পর্যন্ত পৌছান ৷ ইবন হিশাম আরো ৫ জনের নাম যোগ করেছেন ৷ ফলে ইবন হিশামের মতে
শহীদ সাহাবীর সংখ্যা ছিল ৭০ জন ৷ এরপর ইবন ইসহাক মুশরিকদের নিহতদের নাম উল্লেখ
করেছেন ৷ সংখ্যায় তারা ছিল বইিশ জন ৷ তিনি ওদেরও গোত্র পরিচয় উল্লেখ করেছেন, আমি
বলি, সেদিন আবু আয়যা জুমাহী ছাড়া কোন মৃশরিক বন্দী হয়নি ৷ ইমাম শাফিঈ প্রমুখ তাই
বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) হযরত যুবায়রকে মতান্তরে আসিম ইবন ছাবিতকে নির্দেশ দিয়ে তার
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিলেন ৷
উহুদ যুদ্ধে যুসলমানগণ এবং কাফিব্দেৱ উচ্চারিত পংক্তিমালা
এ প্ৰসংগে আমরা কাফিরদের কবিতাগুলোও উল্লেখ করব এজন্যে যে, তার প্রেক্ষাপটে
মুসলমানদের দেয়৷ প্রভ্যুত্তরমুলত কবিতাগুলাে শুনতে ভাল লাগবে এবং বুঝতে সহজ হয়ে ৷
উপরন্তু ওদের কবিতায় বর্ণিত অতিঃযাগসমুহের খণ্ডন নিশ্চিত হয়ে ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, উহুদ দিবসে যে সকল কাফির কৰিত আবৃত্তি করেছে তাদের
একজন হল হুবায়রা ইবন আবু ওয়াহব মাখবুমী ৷ সে তখনো তার পিতৃব শ কুরায়শী কাফিরদের
ধর্মের অনুসারী ৷ সে বলেহ্নিাষ্ক
পােত্রপতির কী হল যে, তিনি আমাকে রাতভর গাল-মন্দ করেছেন ৷ হিন্দের সাথে আমার
ভালবাসার কারণে ৷
অন্যদিকে হিন্দ ও আমাকে গালমন্দ করে রাত কাটিয়েছে ৷ এবং সে আমাকে রাততর ভৎসনা
করেছে ৷ আর যুদ্ধ সে তো আমাকে সকল বন্ধুত্ব ও ভালবাসার কথা ভুলিয়ে দিয়েছে ৷
থাম, থাম হে হিন্দ! তুমি আমাকে তৎসন৷ করােন৷ ৷ আমার চরিত্রের কথা তো তুমি জানই ৷
আর আমার চরিত্রের কিছুই আমি গোপন রাখিনা ৷
আমি তাে সহায়তাকারী পুরুষ বানুকাব্ গোত্রের ৷ তারা যে সমস্ত দায় ও বোঝা কাধে তুলে
নিয়েছে সেগুলো পরিশোধ ও উত্তরণে আমি তো ওদ্দেরকে সহযোগিতা করি ৷
আমার অস্ত্রশস্ত্র আমি বোঝইি করেছি একটি বৃহদাকার ঘোড়ার পিঠে ৷ আমার ঘোড়াটি দীর্ঘ
পদক্ষেপকারী দ্রুতগামী যখন সে চলতে ৩শুরু করে তখন সেটি যেন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ঘোড়া ৷
সেটি যখন চলতে শুরু করে তখন সেটিকে মনে হয় দুর্গম পথ অতিত্রুমকারী কাফেলা ৷
সেটি যেন প্রচণ্ড বেগে ধাবমান ঘোড়া, যেটি তার সাহায্যকারী কাষেম্পার সাথে মিলিত ৩হবার জন্যে
প্রাণপণ চেষ্টা চালায় ৷
এটি উৎকৃষ্ট প্রজাতি আওয়াজ প্রজাতির ঘোড়া, এটি যখন হনহন করে ছুটতে থাকে তখন
তার কন্ঠ থেকে মিষ্টি মধুর শব্দ বের হয় ৷ এটি ঘন পত্র-পল্লব বিশিষ্ট শারা বৃক্ষের ডালের ন্যায় ৷
কেশরগুলো উচু উচু ও ঝরঝরে ৷
আমি প্রস্তুত ণ্রখেছি এই ঘোড়া, সুতীক্ষ্ণ দুধারী তলােয়ার এবং শক্ত-মজবুত বর্শা বিপদ
মুকাবিলার জন্যে যদি আমি কোন বিপদের সম্মুখীন হই ৷
এটি এবং সংরক্ষিত কঠিন মাটির ন্যায় মযবুত সফেদ তরবারি এগুলো আমাকে সাহস
যুপিয়েছিল, উদ্বুদ্ধ করেছিল ৷ এগুলোর সমকক্ষ আমি কিহ্নটু দোৰুইানি ৷
আমরা ইয়ামানের প্রান্ত থেকে বনুকিনানা শহর অতিক্রম করছিলাম ৷
কিনান৷ গোত্রের লোকজন বলল, আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ ষ্ আমরা বললাম,
তােমাদেরকে নিয়ে যাচ্ছি খেজুর বীথির দেশে ৷ সুতরাং তোমরা ওই দেশ ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে
যাত্রা কর ৷
আমরা অশ্বারােহী যোদ্ধা, আজকের উহুদ যুদ্ধের দিনে ৷ যুদ্ধের জন্যে সড়াদ গোত্র উড়ে
এসেছে ৷ আমরা বললাম আমরাও আসছি ৷
ওরা দ্রুতবেগে ছুটে এসেছে ৷ ওদের মধ্যে আছে তরবারি পরিচালনায় দক্ষ যোদ্ধা ,
প্রতিপক্ষকে কেটে টুকরো টুকরো করতে পারে এমন বর্শা নিক্ষেপকারী, ওদের পথের দৃরতৃ যেন
হ্রাস করে দেয়া হয়েছে ৷
এরপর আমরা যাত্রা করলাম ৷ তখন আমরা যেন প্রচণ্ড ঠান্ডা মুকাবিলা করে যাচ্ছি ৷ অন্য
দিকে বনু নাজ্জার গোত্রের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ প্রস্তুত হল, কান্নার রোল সৃষ্টি করে ৷
যুদ্ধের সময় ওদের শীর্ষস্থানীয় যােদ্ধাপণ এমন হয়ে যায় যে, তাদের অশ্বদলের ক্ষুরের
আঘাতে উড়তে থাকা ধুলি ঝড় তাদের আবাসস্থল থেকে ওদেরকে দুরে সরিয়ে দেয় ৷
অথবা তারা পুরানো বৃক্ষ ভ্যাল তিক্ত মাৰুকাল ফল বাযুপ্রবাহে সেটি অ্যান্দোলিত হয় ৷ পাখীরা
সেগুলো কুড়িৰ:য় খায় ৷
আমরা মাল সম্পদ রয়ে করি দেদারসে অবিরত, বে হিসাব ৷দ্র৷ ন্ত্রণ ন্থ ৰ্টসৃষ্টির লষ্মেংশু আমরা
ক্রায়ান্বিত হয়ে ত্মশ্ব পরিচালনা কার তার চোখে গুত্১ ৷ দিয়ে ৷
বহু রাত আমাদের এমন কেটেছে যে, উট জবাইকারী ব্যক্তি শুষ্ক গোরর তথা য়ট ন্দুা৷লয়েৰু
দিয়েছে আলো দেখানোর জন্যে ৷ আ র মুসাফিরদেরকে এদিকে আহবান করার জন্যে আহ্বনেকারী
