেন, তার জন্যে কেদোন৷ অথবা তিনি বলেছেন যে, তার জন্যে কাদার
কী আছে ? ফেরেশতাগণ তো সব সময় তাকে ডানা দ্বারা ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন ৷ এভাবে তাকে
উর্ধ্বাকাশে তুলে নেয়া হয়েছে ৷ এখানে এই হাদীছটি সনদহীনভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে ৷ তবে
জানাযা অধ্যায়ে সনদসহ তা বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম মুসলিম এবং নাসাঈ ও শুবা থেকে এটি
উদ্ধৃত করেছেন ৷
বুথারী বলেন, আবদান — ইবরাহীম থেকে বর্ণিত যে, আবদুর রহমান ইবন আওফের
(রা ) নিকট কিছু খাদ্য উপস্থিত করা হয়েছিল ৷ তিনি তখন রোযা অবস্থায় ছিলেন ৷ তিনি বললেন,
মুসআব ইবন উমায়র শহীদ হয়েছেন ৷ তিনি আমার চাইতে উত্তম ছিলেন ৷ তাকে একটি মাত্র
চাদয়ে কাফন দেয়া হয়েছিল ৷ চাদরটি খাটো ছিল ৷ চাদর দ্বারা তার মাথা ঢাকলে পা দুটো বেরিয়ে
যেত ৷ আর পা ঢাকতে পেলে মাথা বের হয়ে যেত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমার যতদুর মনে পড়ে
তিনি এও বলেছিলেন যে, হামযা (রা) শহীদ হয়েছেন, তিনি আমার চাইতে উত্তম ছিলেন ৷
তারপর দুনিয়ার সুখ স্বাচ্ছন্দা ও স্বচ্ছলতা আমাদের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে ৷ তাতে
আমাদের আশংকা হচ্ছে আমাদের সৎকর্মের প্রতিদান দৃনিয়াতেই নগদ দিয়ে দেয়া হচ্ছে কি না !
তারপর তিনি কাদতে শুরু করলেন ৷ তার বাবার ঠাণ্ডা হয়ে গেল ৷ এই হাদীছ বুথারী একা উদ্ধৃত
করেছেন ৷ বুথারী আহমদ ইবন ইউনুস — খাব্বার ইবন আরত সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে হিজরত করেছি ৷ আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জন ৷ আল্লাহর নিকট আমাদের প্রতিদান মঞ্জুর হয়েছে ৷ এরপর আমাদের কেউ কেউ
চলে গিয়েছে ওই প্ৰতিদানের কিছুই দৃনিয়াতে ভোগ করেনি ৷ তাদের মধ্যে আছেন মুসআব ইবন
উমায়র ৷ তিনি উহুদ দিবসে শহীদ হন ৷ একটি চাদর ব্যতীত কিছু রেখে যাননি ৷ কাফন হিসেবে
ওই চাদয়ে পা ঢাকতে গেলে তার মাথা বের হয়ে যেত আর মাথা ঢাকতে গেলে পা বের হয়ে
যেত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে বললেন, চাদর দ্বারা তার মাথা ঢেকে দাও আর ইযখির ঘাস
দিয়ে পা ঢেকে দাও ৷ বর্ণনাকারী খাব্বার (রা) আরো বলেন যে, আমাদের কতকের ফল থেকে
গিয়েছে এখ্যা যে তা ভোগ করছে ৷ ইবন মজােহ ব্যতীত অন্য সকলে এই হাদীছ আমাশ থেকে
বিভিন্ন সনদে উদ্ধৃত করেছেন ৷
বুথারী বলেন, উবায়দুল্লাহ্ ইবন সাঈদ — — আইশা (রা) থেকে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেছেন, উহুদ দিবসে প্রথম দিকে মুশরিকরা পরাজিত হয়েছিল ৷ তখন অভিশপ্ত ইবলীস চীৎকার
দিয়ে বলে হে আল্লাহর খস্পোগণ! (আমাদেরকে তো পেছন থেকে আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ ফলে
মুসলমানদের সম্মুখ সারির লোকজন পেছনের দিকে ফিরে যায় এবং নিজেদেরই সম্মুখ সারি ও
পেছনের সারি পরস্পরের উপর তরবারি চালাতে থাকে ৷ হঠাৎ হুযায়ফ দেখতে পেলেন তার পিতা
ইয়ামানকে আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ তিনি চীৎকার করে বললেন, হে আল্লাহর বান্দাগণ! তিনি তো
