দিলে ইহজীবনের সম্পদের আকাৎখায় তাকে বলবেনা, তুমি মু মিন নও কারণ, তা ৷ল্লাহ্র নিকট
অনায়াসলভ্য সম্পদ প্রচুর রয়েছে ৷ তােমরাও পুর্বে এরুপই ছিলে, এরপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি
অনুগ্রহ করেছেন ৷ সুতরাং তোমরা যাচাই করে নেবে ৷ তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে
সবিশেষ অবহিত ৷” ( : নিসাং , ৯৪)
ইমা ৷ম আহমদ (র) ও আবু হ দব দ (বা) হতে ৩এরুপ রংনাি করেন ৷
ইবন ইসহাক ষুবায়র (রা) ও তার পিতা আওয়াম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তারা
উভয়ে হুনায়ন যুদ্ধে যোগদান করেন এবং বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন যুহরের স ৷লাত আদায়
করেন ৷ এরপর তিনি একটি গাছের ছায়ায় গিয়ে বলেন ৷ তখন উয়ায়না ইবন বদর, রাসুলুল্লাহ্
(সা )-এর কাছে এসে নিহত আমির ইবন আল-আযরাত আল আশজ৷ ৷ঈ এর রক্তপণ দাবী করে
কেননা, সে ছিল আমিরের মুনির ৷ তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) রলেন, “তোমরা কি এখন ৫০টি উট
গ্রহণ করতে এবং মদীনায় প্রত্যাব৩ নের পর বাকী ৫ :টি উট্রি গ্রহণ করতে রাযী আছ ?” উয়ায়না
ইবন বদর বলেন, “আল্লাহর শপথ, আমি তার সাথে কোন আপোস করব না ৷ যতক্ষণ না তার
রমণীরা ঐরুপ কষ্ট ভোগ করবে যেরুপ আমাদের রমণীরা কষ্ট ভোগ করেছে ৷ বনু লায়ছের এক
ব্যক্তি যাকে ইবন মুকায়াতিল বলা হয়, আবার সে আকারেও খাট ছিল ৷ সে বলতে লাগল, “হে
আল্লাহর রাসুল ! ইসলামের ছত্রছায়ায় প্রতারণার ক্ষেত্রে তাদের উপমা দেয়৷ চলে এমন কতগুলো
বকরীর সাথে যেগুলো পানি পান করতে এসে এদের অ্যাভাগে যেগুলো রয়েছে এরা পানি পান
করে আর পশ্চাতেরগুলে৷ পালিয়ে যায় ৷ অর্থাৎ তাদের মধ্যে কোন প্রকার একত৷ কিৎবা সহয়োগি
তার মনোভাব নেই ৷ আজকে এক প্রকার ঘটনা ঘটায়, পরদিন আবার অন্যরুপ ঘটনা ঘটাবে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ তোমরা কি এখন ৫ :টি উট গ্রহণ করতে এবং মদীনায় প্রত্যাবর্তনের
পর বাকী ৫ :টি উট গ্রহণ করতে রাযী আছ ? এরুপ অনেকবার অনৃরোধের পর যে তা গ্রহণ
করতে রাযী হল ৷ মিহলাম ইবন জুছামার লোকজন বলতে লাগল, “চল, আমরা মিহলামকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিয়ে যাই ৷ যাতে তিনি তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা ৷করেন ৷ রাবী বলেন,
একজন দীর্ঘকায়, সুস্বাস্থ্যবান এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত চাদর পরিহিত ব্যক্তি এসে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সামনে দীড়াল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , “হে আল্লাহ ! মিহলামকে মাফ করবেন
না “এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন ৷ লোকটি দাড়িয়ে রইল এবং কাপড় দিয়ে অশ্রু যুছতে ছিল ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, “মিহলামের লোকেরা মনে করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
পরবর্তীতে তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ৷ উপরোক্ত বর্ণনার ন্যায় আবু দাউদ ও ইবন মাজা
বিভিন্ন সনদে এ ঘটনাটি বর্ণনা করেন ৷
ইবন ইসহাক, আবু নয়র সালিম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমিরের
লোকজন রক্তপণ কবুল করেন নাই যতক্ষণ পর্যন্ত না আকরা ইবন হাবিস (বা) তাদের সাথে
একাম্ভে আলোচনা করেন ৷ আকর৷ (বা) বলেন, “(হ কায়সের বং ×শধরগণ ! রাসুলুল্লাহ (সা)
তোমাদের মধ্যে মীমাং সার খাতিরে তে ৷মাদেরকে বলেছেন, একটি নিহত ব্যক্তির হত্যার জন্যে
রক্তপণ গ্রহণ করতে, আর তোমার তার কথা অমান্য করছ ৷ তোমরা কি চিন্তা করে দেখছ যে,
যদি রাসুলুল্লাহ্ (সা)তে তামাদের প্রতি ৩ক্রুদ্ধ হন, তাহলে তার ক্রোধের কারণে আল্লাহ তোমাদের