ব্যক্তি ঢাক-ঢোল পিটিয়েছে ৷
প্চন্ড কুয়ড়াশাময় জুমাদার বহু রাত্রি আমার এ ন কেটেছে যে আমি আম৷ ৷র অশ্ব নিয়ে ভ্রমণে
বেরিয়েছি ৷
এত ঠান্ডা ও শৈত্য প্রবাহের রাত ছিল যে, ঠান্ডার কারণে কোন কুকুর একবারের বেশী দুরার
ডাক ছাড়ত না, বড় বড় সাপগুলোও তেমন রাতে গর্ত থেকে বের হত না ৷
ওই ইিমশীত্যা রাতে আমি দীন দৃংথী ও দুঃন্থ মানুষদের জন্যে লেনিাহান শিখাময় আগুন
জ্বালিয়েছি৷ ওই আগুন বিদ্যুতের মত উজ্জ্ব৷ ৷ আমি ওই আগুনের উত্তাপ বৃদ্ধি করি ৷
৷ নশীল ৷র এই উদ৷ ৷রত৷ আমাকে উত্তরাধিকার রুপে প্রদান করেছে আমর এবং তার পৃর্বে
তার পিতা ৷ মুশতা অঞ্চলে অবস্থানকালে তারা এরুপ করতেন ৷
তারা নক্ষত্ররাজির অবস্থান লক্ষ্য করে রাতে ভ্রমণ করতেন; কিন্তু তাদের এই সাধনা কখনো
কঠিন বাধার নিকটবর্তী হয়নি ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এরপর হাসৃসান ইবন ছাবিত (বা) উপরোক্ত পংক্তিমালার জবাব দেন ৷
(কিভু ইবন হিশাম এটিকে কা “ব ইবন মালিক প্রমুখের বলে উল্লেখ করেছেন ৷ তবে আমার মতে
ইবন ইসহাকের বক্তব্য প্রসিদ্ধ ৷
ণ্তামাদের বোকামি ও অজ্ঞতার ফলশ্রুতিতে তোমরা কিনানা গোত্রের লোকজনকে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছ ৷ জেনে রেখ যে, আল্লাহর সৈন্যগণ ওই শত্রুপক্ষকে লাঞ্ছিত
করবেনই ৷
তোমরা তো ওদেবকে মৃভ্যুকুপে ঠেলে দিয়েছ সকাল বেলায় ওদের প্ৰতিশ্রুত স্থান
জাহান্নাম আর হত্যা ওদেরকে প কড়াও করবেই ৷
হে কাফির নতৃবৃন্দ৷ তোমরা তো ওদেরকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রাট্ায়ে সাজিয়ে দািয়ছ, তোমাদের
সতাদ্রোহিতা তােমাদেরকে প্র৩ ৷রিত করেছে ৷
বদর যুদ্ধে আল্লাহর সৈনিকগণ তোমাদের পক্ষের যাদেরকে হত্যা করেছে এবং তারপর
আবজন৷ পুর্ণ কুপে নিক্ষেপ করেছে আল্লাহর ওই সৈনিকদের থেকে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ
করনি ?
তোমাদের বহু বন্দী লোককে আমরা মুক্তিপণ ছাড়া এবং চুল কেটে দেয়া ছাড়া মুক্ত করে
দিয়েছি ৷ আমরা ওদের প্রতি ৩বন্ধুসুলভ ৩আচরণই করেছি ৷
ইবন ইসহ ক বলেছেন যে, হুবায়রা ইবন আবু ওয়াহ্ব মাখয়ুমীর কবি৩ ৷র জবাব কা ব ইবন
মালিক এভাবে দিয়েছেন ং
আমাদের পক্ষ থেকে কি গাসসান গোত্রের নিকট কোন আক্রমণ এসেছে ? ওদের পেছনে
তো রয়েছে উচু-নীচু বন্ধুর ভুমি যেখানে ভ্রমণ করা কষ্টকর বটে ৷
ওদের পেছনে রয়েছে ধুধু ময়দান ও পার্বত্য ভুমি ৷ দুর থেকে ওথানকার বালিগুলোকে মনে
হয় জলাশয় ৷
জংলী বকরীগুলো ওই শুষ্ক মরুভুঘিতে বসবাস করে ক্ষীণকায় দুর্বল শরীরে ৷ এরপর বৃষ্টি
বর্ষণে সদ্য গজিয়ে উঠা ঘাস-পাতা খেয়ে সেগুলো মোটা তাজা হয়ে যায় ৷
বৃষ্টিতে সেখানে জন্যে ম ওসুমী ঘাস ৷ ওই রুচি ও সজীব ঘাসগুলাে চকচক করে যেমন
চকচক করে , ব্যবসায়ী পণ্য কাতান ৷
সেখানে রয়েছে নীলগাভী ও বলা হার৭ , সেগুলো একটার পেছনে একটা নিঃর্ভয়ে বিচরণ
করে ৷ ণ্ন্থোনে ন্-মাছে উটপাথির ;ন্ডিম যেগুলোর খােসা ভাঙ্গা ফটি৷ অবস্থায় রয়েছে ৷
আমাদের ধর্মের পক্ষে প্রত্যুত্তর দেয়া স্পষ্টভাষী, বাশ্মী ব্যক্তিগগ, তাদ্যেৰ্ মাথায় থাকে শিরস্ত্রাণ
যা ঝলমল করে ৷
এবং প্রতিধ্বনি করে কঠিন কঠোর পাথ গুলো, ওগুলোতে পানি মিশ্রিভ্র হলে ;সভ্রুলাে ন্ডিজে
পানি টেনে সিক্ত হয়ে উঠে ৷
তবে বদর যুদ্ধের ঘটনায় ওরা রলাবলি করছিল যে, কাদের সাথে তোমরা মুকাৰিলা
করছিলে ৷ গায়বী সংবাদ তো অবশ্যই কল্যাণ সাধন করে ৷
কোন দেশের অধিবাসিগণ যদি আমরা মুসলমান ব্যতীত অন্য কেউ হয় তবে সেটি আমাদের
জন্যে ভরের স্থান বটে ৷ কিন্তু মুলত আমাদের ভয়ে ওরা রাত কাটায় ৷
আমাদের ঘোড়া সওয়ার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এসে বলেছিল আপনারা প্রস্তুত হোন আবু
সুফিয়ান ইবন হারব মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে তার মুকাবিলার জন্যে ৷
যখন যে কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ৷ আমরা ওই ষড়যন্ত্র দমনে সবচেয়ে সিদ্ধহস্ত ৷
আমাদের বিরুদ্ধে সবাই মিলেও যদি কোন চত্র ৷ন্ত তৈরী করে তবু এটা ঠিক যে তারা
আত্মসমর্পণ করাবই এবং ক্ষতি স্বীকার করবে ৷
আমরা পুর্ণ শক্তিতে ঘুকাবিলা ৷করে যাব ৷ অবশেষে এমন পরিস্থিতি ৩সৃষ্টি হবে যে, প্রতেক্লক
গোত্র আমাদের ভয়ে তটস্থ ও অস্থির হয়ে থাকবে ৷
ওরা যখন আমাদেরইযযত নষ্ট করার চেষ্টা করেছে, তখন আমাদের নেতৃবর্গ বলেছেন যে,
যদি রক্ষা করতে না পারি তবে আমাদের সাধ্য সাধনার কী লাভ
মনে ৷:রখ, আমাদের মধ্যে আছেন আল্লাহর রাসুল (না) আমরা তার নির্দেশ পালন করি ৷