আমার পিতা, তিনি আমার পিতা, কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের
আঘাতে তার মৃত্যু হয় ৷ হুযায়ফা বললেন, আল্লাহ্ আপনাদেরকে ক্ষমা করুন ৷ উরওয়া বলেন,
আল্লাহর কসম ! মৃত্যু পর্যন্ত হুযায়ফা ওই দুঃখ তুলতে পারেননি ৷
আমি বলি, হযরত হুযায়ফ৷ র ৷প৩ ৷ ইয়ামান নিহত হওয়ার পটভুমি এই যে ইয়ামান এবং
ছাবিত ইবন ওয়াক্শ দুজনে মহিলাদের সাথে টিলাব উপর অবস্থান করছিলেন ৷ বার্ধক্য ও দৃর্বলতার
প্রেক্ষিতে৩ ৷ ওখানে ছিলেন ৷ তারা বললেন, গাধার তৃষ্ণা (স্বল্প সময়) ব্যতীত আমাদের
জীবনেরণ্ডে ৷ কিছু অবশিষ্ট নেই ৷ একথা বলে তারা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন ৷ ঘটনাক্রমে
র্তারা বেরিয়েছিলেন মুশরিকদের নিকটস্থ পথে ৷ ফলে মুশরিকর৷ ছাবিত (রা)-কে হত্যা করে ৷
আর ভুলবশত মুসলমানগণ ইয়ামান (রা) (ক শহীদ করে :ফলেন ৷ হযরত হুযায়ফা( (বা)
মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার পিতার রক্তপণের দাবী ক্ষমা করে সে ন ৷ গ্রহণযোগ্য ওযরের কারণে
ঘটনার সাথে জড়িত ক ৷উকে তিনি দােষারুপ করেননি ৷
কাতাদা ইবন নু’মানের চোখ পুনঃন্থাপন
ইবন ইসহাক বলেন, সেদিন কাতাদা ইবন নুমানের একটি চোখে আঘাত লেগেছিল ৷
চোখটি স্থানচ্যুত হয়ে তার মুখমণ্ডলে ঝুলে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ হাতে চােখটি যথাস্থানে
বসিয়ে দেন ৷ পরে দুই চোখের মধ্যে এটিই বেশী সুন্দর ও ত্তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে উঠে ৷ হযরত
জাবির (বা) থেকে হাদীছে বর্ণিত আছে যে, উহুদ দিবসে কাতাদা ইবন নু’মানের চোখে আঘাত
লাগে ৷ চাে ৷খটি তার মুখের উপর ঝুলে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেটি য়থান্থানে বসিয়ে দেন৷ পরে
দুচোখের মধ্যে সেটিই সুন্দর ও প্ৰখর দৃষ্টির অধিকারী হয় ৷ অন্য চোখ মাঝে মাঝে রেম্পোগ্নস্ত হত;
কিন্তু এটি কোন দিন বোপাক্রাত হত না ৷
দারাকুতনী স্বয়ং কাতাদার বরাতে এ বংনাি উদ্ধৃত করেছেন ৷ এতে তিনি বলেছেন, উহুদ
দিবসে আমার দুচােখেই আঘাত লাগে ৷ দুচোখ আমার পালের উপর ঝুলে পড়ে ৷ এ অবস্থায়
আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসি ৷ তিনি চোখ দুটো যথান্থানে বসিয়ে দেন এবং একটু লালা
লাগিয়ে দেন ৷ ফলে দুটো ৷ই প্ৰখর দৃষ্টির অধিকারী হয় ৷
তবে তার একটি চোখে আঘাত লাগার প্রথম বংানাটি বিশুদ্ধত ৩র ৷ এজনােই উমার ইবন
আবদুল আযিয়ের শাসনামলে কাতাদার পুত্র যখন তার নিকট উপস্থিত হয় তখন তিনি বলেছিলেন,
আপনি (ক ? উত্তরে ছন্দাক ৷রে৩ তিনি বলেছিলেন :
আমি সেই ব্যক্তির পুত্র যার চোখ ঝুলে৩ তার গানের উপর পড়েছিল ৷ এরপর মুস্তাফা (সা )
স্বহস্তে সুন্দরভ ৷বে সেটি যথান্থানে ত৷ ৷াপুনঃন্থ পন করেছিলেন ৷
র্দুাঠ্র্চু
এরপর সেটি হয়ে গেল তেমন যেমনটি ছিল ইতিপুর্বে ৷ বাহ্ ! কী চমৎকার ওই চোখ ! বাহ
কী চমৎকার ওই গন্ডদেশ ৷
তখন উমর ইবন আবদুল আযীয নিজেও কবিতার ছন্দে ঐ ঘটনার প্রশংসা করে সাদর
অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে মুল্যবান উপচৌকন প্রদান করেন ৷