প্ৰতি ৩ক্রুদ্ধ হবেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ (সা) যদি তোমাদের প্রতি লা’নত করেন তাহলে৩ তার লানতের
দরুন আল্লাহ তা আলা তোমাদের প্ৰতি লা’নত করবেন ৷ তোমরা তাকে যেমন করেই হোক
বাসুলুল্ল হ (সা) এর কাছে রক্তপণ গ্রহণ করার জন্যে নিয়ে আস; অন্যথায় বনু নতামীমের
৫০জনকে দাড় করিয়ে আমি সাক্ষ্য দিতে বলবো যে নিহত ব্যক্তিটি কাফির ছিল, সে কোন দিনও
এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করেনি ৷ কাজেই তা র হত্যার জন্যে রক্তপণ দেয়া দরকার হবেনা ৷ তার
এ কথায় তারা রক্তপণ নিতে রাযী হয় ৷
এ বংনািটি বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক হাসান রসরী (র) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, মিহলাম যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে বললেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে বললেন, “তুমি কি তাকে নিরাপত্তা দেয়ার পরও হত্যা করেছ ০” এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার জন্যে রদ দৃ আ করলেন ৷ হ সান রসরী (র) বলেন, “আল্লাহর শপথ এরপর মিহলাম মাত্র
সাতদিন বেচে ছিলেন ৷ মৃত্যুর পর তাকে মাটি উপরে নিক্ষেপ করে দিয়েছিল ৷ এরপর মিহলামের
আত্মীয়াজন আবার তাকে দাফন করল; কিছু; এবারও তাকে মাটি উপরে নোক্ষেপ করল ৷ এরপর
তারা আবার তাকে মাটিতে দাফন করল, কিন্তু এবারও তাকে মাটি নিক্ষেপ করে দিল ৷ এরপর
তারা তার উপর কুচি পাথর দিয়ে তাকে চাপা দিল ৷ এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পৌছার
পর তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ভুমি তার থেকে অধিক খারাপ লোককেও বুকে ধারণ করে রয়েছে;
কিন্তু আল্লাহ তা আলার ইচ্ছে হচ্ছে তোমাদের লোকদের বেলায় সংঘটিত ঘটনা দ্বারা
তােমাদেরকে শিক্ষা দেওয়া ৷
ইবন জ বীর ইবন উমর (বা) হতে ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা)
মিহলাম ইবন জুছামাকে একটি দলের দাযিতৃ দিয়ে অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ পথিমধ্যে আমির
ইবন আল আযবাত সৈনাদলের সাথে মুলাকাত তকরেন ও ইসলামী কায়দায় সালাম দেন ৷ তবে
তাদের মধ্যে জাহিলিয়াতে র যুগে মনােমালিন্য ছিল বিধায় মিহলাম আমিরের প্রতি তীর নিক্ষেপ
করে তাকে হত্যা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এ সংবাদ পৌছল ৷৩ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ
ব্যাপারে যীমা০ সার জন্যে উয়ায়না এবং আক্রা এর সাথে আলোচনা করেন ৷ আক্রা (বা ) বলেন,
হে আল্লাহর রাসুল ! আজকে এ ঘটনা ঘটছে, কাল আবার অন্যটা ঘটবে ৷ এরুপ চলতে
থাকবে ৷ তাই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন ৷ উয়ায়না বলে উঠলেন০ : “না, আল্লাহর শপথ, এ
ব্যাপারে কোন মীমাংসা নেই যত তক্ষণ না আমাদের রমণীরা যেরুপ কষ্ট পেয়েছে৩ তাদের রমণীরাও
তদ্রুপ কষ্ট পায় ৷ এরপর মিহলাম দুটো চাদরে নিজেকে আচ্ছাদিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সামনে জড়সড় অবস্থায় বললেন যাতে রাসুল (সা) তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ কিন্তু
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আল্লাহ তাআলা তোমাকে ক্ষমা না করুন ’ তখন তিনি নিজ চাদর
দিয়ে অশ্রুজল মুছতে ঘুছতে উঠো দা ড়ালেন এবং সাত দিন না যেতে তই তিনি ইনতিকাল করলেন ৷
তাকে মাটিতে দাফন করা হলে মাটি তাকে উপরের দিকে নিক্ষেপ করে ৷ মিহলামের আত্মীয়-
াজনরা রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে এসে এ সংবাদ দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, নিশ্চয়ই মাটি
তোমাদের সাথীর চেয়েও নিকৃষ্টতর লোককে বুকে ধারণ করে রয়েছে ৷ কিন্তু আল্লাহ তাআলা
তােমাদেরকে তোমাদের কারো শাস্তির মাধ্যমে উত্তম শিক্ষা প্রদান করে থাকেন ৷ এরপর তাকে