তিনি যখন আমাদের মধ্যে কোন কথা বলেন, তখন আমরা তা থেকে এক চুলও বিচ্যুত হই না ৷
তার প্ৰতিপালকের পক্ষ থেকে তার নিকট রুহ অর্থাৎ হযরত জিবৃরাঈল অবতীর্ণ হন ৷
জিবৃরাঈল আকাশ থেকে অবতীর্ণ হন এবং আবার আকাশে উঠে যান ৷
আমরা আমাদের সকল কর্মে তার সাথে পরামর্শ করি, তিনি কোন কাজের আগ্রহ প্রকাশ
করলে আমরা তা বাস্তবায়নে তার নির্দেশ শুনি ও পালন করি ৷
প্রথম পবান্নেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে বলে দিয়েছেন যে, তোমরা মৃত্যুর ভয় ত্যাগ
করবে; বরং তা (শহীদী মৃত্যু) কামনা করবে ৷
তোমরা বরং হয়ে যাবে এমন, যে ব্যক্তি তার জীবন বিক্রি করে মহান আল্লাহর ভৈনকটোর
উদ্দেশ্যে যে, আল্লাহর নিকট জীবন পাবে এবং সেখানে ইচ্ছামত আসা-যাওয়া করবে ৷
তোমরা বরং মযবুতভাবে তরবারি ধর ৷ আর আল্লাহর উপর ভরসা রাখ ৷ নিশ্চয় সকল কর্ম
আল্লাহর অধীন ৷
এরপর আমরা সকাল বেলা প্রকাশ্যে শত্রুপক্ষের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম ৷ আমাদের মাথার
উপর চিকচিক করজ্যি তীক্ষ্ণ তরবারি , আমাদের মনে কোন ভয়ভীতি ছিল না ৷
সাথে ছিল লৌহ নির্মিত অস্ত্র ও বশা ৷ কারো পায়ে আঘাত করলে তার আর রক্ষা নেই ৷
আমরা এসে পৌছলাম এক জনসমুদ্রে ৷ ওখানে গিজগিজ করছিল শত্রুসৈন্য ৷ ওদের কেউ
শিরস্ত্রাণ পরিহিত কেউ খালি মাথায় ৷
ওরা ছিল তিন হাজার আর আমরা মাত্র তিনশ’ আর খুব বেশী হলে আমাদের সংখ্যা চারশ’
-এর মত হয়ে ৷
আমরা ওদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছিলাম ৷ আমাদের মাঝে মৃত্যু ও শাহাদাতের ঘটনা
চলছিল ৷ আমরা ওদেরকে মৃতু ত্যুকুপে ঠেলে দিচ্ছিলাম ৷ আমরাও মৃতু ভ্যুকুপে পতিত হচ্ছিলাম
ভীর-ধনুক সমান তালে ব্যবহৃত হচ্ছিল আমাদের মধ্যে এবং ওদের মধ্যে ৷ ওই তীর ছিল
প্রচণ্ড ধারালাে ত্তীক্ষ্ণ ইয়াছরীবের তৈরী ৷
আরও ভীর ছিল মক্কার তৈরী প্রশস্ত মাথা সায়েদীয়ার তৈ রী ৷ ওগুলে লতৈ বীর সময় তাতে বিষ
মিশ্রিত ৩করে দেয়৷ হয়েছিল ৷
ওই তীর ও বশা কখনো কারো শরীরে গিয়ে আঘাত করছিল আবার কারো কারো চোখে
গিয়ে পতিত হচ্ছিল ৷
সেখানে ছিল বহু মশ্ব ৷ উন্মুক্ত প্রাম্ভরে ওগুলােকে মনে হচ্ছিল পঙ্গপাল ৷ সমতল ভুমিতে
সেগুলো চার পা স্থির রেখে নিদ্যেশর অপেক্ষায় ছিল ৷
আমরা মুখোমুখি হলাম ৷ যুদ্ধের চাকা আমাদেরকে নিয়ে ঘুরতে শুরু করল ৷ আল্লাহ্
৷ আলা যাকে রক্ষা করেন তাকে হটানাের শক্তি কারো নেই ৷
আমরা ওদেরকে আক্রমণ করেছি যেরেছি ৷ অবশেষে তাদের নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে বদর
প্রাতরে ফেলে রেখে এসেছি ৷৩ তারা ওই ময়দানে পড়ে রয়েছে মুলােত্পাঢি ৩ণাছের গুড়ির ন্যায়
আমরা ভোরবেলা থেকে আক্রমণ শুরু করেছি ৷ সন্ধ্যাবেলায় গিয়ে আমরা ঝামেলামুক্ত
হয়েছি ৷ তখন সুর্যকে মনে হচ্ছিল ঝলমলে চকচকে অগ্নিকুণ্ড ৷
সন্ধা৷ বেলায় ওরাও দ্রুত ফিরে গিয়েছে ক্ষত-ৰিক্ষত দেহ ও বেদনাতৃর মন নিয়ে, ওরা যেন
শুন্য মেঘ, প্রচণ্ড বায়ু প্রবাহ যার সব পানি ঝরিয়ে দিয়েছে ৷
আমরাও স দ্যা বেলায় ফিরে গিয়েছি আশা দর (শষ ল্যেকটিসহ ৷ আমরা গিয়েছি ধারে সুন্থে
হোল দুলে আমরা যেন বীশ ৷৷হ অঞ্চালর গােশত খাওয়া পরিতৃপ্ত সিং হবু-ল ৷
আমরা এরুপ করে থাকি৩ তবে মহান আল্লাহ্র নিকট যে পুরস্কার রয়েছে তা প্ৰণস্ততর ৷
আমাভৈদব যুদ্ধের চাকা ঘুরেছে ৷ ওর ওদের যুদ্ধের চাকা ঘুরিয়েরুদ্রী ওরা অকল্যাণ পেয়ে তৃপ্ত
হয়েছে ৷
আমরা এমন মানুষ যে খুন ও নিহত হওযাকে আমরা মড়ানহানি মনে করি না ৷ যারা
দ্যায়ত্হৃ শীল অন্যের সুখ দুঃখের যিম্মাদা যে তাদের উপর তো আঘাত আসলেই ৷
সকল ঘিপদাপদে আমরা ধৈর্যশীল অবিচল ৷ কেউ মারা গেলে তার জন্যে চোখের পানি
ফেলতে দেখি না কাউকে ৷
আমরা যুদ্ধের সন্তানষোদ্ধা, আমরা যা বলি তা করেই ছাড়ি ৷ আর যুদ্ধ আমাদের জন্যে যে
পারস্থিতি তাই ৷নয়ে আসুক তাতে আমরা অস্থির হই না ৷
আমরা যুদ্ধের সন্তান যোদ্ধা আমরা বিজয়ী হলে অশ্লীল কাজে লিপ্ত হই না ৷ আর বিজিত
হলেও দুঃখিত ইে না ৷
আমরা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ যার তাপ থেকে শত্রুপক্ষ দুরে সরে যায় এবং যারা সেটির কাছে ঘেষে
তা তাদেরকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে কালো করে দেয় ৷
হে ইবন যড়াবআরী ! তুমি আমার বিরুদ্ধে দর্প প্রকাশ করেছে৷ অথচ তােমাদেরকে পাকড়াও
করার জন্যে ধাওয়াকারীরা শেষ রাতে যাত্রা করেছে ৷
সুতরাং তুমি নিজেকে জিজ্ঞেস কর, সা’দের উচ্চতুমি প্রভৃতি স্থানে যে মানবকুলেব সর্বাধিক
লাঞ্ছিত ও অভিশপ্ত কে ?
এবং কে এমন ব্যক্তি যুদ্ধ যার দর্পচুর্ণ করেনি এবং যুদ্ধের দিন কার ঢেহার৷ যিবর্ণ হয়নি ৷
আমরা তোমাদের উপর আক্রমণ করেছি প্রচন্ড আক্রমণ আল্লাহর শক্তি ও সাহায্য নিয়ে ৷
আমাদের বশার ফলাগুলাে তোমাদের দিকে তাক করেই হামলা করেছি
আমাদের ভীরগুভ্রুলা বারবার ণ্তামাদের উপর গিয়ে পড়ছে, ৩ড়ারের ফলাগুভ্রুলা যেন
শীতকালেব হরিণ পাল ৷ খুব দ্রুত পথ অতিক্রম করছে ৷
আমরা অগ্রসর হয়েছি তোমাদের পতন্বকবািহী সৈনিকদের উদ্দেশ্যে এবং পতাকার কথা
উল্লেখ করে যারা কবিতা আওড়াচ্ছিল তাদের উদ্দেশ্যে ৷ তবে কবিতা ৷নয় পতাকা হাতে আল্লাহ্র
প্ৰশং ই অধিকতর সৎগত ৷
আমাদের মুজাহিদগণ ওদের নিকট গিয়ে পৌছেছে ৷ ইতোমধ্যে ওরা আমাদের সৈনিকদের
নিকট আত্মসমর্পণ করেছে এবং তারা লাঞ্ছিত হয়েছে ৷ মহান আল্লাহ তার নির্দেশ কার্যকর
করেছেন ৷ তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ কর্ম-বিধায়ক ৷
ইবন ইসহাক বলেন যে, আবদৃল্লাহ্ ইবন যাবআরী উহুদ দিবসে নিম্নের পৎক্তিমালা উচ্চারণ
করেছে ৷ তখনো সে মুশরিক ৷
ওহে কাক তুমি কি শুনেছ ? তাহলে কিছু বল ৷তু তো শুধু ত!ই বল যা হয়ে গিয়েছে ৷
নিশ্চয়ই কল্যাণ ও অকল্যাণ দৃটোর জন্যে নিল্টি মেয়াদ রয়েছে এবং দৃটোর পক্ষেই
গ্রহণযোগ্য যুক্তি রয়েছে ৷
ওদের মাঝে দান-দক্ষিণার ব্যাপারটি গৌণ ও তৃচ্ছ ৷ মুলত ৩ধনী ও দরিদ্র উভয়ের কবর সমান
সমান ৷
সকল আরাম-আয়েশ ও সুখ শাস্তি একদিন শেষ হবেই ৷ যুগের মেয়েরা তথা কালচক্র
সবাইকে নিয়ে খেলা করে ৷
হাসৃসানকে আমার পক্ষ থেকে একটি সংবাদ জানিয়ে দাও যে কবিতা রচনা ও কাব্য
প্রতিযোগিতা বিদ্বেষী মনে স্বস্তি প্রদান করে ৷
তুমি তাে দেখেছ বহু মাথার খুলি নিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে
রয়েছে ৷
হাসৃসানের পাজামা খুলে গিয়েছে ৷ ওরা সকলে তাদের অব৩ রণ ক্ষেত্রে নিহত হয়েছে ৷
আমরা হত্যা করেছি তোমাদের অভিজাত ও মযদািবান বড় বড় কত নেতাকে ৷ যারা
পিতৃপক্ষ মাতৃপক্ষ উভয় দিক থেকে মযাদাবান ৷ অগ্রণী ও বীরযােদ্ধ৷ ৷
তারা প্রকৃতই অভিজাত ৷ যুবক এবং দানশীল, তীর নিক্ষেপের সময় অলসতাকারী নয় ৷
সুভরাৎ সাহাসী নােকগুলোকে সরিয়ে নিয়ে যাও ৷ তারা যেন মাথায় শিরস্ত্রাণ পরে যুদ্ধের
ময়দানে না থাকে ৷
হায় বদর যুদ্ধে আমার যে সকল নেতৃবর্গ মারা নিয়েছেন ওরা যদি এখন উপস্থিত থাকতেন
আর বশা নিক্ষেপের শিকার হয়ে খাযরাজ গোত্রের লোকেরা কেমন অস্থির হয়ে পড়েছে তা
দেখতে পােতন !
কুব৷ পর্যন্ত পৌছে ওরা উট বসিয়ে দেয় ৷ আবৃদ আশহাল গোত্রে হত্যাকাণ্ড তীব্র রুপ ধারণ
করেছে ৷
এরপর সেটিকে নাচাতে শুরু করল, উটপাখির বাচ্চার নাচনের ন্যায় ৷ যখন সেটি নেচে
নেচে পর্বতের উপরের দিক উঠে ৷
এরপর আমরা আমাদের নিহতের দ্বিগুণ সংখ্যক ওদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে হত্যা
করলাম, আমরা বদরের যুদ্ধের পতিশোধ নিলাম ৷ উভয় যুদ্ধের মধ্যে সম ন্৷ ফিরিয়ে আনলাম ৷
এরপর সমান সমান হয়ে গেল
আমি নিজেকে (দাষা৫রাপ করি না তবে কথা হল আমরা যদি প্নকুদ্ৰ ও প্ন্ডুন্ত৷ নয়ে তা৷ক্রমণ
করি, তাহলে ঘটনার মত ঘটনা ঘটাতে পারি ৷
আমরা হণ্টন৷ ঘটাই ৩াব৩ র তরবারি দ্বারা ৷ সেগুলো শক্রপক্ষের মাথার উপং৷ চক্কর ৷দ৫ব্
থাকে ৷ প্রথমবারের পানীয় গ্রহণের পর দ্বিতীয় বা ৷৫রর পান করানোর না৷য়্ ৷
ইবন ইসহাক বলেন, হাসৃসান ইবন ছাবিত (বা) ইবন যাবআরীর ট্রপ্৫রাক্ত কবিতার জবাবে
নিম্নের কবিতা উচ্চারণ করেন :
হে ইবন যাবআরী এটি সও তা যে, একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে তবে যরার্থ ৷রচা৫র তাতে
শ্রেষ্ঠতু ও জয় আমাদেৱই ৷
তাতে তোমরা আমাদের ক্ষতি ৩ক৫রছ আমরাও ৫৩ ৷মাদের ক্ষতি সাধন করেছি ৷ মুলত যুদ্ধ
সে রকমই বালতির ন্যায় ৷ কখনো এই পক্ষের হাতে কখনো ওই পক্ষের হাতে
আমরা তােমাদের ঘাড়ের উপর তরবারি রাখি ৷ যে স্থানে আঘাত করতে চাই করি ৷
৫তামাদেরকে প্রথম বারের পর পুনরায় পান করাই, বারবার আঘাত করি ৷
তোমাদের পশ্চাদৃদেশ থেকে আমরা তোমাদের মায়ের দুধ বের করে আনর ৷ যেমন লোহার
অস্ত্র ঘাস৫ক নির্মুল করে দেয় ৷
যখন তোমরা পায়ের ৫পাড়ালি৫ত তং৷ করে পেছনের ৷দক যাচ্ছিলে পলায়ন করে ৷ পাহাড়ী
পথে পথে বন্য প্রাণীর পলায়৫নর ন্যায় ৷
আমরা যখন তোমাদের উপর আক্রমণ করেছিলাম প্রচণ্ডভা৫ব ৷ অমর৷ তােমাদের৫ক তাড়িয়ে
নিয়ে ণি৫য়ছিলাম পাহাড়ের পাদদেশে ৷ বাধ্য ক৫র’াছণ্ন্তুমে পার্ধ ৷ গুহষ্য় লুকিয়ে প্রাণ বাচাশ্ন্ও
আমরা তােমাদেরকে তাড়৷ করেছিলাম বিরাট বিরাট কিরিচ ও চাপাতি নিয়ে সাড়াশির ন্যায় ৷
যে কেউ এ গুলোর আওতায় পড়বে সে কাটা পড়বেই ৷
আমাদের উপস্থিতিতে পাহাড়ী পথ সম্বীর্ণ হয়ে পড়েছিল ৷ আমরা সেখানকার ছোটবড় সকল
পথ পুর্ণ করে দিয়েহ্নিাড়াম উপস্থিতি দ্বারা ৷
ওই পথ ভরতি ৩হয়ে গিয়েছিল এমন সব লোক দ্বারা (ই-দুফভ্রুরশতাদ্বারা) যে তোমরা ওদের
সমান নও ৷ জিবৃরাঈল (আ) এর মাধ্যমে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হয়োছন ৷ জিবৃরাঈল (আ) নিজে
সেদিন ওখানে অবতরণ করেছিলেন ৷
আমরা বদর দিবসে বিজয়ী হয়েছি তাকওয়া ও খােদাভীতির মাধ্যমে ৷ আল্লাহ্র আনুগতাে
এবং রাসুলগণের সভ্যায়নের মাধ্যমে ৷
ওদের সকল ণ্নতাকে আমরা হত্যা করেছি এবং ওদের সকল অহংকারী দাস্তিক ব্যক্তিকে
আমরা ৰু’ন করেছি ৷
বদর দিবসে আমরা কুরায়শ ব শে পুরশ্ষ রাখিনি শুধু মহিলাদেরস্তুক অবশিষ্ট ণ্রখেছি ৷ আর
সে দিন আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি ৷
রাসুল মুহাম্মাদ (সা) সত্য নবী ৷ বদর দিবসে তা প্রমাণিত হয়েছে ৷ তিনি হবলসহ সকল
মুর্তির প্রতি তীর নিক্ষেপকারী ৷
তিনি বদর যুদ্ধে উপস্থিত হয়েদিলেন, তার প্রতিপক্ষে ছিল কুরায়শ সম্প্রদায় ৷ তারা সমাবেশ
ঘঢিয়েছিল তার বিরুদ্ধে বিশাল সমাবেশ ৷ যেমন একত্রিত হয় উর্বর জমিতে রাখালহীন উট ৷
আমরা তো তোমাদের মত ভীতৃ কাপুরুষ নই ৷ বরং যে কোন বিপদ ও যুদ্ধ ক্ষেত্রে আমরা
হাযির হই ৷ যদি বিপদ ও যুদ্ধ স ২ঘটিত হয় ৷
ইবন ইসহাক বলেছেন যে উহুদের যুদ্ধে শহীদান হযরত হামযা (বা ) ও অন্যান্যদের প্রতি
শোক প্রকাশ করে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে কা ব (বা) বলেনং
হে হাময৷ (রা) আপনিভাে অনেকের জন্যে কেদেছেন এখন আপনার জন্যে ক্রন্দনকারী
কেউ আছে রুি ? আপনিা তা এমন ব্যক্তিত্ব যখনই আপনার সম্পর্কে আংলাচন৷ হত আপনি
সমুদ্রের সাথে তুলনীয় হ৷ ৷তন ৷
এমন এক সম্প্রদায়ের কথা আমার স্মরণে আসে যাদের বত্রুযুগের (জাহেলী যুগের)
আলোচনা আমার নিকট এসেছে ৷
সুতরাং ওদের কথা স্মরণ হলে ওদের বিষয়ে আলোচনা করতে ৷:গলে আপনার অন্তর স্পন্দিত
ও শিহরিত হয় আনন্দে পৌরবে এবং গভীর দুঃখে ৷
ওই সম্প্রদায়ের (মুসলিম সম্প্রদায়ের) শহীদগণের অবস্থান নিআমভে তঃাপৃর জান্নাতে :
যেখানে প্রবেশ স্থান ও বাহির হবার স্থান সযুন্নত ৷
এই যযাদা তারা অর্জন করেছে এই জন্যে যে, তারা ধৈর্যেব সাথে অবস্থান করেছিল পতাকার
নীচে ৷ রহ্বসুলুল্লাহ্ (না)-এর পতাকার নীচে উপত্যকার কিনারায় ৷
ওরা ধৈর্যেব সাথে অবিচল থেকেছিলেন সেই ভোরে যখন আওস ও খাযৱাজ পােত্রীয়
লোকজন তরবারি উচিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ডাকে বেরিয়ে এসেছিলেন ৷
ওরা আহমাদ মুস্তাফা (না)-এর সহযোগী ৷ তারা সত্য ও আলেকেষ্ময় জীবন বিধানে তার
অনুসারী ৷
যখন ভোর হল তখন তারা শত্রু পক্ষের মাথায় ও শিরস্ত্রাণে আঘাত করতে শুরু করল এবং
মরু ধুলায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে লাগল ৷
এভাবে বিরামহীনভাধে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক পর্যায়ে মহান মালিক আল্লাহ
তাআলা তাদ্যোকে ডাক দিলেন সুপ্রশস্ত ৰিশাল বিন্তুত ৩জা ন্নাভের দািক ৷
ওদের সকলেই নৃ৩ ট্রুব্রবরণ করেছে বিপদেব মুখে আলাহ্র মনোনীত মিল্লাণ্ডের উপর অবাি;ল
থেকে সুতরাং তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ;
ব্লুহৃ মন হযরত হামযা হুরা) ৷ পুর্ণ শক্তিব্লুত একা ত্ত নিঃষ্ঠার সাথে যুদ্ধ করছিলেন ন্কটি
সুভীক্ষ্ণ উাতিকর ধারালো চরবাবি নিয়ে
অনস্তুর বনুনাওফাল গোত্রের এক ক্রীতদাস ত ষ্র মুখোমুখি স্রহ্ল ৷ সে উন্মাদ উব্লুটর ন্যায় গো
গো শব্দ করছিল ৷
সে হাময৷ (রা)-এর ব্লুদহে একটি ধ্ারাল্যে বশা ঢুকিয়ে কিং শুয বশন্টি ছিল অগ্নি স্ফুলিঙ্গেব
ন্যায় চকচকে ও ঝলমলে ৷
এবং নুমান, আর অঙ্গীকার পুর্ণ করেছেন এবং কল্যাণময় হ্শ্লেযালা ৷ তিনি বিচুৰু ;
হননি
তিনি বিচ্যুত হ্ণ্ানি সত্য থেকে ৷ এমতাবস্থায় তার রুহ্ পৌছে গেল গোরবজ্যাক স্থানে ৷
মহামুল্য দ্রব্য সাম্গীব্লু ৩ সজ্জিত জন্নাতে ৷
তারা ওই দলের লোক নয় যে দলে ভেত্ত্বমরা রয়েছ ৷ তেঘোদের ণ্লাকগুলাের ঠিকানা তাে
চিরস্থায়ী আগুনে ৷ জহোন্নামের অতল তলে ৷
ইবন ইসহাক বলেনঃ, হযরত হামযা (রা) সহ উহুদ যুদ্ধের অন্যান্য শহীদদের প্ৰতি শোক
প্রকাশ কর; ভ গিয়ে হাসৃসান ইবনষ্ ছুণ্াযিত (র!) নিম্নের কবিতা এটি
বদর দিবসে নিহ্৩ মুশরিকদের সম্পর্কে উমইিয়া ইবন আবু সালতের কবিতার ছন্দে ৷ ইবন হিশাম
লেছেব যে, কতক জ্ঞানী ব্যক্তি এই কবিতা হযরত হাসৃসানেব (বা) নয় বলে মন্তব্য
হে আমার মা ! উঠ উঠ সাহ্রীর সময়ে জন্য দুঃখিনীদেব ত্রন্দান সাড়া দাও সাস্থনা দাও ৷
ক্রন্দনঃ করছে তার! যাদের সাথে দুঃখের বোঝা; বেদনায় যাদের হৃদয় তা ক্রোম্ভ ৷
ওরা আহাজারী করছে ওরা অভিজাত ভদ্র মহিলা ক্ষোভে মুখমওলে খামচি দিচ্ছে ৷ ওদের
অশ্রু প্রবাহ যেন মুর্তির দেহে ঝরতে থাকা বলির পশুর রক্ত ৷
ওরা ওদের চাদর ফেলে দিয়ে চুল ছিড়ছে ৷ তাদের এলো৷মা;া৷ চুল যেন প্রাতঃকালীন
ঘোড়ার লেজ ৷
তারা ক্রন্দন করছে ছিন্ন-ৰিচ্ছিন্ন দেহ এবং জবইি হয়ে যাওয়া সৈনিকদের জন্যে ৷ চরম দুঃখ
তাদেরকে অস্থির করে তৃলেহে ৷
তাদের হৃদয়ে ক্ষত ও ফোষ্ক! পড়েছে ৷ তাতে ভীষণ ব্যথা, তাদের এই ব্যথা নওজােৰানদ্যো
কারণে ৷ ঝগড়া-বিবাদ ও যুদ্ধ ৰিগ্রহে আমরা যাদের উপর ঙ্ঘসা করতাম ৷
ওই ক্রন্দন উহুদের শহীদদের জান্য ৷ তারা যুগ যুপাম্ভারর বেদনা রেখে গিয়েছেন ৷ অস্ত্রধারী
সৈন্য প্রেরণের সময় ওরা ছিলেন আমাদের অষ্যারাহী ওরা ছিলেন আমাদের নিরাত্তো রক্ষাকারী ৷
হে হামযা (বা) ৷ আমি আপনাকে ভুলব না, ইয়াভীম মান এবং বিধৰাদের দুধ গানের জন্যে
যতকাি দুধেল উষ্টীর দুধ দোহন করা হবে ততদিন আমি আপনার কথা বিস্মৃত হব না ৷
যুগ যুগ ধরে, যুদ্ধের পর যখন যুদ্ধ সংঘটিত হয়ে ৷ হে অশ্বারােহী , হে নেতা ! হে হামযা!
আপনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে স্মরণীয় হবেন ৷
আপনি তো আমাদের বিপদে ঠেকাতেন ৷ আর পরবর্তীতে আমরা যখনই ৰিপদ্যাস্ত হ্ব ৷ হে
রাসুলেৱ ( না) সিংহ ! আমি আপনাকে স্মরণ করব ৷ আপনি আমাদের যােচন ত্রাণকতা নেতা ৷
সম্রান্ত ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি অন্তর্ভুক্ত ৷ জন সমামের মধ্যেও তার মাথা যাবত সবার
উপরে ৷ তিনি মহান দানশীল ও সুদর্শন ব্যক্তি ছিলেন ৷
তিনি কোন ভয়ে ভীত নন, কষ্পমান নন, আর কোন বোঝা বহনে অক্ষম নন ৷ তিনি সমুদ্রের
ন্যায় উদার, তার প্রতিবেশী তার ছোট এবং বড় আকারের দানশীলতা থেকে বঞ্চিত হয় না ৷
এই যুরকগণ নিরাপত্তা রক্ষার নিয়োজিত থেকেছে এবং তারা অভাবীদেরকে আহার্য দান
করত
তারা দান করেছে মোটা তজ্যে উটের গােশ্াত এবং তার উপর চর্বির গ্রলেপ, নিজেদের
প্রতিবেশীদের সম্পর্কে শত্রু ও হিংসুকের যে অসৎ পরিকল্পনা নিয়েছিল তা প্রতিঃরাধ্ করার
আমার দৃংখ ওই যুবকদের জনো ৷ আমরা ওদের জন্যে শোক প্রকাশ করি ৷ ওরা ছিন
প্রদীপেরন্ধ্ ন্যায় ওরা ৷ছল নেতা, সেনাপতি অগ্রগামী ও নানণীল্
ওরা ধন-সষ্পদের বিনিময়ে হলেও প্রশংসা আর্দন ক্রভে৷ ৷ নিশ্চর প্রশংসা একটি সাজােক
ও কল্যাণময় বান্বপার ৷ যখনই কোন চীফ্লোরকারী চীত্কার করে , হু ব্যক্তি আহ্জােরী করে তারা
প্ন্ার ৪ই চীত্কার বন্ধের ব্যবস্থা করে ৷
যারা প্রতিকুল সময়ে লক্ষ্য বন্তুতে তীর নিক্ষেপ করে যেত, তাদের সওয়ারী মরুভুমির
মরুধুলিতে পদ চিহ্ন একে যেত ৷
ওরা যুদ্ধ করফ্লিৰু, সে ছিল এমন একদল সওয়ারীর মধ্যে যাদের বক্ষ ছিল ঘমক্তি ৷ শেষ
পর্যন্ত যে সুউচ্চ মর্যাদা লাভ করেছে ৷ এটি সহজ়লভ ঙ্ক সাফল্য নয় :
হে হামযা ! আপনি আমাকে একাকী রেখে গেছেন সেই বৃক্ষডহ্বলের ন্যায় শত্রুগণ যার
পতকোগুলো ঝরিয়ে ফেলেছে ৷ আমি আপনার নিকট মনের দুঃখ প্রকাশ করছি ৷ অথচ আপনার
উপর রয়েছে বৃত্তাকার মাটির ন্তুপ ৷
একটি বিরাট পাথর আপনার উপাং ব্লেখেছে কবর খন্থনকাৰী লোকেরা যখন কবর খনন
করেছে সৃপ্ৰশস্ত মাঠে মাটি দিয়ে তারা ওই কবর ভ্ররাট করেছে ৷
আমাদের শোক হল আমরা বলছি যে, কালের আবতান সংঘটিত ঘটনায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছেনঃ ৷
সুতরাং সবাই আসুৰু আমাদের শহীদানের জন্যে ত্রুন্দনঃ করুক ; আমাদের সেসব শহীদান
যারা কথায় ও কাজের প্রশং সাযােগ্য ও দানশীল ব্র
যারা যুগ যুগ ধরে দুহাতে অঞ্জলি ভরে দান করে গিয়েছেন দ্
ইবন হিশাম বলেন যে, উপ্যরাক্ত পংক্তিমালা হযরত হাসৃসান (রা)-এর এটা অঘিকাত্হ্ব
জ্ঞানীজ্যা স্বীকার করেন না
ইবন ইসহাক বলেন যে, হযরত হাময৷ (বা) এবং অন্যান্য শহীদদের প্রতি শোক প্রকাশে
হযরত কাব ইবন মালিক নিম্নের কবিতা বলেছেন :
তৃমিতাে চরম দুঃখে পতিত হয়েছ ৷ ফলে৩ তুমি নিংা৷হীন রাত কাটাচ্ছ ৷৩ তুমি তো অস্থির হয়ে
পড়েছ এজন্যে যে, তরতাজা নওজােয যানগণ নিহত হয়েছেন ৷
এখন তোমার অন্তর উদাসীন ৷ তোমার উদাসীনতা অন্ধকারময় ৷ তোমার সচেতনতা
গুরুত্বপুর্ণ ৷
সুতরাং বেপরোয়াভাবে গোমরাহীর অনুসরণ ত্যাগ কর ৷ তৃমিরু:তা বোকার মত গোমরাহীর
অনুসরণে মত্ত ছিলে ৷
এখন সময় এসেছে তোমার আনুপতে৷ উৎকর্ষ অর্জনের, অথবা পথ-প্ৰদর্শক ঘুরশিদ যখন
তোমাকে মন্দ কাজ থেকে বারণ করছেন তখন সচেতন হবার ৷ গাফলতী ঘুম ভাঙ্গার ৷
হাময৷ (রা) কে হারিয়ে তুমি চরমভাবে ধাক্কা থেয়েছ শংকিত হয়েছ ৷ তোমার অম্ভরাত্মা
কেপে উঠেছে ৷
তার তিরোধানে হেরা পর্বত যদি কম্পমান হত, প্রকাশ্যে বেদনা দেখাতে পারত, তবে তুমি
দেখতে পেতে যে, পর্বতের পাথরের মাথাগুলাে সব ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে ৷
তিনি জননেতা, তিনি স্ন্তুাম্ভ ৷ তিনি রনু হাশিম গোত্রে উচ্চাসনে নিজের স্থান করে নিয়েছেন ৷
বনুহাশিম গোত্র তো নবুওয়াত দানশীলতা ও নেতৃত্বের ণ্কন্দ্রস্থুল ৷
তিনি নেতা গো ৷ত্রপতি, শক্তিমান, ভোরের বা যু যখন পানিতে জমাট বাধা তখনও ৷
শক্তিমান অস্ত্রধারী শত্রুকে তিনি পরাজিত করে ছাড়েন, অবলীলাক্রমে যুদ্ধের দিনে ৷ তার
তীর ও বশা শত্রু খুজৈ বেড়ায়
তৃমি তাকে দেখতে পাচ্ছ য, লৌহ-রর্য পরিধান করে তিনি বীরত্বের সাথে পায়চারি
করছেন ৷ সিংহের ফুলানাে কাোর যেন তীর ঘাড়ে শোভা পাচ্ছে ৷ তার হাত যেন বাআংখির
নখর ৷ প্রচন্ড ণ্ক্রাধে তার চােখ-মুখ রক্তিম ৷
তিনি নবী মুহাম্মাদ (সা )-এর চাচা এবং তার খাটি বন্ধু ৷ তিনি মৃত্যু শুদ্া৷র্টে উপস্থিত : ওই ঘাট
কতই না উত্তম !
তিনি মৃত্যু ঘাটে উপস্থিত হয়েছেন এমন কতক লোকের দলে শ মিল হয়ে যারা নবী
(না)-কে সাহায্য করেছেন ৷ যাদের মধ্যে রয়েছেন শাহাদতের সৌভাগ্য লাভে ধন্য শ্ণ্ন্ধাক্তিরণা ৷
এটি দ্বারা তিনি হিনদের ক্ষোভ বাড়িয়ে দিয়েছেন ৷ তিনি তার গলার কাটা হয়ে গিয়েছিলেন ৷
যার ব্যথা প্ৰশমিত হচ্ছিল না ৷
সেদিন সকালে আমরা তার সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হয়েছিলাম এক দুরবর্তী ময়দানে ৷ সেকাি
ওই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন ৷
সেদিন কাফির পক্ষের লোকদের চেহারা ওলট পালট করে দেয়৷ হয়েছিল বদরের কুপে ৷
সেদিন আমাদের পতাকার নীচে জিবৃরাঈল (আ) ছিলেন আর ছিলেন মুহাম্মাদ (সা১
আমি তো সেদিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুকাবিলায় ওদের নেতৃবৃন্দকে দেখেছি যে, ওরা
দুপ্রকার হয়ে গিয়েছে ৷ আমার যাকে ইচ্ছা হত্যা করছি আর যাকে ইচ্ছা তড়িয়ে দিচ্ছিলাম ৷
এরপর ওদের সত্তর জনের স্থান হয়েছে বদরের নােং বা গ্যর্ত তাদের মধ্যে রয়েছে উতবা
ও আসওয়াজ ৷
এবং ওই নােত্রা গতে ”বিক্ষিপ্ত হয়েছে ইবনৃল মুগীর৷ ৷ আমরা তাকে যেয়েছি তার ঘাড়ের
উপর প্রচন্ড মার ৷
এবং উমাইয়৷ জুমহাে, তার বাকা ঘাড় সোজা করে দিয়েছে একটি তরবারির আঘাত ৷
তরবারিঢি ছিল মুসলমানদের হাতে, ভারতীয় তরবারি ৷
এরপর পরাজিত মুশরিক সৈনিকরা আপনার নিকট এসেছে ৷ তারা এবং তাদের অশ্বারোহীরা
যেন পলায়নপর উটপাখি ৷
যারা চিরস্থায়ীভাবে জান্নাতে বসবাস করবেন তাদের চেয়ে দৃারুর বহু দুরে থাকবে চিরস্থায়ীভাবে
জাহান্নামে বসবাসকারিরা ৷
ইবন ইসহাক বলেছেন হযরত হাময৷ (রা) ও উহুদ যুদ্ধের অন্যান্য শহীদের শাহাদত বরণে
শোক প্রকাশ করে হযরত আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ (রা) নিম্নের কবিতা আবৃত্তি ৩করেন ৷ ইবন
হিশামের মতে এ পত্ক্তিগুলো আর যায়দ কা ব ইবন মালিকের ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
’
আমার দুচোখ কেদেছে ৷ কান্না করা তার জন্যে সংগত বটে ৷ মুলত ক্রন্দন ও আহাজারিতে
এখনতো আর কোন লাভ হচ্ছে না ৷
আমি কেদেছি আল্লাহর সিৎহ হামযার (রা) জন্যে ৷ যেদিন সকালে বলা হল এই কি হাময৷ ৷
তোমাদের নিহত ব্যক্তি !
সেদিন সেখানে সকল মুসলমানই বিপদঃাস্ত ও আহত হয়েছেন ৷ আহত হয়েছেন রাসুলুল্লাহ্
(সা) নিজেও ৷
হে আবু ইয়৷ লা ! আপনার জন্যে বায়৩ ল্লতাহ্ শরীফের স্তম্ভগুলো কেদেহে ৷ আপনি মযাদাবান,
পুণ্যময় ও আত্মীয়বৎসল ৷
আপনার জন্যে জান্নাতে আপনার প্রভুর পক্ষ থেকে সালাম ও অভিনন্দন ৷ সাথে রয়েছে
জান্নাতের অবিনশ্বর নিআমতসমুহ ৷
শুনে নিন হে ভাল মানুষদের ভাল মানুষ ! ধৈর্য সহকারে শুনুন ! আপনাদের সকল কাজ
সুন্দর ও মহান ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ধৈর্যের অনুপম আদর্শ পরম দানশীল ৷ তিনি যখন কথা বলেন, তা আল্লাহর
বলে থাকেন ৷
-যে উ আছ কি আমার পম্মও থেকে লুওয়াই গোত্রকে জানিয়ে দেবে যে, আজ থেকে পরবর্তী
সময়ের জন্যে অবস্থার পরিবর্তন ঘটবেই
আজ দিনের পুর্বে ওরা আমাদের সম্পর্কে যা (জনেছে এবং যা ভোগ করেংহু তাতে
রুগ্ন-হৃদয় ব্যক্তির জংন্য গ্রতিযেধ্ক ছিল ৷
বদর কুপে তোমাদের উপর আমাদের প্রচণ্ড আক্রমণ ও আঘাতের কথা ণ্ন্দ্রামর৷ ভুলে
গিয়েছ ৷ সেই ভোর বেলায় কথা যখন দ্রুত মৃত্যু তোমাদের গ্রাস করেছিল ৷
সেই গোত্রের কথা ভুলে গিয়েছ যখন আবু জাহল হাত পা ছড়িয়ে চিৎ হয়ে পড়ে রয়েতিঃা
বদর প্রাম্ভরে ৷ পাখী কো ক চিলও ওশকুন) গুলো তার উপর চক্কর দিচ্ছিল ৷
উতবা এবং তার পুত্র দৃজনে লুটিয়ে ণড়েছিল মাটিতে ৷ আর শায়ব৷ ভীক্ষ্ণ ধার তরবাবি তাকে
কেটে খণ্ড খণ্ড করেছিল ৷
তোমরা ভুলে গিয়েছ সেই কথা যে, উমাইয়াকে আমরা শঃভুলুষ্ঠিত করে ফেলে এসেছিলাম ৷
অথচ তখনও তার বুকে বিদ্ধ ছিল তীর ও বশা ৷
বনু রাবী আ গোত্রের নেত স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সম্পর্কে ওরা জিজ্ঞেস করে ৷ বন্তুত আমাদের
তরবারিত্তে রয়েছে ওদেরকে কর্তন করার চিহ্ন ৷ কাটার ফলে তরবারি র্ভে ৷তা হয়ে গিয়েছে ৷
এস্পো৷ ৷
শুনে নাও হে হিনদ ! তুমি কেদেই যাও তুমি দুঃখিনী তুমি অশ্রু বর্ষণকারিপী এবং তুমি
উন্মাদ ৷
শুনে না ও হে হিনদ ! হযরত হামযাকে (রা) হত্যা করে তুমি খুশি হয়াে না, আনন্দ প্রকাশ
করো না ৷ ক,ারণ তোমাদের জয় হল মুলতঃ পরাজয়ই ৷ তোমাদের ইজ্জ৩ হল বেইজ্জতি ও
লাঞ্চুণ্ ৷র নাম তবে ৷
ইবন ইসহাক (রা) বলেছেন, হযরত হাময৷ (র)-এর শাহাদতের পর তার বোন সাফিয়্যা (রা)
যিনৃত আবদুল মুত্তালিব নিম্নের শোক গাথ৷ আবৃত্তি করেন ৷ সাফিয়্যা (রা ) হলেন হযরত যুবায়ব
(রা ) এর মা এবং রাসুলুল্লাহ্ ( সা)-এর ফুফু ৷
আমার বাবার মেয়েরা কি তার ভয়ে উহুদ যুদ্ধের শহীদানদেব কথা জিজ্ঞেস করছে ও
জ্ঞাতঅজ্ঞাত সবাইকে ৷
তখন যে ব্যক্তি ওয়াকিফহাল যে বলল যে, হামযা (রা) তো রাসুলুহুা৷হ্ (সা) এর উযীর রুপে
নিয়োগ পেয়েছেন ৷
সত্য নাযিলকারী মাবুদ আরশের মালিক মাবুদ তাকে ডেকেছেন জান্নাতের দিকে ৷ তিনি
সেখানে জীবিত থাকবেন এবং আনন্দে ম গ্ন থাকবেন ৷
আমরা হযরত হামযা (রা)-এর জন্যে এটাই কামনা করেছিলাম যে, হাশর দিবসে তিনি
সবেত্তিম বাসস্থানের অধিকারী হবেন ৷
আল্লাহর কসম! পৃবাল হাওয়া যত দিন প্রবাহিত হৃবেত তদিন আমি তোমাকে ভুলব না ৷
আমার নিজ দেখে এবং সফর অবস্থায় সবাবন্থায় আমি তোমার জন্যে কাদবাে ও শোক প্রকাশ
করবো ৷
আমি কাদব এমন ব্যক্তির শ্যেরুক যিনি আল্লাহর সিৎহ ৷ যিনি নেতা ইসলামের উপর আগত
সকল কা ৷ফিরী আক্রমণ তিনি প্রতিহত করতেন ৷
’
হার আমার দেহ ও হা ড় যদি ওই ব্যক্তির নিকট থাকত যিনি প্রচণ্ড আক্রমণকারী ও বাজপাখী ৷
আমার প্ৰতিবেশীগণ তার মৃত তা সংবাদ ঘোষণা করছে আর আমি বলছি যে আমার ওই ভাই
ও সাহায্যকা ৷রীকে মহান আল্লাহ্ উত্তম পুরস্কার ও বিনিময়৷ দা ন করুন ৷
ইবন ইসহাক বলেন শাম্মাস ইবন উছমানের শ্রী নৃ আম তার স্বামী নিহত হবার প্রেক্ষিতে
নিম্নের গোকগাথা আবৃত্তি করেছেন ৷ আল্লাহ ভাল জানেন সকল প্রশংসা আল্লাহ্ব জন্যে ৷
হে আমার চক্ষু অঝোর ধারায় অশ্রু বর্ষণ কর ৷ অশ্রুপাত বন্ধ করে৷ না ৷ কেদে যাও এমন
এক সণ্ড্রান্ত যুবকের জন্যে যে ছিল সৌখিন পোশাক পরিধানকারী ৷
তিনি অত্যন্ত মিষ্ট৩াষী , বিচক্ষণ এবং তার চরিত্র ও স্বতাব বরকতময় প্ৰশং ×সাহ্ ৷ তিনি
পতাকাবাহী অশ্বারোহী সৈনিক ৷
তার মৃত্যুর সংবাদদাতা যখন মৃত্যু সংবাদ জানলে তখন আমি“ অস্থির হয়ে বললাম তাহলে
একজন দানশীল ব্যক্তির মৃত্যু হল ৷ একজন আহার্যদানকারী বস্ত্র প্রদানকারীর তিরােধান ঘটল৷
তার সাথে আমার উঠা বসা ও যখন শেষ হয়ে গেল তখন আমি বললাম, মহান আল্লাহ যেন
শাম্মাসের সাথে আমাদের দুরত্ব ও ব্যবধান সৃষ্টি না করেন ৷
ইবন ইসহাক বলেছেন, এই মসিয়৷ ও শোক গাথ৷ শুনে তার ভাই আবদুল হাকাম ইবন সাঈদ
তার প্রতি সহানুতুতি প্রকাশ করে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেন ৷
সে তো তোমার ইজ্জত সম্মান বজায় রেখেছে স বা দ রক্ষণ করেছে পদা ও আবরণের
মাধ্যমে ৷ কারণ সে নিজে ছিল অন্য৩ তম লজ্জাশীল মানুষ ৷
ব্লুা
সে যখন আল্লাহর আনুগতে যুদ্ধ দিবসে জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়েছে তখন তুমি তার
পােকে বিরহে নিজেকে ধ্বং ×স করনি ৷
র্চগাে
হযরত হাময৷ ছিলেন আল্লাহর সিংহ ৷ সেদিন তিনি ও পা ম্মা৷মের পেয়াল৷ থেকে পানীয় পান
করেছেন-৩ তিনিও শহীদ হয়েছেন ৷ সুতরাৎ৩ তুমি ধৈর্যধারণ কর ৷
মুশরিকর৷ উহুদ যুদ্ধ থেকে ফিরে যাবার পর আবু সুফিয়ানের শ্রী হিনদ বিনৃত ত্বা নিম্নের
কবিতা আবৃত্তি করেছিল :
আমি উহুদ ময়দান থেকে ফিরে এসেছি বটে; কিন্তু এখনো আমার বহু দুঃখ ও আক্ষেপ,
কারণ, আমা ৷র যা উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল তার সবটুকু পুর্ণ হয়নি ৷
বদর যুদ্ধে কুরায়শ বষ্ ×শের বনু হ শিম গোত্র ও ইয়াছরিব অধিবাসীদের মধ্যে যে সৎঘ
হয়েছিল ওই সৎঘর্য ও ক্ষয়ক্ষতির প্রতিশো ৷ধ তাে নিতে পারেনি ৷
তবে কিছু প্ৰতিশোধ আমি নািয়ছি ৷ আমার এখানে আগমনের যতাটুকু আশা করেছিলাম তার
পুরোটা অর্জিত হয়নি ৷
এ প্ৰসংপে ইবন ইসহাক আরো বহু কবিতা উল্লেখ করেছেন ৷ দীর্ঘ হয়ে যাওয়া এবং বিরক্তি
সৃষ্টি হওয়ার আশংকায় আমরা সেগুলো বাদ দিলাম ৷ যা আমরা উা:ল্লখ করেছি তা ২ ন্যথেষ্ট হবে ৷
ইবন ইসহাক তার গ্রন্থে যতগুলো কবিত ৷ উল্লেখ করেছেন উমাভী তার মাগাযী গ্রন্থে তার চেয়ে
অধিক কবিতা উল্লেখ করেছেন ৷ত তার নিয়ম এটাই ছিল ! তার উল্লেখিত কবিতাগুলো থেকে
হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) এর একটি কাবত তা আমরা নিম্নে উল্লেখ করছি ৷ উহুদ যুদ্ধ
সম্পর্কে হযরত হাসৃসান (রা) বলেছেন :
ওর৷ তো শয়তানের আনুগত্য করেছে ৷ শয়তান তাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেছে ৷
ফলে লাঞ্চুন৷ ও সাহসহীনতা তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল ৷
ওরা আবু সুফিয়ানের সাথে সমস্বরে যখন চীৎকার করেছিল তখনত তারা বলেছিল, হুবল
প্রতিমা র জয় হোক ৷
তখন আমরা সকলে সমস্বরে ওদের জবাব দিয়ে বলেছি “আমাদের দয়াময় প্রতিপালক
সর্বোচ্চ সুমহান ৷
দাড়াও, তোমরা অতি স শ্হুব মৃত কৃপ থেকে তিক্ত পানি পান করবে ৷ মৃত্যু তাে প্রথম বার
পান করইি ৷
জেনে রাখ যে, মৃত্যু ঘোড়ার পাতিল ভর্তি করে যখন তা ফুণ্টানাে হয় তখন ওই পাতিল
টগবগ করে ফুটতে থাকে ৷
আবদুল্লাহ ইবন যাবআরীর কবিতার উত্তরে হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত (বা) যে কবিতা
বলেছিলেন উপরোক্ত পংক্তিগুলো ওই কবিতার অংশ বিশেষ ৷
অধ্যায় : উহুদ যুদ্ধ সম্পর্কে শেষ কথা
তৃতীয় হিজরীতে সংঘটিত ঘটনাবলী ও যুদ্ধ বিগ্রহ সম্পর্কে আমরা ইভােপুর্বে আলোচনা
করেছি ৷ ওই সব ঘটনার মধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ঘটনা হল উহুদ-যুদ্ধের ঘটনা এটি সংঘটিত
হয়েছিল ৩য় হিজৰীর শাওয়াল মাসের মধর্টভাগে ৷ এর বিস্তারিত বিবরণ পুরুর্কী দেওয়া হয়েছে ৷
সকল প্ৰশ সা আল্লাহ্র ৷